কানারে হাইকোর্ট দেখায় কাজী ইব্রাহিম, জাকির নায়েক,  আলবানী, আর আব্দুর রাজ্জাক।

একটা বিষয় বলে রাখি, ইসলামে শুধু রেফারেন্স দেয়াটাই যথেষ্ট নয়। নতুবা, পৃথিবীর অলিগলিতে মুফতী পাওয়া যেত।
ঈমাম ইবনে আবেদীন শামী রহ. বলেছেন,

لا تلعق الفقه تمرا أنت آكله

ফিক্বাহ্ কে তুমি খেজুর মনে করো না, যে, মুখে পুরে খেয়ে ফেলবে।
আসলে ইসলামের মূল বিষয় হলো, কুরআন ও সুন্নাহের বুঝ। যাকে তাফাক্কুহ ফিদ দ্বীন বলে। একে ফিকহও বলা হয়।
আরবী ভাষায় আদেশবাচক শব্দ পনেরটি অর্থে ব্যবহৃত হয। এখন, আদেশ বাচক শব্দ দেখলেই তা থেকে ফরজ ওয়াজিব প্রমাণ করা যায় না। কুরআন ও হাদীসে বলা থাকে না, এটা সুন্নাহ, এটা মুস্তাহাব, এটা ওয়াজিব বা এটা ফরজ। সুতরাং যারা শুধু রেফারেন্স দেয়াকে মৌলিক মনে করে বসে আছেন, তাদেরকে বলি, ফুক্বহানে ক্বিরামের কাছে পরিচিত, ইসলামী ফিকাহের সাথে যাদের অল্পবিস্তরও সম্পর্ক রয়েছে তাদের কাছেও তিনি অপরিচিত থাকার কথা নন, তিনি হচ্ছেন ইবনে হাযাম যাহেরী।
ইবনে হাযাম যাহেরী লিখেছেন, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে পিতা-মাতাকে উফ বলতে নিষেধ করেছেন। (সূরা বনী ইসরাইল : ১৭/২৩) তিনি এ থেকে মাসআলা দিয়েছেন, পিতা-মাতাকে উফ বলা ব্যতীত গালা-গালি দেয়া যাবে, তাদেরকে মার-ধর করা যাবে। এখন বলুন, তিনি দলিল দিলেন, কুরআন থেকে, কিন্তু এটি কুরআনের বাণী নয়। এখন তিনি সূরার নাম ইসরা/ বনী ইসরাইল, সূরা নম্বর ১৭, আয়াত নম্বর ২৩ বলে দিলেই কেল্লা ফতেহ হবে না। একই সমস্যা জাকির নায়েকের; তার ধামাধরা কাজী ইব্রাহীম, আব্দুর রাজ্জাক, আর মতি মিয়াদের।
তারা কুরআন আয়াত নাম্বার বলে, ঠিকই কিন্তু তা থেকে কানারে হাইকোট দেখানোর মাসআলা প্রমাণ হয়। এমন আয়াত নাম্বার বলে, যার সাথে আয়াত বা হাদীসের আদৌ কোন সম্পর্ক থাকে না।

আমরা পূর্বে কয়েকটি পোষ্টে জাকির নায়েক ও তার ধামাধরাদের এই জালিয়াতির আলোচনা করেছি।

তথাকথিত আহলে হাদীস এই নামধারীরা বলে থাকে, আমীন জ্বোরে বলার হাদীস বোখারীতে আছে। কসম দিয়ে বলা যাবে, বোখারীতে আমীন বলার হাদীস আছে, কিন্তু আমীন উচ্চ আওয়াজে বলার হাদীস নেই। এখন, তারা খুব রেফারেন্স দিবে বোখারীতে আছে। কিন্তু জ্বোরে বলার হাদীস বোখারীতে নেই। এটাই হলো, রেফারেন্স আর দলিল প্রমাণিত হওয়ার মাঝে পার্থক্য।

Top