হায়িযের সময়সীমা


হায়িযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হল তিনদিন তিনরাত। এবং সর্বোচ্চ সময় দশদিন দশরাত। খোলাসা গ্রন্থে এরূপই উল্লেখ রয়েছে। 


এই সময়সীমা ছাড়া যদি রক্তস্রাব দেখা যায় তাহলে তা ‘ইসতিহাযা’ বলে গণ্য হবে। আমাদের দলীল হল আবূ উমামাহ্ (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত একটি হাদিস : 

قال النبى صلى الله عليه وسلم أقل ما يكون الحيض للجارية اللثيب والبكر جميعا ثلاثة أيام يكون من الحيض عشرة أيام وما زاد على العشرة فهو استحاضة

নবী করীম (ﷺ) বলেছেন, অবিবাহিত ও বিবাহিত নির্বিশেষে সকল মহিলার হায়িযের সর্বনিম্ন সময় তিন দিন ও সর্বোচ্চ সময় দশ দিন হয়ে থাকে। দশ দিনের অতিরিক্ত যা হবে তা হবে ইস্তিহাযা। ৩১১

৩১১.আলমগীরী ও হিদায়া


কোন মহিলা যদি পূর্ব থেকে একটি নির্দিষ্ট মেয়াদে হায়িয হওয়ার অভ্যাসে অভ্যস্ত থাকে আর ঘটনাক্রমে কোন এক সময় যদি তার পূর্ব অভ্যাসের চেয়ে অধিক সময় রক্তস্রাব ঘটে তাহলে দশ দিন অতিক্রম করে না যাওয়া পর্যন্ত তা হায়িয বলে গণ্য হবে। যেমন কারো পূর্ব অভ্যাস ছিল তিনদিন কিন্তু কোন এক মাসে সে রক্তস্রাব দেখতে পেল চারদিন, তাহলে ধরে নিতে হবে যে, তার পূর্ব অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে চার দিনে পরিণত হয়েছে। এবং চারদিনেই হায়িয বলে গণ্য হবে। অনুরূপভাবে পূর্ব অভ্যাস চারদিন থাকলে পরে পাঁচদিন পর্যন্ত রক্ত দেখলে পূর্ব অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে পাঁচ দিনে রূপান্তরিত হয়েছে বলে ধরে নিতে হবে এবং পাঁচ দিনই হায়িয বলে গণ্য হবে। অনুরূপ অবস্থা দশ দিন পর্যন্ত চলবে। কিন্তু যখন রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যাবে তখন একে ‘ইস্তিহাযা’ বলে মনে করতে হবে এবং তার পূর্ব অভ্যাসের উপর নির্ভর করতে হবে অর্থাৎ পূর্বে যতদিন হায়িয হত ততদিনই হায়িয বলে গণ্য হবে। এবং পূর্ব অভ্যাসের চেয়ে অতিরিক্ত যতদিন স্রাব হবে তা ‘ইস্তিহাযা’ বলে গণ্য হবে। ৩১২

 ৩১২.কিতাবুল ফিক্হ

 
Top