ஜ۩۞۩ஜপ্রসঙ্গ : দ্বীনের ফিক্বাহ্ অর্জন; যারা অর্জন করে তথা অর্জনকারীদের অনূসরণஜ۩۞۩ஜ
স্কুল অভ ফিক্বাহ্ বা মাযহাব হচ্ছে দ্বীনের ফিক্বাহ্ (understanding) অর্জনে দ্বীন ইসলামের ৪টি স্বীকৃত গবেষনা কেন্দ্র (Research Center).
দ্বীনেরর ফিক্বাহ্ (understanding) অর্জন করতে পারা একজন মু'মিন ব্যক্তির জন্য আল্লাহ্ সূবহানাহু ওয়া তা'আলার পক্ষ থেকে এক অপার করুণা।
দ্বীন ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন বিধান।
ক্বুরআ'নুল কারিম ও হাদিস কারিম এর যথাযথ ফিক্বাহ্ (understanding) এর উপর নির্ভর করে ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তি।
সকলের ফিক্বাহ্ (understanding) অর্জন ক্ষমতা সমান হতে পারে না। মানুষে মানুষে ইহার তারতম্য দেখা যায়। আর ইহাতে শায়ত্বনের হস্তক্ষেপেরও সুযোগ রয়েছে।
পবিত্র ক্বুরআ'নুল কারিমের সূরায়ে ফাতেহায় বর্ণিত আছে : 'ইহ্দিনাস সিরাত্বাল মুসতাকীম, সিরাত্বাল্লাযিনা আন্আমতা আলাইহিম' অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমাদেরকে সোজা পথে পরিচালিত করুন। তাঁদের পথে যাঁদের প্রতি আপনি করুণা করেছেন।
(আল আয়াত)
এখানে সোজা পথ বলতে ওই পথকে বোঝানো হয়েছে যে, যে পথে আল্লাহর নেক বান্দাগণ চলেছেন। সমস্ত তাফসীরকারক, মুহাদ্দিছ, ফিক্হবিদ, ওলী আল্লাহ, গাউছ, কুতুব ও আবদাল চলেছেন; সকলেই হচ্ছেন আল্লাহর নেক বান্দা।
কাজেই দ্বীনের এই ফিকহী (understanding) চর্চার ক্ষেত্রে সিরত্বল মুস্তাকিম বা নিয়ামাতপ্রাপ্তদের সিরত্ব আঁকড়ে থাকা সর্বকালে অপরিহার্যরুপে সহজ ও নিরাপধ।
দ্বীনের এই সকল একনিষ্ঠ খাদিম (সেবক), সন্তানের জন্য পিতার ন্যায় পরবর্তীদের জন্য জমির দলীলের মতো দলীল হিসেবে কিতাবে সংরক্ষণ করে দ্বীনের ফিকাহ্ (understanding) কে সুসংহত করে গেছেন। দ্বীনের বিশুদ্ধ ফিকাহ্ (understanding) অর্জন করে তাঁদেরই মতো তাঁদেরই সিরত্ব সিরত্বল মুস্তাকিমে চলার সীরত্ব (way) প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন।
স্কুল অভ ফিক্বাহ্ বা মাযহাব বিরোধীরা হলো সিরত্বল মুস্তাকিম এর বিপরীত সিরত্বল মাগদ্বুব।
যেমন : সূরাহ্ ফাতিহায় ইরশাদ হয়েছে, "গাইরিল মাগদ্বুবী 'আলাইহিম ওয়ালাদ্ব..ল্লী....ন।"
এবার আসুন,
ক্বুরআ'নুল কারিমের নিম্নোক্ত আয়াত কারিম দেখা যাক,
ইরশাদ হয়েছে :
وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُونَ لِيَنْفِرُوا كَافَّةً فَلَوْلَا نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُون ۞ َ
৯.১২২ আর মুমিনদের জন্য সংগত নয় যে, তারা সকলে একসঙ্গে অভিযানে (প্রচেষ্টায়) বের হয়ে যাবে। বরং তাদের প্রতিটি দল থেকে কিছু লোক বের হয় না কেন (অর্থাৎ বের হওয়া উচিৎ), যাতে তারা দীনের ফিক্বাহ্ (understanding) আহরণ করতে পারে এবং আপন সম্প্রদায় যখন তাদের নিকট আসবে, তখন তারা (গুনাহ থেকে) বেঁচে থাকার ব্যাপারে তাদেরকে যেন সতর্ক করতে পারে।
*_* সূরাহ্ আত তাওবাহ্, আয়াত ১২২।
দেখুন,
উক্ত আয়াত কারিমে দ্বীনের ফিক্বাহ্ অর্জনে বের হওয়া (ذ ه ب) প্রতিটি দল ( فِرْقَةٍ ) কে সতর্ককারী ( ن ذ ر ) বলা হয়েছে। কাজেই দ্বীনের ফিক্বাহ্ (understanding) অর্জন করে সতর্ককারী দলকে মাযহাব ( مذهب ) বলা হয়; ইহার মূল হচ্ছে ذ ه ب.
আর দ্বীনের ফিক্বাহ্ (understanding) অর্জনে বের হওয়া (ذ ه ب) কে মন্দ বলা হয় নি।
যিনি দ্বীনের ফিক্বাহ্ (understanding) অর্জন করবেন তিনি হলেন ফক্বিহ্ (master in understanding); আর তাঁর কাছে যারা গুনাহ্ থেকে বেঁচে থাকার ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার জন্য জানতে আসবে তারা হলো, সে ফক্বিহ্ (master in understanding) এর অনূসরনকারী (followers) বা মুকাল্লীদ।
উক্ত আয়াতে কারিমে ফক্বিহ্ (master in understanding) এর অনূসরনকারী (follower) বা মুকাল্লীদ বা মাযহাবী বা গমনকারী-কে মন্দ বলা হয় নি; বরং ইরশাদ (guidance) বা পথ প্রদর্শন করা হয়েছে।
যাহোক,
এই কারণে রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله وسلم) সমর্থিত তাঁর যুগসহ পরবর্তী তিন যুগকে মুসলিম উম্মাহর পরবর্তীদের জন্য আদর্শ, অনূসরনীয়, অনূকরনীয় বলে ইরশাদ করেছেন।
অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে :
আল্লাহর আনুগত্য করো, তাঁর রাসুলের আনুগত্য করো এবং তোমাদের মধ্যে যারা আদেশ প্রদানকারী রয়েছেন তাদেরও।
(আল আয়াত)
এ আয়াত শরীফে তিনটি সত্ত্বার আনুগত্যের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
০১. আল্লাহর কোরআনের আনুগত্য,
০২. রাসুলের হাদীসের আনুগত্য,
০৩. আদেশ দাতাগণের (ফিকহবিদ, মুজতাহিদ, আলিমগণ) আনুগত্য।
লক্ষ্যণীয় যে, উক্ত আয়াতে 'আতীউ' শব্দটি ২দু'বার ব্যবহৃত হয়েছে।
মহান আল্লাহর জন্য ১(এক) বার এবং রাসুল সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম ও আদেশ প্রদানকারীদের জন্য ১(এক) বার।
এর রহস্য হলো :
০১. আল্লাহ্ সূবহানাহু ওয়া তা'আলা যাহা হুকুম করবেন শুধু তাই পালন করা হবে, তাঁর কর্ম কিংবা নীরবতার ক্ষেত্রে আনুগত্য করা যাবে না।
০২. তিনি কাফিরদেরকে আহার দেন, কখনো কখনো তাদেরকে বাহ্যিকভাবে যুদ্ধে মুসলমানদের উপর জয়ী করান। তারা কুফুরী করলেও সাথে সাথে শাস্তি দেন না।
এ সব ব্যাপারে আমরা আল্লাহকে অনুসরণ করতে পারি না।
কেননা ইহাতে কাফীরদের সাহায্য করা হয়; ইহা নিষিদ্ধ।
কিন্তু,
নবী পাক রাসূলুন কারীম (صلى الله عليه و آله وسلم) ও গবেষক Scholar বা মুজতাহিদ ইমামের প্রত্যেকটি হুকুমে, প্রত্যেকটি কাজে এমনকি যে সমস্ত ক্ষেত্রে তাঁরা নীরবতা অবলম্বন করেন সে সমস্ত ক্ষেত্রেও আনুগত্য করা যায়।
এ পার্থক্যের জন্যই 'আতীউ' শব্দটা ২দু'বার ব্যবহৃত হয়েছে।
যদি কেউ বলে 'উলীল আমর' দ্বারা ইসলামী শাসনকর্তা (Governor)-কে বোঝানো হয়েছে, তাতেও উপরোক্ত বক্তব্যের কোনোরূপ তারতম্য ঘটবে না।
কেননা শুধু শরীয়ত সম্মত নির্দেশাবলীতেই শাসনকর্তার আনুগত্য করা হবে। শরীয়ত বিরোধী নির্দেশাবলীর আনুগত্য করা হবে না।
ইসলামী শাসনকর্তা (Governor) হচ্ছেন শুধু হুকুম প্রয়োগকারী। তাঁকে শরীয়তের যাবতীয় আহকাম, গবেষক (মুজতাহিদ) আলিমগণের নিকট থেকে জেনে নিতে হবে।
সমস্ত প্রজাদের হাকীম, বাদশা হলেও বাদশাহর হাকীম হচ্ছেন মুজতাহিদ (গবেষক) আলিম।
সুতরাং 'উলীল আমর' হলেন মুজতাহিদ (গবেষক) আলিমগণই।
'উলীল আমর' বলতে যদি ইসলামী বাদশাহকে ধরে নেয়া হয় তাতেও বাদশাহর তাকলীদ (অনূসরণ) প্রমাণিত হয়।
মনে রাখতে হবে এ আয়াতে আনুগত্য বলতে শরীয়তের আনুগত্যই বোঝানো হয়েছে।
যেমন :
*১-
"আতীউল্লাহ্ এঁর প্রমান দেখুন-
অন্তঃসত্ত্বা নয় এমন নারীর স্বামী মারা গেলে তাকে চার মাস দশদিন ইদ্দত পালন করা আল্লাহর নির্দেশ। আতীউল্লাহ থেকে এ অনুশাসন গৃহীত হয়েছে।
*২-
"আতীউর রসূলা" এঁর প্রমান দেখুন-
আর কতোগুলো অনুশাসন সরাসরি হাদীস শরীফ থেকে। যেমন সোনা রূপা নির্মিত অলংকার পুরুষের জন্য হারাম, এটা আতীউর রাসুল এর অন্তর্গত।
*৩-
"আতীউ উলীল আমরি মিনকুম" এর প্রমান দেখুন-
আর কতোগুলো এমন রয়েছে যা মুজতাহিদ (গবেষক)-গণের আদেশের আওতায়; যাহা কোরআন হাদীসে নেই।
যেমন : স্ত্রীর সাথে পায়ুকামে লিপ্ত হওয়া হারাম হওয়ার বিধান মুজতাহিদ (গবেষক)-গণের দেয়া; যাহা 'উলীল আমরি মিনকুম' এর আওতায় বলা হয়েছে।
আশা করছি, বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।
যদি পরিষ্কার না হয়ে থাকে তবে আল্লাহ্ সূবহানাহু ওয়া তা'আলা পাঠককে আরও পরিষ্কার আলোচনা নসীব করুন, আমীন।।
হিদায়াত আল্লাহর তরফে।
``আহলূস সূন্নাহ্`` বিরোধীদের ধোঁকা :
একটা কথা বলতে হয়,
তথাকথিত স্ব-ঘোষিত নামধারী আহলে হাদীসের লোকেরাও কিন্তু তাদের আলেমদের কিতাব পড়ে। তাদের আলেমদের ফতোয়া গুলোকে অন্ধ অনুসরণ করে।
কিন্তু তারা অতিশয় চালাক।
কীভাবে?
তারা মাস’আলা নিয়ে আলোচনা করার সময় ঐ আলেমদের কথা উল্লেখ না করে ঐ আলেমদের উল্লেখ করা হাদীসগুলো আলোচনা করে, আর বলে এই দেখ, সহীহ হাদীস। সহীহ হাদীসের উপর আমল করো। কোন আলেমের কথা শুনোনা।
আর আমরা (আহলূস সূন্নাহ্)?
আমরা একই মাস’আলা নিয়ে কথা বলার সময় আমাদের আলেমের কথা উল্লেখ করছি, মাযহাব (দ্বীনের ফিক্বাহ্/understanding অর্জনকারী সম্পদ্রায়) এর কথা উল্লেখ করছি, কিন্তু তারা যে দলীল আলোচনা করেছেন, তা উল্লেখ বা আলোচনা করছিনা।
বলছি, হানাফী মাযহাবে আছে, শায়খ আবু হানীফা বলেছেন; বা শাফিয়ী মাযহাবে আছে, শায়খ শাফিয়ী বলেছেন ইত্যাদি।
এই হচ্ছে পার্থক্য।
আর এমন পার্থক্য আমাদেরকে করছে দূর্বল। আর এ দূর্বলতা তাদেরকে বেপরোয়া করতে সাহায্য করছে।
কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর সাধারণ জনতার দ্বীনের ফিক্বাহ্ (understanding) অর্জনে ব্যস্ত হওয়ার সময় কোথায়! তারা ফক্বিহ্ (master in understanding)-দের নিকট গমন করা (ذ ه ب) ব্যাতীত দ্বীন চর্চা সম্ভব নয়।
নামধারী আহলে হাদিস যেহেতু বিষয়টি জানার পরেও আল্লাহর সরলমনা বান্দাদের সাথে অগত্যা ন্যাকামি করে থাকে, তাই তাদের এইরুপ ফিত্না বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ইসলাম বিরোধী।
ইসলাম কোন প্রকার ধোঁকাবাজি শিক্ষা দেয় না।
মাযহাব ( مذهب ) শব্দের মূল (root) এ মাযহাব ( مذهب ) এর উদ্দেশ্য নিহীত।
মাযহাব ( مذهب ) বিরোধীতার ন্যাকামী করেও নামধারী আহলে হাদিস নিজেদের মধ্যেই অসংখ্য মাযহাব ( مذهب )।
কেউ আলবানীর মাযহাবে, কেউ উসাইমিন, কেউবা বিন বাজে.....এভাবে একেক সময় একেকজনের নিকট গমন করে (ذ ه ب)।
একই মাসা'আলার ক্ষেত্রে একজন মারা গেলে আরেকজনের মাযহাব ধরে। পূর্বের মাযহাব তখন নতুন মাযহাব পেয়ে ধিকৃত হয়ে যায়।
ইহাই তাদের মাযহাব ( مذهب) এর বাস্তবতা।
অথচ তারা নাকী কোন মাযহাব ( مذهب ) মানে না!
তাদের এই ধোঁকাবাজির শেষ কোথায় আল্লাহ্ সূবহানাহু ওয়া তা'আলা ভালো জানেন।
____________
▆ প্রসঙ্গ : মাযহাব না মানলে বুখারী, মুসলিম মানা যায় না।
https://www.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1680169845631787
▆ মাযহাব মানলে মুশরিক হয় না; যাদের হাত ধরে ইসলাম তাঁরা সকলেই মাযহাবভূক্ত।
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1666045127044259
▆ প্রসঙ্গ : সূন্নাহ্ মান্য; হাদিস নয়। সকল হাদিস, সূন্নাহ্ নয়।
https://mbasic.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1680658558916249
▆ প্রসঙ্গ : ফিত্না বা বিশৃঙখলায় আহালূস সূন্নাহ্ হওয়া বা সূন্নাহ্ আঁকড়ে ধরে থাকা।
https://www.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1681169245531847
▆ মাযহাব এত কেন।
https://www.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1743491289299642
▆ প্রসঙ্গ : সহীহ্-যয়ীফ নির্ধারণে তাহকিক আসলে কী।
https://www.facebook.com/hasan.mahmud/posts/1688604351455003
_________