❏ প্রশ্ন-১৮৩: ফাসিক কারা এবং এদের নাম কি?


✍ উত্তর: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (رضى الله تعالي عنه) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ   ইরশাদ করেছেন- সর্প, ইঁদুর ও কাক হলো ফাসিক।

ইবনে মাজাহ শরীফে বর্ণিত আছে, কাক কি খাওয়া যাবে? হযরত ইবনে ওমর (رضى الله تعالي عنه) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ফাসিক বলার পর এটি কে খাবে? 

228. হায়াতুল হাইওয়ান, মাখযনে মা‘লুমাত, পৃষ্ঠা-৫৪৩।


❏ প্রশ্ন-১৮৪: ক্বিবলা কাকে বলে এবং ক্বিবলাকে ক্বিবলা কেন বলা হয়? তাহ্ক্বিকসহ বর্ণনা কর।


✍ উত্তর: قِبْلَةٌ শব্দটি فِعْلَةٌ ওযনে, সামনের দিককে বলা হয়। অথবা এমন অবস্থাকে বুঝায় যা কোন বস্তুর সম্মুখ দিক থেকে সৃষ্টি হয়। অথবা শব্দটি مقابلة বা استقبال থেকে নির্গত। নামাযীর সম্মুখে থাকার কারণে এটাকে ক্বিবলা বলা হয়।


❏ প্রশ্ন-১৮৫: غيرذوى العقول বা জ্ঞানহীনদের ক্ষেত্রে ذوى العقول বা জ্ঞানবানদের জন্য ব্যবহৃত শব্দ ব্যবহার করা শুদ্ধ কি-না? যেমন- সূরা আ‘রাফের ১৯১নং আয়াতে وهم يخلقون এবং ১৯৩নং আয়াতে وان تدعوهم اِلى الهدىٰ এর মধ্যে هُمْ সর্বনামটির প্রত্যাবর্তনস্থল কি? যদি মূর্তি উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তাহলে ذوى العقول (জ্ঞানবান) এর সর্বনাম غير ذوى العقول (জ্ঞানহীন) এর জন্য ব্যবহার কিভাবে শুদ্ধ হলো?


✍ উত্তর: প্রশ্নোলিখিত উভয় আয়াতের هم সর্বনামটি মূর্তিসমূহের দিকে প্রত্যাবর্তিত হয়েছে। যা পূর্বের আয়াতে ما শব্দের মর্মে নিহিত রয়েছে। هم সর্বনামটি যদিও ذوى العقول তথা জ্ঞানবানদের জন্য ব্যবহৃত হয়, কিন্তু মুশরিকরা যেহেতু মূর্তিগুলোকে তাদের ইলাহ বানিয়েছিল এবং সেগুলোকে জ্ঞানী মনে করতো। তাই কোরআনে কারীম(ﷺ) ের বর্ণনা পদ্ধতিও তাদের আক্বিদা-বিশ্বাস অনুপাতে তিরস্কার ও ভীতি প্রদর্শন করা হয়। আল্লামা সৈয়দ মাহমুদ আলূসী (رحمه الله تعالي ) বলেছেন, 


وايراد ضمير العقلاء مع ان الاصنام بما لا يعقل انما هو بحسب اعتقادهم فيها واجرائهم لها مجرى العقلاء . 


‘মূর্তি প্রতিমা ذوى العقول না হওয়া সত্ত্বেও ذوى العقول এর সর্বনাম ব্যবহার করা এ জন্যই যে, মূর্তিপূজারীরা তাদের দেব তাদের মূর্তিকে তাদের আক্বিদা মতে ذوى العقول এর স্থলাভিষিক্ত করেছে।’ 

229. রুহুল মা‘আনী, খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-১৪৩; তাফসীরে মাযহারী, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-৪৪৪।


❏ প্রশ্ন-১৮৬: সূরা আ‘রাফে আল্লাহ্ তা‘আলার বাণী, 

مَا لَا يَخْلُقُ شَيْئًا وَهُمْ يُخْلَقُونَ। এখানে ما  শব্দ দ্বারা কারা উদ্দেশ্য? ما শব্দটি ذوى العقول (জ্ঞানবান)-এর জন্য ব্যবহার করা হয়, না غير ذوى العقول (জ্ঞানহীন)-এর জন্য ব্যাখ্যা কর?


✍ উত্তর: উক্ত আয়াতে ما  শব্দ দ্বারা উদ্দেশ্য ইবলিস ও প্রতিমা। আর ما শব্দটি অধিকাংশ غير ذوى العقول তথা জ্ঞানহীন ও প্রাণহীনদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। 


لما قال البغوى آيشركون ما‘ اى ابليس والاصنام . قال القاضى ثناء الله بانى بتى هم‘ ضمير الاصنام . تفسير مظهرى، قال البيضاوى ما‘ اى الاصنام . 


‘আল্লামা বাগবী (رحمه الله تعالي ) বলেন, এখানে ما يشركون এর ما দ্বারা ইবলিশ ও মূর্তিদেরকে বুঝানো হয়েছে। আল্লামা ছানাউল্লাহ পানিপথি (رحمه الله تعالي ) বলেন, এখানে هم সর্বনাম দ্বারা দেব-দেবীদের বুঝানো হয়েছে। তাফসীরে মাযহারী। আল্লামা বায়যাবী বলেন, ما দ্বারা মূর্তি বুঝানো হয়েছে।’ 

230. তাফসীরে বায়যাবী, খন্ড- ৩য়, পৃষ্ঠা-৩৮,200. সূরা আ‘রাফ।


❏ প্রশ্ন-১৮৭: সূরা আ‘রাফে مِنْ دُونِ اللهِ عِبَادٌ أَمْثَالُكُمْ আয়াতে عباد শব্দ দ্বারা উদ্দেশ্য কী? বর্ণনা কর।


✍ উত্তর: عباد শব্দটি عبد -এর বহুবচন। অর্থ- মালিকানাধীন। উদ্দেশ্য হচ্ছে এই যে, আল্লাহ তা‘আলা শিরককে প্রত্যাখ্যান করতে গিয়ে মক্কার মুশরিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা যাদের ইবাদত করছ এবং তোমরা যাদেরকে নিজেদের উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করেছ- এদের ও তোমাদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। তোমাদের মালিক যেমন আল্লাহ তা‘আলা, তেমনি তাদের মালিকও আল্লাহ্ তা‘আলা। মা‘বুদ বা উপাস্য এমন হওয়া উচিত যে, তিনি উপাসনাকারীদের চেয়ে সম্মান ও মর্যাদায় অনেক উত্তম ও উন্নত হবেন। 

231. তাফসীরে মাযহারী, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-৪৪৪

 
Top