❏ প্রশ্ন-১৬৫: দস্তারবন্দি মাহফিল আয়োজন করার বিধান কী?
✍ উত্তর: ভারত ও মধ্য এশিয়ার আলেমদের মধ্যে এই প্রথাটির প্রচলন রয়েছে এবং এটা বিদআত। কোরআন-হাদীস এবং সাহাবাদের জীবনাচারে এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। তবে এটা একটা সার্বজনীন প্রথা যে, যখন কোন ছাত্র ইলমে দ্বীনের ডিগ্রী অর্জন করে তখন তাকে সম্মানিত আলেমদের একটি বিশেষ মজলিসে মর্যাদার পাগড়ি পরিধান করানো হয় যার বদৌলতে সে আনুষ্ঠানিকভাবে আলেমদের জামাতে অন্তভুর্ক্ত হয়। তখন তাকে জ্ঞানের বিকাশ সাধন, ফতোয়া লিখা এবং শরয়ী মাসায়েল অনুযায়ী বিধি-বিধান শুনানোর যোগ্য বলে মনে করা হয়। এই প্রথাটি এক ধরনের বিদআতে হাসনাহ। এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায়না। ইসলামের বিকাশ কালে এর কোন নজির বা দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়না। তবে এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এই কর্ম পদ্ধতির মধ্যে অসংখ্য শরয়ী ও ইলমী স্বার্থ নিহিত রয়েছে যেগুলো লক্ষ্য করে পরবর্তী ওলামায়ে কেরাম এই প্রথার প্রচলন ঘটিয়েছেন।
ما راهُ المؤمنون حسنا فهو عند اللهِ حسنٌ . هو ماظهرلى والعلم عندالله .
‘মু’মিনগণ যা উত্তম মনে করেন তা আল্লাহর নিকটও উত্তম।’ আমার নিকট এরূপ প্রতীয়মান হয়েছে। সঠিক জ্ঞান আল্লাহর নিকট রয়েছে।
222. ইসলামী উলুম কা মাখযান, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৩২২।
❏ প্রশ্ন-১৬৬: اُم الولد ‘উম্মুল ওয়ালাদ’ কাকে বলা হয় এবং এর সংজ্ঞা ও বিধান কী?
✍ উত্তর: ‘উম্মুল ওয়ালাদ’ বলা হয় ওই দাসীকে যার গর্ভে মনিবের সন্তান ভূমিষ্ট হয়। ওই দাসীকে বিক্রয় ও দান করা বৈধ নয়। তবে তার সাথে সহবাস করা, তার সেবা গ্রহণ করা, তাকে ভাড়া দেওয়া ও বিয়ে দেওয়া বৈধ।