উযূর ফরয
উযূর ফরয চারটি। ১. সমস্ত মুখমণ্ডল একবার ধোয়া। অর্থাৎ মাথার চুলের গোড়া থেকে থুত্নীর নীচ পর্যন্ত এবং এক কানের লতি থেকে অপর কানের লতি পর্যন্ত পুরো মুখমণ্ডল ভালোভাবে ধোয়া। ২. উভয় হাতের কনুইসহ একবার ধোয়া, ৩. মাথার এক চতুর্থাংশ পরিমাণ একবার মাসেহ করা ও ৪. উভয় পা গ্রন্থিসহ একবার ধোয়া। উল্লেখিত অঙ্গসমূহের কোনো অংশ ধোয়া না হলে কিংবা পানি না পৌঁছলে উযূ হবেনা এবং ঐ উযূ দ্বারা আদায়কৃত ইবাদতও শুদ্ধ ও কবুল হবে না।
গোসল
গোসল আরবি শব্দ। অর্থ সমস্ত শরীর ধোয়া। শরীয়তের পরিভাষায় পবিত্রতা ও আল্লাহর নৈকট্যলাভের উদ্দেশ্যে পবিত্র পানি দ্বারা সমস্ত শরীর ধোয়াকে গোসল বলা হয়। আমাদের দেশের অধিকাংশ নারী পুরুষরা কী কী কারণে গোসল ফরয হয় এবং গোসলের ফরয কী কী তা জানে না। ফলে তারা গোসল করেও সারা জীবন নাপাক থাকে।
গোসল ফরয হওয়ার কারণ
১. ইহতিলাম: সহবাস ব্যতিরেকে কামভাবসহ পুরুষ বা মহিলার বীর্য বের হলে, স্পর্শ দ্বারা হোক, দেখার দ্বারা হোক, স্বপ্নদোষ দ্বারা হোক, হস্তমৈথুন দ্বারা হোক, শোয়া অবস্থায় হোক কিংবা জাগ্রত অবস্থায় হোক গোসল করা ফরয। ২৯৩
২৯৩.ফাতোয়ায়ে আলমগীরী, খণ্ড ১, পৃ. ১৬ - ১৭
২. স্ত্রী সহবাস: স্ত্রী সহবাস করলে নারী-পুরুষ উভয়ের উপর গোসল ফরয হয়। বীর্য বের হোক বা না হোক। আর সহবাস সাব্যস্ত হবে পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ নারীর যৌনি পথে প্রবেশ করলে। তখন বীর্যপাত না হলেও গোসল ফরয হবে। স্ত্রী সহবাসের সাথে সাথে গোসল করা উত্তম। গোসল না করার কারণে যদি নামায কাযা হয়ে যায় তাহলে গুনাহগার হবে।
৩. হায়েয বন্ধ হয়ে গোসল করে পবিত্রতা অজর্ন করা ফরয।
৪. নিফাস বন্ধ হলেও গোসল করা ফরয।