❏ প্রশ্ন : রাসূল (ﷺ) এর বিশেষ আমল কী?


✍ জবাব : রাসূল (ﷺ) এর বিশেষ আমল হলো, যাকাত ওয়াজিব না হওয়া, এক সাথে নয় স্ত্রী রাখা, উটের উপর সাওয়ার হয়ে কা‘বা তাওয়াফ করা। মেম্বরের উপর দাড়িয়ে নামায আদায় করা। এর মধ্যে অনুসরণ করা যাবে না। কারণ এই আমলগুলি অনুসরণযোগ্য নয়।


❏ প্রশ্ন : রাসূলগণের শানে আজে বাজে কথা যারা বলে এবং শানে রেসালাতকে ছোট যারা করে তাদের ব্যাপারে শরীয়াতের হুকুম কী? যে ব্যক্তি রাসূল (ﷺ) এর নাআল শরীফকে ছোট করে জুতা বললো, তার হুকুম কী? এসব তো শানে রেসালাতে বেআদবী শব্দ। এরপর তাওবা করলে কবুল হবে কিনা?


✍ জবাব : من لم يقر ببعض الأنبياء عليهم السلام أو عاب نبيا بشئ او لم يرض بسنته من سنن المرسلين عليهم السلام فقد كفر

 যে ব্যক্তি কোনো নবীকে মানলো না, অথবা আমাদের নবীর কোনো জিনিসে দোষ বের করলো, রাসূলের সুন্নাতের মধ্যে কোনো একটিকে পছন্দ করলো না, সুতরাং সে কাফের। (ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ৫/৩২৫)


كل من أراد بقلبه بغض النبي صلى الله عليه وسلم فقد كفرঅর্থাৎ যদি কোনো ব্যক্তি অন্তরে রাসূল (ﷺ) এর অপমান ও মর্যাদা ছোট করার ইচ্ছা করে তাহলে সে ইসলামী শরীয়াতের বিধান মতে কাফের। (ফাতাওয়া তারার খানিয়া : ৫/৩২৫)

 ولو قال لشعر النبي صلى الله عليه وسلم الشعير.....إذا قال بطريق الإهانة يكفر بكل ذلك 

যদি কোনো ব্যক্তি নবীর চুলকে শুআইর বলে, ... যখন এইসব অপমান করার জন্য বলবে সক কিছুর দ্বারা কাফের হয়ে যাবে।

(ফাতাওয়া তাতার খানিয়া : ৫/৩৩৬)

ولو عاب النبي صلى الله عليه وسلم بشئ من العيوب يكفر أو قال قد كان طويل ظفر فقد يكفر مطلقا قال على وجه الإهانة

যদি রাসূল (ﷺ) এর কোনো দোষ বের করা হয় তাহলে কাফের হয়ে যাবে। যদি বলে লম্বা নক বিশিষ্ট ছিলো, তাহলে কাফের হয়ে যাবে। যদি অপমান করার জন্য বলে।

(ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ৫/৩৩৬)


কিতাবের উদ্ধৃতি দ্বারা জানা যায় যে, পছন্দনীয় মাযহাব হলো, সাধারণ মুসলমানদের মধ্যে যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে এমন কথা বের করবে, যা রাসূল (ﷺ) এর পবিত্র শানে অশোভনীয়, তাহলে তাকে হত্যা করা হবে। তার তাওবা এই অর্থে গ্রহণযোগ্য হবে না যে, হত্যা থেকে বেঁচে যাবে। যদিও সে দুই কালিমা পাঠ করেছে। যদি এই মারাত্মক অপরাধ থেকে তাওবা করে এবং এরপর মারা যায়, অথবা এই অপরাধের কারণে হত্যা করা হয় তাহলে তার মুসলমানের মতো মৃত্যু ধরা হবে। গোসল, জানাযা, কাফন, দাফন সব কিছু মুসলমানদের মতো হবে। তাওবার আগে মারা গেলে কাফেরের মৃত্যু হবে। তার সাথে মুসলমানের মতো আচরণ করা যাবে না।


শরহে বেকায়ার আল্লামা চলপীর টিকাতে আছে,

قد اجتمعت الأمة على أن الاستخفاف نبيا صلى الله عليه وسلم وبأي نبي من الأنبياء كان كفرا سواء فعله فاعل ذلك استحلالا ام فعله معتقدا بحرمته وليس بين العلماء خلاف في ذلك الذين نقلوا لاجماع فيه أكثر من أن تحصى

সকল মুসলিম উম্মাহ এর উপর একমত হয়েছে যে, নবী কারীম অথবা অন্য কোনো নবীর শান ছোট করা কুফুরী। সে এটাকে হালাল মনে করুক, অথবা হারাম মনে করুক। এই মাসআলায় ওলামায়ে কেরামের কোনো ইখতিলাফ নেই। এবং এই মাসআলার উপর ইজমার কথা অগণিত আলেম উদ্ধৃত করেছেন।

 
Top