উসিলা বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি।

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন,

البركة مع اكابركم

বড়দের (পীরদের / Aged persons) সাথে থাকার মাঝেই বরকত নিহিত।
[সূত্রঃ সহীহ্ ইবনে হিব্বান; আল হাসান, হাদিস ৫৫৯, মুসতাদরাক হাকিম, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা ৬২; আল মাকাসিদুল হাসানাহ্, হাদিস ২৯০; ফায়জুল ক্বাদীর, হাদিস ৪২০৫]।
সুতরাং বড়রা হচ্ছেন মানব জীবনের সর্বক্ষেত্রে ছোটদের জন্যে উসিলা। এই উসিলাতে বা এই উসিলার মাধ্যমেই ছোটরা জীবনে বেড়ে ওঠে।  কাজেই উসিলা ব্যতীত জীবনের অস্তিত্ব অসম্ভব। উসিলাকে অস্বীকার করা মূর্খতা বৈ কিছু নয়।

তিনি আরো ইরশাদ করেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি. থেকে বর্ণিত-
“তোমাদের কেউ যেন কারো এমন ভাবে অনুসরণ না করে যে, সে [অনুসৃত ব্যক্তি] ঈমান আনলে, সেও [অনুসরণকারী ব্যক্তিও] ঈমান আনে। সে কুফরি করলে সেও কুফরি করে। যদি কারো অনুসরণ করতেই হয়, তবে মৃত ব্যক্তিদের অনুসরণ করো। কেননা, জীবিতগন ফেতনার আশঙ্কামুক্ত নন।
অর্থাৎ তোমাদের কেউ যদি আদর্শ খোঁজে তাহলে সে যেন মৃত লোকদের মাঝে আদর্শ খোঁজে। কেননা জীবিত লোকদের ব্যাপারে ফেতনার আশঙ্কা বিদ্যমান।
[সূত্রঃ তাবরানী কাবিরা; হাদিস ৮৭৬৪ মাজমাউয যাওয়ায়েদ; হাদিস ৮৫০; হাদীসটির সনদ হাসান]।
উপরোক্ত সহীহ্ হাদিস সমূহে বড়দের (পীরদের) গুরুত্ব সুস্পষ্ট।

পবিত্র ক্বুরআনুল কারিমের অন্তর্নিহিত সঠিক বুঝ অর্জনে মনগড়া তাফসির না করে বড়দের তথা পূর্ববর্তীদের অর্জিত বুঝ অনুসারে বুঝ গ্রহন ঈমান ও আক্বাঈদের জন্যে নিরাপদ।

বড়দের অবজ্ঞা করার কারনে যুগে যুগে মনগড়া তাফসিরকারীরা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

মানব জীবনের সর্বক্ষেত্রে ওয়াসিলা গ্রহন একটি অবিচ্ছেদ্য বিষয়। অথচ ক্বুরআনুল কারিমের অন্তর্নিহিত বুঝ অর্জনে ব্যর্থ হয়ে মনগড়া বুঝ লাভকারীরা ওয়াসিলার ন্যায় স্বতঃসিদ্ধ বিষয়কে শিরক্ বিদআত বলে ভ্রান্তিতে নিপতিত হয়েছে। মহান আল্লাহ্ পাক ভ্রান্তিতে নিপতিত সেরুপ ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা মতবাদীদের থেকে হিফাজাত করুন, আমীন।

ওয়াসিলা হিসেবে তথা ওয়াসিলা গ্রহন করে প্রচলিত আসবাব বা মাধ্যম বা উপকরণ অবলম্বন করা তাওহীদের পরিপন্থী নয়। তাওয়াক্কুলের উঁচু অবস্থানেরও পরিপন্থী নয়। এটি নবী সূলভ মর্যাদারও পরিপন্থী নয়। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম জীবনে অসংখ্যবার এ ধরনের প্রচলিত আসবাব বা মাধ্যম বা উপকরণ অবলম্বন করেছেন, যা তাঁর সীরাতে প্রমাণিত।
মানুষ যদি কারো কোনো উপকার করে যেমন ইউসূফ আলাইহিস্ সালাম জেলখানাতে অবস্থানকালে জেলখানার ওই কয়েদিকে তাঁর স্বপ্নের ব্যাখ্যা জানিয়ে উপকার করেছেন। ওই ব্যক্তি থেকে কোনো ধরনের সেবা গ্রহন করা দোষণীয় নয়।

আরবিতে একটি কথা আছে, 'এমন অনেক কাজ আছে, যা সাধারণ নেককারদের জন্যে নেককাজ হলেও আল্লাহর নৈকট্যশীল বান্দাদের জন্যে ভুল কাজ'।

নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের চেয়ে অধিক নৈকট্যপ্রাপ্ত বান্দা আর কে হতে পারে! তিনিও অনেকগুলো স্থানে ওয়াসিলা বা আসবাব বা মাধ্যম বা উপকরণ হিসেবে গায়রুল্লাহকে সাহায্যের জন্যে ডেকেছেন। বিভিন্ন হাদিসে এমন বিবরণ পাওয়া যায়।
যেমন, হুনাইন প্রভৃতি যুদ্ধে পরাজয়ের শঙ্কা দেখা দিলে নাম ধরে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ডেকেছেন, অন্যদের মাধ্যমেও ডাকিয়েছেন। তিনি ওই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সাহায্য চেয়েই তাদেরকে ডেকেছিলেন। মুসলিম শরীফের বর্ণনা দেখুন।
আল্লাহ্ না করুন, প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে আসবাব বা মাধ্যম হিসেবে গায়রুল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়াটা যদি তাওহীদের সুউচ্চ অবস্থান ও তাওয়াক্কুলের চেতনার পরিপন্থী হয়ে থাকে তাহলে - নাউযুবিল্লাহ্  - রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের ব্যাপারে এ দাবির     অবকাশ থাকে যে গাইরুল্লাহর কাছে তাঁর সেই সাহায্যপ্রার্থনা দণ্ডনীয় অপরাধ ছিল।
বরং কিছু বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম নিজেই গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করার আদেশ করেছেন।
নাসাঈ শরীফের বর্ণনাতে এসেছে, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলেন, কোনো ব্যক্তি যদি আমার উপর আক্রমণ করে সম্পদ ছিনিয়ে নিতে চায় তখন আমি কি করব?
উত্তরে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেন, প্রথমে তুমি আল্লাহর কথা বলে নসীহত করবে। লোকটি প্রশ্ন করলেন, এরপরও যদি লোকটি নিবৃত্ত না হয়? উত্তরে রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বললেন, "তুমি তাকে মোকাবিলা করার জন্যে নিজের কাছের মুসলিমদের কাছে সাহায্য চাইবে......সুলতানের কাছে সাহায্য চাইবে.....
তাহলে দেখুন, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম এখানে পরিষ্কার ভাষায় গায়রুল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

আরেকটি ঘটনা তুলে ধরছি,
একবার একজন সাহাবী রা. নামাযে দীর্ঘ সাজদাহর ফলে ক্লান্তির অভিযোগ তুললেন। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম তখন তাঁদের বললেন, তোমরা হাঁটুর সাহায্য নাও।
এর ব্যাখ্যা হলো, সাজদাহ দীর্ঘ হলে তোমরা হাঁটুর ওপর ভর রেখে হাঁটু থেকে সাহায্য নাও। এতে ক্লান্তির অনুভূতি হ্রাস পাবে।
দেখুন, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম এ হাদিসে নিজের হাঁটু থেকেই সাহায্য প্রার্থনার নির্দেশ করেছেন। অথচ এই হাঁটুও গাইরুল্লাহ্।
তদ্রুপ এক বর্ণনাতে এসেছে, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম জনৈক গোলামের মনিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, গোলামের সাধ্যে যা কুলাবে না, এমন বোঝা তার উপর চাপিয়ে দিবে না। যদি কোনো কারণে চাপানোর প্রয়োজন পড়ে তাহলে তাকে অবশ্যই সহায়তা করবে। এই বর্ণনার মাঝে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম নিজেই মনিবকে নির্দেশ করেছেন গোলামকে সহায়তা করবে।
এখন কেউ কি একথা বলবে যে, উপর্যুক্ত বর্ণনার মাঝে নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য লাভের নির্দেশ করেছেন? অথচ তিনি নিজেই আরেক হাদিসে এ কাজ থেকে নিষেধ করেছেন। যেমন তিরমিজি শরীফের বর্ণনাতে এসেছে।
হাদিস শরীফটির আরবি পাঠঃ

عَن ابنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنهُمَا، قَالَ : كُنتُ خَلفَ النَّبيّ ﷺ يَوماً، فَقَالَ: «يَا غُلامُ، إنِّي أعلّمُكَ كَلِمَاتٍ : احْفَظِ اللهَ يَحْفَظْكَ، احْفَظِ اللهَ تَجِدْهُ تُجَاهَكَ، إِذَا سَألْتَ فَاسأَلِ الله، وإِذَا اسْتَعَنْتَ فَاسْتَعِنْ باللهِ، وَاعْلَمْ : أنَّ الأُمَّةَ لَوْ اجْتَمَعَتْ عَلَى أنْ يَنْفَعُوكَ بِشَيءٍ لَمْ يَنْفَعُوكَ إلاَّ بِشَيءٍ قَدْ كَتَبهُ اللهُ لَكَ، وَإِن اجتَمَعُوا عَلَى أنْ يَضُرُّوكَ بِشَيءٍ لَمْ يَضُرُّوكَ إلاَّ بِشَيءٍ قَدْ كَتَبَهُ اللهُ عَلَيْكَ، رُفِعَتِ الأَقْلاَمُ وَجَفَّتِ الصُّحفُ». رواه الترمذي، وَقالَ : «حديث حسن صحيح» وفي رواية غيرِ الترمذي: «احْفَظِ الله تَجِدْهُ أَمَامَكَ، تَعرَّفْ إِلَى اللهِ في الرَّخَاءِ يَعْرِفكَ في الشِّدَّةِ، وَاعْلَمْ : أنَّ مَا أَخْطَأكَ لَمْ يَكُنْ لِيُصِيبكَ، وَمَا أصَابَكَ لَمْ يَكُنْ لِيُخْطِئَكَ، وَاعْلَمْ : أنَّ النَّصْرَ مَعَ الصَّبْرِ، وَأَنَّ الفَرَجَ مَعَ الكَرْبِ، وَأَنَّ مَعَ العُسْرِ يُسْراً».

অর্থাৎ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি একদা (সওয়ারীর উপর) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পিছনে (বসে) ছিলাম। তিনি বললেন, ওহে কিশোর! আমি তোমাকে কয়েকটি (গুরুত্বপূর্ণ কথা শিক্ষা দেব (তুমি সেগুলো স্মরণ রেখো)। তুমি আল্লাহর (বিধানসমূহের) রক্ষণাবেক্ষণ কর (তাহলে) আল্লাহও তোমার রক্ষণাবেক্ষণ করবেন। তুমি আল্লাহর (অধিকারসমূহ) স্মরণ রাখো, তাহলে তুমি তাঁকে তোমার সম্মুখে পাবে। যখন তুমি চাইবে, তখন আল্লাহর কাছেই চাইবে। আর যখন তুমি প্রার্থনা করবে, তখন একমাত্র আল্লাহর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করবে। আর এ কথা জেনে রাখ যে, যদি সমগ্র উম্মত তোমার উপকার করার জন্য একত্রিত হয়ে যায়, তবে ততটুকুই উপকার করতে পারবে, যতটুকু আল্লাহ তোমার (তাকদীরে) লিখে রেখেছেন। আর তারা যদি তোমার ক্ষতি করার জন্য একত্রিত হয়ে যায়, তবে ততটুকুই ক্ষতি করতে পারবে যতটুকু আল্লাহ তোমার (তাকদীরে) লিখে রেখেছেন। কলমসমূহ উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং খাতাসমূহ (তাকদীরের লিপি) শুকিয়ে গেছে।
ঈমাম তিরমিযি র. ব্যতীত অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, আল্লাহর (অধিকারসমূহের) খিয়াল রাখ, তাহলে তাঁকে তোমার সম্মুখে পাবে। সুখের সময় আল্লাহকে চেনো, তবে তিনি দুঃখ ও কষ্টের সময় তোমাকে চিনবেন। আর জেনে রাখ যে, তোমার ব্যাপারে যা ভুলে যাওয়া হয়েছে (অর্থাৎ যে সুখ-দুঃখ তোমার তাকদীরে নেই), তা তোমার নিকট পৌঁছবে না। আর যা তোমার নিকট পৌঁছবে, তাতে ভুল হবে না। আর জেনে রাখ যে, বিজয় বা সাহায্য আছে ধৈর্যের সাথে, মুক্তির উপায় আছে কষ্টের সাথে এবং কঠিনের সঙ্গে সহজ জড়িত আছে।
[সূত্রঃ তিরমিযি ২৫১৬ (তিনি বলেছেন, হাদীসটি হাসান সহীহ), আহমদ ২৬৬৪, ২৭৫৮, ২৮০০]।
আসল কথা হলো, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম যেসব বর্ণনাতে অন্যের কাছে সাহায্য চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, সেগুলো ছিলো যাহেরী আসবাব বা বাহ্যিক উপকরণের  ক্ষেত্র।
অাসবাব হিসেবে গাইরুল্লাহর সহায়তা নেওয়া, সহায়তা চাওয়া বা কাউকে সহায়তা করা - এগুলো যেমন শিরক্ নয়, তেমনই তাওয়াক্কুল ও তাকওয়ার উঁচু মর্যাদার পরিপন্থীও নয়।
এ কাজ নববী মর্যাদার পরিপন্থীও নয়। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের কথা ও কাজ থেকে অর্থাৎ কওলী (বাচনিক) হাদিস ও ফেলী (ব্যবহারিক) হাদিস থেকে এ ধরনের সহায়তা চাওয়ার ভুরি ভুরি উদাহরণ দেওয়া যাবে। অন্য আম্বিয়ায়ে ক্বিরাম আ. থেকেও এ ধরনের কাজ প্রমাণিত।
এর বিপরীতে যেসব আয়াত ও হাদিসে গাইরুল্লাহর কাছ থেকে সহায়তা চাইতে নিষেধ এসেছে, সেখানে উদ্দেশ্য হলো, গাইরুল্লাহকে সার্বভৌম, একচ্ছত্র ও স্বতন্ত্র ক্ষমতাবান মনে করে তার কাছ থেকে সহায়তা চাওয়া যাবে না। উভয়ের ক্ষেত্র যেহেতু ভিন্ন, কাজেই নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লামের এই ফরমানের ওপর যেমন আপত্তি তোলার সুযোগ নেই, তদ্রুপ সাইয়্যেদুনা ইউসুফ আ. কর্তৃক জনৈক কয়েদীর কাছে 'তোমার মনিবের কাছে আমার কথা তুলবে' বলে গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়ার এই অনুরোধ তথা উসিলা ধরার ওপরও আপত্তি তোলার সুযোগ নেই।

কেননা, মহান আল্লাহ্ পাক তাঁর খাস বান্দাদের ব্যাপারে ইরশাদ করেন,

إِنَّ عِبَادِي لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطَانٌ وَكَفَى بِرَبِّكَ وَكِيلًا

নিশ্চয় আমার বান্দাদের উপর তোমার (হে শায়ত্বন তোমার) কোন ক্ষমতা নেই। কর্মবিধায়ক হিসেবে তোমার (হে আমার বান্দা তোমার) রব (আল্লাহ্)-ই যথেষ্ট।
সুরা বনী ইসরাইল, আয়াত ৬৫।

অন্যত্র তিনি ইরশাদ করেন,

إِنَّهُ لَيْسَ لَهُ سُلْطَانٌ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُون

َনিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং তাদের রবের উপর তাওয়াক্কুল করেছে, তাদের উপর শয়তানের ক্ষমতা নেই।
সুরা নাহল, ১৬/৯৯।
হযরত ইউসুফ আ. একজন জলিলুল কদর (পরম সম্মানিত) নবী। শায়ত্বন কিভাবে তাঁর ওপর এমন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা  করতে পারবে যে, এর কারণে তিনি গাইরুল্লাহর কাছে সাহায্য চেয়ে বসবেন?
এখন নবীর যে কাজ দোষণীয় নয়, সেটাকে দোষণীয় বলা, সে কাজের ওপর আপত্তি তোলা এবং নবীর শানে অবমাননাকর মন্তব্য করা - এগুলো খুবই মারাত্মক অপরাধ। কেউ এ কাজ করলে তাকে অবশ্যই তিরস্কার করতে হবে, শক্ত ভাষায় সতর্ক করতে হবে। মহান আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে এ ধরনের কাজ থেকে নিরাপদ রাখুন, আমীন।

▆ প্রসঙ্গ- রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) এঁর "উসিলা বা তাওয়াস্সুল"
______
নোটঃ ০১.
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1794725324176238
নোটঃ ০২.
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1892038621111574
নোটঃ ০৩.
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1892045067777596
_________

 
Top