১৭- কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে উমরী কাযা
▆ আহলে হাদীসদের মতে :
কেউ যদি সময়মত নামায আদায় করতে না পারে তাহলে পরবর্তীতে তা কাযা করার প্রয়োজন নেই। আর পরবর্তীতে কাযা করাটা একটি অনর্থক কাজ। বরং শুধু তাওবা করলেই যথেষ্ট হয়ে যাবে।
দলীলঃ ��
قوله تعالي: إن الصلاة كانت علي المؤمنين كتابا موقوتا (سورة النساء-١٠٣)
��আহনাফের মতে :
পবিত্র ক্বুরআনুল কারিমে নামাযের সময়সীমা নির্ধারিত হওয়ার বিষয়টি যেমন উল্লেখিত হয়েছে তেমনি নির্ধারিত সময়ে তা আদায় না করে থাকলে পরবর্তী সময়ে তা কাযা করার বিষয়টিও পরোক্ষভাবে উল্লেখিত হয়েছে।
সহীহ হাদীস ও আছারে সাহাবার মধ্যে বিষয়টির সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা বিদ্যমান রয়েছে।
দলীলঃ ��
عن أنس بن مالك، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: إذا رقد أحدكم عن الصلاة، أو غفل عنها، فليصلها إذا ذكرها،
(رواه مسلم، رقم الحديث-٦٨٤، ٣١٦) فإن الله يقول: {أقم الصلاة لذكري} [ طه: ١٤]
عن أنس قال: سئل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الرجل يرقد عن الصلاة أو يغفل عنها قال: كفارتها أن يصليها إذا ذكرها (رواه النسائي، رقم الحديث-٦١٤)---------------  مسلم ، رقم الحديث- ٦٨٤، إبن ماجة، رقم الحديث- ٣٠١، الموطأ لمالك، ص٣، البخاري-٢/٢، مسند أحمد-٤/١٨١)
��আহলে হাদীসদের দলীলের জবাব :
তাদের উত্থাপিত আয়াতে নামাযের সময় নির্ধারিত হওয়ার বিষয়টি যেমন উল্লেখ হয়েছে তেমনি পরোক্ষভাবে কাযা করার বিষয়টিও উল্লেখ রয়েছে। সহীহ হাদীস ও আছারে সাহাবা তে বিষয়টির ব্যাখ্যা বিদ্যমান।
শুধু তাওবা ই যথেষ্ট এই কথাটি ঠিক নয়।
মনে রাখতে হবে, তাওবা দ্বারা এমন তাওবা উদ্দেশ্য যার মধ্যে কাযা হয়ে যাওয়া নামায সমূহ আদায় করা অন্তর্ভূক্ত।
সুতরাং শুধু তাওবার মাধ্যমেই কাযা নামায মাফ হয়ে যাবে এই কথাটি ঠিক নয়।
কারণ প্রিয় নাবী রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله و سلم)  স্বয়ং খন্দকের যুদ্ধে কাযা হয়ে যাওয়া নামায পরবর্তীতে আদায় করেছেন।
এবং হাদীসে কাযা নামায আদায় করার নির্দেশ এসেছে।

Top