*_দ্বঈফ হাদিসের উপর আমল করা মুস্তাহাব_*

হাদিসের সনদের প্রকারভেদ "সহীহ্, হাসান ও দ্বয়ীফ" এ পার্থক্যসমূহ পরবর্তীকালে সীরত্বল মুস্তাকিমে অধিষ্ঠিত হাদিসের ইমামগণ নির্ধারন করে গেছেন।
ঐ সকল মুহাদ্দিসগনের সকলেই ৪ মাযহাবের কোন না কোনটির অনুসারী ছিলেন।
তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে ১৪০০ বছর ধরে ক্বুরআ'ন ও হাদিসের ইলম চর্চা বর্তমান।

ফিত্না সৃষ্টির জন্য বৃটিশ উপনিবেশে অর্থলোভে বিক্রয় হওয়া কতিপয় ব্যক্তির দ্বারা বৃটিশদের প্রতিষ্ঠিত তদানিন্তন  ফিরকায়ে আহলে হাদিস জন্মলাভ করে।

তাদের প্রেরনায় মদদপুষ্ট অনেকের মধ্যে পরবর্তীকালের একজন আলবেনিয়ার নাসিরুদ্দিন।
তথাকথিত লা মাযহাবী মাযহাবের নাসিরুদ্দিন আলবানী (১৯১৪-১৯৯৯খ্রী.), যে কিনা হাদিসের ইমামগণের নিরবিচ্ছিন্ন সুহবাতের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত ও কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক (Academic) হাদিস বর্ননার সনদ তার নেই, এই যুবক মুহাদ্দিসদের প্রসিদ্ধ বিভিন্ন কিতাবে হস্তক্ষেপ করে।

সে মূলত: ছিলো ঘড়ি রিপেয়ারার এবং একজন কার্পেন্টার।
আরবী ভাষাভাষী হওয়ায় এবং Primary শিক্ষা থাকায় সে গ্রন্থাগারে অনেক অধ্যয়ণ করেছে।
সেই সুবাদে সে নিজে নিজে হাদিসের ইলম চর্চা করেছে এবং যা বুঝে এসেছে তাই বুঝেছে। সে আলোকেই মনগড়া মতামত দিয়েছে।

বাস্তবিকপক্ষে মওদ্বু বা বানোয়াট না হওয়া পর্যন্ত সকল হাদিসই রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله وسلم) এঁর সাথে সম্পর্কিত; এবং অলঙ্ঘনীয় হাদিস।
কোন হাদিসকে কোন অযোগ্য ব্যক্তি মওদ্বু বা বানোয়াট মতামত পেশ করার অর্থ হচ্ছে রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله وسلم) এঁর প্রতি মিথ্যারোপ করা।

আর রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله وسلم) এঁর প্রতি মিথ্যারোপ করা হচ্ছে জাহান্নামের নিশ্চিত বাসিন্দা হওয়া।

(অযোগ্য আলবানী) তাঁর রচিত বাংলা ভাষায় অনুবাদ করে প্রকাশিত একটি বই ”সহীহ হাদিসের পরিচয় ও হাদিস বর্ণনার মুলনীতি” এর ২৩, ২৫, ২৭ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, "দ্বঈফ সনদের হাদিসের উপর ভিত্তি করে কোন ক্রমেই 'আমল করা যাবে না"।

নাউযুবিল্লাহ!

জবাবঃ
অথচ প্রায় ১৫০০ বছর ধরে যুগের সেরা সেরা যোগ্য মুহাদ্দিসিনে ক্বিরাম র.-র মতামত দেখুন :

দলীল নং-১
দ্বঈফ হাদিস আমলযোগ্য তার ব্যাপারে হানাফী মাযহাবের অন্যতম ইমাম কামালুদ্দীন ইবনে হুমাম (রহঃ) বলেন,
``হাকিম (রহঃ) স্বীয় কিতাবে (মুস্তাদরাক) হুযুর সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন, "যদি তোমাদের অন্তর চায় যে, তোমাদের নামায কবুল করা হোক, তবে তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তিই যেন ইমাম হন। আলোচ্য হাদিস সহীহ হলে তো ভাল, অন্যথায় হাদিসটি দ্বঈফ, বানোয়াট নয়। আর দ্বঈফ হাদিস অনুযায়ী আমল করা যাবে, আমল বা ফযীলত প্রমাণের ক্ষেত্রে এমন হাদিস অবশ্যই দলীল"।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* ফতহুল কাদীর; ১ /৩৪৯পৃ., ইমামত অধ্যায়, দারুল ফিকর ইসলামিয়্যাহ, বৈরুত, লেবানন।

দলীল নং:২
আল্লামা মুফতি আমীমুল ইহসান বারাকাতী (রহঃ) বলেন,
” দুর্বল হাদিস যদি কাল্পনিক না হয় যদিও তা একক রাবী কর্তৃক বর্ণিত হয়ে থাকে, তবুও ফযীলতের বেলায় তার উপর আমল করা মুস্তাহাব। তবে শরীয়তের বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে এ হাদিস কার্যকর হবে না। হ্যাঁ, তবে সতর্কতার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জোর প্রকাশের জন্য দুর্বল হাদিসকেও দলীল হিসেবে পেশ করা যেতে পারে।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* মিযানুল আখবার; পৃ., ১৫।

দলীল নং-৩
ইমাম আবু হানিফার মত সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে,
”ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) এ মত দৃঢ়ভাবে পোষণ করেছেন যে, দুর্বল হাদিস কিয়াসী রায় অর্থাৎ- নিজস্ব মতামত থেকে অনেক উত্তম।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* মুফতি আমিমুল ইহসান, মিযানুল আখবার; ১৫পৃ.।
*_* ইবনে হাজর মক্কী, আল খয়রাতুল হিসান; ২৭পৃ., মিশর থেকে প্রকাশিত।

দলীল নং-৪
বিশ্ববিখ্যাত ফতোয়াবিদ এবং মোহাদ্দেস ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (রহঃ) ফতোয়ায়ে শামীর মধ্যে লিখেন,
“আরিফকুল সম্রাট ইমাম শারানী (রহঃ), নিশ্চয় চার মাযহাবের ইমামগণ বলেছেন সহীহ হাদিস হল আমাদের মাযহাব। কিন্তু ফাযায়েলে আমলের জন্য দ্বঈফ বা দুর্বল হাদিস আমল করা জায়েজ। যা আমি কিতাবুত ত্বাহরাত অধ্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি"।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* ফতোয়ায়ে শামী; ১/৩৮৫পৃ., কিতাবুল আযান, দারুল ফিকর, ইসলামিয়্যাহ, বৈরুত, লেবানন।

দলীল নং-৫
বিশ্ববিখ্যাত মোহাদ্দেস আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (রহঃ) উমদাতুল ক্বারী শরহে বুখারীর মুকাদ্দামায় দ্বঈফ হাদিসের বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
“ওলামায়ে কেরামের নিকট দ্বঈফ হাদিস ওয়াজ ও কাহিনীর জন্য এবং ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* উমদাতুল ক্বারী, শরহে বুখারী; ১/৯পৃ.।

দলীল নং-৬
বিশ্ববিখ্যাত মুফাসসির, মোহাদ্দেস, ফকিহ আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (রহঃ) বলেন,
” তবে মোহাদ্দেসীনে কিরাম এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, আকর্ষণ সৃষ্টি ও ভীতি সঞ্চারের বেলায় দ্বঈফ হাদিস অনুযায়ী আমল করা জায়েজ।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* তাফসিরে রহুল বয়ান; ২/৪১০পৃ.।
তিনি কিতাবের অন্যস্থানে বলেন,
” এই অধম আরজ করছি যে, ওলামায়ে কেরাম থেকে আমলের ব্যাপারে দ্বঈফ হাদিস গ্রহণযোগ্য। ব্যাপারটি বিশুদ্ধ সুত্রে বর্ণিত আছে"।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* রুহুল বয়ান; ৭/২২৯পৃ.।

দলীল নং-৭
আল্লামা ইমাম নববী (রহঃ) বলেন,
"ওলামায়ে কেরাম এই বিষয়ে সবাই ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে দুর্বল হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য"।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* ইমাম নববী, আরবাঈন; ১/৪২পৃ.।

দলীল নং-৮
আল্লামা ইমাম সৈয়ুতি (রহঃ) বলেন,
"মোহাদ্দেস ও অন্যান্য ওলামাদের বক্তব্য হল দুর্বল সনদ সম্পর্কে অথবা কিছু ছাড় দেওয়া এভাবে যে মওদ্বু বা বানোয়াট না হয়, তা ফাযায়েল আমল এবং অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে আমল করা বৈধ আছে। যদি তা আহকাম ও আকায়েদের সাথে সম্পর্ক না হয়, যে ইমামগণ এ মত পোষণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল, ইমাম ইবনে মাহদী, ইমাম ইবনুল মোবারক সংযুক্ত আছেন। তাঁরা বলেন যে, আমরা হালাল হারামের মধ্যে হাদিস বর্ণনা করতে গিয়ে কঠিনতা অবলম্বন করেছি এবং ফাযায়েল বর্ণনার ক্ষেত্রে নম্রতা অবলম্বন করেছি"।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* ইমাম সৈয়ুতি, তাদরীবুর রাবী; ১/৩৫১পৃ.।

দলীল নং-৯
আল্লামা ইমাম নববী (রহঃ) বলেন,
"মোহাদ্দেসীনে কেরাম ও ফুকাহায়ে কেরাম এবং অন্যান্য ওলামায়ে কেরাম বলেছেন ফাযায়েল বা উৎসাহিত করা ও ভয়ভীতি প্রমাণ বা গ্রহণ করা হাদিসে দ্বঈফ দ্বারা জায়েজ আছে যদি তা জাল বর্ণনা বা জাল হাদিস না হয়"।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* ইমাম নববী, কিতাবুল আযকার; ১/৮পৃ., দারুল ফিকর, ইলমিয়্যাহ, বৈরুত লেবানন।

দলীল নং-১০
আল্লামা ইমাম বোরহান উদ্দীন হালবী(রহঃ) বলেনঃ
"গোসল বা ওজুর পরে রুমাল দ্বারা শরীর মুছা মুস্তাহাব। আম্মা হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) বর্ণনা করেন, হুজুর রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله وسلم) এর একটি কাপড়ের টুকরা ছিল যা দ্বারা ওজুর পরে অঙ্গ মোবারক মাসেহ করতেন। উক্ত হাদিস ইমাম তিরমিযি দুর্বল বলেছেন। এরপরেও উহার আমল বিদ্যমান আছে"।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* ইমাম হালবী, গুনিয়াতুল মুসল্লি; ৫২পৃ.।

দলীল নং-১১
আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (রহঃ) বলেন,
"দ্বঈফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের মধ্যে আমল করার ব্যাপারে ইমামগণের ঐক্যমত হইয়াছে। এই জন্য আমাদের ইমামগণ বলেছেন গর্দান মাসেহ করা মুস্তাহাব অথবা সুন্নাত প্রমাণিত হয়েছে"।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* মোল্লা আলী ক্বারী, মওজু আতুল কবীর; ১/৩১৫ পৃ.।

দলীল নং-১২
তিনি অন্যস্থানে বলেন,
“দ্বঈফ সনদের হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।”
গ্রন্থ সূত্র :
*_* মোল্লা আলী ক্বারী, মেরকাত শারহে মিশকাত; ২/২০৬পৃ., হাদিস ৫২১।

দলীল নং-১৩
তিনি অন্যত্র বলেন,
“নিশ্চয় জেনে রাখুন! দুর্বল সনদের হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।”
গ্রন্থ সূত্র :
*_* মোল্লা আলী ক্বারী, মেরকাত শারহে মিশকাত ৩/৪৯, কিতাবুস সালাত, হাদিস ৯৭৪।

দলীল নং-১৪
আল্লামা শায়খ আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলভী (রহঃ) বলেন,
“দ্বঈফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য, তা ব্যতিত অন্য বিষয়ের জন্য নয়। এই কথার মর্ম হচ্ছে তার বর্ণনা যদি একক হয়, একাধিক সনদে বর্ণিত যে হাদিস তা হাসানের অন্তর্ভুক্ত, তা তখন দ্বঈফের অন্তর্ভুক্ত নয়।”
দেখুন, দ্বয়ীফ হাদিসের সনদ (chain) একাধিক হলে হাদিসে হাসান হয়ে যায়।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলভী, মুকাদ্দামাতুশ শায়খ; ২৩পৃ.।

দলীল নং-১৫
মোল্লা আলী ক্বারী (রহঃ) আরও বলেন,
” ইমাম ইবনে হাজর মক্কী (রহঃ) বলেন, নিশ্চয় দ্বঈফ সনদের হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।”
গ্রন্থ সূত্র :
*_* মেরকাত; ৪/১৬৩৭পৃ.।

দলীল নং-১৬
তিনি এ কিতাবে আরও বলেন,
"ফাযায়েলে আমলের জন্য দ্বঈফ সনদের হাদিসই যথেষ্ট"।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* মেরকাত, ৭/৩০৫৭পৃ., হাদিস ৪৮৭৭৭।

দলীল নং-১৭
আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (রহঃ) বলেন,
“দ্বঈফ সনদের উপর আমলের ব্যাপারে জমহুর মোহাদ্দেসগণ বলেছেন যে, দ্বঈফ হাদিস ফাযায়েলে আমলের জন্য গ্রহণযোগ্য।”
গ্রন্থ সূত্র :
*_* তাফসিরে রহুল বয়ান, ৪/৪৩৭পৃ., সুরা ইব্রাহিম, আয়াত ২৭।

দলীল নং-১৮
ইবনে তাইমিয়া ও ইবনুল কাইয়্যিম এর অসংখ্য কিতাব রয়েছে যেগুলোতে অসংখ্য যয়ীফ হাদীস আছে।

আব্দুল ওহাব নজদীর প্রকাশ ওহাবীর কিতাবেও যয়ীফ হাদীস আছে।

যয়ীফ হাদিসের হুকুম সম্পর্কে হাদিসের প্রাচীন ইমামগণ জানতেন বলে তাঁরা ফাজায়েলে আ'মালের ক্ষেত্রে যয়ীফ হাদিস সংকলন করতেন।

আব্দুল ওহাব নজদীর "কিতাবুত তাওহীদ"-এ যে সমস্ত যয়ীফ হাদীস রয়েছে, সেগুলো সঙ্কলন করে কিতাব রেব হয়েছে, "যয়ীফু কিতাবিত তাউহীদ" শিরোনামে।

ইবনে তাইমিয়া ও ইবনুল কাইয়্যিম এর কিতাবে যে সমস্ত যয়ীফ হাদীস আছে, তার সঙ্কলন করে, নাজী বিন রাশেদ আল-আরবী কিতাব লিখেছেন, التنبيهات المرضية عَلى الأحاديث الضعيفة في كتب الشيخين ابن القيم وابن تيمية।

ভূঁয়া সালাফী দাবীদারদের ইমাম আলবানী (১৯১৪-১৯৯৯ খ্রি.), ইবনে তাইমিয়া এর "আল-কালিমুত তাইয়্যিব বিশ্লেষণ করে যয়ীফুল কালিমিত তাইয়্যিব" লিখেছে।
এ কিতাবে আল-কালিমুত তাইয়্যিব বইয়ের যয়ীফ হাদীসগুলো সঙ্কলন করা হয়েছে।

মৌলভী ইলিয়াস সাহেব প্রতিষ্ঠিত ইলিয়াসী তাবলীগের প্রচারে মাসজিদে প্রাত্যহিক (daily) আবশ্যকীয় পাঠ্য "তাবলীগী নিসাব" বা পরিবর্তিত নাম "ফাজায়েলে আ'মাল" পুস্তিকাতেও
মুস্তাহাব হুকুমে যয়ীফ হাদীস সংকলন করা হয়েছে। প্রতিদিন মুস্তাহাব সাওয়াব হাসিলের বহুদ ফায়দা হওয়ার জন্য এই বই পাঠ করা হয়ে থাকে।

কাজেই বুঝা গেল, আলবানী (১৯১৪-১৯৯৯) এর অনুসৃত নীতি মেনে নিলে ১৪০০ বছর পর হাদিস ও ফিকাহ্'র চর্চা নুতন করে রুপ পরিগ্রহ করবে।

পূর্ববর্তীদের খিদমাত ও তাঁদের অনূসরনে সকল যুগের মুসলিমগনের আ'মাল ভূল প্রমানিত হয়ে যাবে। সকলে বেদ্বীন ছিলো তা সাব্যস্থ হবে।
নাউযুবিল্লাহ্!

 
Top