এ মাটিতে পবিত্রতার শেকড়, তাইতো এখনও নিরাপদ সিলেট

<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://1.bp.blogspot.com/-_qz9xx3x21g/XoHoopbGKMI/AAAAAAAAATk/oUmav1WsS-Y4_l6ib7n3GItaFkpKRitmwCLcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200330_183716.JPG" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="382" data-original-width="666" height="183" src="https://1.bp.blogspot.com/-_qz9xx3x21g/XoHoopbGKMI/AAAAAAAAATk/oUmav1WsS-Y4_l6ib7n3GItaFkpKRitmwCLcBGAsYHQ/s320/IMG_20200330_183716.JPG" width="320" /></a></div> <br /> সুরমা নিউজ :<br /> করোনা ভাইরাসের উঁকি-ঝুঁকিতে টেনশনে গোটা সিলেটবাসী। একের পর এক ধাক্কায় বুকে কাঁপন ধরলে, ফলাফলে এখনও করোনা মুক্ত সিলেট। সর্বশেষ শনিবার ফিনল্যান্ডের এক নাগরিককে ঘিরে সিলেটে চলছিলো করোনাভাইরাসের আলোচনা। রবিবার সিলেট শহিদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের কোয়ারেন্টিন থেকে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থাও অনেকটা ভাল। এ নিয়ে সিলেটে মোট ৮ জনকে করোনা আক্রান্তের সন্দেহ করা হলেও শেষঅবধি ৫ জনের রিপোর্টে এ রোগ ধরা পড়েনি। আর ৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাল আছেন বলে জানা গেছে। করোনা গ্রাসের কবল থেকে এখন্ও সিলেট নিরাপদ থাকার নৈপথে এ মাঠির পবিত্রতার শেকড় অনুভব করছেন। এ মাঠিতে সাথে মিশে আছে ইসলাম ধর্মের প্রচারক ওলী-আউলিয়ার অশেষ স্মৃতি। তাদের কারনেই এ্ অঞ্চলের মানুষ ইসলামের সুমাহান আদর্শে আত্মসমর্পণ মুক্তির পথ গ্রহন করেছি।<br /> <br /> সিলেটে সর্বপ্রথম কানাইঘাটের দুবাই প্রবাসী এক যুবকের শরীরে করোনা সন্দেহে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিলেটে প্রথম করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করার পর গোটা সিলেট জুড়ে বিরাজ করছিল বড় ধরণের আতংক। দুবাই প্রবাসী এ যুবকের রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। অর্থাৎ তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। আর করোনা সন্দেহে এক নারীর মৃত্যুর পর সারা সিলেটের মানুষের মাঝে ছিল বড় ধরনের আতংক। পরে ঢাকা থেকে আসা রিপোর্টে মৃত এই নারীর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা না পড়ায় সিলেটের মানুষ আপাতত যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। এর আগে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে আরেক যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারী শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি ছিলেন।<br /> <br /> গত রবিবার ঢাকা থেকে আসা রিপোর্টে এই নারীর শরীরেও করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি। হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি ৮ জনকে নিয়ে সিলেটের মানুষ পার করছিলেন উদ্বেগ-উঠকন্ঠায়। তাদের শরীরে যদি এই ভাইরাস ধরা পড়ে তাহলে সিলেটে করোনার বংশ বিস্তার লাভ করবে এমন আতংকে সময় পার করেছিলেন মানুষ। এপর্যন্ত সিলেটে ৮ জন হাসপাতালের আইসোলেশনে ছিলেন। এদের মধ্যে পাঁচ জনের শরীরে মহামারী করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি। তাদেরকে হাসঅপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন দুই জন। একজন ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। অপর জন এক বৃদ্ধ। তাদের নমুনা ঢাকায় আজ পাঠানোর কথা।<br /> <br /> স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিছুর রহমান, জানান, শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ৩ জনের মধ্যে একজন ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। গত শনিবার রাতে ঢাকা থেকে সিলেটে আসার পথে অসুস্থবোধ করলে বাড়ি না গিয়ে সোজা শামসুদ্দিন হাসপাতালে চলে আসেন তিনি। এরপর শনিবার রাত থেকেই এই হাসপাতলের কোয়ারেন্টিন বিভাগে চিকিৎসাধিন ওই ছাত্র। আছেন। অপরদিকে, ৮০ বছরের এক বৃদ্ধের নিউমোনিয়া জ্বর ও সর্দি-কাশি থাকায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসাপাতাল থেকে শামসুদ্দিন হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার অবস্থাও উন্নতির দিকে আছে। এছাড়াও শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের কোয়ারেন্টিন বিভাগে বর্তমানে আরেকজন চিকিৎসাধিন। পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে তাকে। তার অবস্থাও খারাপ নয়।<br /> <br /> এদিকে, শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধিন থাকা যুক্তরাজ্য প্রবাসীর পরীক্ষার রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসায় তাকে গতকাল (শনিবার) বাড়িতে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।<br /> <br />

এ মাটিতে পবিত্রতার শেকড়, তাইতো এখনও নিরাপদ সিলেট

সুরমা নিউজ : করোনা ভাইরাসের উঁকি-ঝুঁকিতে টেনশনে গোটা সিলেটবাসী। একের পর এক ধাক্কায় বুকে কাঁপন ধরলে, ফলাফলে এখনও করোনা মুক্ত সিলেট। সর্বশ...

Read more »

জার্মান মন্ত্রীর আত্মহত্যা: করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগে ভুগছিলেন।

<div style="text-align: justify;"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://1.bp.blogspot.com/-U369cAkAN8s/XoHfDID2sXI/AAAAAAAAATI/7q9ypHT3jvIoX1TSMXGYP8nZGEt8O6XqACLcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200330_175439.JPG" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="522" data-original-width="720" height="232" src="https://1.bp.blogspot.com/-U369cAkAN8s/XoHfDID2sXI/AAAAAAAAATI/7q9ypHT3jvIoX1TSMXGYP8nZGEt8O6XqACLcBGAsYHQ/s320/IMG_20200330_175439.JPG" width="320" /></a></div> <br /> জার্মানিতে শনিবার হেসে প্রদেশের অর্থমন্ত্রী টমাস শাফেরের শনিবারের আত্মহত্যার পর এখন জানা গেছে করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক পরিণতি নিয়ে তিনি দিনকে দিন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছিলেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হেসে প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ভলকার বুফেরকে উদ্ধৃত করে জার্মান মিডিয়ায় খবর বেরিয়েছে যে করোনাভাইরাসের পরিণতিতে অর্থনৈতিক চাপ কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে মন্ত্রী শেফার খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এক বিবৃতিতে মি বুফের বলেছেন, "অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে মানুষের মধ্যে যে প্রবল চাহিদা তৈরি হয়েছে, সেটা তিনি পূরণ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে তিনি (মন্ত্রী টমাস শাফের) উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছিলেন।"</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং মাইনয শহরের মাঝামাঝি হোকহাইম নামে একটি শহরে রেললাইনের ওপর থেকে পুলিশ গতকাল (শনিবার) তার মৃতদেহ খুঁজে পায়।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> পুলিশ মনে করছে মি. শাফের আত্মহত্যা করেছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> জার্মান দৈনিক ফ্রাঙ্কফুর্টার আলেমাইনে সাইটুং নির্ভরযোগ্য সূত্র উদ্ধৃত করে লিখেছে মৃত্যুর আগে তার আত্মহত্যার কারণ লিখে গিয়েছেন মি শাফের।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ৫৪ বছরের টমাস শাফের ১০ বছর ধরে হেসের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তাকে এই প্রদেশের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দেখা হতো।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্যাকেজ নিয়ে গত বেশ কয়েকদিন ধরে তিনি মাঝে মধ্যেই জনগণের উদ্দেশ্যে মিডিয়াতে কথা বলতেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থনৈতিক দিক দিয়ে হেসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রদেশে। জার্মানির অর্থনৈতিক রাজধানী হিসাবে কথিত ফ্রাঙ্কফুর্ট এই প্রদেশেরই একটি শহর।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> মুখ্যমন্ত্রী ভলকার বুফের বলেছেন মি শাফের সম্প্রতি করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সাহায্যের প্যাকেজ নিয়ে 'দিন-রাত' কাজ করছিলেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> প্রয়াত মি. শাফের চ্যান্সেলর মের্কেলের দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাট (সিডিইউ) পার্টির একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিক ছিলেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> সূত্র- BBC News বাংলা</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div>

জার্মান মন্ত্রীর আত্মহত্যা: করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগে ভুগছিলেন।

জার্মানিতে শনিবার হেসে প্রদেশের অর্থমন্ত্রী টমাস শাফেরের শনিবারের আত্মহত্যার পর এখন জানা গেছে করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক পরিণতি নিয়ে তিনি ...

Read more »

মহামারিতে আযান দেয়ার শরয়ী বিধান ও গুরুত্ব

<p dir="ltr">মহামারিতে আযান দেয়ার শরয়ী বিধান ও গুরুত্ব<br> -মুহাম্মদ আবদুল মজিদ আল-ক্বাদেরী</p> <p dir="ltr">আযান ইসলামের এক মৌলিক ইবাদত নামাজের দিকে আহবানের মাধ্যম। আযানের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত অবতীর্ণ হয়,বিপদ ও আযাব দূরীভূত হয়।<br> হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা:)থেকে বর্ণিত হাদীসে হুযুর (ﷺ) এরশাদ করেন,</p> <p dir="ltr">"اِذَا اُذِّنَ فِیْ قَرِیَةٍ اٰمَنَھَا اللہُ مِنْ عَذَابِهٖ فِیْ ذٰلِكَ الْیَوْمِ"</p> <p dir="ltr">-যখন কোন গ্রামে আযান দেয়া হয়,তখন মহান আল্লাহ (ﷻ) সেদিন ওই গ্রামকে তার আযাব থেকে নিরাপদে রাখেন।<br> [আল-মু'জামুল কবীর,খ-১,পৃ-২৫৭,হাদিস:৭৪৬,মুদ্রণ:মাকতাবায়ে ফয়সলীয়া,বৈরুত। ফতোয়ায়ে রযভীয়্যা, খন্ড:৫,পৃ-৩৬৯,রেযা ফাউন্ডেশন, লাহোর]</p> <p dir="ltr"> মহামারীর সময় আযান দেয়া একটি মুস্তাহাব বিষয়।<br> ফিকহে হানাফীর প্রসিদ্ধ গ্রন্থ রদ্দুল মুখতার বা ফতোয়ায়ে শামীতে আযানদানের ১০টি মুস্তাহাব সময়ের মধ্যে মহামারীর সময় আযানের কথা উল্লেখ রয়েছে।<br> মুজাদ্দিদে দীনো মিল্লাত,ইমামে আহলে সুন্নাত,শাহ ইমাম আহমদ রেজা খান (রা.)লিখেন-</p> <p dir="ltr">”وبا کے زمانے میں اذان دینا مستحب ہے“</p> <p dir="ltr">- মহামারীর সময় আযান দেয়া মুস্তাহাব।</p> <p dir="ltr">[ফতোয়ায়ে রযভীয়্যা,খ-৫,পৃ-৩৭০,মুদ্রণ-রেযা ফাউন্ডেশন লাহোর। বাহারে শরীয়ত,প্রথম খন্ড, অংশ-৩,পৃ-৪৬৬,মাকতাবাতুল মদীনা করাচী]</p> <p dir="ltr">কারণ এ মহামারীর কারণে জনমনে ভয় ও অাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে,যার ফলে জনগণ উদ্বিগ্ন থাকে, ভীতি ও ত্রাসের শিকার হয়,এমন পরিস্থিতিতেও আযান আত্নার প্রশান্তি ও ভয়-ত্রাস দূর করার মাধ্যম।</p> <p dir="ltr">আবু নাঈম ও ইবনে আসাকির হযরত আবু হুরায়রা (রা.)থেকে বর্ণণা করেন,হুযুর ( ﷺ) ইরশাদ করেন,</p> <p dir="ltr">نَزَلَ آدَمُ بِالْھِندِ فَاسْتَوْحَشَ فَنَزَلَ جِبْرَئِیْلُ عَلَیْه الصَّلَاۃُ وَالسَّلَام فَنَادیٰ بِالْاَذَاَنِ.</p> <p dir="ltr">-যখন হযরত আদম (আ.)জান্নাত থেকে ভারতবর্ষে অবতরণ করলেন,ভীত-সন্ত্রস্থ হলেন,তখন জিবরাইল (আ.)নেমে (ভয় দূর করার জন্য) আযান দিলেন।</p> <p dir="ltr">[হিলয়াতুল আউলিয়া,খ-২,পৃ-১০৭,হাদিস:২৯৯,মুদ্রণ-দারুল কিতাব আল-আরাবিয়্যা,বৈরুত]</p> <p dir="ltr">মুসনাদুল ফিরদৌস-এ আমীরুল মু'মিনীন,সৈয়্যদুনা আলী আল-মুরতাদ্বা (রা.)থেকে বর্ণিত,</p> <p dir="ltr">قَالَ رَایٰ النَّبِیُّ صَلّٰی اللہُ تَعَالٰی عَلَیْهِ وَسَلَّم حُزِیْناً فَقَالَ یَا ابْنَ اَبِیْ طَالِبٍ اِنِّیْ اَرَاكَ حُزِیْناً فَمُرْ بَعْضَ اَھْلِكَ یُؤَذِّنُ فِیْ اُذُنِكَ فَاِنَّهٗ دَرْءُ الْھَّمِ</p> <p dir="ltr">-তিনি বলেন,হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন আমাকে চিন্তিত অবস্থায় দেখে বললেন,হে আলী! আমি তোমাকে উদ্বিগ্ন অবস্থায় দেখছি, তোমার পরিবারের কাউকে তোমার কানে আযান দিতে বলো,কেননা তা চিন্তা ও উদ্বিগ্নতা দূরকারী।</p> <p dir="ltr">[মিরকাতুল মাফাতীহ শরহে মিশকাতুল মাসাবীহ, আযান পর্ব,খ-২, পৃ-১৪৯,মুদ্রণ-মাকতাবায়ে ইমদাদীয়া,মুলতান]</p> <p dir="ltr">বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা মহামারি থেকে রক্ষায় অন্যান্য আমলের পাশাপাশি আযান দেয়া একটি শরীয়ত সমর্থিত মুস্তাহাব আমল। এটার জন্য কোন সময় নির্ধারিত নেই। মহান রাব্বুল আলামীন আমলের তাওফিক নসীব করুন। তদীয় প্রিয় হাবীব (ﷺ)'র উসীলায় মুসলিম মিল্লাতকে সকলপ্রকার বিপদাপদ ও মহামারী থেকে হেফাজত করুন। আমীন।</p>

মহামারিতে আযান দেয়ার শরয়ী বিধান ও গুরুত্ব

মহামারিতে আযান দেয়ার শরয়ী বিধান ও গুরুত্ব -মুহাম্মদ আবদুল মজিদ আল-ক্বাদেরী আযান ইসলামের এক মৌলিক ইবাদত নামাজের দিকে আহবানের মাধ্যম। আযানে...

Read more »

১০ জায়গায় আজান দেওয়া সুন্নাত

<p dir="ltr">১০ জায়গায় আজান দেওয়া সুন্নাত </p> <p dir="ltr">১. সন্তান জন্ম নিলে। <br> ২. কোন মহামারী দেখা দিলে। <br> ৩. আগুন লাগলে। <br> ৪. জ্বিন দূরীভূত করা। <br> ৫. মানসিক রোগীর জন্য।<br> ৬. কেউ রাস্তা হারিয়ে ফেললে।<br> ৭. কোন হিংস্র জানোয়ার এর আক্রমণ রোধ করার জন্য। <br> ৮. কেউ অতিরিক্ত রাগান্বিত হলে। <br> ৯. কোন এলাকায় মহাদূরভিক্ক দেখা দিলে। <br> ১০. ইন্তেকালের পর কবরের পাশে।<br> _____________________<br> (রদ্দুল মুখতার, ফতোয়ায়ে শামী, জা আল হক, শরহে আবু দাউদ) </p>

১০ জায়গায় আজান দেওয়া সুন্নাত

১০ জায়গায় আজান দেওয়া সুন্নাত ১. সন্তান জন্ম নিলে। ২. কোন মহামারী দেখা দিলে। ৩. আগুন লাগলে। ৪. জ্বিন দূরীভূত করা। ৫. মানসিক রোগীর জন্য। ...

Read more »

মহামারী বিষয়ে আলা হযরত (রহ.) এর সচেতনতামূলক ফতোয়া

<p dir="ltr">ইমাম আহমদ রেজা খান ফাজিলে বেরেলভি রাহঃ আসলেই এক মহাবিস্ময়ঃ ঘরে থাকুন মহামারীর সময়ে</p> <p dir="ltr">-----------------------------------------</p> <p dir="ltr">সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আজহারি</p> <div align="center" align="center" ><p dir="ltr"><img src="https://lh3.googleusercontent.com/-GjnHSRoDPos/XnstbfWaAeI/AAAAAAAAAv4/3LpW7iF420AmEdmixaFRivclN0lNkGWKgCLcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200325_160223.jpg"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-GjnHSRoDPos/XnstbfWaAeI/AAAAAAAAAv4/3LpW7iF420AmEdmixaFRivclN0lNkGWKgCLcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200325_160223.jpg"></a><br> </p> </div><div align="center" align="center" ><p dir="ltr"><img src="https://lh3.googleusercontent.com/-02z0iC8b-Wk/XnstdWm2NNI/AAAAAAAAAv8/iH8z_XsJxQ0TDEvUW6UXQsB-71AAuN71gCLcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200325_160236.jpg"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-02z0iC8b-Wk/XnstdWm2NNI/AAAAAAAAAv8/iH8z_XsJxQ0TDEvUW6UXQsB-71AAuN71gCLcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200325_160236.jpg"></a><br> </p> </div><div align="center" align="center" ><p dir="ltr"><img src="https://lh3.googleusercontent.com/-qyhZxD6RNP8/XnstezMYGjI/AAAAAAAAAwA/RU4k1_ATZJUfjIIrW7WXjrZkWfK8kmBYQCLcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200325_160249.jpg"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-qyhZxD6RNP8/XnstezMYGjI/AAAAAAAAAwA/RU4k1_ATZJUfjIIrW7WXjrZkWfK8kmBYQCLcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200325_160249.jpg"></a><br> </p> </div><div align="center" align="center" ><p dir="ltr"><img src="https://lh3.googleusercontent.com/-nnZzeb1JYX0/XnstgPKaeUI/AAAAAAAAAwE/VHQ3C6-dfXANMl-Wl64DMtSu3XQ2vi1KgCLcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200325_160300.jpg"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-nnZzeb1JYX0/XnstgPKaeUI/AAAAAAAAAwE/VHQ3C6-dfXANMl-Wl64DMtSu3XQ2vi1KgCLcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200325_160300.jpg"></a><br> </p> </div><div align="center" ><p dir="ltr"><br> </p> </div><p dir="ltr">ইমামে ইশক ওয়া মুহাব্বাত মুজাদ্দিদে দ্বীন ওয়া মিল্লাত ইমাম আহমদ রেজা খান ফাজিলে বেরেলভি রাহঃ আসলেই এক মহাবিস্ময়। আমরা অনেকেই হয়ত জানি, অনেকেই হয়ত জানি না, কিন্তু আলা হজরত রাহঃ এঁর এই মহামারী নিয়েও একটা রিসালাহ আছে যা জামে মানে (comprehensive), নাম "তাইসিরুল মাউন লিসসাকানি ফিত তাউন"। ইলমের এমন কোন বিষয় নেই যা নিয়ে জ্ঞানের এই মহান সাধক কিতাব রচনা করেন নাই। সুবহানাল্লাহ। এই কিতাবখানা বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুবই রিলেভেন্ট। <br></p> <p dir="ltr">সেই কিতাবের ১৫ ও ১৬ তম পৃষ্ঠা একটু পড়ে দেখার অনুরোধ করব (স্ক্রিনশট দেখুন)। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রাহঃ এঁর মুসনাদের ২৪৯৪৩ নং হাদিসখানা ইমাম বুখারি ও মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহিহ। <br></p> <p dir="ltr">হাদিসখানা নিম্নরুপঃ</p> <p dir="ltr">24943 حدثنا عبد الصمد، حدثنا داود يعني ابن أبي الفرات، قال حدثنا عبد الله بن بريدة، عن يحيى بن يعمر، عن عائشة، أنها قالت سألت رسول الله ﷺ عن الطاعون فأخبرني رسول الله ﷺ أنه كان عذابا يبعثه الله على من يشاء فجعله رحمة للمؤمنين فليس من رجل يقع الطاعون فيمكث في بيته صابرا محتسبا يعلم أنه لا يصيبه إلا ما كتب الله له إلا كان له مثل أجر الشهيد.<br></p> <p dir="ltr">হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ বলেন, আমি হুজুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মহামারী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি আমাকে বললেন, এটা আল্লাহ তায়ালা (আগের যুগের) যাকে ইচ্ছা আজাব হিসেবে প্রেরণ করতেন। অতঃপর মুমিনদের জন্য রহমত বানিয়ে দিলেন। অতঃপর যখন কোন ব্যক্তি মহামারীতে পড়ে এবং নিজের ঘরে ধৈর্য্য ধারণ করে সওয়াবের আশায় অবস্থান করে, এবং সে জানে আল্লাহ পাক তার জন্য যা লিখে রেখেছেন তা ছাড়া কিছুই তাকে স্পর্শ করবে না। তার জন্য রয়েছে শহিদের সমান সওয়াব।<br></p> <p dir="ltr">সুবহানাল্লাহ।  <br></p> <p dir="ltr">লক্ষ্য করুন প্লিজ নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কী বলেছেন!<br></p> <p dir="ltr"> فيمكث في بيته صابرا محتسبا<br></p> <p dir="ltr">"সওয়াবের আশায় নিজের ঘরে ধৈর্য্য ধারণ করে  অবস্থান করে"। যদিও বুখারিতে এসেছে " যে নিজের এলাকায় বা দেশে অবস্থান করে", "ফি বালাদিহি"। আসলে বিষয় একই। যে যার যার অবস্থানে থাকুন, ঘরে থাকুন, বাড়িতে থাকুন। ঘর হতে বের হবেন না। <br></p> <p dir="ltr">#Stay_at_Home </p> <p dir="ltr">#ঘরে_থাকুন</p>

মহামারী বিষয়ে আলা হযরত (রহ.) এর সচেতনতামূলক ফতোয়া

ইমাম আহমদ রেজা খান ফাজিলে বেরেলভি রাহঃ আসলেই এক মহাবিস্ময়ঃ ঘরে থাকুন মহামারীর সময়ে ----------------------------------------- সৈয়দ গোলাম কি...

Read more »

ইমাম মাহদী (আ.) এর আগমন কখন হবে? তাঁর বৈশিষ্ট্য।

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> #প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদী</div> <div style="text-align: justify;"> #হাদীসের আলোকে ইমাম মাহদী</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://1.bp.blogspot.com/-Z1pJ18UNneo/Xnn3xNr1pwI/AAAAAAAAKio/G68Xb5yqjGIgJRFVwwxg_HOHikc1yHd3QCNcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200324_180142.webp" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="645" data-original-width="1080" height="191" src="https://1.bp.blogspot.com/-Z1pJ18UNneo/Xnn3xNr1pwI/AAAAAAAAKio/G68Xb5yqjGIgJRFVwwxg_HOHikc1yHd3QCNcBGAsYHQ/s320/IMG_20200324_180142.webp" width="320" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> (১)হযরত আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন,রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন,সেদিন তোমাদের অবস্থা কেমন হবে যেদিন মারইয়াম তনয় হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম আসমান থেকে অবতরণ করবেন এবং তোমাদের ইমাম তোমাদের মধ্য হতে আবির্ভূত হবেন?</div> <div style="text-align: justify;"> [সহীহ বুখারী:হাদীস নং-৩২৬৫,সহীহ মুসলিম :-হাদীস নং ১৫৫,সহীহ ইবনে হিব্বান : হাদীস নং ৬৮০২,ফাতহুল বারী : ৪৯৩/৬]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> (২)হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাস'ঊদ রদ্বিয়াল্লাহ আনহু হতে বর্ণিত,নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন-ক্বিয়ামত তখন পর্যন্ত সংঘটিত হবেনা,যতক্ষণ না আমার আহলে বায়তের এক মহান ব্যক্তিত্ব আরবের বাদশাহ হবেন,  তাঁর নাম হবে আমার নাম মোতাবেক।</div> <div style="text-align: justify;"> [তিরমিযী শরীফ: হাদীস নং ২২৩, সুনানি আবূ দাঊদ: হাদীস নং ৪২৮২, মূসনাদে আহমাদ :হাদীস নং ৪২৭৯, মু'জামুল কাবীর: হাদীস নং ২২৩, মুসতাদরেক :হাদীস নং ৮৩৬৪]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> (৩)হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাস'ঊদ রদ্বিয়াল্লাহ তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত,রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম  ইরশাদ করেন-আমার আহলে বায়ত হতে এক ব্যাক্তি খলিফা হবেন,যার নাম আমার মত হবে।হযরত আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত এক রেওয়ায়াতে আছে যে,ক্বিয়ামত হতে যদি শুধুমাত্র একটি দিনও অবশিষ্ট থাকে তবে আল্লাহ তা'আলা ওই দিনকে এতবেশি বরকতময় করে দেবেন যে,ওই একদিনেই ইমাম মাহদী আলায়হিস সালাম খলিফা হয়ে যাবেন।</div> <div style="text-align: justify;"> -[তিরমিযী শরীফ:হাদীস নং ২২৩১,সূনানে আবূ দাঊদ:হাদীস নং ৪২৮২, মুসনাদে আহমাদ :হাদীস নং ৩৫৭১,মু'জামুল কাবীর:হাদীস নং ১০২১৫]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> (৪)হযরত আবূ সা'ঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহ আনহু হতে বর্ণিত,তিনি বলেন,নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন-মাহদী আমার বংশ হতে।তার চেহারা খুব নূরানী আলোকময়, তার নাক হবে সুতীক্ষ্ণ। সে পৃথিবীতে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবে। যেমিন তার পূর্বে পৃথিবী অন্যায় ও বিশৃঙ্খলায় পূর্ণ ছিল।</div> <div style="text-align: justify;"> [আবূ দাঊদ:৪২৮,মুসতাদরেক হাকেম:৮৪৩৮]</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> #প্রসঙ্গ কথা:*এইরকম প্রায় আরো অনেক সহীহ হাদীস আছে ইমাম মাহদী আলায়হিমুস সালাম এর ব্যাপারে,সময় সংক্ষেপনের কারণে তুলে আনতে সক্ষম হওয়া উঠে নাই এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।এখনো রসূলের হাদীস অনুসারে বিভিন্ন আলামত দেখা যাচ্ছে ইমাম মাহদীর ব্যাপারে।তাই অনেকে হয়ত বলেই ফেলছে যে,"ইমাম মাহদী মনে হয় এই বছরে কিংবা ২০২৬ সালে চলে আসবে"।কিন্তু এই ব্যাপারে ইমামে আহলে সুন্নাত আ'লা হযরত আহমদ রেযা রহমাতুল্লাহী তা'আলা আলায়হি কি বলেন সেটা আমাদের দেখতে হবে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> জৈনক ব্যাক্তি #ইমামের(আ'লা হযরত) কাছে জানতে চাইলেন-ক্বিয়ামত কখন হবে এবং ইমাম মাহদীর আবির্ভাব কখন হবে?কোর-আন-হাদীসের উদ্ধৃতিসহ নাতিদীর্ঘ বক্তব্য দেওয়ার পর পরিশেষে আ'লা হযরত জবাব দিলেন-আমার মনে হয় হিজরী ১৮৩৭ সনের পর কোন ইসলামী রাষ্ট্র অবশিষ্ট থাকবে না এবং ১৯০০ হিজরী সনে ইমাম মাহদীর আত্মপ্রকাশ ঘটতে পারে।তিনি আরো বলেন,আমি ধারণাটুকু অর্জন করেছি সাইয়্যেদুল মুকাশিফীন শায়খে আকবার ইমাম মুহিউদ্দীন ইবনে আরাবী রদ্বিয়াল্লাহ আনহুর দর্শন হতে।</div> <div style="text-align: justify;"> হয়ত আপনারা অনেকেই জানেন যে,#ইমাম ওনার নিজ জীবদ্দশায় পবিত্র ক্বোর-আন এর দুইটি আয়াত হতে ওনার জন্ম ও ওফাত(মৃত্যু] শরীফের সাল নির্ণয় করেন,যা ওনার নির্ণয়কৃত সংখ্যার সাথে ৯৯% মিলে গিয়েছিল।</div> <div style="text-align: justify;"> আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।</div> </div>

ইমাম মাহদী (আ.) এর আগমন কখন হবে? তাঁর বৈশিষ্ট্য।

#প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদী #হাদীসের আলোকে ইমাম মাহদী (১)হযরত আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন,রসূলুল্লাহ সাল্লাল্ল...

Read more »

পৃথিবীর সমস্ত সমাধান শেষ, একমাত্র সমাধান আল্লাহর কাছে: ইতালির প্রধানমন্ত্রী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <a href="https://1.bp.blogspot.com/-eRzh0PjPk7c/Xnm0GRB1DGI/AAAAAAAABGg/O1ubGide85sovomSRab-VN2vsIw7kd-VgCLcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200324_131728.JPG" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="370" data-original-width="646" height="183" src="https://1.bp.blogspot.com/-eRzh0PjPk7c/Xnm0GRB1DGI/AAAAAAAABGg/O1ubGide85sovomSRab-VN2vsIw7kd-VgCLcBGAsYHQ/s320/IMG_20200324_131728.JPG" width="320" /></a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> করোনা ভাইরাসে আ’ক্রান্ত হয়ে দিনদিন মৃ’তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মৃ’ত্যু হয়েছে ৭১৫৮ জনের। এরইমধ্যে আ’ক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯০৬ জন। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৮২ হাজার ৬৮৮ জন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আ’ক্রান্ত ৩২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এদিকে, করোনাভাইরাসে মৃ’ত্যুর নীরিখে চীনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ই’তালি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯৩ জন মা’রা গিয়েছেন। করোনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এত ম’ত্যু বিশ্বের আর কোনো দেশে হয়নি।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এমতাবস্তায়, জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা ম’হামারির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে মা’রা গেছি। আর কী করতে হবে তা আমরা জানি না। পৃথিবীর সমস্ত সমাধান শেষ হয়ে গেছে। একমাত্র সমাধান আকাশের কাছে।’</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> করোনা ভাইরাসে আ’ক্রান্ত হয়ে দিনদিন মৃ’তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মৃ’ত্যু হয়েছে ৭১৫৮ জনের। এরইমধ্যে আ’ক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯০৬ জন। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৮২ হাজার ৬৮৮ জন। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আ’ক্রান্ত ৩২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এদিকে, করোনাভাইরাসে মৃ’ত্যুর নীরিখে চীনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ই’তালি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯৩ জন মা’রা গিয়েছেন। করোনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এত ম’ত্যু বিশ্বের আর কোনো দেশে হয়নি।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এমতাবস্তায়, জাতির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা ম’হামারির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছি। আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে মা’রা গেছি। আর কী করতে হবে তা আমরা জানি না। পৃথিবীর সমস্ত সমাধান শেষ হয়ে গেছে। একমাত্র সমাধান আকাশের কাছে।’</div> <br /> <div style="text-align: justify;"> </div> <br /> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; color: black; font-family: "Times New Roman"; font-size: medium; font-style: normal; font-variant-caps: normal; font-variant-ligatures: normal; font-weight: 400; letter-spacing: normal; orphans: 2; text-align: justify; text-decoration-color: initial; text-decoration-style: initial; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 2; word-spacing: 0px;"> <div style="margin: 0px;"> <br /></div> </div> </div>

পৃথিবীর সমস্ত সমাধান শেষ, একমাত্র সমাধান আল্লাহর কাছে: ইতালির প্রধানমন্ত্রী

করোনা ভাইরাসে আ’ক্রান্ত হয়ে দিনদিন মৃ’তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মৃ’ত্যু হয়েছে ৭১৫৮ জনের। এরইমধ্যে আ’ক্র...

Read more »

পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখ পবিত্র মি’রাজ শরীফের আমল ও রোযার বিষয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><br /><br />লা’মাযহাবীরা  পবিত্র ২৭ রজব তথা পবিত্র মি’রাজ শরীফের রাতে ইবাদত ও দিনে রোযা রাখার বিরোধিতা করে। তারা বলে- সুন্নীদের কাছে নাকি ‘গুন্ইয়াতুত তালিবীন’ ও ‘মাছাবাতা বিস সুন্নাহ’ ছাড়া আর কোনো কিতাবের দলীল নেই। নাউযুবিল্লাহ! আজকে আমরা দেখবো ‘গুন্ইয়াতুত তালিবীন’ ছাড়াও আরো অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফের দলীল মওজুদ আছে। সুবহানাল্লাহ! যদিও ঈমানদারদের জন্য ‘গুন্ইয়াতুত তালিবীন’ কিতাবই আমলের দলীল হিসাবে যথেষ্ট।<br /><br />প্রথমেই যে বিষয়টা জানা দরকার সেটা হচ্ছে- পবিত্র মি’রাজ শরীফের তারিখ কোনটি? সালাফী লা’মাযহাবীদের অন্যতম মান্য আল্লামা হযরত হাফিজ ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এ বিষয়ে বলেন,<br /><br /><br />أَنَّ الْإِسْرَاءَ كَانَ لَيْلَةَ السَّابِعِ وَالْعِشْرِينَ مِنْ رَجَبٍ.<br /><br /><br />অর্থ: অবশ্যই মি‘রাজ শরীফ সংঘটিত হয়েছে পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখ।(বেদায়া ওয়ান নিহায়া লি ইবনে কাছীর- ৩য় খন্ড ১৩৫ পৃষ্ঠা পৃ. দারু ইহ্য়িাউত তুরাস আল আরাবী, বয়রুত লেবানন)<br /><br /><br />হযরত ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আরেকটি মশহুর কিতাব সিরাতুন নববীয়ার ২ খন্ড ৯৩ পৃষ্ঠাতেও এই বর্ণনা করেছেন।<br /><br />পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফের কিতাব থেকে সনদসহ পবিত্র ২৭ রজব শরীফ বা মিরাজ শরীফের আমল ও রোযার পর্যালোচনা উল্লেখ করা হলো-<br /><br /><br />  أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنِي أَبُو نَصْرٍ رَشِيقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الرُّومِيُّ إِمْلَاءً مِنْ كِتَابِهِ بالطَّابِرانِ، أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْهَيَّاجِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فِي رَجَبٍ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ مَنْ صَامَ ذَلِكَ الْيَوْمَ، وَقَامَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ كَانَ كَمَنْ صَامَ مِنَ الدَّهْرِ مِائَةَ سَنَةٍ، وَقَامَ مِائَةَ سَنَةٍ وَهُوَ ثَلَاثٌ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ.<br /><br /><br />অর্থ: হজরত সায়্যিদুনা সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহু  থেকে  বর্ণিত। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, রজব মাসে এমন একটি দিন ও একটি রাত রয়েছে, যিনি এদিন রোযা রাখবেন, আর রাত জেগে ইবাদত করবেন, তবে তিনি যেন ১০০ বছরের রোযা রাখলেন এবং ১০০ বছরের রাত জেগে ইবাদত করলেন, আর তা হচ্ছে পবিত্র রজব উনার ২৭ তারিখ। সুবহানাল্লাহ! (শোয়াবুল ঈমান লিল বায়হাক্বী- বাবু তাকছিছু শাহরী রজব বিয যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৫পৃ, হাদিস-৩৫৩০,ফাদ্বায়িলুল আওকাত লিল বায়হাক্বী ১/৯৬,জামিউল আহাদীছ ১৪/৪৯৬: হাদীছ ১৪৮১২, কানযুল উম্মাল ১২/৩১২: হাদীছ ৩৫১৬৯,  জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড, নেদায়ে রাইয়ান ফি ফিক্বহিস সওমে ওয়া ফদলী রমাদ্বান ১/৪২১)<br /><br /><br />হাদীছ শরেীফের বিখ্যাত ইমাম হযরত বায়হাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সনদ সহকারে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন,<br /><br />أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنَا أَبُو صَالِحٍ خَلَفُ بْنُ مُحَمَّدٍ بِبُخَارَى، أَخْبَرَنَا مَكِّيُّ بْنُ خَلَفٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ أَحْمَدَ، قَالَا: حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْحُسَيْنِ، أَخْبَرَنَا عِيسَى وَهُوَ الْغُنْجَارُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ أَبَانَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: " فِي رَجَبٍ لَيْلَةٌ يُكْتَبُ لِلْعَامِلِ فِيهَا حَسَنَاتُ مِائَةِ سَنَةٍ، وَذَلِكَ لِثَلَاثٍ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ، فَمَنْ صَلَّى فِيهَا اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً يَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَسُورَةٌ مِنَ الْقُرْآنِ يَتَشَهَّدُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ، وَيُسَلِّمُ فِي آخِرِهِنَّ، ثُمَّ يَقُولُ: سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَسْتَغْفِرُ اللهَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَدْعُو لِنَفْسِهِ مَا شَاءَ مِنْ أَمْرِ دُنْيَاهُ وَآخِرَتِهِ، وَيُصْبِحُ صَائِمًا فَإِنَّ اللهَ يَسْتَجِيبُ دُعَاءَهُ كُلَّهُ إِلَّا أَنْ يَدْعُو فِي مَعْصِيَةٍ "<br /><br /><br />অর্থ: পবিত্র রজব মাসে একটি রাত আছে সে রাতের আমলকারীর সমস্ত আমলের ছওয়াব ১০০ গুণ করে লিপিবদ্ধ করা হয় সে রাতটি হলো পবিত্র ২৭শে রজব। যে ব্যক্তি ওই রাতে ১২ রাকায়াত নামায আদায় করবে যাতে পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ সহ অন্য কোনো পবিত্র আয়াত শরীফ পাঠ করবে প্রতি দু’রাকায়াতে তাশাহুদ (পবিত্র দুরূদ শরীফ ও দুয়ায়ে মাছুরাসহ) পাঠ শেষে সালাম ফিরাবে। এবং নিম্নোক্ত দুআ ১০০ বার পাঠ করবে,<br /><br />سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ<br /><br />অতপর ১০০ বার ইস্তেগফার পাঠ করবে অতপর ১০০ বার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবে। ওই ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যাণকর যত দোয়া করবে এবং সকালে রোযাদার অবস্থায় অবস্থান করবে তার সকল দোয়াই কবুল করা হবে, শুধুমাত্র গুনাহের কাজের জন্য দোয়া ব্যতীত। সুবহানাল্লাহ। (শোয়াবুল ঈমান লিল বায়হাক্বী- বাবু তাকছিছু শাহরী রজব বিল যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৬ পৃ, হাদিস-৩৫৩১,ফাদ্বায়িলুল আওকাত লিল বায়হাক্বী ১/৯৭ : হাদীছ ১২, তাবয়িনুল আযাব বিমা উরিদা ফি ফাদলি রজব ১/৩১, জামিউল আহাদীছ ১৪/৪৯৬ : হাদীছ ১৪৮১২,কানযুল উম্মাল ১২/৩১২: হাদীছ ৩৫১৭০,জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড বাবু হারফূ ফা,আসারুল মারফুয়া  ১/৬১ , তানযিয়াতু শরীয়াতিল মারফুয়া ২/৮৯)<br /><br /><br />সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সাইয়্যিদুনা মুহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব “গুন্ইয়াতুত তালিবীন” নামক কিতাবে পবিত্র শবে মি’রাজ তথা পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখের রোযার ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফগুলো বর্ণনা করেছেন যার সমর্থন ইমাম বায়হাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত জালালুদ্দীন সূয়ূতি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের কিতাব থেকেও পাওয়া যায়,<br /><br /><br />عَنْ حَضْرَتْ اَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ من صام يوم السابع والعشرين من رجب كتب له ثواب صيام ستين شهرا.<br /><br />অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি রজবুল হারাম শরীফ মাসের ২৭ তারিখে দিবাভাগে রোযা রাখবে তার আমলনামায় ৬০ মাসের রোযা রাখার ছওয়াব লেখা হবে। সুবহানাল্লাহ! (আল ইতহাফ ৫ম খ- পৃষ্ঠা ২০৮, আল মা’য়ানী আনিল হামলিল ইসফার প্রথম খ- ৩৬৭ পৃষ্ঠা, গুনিয়াতুত্ তালিবীন, ক্বিসমুস্ ছায়ালিস ৩৩২ পৃষ্ঠা)<br /><br /><br />এ প্রসঙ্গে উক্ত কিতাবে আরো বর্ণিত আছে,<br /><br />عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ وَحَضْرَتْ سَلْمَانْ الفَارِسِىْ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ان فى رجب يوما و ليلة من صام ذالك اليوم وقام تلك اليلة كان له من الاجر كمن صام مأة سنة وقامهما وهى لثلاث بقين من رجب.<br /><br />অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত সালমান ফারিসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা উভয়েই বর্ণনা করেন। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাসের এমন একটি দিন ও রাত আছে ওই রাত্রে যে ব্যক্তি ইবাদত-বন্দেগী করবে এবং দিবাভাগে রোযা রাখবে তার আমলনামায় ওই পরিমাণ ছওয়াব লেখা হবে যে পরিমাণ ছওয়াব কোনো ব্যক্তি একশত বছর রাতে ইবাদত-বন্দেগী করলে এবং একশত বছর দিনের বেলায় রোযা রাখলে তার আমলনামায় যেরূপ ছওয়াব লেখা হয়। আর সেই  রাত ও দিনটিই হচ্ছে রজবুল হারাম শরীফ মাসের ২৭ তারিখ তথা পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফের রাত ও দিনটি।” সুবহানাল্লাহ!<br /><br /><br />সুতরাং গুন্ইয়াতুত তালিবীন কিতাবে আছে কিন্তু অন্য কোনো হাদীছ শরীফের কিতাবে নেই বলে উড়িয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। গাউছুল আযম, সাইয়্যিদুনা মুহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছহীহ হাদীছ শরীফে আছে বিধায় উনার কিতাবে বর্ণনা করেছেন। আর গাউছুল আযম সাইয়্যিদুনা বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইলমে হাদীছের ইলিম কত যে গভীর, সেটাবিরোধিতাকারীদের জানার কথা নয়। সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাগদাদের সেই বিখ্যাত ‘নিজামীয়া মাদরাসা’য় লিখা পড়া করেছেন। উনার সীরাত মুবারকে বর্ণনা আছে- তিনি উক্ত মাদরাসায় ১৩টা বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের ইলম অর্জন করেন।<br /><br />উনাকে যখন হাদীছ শরীফের সর্বোচ্চ সনদপত্র দেয়া হয়, তখন বিশ্ব বিখ্যাত মুহাদ্দিস মুয়াল্লিমগণ উনাকে বলেন, “হে আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি! হাদীছ শরীফ শাস্ত্রে সনদ দানের এই নিয়ম অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আপনাকে সনদ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে, হাদীছ শস্ত্রের ব্যাখ্যা, এর মর্ম উদঘাটন, যাবতীয় বিষয়ে আমরাই আপনার দ্বারা উপকৃত হয়েছি। আপনার সুগভীর ইলম ও প্রতিভা,যুক্তি এবং অনুসন্ধিৎসার ফলে হাদীছ শাস্ত্র নতুনভাবে আমাদের জ্ঞানের আলো প্রদান করলো।” (দলীল: সীরাতে মুহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি)<br /><br /><br />সুতরাং গাউছুল আযম সাইয়্যিদুনা মুহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইলমে হাদীছ সর্ম্পকে কথা বলার কোনো সুযোগই নাই।<br /><br /><br />পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখের রোযা সর্ম্পকে আরো অনেক বর্ণনা অসংখ্য কিতাবের মধ্যে রয়েছে, সেখান থেকে কতিপয় বর্ণনা উল্লেখ করা হলো-<br /><br />عن عامر بن شبل الحرمى سمعت رجلا يحدث : أنه سمع أنس بن مالك يقول فى الجنة قصر لا يدخله إلا صوام رجب (ابن شاهين فى الترغيب)<br /><br />অর্থ: হযরত আমর ইবনে শুবল হারামি বলেন আমি এক ব্যক্তিকে বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছেন যে, তিনি বলেন,জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে, যেখানে পবিত্র রজব মাসের বিশেষ দিন (তথা ২৭ রজব) রোযদার ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। (জামিউল আহাদীছ লিস সূয়ুতী ৩৩/৬৪ : হাদীছ ৩৫৭৯২)<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://1.bp.blogspot.com/--EGS4tFkroI/XneOiWI_byI/AAAAAAAAKuc/pNL_WLjhykE2HHaRmAmdD-9FpAGftmM3ACLcBGAsYHQ/s1600/images-2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="400" data-original-width="725" height="176" src="https://1.bp.blogspot.com/--EGS4tFkroI/XneOiWI_byI/AAAAAAAAKuc/pNL_WLjhykE2HHaRmAmdD-9FpAGftmM3ACLcBGAsYHQ/s320/images-2.jpg" width="320" /></a></div><br /><br /><br />عن عامر بن شبل الحرمي سمعت رجلا يحدث أنه سمع أنس بن مالك يقول: "في الجنة قصر لا يدخله إلا صوام رجب". "ابن شاهين في الترغيب<br /><br />অর্থ: হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে, যেখানে পবিত্র রজবমাসের বিশেষ দিন তথা ২৭ রজব রোযাদার ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।(কানযুল উম্মাল ৮/৬৫৩: হাদীছ ২৪৫৮২)<br /><br /><br />وأخرج البيهقي والأصبهاني عن أبي قلابة رضي الله عنه قال : في الجنة قصر لصوام رجب<br /><br />অর্থ: হযরত আবু কিলাবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জান্নাতে একটি বিশেষ বালাখানা রয়েছে, পবিত্র রজব (২৭ তারিখ) এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বিশেষ বালাখানা দেয়া হবে। (আদ দররুল মানছুর লি সুয়ূতী ৭/৩৪৪)<br /><br /><br />أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، وَأَبُو مُحَمَّدِ بْنُ أَبِي حَامِدٍ الْمُقْرِئُ، قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ هُوَ الْأَصَمُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْبُرُلُّسِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا عَامِرُ بْنُ شِبْلٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا قِلَابَةَ يَقُولُ: " فِي الْجَنَّةِ قَصْرٌ لِصُوَّامِ رَجَبٍ " . قَالَ أَحْمَدُ: " وَإِنْ كَانَ مَوْقُوفًا عَلَى أَبِي قِلَابَةَ وَهُوَ مِنَ التَّابِعِينَ، فَمِثْلُهُ لَا يَقُولُ ذَلِكَ إِلَّا عَنْ بَلَاغٍ عَمَّنْ فَوْقَهُ مِمَّنْ يَأْتِيهِ الْوَحْيُ، وَبِاللهِ التَّوْفِيقُ<br /><br />হযরত ইমাম বায়হাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি আবু কিলাবা রদ্বিয়াল্লাহু উনার ছহীহ সনদে বর্ণনা করেন, জান্নাতে একটি বিশেষ বালাখানা রয়েছে। পবিত্র রজব (২৭ তারিখ) এর দিনে রোযা পালনকারীদেরকে বিশেষ বালাখানা  দেয়া হবে। (শুয়াবুল ঈমান লি বায়হাকী ৫/৩৩৭: হাদীছ ৩৫২১)<br /><br /><br />أخبرنا أبو نصر بن صاعد الحوشي، ثنا محمد بن يعقوب، ثنا إبراهيم بن سليمان، ثنا عبد الله بن يوسف، ثنا عامر بن شبل قال: سمعت أبا قلابة يقول:<br /><br />في الجنة قصر لصوام رجب<br /><br />বিখ্যাত কিতাব “তারগীব ওয়াত তারহীবে” ভিন্ন সনদে বর্ণিত আছে , জান্নাতে একটি বিশেষ বালাখানা রয়েছে। পবিত্র রজব (২৭ তারিখ) এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বিশেষ বালাখানা  দেয়া হবে। (তারগীব ওয়াত তারহীব ২/৩৯২: হাদীছ ১৮৪৮,ফায়দ্বুল কাদীর শরহে জামিউছ ছগীর ৪/২৭৭)<br /><br /><br />عن حضرت أبى قلابة قال : فى الجنة قصر لصوام رجب (ابن عساكر)<br /><br />হযরত আবু কিলাবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে, পবিত্র রজব (২৭ তারিখ) এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বালাখানায় দেয়া হবে। (জামিউল আহাদীছ লি সুয়ূতী ৪০/২৮৩ : হাদীছ ৪৩৯৫০, আল হাউয়ি লিল ফতোয়া ২/১৭১)<br /><br /><br />عن أبي قلابة قال: "في الجنة قصر لصوام رجب"<br /><br />বিখ্যাত কিতাব “ কানযুল উম্মালে” বর্ণিত আছে, জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে পবিত্র রজব এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বালাখানায় দেয়া হবে।(কানযুল উম্মাল ৮/৬৫৩: হাদীছ ২৪৫৮১)<br /><br /><br />قال عامر بن شبل: سمعت أبا قلابة يقول: في الجنة قصر لصوّام رجب<br /><br />আরো বর্ণিত আছে, জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে, পবিত্র রজব এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বালাখানায় দেয়া হবে। (মুখতাছারু তারিখু দিমাষ্ক ৪/৭২)<br /><br /><br />সুতরাং এত অসংখ্য ছহীহ দলীল থাকার পরও যারা পবিত্র রজব মাস উনার ২৭ তারিখের রোযা ও আমল নিয়ে বিরোধিতাকরে তারা মূলত বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী। তারা চায় না সাধারণ মানুষ বিশেষ রাতে নেক আমল করে আল্লাহওয়ালা হোক। নাউযবিল্লাহ!<br /><br /></div>

পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখ পবিত্র মি’রাজ শরীফের আমল ও রোযার বিষয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব

লা’মাযহাবীরা  পবিত্র ২৭ রজব তথা পবিত্র মি’রাজ শরীফের রাতে ইবাদত ও দিনে রোযা রাখার বিরোধিতা করে। তারা বলে- সুন্নীদের কাছে নাকি ‘গুন্ইয়াতুত তা...

Read more »

পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখ পবিত্র মি’রাজ শরীফের আমল ও রোযার বিষয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <br /> লা’মাযহাবীরা  পবিত্র ২৭ রজব তথা পবিত্র মি’রাজ শরীফের রাতে ইবাদত ও দিনে রোযা রাখার বিরোধিতা করে। তারা বলে- সুন্নীদের কাছে নাকি ‘গুন্ইয়াতুত তালিবীন’ ও ‘মাছাবাতা বিস সুন্নাহ’ ছাড়া আর কোনো কিতাবের দলীল নেই। নাউযুবিল্লাহ! আজকে আমরা দেখবো ‘গুন্ইয়াতুত তালিবীন’ ছাড়াও আরো অসংখ্য ছহীহ হাদীছ শরীফের দলীল মওজুদ আছে। সুবহানাল্লাহ! যদিও ঈমানদারদের জন্য ‘গুন্ইয়াতুত তালিবীন’ কিতাবই আমলের দলীল হিসাবে যথেষ্ট।<br /> <br /> প্রথমেই যে বিষয়টা জানা দরকার সেটা হচ্ছে- পবিত্র মি’রাজ শরীফের তারিখ কোনটি? সালাফী লা’মাযহাবীদের অন্যতম মান্য আল্লামা হযরত হাফিজ ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি এ বিষয়ে বলেন,<br /> <br /> <br /> أَنَّ الْإِسْرَاءَ كَانَ لَيْلَةَ السَّابِعِ وَالْعِشْرِينَ مِنْ رَجَبٍ.<br /> <br /> <br /> অর্থ: অবশ্যই মি‘রাজ শরীফ সংঘটিত হয়েছে পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখ।(বেদায়া ওয়ান নিহায়া লি ইবনে কাছীর- ৩য় খন্ড ১৩৫ পৃষ্ঠা পৃ. দারু ইহ্য়িাউত তুরাস আল আরাবী, বয়রুত লেবানন)<br /> <br /> <br /> হযরত ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার আরেকটি মশহুর কিতাব সিরাতুন নববীয়ার ২ খন্ড ৯৩ পৃষ্ঠাতেও এই বর্ণনা করেছেন।<br /> <br /> পবিত্র ছহীহ হাদীছ শরীফের কিতাব থেকে সনদসহ পবিত্র ২৭ রজব শরীফ বা মিরাজ শরীফের আমল ও রোযার পর্যালোচনা উল্লেখ করা হলো-<br /> <br /> <br />   أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنِي أَبُو نَصْرٍ رَشِيقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الرُّومِيُّ إِمْلَاءً مِنْ كِتَابِهِ بالطَّابِرانِ، أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْهَيَّاجِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فِي رَجَبٍ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ مَنْ صَامَ ذَلِكَ الْيَوْمَ، وَقَامَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ كَانَ كَمَنْ صَامَ مِنَ الدَّهْرِ مِائَةَ سَنَةٍ، وَقَامَ مِائَةَ سَنَةٍ وَهُوَ ثَلَاثٌ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ.<br /> <br /> <br /> অর্থ: হজরত সায়্যিদুনা সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহু  থেকে  বর্ণিত। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, রজব মাসে এমন একটি দিন ও একটি রাত রয়েছে, যিনি এদিন রোযা রাখবেন, আর রাত জেগে ইবাদত করবেন, তবে তিনি যেন ১০০ বছরের রোযা রাখলেন এবং ১০০ বছরের রাত জেগে ইবাদত করলেন, আর তা হচ্ছে পবিত্র রজব উনার ২৭ তারিখ। সুবহানাল্লাহ! (শোয়াবুল ঈমান লিল বায়হাক্বী- বাবু তাকছিছু শাহরী রজব বিয যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৫পৃ, হাদিস-৩৫৩০,ফাদ্বায়িলুল আওকাত লিল বায়হাক্বী ১/৯৬,জামিউল আহাদীছ ১৪/৪৯৬: হাদীছ ১৪৮১২, কানযুল উম্মাল ১২/৩১২: হাদীছ ৩৫১৬৯,  জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড, নেদায়ে রাইয়ান ফি ফিক্বহিস সওমে ওয়া ফদলী রমাদ্বান ১/৪২১)<br /> <br /> <br /> হাদীছ শরেীফের বিখ্যাত ইমাম হযরত বায়হাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সনদ সহকারে হাদীছ শরীফ বর্ণনা করেছেন,<br /> <br /> أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنَا أَبُو صَالِحٍ خَلَفُ بْنُ مُحَمَّدٍ بِبُخَارَى، أَخْبَرَنَا مَكِّيُّ بْنُ خَلَفٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ أَحْمَدَ، قَالَا: حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْحُسَيْنِ، أَخْبَرَنَا عِيسَى وَهُوَ الْغُنْجَارُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ أَبَانَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: " فِي رَجَبٍ لَيْلَةٌ يُكْتَبُ لِلْعَامِلِ فِيهَا حَسَنَاتُ مِائَةِ سَنَةٍ، وَذَلِكَ لِثَلَاثٍ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ، فَمَنْ صَلَّى فِيهَا اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً يَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَسُورَةٌ مِنَ الْقُرْآنِ يَتَشَهَّدُ فِي كُلِّ رَكْعَتَيْنِ، وَيُسَلِّمُ فِي آخِرِهِنَّ، ثُمَّ يَقُولُ: سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَسْتَغْفِرُ اللهَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَدْعُو لِنَفْسِهِ مَا شَاءَ مِنْ أَمْرِ دُنْيَاهُ وَآخِرَتِهِ، وَيُصْبِحُ صَائِمًا فَإِنَّ اللهَ يَسْتَجِيبُ دُعَاءَهُ كُلَّهُ إِلَّا أَنْ يَدْعُو فِي مَعْصِيَةٍ "<br /> <br /> <br /> অর্থ: পবিত্র রজব মাসে একটি রাত আছে সে রাতের আমলকারীর সমস্ত আমলের ছওয়াব ১০০ গুণ করে লিপিবদ্ধ করা হয় সে রাতটি হলো পবিত্র ২৭শে রজব। যে ব্যক্তি ওই রাতে ১২ রাকায়াত নামায আদায় করবে যাতে পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ সহ অন্য কোনো পবিত্র আয়াত শরীফ পাঠ করবে প্রতি দু’রাকায়াতে তাশাহুদ (পবিত্র দুরূদ শরীফ ও দুয়ায়ে মাছুরাসহ) পাঠ শেষে সালাম ফিরাবে। এবং নিম্নোক্ত দুআ ১০০ বার পাঠ করবে,<br /> <br /> سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ<br /> <br /> অতপর ১০০ বার ইস্তেগফার পাঠ করবে অতপর ১০০ বার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবে। ওই ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যাণকর যত দোয়া করবে এবং সকালে রোযাদার অবস্থায় অবস্থান করবে তার সকল দোয়াই কবুল করা হবে, শুধুমাত্র গুনাহের কাজের জন্য দোয়া ব্যতীত। সুবহানাল্লাহ। (শোয়াবুল ঈমান লিল বায়হাক্বী- বাবু তাকছিছু শাহরী রজব বিল যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৬ পৃ, হাদিস-৩৫৩১,ফাদ্বায়িলুল আওকাত লিল বায়হাক্বী ১/৯৭ : হাদীছ ১২, তাবয়িনুল আযাব বিমা উরিদা ফি ফাদলি রজব ১/৩১, জামিউল আহাদীছ ১৪/৪৯৬ : হাদীছ ১৪৮১২,কানযুল উম্মাল ১২/৩১২: হাদীছ ৩৫১৭০,জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড বাবু হারফূ ফা,আসারুল মারফুয়া  ১/৬১ , তানযিয়াতু শরীয়াতিল মারফুয়া ২/৮৯)<br /> <br /> <br /> সাইয়্যিদুল আউলিয়া, সাইয়্যিদুনা মুহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব “গুন্ইয়াতুত তালিবীন” নামক কিতাবে পবিত্র শবে মি’রাজ তথা পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখের রোযার ফযীলত সম্পর্কে হাদীছ শরীফগুলো বর্ণনা করেছেন যার সমর্থন ইমাম বায়হাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি, হযরত জালালুদ্দীন সূয়ূতি রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের কিতাব থেকেও পাওয়া যায়,<br /> <br /> <br /> عَنْ حَضْرَتْ اَبِـيْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِيّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ من صام يوم السابع والعشرين من رجب كتب له ثواب صيام ستين شهرا.<br /> <br /> অর্থ : “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু  থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি রজবুল হারাম শরীফ মাসের ২৭ তারিখে দিবাভাগে রোযা রাখবে তার আমলনামায় ৬০ মাসের রোযা রাখার ছওয়াব লেখা হবে। সুবহানাল্লাহ! (আল ইতহাফ ৫ম খ- পৃষ্ঠা ২০৮, আল মা’য়ানী আনিল হামলিল ইসফার প্রথম খ- ৩৬৭ পৃষ্ঠা, গুনিয়াতুত্ তালিবীন, ক্বিসমুস্ ছায়ালিস ৩৩২ পৃষ্ঠা)<br /> <br /> <br /> এ প্রসঙ্গে উক্ত কিতাবে আরো বর্ণিত আছে,<br /> <br /> عَنْ حَضْرَتْ اَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ وَحَضْرَتْ سَلْمَانْ الفَارِسِىْ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ان فى رجب يوما و ليلة من صام ذالك اليوم وقام تلك اليلة كان له من الاجر كمن صام مأة سنة وقامهما وهى لثلاث بقين من رجب.<br /> <br /> অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু এবং হযরত সালমান ফারিসী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনারা উভয়েই বর্ণনা করেন। হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাসের এমন একটি দিন ও রাত আছে ওই রাত্রে যে ব্যক্তি ইবাদত-বন্দেগী করবে এবং দিবাভাগে রোযা রাখবে তার আমলনামায় ওই পরিমাণ ছওয়াব লেখা হবে যে পরিমাণ ছওয়াব কোনো ব্যক্তি একশত বছর রাতে ইবাদত-বন্দেগী করলে এবং একশত বছর দিনের বেলায় রোযা রাখলে তার আমলনামায় যেরূপ ছওয়াব লেখা হয়। আর সেই  রাত ও দিনটিই হচ্ছে রজবুল হারাম শরীফ মাসের ২৭ তারিখ তথা পবিত্র শবে মি’রাজ শরীফের রাত ও দিনটি।” সুবহানাল্লাহ!<br /> <br /> <br /> সুতরাং গুন্ইয়াতুত তালিবীন কিতাবে আছে কিন্তু অন্য কোনো হাদীছ শরীফের কিতাবে নেই বলে উড়িয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। গাউছুল আযম, সাইয়্যিদুনা মুহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছহীহ হাদীছ শরীফে আছে বিধায় উনার কিতাবে বর্ণনা করেছেন। আর গাউছুল আযম সাইয়্যিদুনা বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইলমে হাদীছের ইলিম কত যে গভীর, সেটাবিরোধিতাকারীদের জানার কথা নয়। সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মুহিউদ্দীন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাগদাদের সেই বিখ্যাত ‘নিজামীয়া মাদরাসা’য় লিখা পড়া করেছেন। উনার সীরাত মুবারকে বর্ণনা আছে- তিনি উক্ত মাদরাসায় ১৩টা বিষয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের ইলম অর্জন করেন।<br /> <br /> উনাকে যখন হাদীছ শরীফের সর্বোচ্চ সনদপত্র দেয়া হয়, তখন বিশ্ব বিখ্যাত মুহাদ্দিস মুয়াল্লিমগণ উনাকে বলেন, “হে আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি! হাদীছ শরীফ শাস্ত্রে সনদ দানের এই নিয়ম অনেক দিন ধরেই চলে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আপনাকে সনদ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে, হাদীছ শস্ত্রের ব্যাখ্যা, এর মর্ম উদঘাটন, যাবতীয় বিষয়ে আমরাই আপনার দ্বারা উপকৃত হয়েছি। আপনার সুগভীর ইলম ও প্রতিভা,যুক্তি এবং অনুসন্ধিৎসার ফলে হাদীছ শাস্ত্র নতুনভাবে আমাদের জ্ঞানের আলো প্রদান করলো।” (দলীল: সীরাতে মুহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি)<br /> <br /> <br /> সুতরাং গাউছুল আযম সাইয়্যিদুনা মুহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ইলমে হাদীছ সর্ম্পকে কথা বলার কোনো সুযোগই নাই।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://1.bp.blogspot.com/-GF68Nh5GI6c/XneOCC1yJfI/AAAAAAAAKuM/AFbJTRSpjdE0Pe5SwA5z3sQvAMuJ_SVpwCLcBGAsYHQ/s1600/images-2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="400" data-original-width="725" height="176" src="https://1.bp.blogspot.com/-GF68Nh5GI6c/XneOCC1yJfI/AAAAAAAAKuM/AFbJTRSpjdE0Pe5SwA5z3sQvAMuJ_SVpwCLcBGAsYHQ/s320/images-2.jpg" width="320" /></a></div> <br /> <br /> <br /> পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখের রোযা সর্ম্পকে আরো অনেক বর্ণনা অসংখ্য কিতাবের মধ্যে রয়েছে, সেখান থেকে কতিপয় বর্ণনা উল্লেখ করা হলো-<br /> <br /> عن عامر بن شبل الحرمى سمعت رجلا يحدث : أنه سمع أنس بن مالك يقول فى الجنة قصر لا يدخله إلا صوام رجب (ابن شاهين فى الترغيب)<br /> <br /> অর্থ: হযরত আমর ইবনে শুবল হারামি বলেন আমি এক ব্যক্তিকে বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বলতে শুনেছেন যে, তিনি বলেন,জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে, যেখানে পবিত্র রজব মাসের বিশেষ দিন (তথা ২৭ রজব) রোযদার ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। (জামিউল আহাদীছ লিস সূয়ুতী ৩৩/৬৪ : হাদীছ ৩৫৭৯২)<br /> <br /> <br /> عن عامر بن شبل الحرمي سمعت رجلا يحدث أنه سمع أنس بن مالك يقول: "في الجنة قصر لا يدخله إلا صوام رجب". "ابن شاهين في الترغيب<br /> <br /> অর্থ: হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে, যেখানে পবিত্র রজবমাসের বিশেষ দিন তথা ২৭ রজব রোযাদার ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।(কানযুল উম্মাল ৮/৬৫৩: হাদীছ ২৪৫৮২)<br /> <br /> <br /> وأخرج البيهقي والأصبهاني عن أبي قلابة رضي الله عنه قال : في الجنة قصر لصوام رجب<br /> <br /> অর্থ: হযরত আবু কিলাবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জান্নাতে একটি বিশেষ বালাখানা রয়েছে, পবিত্র রজব (২৭ তারিখ) এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বিশেষ বালাখানা দেয়া হবে। (আদ দররুল মানছুর লি সুয়ূতী ৭/৩৪৪)<br /> <br /> <br /> أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، وَأَبُو مُحَمَّدِ بْنُ أَبِي حَامِدٍ الْمُقْرِئُ، قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو الْعَبَّاسِ هُوَ الْأَصَمُّ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سُلَيْمَانَ الْبُرُلُّسِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا عَامِرُ بْنُ شِبْلٍ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا قِلَابَةَ يَقُولُ: " فِي الْجَنَّةِ قَصْرٌ لِصُوَّامِ رَجَبٍ " . قَالَ أَحْمَدُ: " وَإِنْ كَانَ مَوْقُوفًا عَلَى أَبِي قِلَابَةَ وَهُوَ مِنَ التَّابِعِينَ، فَمِثْلُهُ لَا يَقُولُ ذَلِكَ إِلَّا عَنْ بَلَاغٍ عَمَّنْ فَوْقَهُ مِمَّنْ يَأْتِيهِ الْوَحْيُ، وَبِاللهِ التَّوْفِيقُ<br /> <br /> হযরত ইমাম বায়হাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি আবু কিলাবা রদ্বিয়াল্লাহু উনার ছহীহ সনদে বর্ণনা করেন, জান্নাতে একটি বিশেষ বালাখানা রয়েছে। পবিত্র রজব (২৭ তারিখ) এর দিনে রোযা পালনকারীদেরকে বিশেষ বালাখানা  দেয়া হবে। (শুয়াবুল ঈমান লি বায়হাকী ৫/৩৩৭: হাদীছ ৩৫২১)<br /> <br /> <br /> أخبرنا أبو نصر بن صاعد الحوشي، ثنا محمد بن يعقوب، ثنا إبراهيم بن سليمان، ثنا عبد الله بن يوسف، ثنا عامر بن شبل قال: سمعت أبا قلابة يقول:<br /> <br /> في الجنة قصر لصوام رجب<br /> <br /> বিখ্যাত কিতাব “তারগীব ওয়াত তারহীবে” ভিন্ন সনদে বর্ণিত আছে , জান্নাতে একটি বিশেষ বালাখানা রয়েছে। পবিত্র রজব (২৭ তারিখ) এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বিশেষ বালাখানা  দেয়া হবে। (তারগীব ওয়াত তারহীব ২/৩৯২: হাদীছ ১৮৪৮,ফায়দ্বুল কাদীর শরহে জামিউছ ছগীর ৪/২৭৭)<br /> <br /> <br /> عن حضرت أبى قلابة قال : فى الجنة قصر لصوام رجب (ابن عساكر)<br /> <br /> হযরত আবু কিলাবা রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে, পবিত্র রজব (২৭ তারিখ) এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বালাখানায় দেয়া হবে। (জামিউল আহাদীছ লি সুয়ূতী ৪০/২৮৩ : হাদীছ ৪৩৯৫০, আল হাউয়ি লিল ফতোয়া ২/১৭১)<br /> <br /> <br /> عن أبي قلابة قال: "في الجنة قصر لصوام رجب"<br /> <br /> বিখ্যাত কিতাব “ কানযুল উম্মালে” বর্ণিত আছে, জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে পবিত্র রজব এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বালাখানায় দেয়া হবে।(কানযুল উম্মাল ৮/৬৫৩: হাদীছ ২৪৫৮১)<br /> <br /> <br /> قال عامر بن شبل: سمعت أبا قلابة يقول: في الجنة قصر لصوّام رجب<br /> <br /> আরো বর্ণিত আছে, জান্নাতে একটি বালাখানা রয়েছে, পবিত্র রজব এর দিনে রোযা পালনকারীদের উক্ত বালাখানায় দেয়া হবে। (মুখতাছারু তারিখু দিমাষ্ক ৪/৭২)<br /> <br /> <br /> সুতরাং এত অসংখ্য ছহীহ দলীল থাকার পরও যারা পবিত্র রজব মাস উনার ২৭ তারিখের রোযা ও আমল নিয়ে বিরোধিতাকরে তারা মূলত বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী। তারা চায় না সাধারণ মানুষ বিশেষ রাতে নেক আমল করে আল্লাহওয়ালা হোক। নাউযবিল্লাহ!<br /> <br /></div>

পবিত্র রজব মাসের ২৭ তারিখ পবিত্র মি’রাজ শরীফের আমল ও রোযার বিষয়ে বিরোধিতাকারীদের আপত্তির জবাব

লা’মাযহাবীরা  পবিত্র ২৭ রজব তথা পবিত্র মি’রাজ শরীফের রাতে ইবাদত ও দিনে রোযা রাখার বিরোধিতা করে। তারা বলে- সুন্নীদের কাছে নাকি ‘গুন্ইয়াতুত...

Read more »

ইসলামের প্রতি তরুণদের আগ্রহ কম কেন?

<iframe allowfullscreen="" frameborder="0" height="270" src="https://www.youtube.com/embed/i6qMRxLfJ_w" width="480"></iframe>

ইসলামের প্রতি তরুণদের আগ্রহ কম কেন?

Read more »

সাবধান! রমজান মাসে আকাশ থেকে বিকট শব্দে আওয়াজ আসবে খুব শীঘ্রই

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div dir="ltr" id="docs-internal-guid-bf939542-7fff-6d9b-184b-339a8f86aead" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সাবধান! রমজান মাসে আকাশ থেকে বিকট শব্দে আওয়াজ আসবে খুব শীঘ্রইঃ </span></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://lh3.googleusercontent.com/-79obrHympag/XnT0S-5phZI/AAAAAAAAAvM/QQoC27fWrREM5_bvyFNp4WNNckYx4SdUgCLcBGAsYHQ/s1600/wp-1466181428026.jpeg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="350" data-original-width="525" height="213" src="https://lh3.googleusercontent.com/-79obrHympag/XnT0S-5phZI/AAAAAAAAAvM/QQoC27fWrREM5_bvyFNp4WNNckYx4SdUgCLcBGAsYHQ/s1600/wp-1466181428026.jpeg" width="320" /></a></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বে রমজান মাসে কয়েকটি নিদর্শন প্রকাশিত হবে। তার মধ্যে রমজান মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুক্রবার রাতে আকাশে বিকট শব্দে আওয়াজ হওয়া একটি নিদর্শন। আর এই নিদর্শনটি মানব জাতির জন্য একটি দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ ও বিপদ আপদের নিদর্শন। তাই প্রতিটি সচেতন মুসলমানের জন্য সামনের রমজান মাস গুলোতে আমাদের খুবই সচেতন থাকতে হবে। অন্যথায়, আমাদের গাফিলতির জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সতর্কবাণী সত্যেও আমরা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।</span></div> <br /> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১, জুলফি বিশিষ্ট একটি তারকা(আগ্নি শিখা) উদিত হবে। </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">--------------------------------------------------------------</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">**হযরত ওলীদ (রহঃ) কা’ব (রহঃ) হতে বর্ননা করেন,তিনি বলেন, হযরত মাহদি (আঃ) এর আগমনের পূর্বে পূর্বাকাশে জুলফি বিশিষ্ট একটি তাঁরকা উদিত হবে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৪২]</span></div> <br /> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">** হযরত কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এমন একটি তারকা উদিত হবে,যার আলো হবে চন্দ্রের আলোর ন্যায়।এরপর উক্ত তারকা সাপের ন্যায় কুন্ডুলি পাকাতে থাকবে।যার কারনে তার উভয় মাথা একটা আরেকটার সাথে মিলিত হওয়ার উপক্রম হবে। দীর্ঘকার রাত্রে দুইবার ভুমিকম্প হওয়া এবং আসমান থেকে জমিনের দিকে যে তারকাটি নিক্ষিপ্ত হবে,তার সাথে থাকবে বিকট আওয়াজ।এক পর্যায়ে সেটা পূর্বাকাশে গিয়ে পতিত হবে। যা দ্বারা মানুষ বিভিন্ন ধরনের বালা-মুসিবতের সম্মুখিন হবে। (হাদিস বড় হওয়ায় কেবল শেষ অংশ উল্লেখ করা হল)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৪৩ ]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">**আবু জাফর ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আলী (রহঃ) বলেন, "যখন পূর্বাকাশে ৩ দিন থেকে ৭ দিন পর্যন্ত আগুনের অগ্নিশিখা দেখতে পাবে, তখন আহলে মুহাম্মদ (ﷺ) এর (ইমাম মাহদীর) জন্য অপেক্ষা কর। একপর্যায়ে আল্লাহ তায়ালা (হযরত জিব্রাইল আঃ এর মাধ্যমে) মাহদী আঃ এর নাম ঘোষণা করবেন। যা পৃথিবীর সকল মানুষ শুনতে পাবে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(আল মুত্তাকী আল হিন্দিঃ আল বুরহান ফি আলামত আল মাহদী, পৃষ্ঠা নং - ৩২)</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">** " একটি বিরাট অগ্নি গোলক পূর্ব দিক থেকে উদিত হবে, যা ৩ দিন অথবা, ৭ দিন সারিবদ্ধভাবে দৃশ্যমান হবে। (বিস্ফোরণের) পর প্রচন্ড অন্ধকারে আকাশ ঢেকে যাবে। এটি (বিস্ফোরণের) পর নতুন ধরনের লালচে রঙের শিখা আকাশে দৃশ্যমান হবে, যা উষার আলোর মত দেখাবে না। এরপর এমন ভাষায় (হযরত জিব্রাইল আঃ এর) একটি ঘোষণা শোনা যাবে, যা পৃথিবীর সকল মানুষ বুঝতে পারবে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">( বারজানী, আল ইসায়া, পৃষ্ঠা - ১১৬)</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস প্রদেশের গ্রেন্ড রেপিট মিশিগানের Calvin College এর একদল গবেষক ও খ্যাতিমান জ্যোতির্বিজ্ঞানী প্রসেসর লরেন্স মুলনার বলেছেন, ২০২২ সালে এই প্রথম মানুষ খালি চোখে দুটি তারকার সংঘর্ষ দেখতে পাবে। তবে দুটি তারকার সংঘর্ষের পূর্বে পরস্পরের দিকে কয়েক দিন ঘুরতে থাকবে, এবং এদের আলো চাঁদের আলোর মত উজ্জ্বল হবে। এদের পরস্পরের সংঘর্ষের পর লাল রঙের আভা আকাশে ছড়িয়ে পরবে। যা American Astonomical Society (AAS) এর ২২৯ তম বৈঠকে এই গবেষণার বিষয়বস্তু উপস্থাপন করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে তারা  Binary system বা, একই কক্ষপথে চলা এই দুটি তারকার উপর নজরদারি করে আসছিল এবং তারা তারকা দুটিকে KIC9832227 নামে চিহ্নিত করেছেন। বিস্তারিত জানতে অবশ্যই এই ভিডিও গুলো দেখুনঃ</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <a href="https://youtu.be/OVUqEoqAsRE" style="text-decoration-line: none;"><span style="color: #1155cc; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">https://youtu.be/OVUqEoqAsRE</span></a></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <a href="https://youtu.be/IjLFm9AM-jw" style="text-decoration-line: none;"><span style="color: #1155cc; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">https://youtu.be/IjLFm9AM-jw</span></a></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <a href="https://youtu.be/-731nzyq4S4" style="text-decoration-line: none;"><span style="color: #1155cc; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">https://youtu.be/-731nzyq4S4</span></a><span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> (বাংলা ভাষায়)</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <a href="https://youtu.be/xkO92LO8F3E" style="text-decoration-line: none;"><span style="color: #1155cc; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">https://youtu.be/xkO92LO8F3E</span></a></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <a href="https://youtu.be/aq0NMA_wUxc" style="text-decoration-line: none;"><span style="color: #1155cc; font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">https://youtu.be/aq0NMA_wUxc</span></a></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইতোমধ্যেই ইহুদী বলতে শুরু করেছেন, এই তারকাটি "মাসিহ "এর আগমনের একটি চিহ্ন এবং বলতে শুরু করেছেন ২০২২ সালে মাসিহ এর আবির্ভাব হবে। কারন Old testament নাকি এই তারকাটি নিয়ে অনেক ভবিষ্যৎবাণী রয়েছে। এমনকি খ্রিস্টানরা ও বিশ্বাস করেন, এই তারকাটি যিশুর (হযরত ঈসা আঃ) এর পুনরায় পৃথিবীতে ফিরে আসার একটি নিদর্শন। যেমনঃ</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">"I will display wonders in the sky and on the earth, Blood, fire and columns of smoke.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(Joel : part - 02 verses - 30)</span></div> <br /> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">'AND I WILL GRANT WONDERS IN THE SKY ABOVE AND SIGNS ON THE EARTH BELOW, BLOOD, AND FIRE, AND VAPOR OF SMOKE.</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(Acts : part - 02, verses 19)</span></div> <br /> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই তারকা (অগ্নি শিখা) কখন বিস্ফোরণ হবে? </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-----------------------------------------------------------------</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">** হযরত ফিরোজ দায়লামি (রাঃ)  বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (ﷺ) বলেছেন, “কোন এক রমজানে আওয়াজ আসবে।”সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! রমজানের শুরুতে? নাকি মাঝামাঝি সময়ে? নাকি শেষ দিকে?” রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, “না, বরং রমজানের মাঝামাঝি সময়ে। ঠিক মধ্য রমজানের রাতে। শুক্রবার রাতে আকাশ থেকে একটি শব্দ আসবে। সেই শব্দের প্রচণ্ডতায় সত্তর হাজার মানুষ সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলবে আর ৭০ হাজার বধির হয়ে যাবে।”</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, “হে আল্লাহর রাসুল! আপনার উম্মতের কারা সেদিন নিরাপদ থাকবে?”</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, “যারা নিজ নিজ ঘরে অবস্থানরত থাকবে, সিজদায় লুটিয়ে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং উচ্চ শব্দে আল্লাহু আকবর বলবে। পরে আরও একটি শব্দ আসবে। প্রথম শব্দটি হবে জিব্রাইল (আঃ) এর, দ্বিতীয়টি হবে শয়তানের। ঘটনার পরম্পরা এরূপঃ (Red nova বিস্ফোরণের) শব্দ আসবে রমজানে। ঘোরতর যুদ্ধ সংঘটিত হবে শাওয়ালে। আরবের গোত্রগুলো বিদ্রোহ করবে জুলকা’দা মাসে। হাজী লুণ্ঠনের ঘটনা ঘটবে জিলজ্জ মাসে। আর মুহাররমের শুরুটা আমার উম্মতের জন্য বিপদ। শেষটা মুক্তি। সেদিন মুসলমান যে বাহনে চড়ে মুক্তি লাভ করবে, সেটি তার কাছে এক লাখ মূল্যের বিনোদন সামগ্রীতে পরিপূর্ণ ঘরের চেয়েও বেশি উত্তম বলে বিবেচিত হবে।”</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, খণ্ড ৭, পৃষ্ঠা ৩১০)</span></div> <br /> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হাদিস ও বিজ্ঞানীদের গবেষণা এবং Red nova star এর বিস্ফোরণ অনুযায়ী ২০২২ সালের ১৬ই এপ্রিল বা, ১৪ ই রমজান শুক্রবার ভোর রাতে, ঠিক ফজরের ওয়াক্তে এই বিস্ফোরণটি হবে (সৌদি আরবের সময় অনুযায়ী) আর বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী মধ্যরাতে। তাই সামনের দিনগুলোতে বিশেষ করে রোজার মাসে অবশ্যই প্রতিটি মুসলমানের এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(তবে সুনির্দিষ্ট সময় কেবল আল্লাহ ভালো জানেন)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমি কেবল বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও হাদীসের তথ্য অনুযায়ী সময় বের করেছি। এটা ভূলও হতে পারে আবার সঠিকও হতে পারে।</span></div> <br /> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই তারকা (অগ্নি শিখা) দেখা দিলে আমাদের কি করতে হবে? </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">--------------------------------------------------------------</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">" আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, একটি অগ্নি গোলা/অগ্নি শিখা তোমাদেরকে ঘিরে ফেলবে।</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই আগুন বর্তমানে বেরেহাট উপত্যকায় সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। এই আগুন লোকদেরকে ঘিরে ফেলবে, মানুষ ও সম্পদ সমূহকে পুড়িয়ে ফেলবে। পৃথিবীর সর্বত্র এটা মেঘের মতো ঘুরে বেড়াবে। এই আগুনের তাপমাত্রা দিনের বেলা থেকে রাতের বেলা বেশি হবে। ইহা পৃথিবীর কেন্দ্রের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে, মানুষের মাথার উপর অবস্থান করতে থাকবে। এই আগুন ভয়ংকর শব্দ সৃষ্টি করতে থাকবে, যেমন  আকাশ ও স্থলভাগের মধ্যে বজ্রপাত হয় "।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">( গ্রন্থঃ মুখতাসার তাজকিরাহ, লেখকঃ ইমাম কুরতুবী রহঃ, পৃষ্ঠা - ৪৬১)</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এরশাদ করেছেন, যখন রমযান মাসে (Red nova star বিস্ফোরণের) বিকট আওয়াজ প্রকাশিত হবে,শাওয়াল মাসে যুদ্ধের ঝংকার শুনবে, জিলকদ মাসে বিভিন্ন গোত্রের মাঝে মতপার্থক্য দেখা দিবে, জিলহজ্ব মাসে রক্তপাত হবে। মুহাররম মাসে, মুহাররম কি? সে মাসে বিভিন্ন ধরনের মারামারি, হানাহানি, ঝগড়া-ফাসাদ চলতে থাকবে। একথাটি তিনি তিনবার বলেছেন। তিনি বলেন, আমরা জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ! জায়হাহ্ কি? জবাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এটা অর্ধ রমাযান মাসের জুমার রাত্রে প্রকাশ পাবে। যার কারণে ঘুমন্ত ব্যক্তিরা জাগ্রত হয়ে যাবে, দাড়ানো অবস্থায় থাকা লোকজন বসে যাবে, কুমারী নারীগন ভয়-আতঙ্কে পর্দার ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে। এটা হবে এক জুমার রাত্রিতে, এমন এক বৎসর যখন অধিকহারে ভুমিকম্প হবে। সুতরাং তোমরা জুমার দিন নামায আদায় করার সাথে সাথে ঘরে প্রবেশ করে দরজা-জানালা লাগিয়ে দিবে। নিজেদেরকে চাদরাবৃত করলেও কানকে সজাগ রাখবে। যখনই বিকট কোনো আওয়াজ শুনতে পাবে তখনই আল্লাহ্র দরবারে সেজদাবনত হয়ে যাবে এবং সুবহানাল কুদ্দুছ, সুবহানাল কুদ্দুছ বলতে থাকবে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৩৮ ]</span></div> <br /> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আমাদের যা করতে হবে? (সংক্ষেপে)</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-----------------------------------------------------</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">A) আল্লাহর কাছে সকল পাপের জন্য তাওবা করতে হবে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">B) শুক্রবার রাতে বিস্ফোরণের পূর্বেই নিজের ঘরে অবস্থান করতে হবে এবং দরজা জানালা সব বন্ধ করে দিতে হবে। কোন ভাবেই বাইরে বা, খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করা যাবে না।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">C) বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা মাত্রই জোরে জোরে তাকবির দিতে হবে, সেজদায় গিয়ে সুবহানাল কুদ্দুস সুবহানাল কুদ্দুস পাঠ করতে হবে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">D) এই তারকা (অগ্নি শিখা) নিদর্শন প্রকাশের পর মানব জাতির দুঃখ, দুর্দশা, কষ্ট, দুর্ভিক্ষ দেখা দিবে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">E) এক বছরের খাদ্য মজুদ করে রাখতে হবে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">F) যত দ্রুত সম্ভব শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যেতে হবে।</span></div> <br /> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">Red nova star বিস্ফোরণের পূর্বেই এক বছরের জন্য খাদ্য মজুদ করে রাখতে হবেঃ</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">-----------------------------------------------------------------</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">** হযরত কাসির ইবনে মুররা আল হাজরনী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রমাযান মাসে আসমানে বিভিন্ন আলামত (Red nova Starবিস্ফোরণ) প্রকাশ পেতে থাকলে মানুষের মাঝে ব্যাপক এখতেলাফ (মতপার্থক্য) দেখা দিবে । তুমি এমন অবস্থা প্রাপ্ত হলে (দেখলে) তোমার সাধ্যানুযায়ী খাবারের মজুদ করে রাখ।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৩৪ ]</span></div> <br /> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">** হযরত খালেদ ইবনে মা’দান (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অতিসত্ত্বর পূর্বদিক থেকে আগুনের তৈরি পিলারের ন্যায় এক নিদর্শন প্রকাশ পাবে। যেটা জমিনের সকলে দেখবে। তোমাদের কেউ এমন যুগ প্রাপ্ত হলে, সে যেন তার পরিবারের জন্য এক বৎসরের খোরাকী (খাদ্য) প্রস্তুত রাখে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৩৩ ]</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কেন আমাদেরকে ১ বছরের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করে রাখতে হবে? </span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">--------------------------------------------------------------</span></div> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও তার সাহাবীরা কেন পূর্বাকাশে উজ্জ্বল তারকা দেখলে আমাদেরকে এক বছরের জন্য খাদ্য মজুদ করে রাখতে বলেছেন, তা একটু বৈজ্ঞানিক ভাবে ব্যাখ্যা করা প্রয়োজন।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১, Red nova star বিস্ফোরণের পর মেঘের মতো যে লাল আভা আকাশে ছড়িয়ে পরবে, সেগুলো মূলত তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। কারন, KIC9832227 দুটি তারকা তে অগ্নি পরিবাহী উপাদান রয়েছে। আর এগুলো তাপমাত্রা বৃদ্ধির আরো একটি কারন হল, এসব ছড়িয়ে পরা উপাদান গুলোতে আবার সূর্যের তাপ পরবে। সহজ ভাষায় বললে, মনে করেন এখন স্বাভাবিক তাপমাত্রা হল ৩৫°ডিগ্রি থেকে 45°ডিগ্রি। কিন্তু Red nova বিস্ফোরণের পর তাপমাত্রা হবে ৭০° ডিগ্রি থেকে ৮০°ডিগ্রি।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আর তাপমাত্রা যখন ৭০° ডিগ্রি থেকে ৮০° ডিগ্রি হবে, স্বাভাবিক ভাবেই মাঠের সকল ফসল ফলাদি জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। নদ নদী, খাল বিল, পুকুরের পানি শুকিয়ে যাবে। এমনকি ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ও নিচে নেমে যাবে। গবাদি পশু গরু, ছাগল, ভেড়া, গাদা, হাস, মুরগি সব মরে যাবে। এমনকি পোকা মাকর, অন্যান্য বন্য প্রাণী গুলো ও মরে যাবে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২, গাছ পালা, শাক সবজি এগুলো মূলত সূর্যের তাপ, আলো, পানি ও কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহনের মাধ্যমে বেড়ে উঠে এবং ফুল, ফল-মূল ও অক্সিজেন দেয়। কিন্তু যখন ৪০ দিন সূর্যের আলো পৃথিবীতে পরবে না, তখন স্বাভাবিক ভাবেই মাঠের ফসল ফলাদি ও শাক সবজি গুলো নষ্ট হয়ে যাবে এবং অত্যধিক তাপমাত্রার কারনে জ্বলে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে।</span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩, যখন তাপমাত্রা ৭০° ডিগ্রি থেকে ৮০° ডিগ্রি হয়ে যাবে, তখন খুব দ্রুতই এন্টার্কটিকা, গ্রীনল্যান্ড, সাইবেরিয়া অঞ্চল ও হিমালয় পর্বতের বরফ গলতে থাকবে। যার কারণে সমুদ্র পৃষ্ঠের পানির স্তর কয়েক মিটার বেড়ে যাবে। যার ফলে পৃথিবীর নিচু এলাকা গুলো যেমন বাংলাদেশের দক্ষিণ অঞ্চল, মালদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ সমূহ, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ইরাকের বসরা কুফা নগরী, কুয়েত সহ অন্যান্য এলাকা পানির নিচে চলে যাবে। আর হাদীসে ও আছে ইরাকের বসরা ও কুয়েত অঞ্চল সমূহ পানিতে ডুবে যাবে। </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাদিসে বর্ণিত আছে, "ইমাম মাহদীর আবির্ভাব পূর্বে এক তৃতীয়াংশ মানুষ মারা যাবে যুদ্ধ, বিগ্রহ, তরবারি ও রক্তপাতের কারনে। আর এক তৃতীয়াংশ মারা যাবে ক্ষুধা, দুর্ভিক্ষ ও মহামারীর কারনে"। </span></div> <br /> <div dir="ltr" style="line-height: 1.38; margin-bottom: 0pt; margin-top: 0pt; text-align: justify;"> <span style="font-family: "arial"; font-size: 11pt; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সামনের দিনগুলোতে যে আমাদের জন্য বিপদের পর বিপদ অপেক্ষা করছে, সেটা কেবল আখিরুজ্জামান নিয়ে পড়াশোনা করলে বুঝা যায়। তাই সময় থাকতেই আল্লাহর দিকে ফিরে আসুন নয়ত লাঞ্ছনা, অপমান, দুর্ভিক্ষ, ক্ষুধার তীব্র যন্ত্রনা আর ধুকে ধুকে মরার জন্য অপেক্ষা করুন।</span></div> </div>

সাবধান! রমজান মাসে আকাশ থেকে বিকট শব্দে আওয়াজ আসবে খুব শীঘ্রই

সাবধান! রমজান মাসে আকাশ থেকে বিকট শব্দে আওয়াজ আসবে খুব শীঘ্রইঃ  ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বে রমজান মাসে কয়েকটি নিদর্শন প্রকাশিত হ...

Read more »

এ বছর পৃথিবীতে আঘাত আনতে পারে এস্টেরয়েড ( Asteroid 1998 OR2)

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="font-family: "times new roman", times, serif; text-align: justify;"> <span style="font-size: large;">যারা শুধু মাত্র করোনায় ডুবে আছেন তাদের জন্য নতুন এবং খুবই ভয়ানক তথ্য;</span></div> <div style="font-family: "times new roman", times, serif; text-align: justify;"> <span style="font-size: large;"><span style="font-size: medium;"><br /></span> </span><br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <span style="font-size: large; margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><a href="https://lh3.googleusercontent.com/-C7ylMHmw8rw/XnTwv7tq6GI/AAAAAAAAAvA/PIuow_0wHOMoGVyAU9w5KWIdd9ysYrZHwCLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1584721901482.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="328" data-original-width="480" height="218" src="https://lh3.googleusercontent.com/-C7ylMHmw8rw/XnTwv7tq6GI/AAAAAAAAAvA/PIuow_0wHOMoGVyAU9w5KWIdd9ysYrZHwCLcBGAsYHQ/s1600/FB_IMG_1584721901482.jpg" style="border-style: none; height: auto; max-width: 75%;" width="320" /></a></span></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://1.bp.blogspot.com/-ut87vKpOAp0/XnYesFgDvCI/AAAAAAAAKho/v3gqbFnKEREqoUBUDz914CP_N9lTI8CWACNcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200321_200048.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1468" data-original-width="1080" height="400" src="https://1.bp.blogspot.com/-ut87vKpOAp0/XnYesFgDvCI/AAAAAAAAKho/v3gqbFnKEREqoUBUDz914CP_N9lTI8CWACNcBGAsYHQ/s400/IMG_20200321_200048.jpg" width="293" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://1.bp.blogspot.com/-VU4qXTb261U/XnYetaTgOCI/AAAAAAAAKhw/lvdHwnhNEUkCjH2NRYh6yQfRJXjmv9EUgCNcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200321_200111.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1600" data-original-width="910" height="400" src="https://1.bp.blogspot.com/-VU4qXTb261U/XnYetaTgOCI/AAAAAAAAKhw/lvdHwnhNEUkCjH2NRYh6yQfRJXjmv9EUgCNcBGAsYHQ/s400/IMG_20200321_200111.jpg" width="227" /></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://1.bp.blogspot.com/-97m6d7Yw-Fs/XnYetMNWkYI/AAAAAAAAKhs/sakNo-QxwCw1C2B1m92bjAoJQ31czX84QCNcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200321_200129.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1600" data-original-width="909" height="400" src="https://1.bp.blogspot.com/-97m6d7Yw-Fs/XnYetMNWkYI/AAAAAAAAKhs/sakNo-QxwCw1C2B1m92bjAoJQ31czX84QCNcBGAsYHQ/s400/IMG_20200321_200129.jpg" width="226" /></a></div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <br /></div> </div> <div style="text-align: justify;"> <span style="font-family: "times new roman" , "times" , serif;">নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এবছর ২৯শে এপ্রিল (৬ই রমজান) পৃথিবীর পাশ দিয়ে একটি এস্টেরয়েড যাবে। এস্টেরয়েডটির নাম "Asteroid (52768) 1998 OR2"। এর ব্যাস ১৩,৫০০ ফুট। ঐ দিন বিকাল ৩:২৬(বাংলাদেশ সময়) এটি দেখা যাবে।</span><br /> <span style="font-family: "times new roman" , "times" , serif;"><br /></span> <span style="font-family: "times new roman" , "times" , serif;">বিজ্ঞানীরা আশংকা করেছেন, পৃথিবীতে আঘাত আনতে পারে এই এস্টেরয়েড। অথবা এটি আকাশে বিস্ফোরিত হলে বিকট শব্দ হবে।</span><br /> <br /> <span style="font-family: "times new roman" , "times" , serif;">হাদীসে পাওয়া যায় যে, </span><br /> <span style="font-family: "times new roman" , "times" , serif;"><span style="background-color: white; color: #353535; font-family: Merriweather, "Times New Roman", Times, serif; text-align: start;">নুয়াইম বিন হাম্মাদ তার আল ফিতান গন্থের ৬৩৮ নাম্বার হাদিসে উল্লেখ করেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. এরশাদ করেছেন, যখন রমযান মাসে বিকট আওয়াজ প্রকাশিত হবে, শাওয়াল মাসে যুদ্ধের ঝংকার শুনবে, জিলকদ মাসে বিভিন্ন গোত্রের মাঝে মতপার্থক্য দেখা দিবে, জিলহজ্ব মাসে রক্তপাত হবে। তখন তোমরা কিয়ামতের জন্য প্রস্তুতি নাও।</span></span><br /> <span style="font-family: "times new roman" , "times" , serif;"><span style="background-color: white; color: #353535; font-family: Merriweather, "Times New Roman", Times, serif; text-align: start;"><br /></span></span> <span style="font-family: "times new roman" , "times" , serif;"><span style="background-color: white; color: #353535; font-family: Merriweather, "Times New Roman", Times, serif; text-align: start;">অপর হাদিসে, </span></span><span style="font-family: "times new roman", times, serif;">রাসূলুল্লাহ্ (স.) কেয়মতের আলামতের বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,</span><br /> <span style="font-family: "times new roman" , "times" , serif;"><br /></span> <span style="font-family: "times new roman" , "times" , serif;">"কিয়ামতের আগে কোনো এক রমজান মাসে আকাশে বিকট একটি শব্দ হবে। এতে অনেক মানুষ বোবা, বধির, অজ্ঞান হয়ে যাবে।"</span><br /> <br /> <span style="font-family: "times new roman" , "times" , serif;">আবার আল-কুরআনে আল্লাহ্ তায়ালা বলেন,</span><br /> <span style="font-family: "times new roman" , "times" , serif;"><br /></span> <span style="font-family: "times new roman" , "times" , serif;">"তোমরা কি নিশ্চিত হয়ে গেছো যে, আসমানে যিনি রয়েছেন তিনি তোমাদের উপর পাথর নিক্ষেপ করবেন না? তখন তোমারা জানতে পারবে কিরূপ ছিল আমার সতর্কবাণী।" </span><span style="font-family: "times new roman" , "times" , serif;"> (সূরা মূল্ক, আয়াত-১৭)</span></div> </div>

এ বছর পৃথিবীতে আঘাত আনতে পারে এস্টেরয়েড ( Asteroid 1998 OR2)

যারা শুধু মাত্র করোনায় ডুবে আছেন তাদের জন্য নতুন এবং খুবই ভয়ানক তথ্য; নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এবছর ২৯শে এপ্রিল (৬ই র...

Read more »

করোনা ভাইরাস:২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে মারা গেছেন আরও ৪৭৫ জন।

<div style="font-family: "Times New Roman"; text-align: justify;"> করোনা ভাইরাস:২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে মারা গেছেন আরও ৪৭৫ জন।</div> <div class="separator" style="clear: both; font-family: "Times New Roman"; text-align: center;"> <a href="https://1.bp.blogspot.com/-00UeLOKXK90/XnMUnxjc6RI/AAAAAAAABFo/XcU1fRhlvxYO7lUwiXrBfLhTTMiOngphACLcBGAsYHQ/s1600/IMG_20200319_123850.JPG" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="576" data-original-width="720" height="256" src="https://1.bp.blogspot.com/-00UeLOKXK90/XnMUnxjc6RI/AAAAAAAABFo/XcU1fRhlvxYO7lUwiXrBfLhTTMiOngphACLcBGAsYHQ/s320/IMG_20200319_123850.JPG" width="320" /></a></div> <div style="font-family: "Times New Roman"; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman"; text-align: justify;"> করোনা ভাইরাসে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন আরও ৪৭৫ জন। এখন পর্যন্ত যেকোনও দেশে করোনায় একদিনে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। খবর: বিবিসি।</div> <div style="font-family: "Times New Roman"; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman"; text-align: justify;"> করোনা ভাইরাসে চীনের পর বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইতালি। সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪ হাজার ২০৭ জনের শরীরে এনসিওভি-১৯ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৭১৩ জন। এদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৯৭৮ জন।</div> <div style="font-family: "Times New Roman"; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman"; text-align: justify;"> প্রায় দুই সপ্তাহ ধরেই অবরুদ্ধ গোটা ইতালি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে। জনগণকে আপাতত বাড়ির বাইরে বের না হতে অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।</div> <div style="font-family: "Times New Roman"; text-align: justify;"> <br /></div> <div style="font-family: "Times New Roman"; text-align: justify;"> এ পর্যন্ত বিশ্বের অন্তত ১৭০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এতে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ২ লাখ ১২ হাজার ৮৭০ জন। প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৮৯ জন। এ পর্যন্ত ৮৪ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার মাধ্যম সুস্থ হয়ে উঠেছেন।</div> <div style="font-family: "Times New Roman"; text-align: justify;"> <br /></div> <br /> <div style="font-family: "Times New Roman"; text-align: justify;"> </div> <br /> <div style="-webkit-text-stroke-width: 0px; color: black; font-family: "Times New Roman"; font-size: medium; font-style: normal; font-variant-caps: normal; font-variant-ligatures: normal; font-weight: 400; letter-spacing: normal; orphans: 2; text-align: justify; text-decoration-color: initial; text-decoration-style: initial; text-indent: 0px; text-transform: none; white-space: normal; widows: 2; word-spacing: 0px;"> <div style="margin: 0px;"> ইত্তেফাক/বিএএফ</div> </div>

করোনা ভাইরাস:২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে মারা গেছেন আরও ৪৭৫ জন।

করোনা ভাইরাস:২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে মারা গেছেন আরও ৪৭৫ জন। করোনা ভাইরাসে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ...

Read more »