▆               মাযহাব এত কেন              ▆

সম্ভবত জ্ঞান অনুসন্ধানী সকল মুসলিমেরই ইসলাম চর্চার একটি পর্যায়ে নিম্নের প্রশ্নগুলো অন্তরে কোনো না কোনো সময় নাড়া দেয়।
যেমন,
এক আল্লাহ, এক রাসূল, এক কিবলা, এক ধর্ম।
তবে
হাদীস প্রনেতা পৃথিবীতে এত কেন?

আসলে কি আল্লাহ্ এই সকল মানুষগুলোকে হাদীস সংগ্রহের দায়িত্ব দিয়েছিলেন?

হাদীস সংগ্রহের দায়িত্ব যদি আল্লাহ্ কাউকে দিতেন, তাহলে একজনকে দিতে পারতেন।
তাহলে পৃথিবীতে এত মাযহাব হতো না।

এত মাযহাবের জন্য কি হাদীস প্রনেতারা দায়ী, নাকি আমরা; কিংবা আল্লাহ।
কোনটিকে দায়ী মনে করা যাবে?
আর
এত মাযহাব হওয়ার কারনে কাউকে দায়ী মনে করাও কি যৌক্তিক?
কিংবা
এত মাযহাব কেনো হল ভেবে মাযহাবকে দোষারোপ করা কি যৌক্তিক?

আমরা যে সব হাদীসগুলো পড়ি এ কথাগুলো প্রায় সবগুলো ক্বুরআনুল কারিমে আছে।

আবার
দেখুন,
অনেক ‍কিছু হাদীসে আছে যা ক্বুরআনুল কারিমে নেই।
সেই কারণে ক্বুরআনুল কারিমকে কি অপূর্ণাঙ্গ কিতাব বলা যাবে?
আল্লাহ বলেছেন, ক্বুরআনুল কারিমে সব আছে।

যদি ক্বুরআনুল কারিমে সব থেকে থাকে তবে হাদীস থেকে আমাদের কি নেয়ার আছে?
হাদীস ছাড়া ক্বুরআনুল কারিম কি পূর্ণাঙ্গ কিতাব?
যদি হাদীস নিতেই হয়, তাহলে ক্বুরআনুল কারিমের পূর্ণাঙ্গতা কতটা যৌক্তিক?

এখন প্রিয় পাঠক, আসুন প্রশ্নগুলোর সুরাহা কি হতে পারে দেখে নেই।

প্রথম প্রশ্ন হলো,
ধর্ম এক, আল্লাহ এক, রাসূল এক, তাহলে হাদিস প্রণেতা এত কেন?

পাঠক, আপনি বলুন তো! ক্লাস এক, শিক্ষক এক, ছাত্র এত কেন?

দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো,
আল্লাহ তা‘আলা কি এ সব মানুষকে হাদিস সংগ্রহের দায়িত্ব দিয়ে ছিলেন?
তার উত্তর হলো, হ্যাঁ,

কেননা
কোরআন হাদিসের অসংখ্য স্থানে অন্যের নিকট দ্বীন পৌঁছানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

যেমন,
প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) ইরশাদ করেছেন,
অর্থাৎ : ‘দ্বীনের এই ইলম (Knowledge) পরবর্তীদের প্রত্যেক নিষ্ঠাবানরা বহন করবে।’
গ্রন্থ সূত্র :
*_* মিশকাতুল আসার; ৮/৩৭৩।

অন্য হাদিসে ইরশাদ হয়েছে,
عن عبد الله بن عمرو، أن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: بلغوا عني ولو آية
অর্থাৎ : ‘আমার পক্ষ থেকে একটি বিষয় হলেও তোমরা অন্যের কাছে পৌঁছিয়ে দাও।’
গ্রন্থ সূত্র :
*_* বুখারী শরিফ; ১/৪৯১।

মনে রাখতে হবে,
এই আদেশের আওতায় হাদিস প্রণেতা, ফিকাহবিদসহ সকল স্তরের মুসলমান এমনকি আপনি, আমিও অন্তর্ভূক্ত।

হাদিস সংকলনকারী মুহাদ্দিসগণ অনেক ত্যাগের মাধ্যমে দায়িত্বটি যথাযথভাবে পালন করেছেন।
যা তাঁদের সমগ্র মুসলিম জাতির ওপর এক অসাধারণ কৃপা ও অনুগ্রহ।
মুসলমানগণ কোনো দিন তাদের এ ঋণ পরিশোধ করতে পারবে না।

একাধিক মাযহাব ও ফিরকার জন্য তাঁরা কোনোভাবেই দায়ী নন।
কারণ
তাঁদের দায়ী করতে হলে আগে যিনি হাদিসগুলো বলেছেন, অর্থাৎ প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم)-কেই দায়ী করতে হবে।  نعوذبالله
আর
শেষ পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলাকে দায়ী করতে হবে।  نعوذبالله
যা হবে চরম জ্ঞান পাপ ও ধৃষ্টতা।

কেননা,
এসব কিছুর পেছনে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছাই মূল নিয়ামক।
আর
তাঁর কোনো কাজই অহেতুক ও রহস্য মুক্ত নয়।

মানুষ চিন্তা করলে অনেক সময় সে রহস্য বুঝতে সক্ষম হয়।
আবার অনেক সময় সক্ষম হয় না।

হাদিস সংগ্রহ যদি একজনই করতো, তারপরও মাযহাব এক না হয়ে একাধিক হতো এতে কোনো সন্দেহ নেই।

মানুষের বুঝের ভিন্নতা (Differences in thoughts)-কে কোনো ভাবেই এড়ানো যাবে না।
মানুষের বুঝের ভিন্নতা এর বড় কারণ।

একই বিষয় একজন এক রকম বুঝলেও অন্যজন অন্য রকম বুঝেন।
একই রুগী (Patient) দুই ডাক্তারের কাছে গেলে দুইজন দুই ধরণের চিকিৎসা করে থাকেন।

বুখারী শরিফের একটি হাদিসে এসেছে,
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال : قال رسول الله صلى الله عليه و سلم يوم الأحزاب ( لا يصلين أحد العصرإلا في بني قريظة) فأدرك بعضهم العصر في الطريق فقال بعضهم لا نصلي حتى نأتيها وقال بعضهم بل نصلي لم يرد منا ذلك . فذكر ذلك للنبي صلى الله عليه و سلم فلم يعنف واحدا منهم.
অর্থাৎ- 'নবী করীম স. আহযাবের দিন সাহাবায়ে কেরামের একটি জামাতকে ‘বনী কুরাইজা’ নামক স্থানে এ বলে পাঠালেন যে, তোমাদের কেউ যেন বনী কুরাইজায় না পৌঁছা পর্যন্ত আছরের নামায না পড়ে'।
কিন্তু
ঘটনাক্রমে সেখানে পৌঁছতে দেরী হওয়ায় পথিমধ্যে আছরের নামাযের সময় ঘনিয়ে আসে।
তখন
একদল সাহাবী [ প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) এঁর আদেশের প্রতি লক্ষ্য করে] বললেন, আমরা বনী কুরাইজাতে পৌঁছার আগে আছরের নামায আদায় করবো না।
এখানে আমরা এই একটি হাদিসের উপর কেবল সে সময়ের জন্যে সৃষ্ট একটি মাযহাব পেলাম।
কিন্তু
আরেক দল সাহাবী [ প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) এঁর আদেশের উদ্দেশ্যের প্রতি লক্ষ্য করে] বললেন, আমরা আছরের নামায রাস্তায় পড়ে নিব।
এখানে আমরা এই একটি হাদিসের উপর কেবল সে সময়ের জন্যে সৃষ্ট আরো একটি মাযহাব পেলাম।

এ হাদিস থেকে এ হাদিসের সাথে সংশ্লিষ্ট সাহাবায়ে ক্বিরাম রা.-গনের মাঝে সৃষ্ট দ্বিতীয় মাযহাবের বুঝ (ফিক্বাহ্ = Understanding) থেকে তাঁরা হাদিসটির আমল করেছিলেন।
তাঁদের বুঝ (ফিক্বাহ্ = Understanding) এর পক্ষে যৌক্তিকতা হলো :
কেননা, প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) আমাদের থেকে এই "বাহ্যত অর্থ (Outward)" উদ্দেশ্য নেননি।
বরং
প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) এঁর উদ্দেশ্য হলো, আমরা যেন অতিদ্রুত বনী কুরাইজায় যাই এবং আছরের নামায সেখানে গিয়ে পড়ি।
কিন্তু
আমাদের দূর্বলতা ও অলসতার কারণে পৌঁছতে দেরী হয়ে যায়।
তাই
আছরের নামায কাযা করবো না।

এ ঘটনা রাসূলুল্লাহ স. কে জানানো হলে তিনি কোনো দলকেই ভর্ৎসনা করেননি।
অর্থাৎ উভয় মাযহাব বা বুঝ (ফিক্বাহ্ = Understanding) কেই ভর্ৎসনা করেন নি।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* বুখারী শরিফ;  ২/৫৯১।
এখানে আদেশ ও আদেশদাতা একই হওয়া সত্বেও অর্থাৎ আল্লাহ্ (سبحانه و تعالى) এঁর হাবিব প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم)  একক হওয়া সত্বেও শ্রোতাদের বুঝ (Understanding = ফিকাহ) ভিন্ন হওয়ার কারনে আদেশ পালনে মতভেদ দেখা দিয়েছে।
স্পষ্টত সাহাবায়ে ক্বিরাম রা.-দের মাঝেই সে ঘটনাটির ক্ষেত্রে দু'টি মাযহাব সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিলো।
আল্লাহ্ (سبحانه و تعالى) এঁর হাবিব প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم)  পরে ঘটনাটি শ্রবণ করে কোনো মাযহাবকেই ভর্ৎসনা করেন নি।

এত মাযহাবের জন্য আমরা কাউকে দায়ী মনে করি না। দায়ী করতে পারি না, দায়ী করা অযৌক্তিক।

আমরা বিশ্বাস করি যে,
এমনটি আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছা ছিলো, তাই তা হয়েছে।

বলাবাহুল্য যে,
এ ভিন্নতার প্রয়োজন ছিলো।
কেননা,
মানুষকে আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্টিগতভাবে সব ক্ষেত্রে ভিন্নতা দিয়ে সৃষ্টি করে অভিন্ন কোনো বিধান চাপিয়ে দেয়া যৌক্তিকতার পরিপন্থী।
আর
আল্লাহ পাক অন্যায় অযৌক্তিক সব বিষয় থেকে মুক্ত।

আর একটি প্রশ্ন হলো,
হাদিস সংগ্রহের দায়িত্ব আল্লাহ তা‘আলা একজনকে দিতে পারতেন।
এ প্রশ্নের উত্তর অনেকখানি পূর্বের বর্ণনায় এসে গেছে।

তারপরও বলছি,
আমরা নিজেরাও এক একজন মানুষ।
আমরা নিজেরা অন্যের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে অবগত না হলেও নিজের ব্যাপারে অবশ্যই অবগত রয়েছি যে, একজন মানুষের মেধা, জ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে তার কি পরিমাণ সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

সীমাবদ্ধতা দিয়েই আল্লাহ মানুষকে তৈরী করেছেন।
তাহলে
একজনকে হাদিস সংগ্রহের দায়িত্ব প্রদান করার প্রস্তাব নিতান্তই হাস্যকর।
কেননা,
তা সম্ভবই নয়।

সর্বশেষ প্রশ্ন হলো,
হাদিস ছাড়া কোরআন পূর্ণাঙ্গ কি না?

উত্তর হলো,
ক্বুরআনুল কারিম পূর্ণাঙ্গ একটি কিতাব।
হাদিসুল কারিম ছাড়াও ক্বুরআনুল কারিম পূর্ণাঙ্গ।

তবে
এর অর্থ এই নয় যে, হাদিসুল কারিমের কোনো প্রয়োজন নেই।

কেননা,
ক্বুরআনুল কারিম হলো মূল; আর হাদিসুল কারিম হলো তার ব্যাখ্যা (Explanations)।

সুতরাং
কোনোটিই অপরটির অপূর্ণতার দলিল বহন করে না।
ক্বুরআনুল কারিম অপূর্ণ নয়।

তবে
ক্বুরআনুল কারিমের সকল বিষয় সকলের বোধগম্য নয়।

সকল বিষয় সকলের বোধগম্য যদি হতো তববে ক্বুরআ'নুল কারিমের ভাষা অর্থাৎ আরবি শিখে নিলে বা এর অনুবাদ দেখে নিলেই যথেষ্ট ছিলো।
আর
আরবি মাতৃভাষাভাষীদের জন্যে ক্বুরআনুল কারিমই যথেষ্ট ছিলো। হাদিসুল কারিমের প্রয়োজন হতো না। আরবী ভাষাতেই ক্বুরআনুল কারিমের কত শত গুরুত্বপূর্ণ তাফসির করা হতো না।

তাই
সম্ভবত এই কোরআনকেألم দ্বারা শুরু করে প্রথমেই এই বার্তা দেয়া হয়েছে যে, এই ক্বুরআনুল কারিম পরিবেশিত সকল বিষয় সকলের বোধগম্য নয়।
এটি ক্বুরআনুল কারিমের অপূর্ণতা নয়।

বরং
মানুষের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা।
আর
হাদিসের অনুসরণ মূলত ক্বুরআনুল কারিমেরই অনুসরণ।

কেননা,
ক্বুরআন শরিফের বিভিন্ন জায়গায় ইরশাদ হয়েছে,
يَاأَيُّهَاالَّذِينَآمَنُواأَطِيعُوااللَّهَوَأَطِيعُواالرَّسُول°
‘তোমরা আল্লাহর অনুসরণ করো এবং অনুসরণ করো রাসূলের।’
*_* সূরা সূরা নিসা, আয়াত ৫৯।
আর
প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) এঁর অনুসরণ তাঁর কথা ও কাজের অনুসরণ ব্যতীত সম্ভব নয়।
তাঁর কথা ও কাজকেই তো হাদিস বলা হয়।

তাই
হাদিসের অনুসরণ মানে ক্বুরআনুল কারিমেরই অনুসরণ করা।
আর
হাদিসের মাঝে যা সূন্নাহ্ তাই উম্মাহর পাথেয় বা উসওয়াতুন হাসানাহ।
সে কারনে সমগ্র বিশ্বের মুসলিম উম্মাহর আহালকে বলা হয় আহলুস সূন্নাহ্।

স্মৃতব্য
আহলুস সূন্নাহ্ আর আহলে হাদিস এক কথা নয়।

আল্লাহ্ (سبحانه و تعالى) সকল মুসলিমকে প্রিয় নাবী রাসূলুন কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم)  এঁর আদর্শ সূন্নাহ্ মুতাবিক জীবন পরিচালিত করে আহলুস সূন্নাহ্ হিসেবে জীবন গড়ার তৌফিক দিন।
আমীন।।

এখন আসুন,

সুপ্রিয় পাঠক!
"মাযহাব এত কেন"- আলোচনার এ পর্যায়ে দেখুন,
মাযহাবের বিরোধীতা করে "লা মাযহাব" নামে যে মাযহাবটি প্রায় দেড় হাজার বছর পরে দেড় হাজার বছর ধরে গত মুসলিম উম্মাহকে মুশরিক ঘোষনা দেয়ার জন্যে ব্রিটিশ উপনিবেশকালে ব্রিটিশরা সৃষ্টি করেছিলো তারাও আর "মাযহাব বিহীন / লা মাযহাব" হয়ে থাকতে পারে নি।
"লা মাযহাব" নামে নাম সর্বস্ব মাযহাবী হয়ে গেছে।

কেননা,
কয়েকটি উদাহরণ নিচে উদ্ধৃত করছি।
আমাদের দেশে যারা "লা মাযহাব আর আহলে হাদিস" এর ধোঁয়া তুলে উম্মতকে বিভক্ত করে চলেছে,
যারা সহীহ হাদীসের আলোকে তাদের মনগড়া নামায উপস্থাপন করে যাচ্ছে, তাদের কয়েকটি নামাযের বইয়ে উদ্ধৃত নামাযের মাসআলায় মাযহাবী মতভেদ লক্ষ্য করুনঃ
০১-কিরাত পড়া প্রসঙ্গে লা মাযহাবী মাযহাব
ক) লা মাযহাবী আলবানীর মতে জোরে জেহরী নামাযে কিরাত পড়া রহিত।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* আলবানীর “নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ছলাত সম্পদনের পদ্ধতি-৮৩।
খ) লা মাযহাবী আসাদুল্লাহ গালিব বলে ফরজ।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* আসাদুল্লাহ গালিব রচিত ছালাতুর রাসূল সাঃ-৮৮।

০২-বিসমিল্লাহ প্রসঙ্গে লা মাযহাবী মাযহাব
ক) বিসমিল্লাহ সূরা ফাতিহার অংশ হবার পক্ষে কোন ছহীহ দলীল নেই। গ্রন্থ সূত্র :
*_* আসাদুল্লাহ গালিব রচিত ছালাতুর রাসূল সাঃ -৮৬।
খ) সূরা ফাতিহা কুরআনের অংশ।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* অধ্যাপক হাফিজ আইনুল বারী রচিত “আইনী তুহফা সলাতে মুস্তাফা”-১০৫।

৩-বিসমিল্লাহ জোরে পড়া প্রসঙ্গে লা মাযহাবী মাযহাব
ক) গালিবের মতে এর কোন ভিত্তি নেই।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* আসাদুল্লাহ গালিব রচিত ছালাতুর রাসূল সাঃ -৮৬।
খ) জোরে আস্তে উভয়ভাবে পড়া ছহীহ সনদে বর্ণিত।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম সম্পাদিত “ছালাত আদায় পদ্ধতি”-২৮।

৪-রুকু প্রসঙ্গে লা মাযহাবী মাযহাব
ক) রুকু পেলে রাকাআত পাওয়া যায়।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম সম্পাদিত “ছালাত আদায় পদ্ধতি”-৩৩।
খ) রুকু পেলে উক্ত রাকাত পায় নি।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* আসাদুল্লাহ গালিব সাহেব রচিত ছালাতুর রাসূল সাঃ -৯৬।

৫-সালাম প্রসঙ্গে লা মাযহাবী মাযহাব
ক) ডান দিকে ফিরে ওয়াবারাকাতুহু বলতে হবে।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* আকরামুজ্জামান সম্পাদিত ছালাত আদায় পদ্ধতি-৬২।
খ) উভয় দিকেই ওয়াবারাকাতুহু বলতে হবে।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* ইবনে ফজলের সহীহ নামায ও দুআ শিক্ষা-১০৩।

৬-জনাযায় ফাতিহা পড়া প্রসঙ্গে  লা মাযহাবী মাযহাব
ক) আসাদুল্লাহ গালিব বলে পড়া ওয়াজিব।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* ছালাতুর রাসূল-২১৩।
খ) আলবানী বলে সুন্নত।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* সিফাতু সালাতিন্নবী-১১১।
এরকম অসংখ্য মাযহাবীয় বিরোধ নাম সর্বস্ব লা মাযহাবী মাযহাবীদের মধ্যে শুধু নামাযের মাসআলার ক্ষেত্রে দেখানো যাবে।
যা কথিত আহলে হাদীস বা লামাযহাবী/শব্দধারী নাম সর্বস্ব মুসলিমদের রচিত "সহীহ হাদীসের আলোকে রচিত নামাযের বইয়ে রয়েছে।
প্রশ্ন হল,
যদি মাযহাব চতুষ্টয় (৪ মাযহাব) না মানলে মতভেদ না থাকে, তাহলে এসব মতভেদ / মাযহাব কেন তাদের প্রকাশিত এসব বাংলা নামাযের বইয়ে?
কেন তারা লা মাযহাবের মাযহাবীরাই শুধু নামাযের মাসআলায়ই এক হতে পারছে না?
তাহলে কি বুঝা যাচ্ছে?
পরিস্কার ভাষায় বুঝা যাচ্ছে,
আসলে লা মাযহাবের নামে মুসলিম হবার স্লোগান কেবলি একটি মুখরোচক ও ধোঁকাবাজীমূলক স্লোগান।
যা কেবলি অন্তসারশূণ্য।
মানুষকে প্রতারণায় ফেলার জন্য এ ধোঁকাবাজীমূলক বক্তব্যটি প্রদান করা হয়ে থাকে।
আল্লাহ তাআলা আমাদের এ ভ্রান্ত ফিরকার ধোঁকা থেকে উম্মতে মুসলিমাকে হিফাযত করুন।
আমীন।

পৃথক ফোল্ডারে কপি করে সেইভ করে রাখুন।
নামায / صلاوات
নোট :
০১.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729017340747037&id=100009163649667&refid=17&_ft_=og_action_id.
০২.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729028937412544&id=100009163649667&refid=17&_ft_=og_action_id.
০৩.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729030320745739&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
০৪.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729035960745175&id=100009163649667&refid=17&_ft_=og_action_id.
০৫.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729041780744593&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
০৬.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729044500744321&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
০৭.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729045997410838&id=100009163649667&refid=17&_ft_=og_action_id.
০৮.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729047414077363&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
০৯.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729053044076800&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
১০.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729054860743285&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
১১.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729056294076475&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
১২.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729058344076270&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
১৩.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729059464076158&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
১৪.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729060824076022&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
১৫.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729062754075829&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
১৬.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729065247408913&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
১৭.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729068104075294&id=100009163649667&refid=17&_ft_=og_action_id.
১৮.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729070430741728&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
১৯.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729073010741470&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
২০.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729076520741119&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
২১.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729101377405300&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
২২.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729103390738432&id=100009163649667&refid=17&_ft_=og_action_id.
২৩.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729105364071568&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
২৪.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729108850737886&id=100009163649667&refid=17&_ft_=og_action_id.
২৫.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729112310737540&id=100009163649667&refid=17&__tn__=%2As
২৬.
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1729121184069986&id=100009163649667&refid=17&_ft_=og_action_id.
▆ প্রসঙ্গ : পুরুষ ও নারীর নামায পদ্ধতির ভিন্নতা��
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1730028243979280&id=100009163649667&refid=17&_ft_=og_action_id.
▆ নামাযে পুরুষের "বুকের উপর হাত বাঁধা" পদ্ধতি ভিত্তিহীন ▆
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1728621234119981&id=100009163649667&refid=17&_ft_=og_action_id.
____
*_ মাযহাব মানলে মুশরিক হয় না; যাদের হাত ধরে ইসলাম তাঁরা সকলেই মাযহাবভূক্ত :
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1666045127044259&id=100009163649667&refid=17&_ft_=og_action_id.
*_  প্রসঙ্গ : সূন্নাহ্ মান্য। সকল হাদিস, সূন্নাহ্ নয়।
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1680658558916249&id=100009163649667&refid=17&_ft_=og_action_id.
*_ প্রসঙ্গ : মাযহাব না মানলে বুখারী, মুসলিম মানা যায় না।
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1680169845631787&id=100009163649667&refid=17&_ft_=og_action_id.
*_ প্রসঙ্গ : ফিত্না বা বিশৃঙখলায় আহালূস সূন্নাহ্ হওয়া বা সূন্নাহ্ আঁকড়ে ধরে থাকা।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1681169245531847&id=100009163649667&refid=17&_ft_=og_action_id.
*_ প্রসঙ্গ : দ্বীনের ফিক্বাহ্ অর্জন; যারা অর্জন করে তথা অর্জনকারীদের অনূসরণ।
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1681989658783139&id=100009163649667&refid=17&_ft_=og_action_id.
*_* ফিকাহ্ শাস্ত্র (School of Thoughts) ও ফকিহ্ স্কলার বা শায়খ বা ইমামগনের মর্যাদা বা গুুরুত্ব : যাঁদের রায়ে সহীহ্ হাদিস অনূসরণ চলছে তাঁদের দৃষ্টিতে
____
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=1680286292250743&id=100008081644187&refid=17&_ft_=top_level_post_id.

 
Top