২২-ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ৬ তাকবীর বলা সুন্নাত
▆ আহলে হাদীসদের মতে :
ঈদের নামাযে বারো তাকবীর বলা সুন্নাত।
দলীলঃ
প্রিয় নাবী রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله و سلم) এঁর মুয়াজ্জিন সা’দ রাযি. থেকে বর্নিত যে, প্রিয় নাবী রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله و سلم) দুই ঈদের নামাযে প্রথম রাকাতের শুরুতে সাত তাকবীর ও শেষ রাকাতে ক্বেরাতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর বলবে। (ইবনে মাজাহ ১/৪৬৯, আবু দাউদ ২/১৪৬)
আহনাফের মতে :
প্রিয় নাবী রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله و سلم) থেকে একাধিক সহীহ হাদীস এবং বহু সাহাবী ও তাবেয়ীদের ফতোয়া ও আমল দ্বারা এই কথা প্রমাণিত হয় যে, ঈদের নামাযে অতিরিক্ত ৬ তাকবীর বলা সুন্নাত।
যেমন প্রথম রাকাতে তাহরীমার পর সানা পড়ে ক্বেরাতের পূর্বে তিন তাকবীর আর দ্বিতীয় রাকাতে ক্বেরাতের পরে রুকুর আগে তিন তাকবীর।
অতিরিক্ত এই ৬ তাকবীর বলা সুন্নাত।
দলীলঃ
عن ابن مسعود، أنه قال في التكبير في العيدين: " تسع تكبيرات في الركعة الأولى: خمسا قبل القراءة، وفي الركعة الثانية يبدأ بالقراءة ثم يكبر أربعا مع تكبيرة الركوع " وقد روي عن غير واحد من أصحاب النبي صلى الله عليه وسلم نحو هذا، وهو قول أهل الكوفة، وبه يقول سفيان الثوري (رواه الترمذي- ١/٧٠)---------- شرح معاني الآثار- ١/٣٢٠، البخاري-١/١٣١، مسند أحمد- ٤/٤١٦)
আহলে হাদীসদের দলীলের জবাব :
১২ (বারো) তাকবীরের কথাও যেহেতু হাদীসে উল্লেখ আছে তাই এটিও একটি জায়েজ পন্থা।
সুতরাং কোথাও যদি এই পদ্ধতিতে নামায হয় তাহলে সেখানে আপত্তি করার প্রয়োজন নেই। ঝগড়ার তো প্রশ্নই আসে না।
এই মাসআলার মতভিন্নতা জায়েজ নাজায়েজ নিয়ে নয়।
বরং উত্তম-অনুত্তম নিয়ে।
তাই ইমাম মুহাম্মদ রহ. বলেন, তাকরীরের সংখ্যার ব্যাপারে মতভেদ রয়েছে।
সুতরাং যে যেটা ইচ্ছা গ্রহণ করতে পারবে।
তবে আহলুস সূন্নাহর (আমাদের) মতে ইবনে মাসঊদ রাযি. থেকে বর্নিত পদ্ধতিটি সবচেয়ে উত্তম।
তা হলো, তিনি প্রত্যেক ঈদে নয় তাকবীর বলতেন। প্রথম রাকাতে পাঁচ তাকবীর আর দ্বিতীয় রাকাতে চার তাকবীর মোট ৯ তাকবীর। (মুয়াত্তা মুহাম্মদ ১৪১ পৃষ্ঠা)