১৪- ফজরের নামাযের জামাত শুরু হওয়ার পর ফজরের সুন্নাত আদায় করার সুযোগ রয়েছে
▆ আহলে হাদীসদের মতে :
ফজর বা অন্য যেকোন ফরয নামাযের জামাত শুরু হওয়ার পর কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সুন্নাত না পড়েই জামাতে শরীক হতে হবে।
দলীলঃ ��
عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا أقيمت الصلاة، فلا صلاة إلا المكتوبة (رواه أبو داود- ١/١٨٠)
��হানাফী মাযহাব মতে :
হানাফী মাযহাব মতেও জামাত শুরু হওয়ার পর কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে তাকে সুন্নাত পড়া ব্যতিরেকে জামাতে শরীক হতে হবে।
তবে ফজরের সুন্নাত এর থেকে ব্যতিক্রম।
অর্থাৎ ফজরের জামাত শুরু হয়ে গেলেও তার যদি এই এক্বীন হয় যে, সে সুন্নাত পড়ে জামাতে শরীক হতে পারবে তাহলে তার জন্য মসজিদের বারান্দায় বা জামাতের কাতার থেকে দূরে অন্য কোন স্থানে সুন্নাত আদায় করার অনুমতি রয়েছে।
তার কারণ হলো, অন্যান্য সূন্নাতের চেয়ে ফজরের সুন্নাতের গুরুত্ব বহুগুন বেশি।
বরং এই দুই রাকাত এমন সুন্নাত যা ওয়াজিবের নিকটবর্তী।
সুতরাং এই দুই রাকাত পড়তে হবে। এবং জামাতেও শামিল হতে হবে।
এর পদ্ধতি হলো দ্বিতীয় রাকাতে তাশাহহুদ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে প্রথমে সুন্নাত পড়বে এরপর জামাতে শামিল হবে।
আর তাশাহহুদ না পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সুন্নাত পড়া ব্যতিরেকে জামাতে শামিল হয়ে যাবে।
দলীলঃ ��
عن عبد الله بن أبي موسى قال: جاءنا ابن مسعود والإمام يصلي الفجر، فصلى ركعتين إلى سارية، ولم يكن صلى ركعتي الفجر (مصنف عبد الرزاق-٢/٤٤٤)
قال: حدثنا مالك بن مغول، قال: سمعت نافعا، يقول: أيقظت ابن عمر رضي الله عنهما لصلاة الفجر , وقد أقيمت الصلاة , فقام فصلى الركعتين (شرح معاني الآثار،رقم الحديث- ٢٢٠٣)
عن أبي عثمان الأنصاري، قال: جاء عبد الله بن عباس والإمام في صلاة الغداة , ولم يكن صلى الركعتين فصلى عبد الله بن عباس رضي الله عنهما الركعتين خلف الإمام , ثم دخل معهم وقد روي عن ابن عمر مثل ذلك (شرح معاني الآثار،رقم الحديث- ٢٢٠١)
----------------(إعلاء السنن-٧/٩٨، الفتاوي الهندية-١/١٧٩، أبو داود- ١/١٨٠، الفتاوي الشامي- ٢/٥١٠،٥١٢، فتح القدير- ١/٤٩٢، البحر الرائق- ٢/١٢٩)
��আহলে হাদীসদের দলীলের জবাব :
ফজরের সুন্নাত হাদীসের নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভূক্ত নয়।
কেননা প্রিয় নাবী রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله و سلم)  ফজরের সুন্নাতের ব্যাপারে কঠোর তাগিদ দিয়েছেন যে, হযরত আবু হুরায়রা রাযি. বলেন, প্রিয় নাবী রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله و سلم)  বলেছেন, দুশমনের ঘোড়া যদি তোমাদেরকে ধাওয়া করে তথাপিও ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত তোমরা ছেড়ে দিও না। (আবু দাউদ-১/৪৮৭)
এই কারণে সাহাবাগন ফজরের ইকামতের পরে প্রথমে সুন্নাত পড়ে তারপর জামাতে শরীক হতেন।
আহলে হাদীসদের অপর একটি হাদীস যে, ইবনে আব্বাসকে ফজরের জামাত দাঁড়ানোর পর সুন্নাত পড়তে দেখে রাসূল সা. ধমক দিয়েছেন। (ফাতহুল বারী- ২/১২৬)
এই হাদীসের জবাব হলো,
ইবনে আব্বাস রাযি. কাতারের মধ্যে দাঁড়িয়ে সুন্নাত পড়ছিলেন। এই কারণে প্রিয় নাবী রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله و سلم)  তাঁকে ধমক দিয়েছেন। জামাতে দাঁড়ানোর পর সুন্নাত পড়ার কারণে নয়।

 
Top