❏ প্রশ্ন-১৬৭:  امّ هانىউম্মে হানীর মূল বা প্রকৃত নাম কি? হুযূর   তাঁর ঘর হতে কিভাবে মি‘রাজে গেলেন?


✍ উত্তর: উম্মে হানী হচ্ছেন হযরত আলী (رضى الله تعالي عنه)’র বোন এবং আবু তালিবের কন্যা। তার প্রকৃত নামের ব্যাপারে মতানৈক্য রয়েছে। কারো কারো মতে, তার নাম হচ্ছে হিন্দা কিংবা ফাতেমা বা ফাখতাহ। তার স্বামীর নাম হচ্ছে হুবায়রা বিন ওমর আল-মাখযুঈ। সে মুশরিক ছিল। মক্কা বিজয়ের দিন সে পালিয়ে গিয়েছিল, আর ওই সময়েই হযরত উম্মে হানী ইসলাম গ্রহণের কথা প্রকাশ করেন। তার নিকট হতে ৪৬টি হাদীস বর্ণিত আছে। মি‘রাজের রাতে হুযূর (ﷺ)  তার ঘরে তাশরীফ নিয়েছিলেন।


❏ প্রশ্ন-১৬৮: হযরত উম্মে সালমা কে ছিলেন? তার ব্যাপারে কিছু আলোচনা কর।


✍ উত্তর: উম্মে সালমা ছিলেন হুযূর (ﷺ) এর অন্যতম স্ত্রী। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল হিন্দা। পিতার নাম আবু উমাইয়া এবং মাতার নাম আতেকা বিনতে আমের।

তিনি প্রথমে আবু সালমার বৈবাহিক বন্ধনে ছিলেন। তবে আবু সালমা যখন উহুদ যুদ্ধে শহীদ হলেন তখন হযরত আবু বকর (رضى الله تعالي عنه) তার নিকট বিবাহের প্রস্তাব পাঠালেন। এতে তিনি অসম্মতি প্রকাশ করলেন। এরপর হযরত ওমর (رضى الله تعالي عنه) রাসূলুল্লাহ  ’র পক্ষে বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে গেলেন তখন উম্মে সালমা বললেন, রাসূলুল্লাহ  কে স্বাগতম। তবে আমি বৃদ্ধা। তদুপরি আমার একজন এতিম পুত্রও রয়েছে। আমার স্বভাবে আত্মসম্ভ্রমবোধও প্রবল এবং আমার পৃষ্ঠপোষক বা মুরব্বীও বিদ্যমান নেই।

এই জবাব পেয়ে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তার নিকট তাশরীফ নিলেন এবং বললেন, বয়সে আমি তোমার চেয়ে বড়। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল হচ্ছেন এতিমদের অভিভাবক। আত্মসম্ভ্রমবোধ আল্লাহ তা‘আলা দূর করে দিবেন। মুরব্বী বা বড়দের উপস্থিতি প্রয়োজন। কেননা আমি এমন কোন ব্যক্তি নই যে আমার ব্যাপারে অসম্মতি জানাবে। তখন উম্মে সালমা স্বীয় নাবালেগ পুত্র ওমরকে বললো, আমাকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)’র সাথে বিয়ে করিয়ে দাও। সে বিয়ে করিয়ে দিলো। হুযূর (ﷺ) তাকে যায়নাব (رضى الله تعالي عنه)-এর ঘরে রাখলেন। কেননা তখন তিনি মৃত্যুবরণ করেছিলেন এবং তার ঘরটি খালি ছিল। এই ঘটনাটি ৬ষ্ঠ হিজরীর শাওয়াল মাসের ২ তারিখে সংঘটিত হয়েছিল। হাদীসের কিতাবাদিতে তার বর্ণিত হাদীসের সংখ্যা হচ্ছে ৩৭৪টি। মুত্তাফাক আলাইহি ১৩টি, এককভাবে সহীহ বুখারীতে ১৩টি, এককভাবে সহীহ মুসলিমে ১৩টি এবং অবশিষ্ট হাদীসসমূহ অন্যান্য কিতাবে রয়েছে। তিনি ৫৬ হিজরী মতান্তরে ৬২ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন। হযরত আবু হুরায়রা (رضى الله تعالي عنه) তার জানাযার নামায পড়ান এবং জান্নাতুল বকীতে তাকে দাফন করা হয়। তখন তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। প্রসিদ্ধ বর্ণনা মতে,  রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)’র অবশিষ্ট সকল স্ত্রীগণের পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। 

223. তিরমিযী শরীফ।


❏ প্রশ্ন-১৬৯: ‘জাম্উল জামা’ কাকে বলা হয়?


✍ উত্তর: جمع الجمع এর শাব্দিক অর্থ হচ্ছে বহুবচনের বহুবচন। সুফিয়ায়ে কেরামদের মতে, আল্লাহর মধ্যে সম্পূর্ণভাবে বিলীন হওয়াকে جمع الجمع ‘জামউল জামা’ বলা হয়।

 
Top