বুখারী শরীফে তথাকথিত আহলে হাদীস নামধারীদের কোন দলিল নেই।
এটাই বাস্তব।
প ড়ু ন, জা নু ন; প্র চা র ক রু ন।

তথাকথিত আহলে হাদীস নাম ধারী মিথ্যুকেরা প্রচার করে থাকে ওদের মাসলাক বুখারীতে আছে আর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত হানাফীদের মাসলাক বা পদ্ধতি বুখারীতে নেই।
একথা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার।
মিথ্যাচার করেও মু'মিন দাবী করা হচ্ছে, তাও আবার নামাজ, রোজা ইত্যাদির ক্ষেত্রে।
মিথ্যাচার করে মনগড়া নামাজ, রোজা প্রতিষ্ঠা করা যায় না।

হানাফী মাসলাক
বুখারীতে খুব শক্তিশালীভাবে বিদ্যমান রয়েছে।

খেয়াল করুন-
পক্ষে-বিপক্ষেঃ ক- মাসআলায়ে রফয়ে ইয়াদাইন
______________
যেমন রফয়ে ইয়াদাইন করার ক্ষেত্রে বুখারীতে হাদীস রয়েছে। সুতরাং মিথ্যুক তথা কথিত আহলে হাদীসরা বলতে শুরু করে দেয় যে, বুখারীতে রফয়ে ইয়াদাইন এর হাদীস আছে, অথচ আমরা মানি না কেন? তাহলে আমরা বুখারীকে মানলাম না, তাই ইমাম বুখারী তাদের আমাদের না।

এ বিষয়টি বুঝার জন্য আগে একটি বিষয় বুঝতে হবে। সেটা হল-রফয়ে ইয়াদাইন এর মাসআলায় হানাফী মাসলাক বা অবস্থান কি?
হানাফী মাসলাক হল,
রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) প্রথম প্রথম রফয়ে ইয়াদাইন করেছেন, কিন্তু পরে ছেড়ে দিয়েছেন। আর মিথ্যুক তথা কথিত আহলে হাদীসদের মাসলাক হল রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) সর্বদা রফয়ে ইয়াদাইন করেছেন।
তাই যত হাদীস রফয়ে ইয়াদাইন এর পক্ষে আছে সেসব আমাদের বিপক্ষে দলিল হতে পারে না। কারণ আমরা হানাফীরাতো মানিই যে, রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم)  প্রথম প্রথম রফয়ে ইয়াদাইন করেছেন, তাই এ ব্যাপারে হাদীস পেশ করলে তা আমাদের বিপরীত হবে কেন? বরং যদি কোন হাদীস
এমন দেখাতে পারে, যাতে আছে যে, রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) সর্বদা রফয়ে ইয়াদাইন করেছেন, তথা ওফাত মুবারাক পর্যন্ত রফয়ে ইয়াদাইন করেছেন, তাহলে সাব্যস্ত হবে ওদের দলিল।
কিন্তু বুখারীতে একটি হাদীসও এমন নেই যা, প্রমাণ করে রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) ওফাত মুবারাক পর্যন্ত রফয়ে ইয়াদাইন করেছেন, বা রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) রফয়ে ইয়াদাইন করার জন্য আদেশ দিয়েছেন। তাহলে বুখারী ওদের দলিল হল কি করে? বুখারীতেতো আমাদের দলিল।
উদাহরণ দিলে বিষয়টি পরিস্কার হবে-
যেমন মুমতাজুদ্দীন জামিয়াতুল উলুমে এল। এ ব্যাপারে কোন মতভেদ নেই। কিন্তু সে এসেই চলে গিয়েছিল, না কি সে কয়েকদিন ছিল- এ নিয়ে মতভেদ হয়ে গেল।
একদল বলছে যে, মুমতাজুদ্দীন জামিয়াতুল উলুমে এসে সাথে সাথেই চলে গিয়েছিল। আরেকদল বলছে যে, না..না মুমতাজুদ্দীন জামিয়াতুল উলুমে কয়েকদিন ছিল।
সুপ্রিয় পাঠক, এখানে খেয়াল করুন, মতভেদ কোন বিষয়ে?
মুমতাজুদ্দীনের আসার বিষয়ে? না যাওয়ার বিষয়ে?
নিশ্চয় যাওয়ার বিষয়ে।
সুতরাং যারা দাবি করছে যে, মুমতাজুদ্দীন জামিয়ায় এসে থেকেছে, তারা যদি দলিল পেশ করে মুমতাজুদ্দীনের জামিয়ায় আসার, তাহলে এটি কি তাদের দলিল হবে?
আসার ব্যাপারেতো কোন মতভেদই নেই, তাহলে আসার দলিল দেওয়ার দ্বারা থাকা প্রমানিত হয় কি করে?
থাকার ব্যাপারে আলাদা দলিল পেশ করতে হবে। আসার দলিলের মাধ্যমে থাকা প্রমাণিত হয় না।
তেমনি, বুখারীতে যে, রফয়ে ইয়াদাইন এর হাদীস আছে তাতো আমাদের বিরুদ্ধে দলিল হতেই পারে না।
কারণ রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم) রফয়ে ইয়াদাইন করেছেন একথাতো আমরা অস্বিকার করি না। বরং তিনি সর্বদা করেছেন এ ধারণাকে আমরা অস্বিকার করি। তাহলে
আমাদের বিরুদ্ধে দলিল হবে সেই হাদীস যেটাতে প্রমাণিত হবে যে, রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلمসর্বদা রফয়ে ইয়াদাইন করেছেন, বা রফয়ে ইয়াদাইন করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
অথচ এমন কোন হাদীস বুখারীতে নেই। তাহলে বুখারী আমাদের বিরুদ্ধে গেল কিভাবে?
বরং কথিত আহলে হাদীসদের দলিল দেয়াটাই সহীহ নয়।
সুতরাং বুঝা গেল রফয়ে ইয়াদাইন এর মাসআলায় বুখারী শরীফ আমাদের বিরোধী নয়। পক্ষে।
সুধী পাঠক, এরপর যদি মিথ্যুক কথিত আহলে হাদীসরা প্রশ্ন করে যে, "তাহলে  রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلمপ্রথমে রফয়ে ইয়াদাইন করেছেন, পরে ছেড়ে দিয়েছেন এ ব্যাপারে কি দলিল আছে?
তখন আমাদের জবাব হল-
তিরমিযী শরীফ, আবু দাউদ শরীফ ইত্যাদী হাদীস গ্রন্থে এসেছে যে, রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم প্রথমে রফয়ে ইয়াদাইন করেছেন তারপর ছেড়ে দিয়েছেন।
عَنْ عَلْقَمَةَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ أَلاَ أُصَلِّى بِكُمْ صَلاَةَ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ فَصَلَّى فَلَمْ يَرْفَعْ يَدَيْهِ إِلاَّ مَرَّة ً( سنن ابى داود، كتاب الصلاة، باب مَنْ لَمْ يَذْكُرِ الرَّفْعَ عِنْدَ الرُّكُوعِ، رقم الحديث-748)
অর্থাৎ, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাঃ বলেন আমি কি তোমাদের কে হুজুর (صلى الله عليه و آله وسلمএর নামাজ সম্পর্কে অবগতি দেব না? এ কথা বলে তিনি নামাজ পড়ে দেখালেন এবং নামাজে তাকবীরে তাহরীমার সময় একবার রাফয়ে ইয়াদাইন করলেন। নামাজে আর কোথাও তিনি রফঈ ইয়াদিন করলেন না।
[সূত্রঃ সুনানে আবু দাউদ, হা/ ৭৪৮, সুনানে তিরমিযী, হা/ ২৫৭, সুনানে
দারেমী, হা/ ১৩০৪, সুনানে নাসায়ী, হা/ ৬৪৫, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হা/ ২৩৬৩, মুসনাদে আহমাদ, হা/ ৩৬৮১]।
عَنِ الْبَرَاءِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- كَانَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلاَةَ رَفَعَ يَدَيْهِ إِلَى قَرِيبٍ مِنْ أُذُنَيْهِ ثُمَّ لاَ يَعُودُ ( سنن ابى داود، كتاب الصلاة، باب مَنْ لَمْ يَذْكُرِ الرَّفْعَ عِنْدَ الرُّكُوعِ، رقم الحديث-750)
অর্থাৎ, হযরত বারা ইবনে আযিব (রা) বলেন- রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ) যখন নামাজ আরম্ভ করতেন তখন তার হস্তদ্বয় কর্ণদ্বয় পর্যন্ত উত্তোলন করতেন। অতঃপর আর তা করতেন না।
[সূত্রঃ সুনানে আবু দাউদ, হা/ ৭৫০, মুসনাদে আবী ইয়ালা, হা/ ১৬৮৯, মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হা/ ২৪৫৫]।
প্রিয় পাঠক,
এখানে এসে যদি কথিত আহলে হাদীস মিথ্যুকেরা প্রশ্ন করে যে, রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم ছেড়ে দিয়েছেন এমন শব্দতো এসব হাদীসে নেই।
তাহলে ওদের বলুন-
এসব হাদীসে কি একথা নেই যে, রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلمরফয়ে ইয়াদাইন করতেন না?
রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلمসর্বদা রফয়ে ইয়াদাইন করেছেন বা নির্দেশ দিয়েছেন, এমন একটি হাদীস দেখাতে পারলে আমরাও দেখাব  রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم)ছেড়ে দিয়েছেন বর্ণনা।
এরপরও যদি কথিত আহলে হাদীস মিথ্যুকরা প্রশ্ন করে যে, বুখারীতে এক নির্দেশ এল, আর ওটা মানসুখ হয়েছে তিরমিযীর হাদীস দিয়ে এটা কেমন কথা?
তাহলে তাদের উত্তর দিন যে,
এমন অনেক মাসআলা আছে, যা বুখারীতে জায়েজ বলা হয়েছে, আর তা তিরমিযীর হাদীস দ্বারা রহিত হয়ে গেছে।
যেমন, বুখারীতে এসেছে যে, রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلمদাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেছেন। বসে প্রস্রাব করেছেন বুখারীতে একটি হাদীসও নেই। অথচ তিরমিযীতে
এসেছে যে, রাসূলে কারিম (صلى الله عليه و آله وسلم বসে প্রস্রাব করেছেন। তিরমিযীর হাদীস বুখারীর দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার হাদীসের হুকুমকে রহিত করে দেয়।
এমনি বুখারীতে আসা রফয়ে ইয়াদাইন এর বর্ণনা তিরমিযীর হাদীস রহিত করে দেয়।

পক্ষে-বিপক্ষেঃ খ- ক্বিরাত খালফাল ইমাম তথা ইমামের পিছনে মুক্তাদীর কিরাত পড়া প্রসঙ্গ
________________
তথা কথিত আহলে হাদীস মিথ্যুকেরা বলে থাকে যে, ইমামের পিছনে কিরাত পড়তে হবে। নইলে নামায হবে না। দলিল বুখারীতে বিদ্যমান।
عن عبادة بن الصامت أن الرسول الله صلى الله عليه و سلم قال : ( لا صلاة لمن لم يقرأ بفاتحة الكتاب (صحيح البخارى، رقم الحديث-723)
অনুবাদ-হযরত ওবাদা বিন সামেত রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূলে কারিম صلى الله عليه و آله وسلمইরশাদ করেছেন-যে সূরা ফাতেহা পড়ে না, তার নামায হয় না।
[সূত্রঃ সহীহ বুখারী, হা/ ৭২৩]।
আর আমরা বলি মুসল্লিরা কিরাত পড়বে না ইমামের পিছনে। তাহলে বুখারী শরীফ আমাদের বিপক্ষে। ওদের পক্ষে।

জবাব
________
তাদের দাবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাদের মতের পক্ষে বুখারীতে কোন দলিল নেই।
এ হাদীসের জবাবে আমরা বলি-
সূরা ফাতেহা ছাড়া নামায হয় না, একথা আমরাও বলি। সুতরাং আমাদের আর ওদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই।
তবে পার্থক্য হল তারা বলে যে, মুসল্লিদেরও পড়তে হবে।
একথা আমরা মানি না।
কারণ যেমন আমরা জানি খুতবা ছাড়া জুমআ হয় না। আজান ছাড়া নামায পড়লে নামায খেলাফে সুন্নাত হয়, ইকামত ছাড়া নামায পড়লে
নামায খেলাফে সুন্নাত হয়, কিন্তু খুতবা পড়া সবার জন্য আবশ্যক নয়, আজান-ইকামত দেয়া সবার জন্য আবশ্যক নয়,
তেমনি সূরা ফাতেহা ছাড়া নামায হয় না, জামাতের সাথে পড়ার সময় সেটা সবার জন্য পড়া জরুরী নয়। ইমামের পড়ার দ্বারা মুক্তাদীর
পড়া হয়ে যায়, যেমন ইমামের খুতবা বলার দ্বারা সবার খুতবা হয়ে যায়, মুআজ্জিনের আজান ও ইকামত দেয়ার দ্বারা সবার আজান ও ইকামত হয়ে যায়। তেমনি জামাআতে নামায পড়ার সময় ইমামের সূরা ফাতেহা পড়ার দ্বারা সবার সূরা ফাতেহা হয়ে যায়।

একটি প্রশ্ন ও জবাব
__________
তথা কথিত আহলে হাদীস মিথ্যুকেরা যদি প্রশ্ন করে যে, হাদীসের মাঝে আমভাবে বলা হয়েছে সূরা ফাতেহা ছাড়া নামায হয় না, তাহলে আমরা কি করে জামাতে পড়লে শুধুমাত্র ইমামের সাথে বিষয়টি খাস করে ফেললাম?
এর জবাব হল-
কিছু বিষয় আছে আম। আর কিছু বিষয় আছে খাস।
একই আদেশ আমভাবে দিলেও কখনো কখনো সেটা আম হয় না, হয় খাস।
যেমন উদাহরণ কুরআনে বিদ্যমান।
وَالْمَلَائِكَةُ يُسَبِّحُونَ بِحَمْدِ رَبِّهِمْ وَيَسْتَغْفِرُونَ لِمَنْ فِي الْأَرْضِ (5)
অনুবাদ-আর ফেরেস্তারা তাদের রবের প্রশংসার তাসবীহ পড়ে, আর জমিনে যারা আছে তাদের জন্য গোনাহ মুক্তির প্রার্থনা করে।
[সূরা শোরা, আয়াত ৫]।
এ আয়াতে লক্ষ্য করুন, বলা হয়েছে ফেরেস্তারা গোনাহমুক্তির জন্য প্রার্থনা করে।
তাহলে এ প্রার্থনা করা ফেরাউনের জন্যও ফেরেস্তারা করে? কারূনের জন্যও করে? সাদ্দাতের জন্য করে? হামানের জন্যও করে? ইবলিসের জন্য করে? নাকি শুধু মুসলমানদের জন্য?
আয়াতটি আম হলেও এটা খাস, শুধু মুসলমানদের জন্যে।
তেমনি হাদীসটি সবার জন্য বাহ্যিকভাবে সূরা ফাতেহা পড়ার নির্দেশ হলেও জামাতে নামায পড়ার সময় শুধুমাত্র ইমামের সাথে খাস। যেমন উল্লেখিত আয়াতটি বাহ্যিকভাবে আম হলেও মূলত দুআটি মুমিনদের সাথে খাস, কাফেরদের জন্যে নয়।
আর সূরা ফাতিহা ছাড়া নামায হয় না, হাদীসটি একাকি ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য ইমামের পিছনে থাকলে পড়বে না বলে স্পষ্ট উল্লেখ করেছন হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ। আমরা নই।
দেখুন তিরমিযী শরীফ-
جابر بن عبد الله يقول : من صلى ركعة لم يقرأ فيها بأم القرآن فلم يصل إلا أن يكون وراء الإمام (سنن الترمذى، كتاب الصلاة، باب ماجاء في ترك القراءة خلف الإمام إذا جهر [ الإمام ] بالقراءة، رقم الحديث-313)
অনুবাদ-হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ বলেন-যে ব্যক্তি সূরা ফাতেহা পড়া ছাড়া নামায পড়ল তার নামায হয়নি, তবে যদি সে ইমামের পিছনে হয়, [তাহলে হয়ে যাবে।]
[সূত্রঃ সুনানে তিরমিযী, হা/ ৩১৩]।
তাহলে বুখারীর হাদীসের ব্যাখ্যা আমরা তিরমিযীতে বর্ণিত সাহাবী রাঃ থেকে নিলাম। নিজেরা কোন কিছু উদ্ভাবন করিনি।
আমরা রাসূলে কারিম صلى الله عليه و آله وسلمএর বাণীর ব্যাখ্যা নিলাম রাসূলে কারিম صلى الله عليه و آله وسلمএর সাহাবী থেকে আর কথিত আহলে হাদীসরা নিল ওহাবীদের থেকে।
তাহলে ক্বিরাত খালফাল ইমাম তথা ইমামের পিছনে সূরা ফাতেহা পড়ার উপর বুখারীতে কথিত আহলে হাদীসদের কোন দলিলই নেই। দলিল আছে আমাদের।

পক্ষে-বিপক্ষেঃ গ- আমীন বিল জেহের তথা আমীন জোরে বলা প্রসঙ্গ
_________________
তথা কথিত আহলে হাদীস মিথ্যুকেরা দাবি করে যে, নামাযে আমীন জোরে বলার দলিল বুখারীতে আছে। আর আমরা বুখারীর হাদীস না মেনে বুখারীর বিরোধিতা করি। তাই আমরা বুখারী বিরোধী আর তারা বুখারীর ভক্ত।
তাদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয় আমীন জোরে বলার দলিল বুখারীতে কি আছে?

তাদের প্রথম দলিল
ইমাম বুখারী রহঃ বুখারীতে বাব নির্ধারণ করেছেন-باب جهر الإمام بالتأمين তথা ইমামের আমীন জোরে বলার অধ্যায়, তারপর বলেছেন-وقال عطاء آمين الدعاء তথা আতা রহঃ বলেছেন আমীন হল দুআ।

আমাদের জবাব
___________________
আমীনকে দুআ বলার দ্বারা আমীন জোরে বলা কিভাবে প্রমাণিত হল?

তাদের আরেক দলিল
ইমাম বুখারী রহঃ এর পর উল্লেখ করেছেন-أمن ابن الزبير ومن وراءه حتى إن للمسجد للجة তথা ইবনে জুবাইর রাঃ এবং তার সাথে যারা থাকতো তারা এত জোরে আমীন বলতেন যে, মসজিদে সূর উঠতো।
সুতরাং বুঝা গেল আমীন জোরে বলতে হবে।

আমাদের জবাব
_________________
মজার ব্যাপার হল এটি কথিত আহলে হাদীসদের দলিল হতেই পারে না।
কারণ এ বক্তব্যের কোন সনদ ইমাম বুখারী রহঃ উল্লেখ করেন নি। আর সনদ ছাড়া কথা তথা কথিত আহলে হাদীস মিথ্যুকেরা মানে না। এমনকি সনদহীন কথাকে তারা ভিত্তিহীন সাব্যস্ত করে থাকে।
অথচ এ বক্তব্যটির কোন সনদ না থাকা সত্বেও একে দলিল হিসেবে তারা পেশ করে কিভাবে? এটাতো তাদের বক্তব্য অনুযায়ীই দলিল হওয়ার যোগ্য নয়। এমনিতেই বাতিল।
এছাড়া সাহাবীদের কোন আমল বা বক্তব্য ওদের কাছে দলিল নয়। তাহলে এটি দলিল হবে কিভাবে?
সুতরাং বুখারীতে আমীন জোরে বলার কোন দলিল কথিত আহলে হাদীসদের নেই।

তাদের আরেকটি হাস্যকর দলিল
নিজেদের মত সাবেত করার জন্য তারা আরেকটি দলিল পেশ করে থাকে বুখারীর।
সেটি হল-এ বাবের সনদযুক্ত হাদীসটি-

747 – حدثنا عبد الله بن يوسف قال أخبرنا مالك / عن ابن شهاب عن سعيد بن المسيب وأبي سلمة بن عبد الرحمن أنهما أخبراه عن أبي هريرة أن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( إذا أمن الإمام فأمنوا فإنه من وافق تأمينه تأمين الملائكة غفر له ما تقدم من ذنبه ) . وقال ابن شهاب وكان الرسول صلى الله عليه و سلم يقول ( آمين )
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যখন ইমাম আমীন বলে তখন তোমরা আমীন বল। কেননা যাদের আমীন বলা ফেরেস্তাদের আমীন বলার সাথে মিলে যায় তাহলে তাদের আগের সকল গোনাহ মাফ হয়ে যায়।
[সূত্রঃ সহীহ বুখারী, হা/ ৭৪৭]।
সুতরাং আমীন জোরে বলতে হবে।

আমাদের জবাব
_________________
মজার ব্যাপার হল, এ হাদীসটিকে তারা আমীন জোরে বলার পক্ষে কি করে দলিল হিসেবে পেশ করে এটাই আশ্চর্য ব্যাপার। এখানে আমীন জোরে বলার আলোচনা এল কোত্থেকে?
তাদের যদি প্রশ্ন করা হয় যে, ফেরেস্তারা কি আমীন জোরে বলে?
তারা কি বলবে?
নিশ্চয় বলবে যে, না, ফেরেস্তারা আমীন আস্তে বলে।
তাহলে বলুন, ফেরেস্তারা আমীন আস্তে বললে ইমাম আর মুক্তাদীরা আমীন জোরে বলবে কেন? কোন যুক্তিতে?
এখানেতো ফেরেস্তাদের সাথে আমীনের মাঝে একতা আনার কথা হয়েছে, তাহলে সে হিসেবে ফেরেস্তারা যেমন আমীন আস্তে বলে ইমাম মুসল্লিরা আস্তে বলার দ্বারাইতো কেবল পূর্ণ একতা আসবে। জোরে বলার মাঝে হয় কি করে? এটাতো আমাদের দলিল হল? তাদের হল কি করে?
বুখারীতে মূলত আমাদের মাসলাকের দিকেই ইঙ্গিত

763 – حدثنا عبد الله بن يوسف قال أخبرنا مالك عن سمي عن أبي صالح عن أبي هريرة رضي الله عنه أن الرسول صلى الله عليه و سلم قال ( إذا قال الإمام سمع الله لمن حمده فقولوا اللهم ربنا لك الحمد فإنه من وافق قوله قول الملائكة غفر له ما تقدم من ذنبه (صحيح البخارى،كتاب الصلاة، باب فضل اللهم ربنا ولك الحمد، رقم الحديث-763)
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূলে কারিম صلى الله عليه و آله وسلمইরশাদ করেছেন-যখন ইমাম সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে তখন তোমরা বল-আল্লাহুম্মা রাব্বানা লাকাল হামদ, কেননা যার বলা ফেরেস্তাদের বলার সাথে সাথে হবে তার আগের সকল গোনাহ মাফ হয়ে যায়।
[সূত্রঃ সহীহ বুখারী, হা/ ৭৬৩]।
এ হাদীসে লক্ষ্য করুন-পূর্বের আমীন বলার হাদীসের মতই এখানে বলা হয়েছে যে, ফেরেস্তার রাব্বানা লাকাল হামদ বলার সাথে সাথে বললে গোনাহ মাফ হয়ে যাবে, পূর্বে হাদীসে বলা হয়েছে আমীন ফেরেস্তার সাথে বলতে পারলে গোনাহ মাফ হয়ে যাবে।
এ হাদীসের ক্ষেত্রে তথাকথিত আহলে হাদীস মিথ্যুকদের যদি জিজ্ঞেস করা হয় যে, এখানে হাদীসে যে রাব্বানা লাকাল হামদ এর কথা বলা হয়েছে এটা মুক্তাদীরা আস্তে বলবে না জোরে?
তখন তারা বলবে যে, আস্তে।
তখন মজা করে বলুন যে,
এখানে আস্তে বললে পূর্বের হাদীসের বর্ণনাভঙ্গী এক হওয়া সত্বেও সেখানে জোরে বলা বুখারী থেকে সাবিত হয় কি করে?
একথা সুষ্পষ্টভাবে প্রমাণিত হল যে, বুখারীতে তথা কথিত আহলে হাদীস মিথ্যুকদের মত আমীন জোরে বলার কোন প্রমাণ নেই। বরং ওদের বিপরীত আমাদের মতের প্রমাণ আছে।
তাহলে বুখারী আমাদের না তাদের?

পক্ষে-বিপক্ষেঃ ঘ- তারাবীহের রাকাত সংখ্যা
____________________
ইবাদতের মাসে যখন সব মানুষ ইবাদত বাড়িয়ে দেয়, তখন এ ইংরেজ সৃষ্ট দল তথা
কথিত আহলে হাদীস মিথ্যুকেরা জোর গলায় প্রচার করে থাকে প্রচার শুরু করে দেয় যে, তারাবীহ ২০ রাকাত বেশি না পড়ে ৮ রাকাত পড়। কারণ বুখারীতে তারাবীহ ৮ রাকাতের কথা এসেছে।
দলিল হিসেবে পেশ করে-
عن أبي سلمة بن عبد الرحمن أنه أخبره : أنه سأل عائشة رضي الله عنها كيف كانت صلاة رسول الله صلى الله عليه و سلم في رمضان ؟ فقالت ما كان رسول الله صلى الله عليه و سلم يزيد في رمضان ولا في غيره على إحدى عشرة ركعة يصلي أربعا فلا تسل عن حسنهن وطولهن ثم يصلي أربعا فلا تسل عن حسنهن وطولهن ثم يصلي ثلاثا . قالت عائشة فقلت يارسول الله أتنام قبل أن توتر ؟ . فقال يا عائشة إن عيني تنامان ولا ينام قلبي (صحيح البخارى- أبواب التهجد، باب قيام النبي صلى الله عليه و سلم بالليل في رمضان وغيره1/154)
অর্থাৎ, হযরত আবু সালমা বিন আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত তিনি আয়েশা রাঃ এর কাছে জানতে চান নবীজী রাসূলে কারিম صلى الله عليه و آله وسلم এর নামায কেমন হত রামাদ্বান মাসে?
তিনি বললেন-
রামাদ্বান ও রামাদ্বান ছাড়া ১১ রাকাত থেকে বাড়াতেন না। তিনি ৪ রাকাত পড়তেন তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জানতে চেওনা। তারপর পড়তেন ৪ রাকাত তুমি এর সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা বিষয়ে জানতে চেওনা, তারপর পড়তেন ৩ রাকাত।
হযরত আয়েশা রাঃ বলেন-তখন আমি বললাম-হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বিতর পড়ার পূর্বে শুয়ে যান? তিনি বললেন-হে আয়েশা! নিশ্চয় আমার দু’চোখ ঘুমায় আমার কলব ঘুমায়না।
[সূত্রঃ সহীহ বুখারী-১/১৫৪]।

জবাব
_____________
এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হল  রাসূলে কারিম صلى الله عليه و آله وسلم এক সালামে ৪, ৪ রাকাত করে তারাবীহ আর শেষে এক সালামে ৩ রাকাত বিতর পড়েছেন, অথচ কথিত আহলে হাদিসদের আমল এর বিপরীত। তারা তারাবীহ দুই দুই রাকাত করে পড়েন। আর বিতর এক রাকাত বা তিন রাকাত দুই সালামে পড়েন। সুতরাং যেই হাদিস দলিলদাতাদের কাছে আমলহীন এর দ্বারা দলিল দেয়া যায়?
আসল কথা হল এই যে, এই হাদিসটি তাহাজ্জুদ নামাযের সাথে সংশ্লিষ্ট। এতে তারাবীহের কথা বর্ণিত নয়।
নিম্নে এ ব্যাপারে কিছু প্রমাণ উপস্থাপন করা হল।

হাদিসে মূলত তাহাজ্জুদের বর্ণনা এসেছে এর দলিল
___________
০১- হাদিসের শব্দ ما كان رسول الله صلى الله عليه و سلم يزيد في رمضان ولا في غيره (নবীজী صلى الله عليه و آله وسلمরামাযান ও রামাযান ছাড়া অন্য সময় বাড়ান না) এটাই বুঝাচ্ছে যে, প্রশ্নটি করা হয়েছিল রামাযান ছাড়া অন্য সময়ে যে নামায নবীজী রাসূলে কারিম صلى الله عليه و آله وسلم পড়তেন তা রামযানে বাড়িয়ে দিতেন কিনা?
এই প্রশ্নটি এজন্য করা হয়েছে যেহেতু বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে রাসূলে কারিম صلى الله عليه و آله وسلم রামাযানে আগের তুলনায় অনেক নামায পড়তেন ও ইবাদত করতেন, তাই এই প্রশ্নটি করাটা ছিল স্বাভাবিক। আর রামযান ছাড়া কি তারাবীহ আছে? যে রামাযানের আগেই তারাবীহ আর বিতর মিলিয়ে ১৩ রাকাত নবীজী পড়তেন? নাকি ওটা তাহাজ্জুদ? তাহাজ্জুদ হওয়াটাই কি সঙ্গত নয়?
সুতরাং এটাই স্পষ্ট বুঝা যায় তারাবীহ নয় প্রশ্ন করা হয়েছে তাহাজ্জুদ নিয়ে যে, নবীজী صلى الله عليه و آله وسلم তাহাজ্জুদের নামায রামাযান ছাড়া যে ক’রাকাত পড়তেন তা থেকে রামাযানে বাড়িয়ে পড়তেন কিনা? এর জবাবে আয়েশা রাঃ বললেন-১৩ রাকাত থেকে বাড়াতেননা তাহাজ্জুদ নামায।

০২- এই হাদিসের শেষাংশে এই শব্দ আছে যে قالت عائشة فقلت يارسول الله أتنام قبل أن توتر ؟ (তারপর আয়েশা রাঃ বললেন-হে আল্লাহর রাসূল! আপনি কি বিতর পড়ার আগে ঘুমান?) এই বিষয়টি তারাবীহ এর ক্ষেত্রে কল্পনাতীত যে নবীজীصلى الله عليه و آله وسلم তারাবীহ নামায পড়ে ঘুমিয়ে পড়েন আর সাহাবীরা বিতর পড়ার জন্য নবী কারিমصلى الله عليه و آله وسلم এর জন্য অপেক্ষমাণ থাকেন। বরং এটি তাহাজ্জুদ এর ক্ষেত্রে হওয়াটাই যুক্তিসঙ্গত নয় কি?

০৩- মুহাদ্দিসীনে কিরাম এই হাদিসকে তারাবীহ এর অধ্যায়ে উল্লেখ করেননি। বরং তাহাজ্জুদ অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন।
ইমাম মুহাম্মদ বিন নসর মারওয়াজী তার কিতাব “কিয়ামুল লাইল” এর “عدد الركعات التى يقوم بها الامام للناس فى رمضان”(রামযানে ইমাম কত রাকাত তারাবীহ পড়বে) অধ্যায়ে অনেক হাদিস আনলেও আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত এই হাদিসটি সহীহ হওয়া সত্বেও তিনি আনেননি। সাথে এদিকে কোন ইশারাও করেননি।

০৪- মুহাদ্দিসীনে কিরাম এই হাদিসকে তারাবীহ এর রাকাত সংখ্যার অধ্যায়ের পরিবর্তে তাহাজ্জুদের অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন।
যেমন ইমাম বুখারী রহঃ তার প্রণিত বুখারী শরীফে এই হাদিসটি নিম্ন বর্ণিত অধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন-
(ক) বিতর অধ্যায়-(১/১৩৫)
(খ) নবীজী রাসূলে কারিম صلى الله عليه و آله وسلم এর রাতে (নামাযের উদ্দেশ্যে) দান্ডয়মানতা রামযানে ও রামযান ছাড়া-(১/১৫৪)
(গ) রামযানে (নামাযের উদ্দেশ্যে) দান্ডয়মানতার ফযীলত অধ্যায়-(১/২৬৯)
(ঘ) নবীজী রাসূলে কারিম صلى الله عليه و آله وسلم এর দু’চোখ ঘুমায় মন ঘুমায়না-(১/৫০৩)
প্রথম অধ্যায়ে বিতরের রাকাত সংখ্যা আর দ্বিতীয় অধ্যায়ে তাহাজ্জুদ রামাযানে বেশি পড়তেন কিনা তা জানা আর তৃতীয় অধ্যায়ে রামাযানে বেশি বেশি নামাযের ফযীলত আর চতুর্থ অধ্যায়ে নবীজী ঘুমালে যে তার অযু ভাঙ্গেনা তার কারণ বর্ণনা জন্য হাদিস আনা হয়েছে। তারাবীহের রাকাত সংখ্যা বুঝানোর জন্য কোথায় এসেছে এই হাদিস?

০৫- আল্লামা হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানী এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন-আর আমার কাছে এটি প্রকাশিত হয়েছে যে, ১১ রাকাতের থেকে না বাড়ানোর রহস্য এটি যে, নিশ্চয় তাহাজ্জুদ ও বিতরের নামায রাতের নামাযের সাথে খাস। আর দিনের ফরয যোহর ৪ রাকাত আর আসর সেটাও ৪ রাকাত আর মাগরীব হল ৩ রাকাত যা দিনের বিতর। সুতরাং সাযুজ্যতা হল-রাতের নামায দিনের নামাযরের মতই সংখ্যার দিক থেকে সংক্ষিপ্ত ও বিস্তারিতভাবে। আর ১৩ রাকাতের ক্ষেত্রে সাযুজ্যতা হল-ফযরের নামায মিলানোর মাধ্যমে কেননা এটি দিনের নামাযই তার পরবর্তী নামাযের জন্য।
[সূত্রঃ ফাতহুল বারী শরহুল বুখারী-৩/১৭]।
ইবনে হাজার রহঃ এর এই রহস্য বা হিকমত বর্ণনা কি বলছেনা এই হাদিস দ্বারা তাহাজ্জুদ উদ্দেশ্য তারাবীহ নামায নয়?
এই বক্তব্যে তাহাজ্জুদের কথা স্পষ্টই উল্লেখ করলেন ইবনে হাজার রহঃ।

তাহাজ্জুদ ও তারাবীহের মাঝে পার্থক্য
_____________
তথা কথিত আহলে হাদিস মিথ্যুকেরা বলে “তাহাজ্জুদ আর তারাবীহ একই” তাদের এই দাবিটি ভুল নিম্নবর্ণিত কারণে
০১- তাহাজ্জুদের মাঝে ডাকাডাকি জায়েজ নয় তারাবীহতে জায়েজ।
০২- তারাবীহের সময় ঘুমানোর আগে তাহাজ্জুদের সময় নির্ধারিত নয় তবে উত্তম ঘুমের পর।
০৩- মুহাদ্দিসীনে কিরাম তাহাজ্জুদ ও তারাবীহের অধ্যায় ভিন্ন ভিন্ন লিখেছেন।
০৪- তাহাজ্জুদ নামাযের হুকুম কুরআন দ্বারা প্রমাণিত যথা সূরা ইসারার ৭৯ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ তায়ালা وَمِنَ اللَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهِ نَافِلَةً لَّكَ عَسَى أَن يَبْعَثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَّحْمُودًا অর্থাৎ আর রাতে তাহাজ্জুদ পড় এটি তোমার জন্য নফল, অচিরেই তোমাকে তোমার রব প্রশংসিত স্থানে অধিষ্ঠিত করবেন।
আর তারাবীহের ব্যাপারে আল্লাহর নবী বলেন-নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা রামযানের রোযা তোমাদের উপর ফরয করেছেন আর আমি তোমাদের উপর এতে কিয়াম করাকে সুন্নত করেছি।
[সূত্রঃ সুনানে নাসায়ী-১/৩০৮]।
সুতরাং বুঝা গেল তাহাজ্জুদ আল্লাহর আয়াত আর তারাবীহ নবীজী রাসূলে কারিম صلى الله عليه و آله وسلم এর বক্তব্য দ্বারা প্রমাণিত।
০৫- তাহাজ্জুদের হুকুম মক্কায় হয়েছে আর তারাবীহের হুকুম মদীনায় হয়েছে।
০৬- ইমাম আহমাদ রহঃ ও তারাবীহ তাহাজ্জুদ আলাদা বিশ্বাস করতেন।
[সূত্রঃ মাকনা’-১৮৪]।
০৭- ইমাম বুখারী রহঃ এর ক্ষেত্রে বর্ণিত তিনি রাতের প্রথমাংশে তার সাগরীদদের নিয়ে তারাবীহ পড়তেন আর শেষ রাতে একাকি তাহাজ্জুদ পড়তেন। (ইমাম বুখারী রহঃ এর জীবনী)
০৮- তাহাজ্জুদ এর নির্দিষ্ট রাকাত সংখ্যা রাসূলে কারিম صلى الله عليه و آله وسلم থেকে প্রমাণিত অর্থাৎ বিতরসহ বেশি থেকে বেশি ১৩ রাকাত আর কমপক্ষে ৭ রাকাত। আর তারাবীহ এর রাকাত সংখ্যার ক্ষেত্রে খোদ আহলে হাদিস ইমামদের স্বাক্ষ্য যে এর কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নবীজী রাসূলে কারিম صلى الله عليه و آله وسلم থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত নয়।
ব্যাস কথা হল এই যে, যদি বুখারীর এ হাদীস মানতে হয়, তাহলে বলতে হবে বিতর তিন রাকাত।
কিন্তু তথা কথিত আহলে হাদীস মিথ্যুকেরাতো একথা মানে না। তাহলে ওদের দলিল এ হাদীস হয় কি করে?
তাহলে কি দাঁড়াল? তারাবীহ ৮ রাকাতের ক্ষেত্রেও কথিত আহলে হাদীসদের মতের পক্ষে কোন দলিল বুখারী শরীফে নেই। যা তারা বলছে সবই মনগড়া।
____________
তারাবীহঃ
▆সলাতিল ক্বিয়ামু রমজান (তারাবীহ) ২০ রাকাআত : ইয়াজিদ বিন খুসায়ফা (রঃ) বর্ণিত হাদিস পাকের তাহকিক (Authentcation)▆
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1804218489893588
______

▆ তারাবিহ বিশ রাকাত নাকি আট রাকাত, প্রশ্ন সেটি নয়।
প্রশ্ন হচ্ছে তারাবিহ আছে কি নেই! ▆
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1804435026538601
______
তারাবীহঃ একটি পর্যালোচনা
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1808540169461420
________
▆ তারাবীহ এর রাকাত সংখ্যা নিয়ে কথিত ওহাবী-খারেজী সম্প্রদায়ের মিথ্যাচারঃ একটি দলিল ভিত্তিক বিশ্লেষণ ▆
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1809162102732560
_______
▆ তারাবীহ তাহাজ্জুদ ভিন্ন নামাযঃ এক নামায বলা তারাবীহ অস্বিকার করার নিফাকী পদ্ধতি, বিদআতী মতবাদ ▆
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1810094172639353
________

▆ ৮ রাক‘আত তারাবীহ দাবীকারী রাফিউল ইয়াদাইনীদের দাবীকৃত দলিল সমুহের খন্ডন।
তাদের প্রথম দলীলঃ
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1803365319978905
রাফিউল ইয়াদাইনীদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দলীলঃ
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1803376936644410
রাফিউল ইয়াদাইনীদের চতুর্থ দলীলঃ
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1804234013225369

▆ তারাবিহ ২০ রাকাআত; ৮ রাকাআত নয়।
নোট ০১.
আলবানীদের আলবানী (১৯১৪-১৯৯৯খ্রিস্টিয়)-র অদ্ভূত ফতোয়া।
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1761420850840019
নোট ০২.
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1761424207506350
নোট ০৩.
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1761426690839435
নোট ০৪.
সউদী শায়েখ সালিহ বিন ফাউযানের ফতোয়া : তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ এর মধ্যে পার্থক্য।
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1761428907505880
নোট ০৫.
▆ তারাবীহ নামায সম্পর্কিত আহলুস্ সুন্নাহ’র ফতোওয়া ▆
https:/mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1795069417475162
নোট ০৬.
▆ প্রশ্ন : কেউ কেউ বলেন যে, তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ নাকি একই নামায; তারা বলেন যে রমযানে রাতের শুরুভাগে এক নামায (তারাবীহ) আর শেষভাগে আরেক নামায (তাহাজ্জুদ) এটা কোনো দলীল দ্বারা প্রমাণিত নয়। রমযানে তারাবীহ পড়লে তাহাজ্জুদ পড়া লাগে না। কথাটা কি সঠিক?

উত্তরঃ
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1801971863451584
নোট ০৭.
প্রশ্নঃ (প্রশ্নটি FBOOK এর একটি Post এ Comment হিসেবে করা হয়েছে) প্রশ্নকারী বলেন, (তার ভাষায়) এখানে একটা হাদিস দেন যেখানে বলা হয়েছে ২০ রাকাতের কম পড়লে তারাবিহ হবে না। আবার ৮ রাকাত বা ৮ রাকাতের কম পরলে নামাজ হবে না তার দলিল দেন।

উত্তরঃ
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1802683020047135

▆ তারাবিহ বিশ রাকাত নাকি আট রাকাত, প্রশ্ন সেটি নয়।
প্রশ্ন হচ্ছে তারাবিহ আছে কি নেই! ▆
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1804435026538601

তারাবীহঃ একটি পর্যালোচনা
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1808540169461420

▆ তারাবীহ এর রাকাত সংখ্যা নিয়ে কথিত ওহাবী-খারেজী সম্প্রদায়ের মিথ্যাচারঃ একটি দলিল ভিত্তিক বিশ্লেষণ ▆
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1809162102732560

তারাবীহ তাহাজ্জুদ ভিন্ন নামাযঃ এক নামায বলা তারাবীহ অস্বিকার করার নিফাকী পদ্ধতি, বিদআতী মতবাদ
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1810094172639353

▆ ইসলাম নতুন নয়; পুরাতন।
টাকা দ্বারা ‘‘ফিতরা’’ দেয়া হাদীস ও অগ্রজ যুগের সেরা সেরা শায়খগণের উক্তি দ্বারা হাজার বছর ধরে প্রমাণিত।
উপমহাদেশীয় আ. রাজ্জাক শেখ কাজ্জাবীর ধোঁকাবাজি।
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1761482577500513

▆সলাতিল ক্বিয়ামু রমজান (তারাবীহ) ২০ রাকাআত : ইয়াজিদ বিন খুসায়ফা (রঃ) বর্ণিত হাদিস পাকের তাহকিক (Authentcation)▆
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1804218489893588
______
▆ ৮ রাক‘আত তারাবীহ দাবীকারী রাফিউল ইয়াদাইনীদের দাবীকৃত দলিল সমুহের খন্ডন।
তাদের প্রথম দলীলঃ
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1803365319978905
রাফিউল ইয়াদাইনীদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দলীলঃ
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1803376936644410
রাফিউল ইয়াদাইনীদের চতুর্থ দলীলঃ
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1804234013225369
___________
▆ হাদিস সম্পর্কে জরুরী জ্ঞাতব্য বিষয়ঃ

নোট ০১. দ্বয়ীফ হাদিসের উপর 'আমল করা মুস্তাহাব
https://mobile.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1697298063918965
নোট ০২. জাল হাদিসের হুকুম
https://mobile.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1697295443919227
নোট ০৩. ``হাদিসটি সহিহ্ নয়`` বলতে মুহাদ্দিসিনে ক্বিরাম কি বুঝিয়ে থাকেন!
https://mobile.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1697290543919717

▆ প্রসঙ্গ : সহীহ্-যয়ীফ নির্ধারনে হাদিসের তাহকিক (Authentication) আসলে কী।
https://www.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1688604351455003
____

▆ মাসজিদুল হারামে তারাবিহ এর দু'টি জামাআত হয় না।

মাত্র 2.14MB ভিডও; সত্য উন্মোচন হয়ে গেলো........

উপমহাদেশীয় আ. রাজ্জাক শেখ, মোজাফ্ফর শেখ ও তাদের মুরিদ শায়খেরা কাজ্জাব।

প্রথমে তাদের মুখ থেকেই শুনুন।

অত:পর
শুনুন :
ডক্টর আব্দুল আজীজ আল-হাজ।
# মুসাইদুল ইমাম (সহকারী ইমাম) মসজিদুল হারাম;
# চেয়ারম্যানঃ হাদীস বিভাগ, মহাবিদ্যালয় মসজিদুল হারাম, মক্কা মুকাররামা।
এঁর সাক্ষাতকার।
যারা Youtube লিংক থেকে শুনতে চান তাদের জন্যে : https://www.youtube.com/watch?v=Us8S3zTmbaw

তারাবীহ নামাজ ২০ রাকাআত : প্রামাণ্য গ্রন্থাবলীর উপস্থাপনা।
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1821132754868828
_________

 
Top