সুরমা নিউজ :
করোনা ভাইরাসের উঁকি-ঝুঁকিতে টেনশনে গোটা সিলেটবাসী। একের পর এক ধাক্কায় বুকে কাঁপন ধরলে, ফলাফলে এখনও করোনা মুক্ত সিলেট। সর্বশেষ শনিবার ফিনল্যান্ডের এক নাগরিককে ঘিরে সিলেটে চলছিলো করোনাভাইরাসের আলোচনা। রবিবার সিলেট শহিদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের কোয়ারেন্টিন থেকে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থাও অনেকটা ভাল। এ নিয়ে সিলেটে মোট ৮ জনকে করোনা আক্রান্তের সন্দেহ করা হলেও শেষঅবধি ৫ জনের রিপোর্টে এ রোগ ধরা পড়েনি। আর ৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভাল আছেন বলে জানা গেছে। করোনা গ্রাসের কবল থেকে এখন্ও সিলেট নিরাপদ থাকার নৈপথে এ মাঠির পবিত্রতার শেকড় অনুভব করছেন। এ মাঠিতে সাথে মিশে আছে ইসলাম ধর্মের প্রচারক ওলী-আউলিয়ার অশেষ স্মৃতি। তাদের কারনেই এ্ অঞ্চলের মানুষ ইসলামের সুমাহান আদর্শে আত্মসমর্পণ মুক্তির পথ গ্রহন করেছি।

সিলেটে সর্বপ্রথম কানাইঘাটের দুবাই প্রবাসী এক যুবকের শরীরে করোনা সন্দেহে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সিলেটে প্রথম করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এই যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করার পর গোটা সিলেট জুড়ে বিরাজ করছিল বড় ধরণের আতংক। দুবাই প্রবাসী এ যুবকের রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। অর্থাৎ তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। আর করোনা সন্দেহে এক নারীর মৃত্যুর পর সারা সিলেটের মানুষের মাঝে ছিল বড় ধরনের আতংক। পরে ঢাকা থেকে আসা রিপোর্টে মৃত এই নারীর শরীরে করোনাভাইরাস ধরা না পড়ায় সিলেটের মানুষ আপাতত যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। এর আগে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে আরেক যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারী শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি ছিলেন।

গত রবিবার ঢাকা থেকে আসা রিপোর্টে এই নারীর শরীরেও করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি। হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি ৮ জনকে নিয়ে সিলেটের মানুষ পার করছিলেন উদ্বেগ-উঠকন্ঠায়। তাদের শরীরে যদি এই ভাইরাস ধরা পড়ে তাহলে সিলেটে করোনার বংশ বিস্তার লাভ করবে এমন আতংকে সময় পার করেছিলেন মানুষ। এপর্যন্ত সিলেটে ৮ জন হাসপাতালের আইসোলেশনে ছিলেন। এদের মধ্যে পাঁচ জনের শরীরে মহামারী করোনাভাইরাস ধরা পড়েনি। তাদেরকে হাসঅপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন দুই জন। একজন ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। অপর জন এক বৃদ্ধ। তাদের নমুনা ঢাকায় আজ পাঠানোর কথা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ডা. আনিছুর রহমান, জানান, শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ৩ জনের মধ্যে একজন ঢাকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। গত শনিবার রাতে ঢাকা থেকে সিলেটে আসার পথে অসুস্থবোধ করলে বাড়ি না গিয়ে সোজা শামসুদ্দিন হাসপাতালে চলে আসেন তিনি। এরপর শনিবার রাত থেকেই এই হাসপাতলের কোয়ারেন্টিন বিভাগে চিকিৎসাধিন ওই ছাত্র। আছেন। অপরদিকে, ৮০ বছরের এক বৃদ্ধের নিউমোনিয়া জ্বর ও সর্দি-কাশি থাকায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসাপাতাল থেকে শামসুদ্দিন হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার অবস্থাও উন্নতির দিকে আছে। এছাড়াও শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের কোয়ারেন্টিন বিভাগে বর্তমানে আরেকজন চিকিৎসাধিন। পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে তাকে। তার অবস্থাও খারাপ নয়।

এদিকে, শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধিন থাকা যুক্তরাজ্য প্রবাসীর পরীক্ষার রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ আসায় তাকে গতকাল (শনিবার) বাড়িতে ‘হোম কোয়ারেন্টিনে’ পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

 
Top