ভন্ড শায়েখ নাসিরুদ্দীন আলবানীর মুখোশ উন্মোচন।
#COPY #SHARE
✍ লেখক ও সংকলকঃ
(Masum Billah Sunny)
[ব্লগার, www.sunnipedia.blogspot.com]
_______________________________
👉 পিতার ত্যাজ্যপুত্র ছিল নাসিরুদ্দীন আলবানী। তার বদ আকিদা ও নবী-অলীর শানে গোস্তাখী করার জন্য তার পিতা (সম্মানিত আহলুস সুন্নাহর আলেম) তাকে ত্যাজ্য ঘোষণা করে। সে পেশা একজন ঘড়ির মেকানিক ছিল।
👉 হাদিসে আছে, নিজ পিতা যার উপর সন্তুষ্ট আল্লাহও তার উপর সন্তুষ্ট। পিতা যার উপর অসন্তুষ্ট আল্লাহও তার উপর অসন্তুষ্ট।
👉 অপর হাদিসে আছে, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
এই দুই হাদিস দ্বারাও নাসিরুদ্দীন আলবানীকে পাপিষ্ট, জাহান্নামের কীট বলে উল্লেখ করা যায়।
আর যে ব্যক্তি রাসুল (দুরুদ) ও অলীগণের শানে গোস্তাখী করে তার ধ্বংস তো অনিবার্য।
👉 এই ব্যক্তি এমন এক ফিত্নার জনক যে কিনা সিহাহ সিত্তার প্রতিটি হাদিসে ছুরি চালায়। দ্বিখন্ডিত করেছে সিহাহ সিত্তাকে সহিহ ও দ্বয়ীফ নামে। যা তার পূর্বে কেউ করার সাহস পাননি।
👉 মুহাদ্দিসগণ লক্ষ লক্ষ হাদিস মুখস্ত জানতেন। যেমনঃ ইমাম বুখারী (রহঃ) - ২/৩/৫ লক্ষ হাদিস জানতেন বলে জানা যায়। তিনি এত সংখ্যক হাদিস থেকে মাত্র ৬-৭ হাজার হাদিস বর্ননা করলেন। সেইগুলো ওনার নিকট গ্রহণযোগ্য ছিল অথচ সে ওনার ১০০০ বছর পর জন্ম নিয়ে সেই খবিস পবিত্র হাদিসের কিতাবটিকে দাগ টেনে দ্বিখন্ডিত করে দিয়েছে। এমনি ভাবে সকল জগৎ বিখ্যাত ইমামদের বিরোদ্ধে গিয়ে তাদেরকে কিতাবগুলোকে দ্বিখন্ডিত করার দুঃসাহস দেখিয়ে তাদের সকলের শানে সে বেয়াদবী করেছে।
👉 এই ব্যক্তি নাসিরুদ্দীন আলবানী।
যে কিনা সর্বশেষ কথিত আহলে খবিস ফিত্নার বীজ বপন করেছে। যার মাধ্যমে বর্তমান সালাফীগণ ৪ মাযহাবের ইমামকে পরিত্যাগ করে তার মত গাধার মাযহাবকে মেনে নিয়েছে। অথচ তারা বলে কারো তাকলিদ করা মানি না কিন্তু তারা আলবানীর তাহক্বীক করাকে মানে।
👉 তার প্রতি আহলে খবিসদের এতটাই ভরসা যে, তারা প্রত্যেক কিতাবের তাহক্বীকে, প্রত্যেক হাদিসের নিচে তার নাম যুক্ত করে।
👉 এমনকি তারা ইমামে আজমের বিরোদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হতেও দ্বিদ্ধাবোধ করেনি।
👉 আমার তো মাঝে মাঝেঃ
এটাও ধরণা হয় যে তার মত ঘড়ির মেকানিক কিভাবে সিহাহ সিত্তাহ সহ ইমামগণের সকল কিতাব পড়ে শেষ করে ফেলে? আবার সেগুলোর তাহক্বীকও করে ফেলে?
👉 আমার ব্যক্তিগত দুইটা ধারণা হলঃ
এটাও তো হতে পারে যে- সালাফীরাই তার নামে সাইনবোর্ড বানিয়ে বিভিন্ন মূল্যবান কিতাবগুলোতে তাদের ইচ্ছামত তাহক্বীক করে তাকে সামনে রেখে Role model বানাতে চাচ্ছে। আল্লাহ ভাল জানেন।
এরা চুরি করতে Expert.
👉 অথবা, সে যা শিখেছে তার চেয়ে বেশি বমি করেছে।
"মানে সনদ বিজ্ঞানের অ, আ, ক, খ পড়েই সহীহ আর জয়ীফ এর তাহক্বীক করাতে নেমে পড়েছে। এজন্যই তার তাহক্বীক কৃত হাদিসগুলোর মান নিয়ে আহলুস সুন্নাহর মধ্যে চরম বিতর্ক। এমনকি সে নিজেও তার কৃত তাহক্বীক এর পরিবর্তন করেছে বহু কিতাবের বহু হাদিসে। যার লিস্ট করে এতিমধ্যে প্রমাণ সহ সম্মানিত আলেম উলামা বিভিন্ন বই বের করেছেন। শুধু সুন্নী নয় ওহাবীরাও এই বিষয়ে একমত।
তার অন্যান্য মারাত্মক ভূল সমূহঃ
👉 নবী রাসূলগণ বিভিন্ন ধরণের সগীরা গুনাহ ও আল্লাহ অবাধ্যতায় লিপ্ত হয়ে থাকেন। (নাউযুবিল্লাহ)
সূত্রঃ ( আল ফাতাওয়াল কুয়্যেতিয়্যা লিল আলবানী পৃষ্ঠা ২৯)
👉 আল্লাহর রাসূল (সা:) মানুষকে যে সমস্ত আয়াত শিখিয়েছেন তা তিনি ভুলে যেতে পারেন।নাউযুবিল্লাহ
সূত্রঃ (আল ফাতাওয়াল কুয়্যেতিয়্যা লিল আলাবানী পৃষ্ঠা ৩০)
👉 ইমাম বুখারী (রহঃ) কে অমুসলিম আখ্যায়িত করেছেন। (নাউযুবিল্লাহ) সূত্রঃ [ফাতাওয়া শায়েখ আলবানী, পৃষ্ঠা-৫২৩, মাকতাবাতুত তুরাছিল ইসলামী, প্রথম প্রকাশ ১৯৯৪ইং]
👉 নবীগণ নিষ্পাপ এটা সাধারণ বা ব্যাপক নয়। (নাউযুবিল্লাহ)
সূত্রঃ ( ফাতাওয়াল আলবানী ফিল মাদীনাতি ওয়াল ইমারত, পৃষ্ঠা-১৮)
👉 রাসূল (সা:) কে অসিলা করে দুআ করা হারাম? (নাউযুবিল্লাহ)
সূত্রঃ (অাহকামুল জানায়েয ওহা বিদাউহা,পৃষ্ঠা -২৬৪)
👉 সালাফী মাযহাবের প্রতিষ্ঠাতা হলেন আল্লাহ তা'আলা। (নাউযুবিল্লাহ)
সূত্রঃ ( ফাতাওয়াল আলবানী ফিল মাদীনাতি ওয়াল ইমারাত,পৃষ্ঠা-১৮)
👉 আশ্চর্য হওয়া আল্লাহর একটি গুণ। (নাউযুবিল্লাহ)
সূত্রঃ ( কিতাবুশ শায়েখ আলবানী)
👉 এটা ঈমান রাখো যে,আল্লাহ তা'আলা (শুধু) আসমানে রয়েছেন। (নাউযুবিল্লাহ)
সূত্রঃ ( আল হাবী মিন ফাতাওয়াশ শায়েখ আলবানী, ১ম খণ্ড ৪৩পৃষ্ঠা)
👉 আলবানী ইমাম বুখারী (রহঃ) কে নিয়ে এমন সমালোচনা করেছেন যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। ইমাম বুখারি (রহঃ) এর ব্যাখ্যা করা কুরআন এর সূরা কাসাসের ৮৮ নং আয়াতের সমালোচনা করতে গিয়ে আলবানী বলেন-
ان هذا التأويل لا يقول به مؤمن مسلم وقال إن هذه التأويل هو عين التعطيل.
“এ ধরণের ব্যাখ্যা কোন মুমিন মুসলমান দিতে পারে না। তিনি বলেন, এ ধরণের ব্যাখ্যা মূলতঃ কুফরী মতবাদ “তা’তীলের” অন্তর্ভূক্ত”। (নাউযুবিল্লাহ)
সূত্রঃ [ফাতাওয়াশ শায়েখ আলবানী, পৃষ্ঠা-৫২৩, মাকতাবাতুত তুরাছিল ইসলামী,প্রথম প্রকাশ১৯৯৪ইং]
শুধু তাই নয় আলবানী এমন এক ব্যক্তি যার কাছ থেকে রেহাই পায়নি কোন মুহাদ্দিস, ইমাম,ফকীহ, মাযহাব এমনকি ইসলামের বিভিন্ন পর্যায়ের বড় বড় মনীষীগণ।
আল্লাহ পাক এমন খান্নাসদের থেকে মুসলমানদেরকে হেফাযত করুন। (আমিন)