সুরা কাহাফের ১১০ নং আয়াতের ব্যাখ্যা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">🎷সূরা আল কাহাফ🎷<br />🌹 ১১০ নং আয়াতের ব্যাখ্যা 🌹<br /><br />قل انما انا بشر مشلكم يوحي الي<br /><br />অর্থ : হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আঁপনি বলুন আঁমি তোমাদের মেছাল একজন বাশার বা মানুষ,তবে আঁমার প্রতি ওহী নাযিল হয় !”<br />[সূরা কাহাফ,আয়াত নং ১১০]<br /><br />😍😍 ব্যাখ্যা-বিশ্লেষন😍😍<br /><br />*(ক.) এখানে আরবী শব্দ بَشَرٌ (বাশার) দ্বারা তারা শুধুমাত্র মানুষ বুঝাতে চায়। অথচ সূরা মরিয়মের ১৭ নং আয়াতে بَشَرً (বাশার) দ্বারা ফেরেস্তাকে বুঝানো হয়েছে।আপনারাই দেখুন সূরা মরিয়মে কি বলা হয়েছে<br /><br />فَاتَّخَذَتْ مِن دُونِهِمْ حِجَابًا فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهَا رُوحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا<br /><br />অর্থঃ আঁমি আঁমার রুহ (হযরত জিব্রাইল আঃ) কে তাঁর (হযরত মরিয়ম) প্রতি প্রেরণ করেছি, অতঃপর সে (জিব্রাঈল আঃ) তাঁর সামনে একজন পূনাঙ্গ সুঠোম \”বাশার\” বা মানুষ এর আকৃতিতে আত্ম প্রকাশ করেছেন।<br /><br />✌তাহলে এখন কি বলা যাবে ফেরেস্তারা (হযরত জীব্রাইল আলাইহিস সালাম) আমাদের মত মানুষ? কখনও নয়।সুতরাং, এর দ্বারা বুঝা গেল بَشَرٌ (বাশার) শব্দ দ্বারা মানুষ বুঝায় না বরং মনুষ্য আকৃতি বুঝায়।<br /><br />✌তার সপক্ষে আরেকখানা আয়াত লক্ষ্য করুন:<br />وَلَوْ جَعَلْنَاهُ مَلَكًا لَجَعَلْنَاهُ رَجُلًا وَلَلَبَسْنَا عَلَيْهِمْ مَا يَلْبِسُونَ<br /><br />অর্থঃ যদি আঁমি কোন ফেরেশতাকে রসূল করে পাঠাতাম,তবে সে মানুষের আকারেই হত।এতেও ঐ সন্দেহই করত, যা এখন করছে।<br />[সূরা আল আনআম,আয়াত নং ৯]<br /><br />*(খ.) بشر مثلكم শব্দটা উল্লেখ করা হয়েছে। উক্ত ” মেছাল” শব্দটা দৃষ্টান্তের জন্য ব্যাবহার হয়। এ প্রসঙ্গে আক্বায়িদের কিতাবে উল্লেখ আছে:<br /><br />الرسول انسان بعثه الله تعالي الي الخلق لتبليغ الاحكام<br />অর্থ: শরীয়তের পরিভাষায় রাসূল এমন একজন বাশার কে বলা হয়, যাকে আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির জন্য পাঠিয়েছেন !”<br />[শরহে আক্বাইদে নসফী ]<br /><br />*(খ) প্রকৃতপক্ষে হাক্বীক্বী অর্থ করলে হয় “হে আঁমার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আঁপনি ওই মুশরিকদের বলে দিন যে,আঁমি তোমাদের মেছাল (ছূরতান) একজন মানুষ,(হাক্বীক্বতান আঁমি শ্রেষ্ঠতম রাসূল) আঁমার নিকট ওহী মুবারক এসে থাকে।<br /><br />*(গ)কুল- বলুন, ইন্না-নিশ্চয়ই,মা -(কি,না), আনা বাশারুম- আঁমি বাশার(মানুষ),মিস্ লুকুম-তোমাদের মতো, ইউহা – ওহি করা হয়, ইলাইয়া-আঁমার দিকে, আন্নামা-যে, ইলাইকুম-তোমাদের ইলাহা, ইলাহুন-ইলাহা, ওয়াহিদুন -এক।<br /><br />সম্পৃর্ণ অর্থ দাঁড়ায়- বলুন,নিশ্চয়ই আঁমি কি বাশার(মানুষ) তোমাদের মতো ? আঁমার দিকে ওহি করা হয় যে তোমাদের ইলাহাই একই ইলাহা।আদম সন্তান যে উপাদানে সৃষ্টি , তিঁনি ও সে উপাদানে সৃষ্টি এরকম কথা এখানে বলা হয়নি।<br /><br />প্রথম অংশ- নিশ্চয়ই আঁমি কি বাশার(মানুষ) তোমাদের মতো ? যেহেতু বাক্যংশটুকু “হ্যাঁবোধক” তাই এর অর্থ হবে “নাবোধক”অর্থাৎ এ অংশই বলে দিচ্ছে তিঁনি আমাদের মতো নন ।<br /><br />এর পরের অংশে বলা হচ্ছে- আঁমার দিকে ওহি করা হয় বা আঁমার উপর ওহী অবতীর্ণ হয়। এ অংশই বলে দিচ্ছে রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এঁর কাছে ওহি আসত।<br /><br />*(ঘ)এখানে কুল -আমরে হাজর ওয়াহেদ ,ইন্নামা হা যা কালিমায়ে হসর । এখানে কালিমায়ে হসর এসেছে একমাত্র অর্থ দেওয়ার জন্য। “কুল ইন্নামা” এর অর্থ হে নবী দরূদ ও সালাম একমাত্র আঁপনার জবানে আপনি বলুন ,আনা -আমি , বাশারুম-মানে জিন্দুন।<br /><br />জিন্দুন মানে চামড়া/নমুনা/সুরুত অর্থাৎ আমি নকশায় নমুনায় দেখতে, উপরের কভারের দিক দিয়ে, মিছলুকুম -তোমাদের মতই মানুষ ।<br /><br />এখানে কথাটি শুধু রাসুলের ক্ষেত্রে খাছ।দুনিয়ার অন্য কারোও জবানে একথা বলা নিষিদ্ধ।কোন কারনে, কাদের উদ্দেশ্য নাযিল করা হল।আবার এখানে একদিকে “বাশার” শব্দ,আরেক দিকে “ওহী “শব্দ কেন লাগানো হল? তা বুঝতে হবে।<br /><br />*(ঙ)হে নবী আঁপনি বলুন! আঁমি তোমাদের মত।উক্ত আয়াতে আল্লাহ রাসূল(দঃ) কে জনসম্মুখে বাশার বলার উদ্দেশ্য হল বিনম্রতা প্রকাশ করার জন্য।যেমনঃ কোন রাজা তার প্রজাদের উদ্দেশ্য যদি বলেন “আমি তো আপনাদের গোলাম,আপনাদের খেদমতে নিয়োজিত রয়েছি।” তাহলে এখন প্রজারা যদি রাজাকে গোলাম বলে ডাকে, তাহলে অবস্থা কি দাঁড়াব? একবার ভাবুন।<br />[তাফসীরে কবির,৫ম খণ্ড,৫১৬পৃঃ]<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://1.bp.blogspot.com/-8kkCrpDlXb0/XX0fs38c_GI/AAAAAAAAHog/IhAQVLKi4SwJ-m7VEt7eLbpQtiYQs8IBACLcBGAsYHQ/s1600/eiBRCZV81093.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="684" data-original-width="1034" height="211" src="https://1.bp.blogspot.com/-8kkCrpDlXb0/XX0fs38c_GI/AAAAAAAAHog/IhAQVLKi4SwJ-m7VEt7eLbpQtiYQs8IBACLcBGAsYHQ/s320/eiBRCZV81093.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />👏বিশ্ববিখ্যাত তাফসির রুহুল বয়ান ও জালালাইন শরীফ এ আর ও বলা হয়েছে,”আল্লাহ নিঁজে এই কথা বলে রাসুল কে উদারতা শিক্ষা দিয়েছেন।<br /><br />*(চ)এটি আয়াতে মুতাশাবিহাত!?!আল্লামা আব্দুল হক মোহাদ্দিস দেহলভী (রহঃ) বলেন<br />قل انماانابشرمثلكم<br />“কুল ইন্নামা আনা…….. ” এরকম যত আয়াত আছে এগুলো হল মুতাশাবিহাত।<br />[মাদারেজুন নবুয়্যত,১ম খণ্ড,অধ্যায়, ওয়াচলে ইজলাতুস শুবাহাত]<br /><br />*(ছ).আল্লামা জালালউদ্দীন সূয়তী (রহঃ) বলেন “আল কোরআনে যে সমস্ত আয়াতেمثلكم শব্দটি এসেছে, এইগুলি আয়াতে মুতাসাবিহাতের আওতাভুক্ত।মুতাসাবিহাত এর অর্থ আল্লাহ এবং রাসুল ছাড়া কেও জানেনা,তাই সর্বসম্মতিক্রমে এই আয়াত দ্বারা কোনো দলিল হতে পারেনা।<br /><br />[আল ইতকান ফি উলুমিল কুরআন,২য় খণ্ড,৩ পৃঃ]<br /><br />*(জ)আয়াতে মুতাশাবিহাতের ব্যপারে কোরআনের সতর্কবানী দেখুনঃ তিঁনি আঁপনার প্রতি এই কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছেন যাহার কিছু আয়াত “মুহকাম”এই গুলো কিতাবের মূল; আর অন্যগুলো “মুতাশাবিহ্” যাহাদের অন্তরে সত্য লংঘন করার প্রবনতা রয়েছে,শুধু তাহারাই ফিতনা ও ভুল ব্যখ্যার উদ্দেশ্য মুতাশাবিহাতের অনুসরন করে।<br /><br />*আল্লাহ ব্যতীত ইহার ব্যখ্যা অন্য কেহ জানে না।আর যাহারা জ্ঞানে সুগভীর তাহারা বলে” আমরা ইহা বিশ্বাস করি,সমস্তই আমাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে আগত; এবং বোধশক্তি সম্পূর্নরা ব্যতীত অপর কেহ ইহার শিক্ষা গ্রহন করে না।”<br /><br />[সূরা আল ইমরান,আয়াত নং ৭, তাফসীরে ইবনে কাসীর]<br />সুতরাং কুল ইন্নামা আনা……..কোন দলিল গ্রহন করা যাবে না।<br /><br />*(ঝ.) মাওলানা জালালউদ্দিন রুমী মসনবী শরীফে বলেন- কাফিররাই হজরত মুহাম্মদ (ﷺ) কে বশর বলেছিল, কিন্তু তারা দেখে না যে,তিঁনি চন্দ্র কে দিখন্ডিত করেছিলেন,তারা বলেছিল “আমরা যেমন বশর নবীও আমাদের মত বশর” যেমন-ঘুমাই,পানাহার করে,তারা অজ্ঞাত ছিল যে,আমাদের এবং নবীদের মধ্য বেশুরম পার্তক্য রয়েছে।<br /><br />✌মূল কথা হল: ঈসা(আ:) এঁর কিছু মোজেযা ছিল কিন্তু তাই দেখে উঁনাকে ইশ্বরের পুত্র বলা শুরু করল সবাই।রাসূল (ﷺ) কে যেন এমনকিছু না মনে করেন সেজন্য কিছু হাদিসে নবী এবং মানুষ এর বেশি না ভাবার জন্য সতর্কও করেছেন।এর মানে এটাই সীমার বাইরে গিয়ে কেউ যেন কুফরি না করেন।রাসূল (ﷺ) এঁর<br />সারাটা জিন্দেগি ছিল অসীম মোজেযার সাগর তাই দেখে কাফিররা ফতোয়া দিল জাদুকর, রহমতের নবীকে সাধারন মানুষ ভয় পেয়ে দূরে সরতে থাকে তখন সেই পরিস্থিতিতে আল্লাহ কি ওঁনাকে শিখিয়ে দিয়ে এই আয়াত নাযিল করলেন যে: বলুন ”হে রাসূল ! আঁমিও তোমাদের মত মানুষ “।কেননা এই কথার দ্বারা রাসূলের বিনম্রতা তথা উদারতা প্রকাশ পেয়েছে।তার মানে এই নয় যে,তিঁনি আমাদের মত।(নাউযুবিল্লাহ)। কারন তিঁনি বেমেসাল মাখলুক।<br /><br />*(ঞ.) এবার কোরআন শরীফের দুটি ভিন্ন আয়াতে কি বলা হয়েছে দেখুন:<br />ينساء النبى لستن كاحد من النساء<br /><br />অর্থ: হে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঁনার আহলিয়া আলাইহিন্নাস সালাম! অর্থাৎ উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম আঁপনারা অন্য কোন মহিলাদের মতো নন।<br />[সূরা আহযাব,আয়াত নং ৩২]<br /><br />✌এখানে রাসূল (ﷺ) এঁর স্ত্রীগনকে সরাসরি বলা হয়েছে” আঁপনারা জগতের অন্য কোন মহিলার মত নন।”সেখানে উম্মতের কাণ্ডারী, রাহমাতুল্লীল আলামীন নবীজি কি করে আমাদের মত হন?? কেনই বা উঁনার সাথে তুলুনা হবে??<br /><br />👏আবার ও লক্ষ্য করুনঃ<br /><br />من اتخذ الهه هواه واضله الله على علم وختم على سمعه وقلبه وجعل على بصره غشاوة<br /><br />অর্থ: “যে ব্যক্তি তার খেয়াল-খুশিকে স্বীয় উপাস্য স্থির করে নেয়, মহান আল্লাহ পাক তিঁনি জেনে শুনেই তাকে পথভ্রষ্ট করেন,তার কান ও অন্তরে মোহর মেরে দেন এবং তার চোখের উপর আবরণ বা পর্দা রেখে দেন।”<br /><br />[সূরা আল-জাসিয়াহ,আয়াত নং ২৩]<br /><br />কেননা<br />يوحى الى<br />অর্থাৎ “আঁমার নিকট ওহী মুবারক এসে থাকে” এ বাক্যটি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঁনাকে অন্য মানুষ থেকে আলাদা করে দিয়েছে। কেননা অন্য মানুষের নিকট ওহী মুবারক আসে না।<br /><br />👌এখন জেনে শুনে, ইচ্ছা করে যদি কেউ রাসূলকে আমাদের মত মানুষকে রাসূলের সাথে তুলনা করে,তাহলে তার পরিনতি কি হবে? যা আল্লাহ তায়ালা তা সূরা জাসিয়াহর ২৩ নং আয়াতে বলে দিয়েছেন।<br /><br />🌹কোরআন শরীফে এমন অনেক আয়াত রয়েছে যেখানে আল্লাহ নবী রাসূলগনকে প্রেরন করেছেন পাঠিয়েছেন, হিদায়াতকারী,পথ-প্রদর্শক রূপে ইত্যাদি। রাসূলের বেলায় আল্লাহ কত সুন্দর উপমা ব্যবহার করে আয়াতে কারীমা নাযিল করলেন।যেমনঃ ইয়াসীন(ﷺ)<br />আর আমাদের বেলায় কি তা হয়েছে? না হয় নি।আবার রাসূলকে স্বয়ং আল্লাহ কোরআন শিক্ষা দিয়েছেন।এ কথা কেন আল্লাহ প্রকাশ করলেন? এটাতো গোপন থাকলে ও হতো। এটার হাকিকত হল “ওহে জগতবাসী! আঁমার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আঁমি আল্লাহ স্বয়ং কোরআন শিক্ষা দিয়েছি অর্থাৎ এলেম শিক্ষা দিয়েছি মানে হল আমার হাবিবের শিক্ষক স্বয়ং আঁমি আল্লাহ”।<br />[সূরা আর-রাহমান,আয়াত নং ২]<br /><br />👏এখন আমাদের ক্ষেত্রে কি তা সম্ভব? কখনো তা সম্ভব নয়।আর আমাদের বেলায় এরকম একটি উদাহরন দেখান।আল্লাহর নামে শপথ করে বলতেছি; যদি দেখাতে পারেন তাহলে সরাসরি ঘোষনা দিয়ে মেনে নিব।<br />😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍😍<br />মূলত:নবী রাসূল আলাহিমুস সালাম উঁনাদেরকে নিজেদের মত মানুষ বলাটা কাফের-মুশরিকদের রীতি।<br />♠♠♠♠লক্ষ্য করুন♠♠♠♠<br /><br />**১. হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উঁনার ক্বওম এবং আদ ও ছামূদ গোত্রের লোকেরা হযরত নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের শানে বেয়াদবী করে বলেছিলো-<br />ان انتم الا بشر مثلنا<br />অর্থাৎ আঁপনারা তো আমাদের মতোই বাশার (মানুষ)।<br />[সূরা ইব্রাহীম,আয়াত নং ১০]<br /><br />**২. হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উঁনার জাতির সর্দারেরা উঁনার রিসালাতকে অস্বীকার করে নিজেদের অনুসারীদের বলতো,<br /><br />فقال الملؤا الذين كفروا من قومه ماهذا الابشر مثلكم<br />অর্থ : তাঁর জাতির সর্দারেরা তাদের অনুসারীদের বলল,”এ লোকটি তোমাদের মতই একজন মানুষ ছাড়া আর কিছু নয় !”<br />[ সূরা মু’মিনুন,আয়াত নং ২৪]<br /><br />**৩. হযরত হূদ আলাইহিস সালাম উঁনার সম্পর্কে কাফিরেরা বলেছিলো-<br />ما هذا الا بشر مثلكم ياكل مما تاكلون منه ويشرب مما تشربون<br /><br />অর্থাৎ এই লোকটি তিঁনি তো আমাদের মতোই একজন মানুষ। তোমরা যা আহার করো, তিঁনিও তা আহার করেন এবং তোমরা যা পান করো তিঁনিও তা পান করেন।<br />[সূরা মু’মিনূন,আয়াত নং ৩৩]<br /><br />✌পরের আয়াতেই সাধারণ মানুষের আনুগত্য করলে ধবংস হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে!<br /><br />ﻭَﻟَﺌِﻦْ ﺃَﻃَﻌْﺘُﻢ ﺑَﺸَﺮًﺍ ﻣِﺜْﻠَﻜُﻢْ ﺇِﻧَّﻜُﻢْ ﺇِﺫًﺍ ﻟَّﺨَﺎﺳِﺮُﻭﻥَ<br />অর্থঃ যদি তোমরা তোমাদের মতই একজন মানুষের আনুগত্য কর,তবে তোমরা নিশ্চিতরূপেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।<br />[সূরা আল মুমিনূন,আয়াত নং ৩৪]<br /><br />**৪. ফিরআউনের লোকেরা হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও হযরত হারূন আলাইহিস সালাম উঁনাদের ব্যাপারে বলেছিলো<br />انؤمن لبشرين مثلنا<br />অর্থাৎ আমরা কি আমাদের মতোই দু’জন বাশার তথা মানুষ উঁনাদের উপর ঈমান আনবো।<br />[সূরা মু’মিনূন,আয়াত নং ৪৭]<br /><br />**৫. কাফির সর্দাররা হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উঁনাকে বলেছিলো<br />ما نراك الا بشرا مثلنا<br />অর্থাৎ আমরা তো আঁপনাকে আমাদের মতোই (বাশার) মানুষ দেখতে পাচ্ছি।<br />[সূরা হুদ,আয়াত নং ২৭]<br /><br />**৬. সামুদ জাতির লোকেরা হযরত সালেহ আলাইহিস সালাম সম্পর্কে বলেছিলো —<br />قالوا انما انت من المسحرين ما انت الا بشر مثلنا<br />অর্থ : তোমাকে যাদু করা হয়েছে। তুঁমি আমাদের মত মানুষ ছাড়া আর কি ?<br />[সূরা আস শুয়ারা,আয়াত নং ১৫৩- ১৫৪ ]<br /><br />**৭. হযরত শু’আইব আলাইহিস সালাম দাওয়াত দিতে গেলে বলা হয়েছিল কাফির-মুশরিকরা বলত<br /><br />ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻧﺖَ ﺇِﻟَّﺎ ﺑَﺸَﺮٌ ﻣِّﺜْﻠُﻨَﺎ ﻭَﺇِﻥ ﻧَّﻈُﻨُّﻚَ ﻟَﻤِﻦَ ﺍﻟْﻜَﺎﺫِﺑِﻴﻦَ<br />অর্থঃ তুঁমি আমাদের মত মানুষ বৈ তো নও। আমাদের ধারণা-তুমি মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।<br />[সূরা আস-শুয়ারা,আয়াত নং ১৮৬]<br /><br />**৮. ইনতাকিয়া শহরের অধিবাসীরা ও ঈসা আলাইহিস সালাম উনার প্রতিনিধিদের বলেছিলো<br />قالوا ما انتم الا بشر مثلنا<br />অর্থ – তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ !”<br />[সূরা ইয়াসিন,আয়াত নং ১৫]<br /><br />**৯. নূরে মুজাস্সাম হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঁনার সম্পর্কে ও কাফিরেরা বলেছিলো-<br />هل هذا الا بشر مثلكم افتاتون السحر وانتم تبصرون.<br />অর্থ: “ইনি তো তোমাদের মতো ‘বাশার’ ব্যতীত কেউ নন। তা সত্ত্বেও কি তোমরা দেখে শুনে জাদুর শিকার হবে।”<br />[সূরা আম্বিয়া,আয়াত নং ৩]<br /><br />**১০. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঁনার সম্পর্কে তারা আরো বলতো-<br />مال هذا الرسول ياكل الطعام ويمشى فى الاسواق<br />অর্থ: “ইঁনি কেমন রাসূল যিঁনি খাদ্য খান এবং বাজারে যান।”<br />[সূরা ফুরকান,আয়াত নং ৭]<br /><br />**১১. মক্কার কাফির ওলীদ বিন মুগীরা সে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঁনার সম্পর্কে বলেছিলো-<br />ان هذا الا قول البشر<br />অর্থাৎ, ইহা তো মানুষের কথা ছাড়া আর কিছু নয়।<br />[সূরা মুদ্দাছ্ছির,আয়াত নং ২৫]<br /><br />**১২. অপর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে<br /><br />وَلَا تَأْكُلُوا۟ مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ ٱسْمُ ٱللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُۥ لَفِسْقٌ وَإِنَّ ٱلشَّيَٰطِينَ لَيُوحُونَ إِلَىٰٓ أَوْلِيَآئِهِمْ لِيُجَٰدِلُوكُمْ وَإِنْ أَطَعْتُمُوهُمْ إِنَّكُمْ لَمُشْرِكُونَ<br />“আর নিশ্চয় শয়তানরা তাদের বন্ধুদেরকে ওহী করে,যেন তারা তোমাদের সাথে বিবাদ করে।যদি তোমরা তাদের আনুগত্য কর, তোমরা ও মুশরেক হয়ে যাবে।”<br />[সুরা-আন আম,আয়াত নং ১২১]<br /><br />👏সুতরাং উল্লেখিত পবিত্র আয়াতে কারীমা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, হযরত নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালামগনকে নিজেদের মতো মানুষ বলা কাফিরদের অন্যতম একটি স্বভাব।<br />[এখন মানা,না মানা যার যার ব্যক্তগত ব্যপার।]<br /><br />রাসূল (ﷺ) আমাদের মত নন হাদিস শরীফের আলোকে প্রমান:<br /><br />*(ক.) হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে<br />عن ابي هريرة رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم ليكم مثلي<br />অর্থ- হযরত আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্নিত, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,তোমাদের মধ্যে আঁমার অনুরূপ কে রয়েছো ?<br />[ বুখারী শরীফ ১/২৬৩, ফতহুল বারী ৪/১৬৭ ]অর্থাৎ, তোমাদের মধ্যে কেউই আঁমার মত নয়।বা আঁমি তোমাদের কারো মত নই। তাই জনৈক কবি বলেছেন, “হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বাশার,তবে তিঁনি অন্যান্য বাশারের মত নন। যেরূপ ইয়াকুত পাথর অন্যান্য পাথরের মত নয়।”<br /><br />👏হযরত মাওলানা মুহম্মদ আব্দুল আলী লখনবী “মীর যাহিদ” কিতাবে উল্লেখ করেছেন,“আল্লাহ সুবহানু তা’আলা তাঁর হাবীব হুযূর কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে সমস্ত বিষয়েরই ইল্‌ম দান করেছেন, যা মহান আল্লাহ পাক এঁর মহান কুদরতী কলম বা কলমে আ’লার আওতায়ও আসেনি। যা লাওহে; মাহ্‌ফুজও আয়ত্ব করতে পারেনি। কস্মিনকালেও সৃষ্টির শুরু থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত তাঁর মত কেউ পয়দা হয়নি,কেউ তাঁর সমকক্ষ হবে না<br /><br />*(খ.) হাদীস শরীফে আরো বর্নিত আছে-<br />عن ابي سعيد رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم اني لست كهيتكم<br />অর্থ : হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা:) হতে বর্নিত, হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আঁমি ছুরতান বা আকৃতিগত ভাবেও তোমাদের মত নই।”<br />[বুখারী ১/২৬৩,ফতহুল বারী ৪/১৬৫]<br /><br />*(গ.) রাসূল (ﷺ) বলেন , “তোমাদের কে আছো আঁমার মত?” “আঁমি তোমাদের কারো মত না!” “তোমাদের কেহ আঁমার অনুরূপ (সাদৃশ, শামিল, এক রকম) না, আঁমি যখন রাতে ঘুমাই তখন আল্লাহ্ আঁমাকে আহার করান এবং পান করান”।<br />[ বুখারী শরীফ:৩/১৮২-৮৫,১৮৭, ১৮৮; ৯/৯০/৩৪৭,৩৪৮]<br /><br />*(ঘ.) খলীফাতুল মুসলিমীন,বাবুল ইলম ওয়াল হিকাম হযরত আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন:<br /><br />لم ارقبله و لا بعده مثله<br />অর্থ : আমি হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঁনার পূর্বে এবং পরে উঁনার মত আর কাউকে দেখিনি !”<br />[তিরমীযি শরীফ,২য় খন্ড ২০৫ পৃষ্ঠা- হাদীস নং ৩৬৩৭]<br /><br />*(ঙ.) হাদিস শরীফে বর্নিত হয়েছে<br /><br />عن عبدالله بن عمرو رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم لست كاحد منكم<br />অর্থ- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত। হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,আঁমি তোমাদের কারো মত নই !”<br />[বুখারী শরীফ- কিতাবুস সিয়াম- ১ম খন্ড ২৬৩ পৃষ্ঠা – হাদীস নং ১৮৪০<br />মুসলিম শরীফ ১৫৮৭, আবু দাউদ শরীফ/১৩৭ ]<br /><br />✌আবার এরকম বর্ননা ও রয়েছে:<br /><br />عن عبد الله بن عمر رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه و سلم اني لست مثلكم<br />অর্থ- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত। হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই আঁমি তোমাদের অনুরুপ নই।”<br />[বুখারী শরীফ – কিতাবুস সিয়াম – ১ খন্ড ২৬৩ পৃষ্ঠ, ফতহুল বারী ৪/১৬৪]<br /><br />*(চ.) হযরত ইমাম আবু হানীফা রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন:<br /><br />والله ياسين مثلك لم يكن<br />في العالمين وحق من انباك<br />অর্থ – আল্লাহ পাক উঁনার কসম ! হে ইয়াসিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম,সারা জাহানে আঁপনার কোন মেছাল নাই !”<br /><br />[কাসীদায়ে নু’মান লি ইমাম আবু হানীফা -৩৭ নং পংক্তি ]<br /><br />*(ছ.) হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঁনার সাথে তুলনাতো দূরের কথা পূর্ববর্তী ইমামগন উঁনাদের বয়োজৈষ্ঠ ইমামদের প্রসংশা করে কি বলেন দেখেন !<br />ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি ইমাম বুখারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উঁনাকে লক্ষ্য করে বলেন:<br /><br />اشهد انه ليس في الدني مثلك<br /><br />অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, পৃথিবীতে আঁপনার মেছাল বা আঁপনার মত আরেকজন নাই !<br />[মীযানুল আখবার ৪৮ পৃষ্ঠা ]<br /><br />*(জ.) সৃষ্টকুলে নবীজি (ﷺ) এঁর মত কেউ নেই<br /><br />٣١-عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، قَالَ : ” نَهَى رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الوِصَالِ ، قَالُوا : فِإِنَّكَ تُوَاصِلُ ، قَالَ : أيُّكُمْ مِثْلِي ؟ ، إِنِّي أَبِيتُ يُطْعِمُنِي رَبِّي وَيَسْقِينِ . (متفق عليه)<br />অনুবাদঃ হযরত আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন,নবী করীম (ﷺ) সওমে বেসাল (এমন রোজা যার কোন সেহরিও নেই ইফতারও নেই) রাখতে নিষেধ করেছেন।তখন কিছু সাহাবী নবী করীম (ﷺ) এঁর নিকট আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসুল صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! আঁপনি নিঁজেও তো সওমে বিসাল পালন করেন।নবী করীম صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ এরশাদ করলেন,তোমাদের মধ্যে কে আছ আঁমার মত? আঁমিতো এমন ভাবে রাত্রিযাপন করি যেন আঁমার রব আঁমাকে খাওয়ান এবং পান করান।<br />******দলিল*****<br />*১. সহিহ বোখারী,রোজা অধ্যায় ২/৬৯৩ হাঃ ১৮৬১<br />*২. সহিহ মুসলিম ২/৭৭৪ হাঃ ১১০২ *৩. সুনানে আবু দাউদ ২/৩০২ হাঃ ২৩৬০<br />*৪. সুনানে কুবরা নাসাঈ ২/২৪১ হাঃ ২৩৬৩<br />*৫. মুয়াত্তা ইমাম মালেক ১/৩০০ হাঃ ৬৬৭<br />*৬. মুসনাদে আহমদ বিন হাম্বল ২/১০২ হাঃ ৫৭৯৫<br />*৭. সহিহ ইবনে হিব্বান, ৮/৩৪১ হাঃ ৩৫৭৫<br /><br />*(ঝ.) নবীজীর সূরাত বা আকৃতির ব্যাপারে শায়খ ইসমাইল হাক্কী ‘সূরা মারিয়াম’-এর كهيعص এর ব্যাখ্যায় ইমাম কাশেফীর একটি বর্ণনা উদ্ধৃত করেছেন। তিনি বলেন,শায়খ রুকুনুদ্দীন আলাউদ্দৌলা সিমনানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ফরমান:<br /><br />حضرت رسالت را صلی الله عليه وسلم سہ صورتست يكی بشری كقوله تعالی قل انما انا بشر مثلكم (الكهف: ١١٠)دوم ملكی چناكہ فرمودست (لست كأحد ابيت عندی ربی)سيوم حقی كما قال :(لی مع الله وقت لا يسعنی فيه ملك مقرب ولا نبي مرسل)وازين وروشنتر (من رأنی فقد رأي الحق))<br />‘রাসূল পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর তিনটি সূরাত রয়েছে।<br />*(১)বাশারী বা মানবীয় সূরাত। যেমন, আল্লাহর বাণী- قل انما انا بشر مثلكم<br />[আঁপনি বলুন, (নিশ্চয় আঁমি তোমাদের ন্যায় বাহ্যিক আকৃতিতে একজন মানুষ]<br />👏এ ব্যপারে ব্যাপক আলোচনা পূর্বে করা হয়েছে*******************<br /><br />*(২) ফেরেশতার সূরাত। যেমন: আল্লাহর হাবীব নিজেই ফরমান- لست كأحد ابيت عندی ربی<br /><br />[আঁমি তোমাদের কারো মতো নই, আঁমি আঁমার রবের নিকট রাত্রি যাপন করি]<br /><br />*(৩) সূরাতে হাক্কী বা প্রকৃত সূরাত। যেমন, হাদীস শরীফে রয়েছে, নবীজী ইরশাদ করেন:<br />لی مع الله وقت لا يسعنی فيه ملك مقرب ولا نبي مرسل<br /><br />[আল্লাহর সাথে আঁমার এমন একটি বিশেষ সময় রয়েছে যাতে নৈকট্যপ্রাপ্ত কোন ফেরেশতা এবং কোন নবী-রাসূল পৌঁছতে পারেনি]।<br /><br />✌এর চেয়েও স্পষ্ট বর্ণনা হাদীসে রয়েছে যে, নবীজী বলেন- من رأنی فقد رأي الحق<br /><br />“যে আঁমাকে দেখল,সে যেন হককেই দেখল অর্থাৎ তিঁনি আল্লাহ দেখার আয়না স্বরূপ।”<br />[আল্লামা হাক্কী,রুহুল বায়ান: ৫/৩১৪<br /><br />*(ঞ.) কাশেম নানুতভী বলেন”ওহে প্রিয় হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আঁপনার প্রকৃত রূপটি তো মানব দেহের আবরনে ঢাকা পড়ে আছে।আপনাকে আঁপনার গোপনকারী প্রভু ছাড়া অন্য কেউ চিনতে পারে নি।<br />[হাফেজ এম এ জলিল(রহঃ),নূর নবী(দরুদ) -৪ পৃঃ]<br /><br />👏ইমাম ওয়াসেতী বলেন-<br /><br />أن البشرية في نبيه عارية واضافة لاحقيقة يعني فظاهره مخلوق وباطنه حق<br />‘নিশ্চয় আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর বাশারিয়াত বা মানবত্ব ক্ষণস্থায়ী এবং তা (পোষাক স্বরূপ) সম্পৃক্ত করা হয়েছে।এটা (বাশারিয়াত) তাঁর মূল নয়।অর্থাৎ বাহ্যত তিঁনি মাখলুক, আর বাতেনে তিঁনি হক তথা আল্লাহর তাজাল্লিয়াতের আয়না স্বরূপ। [আল্লামা হাক্কী, রুহুল বায়ান: ৯/২১]<br /><br />🌹আ‘লা হযরত রেজা খাঁন (রহঃ) বলেন:<br />وه بشر ہين مگر عالم علوى سے لاكھ درجہ اشرف واحسن وه انسان ہين مگر ارواح وملائكہ سے ہزار درجہ الطف وه خود فرماتے ہين لست مثلكم مين تم جيسا نہين رواه الشيخان ويروي لست لهيئتكم مين تمہارے ہيئت پر نہين ويروي ايكم مثلي تم مين كون مجھ جيساہے<br />‘তিঁনি বাশার কিন্তু আলমে উলভী থেকে লক্ষ্যগুণ শ্রেষ্ঠ এবং সৌন্দর্যমন্ডিত।তিঁনি মানবীয় দেহ রাখেন কিন্তু রূহসমূহ এবং ফেরেশতাগণ হতে হাজারগুণ সুক্ষ্ম।<br /><br />😍আ‘লা হযরত রেজা খাঁন (রহঃ) আরও বলেন:<br />جو مطلقا حضور سے بشریت کی نفی کرے وہ کافر ہے قال اللہ تعالي قل سبحان ربي هل كنت الا بشرا رسولا<br /><br />‘যে ব্যক্তি হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সাধারণভাবে বাশারীয়াতকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করবে (যে তিঁনি মানব আকৃতির ছিলেন না বা মানব নন),সে কাফের।<br /><br />আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন- قل سبحان ربي هل كنت الا بشرا رسولا অর্থাৎ আঁপনি বলুন, আঁমার রবের পবিত্রতা! আঁমি নই কিন্তু বাশার, রাসূল।<br />[সূরা বনি ইসরাইল: ৯৩।’ আ‘লা হযরত, ফতোওয়ায়ে রেজভীয়া: ৬/৬৭]<br /><br />✌তবে আমাদের মত সাধারন মানব নন,কারন তিঁনি হলেন,বেমেচাল মানব।শুধুমাত্র আল্লাহ তাঁকে মানব সূরতে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।<br /><br />👏শায়খ আবুল মাওয়াহেব শাযেলী তাঁর কবিতায় সুন্দর বলেছেন-<br /><br />محمد بشر لا كالبشر.. بل هو ياقوت بين الحجر<br />‘মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (আকৃতিতে) মানুষ হলেও অন্যান্য মানুষের মতো নন (অর্থাৎ তাঁর মানবীয় সূরত ও অন্যান্যদের থেকে স্বতন্ত্র), ইয়াকুত একটি মূল্যবান পাথর যা অন্যসব পাথরের মত নয়।’<br /><br />*(ট.) আল্লামা ইসমাইল হাক্কী হানাফী বারুসাভী সূরা ফাতহের ১০ নং আয়াত- ان الذين يبايعونك انما يبايعون الله (হে হাবীব! নিশ্চয় যারা আঁপনার নিকট বায়‘আত হয়েছে, নিঃসন্দেহে তাঁরা আল্লাহরই নিকট বায়‘আত হয়েছে)<br />এর তাফসীর করতে গিয়ে ইমাম ওয়াসেতী থেকে বর্ণনা করেন:<br /><br />قال الواسطي: أخبر الله بهذه الاية أن البشرية في نبيه عارية واضافة لاحقيقة<br /><br />‘ইমাম ওয়াসেতী বলেন, আল্লাহ পাক এ আয়াতে কারীমা দ্বারা জানিয়ে দিচ্ছেন যে,”নিশ্চয় তাঁর নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর বাশারিয়াত বা মানবত্ব ক্ষণস্থায়ী এবং তা (পোষাক স্বরূপ) সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এটা (বাশারিয়াত) তাঁর মূল নয়।”<br />[আল্লামা হাক্কী, রুহুল বায়ান: ৯/২১]<br /><br />🌹আল্লামা ইসমাইল হাক্কী হানাফী বারুসাভী সূরা ‘আনকাবুতের ৪৮ নং আয়াত এর তাফসীর করতে গিয়ে আরো বর্ণনা করেন-<br /><br />انه نور محض وليس للنور ظل وفيه اشارة الى انه افنى الوجود الكونى الظلى وهو نور متجسد فى صورة البشر<br /><br />‘নিশ্চয় নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শুধুই নূর,আর নূরের ছায়া হয় না।<br /><br />এতে এদিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, নিশ্চয় তিনি কুনী ও যিল্লীর অস্তিত্ব ফানা করে দিয়েছেন। আর তিনি মানুষের আকৃতিতে নূরের শরীর বিশিষ্ট।’<br />[আল্লামা হাক্কী, রুহুল বায়ান:৬/৪৮০]<br /><br />*(ঠ.) আ‘লা হযরত শাহ ইমাম আহমাদ রেযা খান (রহঃ) বলেন:<br /><br />اور جو يہ كہے كہ رسول الله صلى الله عليه وسلم كى صورت ظاهرى بشرى ہے حقيقت باطنى بشريت سے ارفع واعلى ہے يا كہ حضور اورون كى مثل بشر نہين وه سچے كہتاہے<br />‘আর যে এটা বলবে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এঁর বাহ্যিক সুরত বাশারী বা মানবীয় এবং বাতেনী হাকীকত হলো মানুষের চেয়ে অনেক উচ্চে-অতি উর্ধ্বে অথবা হুযুর অন্যান্যদের মত মানুষ নন,সে সত্য বলেছে।’<br />[আ‘লা হযরত,ফাতাওয়ায়ে রেজভীয়া: ৬/৬৭]<br /><br />♠পরকালেও তাঁর বাশারীয়াত মোটেই থাকবে না।যেমন শাহ্ আবদুল আযীয মুহাদ্দিছে দেহলভী সূরা দ্বোহার وللاخرة خير لك من الاولى এ আয়াতে কারীমার তাফসীরে লিখেন-<br />یعنی والبتہ ہر حالت آخر بہتر باشد ترا از معاملت اول تا آنکہ بشریت ترا اصلا وجود نماند وغلبۂ نور حق برتو علی سبیل الدوام حاصل شود<br />‘আঁপনার জন্য ইহকাল থেকে পরকাল উত্তম। এমনকি পরকালে আঁপনার বাশারীয়াত বা মানবত্বের অস্তিত্ব (ওজুদ) বাকি থাকবে না বরং সদা সর্বদা আঁপনার উপর নূরে হকের প্রাধান্য থাকবে।’<br />[শাহ্ আবদুল আযীয মুহাদ্দিছ দেহলভী, তাফসীরে আযীযী: ২১৭]<br /><br />♠এখন মানা,না মানা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার।</div>

সুরা কাহাফের ১১০ নং আয়াতের ব্যাখ্যা

🎷সূরা আল কাহাফ🎷 🌹 ১১০ নং আয়াতের ব্যাখ্যা 🌹 قل انما انا بشر مشلكم يوحي الي অর্থ : হে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আঁপনি বলুন ...

Read more »

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াজিদই দায়ী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী<br /><br />সমাজে একশ্রেনীর মানুষ বের হয়েছে যারা ইবলিশের চাইতেও নিকৃষ্ট। তারা প্রচার করছে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম  উনার শাহাদাতের ব্যাপারে ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী নয়। ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি নকি এ ব্যাপারে কোন আদেশ দেয়নি। বরং শাহাদাতের সংবাদ শুনে কান্না করেছিলো। নাউযুবিল্লাহ। আমরা বিখ্যাত মুহাদ্দিছ ও ইতিহাসবিদ হযরত ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার “তারিখু মাদীনাতু দামেষ্ক” থেকে প্রমাণ করবো ইয়াযিদের নির্দেশে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা হয় (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক), শহীদ করার পর ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি খুশি প্রকাশ করে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। শুধু তাই না সম্মানিত মস্তক মুবারক উনার সাথেও চরম বেয়াদবী মূলক আচরন করে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। যা ইতিহাসে পাতায় স্পষ্ট লেখা রয়েছে,<br /><br />دخل بعض بني أمية عَلَى يزيد ، فَقَالَ : أبشر يا أمير المؤمنين ، فقد أمكنك اللَّه من عدو اللَّه وعدوك ؛ يعني : الحسين بْن علي قد قتل ، ووجه برأسه إليك ، فلم يلبث إلا أياما حتى جيء برأس الحسين ، فوضع بين يدي يزيد فِي طشت ، فأمر الغلام فرفع الثوب الَّذِي كَانَ عليه ، فحين رآه خمر وجهه بكمه ، كأنه يشم منه رائحة ، وقال : الحمد لله الَّذِي كفانا المؤنة بغير مؤنة كُلَّمَا أَوْقَدُوا نَارًا لِلْحَرْبِ أَطْفَأَهَا اللَّهُ سورة المائدة آية ৬৪ ، قالت ريا : فدنوت منه ، فنظرت إِلَيْهِ وبه ردع من حناء ، قَالَ حمزة : فقلت لها : اقرع ثناياه بالقضيب كما يقولون ؟ قالت : أي والذي ذهب بنفسه ، وهو قادر عَلَى أن يغفر لَهُ ، لقد رأيته يقرع ثناياه بقضيب فِي يده ،<br /><br />অর্থ: বনু উমাইয়ার কিছু লোক ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির কাছে আসে এবং বলে, হে আমীরুল মু’মিনিন (আসতাগফিরুল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ) সুসংবাদ গ্রহন করো। আল্লাহ পাক তোমাকে বিজয় দান করেছেন আল্লাহর দুশমন আর তোমার দুশমনের বিরুদ্ধে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)। হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা হয়েছে। উনার সম্মানিত শের মুবারক পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত মস্তক মুবরাক এসে পৌঁছালো। তখন একটা প্লেটে সম্মানিত মস্তক মুবারক ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির সামনে আনা হলো। তখন সে তার গোলামকে সেই প্লেট থেকে কাপড় সরাতে হুকুম করলো, সে তখন কাপড় সরালো। এটা দেখে তার (ইয়াযিদের) চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেলো, সে যেন সুগন্ধি নিচ্ছিলো (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। সে বললো, আলহামদুল্লিাহ! এত সহজেই আল্লাহ পাক আমাকে বিজয় দিয়েছেন (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)। এর পর সে কুরআন শরীফ থেকে كُلَّمَا أَوْقَدُوا نَارًا لِلْحَرْبِ أَطْفَأَهَا اللَّهُ (সূরা মায়েদা ৬৪) এ আয়াত শরীফ পড়লো। রাইয়া বলছে, আমি তখন তার দিকে তাকালাম। হামজা রইয়াকে প্রশ্ন করলো ইয়াযিদ কি বেত দিয়ে আঘাত করেছিলো। সে বললো আল্লাহর পাক উনার জাতের কসম। অমি দেখেছি ইয়াযিদ বেত দিয়ে উনার দাঁত মুবারকে আঘাত করছে (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক)।<br />(তারিখু মাদীনাতু দামেষ্ক  ৬৯তম থন্ড ১৫৯ পৃষ্ঠা; লেখক: ইমাম ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি; জন্ম ৪৯৯ হিজরী- ওফাত ৫৭১ হিজরী; প্রকাশনা: দারুল ফিকর, বাইরুত, লেবানন)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://1.bp.blogspot.com/-I96vj8NGZPk/XXfbtAduDqI/AAAAAAAAHkw/s16mbb275NcXPd61jVpSlVufN5LUVZHvgCLcBGAs/s1600/FB_IMG_1568136058041.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="506" data-original-width="720" height="224" src="https://1.bp.blogspot.com/-I96vj8NGZPk/XXfbtAduDqI/AAAAAAAAHkw/s16mbb275NcXPd61jVpSlVufN5LUVZHvgCLcBGAs/s320/FB_IMG_1568136058041.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />একটু অগ্রসর হয়ে ইমাম আসাকীর রহমতুল্লাহি আলাইহি হামজার বরাতে লিখেন,<br />أنه رأى رأس الحسين مصلوبا بدمشق ثلاثة أيام<br />হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মস্তক মুবারক দামেষ্কে ৩ দিন ঝুলানো ছিলো। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)<br /><br />উপরোক্ত ঘটনা থেকে যা প্রমাণ হলো,<br />হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার প্রতি ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি ভয়ানক বিদ্বেষ পোষন করতো। উনাকে দুশমন মনে করতো। সম্মানিত মস্তক মুবারক দেখে সে খুশি হয় এবং চরম বেয়াদবী করে বেত দিয়ে দাঁত মুবারকে আঘাত করতে থাকে। এখানেই শেষ নয় বরং এই কাট্টা কাফির, চির জাহান্নামী ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি সম্মানিত মস্তক মুবারক উনাকে ৩ দিন দামেষ্কের ফটকে ঝুলিয়ে রাখে। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)<br /><br />তাহলে কি করে বলা যায় যে কারবালার সেই নির্মম ঘটনার পিছনে সে দায়ী নয়? বরং এটাই প্রমাণ হলো তার আদেশেই কারবালার সেই নির্মম ঘটনা সংঘটিত হয়। আজ যারা ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহিকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চায়, ইয়াযিদকে বিখ্যাত তাবেয়ী বলে প্রচার করতে চায় বুঝতে হবে এরা আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনার পক্ষ ছেড়ে ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহির পক্ষ নিয়েছে। বুঝতে হবে এরাই বর্তমান ইয়াযিদের উত্তোসূরি। ইবলিশের চাইতেও এরা নিকৃষ্ট। অনন্তকালের জন্য এদের প্রতি লা’নত! লা’নত! লা’নত। মহান আল্লাহ পাক এদের ধ্বংস করুন, লাঞ্ছিত করুন, এদের প্রতি লা’নত বর্ষন করুন। আমীন।<br /><br /><br /></div>

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াজিদই দায়ী

কারবালার ঘটনার জন্য ইয়াযিদ লানতুল্লাহি আলাইহি দায়ী সমাজে একশ্রেনীর মানুষ বের হয়েছে যারা ইবলিশের চাইতেও নিকৃষ্ট। তারা প্রচার করছে হযরত ইমাম হ...

Read more »

ইমাম হোসাইনকে যারা শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">যারা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা:<br />-------------------------------------------------------------------------------<br />কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার অন্যতম শয়তান  ইবনে যিয়াদ নিজেই সাক্ষ্য দিয়েছে,<br /><br />أما قتلي الحسين فإنه أشار إلي يزيد بقتله أو قتلي فاخترت قتله<br /><br />আমি (ইবনে যিয়াদ) হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছি (নাউযুবিল্লাহ) ইয়াজিদের কথায়। সেটা না করলে সে (ইয়াযিদ) আমাকে হত্যা করে ফেলতো। সুতরাং আমি  হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করার বিষয়টিকে বেছে নিয়েছি। (নাউযুবিল্লাহ)<br />(দলীল: আল কামিল ফিত তারীখ ২য় খন্ড ১৯৯ পৃষ্ঠা; লেখক: ইমাম ইবনুল আছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি; ওফাত: ৬৩০ হিজরী)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://1.bp.blogspot.com/-1B0-XaXZjKw/XXfVALdo2NI/AAAAAAAAHkU/GSMwLVYobUwz16zMAHjlcozAjOe2TxB0wCLcBGAs/s1600/FB_IMG_1568134362739.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1040" data-original-width="585" height="320" src="https://1.bp.blogspot.com/-1B0-XaXZjKw/XXfVALdo2NI/AAAAAAAAHkU/GSMwLVYobUwz16zMAHjlcozAjOe2TxB0wCLcBGAs/s320/FB_IMG_1568134362739.jpg" width="180" /></a></div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><br /></div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://1.bp.blogspot.com/-Ahm5zg58WFo/XXfVFuqTe7I/AAAAAAAAHkc/REPXnhaIPYEzOPnLapRjUn6V6x6XkWP3ACLcBGAs/s1600/FB_IMG_1568134366409.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="972" data-original-width="585" height="320" src="https://1.bp.blogspot.com/-Ahm5zg58WFo/XXfVFuqTe7I/AAAAAAAAHkc/REPXnhaIPYEzOPnLapRjUn6V6x6XkWP3ACLcBGAs/s320/FB_IMG_1568134366409.jpg" width="192" /></a></div><br /><br />আর যারা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে, শহীদ করতে আদেশ করেছে তাদের ব্যাপারে ইমাম ইয়াফেয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,<br />وأمّا حكم من قتل الحسين, أو أمر بقتله, ممّن استحلّ ذلك فهو كافر<br />"যে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে, অথবা শহীদ করতে আদেশ করেছে, এটা যারা বৈধ মনে করেছে সবাই কাফির।"<br />(শাযরাতুয যাহাবী ১ম খন্ড ১২৪ পৃষ্ঠা)<br /><br />সুতরাং এ থেকে প্রমাণ হলো ইয়াযিদ, ইবনে যিয়াদ ও এদের সমর্থনকারী সবাই কাফির।</div>

ইমাম হোসাইনকে যারা শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা?

যারা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করেছে তাদের ফয়সালা: ------------------------------------------------------------------------------...

Read more »

ইয়াজিদের কর্মকান্ড!

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">আবু মুহাম্মদ আলী ইবনে আহমদ ইবনে সাইদ ইবনে হাজম। স্পেনের কর্ডোভায় জন্মগ্রহণ করে। জন্ম ৩৮৪ হিজরী, মৃত্যু ৪৫৬ হিজরী। ইসলামের জাহিরি ধারার প্রবক্তা। হাজমের দাদা এবং বাবা উভয়ই উমাইয়া খলিফার দরবারে উপদেষ্টার পদে নিয়োজিত ছিলো। সে হিসাবে ইয়াযিদের ইতিহাস ইবনে হাজমের ভালোই জানা আছে।<br />এই ইবনে হাজম তার কিতাবে ইয়াযিদের চরিত্র উল্লেখ করেছে। সবচাইতে আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে ইবনে হাজম তার লিখিত বই “জামহারাত আনসাব আল আরবে” যেখানে ইয়াযিদের কুৎসিত চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছে সেখানে ইয়াযিদকে আমিরুল মুমিনিনও বলেছে (নাউযুবিল্লাহ) । খলীফা হযরত উমর ইবনে আব্দুল আযীয রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সামনে এক ব্যক্তি ইয়াযিদকে “আমিরুল মু’মিনিন” বলায় ২০ বেত মারার ইতিহাস ইবনে হাজমের জানা ছিলো কিনা জানি না।<br />যাইহোক এই ইবনে হাজম তার কিতাবে ইয়াযিদ সর্ম্পকে লিখেছে,<br /><br />ويزيد أمير المؤمنين؛ وكان قبيح الآثار في الإسلام؛ قتل أهل المدينة، وأفاضل الناس، وبقية الصحابة -رضي الله عنهم- يوم الحرة، في آخر دولته؛ وقتل الحسين -رضي الله عنه- وأهل بيته في أول دولته؛ وحاصر ابن الزبير -رضي الله عنه- في المسجد الحرام، واستخف بحرمة الكعبة والإسلام؛ فأماته الله في تلك الأيام<br /><br />“ইয়াজিদ (লা’নতুল্লাহি আলাইহি) , পবিত্র ইসলামে অনেক খারাপ কাজ করেছে। সে তার রাজত্ব্যের শেষ দিকে হাররার দিনে সম্মানিত মদীনা শরীফের অধিবাসী, সম্মনিত ব্যক্তিবর্গ, ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনাদের মধ্যে অবশিষ্টদের শহীদ করে। তার রাজত্ব্যের প্রথম দিকে সে হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম ও আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের শহীদ করে। পবিত্র মসজিদে হারামে ইবনে যুবাইর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে ঘেরাও করে। সে পবিত্র কা’বা শরীফ ও ইসলামের সম্মানকে ভুলন্ঠিত করে। আর এ সময়ের মধ্যে আল্লাহ পাক তার মৃত্যু দেয়।”<br /><br />(জামহারাত আনসাব আল আরব ১১২ পৃষ্ঠা; লেখক: ইবনে হাজম; প্রকাশনা : দারুল মা’রিফা, মিশর)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://1.bp.blogspot.com/-VRAn1QTx5xI/XXfUmNqC-KI/AAAAAAAAHkI/RGsEdiqn1r4E_NgI5rFwwg6x17rMiz-vwCLcBGAs/s1600/FB_IMG_1568134212575.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1470" data-original-width="1600" height="294" src="https://1.bp.blogspot.com/-VRAn1QTx5xI/XXfUmNqC-KI/AAAAAAAAHkI/RGsEdiqn1r4E_NgI5rFwwg6x17rMiz-vwCLcBGAs/s320/FB_IMG_1568134212575.jpg" width="320" /></a></div><br />ইবনে হাজমের উক্তি থেকেই ইয়াযিদের কুৎসিত চরিত্র ফুটে উঠেছে। সেই সাথে কারবালার মর্মান্তিক ঘটনার পেছনে সেই দায়ী এটাও প্রমাণিত হয়েছে। আর যার চরিত্রে এই পরিমান ইসলাম বিদ্বেষ সে নিঃসন্দেহে কাফির।</div>

ইয়াজিদের কর্মকান্ড!

আবু মুহাম্মদ আলী ইবনে আহমদ ইবনে সাইদ ইবনে হাজম। স্পেনের কর্ডোভায় জন্মগ্রহণ করে। জন্ম ৩৮৪ হিজরী, মৃত্যু ৪৫৬ হিজরী। ইসলামের জাহিরি ধারার প্রবক...

Read more »

আশুরার দিন ইসমিদ সুরমা লাগানো

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">যে ব্যক্তি আশুরার দিন চোখে ইছমিদ সুরমা লাগাবে সে ওই বছর চোখের রোগে আক্রান্ত হবে না<br />এ বিষয়ে হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন,<br />عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنِ اكْتَحَلَ بالْإِثْمَدِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ لَمْ يَرْمَدْ أَبَدًا<br />“যে ব্যক্তি আশুরার দিন চোখে ইছমিদ সুরমা লাগাবে সে ওই বছর চোখের রোগে আক্রান্ত হবে না।”<br />(শুয়াবুল ঈমান বায়হাকী ৩য় খন্ড ৩৬৭ পৃষ্ঠা- হাদীছ ৩৭৯৭, প্রকাশনা : দারু কুতুব ইলমিয়া; ফাদ্বায়িলে আওকাত বায়হাকী হাদীছ ২৪৬, উমদাতুল কারী ১৬/৩৮৭, জামিউল ওসায়েল ফি শরহে শামায়েল   ২/১০৬ , ফয়জুল কাদীর শরহে জামিউছ ছগীর, কানযুল উম্মাল ৩৫১৯৯, সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ ১২/১৮০)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://1.bp.blogspot.com/-Is3XzshFGwo/XXfT_Lw4WrI/AAAAAAAAHj4/lWOc2E4AREcmr1YGx8ibdaofZZXysyTJgCLcBGAs/s1600/FB_IMG_1568134065624.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="865" data-original-width="585" height="320" src="https://1.bp.blogspot.com/-Is3XzshFGwo/XXfT_Lw4WrI/AAAAAAAAHj4/lWOc2E4AREcmr1YGx8ibdaofZZXysyTJgCLcBGAs/s320/FB_IMG_1568134065624.jpg" width="216" /></a></div><br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://1.bp.blogspot.com/-VHk5j0TbMW8/XXfUBfm0GFI/AAAAAAAAHj8/QDn9F-LiPhEBxHyiWPrLGcNtlIuNA0ldQCLcBGAs/s1600/FB_IMG_1568134069925.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="950" data-original-width="571" height="320" src="https://1.bp.blogspot.com/-VHk5j0TbMW8/XXfUBfm0GFI/AAAAAAAAHj8/QDn9F-LiPhEBxHyiWPrLGcNtlIuNA0ldQCLcBGAs/s320/FB_IMG_1568134069925.jpg" width="192" /></a></div><br />উক্ত হাদীছ শরীফের সনদ নিয়ে বিভিন্ন কথা বর্তা আছে, অনেকে দ্বয়ীফ বলেছেন। তবে এর একাধিক সনদও রয়েছে। সর্বপোরি ফযিলতের জন্য দ্বয়ীফ বর্ণনার উপর আমল করা গ্রহনযোগ্য।<br />সূতরাং চোখের রোগ থেকে শেফা পাওয়ার নিয়তে পবিত্র আশুরার দিনে এই হাদীছ শরীফের উপর আমল করতেই পারেন।</div>

আশুরার দিন ইসমিদ সুরমা লাগানো

যে ব্যক্তি আশুরার দিন চোখে ইছমিদ সুরমা লাগাবে সে ওই বছর চোখের রোগে আক্রান্ত হবে না এ বিষয়ে হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল...

Read more »

ইয়াজিদ ভক্তরা কি জবাব দিবে?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">ইয়াযিদ সমর্থকরা বলে থাকে, ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা ইয়াযিদ নাকি পছন্দ করে নাই, সে দুঃখ পেয়েছিলো। (নাউযুবিল্লাহ, মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহ পাকের লা’নত)<br /><br />যদি তাই হবে এ প্রশ্নে জবাব ইয়াযিদ ভক্তরা কি দিবে? যখন ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার মস্তক মুবারক ইয়াযিদের সামনে আনা হলো তখন সে অনেক নোংরা আচরন করলো, হাতের ছড়ি দিয়ে আঘাতও করলো (https://bit.ly/2kd2rUb) .......... এরপর যা করলো তা ইতিহাসে বর্ণিত আছে,<br /><br />أنه رأى رأس الحسين مصلوبا بدمشق ثلاثة أيام<br />হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনার সুমহান মস্তক মুবারক দামেষ্কে ৩ দিন ঝুলানো ছিলো। (নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক! নাউযুবিল্লাহ মিন যালিক!)<br /><br />(সিয়ারু আলামিন নুবালা ৩য় খন্ড ৩১৯ পৃষ্ঠা, লেখক: হযরত ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি, প্রকাশনা : মুওয়াসাতুর রিসালা, বৈরুত লেবানন)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://1.bp.blogspot.com/-cNUyPXb-WXc/XXfTVJIt42I/AAAAAAAAHjw/YBQlrJPi1XwQ48ZE7hqx91Gad_H7raYgQCLcBGAs/s1600/FB_IMG_1568129077562.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1527" data-original-width="1600" height="305" src="https://1.bp.blogspot.com/-cNUyPXb-WXc/XXfTVJIt42I/AAAAAAAAHjw/YBQlrJPi1XwQ48ZE7hqx91Gad_H7raYgQCLcBGAs/s320/FB_IMG_1568129077562.jpg" width="320" /></a></div><br />এছাড়া এ ঘটনা হযরত ইবনে আসাকীর রহমতুল্লাহি তারীখে মাদীনাতু দিমাষ্ক, ইমাম যাহাবী উনার তারিখুল ইসলাম সহ আরো অনেক প্রসিদ্ধ কিতাবে বর্ণনা করেছেন।<br /><br />ইয়াযিদ যদি দুঃখই পাবে তাহলে সম্মানিত মস্তক মুবারক ৩ দিন ঝুলিয়ে রাখার মত চরম বেয়াদবি করলো কেন?</div>

ইয়াজিদ ভক্তরা কি জবাব দিবে?

ইয়াযিদ সমর্থকরা বলে থাকে, ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে শহীদ করা ইয়াযিদ নাকি পছন্দ করে নাই, সে দুঃখ পেয়েছিলো। (নাউযুবিল্লাহ, মিথ্যাবাদীদের...

Read more »

নবীজীকে ওহাবীরা কেন দেখে না?

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">💟সৈয়দ হাসেমী মিয়া (মা,জি,আ)এর যুক্তিঃ-<br />=============================<br /><br />ওহাবীরা মিলাদ কিয়ামকে ঠাট্টা করে বলে থাকে, সুন্নীদের মিলাদ মাহফিলে নাকি নবী পাক (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাজির হয়!! কই কখনো তো দেখলাম না!!<br /><br />💟সৈয়দ হাসেমী মিয়া (মা,জি,আ) এঁর উত্তরঃ<br />====================>>>>>>><br /><br />দারুন নদওয়ার বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক রাসুল (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে হত্যা করার উদ্দেশ্যে দুর্ধর্ষ কাফেররা ঘরের চারদিক ঘেরাও করে ফেলে!<br /><br />ওরা সিদ্ধান্ত নিলো রাসুল (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বাহির হওয়া মাত্রই হত্যা করে ফেলবে!  নাউজুবিল্লাহ!<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://1.bp.blogspot.com/-zS5Es6Ezx58/XXPhbxRO-mI/AAAAAAAAHhA/Tzt6mVU4EBIa0XIRLMlxxPTZKBNfpf13QCLcBGAs/s1600/images-1.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="360" data-original-width="480" height="240" src="https://1.bp.blogspot.com/-zS5Es6Ezx58/XXPhbxRO-mI/AAAAAAAAHhA/Tzt6mVU4EBIa0XIRLMlxxPTZKBNfpf13QCLcBGAs/s320/images-1.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />রাসুল (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হযরত আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) কে তাঁর বিছানায় শোয়াইয়ে ঘর হতে বের হলেন! এক মুষ্টি বালু নিলেন এবং কাফেরদের লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করলেন!<br /><br />এ ঘটনা বর্ণনা করে আল্লাহ তায়ালা কোরআনে পাকে এরশাদ করেন "ওমা রমা ইজা রমাইতা ওলা কিন্নাল্লাহা রমা"!<br />কংকর বালুগুলো কাফেরদের চোখে ঢুকে গেল!<br />রাসুল (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ওদের সামনে দিয়ে বের হয়ে এলেন,কিন্তু ওদের কারোরই দৃষ্টিতে পড়ল না..!!<br /><br />সুতরাং, কোন ওহাবী যদি মিলাদ মাহফিলে রাসুল (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর উপস্থিতি না দেখে এবং প্রশ্ন তুলে কই মিলাদ মাহফিলে নাকি রাসুল (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উপস্থিত হয়..? আমরা তো দেখলাম না!!<br />👉 তবে বুঝে নিতে হবে কংকর লাগ গিয়া!! ওদের চোখে রাসুল (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম)'র নিক্ষিপ্ত সেই কংকর বালু ঢুকে গেছে! ওরা কাফেরদের মতো কখনোই দেখবে না।<br /><br />সুন্নীদের আক্বিদা হলো আমরা গোনাহগাররা রাসুল (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে না দেখলেও, রাসুল (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দেখতেছেন! রাসুল (সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চাইলে মিলাদ মাহফিলে উপস্থিতও হতে পারেন!<br /><br />উপর্যুক্ত জবাব মূলত ওহাবিদের জাহেলানা প্রশ্নের  প্রত্যুত্তর।</div>

নবীজীকে ওহাবীরা কেন দেখে না?

💟সৈয়দ হাসেমী মিয়া (মা,জি,আ)এর যুক্তিঃ- ============================= ওহাবীরা মিলাদ কিয়ামকে ঠাট্টা করে বলে থাকে, সুন্নীদের মিলাদ মাহফিলে নাক...

Read more »

আশুরার দিনে খাবার খাওয়ানো!

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">আশুরার দিন পরিবর্গকে সাধ্যমতো ভালো খাবার খাওয়ালে আগামী এক বছরের জন্য সচ্ছলতা লাভ হবে<br /><br />عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : مَنْ وَسَّعَ عَلَى عِيَالِهِ يَوْمَ عَاشُورَاءَ ، أَوْسَعَ اللَّهُ عَلَيْهِ سَنَتَهُ<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://1.bp.blogspot.com/-nTzwoYaNFwE/XXJZKKo98iI/AAAAAAAAHf4/L9DVghZ-u-kG6ROFmXeVNJ5vcu6lCrmRACLcBGAs/s1600/FB_IMG_1567774950380.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1584" data-original-width="1600" height="316" src="https://1.bp.blogspot.com/-nTzwoYaNFwE/XXJZKKo98iI/AAAAAAAAHf4/L9DVghZ-u-kG6ROFmXeVNJ5vcu6lCrmRACLcBGAs/s320/FB_IMG_1567774950380.jpg" width="320" /></a></div><br />"আশুরা দিবসে যে ব্যক্তি তার পরিবার  পরিজনের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করবে, আল্লাহ পাক সারা বছর তার স্বচ্ছলতার ব্যবস্থা করে থাকেন।" সুবহানাল্লাহ<br /><br />(মু’জামু ইবনে আ’রাবী ১ম খন্ড ১৪১ পৃষ্ঠা- হাদীছ ২২৫, মু’জামুল কবীর তাবরানী ৯৮৬৫, শুয়াবুল ঈমান ৩৫১৬, ফাদ্বয়েলু আওকাত ২৪৪)</div>

আশুরার দিনে খাবার খাওয়ানো!

আশুরার দিন পরিবর্গকে সাধ্যমতো ভালো খাবার খাওয়ালে আগামী এক বছরের জন্য সচ্ছলতা লাভ হবে عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ...

Read more »