ইস্তিহাযা অবস্থায় নামায রোযার হুকুম
কারো নাক থেকে রক্ত প্রবাহিত হলে বা লাগাতার পেশাব হলে অথবা রক্ত বা বায়ু জারী থাকলে তাকে যে রূপ মা‘যূর বলে গণ্য করা হয় অনুরূপভাবে মুসতাহাযা মহিলাও শরী‘আতের দৃষ্টিতে মা‘যূর। ইস্তিহাযার কারণে নামায রোযা কিছুই ছাড়াতে হবে না। বরং নামায রোযা যথাসময়ে নিয়ম মাফিক আদায় করবে। এমনকি এ সময় স্ত্রী সহবাস করাও জায়িয আছে (আলমগীরী ১ম খণ্ড)।
ইস্তিহাযা ওয়ালী মহিলা প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্তে নুতন অযূ করে এর দ্বারা ফরয, ওয়াজিব, সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এবং নফল সব নামায আদায় করতে পারবে। এমন কি কুরআন শরীফও পড়তে পারবে। এ ওয়াক্ত যতক্ষণ পর্যন্ত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত তার অযূও বাকী থাকবে। ওয়াক্ত চলে যাওয়ার পর অযূ ভঙ্গ হয়ে যাবে। অন্য নামাযের জন্য আবার নূতনভাবে অযূ করতে হবে (হিদায়া ও আলমগীরী)।
ইস্তিহাযা ওয়ালী মহিলা ফযরের নামাযের সময় যে অযূ করেছে এ দ্বারা সূর্যোদয়ের পর কোন অযূ করে থাকে তবে ঐ অযূ দ্বারা যুহরের নামায আদায় করতে পারবে। নুতন অযূ করতে হবে না। কিন্তু আসরের ওয়াক্ত আসলে নুতনভাবে অযূ করতে তবে (হিদায়া)।
ইস্তিহাযা রোগে আক্রান্ত মহিলা কোন ওয়াক্তে অযূ করার পর ঐ ওয়াক্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার অযূ বাকী থাকবে। কিন্তু এ সময় যদি অযূ ভঙ্গের অন্য কোন কারণ পাওয়া যায় তবে অযূ ভঙ্গ হয়ে যাবে।
ইস্তিহাযা রোগে আক্রান্ত কোন মহিলা অযূ করে নফল নামায পড়তে আরম্ভ করে এক রাক‘আত আদায় করার পর যদি তার ওয়াক্ত খতম হয়ে যায় নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। পরে সতর্কতার লক্ষে এর কাযা পড়তে হবে (আলমগীরী)।
ইস্তিহাযা মহিলা যদি কেন বাধন অথবা তুলা দ্বারা রক্ত বন্ধ করতে সক্ষম হয় অথবা অবস্থা যদি এমন হয় যে বসা অবস্থায রক্ত প্রবাহিত হয় না। কিন্তু দাঁড়ালে রক্ত প্রবাহিত হয় এক্ষেত্রে রক্তস্রাব বন্ধ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা ওয়াজিব। এ অবস্থায় মা‘যূরের হুকুম তার জন্য প্রযোজ্য হবে না। অবশ্য হায়িয ওয়ালী মহিলার বিষয়টি এ থেকে ব্যতিক্রম (আলমগীরী)।
মুস্তাহাযা মহিলাও মাযূরের হুকুমের অন্তর্ভুক্ত। তাই এ ক্ষেত্রেও মাযূরের বিধান প্রযোজ্য হবে।