▆সলাতিল ক্বিয়ামু রমাদ্বান (তারাবীহ) ২০ রাকাআত : ইয়াজিদ বিন খুসায়ফা (রঃ) বর্ণিত হাদিস পাকের তাহকিক (Authentcation)▆

হযরত ইয়াযীদ বিন খুসায়ফা সাহাবী হযরত সায়েব বিন ইয়াযীদ (রঃ) থেকে বর্ণনা করেনঃ "তাঁরা (সাহাবায়ে কিরাম ও তাবেয়ীগণ) হযরত উমর ইবনে খাত্তাব (রঃ) এঁর যুগে রমাদ্বনে ২০ রাকা'আত পড়তেন"।
[গ্রন্থ সূত্রঃ আস সুনানুল কুবরা, বাইহাক্বীঃ ২/৪৯৬ (সনদ সহীহ);
এ ছাড়াও এটি ভিন্ন সনদে মা'রিফাতুস সুনান অল আসার, বাইহাক্বীঃ ২/৩০৫; আস সুনানুল কুবরা, বাইহাক্বীঃ ১/২৬৭-২৬৮ এ বর্ণিত হয়েছে যার সনদ সহীহ।]
অমুহাদ্দিস স্ব-শিক্ষিত আলবানি ও বিতর্কিত লা মাজহাবী আলেম আবদুর রাহমান মুবারকপুরী এর কথার কপিপেস্ট করে সাথে অনেক মিথ্যাচার করে এটাকে 'রাফিউল ইয়াদাইনী'-রা জাল বলে প্রচার কার্য করে। আল্লাহর জমিনে এরকম ধোঁকাবাজ আর কতটা আছে আল্লাহই ভালো জানেন যে, আলেম হয়ে সহীহ হাদীসকে জাল বলতে পারে।
সামনে তাদের কপি-পেস্টকৃত (Copy-Pasted) সবগুলো আপত্তি ইনশাআল্লাহ বিস্তারিত ভাবে আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।
আমরা এখন বায়হাক্বীর 'সুনান আল কুবরা' বা 'মারেফাতুস সুনান' এর রেওয়ায়েত সম্পর্কে প্রকৃত (Genuine) মুহাদ্দিসীনগণ এবং প্রকৃত সলফে সালেহীনগণ কি বলেছেন তার প্রতি দৃষ্টি দিবো।

উক্ত হাদিস পাক এর সনদ সম্পর্কে মুহাদ্দীসদের মতঃ

এর কিছু উদ্ধৃতি ইমাম বায়হাক্বীর 'সুনান আল কুবরা' কিতাবের সংক্ষিপ্ত ভার্সনে পাওয়া যায় যার শুরু হয়েছে নিম্নোক্ত শব্দগুলো দ্বারাঃ
كانوا يقومون على عهد عمر بن الخطّاب
০১/ ইমাম আল নববী (মৃঃ ৬৭৬ হিঃ ) তাঁর 'আল মাজমু শরহ আল মুহাযযাব' কিতাবে বায়হাক্বীর 'সুনান আল কুবরা' এর সনদকে সহীহ বলেছেন।
[গ্রন্থ সূত্রঃ ইমাম আল নববী (মৃঃ ৬৭৬ হিঃ ) : 'আল মাজমু শরহ আল মুহাযযাব'; ৪র্থ খণ্ড/ পৃ-৩২, আল রাফী এর 'ফাতহ আল আযিয' এবং ইবনে হাজার আল আসক্বালানী এঁর 'তালখীস আল হাবির' এর সাথে ছাপানো।]
ইমাম নববী তার 'খুলাসাতুল আহকাম' কিতাবেও (১/৫৭৬) বায়হাক্বীর সনদকে সহীহ বলেছেন।
০২/ ইমাম ফখরুদ্দীন আল যায়লাই (মৃঃ ৭৪৩ হিঃ) তাঁর 'তাবেয়ীণ আল হাক্বাইক' কিতাবে বায়হাক্বীর রেওয়ায়েতের সনদকে সহীহ বলেছেন।
[গ্রন্থ সূত্রঃ ইমাম ফখরুদ্দীন আল যায়লাই (মৃঃ ৭৪৩ হিঃ) : 'তাবেয়ীণ আল হাক্বাইক'; ১/১৭৮, দারুল কুতুব আল ইসলামি, কায়রো থেকে ছাপানো, ১৩১৩হিঃ]
০৩/ ইমাম তক্বীউদ্দীন আল সুবকী (মৃঃ ৭৫৬ হিঃ) বায়হাক্বীর 'মারেফাতুস সুনান' এ উল্লেখিত সনদটিকে সহীহ বলেছেন। ইমাম আল সুয়ুতী তাঁর কিতাব 'আল মাসাবিহ ফি সালাতুল তারাবীহ' তে তারাবীহ নামাযের রাকাআত সংক্রান্ত আলোচনাতে আল সুবকীর কিতাব 'শরহ আল মিনহাজ' থেকে উদ্ধৃতিটি নকল করেন।
[গ্রন্থ সূত্রঃ ইমাম তক্বীউদ্দীন আল সুবকী (মৃঃ ৭৫৬ হিঃ) : 'শরহ আল মিনহাজ'।]
০৪/ শাফী মাযহাবের হাফেজ, ইবনে আল মুলাক্কীনও (মৃঃ ৮০৪ হিঃ) তাঁর 'আল বদর আল মুনির' কিতাবে (৪/৩৫০) বায়হাক্বীর এই সনদকে সহীহ বলেছেন। এই কিতাবের ৫ জন সম্পাদক ৯ নং পাদটীকায় এই রেওয়ায়তকে বায়হাক্বীর 'সুনান আল কুবরা'র (২/৪৯৬) দিকে নিসবত করেছেন।
০৫/ শাফি মাযহাবের হাফেজ, ওয়ালিউদ্দীন আল ইরাক্বীও (মৃঃ ৮২৬ হিঃ) তাঁর 'তারহিল তাতরীব ফি শরহিল তাকরীব' কিতাবে বায়হাক্বীর সনদকে সহীহ বলেছেন।
[গ্রন্থ সূত্রঃ শাফি মাযহাবের হাফেজ, ওয়ালিউদ্দীন আল ইরাক্বীও (মৃঃ ৮২৬ হিঃ) : 'তারহিল তাতরীব ফি শরহিল তাকরীব'; ২/৩৬৫, এই শরাহতে তার পিতা শায়খ যয়নুদ্দীন আল ইরাকীর মতামতও রয়েছে। )
০৬/ সহীহ আল বুখারীর ভাষ্যকার শাফি মাযহাবের ইমাম আল ক্বাসতাল্লানীও (মৃঃ ৯২৩ হিঃ) তাঁর কিতাব 'ইরশাদ আল সারী' তে হাফিয ওয়ালীউদ্দীন আল ইরাক্বীর উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বলেছেন যে, সুনানে আল বায়হাক্বীর সনদটি সহীহ।
[গ্রন্থ সূত্রঃ সহীহ আল বুখারীর ভাষ্যকার শাফি মাযহাবের ইমাম আল ক্বাসতাল্লানীও (মৃঃ ৯২৩ হিঃ) : কিতাব 'ইরশাদ আল সারী'; ৩/৪২৬, ইমাম আল নববীর 'শরহে মুসলিম' এর সাথে বুলাক্ব প্রেস, মিশর থেকে ছাপানো, ১৩০৪ হিঃ।]
০৭/ ইমাম বদরুদ্দীন আল আইনী আল হানাফী (মৃঃ ৮৫৫ হিঃ) তার 'আল বিনায়া' কিতাবে (১/১৬০) ইমাম বায়হাক্বীর 'সুনান আল কুবরা' তে উল্লেখিত হাদীসের সনদকে সহীহ বলেছেন।
আল আইনী বায়হাক্বীর (সুনানে আল কুবরা) সনদটিকে শুধুমাত্র সহীহ - এটুকু বলেছেন তা নয়, বরং এটিকে আমাদের ইমামগণ (হানাফী), শাফি এবং হাম্বলীরা প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করেছেন তাও উল্লেখ করেছেন।
[গ্রন্থ সূত্রঃ ইমাম বদরুদ্দীন আল আইনী আল হানাফী (মৃঃ ৮৫৫ হিঃ) : 'আল বিনায়া'; ১/১৬০।]
০৮/ শাফি মাযহাবের ইমাম জালালুদ্দীন আল সুয়ুতীও (মৃঃ ৯১১ হিঃ) তার 'আল মাসাবিহ ফি সালাতুল তারাবীহ' কিতাবে বায়হাক্বীর সনদকে সহীহ বলেছেন।
[গ্রন্থ সূত্রঃ শাফি মাযহাবের ইমাম জালালুদ্দীন আল সুয়ুতীও (মৃঃ ৯১১ হিঃ) : 'আল মাসাবিহ ফি সালাতুল তারাবীহ'; তার কিতাব 'আল হাওয়ী লিল ফাতাওয়ী' এর সাথে ছাপানো, ১/৩৮৭।]
৯/ হাফিয ইবনে হাজার আল আসক্বালানী এঁর একজন স্বনামধন্য ছাত্র এবং শাফি মাযহাব কর্তৃক শায়খুল ইসলাম উপাধি প্রাপ্ত, শীর্ষস্থানীয় ফক্বীহ, শায়খ যাকারিয়া আল আনসারি (মৃঃ ৯২৬ হিঃ)। তাঁর 'ফাতহ আল ওয়াহহাব বি মিনহাজ আল তুল্লাব' কিতাবে (১/৬৮) তিনি শুধুমাত্র ২০ রাকাআত এর পক্ষে মত দিয়েছেন তা নয়, বরং বায়হাক্বীর রেওয়ায়েতের একটি সনদকে সহীহও বলেছেন।
[গ্রন্থ সূত্রঃ শায়খ যাকারিয়া আল আনসারি (মৃঃ ৯২৬ হিঃ) : 'ফাতহ আল ওয়াহহাব বি মিনহাজ আল তুল্লাব'; ১/৬৮।]
শায়খ যাকারিয়া আল আনসারি তাঁর 'আসনা আল মাতালিব ফি শরহ রাওদ আল তালিব' কিতাবেও একে সহীহ বলেছেন।
[গ্রন্থ সূত্রঃ শায়খ যাকারিয়া আল আনসারি (মৃঃ ৯২৬ হিঃ) : 'আসনা আল মাতালিব ফি শরহ রাওদ আল তালিব'; ১/২০১, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বৈরুত, ১ম সংস্করণ, ২০০০ খ্রিঃ।]
১০/ হানাফী ফক্বীহ ইবরাহীম আল হালাবি (মৃঃ ৯৫৬হিঃ) তার 'গুনিয়াতুল মুতামাল্লি', যা 'কাবিরি' নামে সুপ্রসিদ্ধ, কিতাবে (পৃঃ ৩৮৮) 'সুনান আল কুবরা' তে উল্লেখিত বায়হাক্বীর সনদটিকে সহীহ বলেছেন।
১১/ শাফী মাযহাবের ফক্বীহ, খতীব আল শিরবিনি (মৃঃ ৯৭৭ হিঃ) তাঁর 'মুগনী আল মুহতাজ' কিতাবে ২০ রাকাআতের সমর্থনে বায়হাক্বীর সনদটিকে সহীহ বলে রায় দিয়েছেন।
[গ্রন্থ সূত্রঃ শাফী মাযহাবের ফক্বীহ, খতীব আল শিরবিনি (মৃঃ ৯৭৭ হিঃ) : 'মুগনী আল মুহতাজ'; ১/২২৬, দারুল ফিকর, বৈরুত।]
১২/ হানাফী ইমাম আলি আল ক্বারীও (মৃঃ ১০১৪ হিঃ) বায়হাক্বীর এই সনদকে তার 'শরহ আল নুক্বাইয়াহ' কিতাবে (১/২৫০) সহীহ বলেছেন।
১৩/ হাদীসের হাফিয হানাফী ইমাম মুহাম্মদ মুরতাযা আল যাবিদী (মৃঃ ১২০৫ হিঃ) তার রচিত ইমাম আল গাযালীর 'ইয়াহইয়া উলুম উদ দ্বীন' কিতাবের অত্যন্ত মূল্যবান ব্যাখ্যাগ্রন্থ, যা 'ইতহাফুস সাদাতুল মুত্ত্বাকী' নামে পরিচিত, কিতাবে (৩/৪১৫) বায়হাক্বীর সনদকে সহীহ বলেছেন।
১৪/ শায়খ সুলাইমান আল বুজাইরমি আল শাফি (মৃঃ ১২২১ হিঃ) 'শরহ মিনহাজ আল তুল্লাব' এর হাশিয়াতে বায়হাক্বীর সনদকে সহীহ বলেছেন।
[গ্রন্থ সূত্রঃ শায়খ সুলাইমান আল বুজাইরমি আল শাফি (মৃঃ ১২২১ হিঃ) : 'শরহ মিনহাজ আল তুল্লাব' এর হাশিয়া; ১/৩৭০, মাকতাবা ইসলামিয়্যা, দিয়ার বকর, তুরস্ক।]
১৫/ শাফী মাযহাবের মুফতী শায়খ আবু বকর আল দিমইয়াতি (মৃঃ ১৩১০ হিঃ) তার 'ইয়ানাতুল তালিবিন' কিতাবে বায়হাক্বীর সনদকে সহীহ বলেছেন।
[গ্রন্থ সূত্রঃ শাফী মাযহাবের মুফতী শায়খ আবু বকর আল দিমইয়াতি (মৃঃ ১৩১০ হিঃ) : 'ইয়ানাতুল তালিবিন'; ১/২৬৫, দারুল ফিকর, বৈরুত।]
সমকালীন আলেমগণ যারা বায়হাক্বীর সনদকে সহীহ বলেছেনঃ

০১/ হানাফী মুহাদ্দিস, শায়খ শুয়াইব আল আরনাউত্ব, ইমাম বাগাবী এঁর কিতাব 'শরহ আল সুন্নাহ' এর সম্পাদনাতে (৪/১২০) ইমাম বায়হাক্বীর 'সুনান আল কুবরা' তে উল্লেখিত সনদটিকে সহীহ বলেছেন ( এবং এর সমস্ত রাবীকে তিনি ন্যায়বান ও বিশ্বস্ত বলেছেন)।
ইমাম হাফিয যাহাবীর 'সিয়ারু আলামিন নুবালা' কিতাবের সম্পাদনাতে(১/৪০১, ১ নং পাদটীকা) শায়খ শুয়াইব এই সনদকে সহীহ এবং এর সমস্ত রাবীকে ন্যায়বান এবং বিশ্বস্ত বলেছেন।
আরবের সালাফী স্কলারবৃন্দ যারা এই হাদীসকে সহীহ বলেছেন অথবা গ্রহণ করেছেনঃ
২/ আব্দুর রহমান আল মুয়াল্লিমি আল ইয়ামানী (মৃঃ১৩৮৬ হিঃ) তার 'কিতাব কিয়াম রমাদ্বান' এ (দেখুনঃ পৃ - ৫৭,মাকতাবা আল মাক্কীয়া, প্রথম সম্পাদনা, মক্কা, ১৯৯৭) বায়হাক্বীর 'সুনান আল কুবরা' তে বর্ণিত রেওয়ায়েতটিকে সহীহ বলেছেন এবং ন্যায়বিচার করেছেন।
৩/ সাম্প্রতিক কালের একজন সালাফী যিনি আলবানী এর প্রতিপক্ষ, ইসমাঈল আল আনসারী (মৃঃ ১৯৯৬ খ্রিঃ / ১৪১৭ হিঃ), তার 'তাসহীহ হাদীস সালাতিল তারাবীহ ইশরীন রাকা'আ ওয়াল রাদ আলা আল আলবানী ফি তাদ'ইফিহি' কিতাবে (পৃঃ ৭, মাকতাবা আল ইমাম আল শাফী, রিয়াদ, ২য় সম্পাদনা, ১৯৮৮) ইমাম বায়হাক্বীর 'সুনান আল কুবরা' তে বর্ণিত রেওয়ায়েতটির কথা উল্লেখ করেছেন এবং উল্লেখ করেছেন যে, এই হাদীসকে ইমাম আল নববী তার 'আল খুলাসা' এবং 'আল মজমু' কিতাবে আল যায়লাই (নাসবুর রায়াহ এর লিখক) এর সাথে সম্মতিক্রমে, তক্বীউদ্দীন আল সুবকী তার 'শরহে আল মিনহাজ' কিতাবে, ইবনে আল ইরাক্বী তার 'তারহীল তাতরীব' কিতাবে, আল আইনী তার 'উমদাতুল ক্বারী' কিতাবে, আল সুয়ুতী তার 'আল মাসাবিহ' কিতাবে, আলি আল ক্বারী তার শরাহ মুয়াত্তাতে এবং আল নীমাভী তার 'আছারুস সুনান' কিতাবে সহীহ বলেছেন।
৪/ দামেস্ক এর সাম্প্রতিককালের সালাফী আব্দুল ক্বাদীর আল আরনাউতও (মৃঃ ২০০৪ খ্রিঃ / ১৪২৫ হিঃ) ইমাম ইবনে আল আসির আল জাযারী (মৃঃ ৬০৬ হিঃ) এর 'জামি আল উসুল ফি আহাদিস আল রসুল' কিতাবের সম্পাদনাতে (৬/১২৩-১২৪) বায়হাক্বীর 'সুনান আল কুবরা' তে উল্লেখিত রেওয়ায়েতকে সহীহ বলেছেন।
৫/ সালাফী দলের একজন লিখক হলেন সৌদী পন্থী আবদুল্লাহ আল দুয়াইশ (মৃঃ ১৪০৭ হিঃ)। তার 'তানবীহ আল ক্বারী লি তাকবিয়া মাদু'য়াফা আল আলবানী' কিতাবে (পৃঃ৪৭-৪৮), এই সনদের সমস্ত রাবীকে ছিকাহ (বিশ্বস্ত) বলেছেন।
৬/ হামুদ আল তুবাইযিরি (মৃঃ ১৯৯২ খ্রিঃ) যিনিও একজন সৌদী সালাফী লেখক হিসেবে খুবই বিখ্যাত, তার 'আল রাদ আলাল কাতিব আল মাফতুন' কিতাবে (পৃঃ ১৩২) ইমাম আল বায়হাক্বীর সনদকে সহীহ বলেছেন।
সংক্ষেপে মূলত এই হল বায়হাক্বীর এঁর রেওয়ায়েত সম্পর্কে সলফে সালেহীন এবং মুহাদ্দিসীনদের রায়।
রাফিউল ইয়াদাইনীরা দেখুন আপনাদের তথাকথিত শায়খ এবং ইমামরা কি করেছেন এসব হাদীস নিয়ে।
কতজন বড় বড় মুহাদ্দিসীনদের তারা উম্মতের সাথে প্রতারণা করেছেন বলে অভিযুক্ত করে ফেলেছেন।
দেখুন, আপনাদের শায়খদের আসল চেহারা নিজের চোখে।
কি ধরণের মিথ্যাচার, ধোঁকাবাজি আর প্রতারণা তারা নিজেরা করেছেন উম্মতের সাথে।
তাই সত্য পথে আসুন, ন্যায় পথে আসুন, তথা-কথিত এই সকল ভানধরা শায়খ-স্কলারদের প্রতি অন্ধ বিশ্বাসে তথা-কথিত ৮ রাকাআত তারাবীহ এর বিদয়াতী পথ পরিহার করে সাহাবাদের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে যে ২০ রাকাআত তারাবীহ (ক্বিয়ামে রমজান) প্রমাণিত তা গ্রহণ করুন এবং সে অনুযায়ী আমল করুন। ৮ রাকাআতে তারাবিহ হয় না, ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ (ক্বিয়ামে লাইল) নামাজ, এই ৮ রাকাআত তাহাজ্জুদ নামাজ ঐচ্ছিক নামাজ হিসেবে (Optionally) ১২মাস পড়া হয়, যা জামাআতে ইশা' এর নামাজ পড়ার পর জামাআতে পড়া হয় না, হতো না। তাহাজ্জুদ গভীর রাতের একাকি গৃহে / নির্জনে পড়ার নামাজ।
তারাবীহ শব্দের অর্থ জানতে এবং ৮ রাকাআতকে তারাবীহ বলা হয় না কিন্তু ২০ রাকাআতকে তারাবীহ বলার কারণ জানতে লিংকে প্রবেশ করে পড়ুনঃ

https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1802683020047135
আপনাদের সত্যের দাওয়াত দিচ্ছি, গ্রহণ করুন।
আর মনে রাখবেন একদিন আপনাকে এই সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে, আপনাকে সত্যের পথে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল, আপনি গ্রহণ করেছিলেন কি না?
যদি গ্রহণ না করে থাকেন তবে এর উপযুক্ত জবাব আপনার কাছে আছে কি? ভেবে দেখুন আর একটিবার।
আল্লাহ এই সকল উলামায়ে ছু দের হেদায়ত দান করুন, তাদের কপালে যদি হেদায়ত না থাকে তাহলে তাদের ফিতনা থেকে আল্লাহ মুসলিম উম্মাহ কে হেফাজত করুন! আমীন!
▆ তারাবিহ ২০ রাকাআত; ৮ রাকাআত নয়।
নোট ০১.
আলবানীদের আলবানী (১৯১৪-১৯৯৯খ্রিস্টিয়)-র অদ্ভূত ফতোয়া।
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1761420850840019
নোট ০২.
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1761424207506350
নোট ০৩.
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1761426690839435
নোট ০৪.
সউদী শায়েখ সালিহ বিন ফাউযানের ফতোয়া : তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ এর মধ্যে পার্থক্য।
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1761428907505880
নোট ০৫.
▆ তারাবীহ নামায সম্পর্কিত আহলুস্ সুন্নাহ’র ফতোওয়া ▆
https://m.facebook.com/hasan.mmahmud/posts/1795069417475162
নোট ০৬.
▆ প্রশ্ন : কেউ কেউ বলেন যে, তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ নাকি একই নামায; তারা বলেন যে রমযানে রাতের শুরুভাগে এক নামায (তারাবীহ) আর শেষভাগে আরেক নামায (তাহাজ্জুদ) এটা কোনো দলীল দ্বারা প্রমাণিত নয়। রমযানে তারাবীহ পড়লে তাহাজ্জুদ পড়া লাগে না। কথাটা কি সঠিক?

উত্তরঃ
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1801971863451584
নোট ০৭.
প্রশ্নঃ (প্রশ্নটি FBOOK এর একটি Post এ Comment হিসেবে করা হয়েছে) প্রশ্নকারী বলেন, (তার ভাষায়) এখানে একটা হাদিস দেন যেখানে বলা হয়েছে ২০ রাকাতের কম পড়লে তারাবিহ হবে না। আবার ৮ রাকাত বা ৮ রাকাতের কম পরলে নামাজ হবে না তার দলিল দেন।

উত্তরঃ
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1802683020047135

▆ তারাবিহ বিশ রাকাত নাকি আট রাকাত, প্রশ্ন সেটি নয়।
প্রশ্ন হচ্ছে তারাবিহ আছে কি নেই! ▆
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1804435026538601

তারাবীহঃ একটি পর্যালোচনা
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1808540169461420

▆ তারাবীহ এর রাকাত সংখ্যা নিয়ে কথিত ওহাবী-খারেজী সম্প্রদায়ের মিথ্যাচারঃ একটি দলিল ভিত্তিক বিশ্লেষণ ▆
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1809162102732560

তারাবীহ তাহাজ্জুদ ভিন্ন নামাযঃ এক নামায বলা তারাবীহ অস্বিকার করার নিফাকী পদ্ধতি, বিদআতী মতবাদ
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1810094172639353

▆ ইসলাম নতুন নয়; পুরাতন।
টাকা দ্বারা ‘‘ফিতরা’’ দেয়া হাদীস ও অগ্রজ যুগের সেরা সেরা শায়খগণের উক্তি দ্বারা হাজার বছর ধরে প্রমাণিত।
উপমহাদেশীয় আ. রাজ্জাক শেখ কাজ্জাবীর ধোঁকাবাজি।
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1761482577500513
______
▆ ৮ রাক‘আত তারাবীহ দাবীকারী রাফিউল ইয়াদাইনীদের দাবীকৃত দলিল সমুহের খন্ডন।
তাদের প্রথম দলীলঃ
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1803365319978905
রাফিউল ইয়াদাইনীদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দলীলঃ
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1803376936644410
রাফিউল ইয়াদাইনীদের চতুর্থ দলীলঃ
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1804234013225369
___________
▆ হাদিস সম্পর্কে জরুরী জ্ঞাতব্য বিষয়ঃ

নোট ০১. দ্বয়ীফ হাদিসের উপর 'আমল করা মুস্তাহাব
https://mobile.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1697298063918965
নোট ০২. জাল হাদিসের হুকুম
https://mobile.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1697295443919227
নোট ০৩. ``হাদিসটি সহিহ্ নয়`` বলতে মুহাদ্দিসিনে ক্বিরাম কি বুঝিয়ে থাকেন!
https://mobile.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1697290543919717
____

▆ মাসজিদুল হারামে তারাবিহ এর দু'টি জামাআত হয় না।

মাত্র 2.14MB ভিডও; সত্য উন্মোচন হয়ে গেলো........

উপমহাদেশীয় আ. রাজ্জাক শেখ, মোজাফ্ফর শেখ ও তাদের মুরিদ শায়খেরা কাজ্জাব।

প্রথমে তাদের মুখ থেকেই শুনুন।

অত:পর
শুনুন :
ডক্টর আব্দুল আজীজ আল-হাজ।
# মুসাইদুল ইমাম (সহকারী ইমাম) মসজিদুল হারাম;
# চেয়ারম্যানঃ হাদীস বিভাগ, মহাবিদ্যালয় মসজিদুল হারাম, মক্কা মুকাররামা।
এঁর সাক্ষাতকার।
যারা Youtube লিংক থেকে শুনতে চান তাদের জন্যে : https://www.youtube.com/watch?v=Us8S3zTmbaw

 
Top