১৫- মাগরিবের আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তি সময়ে দুই রাকাত নফল পড়া যাবে না
▆ আহলে হাদীসদের মতে :
মাগরিবের আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তি সময়ে দুই রাকাত নফল পড়া মুস্তাহাব।
দলীলঃ ��
عن عبد الله بن مغفل، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: بين كل أذانين صلاة لمن شاء (رواه الترمذي، رقم الحديث-١٨٥)
��আহনাফের মতে :
মাগরিবের আযান ও ইকামতের মাঝে দুই রাকাত নফল পড়া যাবে না।
কারণ প্রিয় নাবী রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله و سلم) , খুলাফায়ে রাশেদীন এবং আকাবীরে সাহাবাগনের মধ্য হতে কেউ কখনো মাগরিবের পূর্বে দুই রাকাত নফল পড়েন নি।
এই নফল যদি মুস্তাহাব হতো তাহলে স্বয়ং প্রিয় নাবী রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله و سلم)  ও খুলাফায়ে রাশেদীনগন অবশ্যই পড়তেন।
তাই মাগরিবের আগে দুই রাকাত নফল পড়া যাবে না।
দলীলঃ ��
عن عبد الله بن بريدة، عن أبيه، رضي الله عنه، أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: بين أذانين صلاة إلا المغرب (مسند البزار، رقم الحديث- ٤٤٢٢)
عن جابر رض قال سألنا نساء رسول الله صلي الله عليه وسلم هل رأيتن رسول الله صلي الله عليه وسلم يصلي الركعتين قبل المغرب؟ فقلن لا غير أن أم سلمة قالت صلهما عندي مرة فسألته ما هذه الصلاة؟ فقال النبي صلي الله عليه وسلم نسيت الركعتين قبل العصر فصليتهما الآن (إعلاء السنن- ١/٧٠،٧١)
حدثنا حماد بن أبي سليمان أنه سأل إبراهيم النخعي عن الصلاة قبل المغرب قال فنهاه عنها وقال إن رسول الله صلي الله عليه وسلم وأبا بكر وعمر لم يكونوا يصلونها رواه محمد في كتاب الآثار (إعلاء السنن-٢،٧٢)
��আহলে হাদীসদের দলীলের জবাব :
১) তাদের উত্থাপিত হাদীসটি মুজমাল। এর তাফসীর হলো অপর হাদীস।
তা হলোبين أذانين صلاة إلا المغرب।
সুতরাং মাগরিব ব্যতীত অন্য নামাযে আযান ও ইকামতের মাঝে দুই রাকাত নফল পড়া যাবে।
২) অথবা উক্ত হাদীসকে যদি “আম” ধরা হয় তাহলেও মাগরিব নামায উক্ত হাদীসের হুকুম থেকে ইস্তিসনা ধরা হবে।
কারণ মাগরিব তাড়াতাড়ি করার ব্যাপারে অনেক হাদীস বর্নিত হয়েছে।
যেমন এই উম্মত কখনো কল্যান থেকে খালি হবে না যতদিন তারা মাগরিব নামাযকে তাড়াতাড়ি আদায় করবে।
৩) তাছাড়া প্রিয় নাবী রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله و سلم) , খুলাফায়ে রাশেদীনগনের কেউ তা করেন নি।
তাই শুধু কতক সাহাবী পালন করার দ্বারা মুস্তাহাব প্রমাণিত হতে পারে না। বরং জায়েজ বা ইবাহাত হতে পারে।

 
Top