"কারবালার সম্পূর্ণ করুণ কাহিনী-২"

---বীরত্বপূর্ণ জবাব---

হযরত আমীরে মুয়াবীয়া (রাদি আল্লাহু আনহু) এর ইন্তেকালের পর যখন ইয়াজিদ সিংহাসনে বসলো, তখন সে তার আনুগত্যের জন্য চারদিকে বিভিন্ন জায়গায় চিঠি পাঠালো এবং মদীনা মনোয়ারার প্রসাসককেও চিঠি লিখলো যেন ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) কে ইয়াজিদের আনুগত্য স্বীকার করতে বলে। যখন মদীনার প্রশাসক ইমাম হোসাইনের খেতমতে হাজির হয়ে ইয়াজিদের বায়াতের কথা বলে,তখন ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) ইয়াজিতকে তার দুস্কর্মের জন্য খিলাফেতর আনুগত্য স্বীকার করবেন না বলে প্রশাসককে জানিয়ে দিলেন। প্রশাসক এই জবাব শুনে চলে গেল। ইয়াজিদের কানে এ খবর পৌছলে সে ভীষন ক্ষেপে যায়।
---(সিররুশ শাহাদাতাইন-১৩ পৃষ্টা)


সবকঃ- ইয়াজিদ বড় ফাসিক ও ফাজির ছিল। তার এ চরিত্রের কারণে হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) তার বায়াত করতে অস্বীকার করেন। হযরত ইমাম হোসাইন (রাদি আল্লাহু আনহু) বাহাদুরের ছেলে বাহাদুর ছিলেন। তিনি এটা জানতেন তাঁর অস্বীকৃতিতে ইয়াজিদ তেলেবেগুনে জ্বলে উঠবে এবং নির্মমভাবে প্রতিশোধ নিতে তৎপর হবে। তবুও হক কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেননি এবং জান রক্ষার জন্য বাস্তবকে গোপন করেন নি।
 
Top