❏ প্রশ্ন : ঈমান কতভাবে আসতে পারে?


✍ জবাব : ঈমান তিনভাবে আসতে পারে।

১। ঈমানী বিষয় শুনে মান্য করা।

২। দেখে মান্য করা।

৩। তার মধ্যে প্রবেশ করে মান্য করা।


❏ প্রশ্ন : ঈমান ও আল্লাহর কালাম মাখলুক, নাকি মাখলুক নয়? যৌথ, নাকি একক? যারা বলে ঈমান মাখলুক তাদের পিছনে নামায পড়া জায়েয আছে কি না?


✍ জবাব : وبه نستعين وهو المستعان ঈমানকে মাখলুক বলার প্রবক্তা কাফের। এভাবে কুরআনকে মাখলুক বলার প্রবক্তাও কাফের।


ফতোয়া তাতার খানিয়াতে আছে,

من قال بخلق الإيمان فهو كافر وكذا من قال بخلق القران فهو كافر

‘যে ব্যক্তি বলবে ঈমান মাখলুক, সে কাফের। এভাবে যে বলবে কোরআন মাখলুক সে কাফের।’


ইমাম আবু হানিফা (رحمة الله) থেকে বর্ণিত আছে,

إن الإيمان غير مخلوق، اى توفيق الله و هدايته، فالله تعالى بجميع افعاله غير مخلوق

‘ঈমান মাখলুক নয়। অর্থাৎ আল্লাহর তাওফীক ও হেদায়াত। আল্লাহ তা‘আলা সকল কর্মসহ গায়রে মাখলুক।’


ঈমানের তাওফীক আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর এটা মাখলুক নয়। অর্থাৎ যা আল্লাহর পক্ষ থেকে হবে সেটা মাখলুক হবে না। আর যা বান্দার পক্ষ থেকে হবে সেটা মাখলুক।

وأما التصديق والإقرار من العبد، فالعبد بجميع أفعاله مخلوق

‘আর বিশ্বাস ও স্বীকারোক্তিবান্দার পক্ষ থেকে। বান্দা তার সকল কর্মসহ মাখলুক।’ শুধু ঈমান একক, যৌথ নয়।


ইমাম যাহেদী (رحمة الله) বলেন,

إن أردت بالإيمان التصديق والإقرار فهذا فعل العبد العبد بجميع أفعاله مخلوق .

‘ঈমানের দ্বারা যদি বিশ্বাস ও স¦ীকারোক্তি উদ্দেশ্য নাও, তাহলে এটা বান্দার কর্ম। বান্দা তার সকল কর্মসহ মাখলুক।’


বিশ্বাস ও স্বীকারোক্তি যা বান্দার কাজ তার মাখলুক। আর আল্লাহর পক্ষ থেকে যে তাওফীক ও হেদায়াত আসে তা মাখলুক নয়।

وإن أردت توفيق الله وهدايته على اتيان الإيمان بالله تعالى فالله بجميع أفعاله غير مخلوق

‘যদি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার জন্য আল্লাহর তাওফীক ও হেদায়াত উদ্দেশ্য নাও, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তার সকল কর্মসহ গায়রে মাখলুক।’

(ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ৩৭১, কতরুল গইস ফি মাসায়িলি ফকীহ আবিল লাইস সমরকন্দি)


হযরত শায়খ আবু সাহল বলেন, অনেক পূর্ববর্তী ইমামগণ বলেছেন,

إن من قال القران مخلوق فهو كافر ومن قال الإيمان مخلوق فهو كافر

‘যে বলেছে, কোরআন মাখলুক সে কাফের। যে বলেছে, ঈমান মাখলুক সেও কাফের।’


হযরত শায়খ আবু বকর বিন হামেদ, শায়খুল ইমাম আবু হাফস ও শায়খুল ইসলাম আবু ইসহাক আযযরীর, শায়খুল ইমাম আবু বকর ইসমাঈল থেকে বর্ণিত।

 الإيمان غير مخلوق ومن قال بخلقه فهو كافر ‘

"ঈমান মাখলুক নয়। যে মাখলুক বলবে সে কাফের।’


কোরআন মাজীদ গায়রে মাখলুক। অর্থাৎ আসল কালাম গায়রে মাখলুক ও কদীম। যা আল্লাহ তা‘আলার থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। ছাপা, শব্দ ও আওয়াজ নয়। এসব কিছু বান্দার পক্ষ থেকে।


শায়খ মুহাম্মাদ বিন ফযল বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানকে মাখলুক বলবে তার পিছনে নামায জায়েয নেই। من يقول بخلق الإيمان فقال لا تصلوا خلفه

‘যে ব্যক্তি বলবে ঈমান মাখলুক তার পিছনে নামায পড়ো না।’

 
Top