❏ প্রশ্ন-১৬১: হাবিল ও কাবিলের ঘটনা কোন তফসীরে আছে?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-7b5c5ff0-7fff-1202-6e6a-375d7db54ab3"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৬১: وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ ابْنَيْ آدَمَ ...... فَأَصْبَحَ مِنَ الْخَاسِرِينَ   (সূরা মায়েদা, পারা নং-৬) আয়াতটির তাফসীর কী?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: হে হাবিব! ওই সব লোকদেরকে হযরত আদমের দু’পুত্র হাবিল ও কাবিল এর বাস্তব ঘটনা ও কাহিনী পড়ে শোনান। যখন তারা আল্লাহর সমীপে উৎসর্গ নিবেদন করে তখন তাদের মধ্যে একজনের অর্থাৎ হাবিলের উৎসর্গ কবুল হয় এবং অন্যজনের অর্থাৎ কাবিলের উৎসর্গ কবুল হয়নি, তখন কাবিল হিংসার ক্রোধে বলতে লাগলো যে, আমি তোমাকে অবশ্যই হত্যা করবো। উত্তরে সে বললো, আল্লাহ কেবল পরহেযগারদের উৎসর্গ কবুল করেন। যদি তুমি আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আমার দিকে হাত প্রসারিত করো, তবে আমি কিন্তু তোমার দিকে হাত প্রসারিত করবো না, কেননা আমি আল্লাহকে ভয় করি। আমি তো চাই তুমি আমার ও তোমার নিজের উভয়ের পাপের বোঝা বহন করো এবং জাহান্নামীদের সাথে গিয়ে মিলো। আর এটাই হচ্ছে যালিমদের শাস্তি।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">একথা বলা সত্ত্বেও তার মন নিজ ভাইকে হত্যার প্রতি প্ররোচিত করলো। অবশেষে তাকে হত্যা করে নিজের আস্তানায় চলে আসলো। এরপর আল্লাহ তা‘আলা একটি কাক পাঠালেন। কাকটি মাটি খুঁড়তে লাগলো যাতে নিজের ভাইয়ের লাশ কিভাবে দাফন করতে হয় তা ওই ঘাতককে দেখিয়ে দেওয়া হয়। কাকটি কর্তৃক মাটি খোঁড়ার বিষয়টি দেখে সে আফসোসের স্বরে বলে ওঠলো, হায় বদ-নসীব! আমি এই কাকটির চেয়ে অধম, যদি আমি এই কাকটির মতোও বুদ্ধিমান হতাম! তাহলে নিজের ভাইয়ের লাশটি দাফন করতে পারতাম।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হাবিল শব্দটি হিব্রু ভাষার শব্দ এবং হযরত আদম (عليه السلام)’র পুত্রের নাম। হাবিল ও কাবিল দু’জন ছিলো ভাই। কাবিল করতো ক্ষেত-খামার এবং হাবিল ছাগল পালন করতো। তারা উভয়ে আল্লাহর সমীপে উৎসর্গ নিবেদন করে। কাবিল তার উৎসর্গের মধ্যে দিলো নিম্নমানের নিকৃষ্ট মাল এবং হাবিল দিলো তার বকরী পালের মধ্য হতে সর্বোত্তমটি। কাবিলের উৎসর্গ নামঞ্জুর হলো। ফলে কাবিলের মধ্যে প্রচন্ড ঘৃণাবোধ সৃষ্টি হলো। এই হিংসার আগুন তার মনে জ্বলতে রইলো। এক পর্যায়ে হযরত আদম (عليه السلام) হজ্বে গেলে সুযোগ পেয়ে সে নিজের ভাইকে হত্যা করলো এবং নিহত ভাইয়ের লাশ কাঁধে নিয়ে ঘুরতে লাগলো। কেননা পৃথিবীর বুকে এটা ছিলো সর্বপ্রথম মৃত্যুর ঘটনা। অবশেষে সে কাকের নিকট হতে দাফনের বিষয়টি জেনে নিলো। সে নিজের কাজ, অবস্থা ও পরিস্থিতির ব্যাপারে খুবই লজ্জিত হলো। কোরআন মজিদে এই কাহিনীটি এসব শব্দে বর্ণনা করা হয়েছে।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৬২: شهنشاه ‘শাহিনশাহ’ শব্দটির অর্থ কী, তার ব্যবহার জায়েয নাকি না-জায়েয?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: شهنشاه শাহিনশাহ শব্দটির অর্থ হচ্ছে রাজাধিরাজ। এটি শাহান শাহ শব্দদ্বয়ের সংক্ষিপ্ত রূপ। এ নামটি ধরে কাউকে ডাকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সুতরাং রাসূলুল্লাহ   বলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট যাবতীয় নাম সমূহের মধ্যে সর্বাধিক অপছন্দনীয় ও নিকৃষ্ট নাম হচ্ছে ‘মালাকুল আমলাক’ অর্থাৎ শাহিনশাহ নামটি। তার কারণ হচ্ছে এই নামটির সঠিক প্রয়োগস্থল কেবল আল্লাহ ছাড়া আর কেউ হতে পারে না। তিনিই রাজাধিরাজ, শাসকদের শাসক এবং আসমান-জমিনের অধিপতি।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وهو احكم الحاكمين له الملك فى السمٰوٰت والارض . </span></p><br>

❏ প্রশ্ন-১৬১: হাবিল ও কাবিলের ঘটনা কোন তফসীরে আছে?

❏ প্রশ্ন-১৬১: وَاتْلُ عَلَيْهِمْ نَبَأَ ابْنَيْ آدَمَ ...... فَأَصْبَحَ مِنَ الْخَاسِرِينَ   (সূরা মায়েদা, পারা নং-৬) আয়াতটির তাফসীর কী? ✍ উ...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৬৪: ‘শায়খ’ শব্দের ব্যাখ্যা কী?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-c8c0ce54-7fff-04ca-4d11-c385750524f1"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৬৪: ‘শায়খ’ শব্দের ব্যাখ্যা কী এবং ‘শায়খ’ কাকে বলা হয়?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: شيخ ‘শায়খ’ বলা হয় বৃদ্ধ লোককে। যার বহুবচন হচ্ছেشيوخ  ‘শুয়ুখ’ বা  اشياخ‘আশয়াখ’। কেউ কেউ বলেন, ‘শায়খ’ বলা হয় পঞ্চাশ বছরের ঊর্ধ্ব বয়স্ক লোককে। আবার কারো কারো মতে, একষট্টি বছরের ঊর্ধ্ব বয়স্ক লোককে ‘শায়খ’ বলা হয়। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘শায়খে ফানি’ বলা হয় ওই ব্যক্তিকে যে দৈনন্দিন দূর্বল থেকে দূর্বলতর হচ্ছে। ফিকহে হানাফীর পরিভাষায় ইমাম আবু হানিফা (رحمه الله تعالي ) ও ইমাম আবু ইউসুফকে (رحمه الله تعالي ) ‘শায়খাইন’ বলা হয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘আহলে হাদীস’ শায়খ বলে ওই ব্যক্তিকে যার নিকট হতে হাদীস রেওয়ায়ত করা হয়। তাদের পরিভাষায় ইমাম বুখারী (رحمه الله تعالي ) ও ইমাম মুসলিমকে (رحمه الله تعالي ) শায়খাইন বলা হয়। ‘আহলে তাসাউফ’ এর মতে শায়খ হচ্ছেন ওই ব্যক্তি যিনি  অন্তর—দৃষ্টির শক্তি বলে দুনিয়া ইত্যাদির জং-ময়লা মুরিদের অন্তর হতে দূর ও পরিষ্কার করে দেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">দর্শন শাস্ত্রের ইমাম ও শিক্ষক, জাতির নেতা এবং নও মুসলিমকেও শায়খ বলা হয়। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">পরিভাষায় কামিল মুকাম্মিল দরবেশকেও শায়খ বলা হয়। কেউ কেউ শায়খ শব্দের সংজ্ঞা দিয়েছেন এরূপ هو من يحى العظام الرميمة অর্থাৎ ‘ওই ব্যক্তিকে শায়খ বলা যায় যিনি মৃত হাড়কে জীবিত করতে পারেন।’</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৬৪: ‘শায়খ’ শব্দের ব্যাখ্যা কী?

❏ প্রশ্ন-১৬৪: ‘শায়খ’ শব্দের ব্যাখ্যা কী এবং ‘শায়খ’ কাকে বলা হয়? ✍ উত্তর: شيخ ‘শায়খ’ বলা হয় বৃদ্ধ লোককে। যার বহুবচন হচ্ছেشيوخ  ‘শুয়ুখ’ বা  اش...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৬৩: শীশ শব্দটি কোন ভাষার শব্দ এবং অর্থ কী?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-20fff586-7fff-8284-a96e-02274782d4fc"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৬৩: শীশ শব্দটি কোন ভাষার শব্দ এবং অর্থ কী? </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: এই নামটি সুরইয়ানী ভাষার শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর দান। কারো কারো মতে, এটা অনারবী শব্দ। বনি ইসরাইলের কিতাবসমূহে এর অর্থ পাওয়া যায় বদলা বা বিনিময় অর্থাৎ হাবিলের বিনিময় বা বিকল্প। তিনি হাবিলের হত্যাকান্ডের ৫ ( পাঁচ) বছর পর জন্মগ্রহণ করেন যখন হযরত আদম (عليه السلام) এর বয়স হয়েছিল দু’শ ত্রিশ বছর।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইবনে কুতাইবা মা’রিফ গ্রন্থে লিখেছেন যে, হযরত শীশ (عليه السلام) ছিলেন হযরত আদম (عليه السلام)’র সন্তানদের মধ্যে সর্বাধিক দয়ালু ও সুন্দর। তিনি ছিলেন হযরত আদম (عليه السلام)-এর অধিক সদৃশ। অন্যান্য সন্তানদের বিপরীতে তিনি এককভাবে বা একা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তারীখে তাবারীতে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে, বনি আদমের বংশধর তুফানের পর তাঁর উপরেই সমাপ্ত হয়। তাঁর ওপর পঞ্চাশটি সহীফা অবতীর্ণ হয়েছিল। তিনি প্রথমে প্রথমে ইবরানী ভাষায় কথা বলতেন। তাঁর ওপর যে সব সহীফা অবতীর্ণ হয়েছিল সেগুলোতে ছিল বিজ্ঞান, প্রকৌশল, সংগীত, গণিত, জ্যোর্তিবিজ্ঞান ইত্যাদি বিদ্যা ও শাস্ত্র। তাই ইউনানী হেকিমী শাস্ত্রের তাকে প্রথম শিক্ষক বা জনক বলে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘যাইনুল কাসাস’ গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে, আল্লাহ্ তা‘আলা হযরত শীশ (عليه السلام)কে প্রচুর সম্পদ দিয়েছিলেন। তিনি তা দিয়ে ব্যবসা করতেন এবং অধিকাংশ সম্পদ আত্মীয়-স্বজন, এতিম, মিসকীন ও মুসাফিরদের জন্য ব্যয় করতেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কতিপয় মুহাক্কিক ‘ফুসূসুল হিকম’ গ্রন্থের ব্যাখ্যাগ্রন্থে লিখেছেন, যখন হযরত আদম (عليه السلام) মৃত্যু শয্যায় আসীন হলেন তখন তার মনে জান্নাতী ফলের আকাঙ্খা সৃষ্টি হলো। হযরত জিবরাঈল (عليه السلام) একটি পাত্রে জান্নাতী ফল নিয়ে আসলেন। ওই পাত্রটি ছিল একটি হুরের (জান্নাতী রমণী) মাথার ওপর। হযরত আদম (عليه السلام) ফল খাওয়ার পর দু‘আ করলেন, হে আল্লাহ্! এই হুরটির সাথে শীশের বিয়ে হোক। আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দু‘আ কবুল করেন এবং হুরটির সাথে হযরত শীশ (عليه السلام) এর বিয়ে হলো। তিনি বয়স পেয়েছিলেন ৯১৩ বছর। অনুরূপ উল্লেখ রয়েছে ‘আল-আখবারুল আউয়াল’ গ্রন্থের মধ্যে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত মাওলানা রফিউদ্দিন দেহলভীর মতে হযরত আদমের    ইন্তিকাল হতে তিনি ১২৪৩ বছর বয়সে ওফাত লাভ করেন।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কেউ কেউ বলেন, তাঁকে নিজের পিতার কবরে দাফন করা হয়। আবার কারো মতে, তাঁকে বালাবাক্কা অঞ্চলের সুরাইন আমাল গ্রামে দাফন করা হয়। সেখানে মানুষ তাঁর কবর যিয়ারত করার জন্য যায়। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">221. ইসলামী মা’লুমাত, পৃষ্ঠা নং-৪৪৩।</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৬৩: শীশ শব্দটি কোন ভাষার শব্দ এবং অর্থ কী?

❏ প্রশ্ন-১৬৩: শীশ শব্দটি কোন ভাষার শব্দ এবং অর্থ কী?  ✍ উত্তর: এই নামটি সুরইয়ানী ভাষার শব্দ। এর অর্থ হচ্ছে আল্লাহর দান। কারো কারো মতে, এটা অ...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৬৭: উম্মে হানী (রা.) ও উম্মে সালমা (রা.) এর পরিচয়?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-d0e82b6c-7fff-0dc9-bdb6-6e75138c2ec0"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৬৭:  امّ هانىউম্মে হানীর মূল বা প্রকৃত নাম কি? হুযূর   তাঁর ঘর হতে কিভাবে মি‘রাজে গেলেন?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: উম্মে হানী হচ্ছেন হযরত আলী (رضى الله تعالي عنه)’র বোন এবং আবু তালিবের কন্যা। তার প্রকৃত নামের ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। কারো কারো মতে, তার নাম হচ্ছে হিন্দা কিংবা ফাতেমা বা ফাখতাহ। তার স্বামীর নাম হচ্ছে হুবায়রা বিন ওমর আল-মাখযুঈ। সে মুশরিক ছিল। মক্কা বিজয়ের দিন সে পালিয়ে গিয়েছিল, আর ওই সময়েই হযরত উম্মে হানী ইসলাম গ্রহণের কথা প্রকাশ করেন। তার নিকট হতে ৪৬টি হাদীস বর্ণিত আছে। মি‘রাজের রাতে হুযূর (ﷺ)  তার ঘরে তাশরীফ নিয়েছিলেন।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৬৮: হযরত উম্মে সালমা কে ছিলেন? তার ব্যাপারে কিছু আলোচনা কর।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: উম্মে সালমা ছিলেন হুযূর (ﷺ) এর অন্যতম স্ত্রী। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল হিন্দা। পিতার নাম আবু উমাইয়া এবং মাতার নাম আতেকা বিনতে আমের।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তিনি প্রথমে আবু সালমার বৈবাহিক বন্ধনে ছিলেন। তবে আবু সালমা যখন উহুদ যুদ্ধে শহীদ হলেন তখন হযরত আবু বকর (رضى الله تعالي عنه) তার নিকট বিবাহের প্রস্তাব পাঠালেন। এতে তিনি অসম্মতি প্রকাশ করলেন। এরপর হযরত ওমর (رضى الله تعالي عنه) রাসূলুল্লাহ  ’র পক্ষে বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে গেলেন তখন উম্মে সালমা বললেন, রাসূলুল্লাহ  কে স্বাগতম। তবে আমি বৃদ্ধা। তদুপরি আমার একজন এতিম পুত্রও রয়েছে। আমার স্বভাবে আত্মসম্ভ্রমবোধও প্রবল এবং আমার পৃষ্ঠপোষক বা মুরব্বীও বিদ্যমান নেই।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই জবাব পেয়ে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার নিকট তাশরীফ নিলেন এবং বললেন, বয়সে আমি তোমার চেয়ে বড়। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল হচ্ছেন এতিমদের অভিভাবক। আত্মসম্ভ্রমবোধ আল্লাহ তা‘আলা দূর করে দিবেন। মুরব্বী বা বড়দের উপস্থিতি প্রয়োজন। কেননা আমি এমন কোন ব্যক্তি নই যে আমার ব্যাপারে অসম্মতি জানাবে। তখন উম্মে সালমা স্বীয় নাবালেগ পুত্র ওমরকে বললো, আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)’র সাথে বিয়ে করিয়ে দাও। সে বিয়ে করিয়ে দিলো। হুযূর (ﷺ) তাকে যায়নাব (رضى الله تعالي عنه)-এর ঘরে রাখলেন। কেননা তখন তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন এবং তার ঘরটি খালি ছিল। এই ঘটনাটি ৬ষ্ঠ হিজরীর শাওয়াল মাসের ২ তারিখে সংঘটিত হয়েছিল। হাদীসের কিতাবাদিতে তার বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা হচ্ছে ৩৭৪টি। মুত্তাফাক আলাইহি ১৩টি, এককভাবে সহীহ বুখারীতে ১৩টি, এককভাবে সহীহ মুসলিমে ১৩টি এবং অবশিষ্ট হাদীসসমূহ অন্যান্য কিতাবে রয়েছে। তিনি ৫৬ হিজরী মতান্তরে ৬২ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। হযরত আবু হুরায়রা (رضى الله تعالي عنه) তার জানাযার নামায পড়ান এবং জান্নাতুল বকীতে তাকে দাফন করা হয়। তখন তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। প্রসিদ্ধ বর্ণনা মতে,  রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)’র অবশিষ্ট সকল স্ত্রীগণের পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">223. তিরমিযী শরীফ।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৬৯: ‘জাম্উল জামা’ কাকে বলা হয়?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: جمع الجمع এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে বহুবচনের বহুবচন। সুফিয়ায়ে কেরামদের মতে, আল্লাহর মধ্যে সম্পূর্ণভাবে বিলীন হওয়াকে جمع الجمع ‘জামউল জামা’ বলা হয়।</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৬৭: উম্মে হানী (রা.) ও উম্মে সালমা (রা.) এর পরিচয়?

❏ প্রশ্ন-১৬৭:  امّ هانىউম্মে হানীর মূল বা প্রকৃত নাম কি? হুযূর   তাঁর ঘর হতে কিভাবে মি‘রাজে গেলেন? ✍ উত্তর: উম্মে হানী হচ্ছেন হযরত আলী (رضى ...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৬৫: দস্তারবন্দি মাহফিল আয়োজন করার বিধান কী?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-76637a18-7fff-92be-e6f4-4cd6da722143"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৬৫: দস্তারবন্দি মাহফিল আয়োজন করার বিধান কী? </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: ভারত ও মধ্য এশিয়ার আলেমদের মধ্যে এই প্রথাটির প্রচলন রয়েছে এবং এটা বিদআত। কোরআন-হাদীস এবং সাহাবাদের জীবনাচারে এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে এটা একটা সার্বজনীন প্রথা যে, যখন কোন ছাত্র ইলমে দ্বীনের ডিগ্রী অর্জন করে তখন তাকে সম্মানিত আলেমদের একটি বিশেষ মজলিসে মর্যাদার পাগড়ি পরিধান করানো হয় যার বদৌলতে সে আনুষ্ঠানিকভাবে আলেমদের জামাতে অন্তভুর্ক্ত হয়। তখন তাকে জ্ঞানের বিকাশ সাধন, ফতোয়া লিখা এবং শরয়ী মাসায়েল অনুযায়ী বিধি-বিধান শুনানোর যোগ্য বলে মনে করা হয়। এই প্রথাটি এক ধরনের বিদআতে হাসনাহ। এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায়না। ইসলামের বিকাশ কালে এর কোন নজির বা দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়না। তবে এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এই কর্ম পদ্ধতির মধ্যে অসংখ্য শরয়ী ও ইলমী স্বার্থ নিহিত রয়েছে যেগুলো লক্ষ্য করে পরবর্তী ওলামায়ে কেরাম এই প্রথার প্রচলন ঘটিয়েছেন। </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ما راهُ المؤمنون حسنا فهو عند اللهِ حسنٌ . هو ماظهرلى والعلم عندالله .</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘মু’মিনগণ যা উত্তম মনে করেন তা আল্লাহর নিকটও উত্তম।’ আমার নিকট এরূপ প্রতীয়মান হয়েছে। সঠিক জ্ঞান আল্লাহর নিকট রয়েছে। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">222. ইসলামী উলুম কা মাখযান, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৩২২।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৬৬: اُم الولد ‘উম্মুল ওয়ালাদ’ কাকে বলা হয় এবং এর সংজ্ঞা ও বিধান কী?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: ‘উম্মুল ওয়ালাদ’ বলা হয় ওই দাসীকে যার গর্ভে মনিবের সন্তান ভূমিষ্ট হয়। ওই দাসীকে বিক্রয় ও দান করা বৈধ নয়। তবে তার সাথে সহবাস করা, তার সেবা গ্রহণ করা, তাকে ভাড়া দেওয়া ও বিয়ে দেওয়া বৈধ।</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৬৫: দস্তারবন্দি মাহফিল আয়োজন করার বিধান কী?

❏ প্রশ্ন-১৬৫: দস্তারবন্দি মাহফিল আয়োজন করার বিধান কী?  ✍ উত্তর: ভারত ও মধ্য এশিয়ার আলেমদের মধ্যে এই প্রথাটির প্রচলন রয়েছে এবং এটা বিদআত। কোর...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৭০: ‘নামুসে আকবর’ দ্বারা উদ্দেশ্য কী এবং ‘নামুস’ শব্দের অর্থ কী?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-31acd6ec-7fff-4336-05b1-d5eb13e43c5e"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৭০: ‘নামুসে আকবর’ দ্বারা উদ্দেশ্য কী এবং ‘নামুস’ শব্দের অর্থ কী?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: নামুসে আকবর দ্বারা উদ্দেশ্য ফেরেশতা, রূহ ও শরীয়তে ইলাহী। তদুপরি তা হযরত জিবরাইল (عليه السلام)-এর উপাধি। সুতরাং যখন হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা   হেরা গুহায় ওহী অবতীর্ণ হওয়ার পর নিজের ঘরে তাশরীফ নিলেন এবং হযরত খাদিজা (رضى الله تعالي عنه)’র সম্মুখে পুরো ঘটনা খুলে বললেন, তখন হযরত খাদিজা (رضى الله تعالي عنه) তাঁকে   তার [খাদিজার (رضى الله تعالي عنه)] চাচাতো ভাই ওরাকা বিন নওফল এর নিকট নিয়ে গেলেন। তিনি ছিলেন তাওরাত ও ইঞ্জিলের বড় আলেম এবং এতদুভয় আসমানী গ্রন্থের আরবী ভাষায় অনুবাদ করতেন। তিনি বড় বড় ইহুদী ও ঈসায়ী আলেমদের নিকট হতে শেষ নবীর সংবাদ (ভবিষ্যৎ বাণী) শুনেছিলেন এবং তিনি শেষ নবীর যাবতীয় আলামত-নিদর্শন সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হুযূর   এর ওপর ওহী অবতীর্ণ হওয়ার ঘটনা ও অবস্থা সম্পর্কে শুনে ওরাকা বিন নওফল বললেন, হে মুহাম্মদ  ! আপনি ধন্য, তিনি ওই নামুসে আকবর (অর্থাৎ জিবরাইল) যিনি মুসা (عليه السلام) ও অন্যান্য নবীগণের নিকট ওহী নিয়ে আসতেন। এখন আপনার নিকট ওহী নিয়ে এসেছে। এখন আপনি হচ্ছেন শেষ নবী।</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৭০: ‘নামুসে আকবর’ দ্বারা উদ্দেশ্য কী এবং ‘নামুস’ শব্দের অর্থ কী?

❏ প্রশ্ন-১৭০: ‘নামুসে আকবর’ দ্বারা উদ্দেশ্য কী এবং ‘নামুস’ শব্দের অর্থ কী? ✍ উত্তর: নামুসে আকবর দ্বারা উদ্দেশ্য ফেরেশতা, রূহ ও শরীয়তে ইলাহী।...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৭৩: অগ্নিপূজক কাদেরকে বলা হয়?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-f6c28b16-7fff-5ada-83d0-28821eb54514"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৭৩: অগ্নিপূজক কাদেরকে বলা হয়?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: কাফেররা যেরূপ মূর্তি, বৃক্ষ ইত্যাদির পূজা-অর্চনা করে অনুরূপ আগুনের পূজাও করে। যারা মূর্তিপূজা করে তাদেরকে মূর্তিপূজক এবং যারা আগুন পূজা করে তাদেরকে অগ্নিপূজক বলা হয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">নমরুদ হযরত ইবরাহিম (عليه السلام)কে কেবল এই অপরাধে অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করেছিল যে, তিনি মূর্তিপূজার বিরোধিতা করতেন এবং তাওহিদের শিক্ষা দিতেন। তবে আল্লাহ্ তা‘আলার হুকুমে ইবরাহিম (عليه السلام) এর কোন ক্ষতি হয়নি।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৭৪: ناد عليا مظهر العجائب الخ এটা কী?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: ناد عليا হচ্ছে একটি দু‘আ। এই দু‘আটি মনস্কামনা লাভ ও বিপদ দূর করার উদ্দেশ্যে পড়া হয় এবং লিখে তাবিজ আকারেও ব্যবহার করা হয়। আর এই দু‘আটি হচ্ছে, </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">نادعليًا مظهر العجائب تجدهُ عونا لك فى النوائب كل همٍّ الخ .</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘হযরত আলীকে, যিনি বিরল বস্তুর সূক্ষন্ড জ্ঞানের অধিকারী, ডাকো, তুমি তাকে দুঃখ-কষ্টে সাহায্যকারী পাবে। হে মুহাম্মদ  ! আপনার নবুওয়তের ওসিলায় এবং হে হযরত আলী (رضى الله تعالي عنه)! আপনার বরকতে যাবতীয় দুঃখ-কষ্ট ও ক্লেশ দূর হয়ে যাবে।’</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এই দু‘আটি শিয়াদের দৈনন্দিন অভ্যাস ও ওজিফা। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এবং সুফিয়ায়ে কেরামও এই দু‘আটি উপকারী ও ফলদায়ক মনে করেন। তবে আহলে হাদিস এই দু‘আটিকে শির্ক মনে করে। তারা বলে, এই দু‘আর কোন মৌলিকত্ব বা দলিল-প্রমাণ নেই। </span></p>

❏ প্রশ্ন-১৭৩: অগ্নিপূজক কাদেরকে বলা হয়?

❏ প্রশ্ন-১৭৩: অগ্নিপূজক কাদেরকে বলা হয়? ✍ উত্তর: কাফেররা যেরূপ মূর্তি, বৃক্ষ ইত্যাদির পূজা-অর্চনা করে অনুরূপ আগুনের পূজাও করে। যারা মূর্তিপূ...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৭২: হাবীল ও কাবিল এর ঘটনাটি বর্ণনা কর।

<br id="docs-internal-guid-7aa1af5c-7fff-b40f-5cec-b7ce95495ff4"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৭২: হাবীল ও কাবিল এর ঘটনাটি বর্ণনা কর।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: কাবিল ও হাবিল এর মধ্যে যখন নারী নিয়ে বিবাদ হলো তখন আদম (عليه السلام) তা এভাবে নিষ্পত্তি করলেন যে, তোমরা উভয়ে মিনা পর্বতে গিয়ে কুরবানী রেখো এসো, যার কুরবানী কবুল হবে তাকে নারী (স্ত্রী হিসেবে) দেওয়া হবে। উভয়ে মিনা পর্বতে কুরবানী রাখলো। তখন আসমান হতে আগুন এসে হাবিলের কুরবানী নিয়ে গেলো এবং কাবিলের কুরবানী পড়ে রইলো। এতে কাবিলের অন্তরে হাবিলের প্রতি বিদ্বেষ বেড়ে গেলো। যার ফল দাঁড়ালো কাবিল হাবিলকে হত্যা করলো। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">225. কাসাসুল আম্বিয়া।</span></p><br>

❏ প্রশ্ন-১৭২: হাবীল ও কাবিল এর ঘটনাটি বর্ণনা কর।

❏ প্রশ্ন-১৭২: হাবীল ও কাবিল এর ঘটনাটি বর্ণনা কর। ✍ উত্তর: কাবিল ও হাবিল এর মধ্যে যখন নারী নিয়ে বিবাদ হলো তখন আদম (عليه السلام) তা এভাবে নিষ্...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৭১: বনী আদম তথা মানব বংশধারা কখন হতে শুরু হলো?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-1ab583a0-7fff-fac1-a6f1-66be2c66657e"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৭১: বনী আদম তথা মানব বংশধারা কখন হতে শুরু হলো?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: বনী আদম তথা মানবের বংশধারা হযরত আদম (عليه السلام) হতে শুরু হয়। হযরত আদমের (عليه السلام) পূর্বে ছিল জ্বিন, ফেরেশতা ইত্যাদি। যখন হতে হযরত আদমের (عليه السلام) বংশধারা সুবিস্তৃত হল তখন হতে আল্লাহ তা‘আলা হযরত আদমের (عليه السلام) কল্যাণের জন্য নিজেদের মধ্য হতে নবী পাঠাতে লাগলেন। নবীগণ আদম সন্তানকে তাওহিদের পথ নির্দেশনা করতে লাগলেন এবং তাদেরকে নিজেদের অবস্থা সম্পর্কে বুঝাতে একটি মুহূর্তও ক্ষান্ত হননি।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">উষালগ্নে মানবজাতি দু’টি দলে বিভক্ত হয়ে গেলো। একদল নবীগণের (عليه السلام) আদেশ-উপদেশ মেনে নিলো, তাঁদের আনুগত্য-অনুসরণ করলো এবং তাঁদের নির্দেশনা মতে চলতে লাগলো।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অন্যদল কেবল বিরোধিতা করেনি বরং নিষ্পাপ নবীগণকে হত্যা করার পরিকল্পনা করলো এবং কয়েকজন নবীকে হত্যাও করলো। অন্য আরেকটি দল পাপাচারিতার অদ্ভূত পদ্ধতি আবিষ্কার করলো। কোথাও শুরু করলো অগ্নিপূজা, কোথাও মূর্তির সম্মুখে সিজদা, আবার কোথাও বৃক্ষপূজা ও সূর্যপূজার রমরমা প্রচলন। মোদ্দাকথা নিজেদের খেয়াল-খুশি মত শিরকের যাবতীয় উপায় অবলম্বন করলো। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">প্রারম্ভিককালে মানুষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থা ও কর্মকান্ড ছিল অতি সহজ-সরল ও সাদাসিধে। সকল বিষয়ে সরলতা ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। তবে যুগের রঙ পাল্টানোর সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে পরিবর্তন সাধিত হতে লাগলো এবং বর্তমানে এই পর্যায়ে চলে আসলো যে, এখন মানুষের কথায় কথায় পাওয়া যায় কৃত্রিমতা।  </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">224. নাসে উনওয়ান, পৃষ্ঠা:৭৩৯।</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৭১: বনী আদম তথা মানব বংশধারা কখন হতে শুরু হলো?

❏ প্রশ্ন-১৭১: বনী আদম তথা মানব বংশধারা কখন হতে শুরু হলো? ✍ উত্তর: বনী আদম তথা মানবের বংশধারা হযরত আদম (عليه السلام) হতে শুরু হয়। হযরত আদমের ...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৭৫: রাইয়ান, সায়রাব ও রাইহান নামগুলির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ কী?

<p dir="ltr" id="docs-internal-guid-27bde24f-7fff-82fb-9903-15286c8ddf97" style="letter-spacing: 0.2px; line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৭৫: রাইয়ান, সায়রাব ও রাইহান নামগুলির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ কী?</span></p><br style="letter-spacing: 0.2px;"><p dir="ltr" style="letter-spacing: 0.2px; line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: রাইয়ান ও সায়রাব হচ্ছে বেহেশতের একটি দরজার নাম। হযরত সাহাল বিন সা’দ (رضى الله تعالي عنه) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ   বলেন, বেহেশতের আটটি দরজা রয়েছে, তন্মধ্যে একটির নাম হচ্ছে রাইয়ান। তা দিয়ে কেবল রোযাদারগণ প্রবেশ করতে পারবে।</span></p><p dir="ltr" style="letter-spacing: 0.2px; line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রাইয়ান বিন ওয়ালিদ হযরত ইউসুফ (عليه السلام) এর সময়কালে মিসরের রাজা ছিলেন। যিনি হযরত ইউসুফ (عليه السلام) এর ওপর ঈমান এনেছিলেন এবং তাঁর (عليه السلام) সময়কালে মৃত্যুবরণ করেছিলেন।</span></p><p dir="ltr" style="letter-spacing: 0.2px; line-height: 1.38; text-align: justify; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">রায়হানা হচ্ছে জনৈক ইহুদী নারীর নাম, যার স্বামী বনু কুরাইযার যুদ্ধে নিহত হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ   তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে সে অসম্মতি জানিয়েছিল। তাকে রাসূলের   পবিত্র বিবিগণের মধ্যে অন্তভুর্ক্ত করার ইচ্ছা আল্লাহর ছিল না। তাই পরিশেষে সে দাসীদের মধ্যে থাকতে পছন্দ করলো। </span></p><p dir="ltr" style="letter-spacing: 0.2px; line-height: 1.38; margin-top: 0pt; margin-bottom: 0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">226. ইসলামী মালুমাত, পৃষ্ঠা-৬৩।</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৭৫: রাইয়ান, সায়রাব ও রাইহান নামগুলির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ কী?

❏ প্রশ্ন-১৭৫: রাইয়ান, সায়রাব ও রাইহান নামগুলির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ কী? ✍ উত্তর: রাইয়ান ও সায়রাব হচ্ছে বেহেশতের একটি দরজার নাম। হযরত সাহাল বিন ...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৭৬: ‘শাহিনশাহ’ উপাধি দ্বারা কাউকে ডাকা কি জায়েয?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-27bde24f-7fff-82fb-9903-15286c8ddf97"><br></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৭৬: شهنشاه ‘শাহিনশাহ’ উপাধি দ্বারা কাউকে ডাকা জায়েয নাকি না-জায়েয?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: ‘শাহিনশাহ’ শব্দের অর্থ হচ্ছে রাজাধিরাজ এবং এটি শাহান শাহ শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। এই নামে কাউকে ডাকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ   বলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সর্বাধিক ঘৃণিত ও নিকৃষ্ট নাম হচ্ছে ‘মালাকুল আমলাক’ তথা শাহিনশাহ নামটি।  </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">227. বুখারী শরীফ।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কারণ এই নামটির মূর্তপ্রতীক আল্লাহ্ ছাড়া আর কেউ হতে পারে না। তিনিই রাজাধিরাজ এবং শাসকের শাসক। له الملك فى السموٰت والارض ‘আসমান ও জমিনে রয়েছে তাঁরই রাজত্ব’।</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৭৬: ‘শাহিনশাহ’ উপাধি দ্বারা কাউকে ডাকা কি জায়েয?

❏ প্রশ্ন-১৭৬: شهنشاه ‘শাহিনশাহ’ উপাধি দ্বারা কাউকে ডাকা জায়েয নাকি না-জায়েয? ✍ উত্তর: ‘শাহিনশাহ’ শব্দের অর্থ হচ্ছে রাজাধিরাজ এবং এটি শাহান শ...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৮৮: হযরত ইউসুফ (عليه السلام) ও যুলাইখা বিবির বিবাহ পদ্ধতি কিরূপ ছিল?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-a5d0a55a-7fff-ce68-fb08-b8a0dbc1b0ed"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৮৮: হযরত ইউসুফ (عليه السلام) ও যুলাইখা বিবির বিবাহের পদ্ধতি ও বাস্তব অবস্থা কিরূপ ছিল?</span><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বর্ণনা কর।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: মুফাস্সিরীনে কিরাম বিশেষতঃ তাফসীরে রূহুল মা‘আনি, তাফসীরে কুরতুবি এবং মু‘আলিমুত্ তানযীলসহ অপরাপর মুফাস্সিরীনে কিরামগণ বলেন, হযরত ইউসুফ (عليه السلام) ও বিবি যুলাইখার মাঝে বিবাহ হয়েছিল কিনা এ বিষয়ে মতানৈক্য রয়েছে যে, হযরত ইউসুফ (عليه السلام) যখন মিসরের বাদশাহর নিকট গেলেন। আজিজে মিসরের স্ত্রীর সঙ্গে প্রকাশিত ঘটনার ব্যাপারে ইউসুফ (عليه السلام) নির্দোষ প্রমাণিত হলে মিশরের বাদশাহ তাঁকে বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ আসনে সমাসীন করেন। অতঃপর আজিজে মিশরের ইন্তিকালের পর হযরত ইউসুফ (عليه السلام)কে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করেন এবং তার স্ত্রী কতেক মুফাস্সিরীনের মতে যুলাইখার সঙ্গে হযরত ইউসুফ (عليه السلام)-এর বিবাহ হয়। আজিজে মিশর যেহেতু পুরুষত্বহীন ছিলেন, বিধায় যুলাইখা ওই সময় পর্যন্ত কুমারী ছিলেন। অতঃপর যুলাইখার গর্ভে হযরত ইউসুফ (عليه السلام)-এর তিন সন্তান জন্মগ্রহণ করে। তাঁদের নাম আফরাইম, মাইশা এবং রহমত। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">232. তাফসীরে মু‘আলিমুত্ তান্যীল, পৃষ্ঠা-৪৩২; তাফসীরে কুরতুবী।</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৮৮: হযরত ইউসুফ (عليه السلام) ও যুলাইখা বিবির বিবাহ পদ্ধতি কিরূপ ছিল?

❏ প্রশ্ন-১৮৮: হযরত ইউসুফ (عليه السلام) ও যুলাইখা বিবির বিবাহের পদ্ধতি ও বাস্তব অবস্থা কিরূপ ছিল? বর্ণনা কর। ✍ উত্তর: মুফাস্সিরীনে কিরাম বিশ...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৭৭: ذوالكفل যুল-কিফিল কে ছিলেন এবং এর অর্থ কী?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-268ac9e2-7fff-6854-ed4e-683811706543"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৭৭: ذوالكفل যুল-কিফিল কে ছিলেন এবং এর অর্থ কী?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: যুল কিফিল শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে জামিনদার। এটা একজন নবীর নাম, যিনি হচ্ছেন ইয়াসা ইয়াসির ইবনে আইয়ুবের চাচাতো ভাই। এই নামে তাঁর নামকরণের কারণ হিসাবে বলা হয় যে, বনি ইসরাইল ব্যাপক হারে নিজেদের নবীগণকে হত্যা করতো। তিনি একশত নবীর প্রাণ রক্ষা করেন কিংবা তিনি প্রতিদিন একশত জন মুসল্লির সমপরিমাণ নামায পড়তেন। কতিপয় আলেম বলেন, তিনি ছিলেন হযরত আইয়ুব (عليه السلام) এর পুত্র। তাঁর নাম ছিলো বিশর বিন আইয়ুব এবং উপাধি ছিলো যুল কিফিল। আইয়ুব (عليه السلام) এর পরবর্তীতে তিনি রোম দেশে নবী হয়েছিলেন। ‘আখবারুদ দুওয়াল’ গ্রন্থে এই মর্মে উল্লেখ রয়েছে যে, হযরত আইয়ুব (عليه السلام) এর পর তিনি রোম দেশে নবী হয়েছিলেন। যখন হযরত যুল কিফিল রোম দেশের রাসূল হলেন তখন ওই জাতির লোকেরা প্রথমে তাঁর ওপর ঈমান আনলো। আল্লাহ তা‘আলা যখন তাদেরকে জিহাদের নির্দেশ দিলেন তখন তারা জিহাদ করতে অস্বীকার করলো এবং বলতে লাগলো, হে বিশর! আমরা জীবনকে ভালোবাসি এবং মৃত্যুকে অপছন্দ করি। আবার আল্লাহ্ ও রাসূলের বিরুদ্ধাচরণও আমরা অপছন্দ করি। সুতরাং যদি আপনি আল্লাহ'র নিকট এই মর্মে প্রার্থনা করেন যে, আমরা মৃত্যু কামনা না করা পর্যন্ত যেন মৃত্যুবরণ না করি, তাহলে আমরা আল্লাহর ইবাদত করবো এবং তার শত্রুদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবো। তিনি বললেন, তোমরা অতি কঠিন প্রশ্ন করেছো। নামায পড়ে তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন এবং দু‘আ করলেন। আল্লাহ্ তা‘আলা তার দু‘আ কবুল করেন এবং বললেন, তুমি জাতির জামিনদার হয়ে যাও। সুতরাং হযরত বিশর বিন আইয়ুব এই জাতির নিকট তাদের প্রশ্ন বা প্রার্থনা গৃহীত হওয়ার কথা খুলে বললেন এবং উপরোলে­খিত বিষয়ের জামিনদার হলেন। এই কারণে উপাধি স্বরূপ তাঁর নাম হলো যুল কিফিল এবং তাঁর প্রকৃত নাম হচ্ছে বিশর বিন আইয়ুব। ওই জাতির সন্তান-সন্ততির সংখ্যা ওই পর্যায়ে পৌঁছালো যে, রোম দেশে কোন জায়গায় স্থান সংকুলান হলো না। তখন ওই জাতি মৃত্যু কামনা করলো এবং নির্ধারিত সময়ে মৃত্যুবরণ করতে লাগলো। এটাই হচ্ছে রোম দেশে অধিক জনসংখ্যার কারণ। হযরত বিশর বিন আইয়ুব শাম দেশে ওফাতপ্রাপ্ত হন, তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তাঁর মাযার শরীফ নাবলুস এর সন্নিকটস্থ ‘কিফিল’ গ্রামে অবস্থিত। তবে মুহাক্কীকগণের মতে এই মতটি সঠিক যে, যুল কিফিল (عليه السلام) ছিলেন ইয়াসা ইবনে আখলুত এর মুনিব। হিযকিল ও বিশর বিন আইয়ুব এর উপাধিও যুলকিফিল, যাদের সময়কাল ছিল তাঁর পূর্বে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘মু‘আলিমুত তান্যিল’ গ্রন্থে হযরত আবু মুসা আশ‘আরী (رضى الله تعالي عنه) হতে বর্ণিত রয়েছে যে, </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">لم يكن ذوالكفل نبيًا ولكن كان عبدًا صالِحًا.</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> অর্থাৎ ‘যুল কিফিল নবী ছিলেন না, বরং তিনি ছিলেন একজন নেক্কার-পূণ্যবান বান্দা।’ অতএব বুঝা গেলো যে, আউলিয়া-ই কিরাম থেকে অলৌকিক কারামত পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে এটা সাহেবে শরীয়ত হুযূর   এর মুজিযা যা আল্লাহ'র কুদরতের বহিঃপ্রকাশ।</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৭৭: ذوالكفل যুল-কিফিল কে ছিলেন এবং এর অর্থ কী?

❏ প্রশ্ন-১৭৭: ذوالكفل যুল-কিফিল কে ছিলেন এবং এর অর্থ কী? ✍ উত্তর: যুল কিফিল শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে জামিনদার। এটা একজন নবীর নাম, যিনি হচ্...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৮০: হযরত নূহ (عليه السلام) কখন হতে রিসালতের পদে অধিষ্ঠিত হন?

<br id="docs-internal-guid-a0439f58-7fff-8ae7-7de0-64e0d66ba652"><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৮০: হযরত নূহ (عليه السلام) কখন হতে রিসালতের পদে অধিষ্ঠিত হন এবং হযরত আদম (عليه السلام)-এর কত বছর পর জন্মগ্রহণ করেন?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: হযরত নূহ (عليه السلام), হযরত আদম (عليه السلام)’র ওফাতের ১১২৬ (এক হাজার একশত ছাব্বিশ) বছর পর জন্মগ্রহণ করেন এবং যৌবনে পদার্পণ করা মাত্রই রিসালতের পদে অধিষ্ঠিত হন। অনেক বছর দ্বীন প্রচারের পর মাত্র কয়েক জন লোক তার ওপর ঈমান আনে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সাড়ে নয়শত বছর পর আল্লাহর দরবার হতে অভিযোগের স্বরে বলা হল, এসব লোক ঈমান আনবে না। এখন তাদের ওপর প­াবনের আযাব আসবে। তুমি নিজের জন্য নৌকা বানাও। হযরত জিবরাইল (عليه السلام) ‘ছাল কাঠ বা গাছ নিয়ে আসলেন এবং এগুলো জমিনে লাগানোর জন্য ইঙ্গিত করলেন। বিশ বা চলি­শ দিনে এগুলো বড় বৃক্ষে পরিণত হলো। তখন হযরত নূহ (عليه السلام), হযরত জিবরাইল (عليه السلام) এর শিক্ষা মতে নিজের তিন পুত্র এবং অন্য একজন ব্যক্তির সাহায্যে একটি নৌকা বানালেন এবং ভিতরে-বাইরে তৈলবাতি লাগালেন। নৌকাটির দৈর্ঘ্য ছিল এক হাজার গজের চেয়ে বেশি, প্রস্ত ছয়শো গজ এবং উচ্চতা ছিল ত্রিশ গজ। শামসাদ বৃক্ষের কাঠ দিয়ে একটি তাবুত বানিয়ে হযরত আদম (عليه السلام)’র শরীর মুবারকও তাতে রাখলেন এবং প্রজন্ম সংরক্ষণের জন্য প্রত্যেক প্রাণী ও চতুষ্পদ জন্তুর একেকটি জোড়া নৌকায় উঠানো হল। অবশেষে প­াবনের সময় ঘনিয়ে আসলো। একটি অনিঃশেষ উৎস হতে পানি উৎসারিত হতে লাগলো। পুকুর-কূপ ও নদীর পানিও প্রবল তরঙ্গায়িত হতে লাগলো। আকাশ হতে ঝড়-বৃষ্টি বইতে লাগলো এবং চলি­শ দিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলো। জল-স্থল একাকার হয়ে গেলো এবং পর্বত চূড়া সমূহেও পানি উঠে গেলো। ওই জাতির বাদশাহ সাফরুশনাম মৃত্যু ভয়ে পালাতে লাগলো। অবশেষে সে ধ্বংস হয়ে গেলো।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত নূহ (عليه السلام) এর দ্বীনের সাথে বিরোধিতাকারী তার স্ত্রী ওয়া’লা ও পুত্র কেনান নৌকায় আরোহন করতে অস্বীকৃতি জানালো। পরে একটি তরঙ্গ তাদের জীবন সাঙ্গ করে দিলো। নৌকাটি কুফা হতে যাত্রা শুরু করলো এবং হেরেমে মক্কাকে সাতবার প্রদক্ষিণ করলো। নানা দেশ ও ভূখন্ড পাড়ি দিয়ে ঘুরতে লাগলো। অবশেষে  পাঁচ মাস পর জুদি পর্বতের চূড়ায় গিয়ে তিনি (عليه السلام) যাত্রা বিরতি করলেন এবং ওই স্থানে এক মাস অবস্থান করেন। বলা হয় যেহেতু প্রলয়ংকারী প্লাবনে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দেখা মিলতো না, তাই হযরত নূহ (عليه السلام) স্বীয় নৌকায় সুকৌশলে এমন দু’টি আলোকিত মোহর স্থাপন করেন যা দ্বারা রাত-দিনের ঘন্টার হিসাব জানা যেত এবং এর হিসাবে নামায-রোযা পালন করতেন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আরো কিছু চমৎকার ও বিরল বর্ণনা লোকমুখে প্রসিদ্ধ আছে যেমন- নৌকার ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য হযরত নূহ (عليه السلام) আল্লাহর হুকুমে হাতীর পিঠে হাত রাখলেন, তখন এর দ্বারা শুকরের জন্ম হলো যেটি নৌকার ময়লা-আবর্জনা পানাহার করে পরিষ্কার করে দিতো। এরপর নৌকাবাসী লোকেরা ইঁদুরের জ্বালায় অতীষ্ট হয়ে উঠলো। তখন হযরত নূহ (عليه السلام) আল্লাহ'র হুকুমে বাঘের কপালে হাত ফেরালেন এবং বাঘটি হঁাচকি দিলো, তখন তার নাক হতে বের হলো বিড়াল এবং সে ইঁদুর খতম করতে লাগলো ইত্যাদি ইত্যাদি।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">এরূপ একটি রেওয়ায়তে একথা প্রসিদ্ধ রয়েছে যে, যখন বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেলো তখন তিনি প­াবনের সংবাদ সংগ্রহের জন্য কাক-কে পাঠালেন, তবে সে মৃত জীব ও প্রাণী দেখে তাতে নিমগ্ন হয়ে গেলো। এরপর পাঠানো হল কবুতরকে, তখন সে যয়তুন বৃক্ষের কিছু পাতা ছিড়ে আনলো যার দ্বারা বুঝা গেলো যে, পানি গাছের উপরে উঠেছিলো। এর কিছুক্ষণ পর সে ঠেঁাটে কিছু মাটি নিয়ে আসলো যেটি হলো একথার আলামত যে, এখন জমি দৃশ্যমান হয়েছে। অবশেষে সকল নৌকাবাসী লোক আশুরার দিন নৌকা হতে নামলো এবং জুদি পাহাড়ের সন্নিকটে বসতি স্থাপন করলো। যেহেতু তাদের সংখ্যা ছিলো ৮০ (আশি) জন, তাই এই বসতির নামকরণ করা হলো ‘সাওক-আল সামানিন’ অর্থাৎ আশিজন বসতি স্থাপনকারীর বাজার। এরপর প্রাদুর্ভাব দেখা দিলো মহামারীর। কেবল হযরত নূহ (عليه السلام), তাঁর তিন পুত্র ও পরিবারবর্গ তথা তার বিবিগণ ছাড়া অবশিষ্ট সকল লোক মরে গেলো। তাঁর পুত্রদের নাম হচ্ছে: </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(১) সাম, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(২) হাম, ও </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">(৩) ইয়াফেস। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত নূহ (عليه السلام) গোটা বিশ্বের সকল বসতিকে তিন পুত্রের মধ্যে ভাগ করে দিলেন। মুলকে শাম, ইরান, খুরাসান ও ইরাক পড়লো সামের ভাগে। আফ্রিকান দেশ সমূহ, হাবশা, সিন্ধা, হিন্দা ও সুদান পড়লো হামের ভাগে এবং চীন ও তুর্কিস্তান পড়লো ইয়াফেস এর ভাগে।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৮১: হযরত আদম (عليه السلام)’র পদার্পনের কত দিন পর এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: প্লাবন বা তুফানের ঘটনাটি সংঘটিত হয় হযরত আদম (عليه السلام)’র পদার্পনের ২২৮২ (দুই হাজার দুই শত বিরাশি) বছর পর। এরপর হযরত নূহ (عليه السلام) তিন শত পঞ্চাশ বছর জীবিত ছিলেন। তাঁর পার্থিব বিদায়ের সময় হযরত জিবরাইল ও আযরাইল (عليه السلام) তাঁর নিকট জীবনকাল সম্পর্কে এই মর্মে জিজ্ঞাসা করেন যে, দুনিয়া কেমন? উত্তরে তিনি বলেন, জীবনকে আমি এমন একটি ঘর হিসেবে পেয়েছি যার দু’টি দরজা রয়েছে। তার একটি দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলাম, অল্পক্ষণ অবস্থান করলাম, এরপর দ্বিতীয় দরজা দিয়ে বাইরে বের হয়ে গেলাম। হযরত নূহ (عليه السلام) বয়স পেয়েছিলেন ১৪৬৬ (এক হাজার ছয়শত ছিষট্টি) বছর। কেউ কেউ অন্যান্য সংখ্যাও উল্লেখ করেন। হযরত নূহ (عليه السلام) এর উপাধি হচ্ছে ‘শায়খুল আন্বিয়া’ ও ‘নাজিউল্লাহ’। তাঁকে দ্বিতীয় আদমও বলা হয়। তাঁর ওপর দশটি সহীফা অবতীর্ণ হয়। তাঁর কবর শরীফ বায়তুল মুকাদ্দাসে অবস্থিত। </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৮২: يَا هُوَ শব্দের মর্মার্থ ও উদ্দেশ্য কি এবং هو সর্বনামের প্রত্যাবর্তন কোন দিকে? বর্ণনা কর।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: يَا هُوَ এর শাব্দিক অর্থ, হে আল্লাহ্! এটা আল্লাহ্ তা‘আলার জাতি বা সত্তাগত নাম। সুফিয়া-ই কিরাম অধিকাংশ সময় এটির অযিফা পাঠ করে থাকেন। আর هو সর্বনামের মারজা বা প্রত্যাবর্তনস্থল হচ্ছে, আল্লাহ্ জাল্লা শানুহু।</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৮০: হযরত নূহ (عليه السلام) কখন হতে রিসালতের পদে অধিষ্ঠিত হন?

❏ প্রশ্ন-১৮০: হযরত নূহ (عليه السلام) কখন হতে রিসালতের পদে অধিষ্ঠিত হন এবং হযরত আদম (عليه السلام)-এর কত বছর পর জন্মগ্রহণ করেন? ✍ উত্তর: হযরত ...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৭৮: ذوالنون ‘যুন্নুন’ কে ছিলেন এবং তাঁর জীবনকাল কীরূপ ছিল?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-100d1f5a-7fff-23a6-3a75-a1fb7461ad69"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৭৮: ذوالنون ‘যুন্নুন’ কে ছিলেন এবং তাঁর জীবনকাল কীরূপ ছিল?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: ذوالنون ‘যুন্নুন’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে মাছওয়ালা। এটা হযরত ইউনুস (عليه السلام) এর উপাধি। হযরত ইউনুস (عليه السلام) ছিলেন উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন মহান নবী। তাঁর পিতার নাম মাত্তা। কিন্তু আব্দুর রায্যাক বলেন, মাত্তা ছিল তাঁর মাতার নাম।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মুহাক্কিকগণ লিখেছেন, হযরত শাইয়ার যামানায় বনী ইসরাইলের রাজা ছিলো ‘হাযক্বিয়া’। ঘটনাক্রমে মুসিল নিতওয়ার জনগণ স্বীয় রাজার সহায়তায় বনী ইসরাইলের ওপর আক্রমণ করলো, তাদের আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে গেলো এবং ৯৫০ জন ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে গেলো। হাযকিয়া এই ঘটনাটি হযরত শাইয়াকে (عليه السلام) বললো এবং আরয করলো যে, যতক্ষণ পর্যন্ত বন্দীদের মুক্ত করা যাবেনা, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের নিকট থেকে প্রতিশোধ নেওয়া যাবে না। কারণ যখন এদিক থেকে সৈন্য যাবে তখন তারা বন্দীদেরকে হত্যা করবে। হযরত শাইয়া (عليه السلام) বললেন, তোমার দেশে ৫ ( পাঁচ) জন নবী আছেন। তন্মধ্যে কাউকে নির্দেশনা সহকারে পাঠাও। তিনি তাদেরকে বুঝিয়ে বন্দীদেরকে মুক্ত করে আনবেন। হাযক্বিয়া বললো, আপনি কাউকে নির্বাচিত করুন। তিনি বললেন, ইউনুস (عليه السلام) খুবই পরিশ্রমী ও আমানতদার এবং আল্লাহর নিকট প্রিয়। অধিক ইবাদতের কারণে তিনি সকল নবীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। তাঁকে পাঠাও। যদি তারা তাঁকে না মানে, তাহলে তিনি মু’জিযার মাধ্যমে তাদেরকে সঠিক পথে নিয়ে আসবেন। এ সময় হাযক্বিয়া হযরত ইউনুস (عليه السلام)কে তলব করলো এবং পুরো ঘটনা তাঁকে খুলে বললো। হযরত ইউনুস (عليه السلام) বললেন, যদি হযরত শাইয়া (عليه السلام) আল্লাহর হুকুমে নির্বাচিত করেন, তাহলে কোন অসুবিধা নেই, আমি যাবো। অন্যথায় আমার সময়ে ব্যাঘাত ঘটবে। হাযক্বিয়া বললো, আপনার নির্বাচন আল্লাহর হুকুমে নয়, বরং হযরত শাইয়া (عليه السلام) আপনাকে নির্বাচন করেছেন এবং তিনি আদেশ দানের অধিকারী এবং তাঁর আনুগত্য করা ওয়াজিব।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত ইউনুস (عليه السلام) ভারী মনে রওয়ানা হলেন এবং স্বীয় পরিবারবর্গকেও সাথে নিলেন। নিতওয়া হচ্ছে মুসিলের বিপরীতে অবস্থিত এবং তার মধ্যখান দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে দজলা নদী। সেখানে তিনি গেলেন এবং সম্রাট মাল‘আব ইবনুল এরশাদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাকে বললেন, আল্লাহ তা‘আলা আমাকে তোমার নিকট পাঠিয়েছেন যে, তুমি বনী ইসরাইলের বন্দীদের মুক্তি দাও। সে বললো, যদি তোমরা সত্যবাদী হতে, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে তোমাদের দেশের ওপর চড়াও করতেন না এবং আমরা তোমাদের সন্তান-সন্ততিদের বন্দী করে আনতাম না। ওই সময় কি আল্লাহ তা‘আলা সাহায্য করতে অসমর্থ ছিলেন যিনি এখন তোমাকে পাঠিয়েছেন? মোদ্দাকথা, হযরত ইউনুস (عليه السلام) তিন দিন পর্যন্ত তাঁকে অনুরোধ করলেন। তবে সে তাঁর কথা মানেনি।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">কেউ কেউ বলেন, ওই লোকটি ছিলো মূর্তিপূজক মুশরিক। হযরত ইউনুস (عليه السلام) তাকে মূর্তিপূজা না করতে বললেন কিন্তু তাঁর কথা সে মানেনি। কারো কারো মতে, তাকে নয় বছর পর্যন্ত বুঝানো হয়েছিল। কারো মতে, ২৩ বছর পর্যন্ত বুঝানো হয়েছিল। তবে দু’জন লোক ছাড়া কেউ ঈমান গ্রহণ করেনি। অবশেষে হযরত ইউনুস (عليه السلام) রাগান্বিত হয়ে আল্লাহর দরবারে এই মর্মে সাহায্য প্রার্থনা করেন যে, হে আল্লাহ্! এসব লোক আমার কথা শুনছে না। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, তাদেরকে ভয়ংকর আযাবের ভয় দেখান। যদি তারা আপনার কথা না শুনে, তাহলে আমি তাদের ওপর আযাব প্রেরণ করবো। সুতরাং হযরত ইউনুস (عليه السلام) কুসা বাজারে ঘুরেফিরে একথা বলতে লাগলেন যে, তোমাদের রাজাকে বলো, সে যদি আমার কথা না মানে, তাহলে আল্লাহ'র আযাব নেমে আসবে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ওই সব লোকেরা বললো- আযাবের দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দাও। হযরত ইউনুস (عليه السلام) বললেন, আমি তোমাদের নিকট কথা দিচ্ছি চলি­শ দিন। যদি এ সময়ের মধ্যে তোমরা আমার কথা মেনে নাও, তাহলে ঠিক আছে। অন্যথায় তোমরা ধ্বংস হয়ে যাবে। আস্তে আস্তে এ খবর রাজার নিকট পৌঁছে গেলো। বাদশাহ ও মন্ত্রী পরিষদ এ কথায় ঠাট্টা করতে লাগলো। তারা বলতে লাগলো, সে একজন ফকীর ও পাগল। তার বোধশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। হযরত ইউনুস (عليه السلام) আল্লাহর দরবারে নিবেদন করলেন যে, হে আল্লাহ্! আমি ওই সব লোকদের সাথে চলি­শ দিনের অঙ্গীকার করেছি। আমার এই অঙ্গীকারকে বাস্তবে পরিণত করুন। নচেৎ আমি অপমানিত হবো এবং নিহত হয়ে যাবে। কারণ ওই সময় এসব লোকদের স্বভাব ছিলো যে ব্যক্তি এরূপ মিথ্যা অঙ্গীকার করতো, তারা তাকে হত্যা করতো। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, তুমি কী কারণে চলি­শ দিনের অঙ্গীকার করেছো। ধৈর্যধারণ করা উচিৎ ছিলো। পরিশেষে তাদের কপালে ঈমান জুটবে। এসব লোক দ্বীনের পথ অবলম্বন করবে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হযরত ইউনুস (عليه السلام) এই জবাব শুনে খুবই মর্মাহত হলেন এবং তাঁর অঙ্গীকারকৃত সময় হতে একটি মাস কেটে গেলো। তখন মূর্তিপূজক সম্প্রদায় হতে দশ-বারোটি গোত্র কী হয়- তা দেখার জন্য পৃথক হয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো। তিনি সর্বদা এই দু‘আ করতে লাগলেন, হে আল্লাহ্! আমার অঙ্গীকারকে বাস্তবে পরিণত করুন। নচেৎ আমি অপমানিত হবো। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">যখন ৩৫ দিন হয়ে গেলো তখন সকাল বেলায় আযাবের আলামত দেখা দিলো। ঘন কালো মেঘ ও তীব্র অগ্নির আকারে লু-হাওয়া শুরু হলো। এবং এর প্রভাব রাজপ্রাসাদের অদূরে পৌঁছালো। তখন মন্ত্রীবর্গ সহকারে বাদশাহ অস্তির হয়ে বেরিয়ে পড়লো। আর বলতে লাগলো এই ছেঁড়াবস্ত্র পরিহিত ফকীরকে অতি দ্রুত খুঁজে আমার নিকট নিয়ে এসো। আমরা তাঁর হাতে তাওবা করবো এবং কয়েদীগণকে তাঁর হাতে সোপর্দ করবো। অনেকে তাঁকে খুঁজলো, কিন্তু কেউ কোথাও তাঁকে খুঁজে পায়নি। বাদশাহ সহ উপায়হীন নর-নারীর সংখ্যা লাখে দাঁড়ালো। নগ্ন মাথা ও খালি পায়ে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে জঙ্গলে চলে গেলো এবং তাওবার নিয়তে সিজদায় পড়ে আহাজারী করতে লাগলো এবং বলতে লাগলো আমরা ইউনুস (عليه السلام) এর আনীত বিধানের ওপর ঈমান এনেছি। মোদ্দাকথা মহররম মাসের ১০ তারিখ বৃহস্পতিবার তথা চলি­শতম দিনে আছরের সময় আল্লাহ তা‘আলা স্বীয় অনুগ্রহ ও করুণায় তাদের ওপর থেকে ওই আযাব দূর করে দিলেন এবং আবহাওয়া পরিষ্কার হয়ে গেলো। বাদশাহ সহ সকল লোক শহরে প্রবেশ করলো এবং হযরত ইউনুস (عليه السلام)কে খুঁজে নিয়ে আসার জন্য নানা প্রান্তে গোয়েন্দা মোতায়েন করা হল। ওপরন্তু বাদশাহ বললো, যদি কোন ব্যক্তি হযরত ইউনুস (عليه السلام) এর খবর ও খেঁাজ পায়, তাহলে আমি তাকে একদিন সিংহাসনে বসাব। এ সময়ে তার যে সব ধন-সম্পদের প্রয়োজন হবে তা সে নিতে পারবে। সুতরাং এই লোভে অধিকাংশ লোক বেরিয়ে পড়লো। হযরত ইউনুস (عليه السلام) চলি­শতম দিনের পর ‘নিতওয়া’ অভিমুখে রওয়ানা হলেন। তখন গ্রামবাসীর নিকট শুনলেন যে, আযাব স্থগিত হয়ে গেছে এবং তারা তোমাকে খুঁজছে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তিনি মনে করলেন যে, আমি জাতির নিকট মিথ্যুক হয়ে গেলাম। এখন যদি তাদের নিকট যাই, তাহলে তারা আমাকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করবে। আর যদি হযরত শিইয়া এর নিকট যাই, তাহলে বনী ইসরাইল এর নিকট বড়ই লজ্জিত হবো। এই ধারণায় হতাশ হয়ে ভগ্ন হৃদয়ে তিনি উভয় কূল ছেড়ে দিলেন এবং ‘রোম’ অভিমুখে রওয়ানা হলেন। যেহেতু হযরত ইউনুস (عليه السلام) এই দু‘আতে অতি দ্রুত ফলাফল প্রার্থনা করেছেন, তাই ভর্ৎসনা শুরু হলো। হযরত ইউনুস (عليه السلام) এ বিষয়টি উপলব্ধি করে স্বজাতির নিকট হতে বেরিয়ে পড়লেন যে, বাইরের লোকেরা আযাবে পতিত হবেনা। তবে আল্লাহর পক্ষ হতে তাঁর সাথে শুরু অন্যরূপ ব্যবস্থা। প্রথমে তো সকল বন্ধু-বান্ধব ও চাকর-বাকর চলে গেলো। একজন নারী ও দু’জন বালক ছাড়া কেউ তাঁর সঙ্গী হলো না। তখন তিনি নিজের কাঁধে তুলে নিলেন একজন পুত্রকে এবং অপর পুত্রকে কাঁধে নিলেন তাঁর স্ত্রী এবং অনেক দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে লাগলেন। পথিমধ্যে একটি বৃক্ষের ছায়ায় বিশ্রাম নিলেন এবং প্রাকৃতিক প্রয়োজন সারতে জঙ্গলে গেলেন। এই সময় রাজপুত্রের সাওয়ারী ‘মুবরাসাম’ ওই বৃক্ষের নিকট পৌঁছে গেলো। সে দেখলো দু’জন বালকসহ একজন অতি সুন্দরী ও রূপসী যুবতীর মত একজন নারী বসে আছে। তাই সে নিজের ভৃত্যদেরকে আদেশ দিলো যে, এই নারীকে আমার নিকট নিয়ে এসো। এই নারীটি যার পর নাই অক্ষমতা প্রকাশ করতঃ বললো যে, আমি একজন পূণ্যবান লোকের বিবাহিত স্ত্রী এবং তিনি নবী। তবে মদোম্মত্ত ও যৌবনোম্মত্ত রাজপুত্র তার কথা শুনেনি এবং তাকে সাথে নিয়ে গেলো। হযরত ইউনুস (عليه السلام) প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করতঃ আসার পর স্ত্রীকে পেলেন না। পুত্রদ্বয়কে পেলেন। তারা সংঘটিত ঘটনা সবিস্তারে বর্ণনা করলো। হযরত ইউনুস (عليه السلام) মনে করলেন, ভর্ৎসনার কর্মকান্ড শুরু হলো। পুত্রদ্বয়কে সাথে নিয়ে পথ চলতে লাগলেন এবং পথিমধ্যে একটি নদী পড়লো। তখন হযরত ইউনুস (عليه السلام) একজন পুত্রকে নদীর তীরে রাখলেন এবং অন্য পুত্রকে কাঁধে নিয়ে নদী পার হতে লাগলেন। যখন নদীর মধ্যখানে পৌঁছালেন তখন মুখ ফিরিয়ে নদীর তীরে অপেক্ষমান পুত্রের দিকে তাকালেন এবং এমতাবস্থায় দেখলেন যে, তার দিকে একটি বাঘ ছুটে আসছে। তখন তিনি ভয়ে আবার ফিরে যেতে লাগলেন এবং এমতাবস্থায় তাঁর কাঁধে থাকা পুত্রটি পানিতে পড়ে গেলো এবং কূলে থাকা পুত্রটিকে নিয়ে গেলো বাঘে। হযরত ইউনুস (عليه السلام) একাকী হয়ে রোম সাগরের তীরে পৌঁছালেন এবং সেখানে ছিলো একটি চলমান জাহাজ। হযরত ইউনুস (عليه السلام) বললেন, আমি একজন দরবেশ লোক। যদি বিনা ভাড়ায় আমাকে বসাও, তাহলে আমিও জাহাজ যোগে যাবো। ব্যবসায়ীরা বললো, আপনি আমাদের অক্ষিযুগলে বসুন। আপনার বরকতে আমাদের বিপদ দূর হয়ে যাবে। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মোদ্দাকথা তিনি জাহাজে উঠলেন এবং জাহাজটি চললো। মধ্য সাগরে হঠাৎ শুরু হলো প্রবল ঘূর্ণিঝড় এবং জাহাজের চলা থেমে গেলো। কেউ কেউ জাহাজটি চালানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু কারো চেষ্টা ফলোদয় হলোনা। তখন সকলে শলা-পরামর্শ করতে লাগলো। তারা এর কোন কারণ আবিষ্কার করতে পারেনি। জাহাজটির চালক বললো, আমার এই মর্মে অভিজ্ঞতা আছে যে, যখন কোন দাস স্বীয় মনিবের নিকট হতে পালিয়ে এসে জাহাজে উঠে পড়ে তখন এ ধরনের ব্যাপার সংঘটিত হয়। সুতরাং তোমরা জাহাজে এই মর্মে ঘোষণা দাও যে, যে ব্যক্তি স্বীয় মনিবের নিকট হতে পালিয়ে এসেছে সে যেন পরিষ্কার ও স্পষ্টভাবে বলে দেয়। যখন ঘোষণাকারী ঘোষণা দিলো তখন হযরত ইউনুস (عليه السلام) বললেন, আমিই ওই পালানো গোলাম। আমাকে সাগরে নিক্ষেপ করে দাও যাতে জাহাজের আরোহীগণ মুক্তি পায়। লোকেরা বললো, আপনাকে তো কখনো এরূপ অসৎ বলে মনে করা যায় না। অবশেষে লটারী দেওয়া হলো, তখন এতে হযরত ইউনুস (عليه السلام) এর নাম উঠলো। দ্বিতীয়বার আবার লটারী দেওয়া হলো, তখনো হযরত ইউনুস (عليه السلام) এর নাম উঠলো। অবশেষে নিরুপায় ও আল্লাহর সিদ্ধান্তে রাজি হয়ে হযরত ইউনুস (عليه السلام)কে সাগরে নিক্ষেপ করা হলো এবং জাহাজটি রওয়ানা দিলো। ঘটনাক্রমে সাগরে আহারের জন্য অপেক্ষমান একটি মাছ নিক্ষিপ্ত হওয়া মাত্রই হযরত ইউনুস (عليه السلام)কে গিলে ফেললো। এই সময় আল্লাহর আদেশ পৌঁছালো যে, সাবধান! এই (হযরত ইউনুস) তোমার আহার নয়। বরং তোমার উদরে আমি তাকে বন্দী করছি। তার শরীর যেন আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। মোদ্দাকথা মাছটি হযরত ইউনুস (عليه السلام)কে নিয়ে রোম সাগর হতে ‘লাতায়েখ’ নামক স্থানে পৌঁছালো এবং সেখান থেকে গেলো দাজলা নদীতে। মাছের উদরে তিনি সর্বদা আল্লাহর স্মরণে নিমগ্ন থাকতেন। এভাবে চলি­শ দিন কেটে গেলো। তখন মাছটির ওপর আদেশ দেওয়া হলো যে, এই কয়েদীকে শামী উপকূলে উগরে দাও। মাছটি তৎক্ষণাৎ উগরে দিলো। তাঁর শরীর এরূপ নরম হয়ে গেলো যে, শরীরে মশা-মাছি বসলে তিনি কষ্ট পেতেন এবং এতই দূর্বল হয়ে গিয়েছিলেন যে, হাতে মশা-মাছি তাড়ানোর শক্তি ছিলোনা। ওই সময় আল্লাহ তা‘আলা কদু (লাউ) গাছ সৃষ্টি করলেন। কদু গাছ স্বীয় পাতার মাধ্যমে তাঁর ওপর ছায়া হয়ে রইলো এবং এতে তিনি মশা-মাছি হতে রক্ষা পেলেন যেমন- সূরা সাফ্ফাত এর মধ্যে বর্ণিত রয়েছে।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাফসীরে মুয়ালিমুত তানযিল গ্রন্থে রয়েছে যে, যখন হযরত ইউনুস (عليه السلام) মাছের পেট হতে বের হলেন তখন তাঁকে দুধ পান করানোর জন্য একটি হরিণীর ওপর আল্লাহর নির্দেশ আসলো যাতে তিনি শক্তিশালী হন। চলি­শ দিন পর হরিণীর আসা বন্ধ হয়ে গেলো। যখন দুধ পানের সময় আসলো এবং হরিণী আসলো না তখন হযরত ইউনুস (عليه السلام) নিবেদন করেন, হে আল্লাহ্! আজ আমি ক্ষুধার্ত ও বুভূক্ষ। আল্লাহর পক্ষ হতে বলা হলো যে, তুমি এতটুকু স্বভাব পরিবর্তনকে পছন্দ করছো না আর আমাকে আবেদন করেছিলে যে, আমি যেন নিজের অনুপম স্বভাব পরিত্যাগ করে নিজের এক লাখ বান্দাকে মেরে ফেলি। একথা শুনে হযরত ইউনুস (عليه السلام) তাওবা করলেন এবং আল্লাহর দরবারে আরয করলেন, হে আল্লাহ্! আমি গুনাহগার আমি লজ্জিত এখন আপনার যে আদেশ আসে তা পালন করবো। আদেশ হলো স্বজাতির নিকট গিয়ে বসবাস করো। যখন স্বজাতির অভিমুখে রওয়ানা হলেন তখন পথিমধ্যে নানা পরিস্থিতির সম্মুখীন হলেন যা দ্বারা হযরত ইউনুস (عليه السلام) নিজের ভুল-ত্রুটির ব্যাপারে অবহিত হলেন। যখন তিনি যারপর নাই লজ্জিত হলেন তখন আল্লাহ তা‘আলা তার ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পূর্ণভাবে ক্ষমা করে দিলেন এবং তাঁকে দান করলেন নবুয়তের মহান পদমর্যাদা। আর হযরত শাইয়া (عليه السلام) কর্তৃক তাঁকে প্রদত্ত রিসালতের এলাকা (অধিক্ষেত্র) উঠিয়ে নেওয়া হল এবং তাঁকে স্বতন্ত্র রাসূল করা হল এবং প্রত্যেক দিক হতে করুণা-অনুগ্রহের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হল। যখন তিনি ওই নদীর তীরে পৌঁছলেন যেখানে তিনি দুই পুত্রকে হারিয়ে ফেলেছিলেন তখন দেখলেন যে, গ্রামের লোকেরা দু’জন বালককে সঙ্গে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হযরত ইউনুস (عليه السلام) জিজ্ঞাসা করলেন, এই দুই বালক কার? তারা বললো, তারা একজন বুযূর্গ ব্যক্তির পুত্র। একজনকে আমরা বাঘের মুখ থেকে কেড়ে নিয়েছি এবং অন্যজনকে নদীতে ভাসমান অবস্থায় ধোপারা উদ্ধার করে আমাদেরকে দিয়েছে। তাই আমরা তাদেরকে লালন-পালন করি এবং এ অপেক্ষায় আছি যে, ওই বুযূর্গ লোকটি পেলে তাকে সোপর্দ করবো। এতক্ষণে বালকদ্বয় হযরত ইউনুস (عليه السلام)কে চিনে নিলো। তারা বললো, তিনিই আমাদের পিতা। তখন ওই লোকেরা পুত্রদ্বয়কে তাঁর নিকট সোপর্দ করলো। যখন হযরত ইউনুস (عليه السلام) পুত্রদ্বয়কে সঙ্গে নিয়ে অগ্রসর হলেন এবং ওই বৃক্ষের নিকট গেলেন যেখান থেকে রাজপুত্র তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলো তখন সেখানে অপেক্ষমান কিছু লোক দেখতে পেলেন। হযরত ইউনুস (عليه السلام) জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা বসে আছো কেন? তারা বললো, আমাদের রাজপুত্র একদিন শিকারের জন্য বের হয়েছিলো এবং তখন জনৈক দরবেশের স্ত্রীকে জোর করে নিয়ে গিয়েছিলো। ওই দিন হতে সে পেট ব্যথায় আক্রান্ত। আমাদের রাজা আমাদেরকে এই জন্য নিয়োজিত করেছেন যে, আমরা যেন তাকে দেখা মাত্রই রাজ দরবারে নিয়ে যাই। সেখানে বাদশাহ অপরাধের ক্ষমা চেয়ে নেবেন এবং তার স্ত্রীকে সোপর্দ করবেন। আর ওই নারীটিকে এখনো কেউ স্পর্শ করেনি। এই কথা ও অবস্থা শুনে হযরত ইউনুস (عليه السلام) বললেন, ওই ফকীর-গরীব লোকটি আমি। তখন বাদশাহর সিপাহীগণ যথাযথ ও পূর্ণ মর্যাদা সহকারে তাঁকে বাদশার নিকট পৌঁছালো। তিনি বাদশার নিকট পৌঁছা মাত্রই রাজপুত্র সুস্থ হয়ে গেলো এবং বাদশাহ তাঁকে তাঁর স্ত্রী সোপর্দ করলো এবং বহু অর্থরাজি ও জিনিসপত্র উৎসর্গ করলো। তিনি যখন ‘মুসিল ও তিনওয়া’ সীমান্তে পৌঁছালেন তখন মানুষকে সংবাদ দেওয়ার জন্য একজন লোক পাঠালেন। যখন এই সংবাদ বাদশার নিকট পৌঁছালো তখন সে মন্ত্রীবর্গ সহকারে উপস্থিত হলো এবং পূর্ণ মর্যাদা সহকারে তাঁকে শহরে নিয়ে গেলো। বাদশাহ অনেক দিন পর্যন্ত তাকে অনুসন্ধান করেছিলো। বাদশাহ যখন মৃত্যুবরণ করলো তখন একজন লোককে খলিফা বানালেন এবং ৭০ (সত্তর) জন অতি আবেদ লোকসহ নিজে ‘সায়হুন’ পাহাড়ে তাশরীফ নিলেন এবং মৃত্যু পর্যন্ত ইবাদতে নিমগ্ন হলেন। ওই স্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে। তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬০ (ষাট) বছর। সূরা নূন ও সাফ্ফাত এর মধ্যে তাঁর ব্যাপারে আলোচনা রয়েছে।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৭৯: যখন কোন জাতির ওপর আযাব চলে আসে তখন আযাব চলে আসার পর ঈমান আনা ফলদায়ক নয়। তবে হযরত ইউনুস (عليه السلام) এর জাতির ওপর মেঘরাজি আসার পরেও যখন তারা ঈমান আনলো তখন তাদের ওপর আযাব উঠিয়ে নেওয়া হলো, এর পেছনে রহস্য কী?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: তাবারানী শরীফের একটি বর্ণনায় রয়েছে যে, তিনওয়া শহরে যখন আযাবের আলামতসমূহ দৃশ্যমান হতে লাগলো এবং হযরত ইউনুস (عليه السلام)কে খেঁাজার পরও পাওয়া যাচ্ছিলোনা তখন শহরবাসী ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে নিজেদের জনৈক আলেমের নিকট গেলো যিনি ছিলেন ঈমানদার ও সমকালীন শায়খ এবং তাঁর নিকট তারা আর্তি জানালো। তখন তিনি আদেশ দিলেন, তোমরা এই দু‘আটি পড়ে প্রার্থনা করো,</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> يا حىّ حين لا حىّ يا حىّ يحى الموتى يا حىّ لا الٰه الّا انت</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">সুতরাং লোকেরা এই দু‘আটি পড়ে প্রার্থনা করলো এবং আযাব দূর হয়ে গেলো। তবে প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও কারামতের অধিকারী ওলী হযরত ফুযাইল বিন আয়ায (رحمه الله تعالي ) বলেন, যে দু‘আটির বরকতে তিনওয়া শহরের আযাব দূর হয়ে গিয়েছিলো সে দু‘আটি ছিলো এটি যে,</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">اَللهم ان ذنوبنا قد عظُمتْ وجلَّت وانت اعظُم واجلُّ فا فعل بنا ما انت اهلهُ ولا تفعل بنا ما نحنُ اهلهُ . </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">মোদ্দাকথা আযাব দূর হয়ে যাবার পর হযরত ইউনুস (عليه السلام) যখন শহরের সন্নিকটে আসলেন তখন তিনি শহরে আযাবের কোন চিহ্ন বা নিদর্শন দেখেননি। লোকেরা বললো, আপনি স্বজাতির নিকট চলে যান। তিনি বললেন, আমি কিভাবে স্বজাতির নিকট যাবো? আমি তো তাদেরকে আযাবের সংবাদ দিয়ে শহর হতে বের হয়ে পড়েছি, তবে আযাব আসেনি। তাই এখন এসব লোকেরা আমাকে মিথ্যুক মনে করে হত্যা করে ফেলবে। তিনি নিকষ কালো অন্ধকার মাছের পেটে বন্দী হলেন। তবে ওই পরিস্থিতিতে তিনি এই আয়াতে কারিমার لَا إله الّا اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّى كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِيْنَ . ওজিফা শুরু করে দিলেন। তাই এর বরকতে আল্লাহ তা‘আলা তাঁকে এই অন্ধকার হতে মুক্তি দিলেন।</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৭৮: ذوالنون ‘যুন্নুন’ কে ছিলেন এবং তাঁর জীবনকাল কীরূপ ছিল?

❏ প্রশ্ন-১৭৮: ذوالنون ‘যুন্নুন’ কে ছিলেন এবং তাঁর জীবনকাল কীরূপ ছিল? ✍ উত্তর: ذوالنون ‘যুন্নুন’ শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে মাছওয়ালা। এটা হযর...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৮৩: ফাসিক কারা এবং এদের নাম কি?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-8074c9cf-7fff-f54b-1b8e-3204ce932fa1"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৮৩: ফাসিক কারা এবং এদের নাম কি?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (رضى الله تعالي عنه) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ   ইরশাদ করেছেন- সর্প, ইঁদুর ও কাক হলো ফাসিক।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">ইবনে মাজাহ শরীফে বর্ণিত আছে, কাক কি খাওয়া যাবে? হযরত ইবনে ওমর (رضى الله تعالي عنه) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফাসিক বলার পর এটি কে খাবে? </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">228. হায়াতুল হাইওয়ান, মাখযনে মা‘লুমাত, পৃষ্ঠা-৫৪৩।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৮৪: ক্বিবলা কাকে বলে এবং ক্বিবলাকে ক্বিবলা কেন বলা হয়? তাহ্ক্বিকসহ বর্ণনা কর।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: قِبْلَةٌ শব্দটি فِعْلَةٌ ওযনে, সামনের দিককে বলা হয়। অথবা এমন অবস্থাকে বুঝায় যা কোন বস্তুর সম্মুখ দিক থেকে সৃষ্টি হয়। অথবা শব্দটি مقابلة বা استقبال থেকে নির্গত। নামাযীর সম্মুখে থাকার কারণে এটাকে ক্বিবলা বলা হয়।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৮৫: غيرذوى العقول বা জ্ঞানহীনদের ক্ষেত্রে ذوى العقول বা জ্ঞানবানদের জন্য ব্যবহৃত শব্দ ব্যবহার করা শুদ্ধ কি-না?</span><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> যেমন- সূরা আ‘রাফের ১৯১নং আয়াতে وهم يخلقون এবং ১৯৩নং আয়াতে وان تدعوهم اِلى الهدىٰ এর মধ্যে هُمْ সর্বনামটির প্রত্যাবর্তনস্থল কি? যদি মূর্তি উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তাহলে ذوى العقول (জ্ঞানবান) এর সর্বনাম غير ذوى العقول (জ্ঞানহীন) এর জন্য ব্যবহার কিভাবে শুদ্ধ হলো?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: প্রশ্নোলিখিত উভয় আয়াতের هم সর্বনামটি মূর্তিসমূহের দিকে প্রত্যাবর্তিত হয়েছে। যা পূর্বের আয়াতে ما শব্দের মর্মে নিহিত রয়েছে। هم সর্বনামটি যদিও ذوى العقول তথা জ্ঞানবানদের জন্য ব্যবহৃত হয়, কিন্তু মুশরিকরা যেহেতু মূর্তিগুলোকে তাদের ইলাহ বানিয়েছিল এবং সেগুলোকে জ্ঞানী মনে করতো। তাই কোরআনে কারীম(ﷺ) ের বর্ণনা পদ্ধতিও তাদের আক্বিদা-বিশ্বাস অনুপাতে তিরস্কার ও ভীতি প্রদর্শন করা হয়। আল্লামা সৈয়দ মাহমুদ আলূসী (رحمه الله تعالي ) বলেছেন, </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">وايراد ضمير العقلاء مع ان الاصنام بما لا يعقل انما هو بحسب اعتقادهم فيها واجرائهم لها مجرى العقلاء . </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘মূর্তি প্রতিমা ذوى العقول না হওয়া সত্ত্বেও ذوى العقول এর সর্বনাম ব্যবহার করা এ জন্যই যে, মূর্তিপূজারীরা তাদের দেব তাদের মূর্তিকে তাদের আক্বিদা মতে ذوى العقول এর স্থলাভিষিক্ত করেছে।’ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">229. রুহুল মা‘আনী, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-১৪৩; তাফসীরে মাযহারী, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-৪৪৪।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৮৬: সূরা আ‘রাফে আল্লাহ্ তা‘আলার বাণী, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">مَا لَا يَخْلُقُ شَيْئًا وَهُمْ يُخْلَقُونَ। এখানে ما  শব্দ দ্বারা কারা উদ্দেশ্য?</span><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> ما শব্দটি ذوى العقول (জ্ঞানবান)-এর জন্য ব্যবহার করা হয়, না غير ذوى العقول (জ্ঞানহীন)-এর জন্য ব্যাখ্যা কর?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: উক্ত আয়াতে ما  শব্দ দ্বারা উদ্দেশ্য ইবলিস ও প্রতিমা। আর ما শব্দটি অধিকাংশ غير ذوى العقول তথা জ্ঞানহীন ও প্রাণহীনদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। </span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">لما قال البغوى آيشركون ما‘ اى ابليس والاصنام . قال القاضى ثناء الله بانى بتى هم‘ ضمير الاصنام . تفسير مظهرى، قال البيضاوى ما‘ اى الاصنام . </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘আল্লামা বাগবী (رحمه الله تعالي ) বলেন, এখানে ما يشركون এর ما দ্বারা ইবলিশ ও মূর্তিদেরকে বুঝানো হয়েছে। আল্লামা ছানাউল্লাহ পানিপথি (رحمه الله تعالي ) বলেন, এখানে هم সর্বনাম দ্বারা দেব-দেবীদের বুঝানো হয়েছে। তাফসীরে মাযহারী। আল্লামা বায়যাবী বলেন, ما দ্বারা মূর্তি বুঝানো হয়েছে।’ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">230. তাফসীরে বায়যাবী, খন্ড- ৩য়, পৃষ্ঠা-৩৮,200. সূরা আ‘রাফ।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৮৭: সূরা আ‘রাফে مِنْ دُونِ اللهِ عِبَادٌ أَمْثَالُكُمْ আয়াতে عباد শব্দ দ্বারা উদ্দেশ্য কী? বর্ণনা কর।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: عباد শব্দটি عبد -এর বহুবচন। অর্থ- মালিকানাধীন। উদ্দেশ্য হচ্ছে এই যে, আল্লাহ তা‘আলা শিরককে প্রত্যাখ্যান করতে গিয়ে মক্কার মুশরিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা যাদের ইবাদত করছ এবং তোমরা যাদেরকে নিজেদের উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করেছ- এদের ও তোমাদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। তোমাদের মালিক যেমন আল্লাহ তা‘আলা, তেমনি তাদের মালিকও আল্লাহ্ তা‘আলা। মা‘বুদ বা উপাস্য এমন হওয়া উচিত যে, তিনি উপাসনাকারীদের চেয়ে সম্মান ও মর্যাদায় অনেক উত্তম ও উন্নত হবেন। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">231. তাফসীরে মাযহারী, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-৪৪৪</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৮৩: ফাসিক কারা এবং এদের নাম কি?

❏ প্রশ্ন-১৮৩: ফাসিক কারা এবং এদের নাম কি? ✍ উত্তর: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (رضى الله تعالي عنه) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ   ইরশাদ করেছেন- সর্প...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৯০: ইচ্ছাকৃত হত্যাকারী কি সর্বদা জাহান্নামে থাকবে?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-266ececf-7fff-aec7-80e5-d073bd9e8b07"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৯০: ইচ্ছাকৃত হত্যাকারী কি সর্বদা জাহান্নামে থাকবে?</span><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> অথচ হাদীস শরীফে এসেছে, شفاعتى لاهل الكبائر(আমার উম্মতের কবীরা গোনাহকারীদের জন্য আমার সুপারিশ)। এতে বুঝা যায়, হত্যাকারীরা চিরকাল জাহান্নামে থাকবে না। অতএব, এরা চিরকাল জাহান্নামে থাকবে, কী থাকবে না? দলিলসহ বর্ণনা কর।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: ইচ্ছাকৃত হত্যাকারীর তাওবা কবুল হবে কিনা এবং ওই ব্যক্তি চিরকাল জাহান্নামে থাকবে কিনা এ বিষয়ে ইমামগণের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মতে, যদি ওই ব্যক্তি মু’মিন হয় তাহলে আল্লাহ তা‘আলার মাগফিরাত এবং হুযূর  -এর শাফা‘আতের দ্বারা জাহান্নামে শাস্তিভোগ করার পর জান্নাতে যাবে। ঈমানের কারণে চির জাহান্নামী হবে না। কিন্তু এ হুকুম ওই সময় প্রযোজ্য হবে, যখন উক্ত ব্যক্তি হত্যাকে হালাল মনে করে হত্যাকান্ড সংঘটিত না করে থাকে। অন্যথায় হালাল মনে করে হত্যা করার অপরাধে চিরকাল জাহান্নামে থাকবে। সে কারণে জমহুর ওলামায়ে কিরাম উক্ত আয়াতে خالدًا শব্দের ব্যাখ্যা  বিস্তারিতভাবে করেছেন- من يقتل متعمدًا । </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">234. তাফসীরে ইবনে কাসীর, খন্ড- ১, পৃষ্ঠা:৫৩৭</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৯১: সূরা আলে-ইমরানে ইরশাদ হয়েছে, </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">إِنَّ مَثَلَ عِيسَى عِنْدَ اللهِ كَمَثَلِ آدَمَ উক্ত আয়াতে হযরত ঈসা (عليه السلام)কে হযরত আদম (عليه السلام)-এর অনুরূপ ও সাদৃশ হিসেবে তুলনা করা হয়েছে। অথচ হযরত আদম (عليه السلام) ছিলেন মাতা-পিতাবিহীন এবং হযরত ঈসা (عليه السلام) হলেন পিতাবিহীন। অতএব এ সাদৃশ্যতা কিভাবে শুদ্ধ হবে?</span><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বর্ণনা কর।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: হযরত ঈসা (عليه السلام) সাধারণ প্রচলিত নিয়ম ও পদ্ধতি বর্হিভূত পিতা ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটা ছিল এক আশ্চর্য বিষয়। কিন্তু এর চেয়ে আরো বেশী আশ্চর্যের বিষয় ছিল হযরত আদম (عليه السلام) মা-বাবা উভয় ছাড়াই আল্লাহ তা‘আলার কুদরতী শক্তিতে সৃষ্টি হয়েছিলেন। সুতরাং এখানে এক বিস্ময়কর বিষয়কে তার চেয়েও আরো অধিক বিস্ময়কর বিষয়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। দৃষ্টান্ত ও উপমায় উপমান ও উপমেয় সকল দিক দিয়ে একরকম ও সমান হওয়া শর্ত নয়। বরং উপমানে কিছু গুণ উপমেয়-এর মধ্যে পাওয়া যাওয়াই উপমা ও দৃষ্টান্তের জন্য যথেষ্ট। যেমন- কোন মানুষের বীরত্ব ও সাহসিকতার দৃষ্টান্ত বাঘের সাথে করা হয়। অথচ উভয়ের মধ্যে প্রত্যেক দিক দিয়ে সমতা নেই। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">235. তাফসীরে খাযেন,200. সূরা বাকারা, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৩০১।</span></p><br>

❏ প্রশ্ন-১৯০: ইচ্ছাকৃত হত্যাকারী কি সর্বদা জাহান্নামে থাকবে?

❏ প্রশ্ন-১৯০: ইচ্ছাকৃত হত্যাকারী কি সর্বদা জাহান্নামে থাকবে? অথচ হাদীস শরীফে এসেছে, شفاعتى لاهل الكبائر(আমার উম্মতের কবীরা গোনাহকারীদের জন্...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৮৯: শয়তান বিতাড়িত ও অভিশপ্ত হওয়ার পূর্বে কোন বিষয়ে আদিষ্ট ছিল?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-dbeb027c-7fff-3b7b-6a26-813662f78de4"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৮৯: শয়তান বিতাড়িত ও অভিশপ্ত হওয়ার পূর্বে ফিরিশতাদের সঙ্গে কোন্ কোন্ বিষয়ে আদিষ্ট ছিল?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: মুফাস্সিরীনে কিরাম শয়তান সম্পর্কে বিভিন্ন প্রকারের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضى الله تعالي عنه) হতে বর্ণিত আছে যে, ইবলিশ ফিরিশতাদের একটি গোত্রের ছিল, যাদেরকে ‘জ্বীন’ বলা হত। তাদেরকে গরম আগুন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছিল, যখন ফিরিশতাদেরকে নূর থেকে সৃষ্টি করা হয়েছিল। সুরইয়ানী ভাষায় শয়তানের নাম ছিল আযাযিল এবং আরবীতে হারিস। সে ছিল জান্নাতের কোষাধ্যক্ষ এবং দুনিয়ার আকাশের প্রধান। আকাশ ও দুনিয়ার জগতে তার রাজত্ব ছিল। ফিরিশতাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় মুজতাহিদ ও জ্ঞানী ছিল। যে কারণে তার মধ্যে গৌরব ও অহংকার সৃষ্টি হয় এবং আল্লাহর হুকুমের কুফরী করার কারণে বিতাড়িত হয়।</span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">তাফসীরে ফাতহুল ক্বাদীর এবং তাফসীরে ইবনে কাসীরে উল্লেখ আছে,</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">كان من اشد الملائكة اجتهادًا او اكثرهم علمًا . كان من اشرف الملائكة واكرمهم قبيلة وكان خازنا كان له سلطان السماء الدنيا وكان له سلطان الاض الخ .</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘ইবলিশ ফিরিশতাদের চেয়ে বড় গবেষক ও বিজ্ঞানী ছিল, ফিরিশতাকুলের চেয়ে অধিক মর্যাদাবান ও সম্মানী ছিলো, বংশগতভাবেও সে পরম শ্রদ্ধাভাজন ছিল এবং সে ভান্ডার রক্ষক ছিল। তার হাতে দুনিয়া তথা প্রথম আসমানের বাদশাহী ন্যস্ত ছিল এবং তার হাতে পৃথিবীর রাজত্ব ছিল।’ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">233. তাফসীরে ইবনে কাসীর, খন্ড- ৩ পৃষ্ঠা-৭৭।</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৮৯: শয়তান বিতাড়িত ও অভিশপ্ত হওয়ার পূর্বে কোন বিষয়ে আদিষ্ট ছিল?

❏ প্রশ্ন-১৮৯: শয়তান বিতাড়িত ও অভিশপ্ত হওয়ার পূর্বে ফিরিশতাদের সঙ্গে কোন্ কোন্ বিষয়ে আদিষ্ট ছিল? ✍ উত্তর: মুফাস্সিরীনে কিরাম শয়তান সম্পর্কে ব...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৯২: হযরত আদম (عليه السلام) এর সন্তানদের মাঝে ঝগড়া-বিবাদের কারণ কি ছিল?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-ba387a1e-7fff-2583-a51a-96e151eae0f0"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৯২: হযরত আদম (عليه السلام) এর সন্তানদের মাঝে ঝগড়া-বিবাদের কারণ কি ছিল? এবং তাদের মধ্যে ভাই-বোনের পার্থক্যের নিয়ম কি ছিল?</span><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বর্ণনা কর।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: হযরত আদম (عليه السلام)-এর সন্তানদের মাঝে ঝগড়ার কারণ সম্পর্কে অধিকাংশ মুফাস্সিরীনে কিরামের অভিমত হচ্ছে, হযরত আদম (عليه السلام)-এর যখনই কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করত, এক ছেলে ও এক মেয়ে জোড়া হিসেবে জন্মগ্রহণ করতো। কেননা আদম (عليه السلام) ছিলেন পৃথিবীতে প্রথম মানব এবং তার বংশধারা অবশিষ্ট থাকুক, এটাই ছিল আল্লাহ তা‘আলার ঐকান্তিক ইচ্ছা। তাই আল্লাহ তা‘আলা একটি নীতিমালা নির্ধারণ করে দিয়েছেন যে, প্রত্যেক জোড়া পরস্পর বিবাহ জায়েয হবে না, বরং এক জোড়া অপর জোড়ার সঙ্গে বিবাহ জায়েয হবে। তাই প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে গর্ভের ভিন্নতা, বংশের ভিন্নতা হিসেবে গণ্য হতো। অনুরূপ হযরত আদম (عليه السلام)-এর ছেলে কাবিলের সাথে একই গর্ভে যে মেয়েটি জন্মেছিল তার নাম আকলিমা এবং সে পরমা সুন্দরী ছিল। পরবর্তী গর্ভে যে ছেলেটি জন্মেছিল তার নাম ছিল হাবিল এবং তার বোনের নাম ছিল লুবাদা। এখন শরীয়তের বিধান মোতাবেক যখন বিবাহের সময় হলো, তাই আকলিমার বিবাহ হাবিলের সঙ্গে হচ্ছে। তখন কাবিল তা অস্বীকার করে বলতে লাগলো, তার জন্ম যেহেতু আমার সঙ্গে হয়েছে বিধায় আমিই তার হকদার। আকলিমা ছিল লুবাদার চেয়ে অধিক সুন্দরী এবং সুশ্রীও। এ ব্যাপারে হযরত আদম (عليه السلام) কাবিলকে বুঝানোর অনেক চেষ্টা করেন কিন্তু সে তা মানতে রাজি হয়নি। অতঃপর হযরত আদম (عليه السلام) হাবিল ও কাবিল উভয়কে মানত করার হুকুম দিলেন যে, যার মানত কবুল হবে, তার পক্ষে ফয়সালা দেয়া হবে। দেখা গেল- হাবিলের মানতই কবুল হলো। এতে কাবিল আরো অধিক ক্ষিপ্ত বা ক্রোধান্বিত হলো। পরিশেষে সে হাবিলকে অন্যায়ভাবে হত্যা করল। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">236. তাফসীরে তাবারী, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-১৮৮,200. সূরা মায়েদা; তাফসীরে ইবনে কাসীর, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৪১।</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৯২: হযরত আদম (عليه السلام) এর সন্তানদের মাঝে ঝগড়া-বিবাদের কারণ কি ছিল?

❏ প্রশ্ন-১৯২: হযরত আদম (عليه السلام) এর সন্তানদের মাঝে ঝগড়া-বিবাদের কারণ কি ছিল? এবং তাদের মধ্যে ভাই-বোনের পার্থক্যের নিয়ম কি ছিল? বর্ণনা ক...

Read more »

❏ প্রশ্ন-১৯৩: আসহাবে কাহাফের কুকুর জান্নাতে যাবে কিনা? ফাঁসির শাস্তি শরীয়ত সম্মত কিনা?

<p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;" id="docs-internal-guid-283a2ecb-7fff-5539-8698-e1341f42c277"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৯৩: আসহাবে কাহাফের কুকুর জান্নাতে যাবে কিনা? এ ব্যাপারে ওলামাই কিরামের মতামত কি?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: আসহাবে কাহাফের কুকুর সম্পর্কে কোরআনে কারীম(ﷺ) কোন হুকুম পাওয়া যায়নি। সে সম্পর্কে কোরআন নীরব এবং হাদীস শরীফেও সে বিষয়ে উল্লেখ করেনি। হ্যাঁ! মুফাস্সিরীনে কিরামদের মধ্যে কেউ কেউ এমন কিছু পশুর কথা উল্লেখ করেছেন যেগুলো জান্নাতে যাবে। আসহাবে কাহাফের কুকুরও উক্ত সূচিক্রমে উল্লেখ করা হয়েছে। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">237. রুহুল বয়ান, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-২২৬; রুহুল মা‘আনী, খন্ড-১৫, পৃষ্ঠা-২২১; وكلبهم باسط :এর আলোচনার অধীনে; তাফসীরে জুমাল, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-১২;200. সূরা কাহাফ, باسط ذراعيه আয়াতের অধীনে।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৯৪: বর্তমানে প্রচলিত ফাঁসির শাস্তি শরীয়তের দৃষ্টিতে কিসাসের হুকুমের অন্তভুর্ক্ত হবে কি-না?</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: শরীয়তে কিসাসের শাস্তি প্রদানের জন্য যে শর্তসমূহ নির্ধারণ করা হয়েছে, তা নিম্নরূপ। কিসাসের মধ্যে মৌলিক শর্ত তিনটিঃ</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">১. হত্যাকারী থেকে কিসাস লওয়া। বাস্তবিকপক্ষে হত্যাকৃত ব্যক্তির ওয়ারিশদের ওপর নির্ভর, তারা ইচ্ছে করলে কিসাস নিতে পারে, না হয় দিয়্যত বা রক্তপণ গ্রহণ করতে পারে। আর ইচ্ছে করলে ক্ষমাও করে দিতে পারে।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">২. কিসাস লওয়ার সময় হত্যাকৃত ব্যক্তির ওয়ারিশরা উপস্থিত থাকা আবশ্যক। </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">৩. হানাফিদের মতে একটি শর্ত এটাও যে, কিসাস তরবারি দ্বারা নিতে হবে। বর্তমানে ফাঁসির প্রচলিত নিয়মে উক্ত তিনটি শর্ত পাওয়া যায় না বিধায় শর্ত অনুপস্থিতির কারণে ওটাকে শরয়ী কিসাস না বলে তা‘যির বা শাস্তি বলা যেতে পারে। অবশ্য কিসাস বলা শুদ্ধ হবে না।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال العلامة علاء الدين الكاسانى استبقاء القصاص تثبتُ باسباب . </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">আল্লামা আলাউদ্দিন কাসানী (رحمه الله تعالي ) বলেন, قصاص বা বদলা নেয়ার কার্যকারিতা বিভিন্ন প্রদ্ধতিতে হতে পারে। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">238. বদায়েউস্ সানায়ে, জেনায়াত অধ্যায়, খন্ড-৭, পৃষ্ঠা- ২৪৩।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">হ্যাঁ! অবশ্য হত্যাকারীকে শাস্তি দেয়ার জন্য ফাঁসি কার্যকরী একটি উত্তম কাজ। যদিও কিসাস না হয়। তবুও এটি বাস্তবায়ন করা জায়েয ও বৈধ।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(255, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">❏ প্রশ্ন-১৯৫: বর্তমানে মানুষ গাছের পরিবর্তে ষ্টীল, লোহা ও পাষ্টিক ইত্যাদি দ্বারা ঘরের সরঞ্জামাদি ও অলংকার তৈরী করছে। এ জাতীয় সরঞ্জাম, খাট ও অলংকার ব্যবহার করা শরীয়তের দৃষ্টিতে জায়েয আছে কিনা?</span><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;"> বর্ণনা কর।</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">✍ উত্তর: শরীয়তের পক্ষ থেকে মহিলাদের জন্য যে কোন প্রকারের সরঞ্জাম ও অলংকার ইত্যাদির ব্যবহার জায়েয রেখেছেন। কিন্তু পুরুষদের জন্য শুধু রৌপ্য ব্যবহার বৈধ করেছেন। এ ছাড়া অন্যান্য পদার্থের তৈরী জিনিস ব্যবহার মাকরূহ বলেছেন। অতএব এ জাতীয় জিনিস ব্যবহার না করাই উচিত। ফাতওয়া হিন্দিয়াতে আছে,</span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">والتختم بالحديد والصفر والنحاس مكروه للرجال والنساء . </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">অর্থ: লোহা, দস্তা ও তামা নির্মিত আংটি ব্যবহার পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্যই মাকরূহ। </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">239. ফাতওয়া হিন্দিয়া, দশম অধ্যায়: স্বর্ণ ও রৌপ্য ব্যবহার প্রসঙ্গে, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-৩৩৫; অনুরূপ বায্যায়্যিাহ আলাল মু‘আমিশিল হিন্দিয়াহ, কারাহিয়া অধ্যায়, সপ্তম পরিচ্ছেদ: পোশাক প্রসঙ্গে, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা-৩৬৮।</span></p><br><p dir="rtl" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">قال العلامة التمرتاشى ولا يتختم بغيرها، كحجر و ذهب وحديد وصفر ورصاص وزجاج وغيرها بمامر . </span></p><br><p dir="ltr" style="line-height:1.38;text-align: justify;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 0); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">‘আল্লামা তামরতাশী বলেন, রৌপ্য ছাড়া অন্যান্য ধাতব নির্মিত আংটি (পুরুষ) ব্যবহার করতে পারবে না। যেমন- পাথর, স্বর্ণ, লোহা, দস্তা, তামা ও শিশা ইত্যাদি যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।’ </span></p><p dir="ltr" style="line-height:1.38;margin-top:0.0pt;margin-bottom:0.0pt;"><span style="font-size: 13pt; font-family: Arial; color: rgb(0, 0, 255); background-color: transparent; font-variant-numeric: normal; font-variant-east-asian: normal; vertical-align: baseline; white-space: pre-wrap;">240. রদ্দুল মুহ্তার, কারাহিয়া অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: পোশাক প্রসঙ্গে, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা-৩৬০; বাহরুর রায়েক্ব, কারাহিয়া অধ্যায়, পরিচ্ছেদ: পোশাক প্রসঙ্গে, খন্ড-৮, পৃষ্ঠা-১৯১; ফাতওয়া হক্কানীয়া, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৪১৯।</span></p>

❏ প্রশ্ন-১৯৩: আসহাবে কাহাফের কুকুর জান্নাতে যাবে কিনা? ফাঁসির শাস্তি শরীয়ত সম্মত কিনা?

❏ প্রশ্ন-১৯৩: আসহাবে কাহাফের কুকুর জান্নাতে যাবে কিনা? এ ব্যাপারে ওলামাই কিরামের মতামত কি? ✍ উত্তর: আসহাবে কাহাফের কুকুর সম্পর্কে কোরআনে কার...

Read more »