প্রশ্নঃ "রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আল্লাহর নূর থেকে সৃষ্ট" এই আকিদা রাখা কি শিরিক? জবাবঃ ⛔ এই নুরের ওপমা হল যেমন আসমানে সুর্যের আলো। এই আলো যমিনে পতিত হলে যমিনের আলো ও সুর্যের আলো কিন্তু সুর্য না আবার এই আলো সুর্য থেকে খন্ড করা অংশ না (বরং এটা সুর্যের আলো) তদ্রোপ একটা মুমবাতি বা প্রদিপ থেকে হাজার বাতি বা নুর জ্বালালে ও একটা আরেকটার অংশ না। ঠিক সেই রকমভাবে রাসুল(ﷺ) আল্লাহর নুরের তৈরি হয়েও নূর-এ- মুহাম্মাদি(ﷺ) নূর এ খোদা’র অংশ না বা আল্লাহর নুরকে খান্ডাংশ করে নবিজি (ﷺ) এর সৃষ্টি করেছেন এই ভাবে ও বলা বা ধারনা করা শিরিক কারন আল্লাহর কোন অংশ নাই..শরিক নাই।এ কথা বললেই শিরিক,কুফরি,বাতিল ।আর এটা খুবই সুক্ষ ব্যাপার। Reference:- চতুর্দশ শতাব্দির শ্রেষ্ঠ মুজাদ্দিদ ইমাম এ আহলে সুন্নত ‘আ’লা হযরত আহমদ রেযা খান বেরলভী (রহ) - সুন্নীবার্তা থেকে সংকলিত
⛔ Are u agree? Baytullah = আল্লাহর ঘর Kitabullah = আল্লাহর কিতাব Ruhullah = আল্লাহর রুহ Noorim min Noorillah= যিনি আল্লাহর নুর এ গুলোর কোনো কিছুই আল্লাহর অংশ নয়… কেউ কি বলতে পারবে যে ইসা [রুহোল্লাহ (আল্লাহর রূহ)] বললে শিরিক হবে? তাহলে আমাদের রাসুল (ﷺ) কে [নুরুল্লাহ (আল্লাহর নূর)] বললে শিরিক হবে কেন? (নাউজুবিল্লাহ)
⛔ এক আয়াতে আল্লাহ পাক বলেন, [বলুন ,” আমি ও তোমাদের মত মানুষ (কিন্তু তোমরা আমার মত না) এবং আমার নিকট ওহী আসে যে তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ।] ★হামীম- সিজদাহ ৬ ★কাহাফ -১১০ ⛔ অপর আয়াতে নবীগণের কথা এসেছে, ”তাদের পয়গাম্বরগণ বললেন,”আমরা ও তোমাদের মতই মানুষ।” ★ইব্রাহীম -১১ ⛔ অপর এক আয়াতে কাফিরদের কথা এসেছে, “ওরা বললো,” তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ, দয়াময় আল্লাহ্ তো কিছুই অবতীর্ণ করেন নি” ★ইয়াছিন ১৫ ★ইব্রাহীম ১০ ★শুয়ারা- ১৮৬ ★হুদ ২৭ ⛔ আর আল্লাহ পাক কাফিরদের জবাব দিচ্ছেন, ”যদি তোমরা তোমাদের মতই এক জনের আনুগত্য কর তবে নিশ্চিত রুপেই তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।” ★মুমিনুন ৩৪ ________________________________ ⛔ “তিনি পুরা মাটির মত শুকনো মাটি দ্বারা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন।“ ★আর-রাহমান ১৪ ⛔ ”কাদা মাটি থেকে তিনি মানুষ কে সৃষ্টি করেছেন “ ★আস-সিজদাহ ৭ ________________________________ ⛔ "নিশ্চই আল্লাহ্ তা'য়ালা সর্ব প্রথম স্বীয় (নিজ) নূর হতে তোমার নবীর নূর মোবারক সৃষ্টি করেছেন !!” ★ মুসান্নাফে ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ) নিচে বিস্তারিত আলোচিত হয়েছে। অনেকগুলো হাদিস একত্র করে সংক্ষেপে দিলাম Note: চাইলে নেট এ সার্চ করে সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন। ⛔ অসংখ্য সহিহ হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন ,” → "তোমাদের কে আছো আমার মত?” অপর হাদিসে, → ”আমি তোমাদের কারো মত না !“ আপর হাদিস, → ”তোমাদের কেহ আমার অনুরূপ (সাদৃশ্য, শামিল, একরকম) না, আমি যখন রাতে ঘুমাই তখন আল্লাহ্ আমাকে আহার করান এবং পান করান। Referance:- ★ Sahih al-Bukhari Hadith: 3.183 ★ Sahih al-Bukhari Hadith: 3.182 ★ Sahih al-Bukhari Hadith: 3.188 ★ Sahih al-Bukhari Hadith: 3.185 ★ Sahih al-Bukhari Hadith: 3.184 ★ Sahih al-Bukhari Hadith: 3.187 ★ Bukhari sarif,Volume 9, Book 90, Number 348 ★ Bukhari sarif,Volume 9, Book 90, Number 347
নুরতত্ব নিয়ে সংক্ষেপে একটু বলা দরকার কারন ওহাবী সালাফীরা না বুঝে সব গোলাই ফেলে।
Overall view points of নূরতত্ত্বঃ
এক নজরে করআন হাদীস এ উল্লেখিত নুর:- ⛔ [ইসলাম-নূর] “ইসলামের জন্য যার বক্ষ কে উন্মুক্ত করেছে সে আল্লাহর নূর এ পরিচালিত!” ★ আল-কুরআন ⛔ [আল্লাহ্ -নুর] “আল্লাহ্-আসমান -যমীনের নূর” ★সুরা নূর ৩৫ ⛔ [আল-কুরআন নূর] ★আহযাব ৪৬ ★সুরা শুরা ৫২ ★আন-নিসা ১৭৫ ⛔ [নবুওয়াত নূর] ★মায়েদা ১৫ ★আহযাব ৪৬ ⛔ [রাসুলুল্লাহ (সা) আল্লাহর জাতি নূর] ★নুর ৩৫ ★ছাফ ৮ ★তওবা ৩২ ★মায়েদা ১৫ (তফসীরসহ দেখুন) ⛔ [নেক কাজ নূর] ⛔ [অজু-নূর] “অজুর ওপরে অজু করা নূরের ওপর নূর “ ★আল-হাদিস ________________________________
⛔ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) নূর-এ-মুজাসসামঃ
PROOF 1: সুরা নূর–৩৫ -আয়াত নিয়ে হযরত আব্বাস (রাঃ) ক’আব-এ-আহবার(রাঃ) কে বলেন,’এই আয়াতের বর্ণনা করো?” ১) কা’আব -এ- আহবার (রাঃ) , ২) হাযরত ইবনে উমর (রাঃ) , ৩) মুহাম্মাদ ইবনে কা’আল কারাদি (রাঃ) থেকে ৩ টি হাদিস বর্ণনা করেন, (যার মূলভাব একত্রে উল্লেখ করছি) → ”দীপাধার ‘ মানে”হুজুর (ﷺ) এর ‘বক্ষ মোবারক। → ’ফানুস’ মানে হুজুর(ﷺ) এর ‘হৃদয় মোবারক’ → আর’নূরের ওপর নূর’ মানে ‘নুরে মুহাম্মাদি (ﷺ) নুরে ইব্রাহীম (আঃ) এর ওপর!’. সুরা নুর ৩৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় রাসুল (ﷺ) কে নুর বলা হয়েছে: Refferance:- ►Ibn Jarir al-Tabari in his Tafsir (18:95), ►Suyuti in al-Durr al-manthur (5:49), ►Zarqani in Sharh al-mawahib (3:171), ►al-Khafaji in Nasim al-riyad (1:110, 2:449), ►al-Nisaburi in Ghara’ib al-Qur’an (18:93)Tanwir al Miqbas, Min Tafsir Ibn Abbas, Page No. 376, Published by Maktaba al Asriyyah, Beirut, Lebanon] ►Tafsir at-Tabri, under 24:35 ►Tafsir Ibn Kathir, Volume No.3, Page No. 490, under 24:35 ►Ash-Shifa bi Tarif al Haquq al Mustafa, Page No. 6 ★ কাঞ্জুল-ঈমান ,খাজিন,সূরা নূর ৩৫ এর তাফসির
⛔ PROOF 2: ” নিশ্চই তোমাদের নিকট স্পষ্ট কিতাব (আল-কুরআন) ও মহা সম্মানিত নূর [হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)] এসেছেন “ মায়েদাহ ১৫ এই আয়াতে রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم নুরের কথা যারা যারা বর্ননা করেছেন:- ►Suyuti in Tafsir al-Jalalayn, ►Fayruzabadi in the Tafsir Ibn `Abbas entitled Tanwir al-miqbas (p. 72) ►Shaykh al-Islam, Imam Fakhr al-Din al-Razi, the Mujaddid of the sixth century, in his Tafsir al-kabir (11:189) ►Imam al-Shirbini in his Tafsir entitled al-Siraj al-munir(p. 360), the author of Tafsir Abi Sa`ud (4:36) ►Thana’ullah Pani Patti in his Tafsir al-mazhari, (3:67) অধিকাংশ তফসীরে এই আয়াত রাসুলুল্লাহ (ﷺ) সম্পর্কে বলা হয়েছে বেশি বড় হয়ে যাবে বলে উল্লেখ্য করলাম না।
⛔ PROOF 3: ”তারা চায় তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূর কে নির্ভাপিত করতে কিন্তু আল্লাহ্ অবশ্যই তার নূরের পূর্ণ তা বিধান করবে যদি ও কাফিররা তা অপ্রীতিকর মনে করে “ ★ তওবাহ ৩২ ★ সুরা ছাফ ৮
⛔ PROOF 4: সুরা তাওবার আয়াত নং – ১২৮ এ অল্লাহ্ বলেন ”তোমাদের নিকট এক মহান রাসূলের আগমন হয়েছে” এই আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে নবী করিম (ﷺ) কোথা হতে আসলেন? সে সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য হাদিসে বর্নিত আছে যে, وعن ابلى هريرة رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه و سلم سائل جبريل عليه السلام فقال يا جبريل كم عمرك من السنين فقال يا رسول الله مست اعلم غير ان فى الحجاب الرابع نجما يطلع في سبعين الف سنة مرة رايته اثنين و سبعين الف مرة فقال يا جبريل و عزة ربى جل جلا له انا ذالك الكوب- অর্থ : হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত, কোন এক সময় হযরত রাসুল করীম (ﷺ) হযরত জিব্রাঈল (আঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলেন " হে জিব্রাইল! তোমার বয়স কত বৎসর হইয়াছে?" হযরত জিব্রাইল (আঃ) উত্তর করিলেন, " হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! আমি আমার বয়স সম্পর্কে কিছুই বলিতে পারিনা। তবে আমি আপনাকে আমার বয়স সম্পর্কে এতটুকু তথ্য জানাইতে পারি যে, চতুর্থ আসমানে একটি উজ্জ্বল তারকা ছিল, উক্ত তারকাটি ৭০ হাজার বৎসর পর পর আসমানে একবার উদয় হইত। আমি উহাকে ৭২ হাজার বার উদয় হইতে দেখিয়াছি। তখন নবী করিম (ﷺ) বললেন, হে জিব্রাঈল! আমার প্রতিপালকের ইজ্জতের কসম। নিশ্চয় আমিই ছিলাম সেই উজ্জ্বল নক্ষত্র বা তারকা ।" Reference : ★ ইমাম বুখারী (রহ) : আত তাশরীফাতে ফি খাসায়েস ওয়াল মুজিজাত ২/২৫৪ পৃ: ★ইমাম বুখারীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখিত : তারিখ উল কাবির ★ ইমাম বুরহান উদ্দিন হালাবী শাফেয়ী : সিরাতে হালাবিয়্যাহ ১ম খন্ড:৪৯ পৃ: [ইমাম বুখারীর সুত্রে] ★ আল্লামা ইসমাইল হাক্কী : তফসীরে রুহুল বয়ান : ৩/৫৪৩ : সুরা তওবা ১২৮ ★ আল্লামা শায়খ ইউসুফ নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৩৯ [নিজস্ব সনদে আবু হুরায়রা (রা) থেকে] ★ আল্লামা শফী উকাড়ভী : যিকরে হাসীন : ৩০ পৃ: অপরদিকে, (আরবি = নাজম) মানে হল তারকা যা রাসুলুল্লাহ (সা) এর অন্যতম নাম মোবারক। অনেক তফসীরকারকগন কুরআন পাকের সুরা ""ওয়ান্নাজম"" এর মধ্যে ""আন-নাজম"" বলতে রাসুলুল্লাহ (সা) কে বুঝিয়েছেন। যা উক্ত হাদিসের মধ্যে এক শক্তিশালী যুগসুত্রও স্থাপন করে।
⛔ নুর সম্পর্কিত হাদিসটি নিম্নরোপ :- حضرت جابر بن عبد اﷲ رضی اﷲ عنہما سے مروی ہے فرمایا کہ میں نے بارگاہِ رسالت مآب صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم میں عرض کیا : یا رسول اﷲ! میرے ماں باپ آپ پر قربان! مجھے بتائیں کہ اﷲ تعالیٰ نے سب سے پہلے کس چیز کو پیدا کیا؟ حضور نبی اکرم صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم نے فرمایا : اے جابر! بے شک اﷲ تعالیٰ نے تمام مخلوق (کو پیدا کرنے) سے پہلے تیرے نبی کا نور اپنے نور (کے فیض ) سے پیدا فرمایا، یہ نور اللہ تعالیٰ کی مشیت سے جہاں اس نے چاہا سیر کرتا رہا۔ اس وقت نہ لوح تھی نہ قلم، نہ جنت تھی نہ دوزخ، نہ (کوئی) فرشتہ تھا نہ آسمان تھا نہ زمین، نہ سورج تھا نہ چاند، نہ جن تھے اور نہ انسان، جب اﷲ تعالیٰ نے ارادہ فرمایا کہ مخلوق کو پیدا کرے تو اس نے اس نور کو چار حصوں میں تقسیم کر دیا۔ پہلے حصہ سے قلم بنایا، دوسرے حصہ سے لوح اور تیسرے حصہ سے عرش بنایا۔ پھر چوتھے حصہ کو (مزید) چار حصوں میں تقسیم کیا تو پہلے حصہ سے عرش اٹھانے والے فرشتے بنائے اور دوسرے حصہ سے کرسی اور تیسرے حصہ سے باقی فرشتے پیدا کئے۔ پھر چوتھے حصہ کو مزید چار حصوں میں تقسیم کیا تو پہلے حصہ سے آسمان بنائے، دوسرے حصہ سے زمین اور تیسرے حصہ سے جنت اور دوزخ بنائی۔ ۔ ۔ یہ طویل حدیث ہے۔ অর্থ : হযরত জাবির (রাঃ) আরজ করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (ﷺ)!!! আমার পিতা-মাতা আপনার কদম মোবারক এ কোরবানি হোক, আপনি বলে দিন যে আল্লাহ্ পাক সর্বপ্রথম কি সৃষ্টি করেছেন? রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বললেন” হে জাবের, নিশ্চই আল্লাহ্ তা'য়ালা সর্ব প্রথম স্বীয় (নিজ) নূর হতে তোমার নবীর নূর মোবারক সৃষ্টি করেছেন !!” তারপর সেই নূর আল্লাহর কুদরতে ও ইচ্ছায় ভ্রমণ রত ছিল। কেননা ঐ সময় লাওহ-কলম , জান্নাত – জাহান্নাম ফেরেশতা , আসমান- জমিন কিছুই ছিল না । তারপর আল্লাহ্ মাখলক সৃষ্টি করার ইচ্ছা করলেন.. তখন এই নূর কে ৪ ভাগ করলেন.. প্রথম ভাগ দিয়ে কলম; দ্বিতীয় ভাগ দিয়ে লৌহে-মাহফুজ; তৃতীয় ভাগ দিয়ে আরশ এবং চতুর্থ ভাগ দিয়ে বাকি সবকিছু সৃষ্টি করলেন....।
হাদিসখানা যে পূর্ব যুগে মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক' কিতাবে মওজুদ ছিল তার ব্যাপারে বিভিন্ন কিতাবে ইমামগণ সাক্ষ্য প্রদান রয়েছে।
যেমনঃ যেসকল ইমামগণ ও আলেমগণ এই হাদিস উল্লেখ করেছেন, তাদের সংক্ষিপ্ত তালিকা দেওয়া হল: ১. আল্লামা ইবনে হাজার হায়তামী মক্কী (রহঃ), ২. আল্লামা ইমাম ইয়াহইয়া আল আমরী আল হারদ্বী (রহঃ) ৩. ইমাম কাস্তালানী (রহঃ), ৪. ইমাম যুরকানী (রহঃ), ৫. ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী (রহঃ), ৬. ইমাম দিয়ার বকরী (রহঃ), ৭. ইমাম আবু সাদ নিছাপুরী খারকুশী (রহঃ), ৮. ইমাম ইবনুল হাজ্জ মালেকী (রহঃ), ৯. ইমাম বদরুদ্দিন আইনী (রহঃ), ১০. ইমাম সুলতান মােল্লা আলী ক্বারী (রহঃ) ১১. ইমাম আজলুনী (রহঃ), . ১২. ইমাম শাহ ওলিউল্লাহ মােহাদ্দেছ দেহলভী (রহঃ) ১৩. ইমাম নূরউদ্দিন আলী হালভী (রহঃ), ১৪. ইমাম মাহমুদ আলুছী বাগদাদী (রহঃ), ১৫. মাওলানা আশরাফ আলী থানভী সাহেব, ১৬. মাওলানা আব্দুল হাই লাখনবী সাহেব, ১৭. ইমাম নববী (রহঃ) প্রমূখ।
নিচে আলাদা করে প্রত্যেক ইমামরা কিভাবে হাদিসটি উল্লেখ করেছেন তা দেওয়া হলঃ
⛔ ইমাম আবুল আব্বাস শিহাবুদ্দিন কাস্তালানী (রঃ) (ওফাত ৯২৩ হিজরী) তদীয় কিভাবে এভাবে হাদিসটি উল্লেখ করেছেন, ....। “ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রঃ) তার সনদে হজরত জাবের (রাঃ) হতে হাদিস বর্ণনা করেছেন.....।" (ইমাম কাতালানী: মাওয়াহেদুনিমী, ১ম খন্ড, ৪৮ পৃঃ)
⛔ ইমাম যুরকানী (রঃ) তার "শরহে মাওয়াহেব" এর মধ্যেও হাদিসটি ব্যাখ্যাসহ স্বীকৃতি দিয়ে এভাবেই উল্লেখ করেছেন। অনেকে লিখেছেন, ইমাম কাস্তালানী (রঃ) এই হাদিস খানা ভুলে মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক এর রেফারেন্স দিয়েছে। তারা আরাে লিখেছে, ইমাম কাস্তালানী (রঃ) এর পূর্বে কেউ এই হাদিস উল্লেখ করেননি। অথচ ইমাম কাস্তালানী (রঃ) এর পূর্বেও বহু মােহাদ্দিছ ইমামগণ তাঁদের কিতাবে হাদিস খানা অথবা নূরে মুহাম্মদী (রহঃ) যে প্রথম সৃষ্টি ইহা বর্ণনা করেছেন।
⛔ ইমাম আবু সা'দ নিছাপুরী আরকুশী (রঃ) (ওফাত ৪০৭ হিজরী} তাঁর সুপ্রসিদ্ধ সিরাত গ্রন্থ “শরফুল মােস্তফা” ১ম খন্ড, ৩০৭ পৃষ্টায় (যা দারুল বাশায়েরুল ইসলামিয়্যা, মক্কাতুল মুকারামা হতে প্রকাশিত হাদিস খানা নিম্মােক্তভাবে উল্লেখ রয়েছে : - "ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ) তাঁর সনদে জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন।” তৎকালীন কোন আলিম এই হাদিসের বিরুদ্ধে কথা বলেননি।
⛔ আল্লামা ইয়াহইয়া ইবনে আবু বকর ইবনে মুহাম্মদ ইবনে ইয়াহইয়া আলআমরী হারদ্বী ওফাত ৮৯৩ হিজরী, তিনি “বাহ্জাতুল মাহফিল ওয়া বাগিয়াতুল আমহালফি তালখিছুল মুযিজাত ওয়াল সিওর ওয়াশ শামায়েল” কিতাবে ১ম খন্ড ১৫ পৃষ্টায় (যা দারুস সদর বইরুত থেকে প্রকাশিত) এই হাদিস খানা এভাবে উল্লেখ করেছেন :- "ইমাম আব্দুর রাজ্জাক মজবুত সনদে জাবের (রাঃ) এর হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।” তৎকালীন কোন আলিম এর বিরুদ্ধে সমালােচনা করেননি।
⛔ আল্লামা ইমাম হুছাইন ইবনে মুহাম্মদ হুছাইন দিয়ারবকরী (রহঃ) ওফাত ৯৬৬ হিজরী তিনি তাঁর লিখিত তারিখুল খামিছ” কিতাবে হজরত জাবের (রাঃ) এর হাদিসখানা এভাবে উল্লেখ করেছেন, کما روی عن جابر بن عبد الله الانصاري أنه قال سألت رسول الله صلى الله عليه وسلم عن أول شي خلقه الله قال هونور نبيك يا جابر -“যেমন হজরত জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, নিশ্চয় তিনি রাসূল (ﷺ) কে আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছেন। প্রিয় নবীজি (ﷺ) বলেছেন: হে জাবের। সেটা তােমার নবীর নূর।” ★ (ইমাম দিয়ার বকরী: তারিখুল খামিছ, ১ম খন্ড, ১৯ পৃঃ)।
⛔ ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী (রহঃ) এর প্রায় সম-সাময়িক বিশ্ব বিখ্যাত ইমাম আল্লামা হাফিজ ইবনে হাজার হায়তামী মক্কী (রঃ) [ওফাত ৯৭৪ হিজরী] তিনি তার “ফাওয়ায়ে হাদিছিয়্যা” কিতাবের ৪৪ পৃষ্টায় হাদিস খানা মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক এর রেফারেন্সে উল্লেখ করেছেন। যেমন: فقد أخرج عبد الراق بسنده عن جابر بن عبد الله الأنصاري رضي الله عنهما -“অবশ্যই আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ) তার সনদে হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ আনছারী (রাঃ) থেকে হাদিস বর্ণনা করেছেন.....।" ★ (ফাতওয়ায়ে হাদিছিয়্যা, ৮৫ পৃঃ)
⛔ হাফিজুল হাদিস ইমাম ইবনে হাজার মক্কী (রঃ) তার অন্য কিতাবে বলেন, وروى عبد الرزاق في مسنده أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: إن الله خلق نور محمد قبل الأشياء من نوره -ইমাম আব্দুর রাজ্জাক তার মুসনাদে বর্ণনা করেছেন, নিশ্চয় আল্লাহর নবী (ﷺ) বলেছেন: নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সব কিছুর পূর্বে নূরে মুহাম্মদী সৃষ্টি করেছেন।” ★ (হফিল ইবনে হাজার মক্কী: আশরাফুল অছাইল ফি শরহে শমাইল, ১ম খন্ড, ৩৬ পৃঃ)
⛔ আল্লামা মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের ইবনে শায়েখ আব্দুল্লাহ আইদারুছ (রঃ) (ওফাত ১০৩৮ হিজরী) তদীয় কিতাবে বলেন, وروى عبد الرژاق ي ده أن النبي صلى الله عليه وسلم قال إن الله خلق نور تمتد قبل الأشياء من نوره -“ইমাম আব্দুর রাজ্জাক তার সনদে বর্ণনা করেন, নিশ্চয় আল্লাহর নবী (ﷺ) বলেছেন: আল্লাহ তা'য়ালা সব কিছুর পূর্বে আল্লাহর নূর থেকে নবী পাক (ﷺ) এর নূর সৃষ্টি করেছেন।” ★ (নূরুছ ছাফির আনি আখবারিল কারনিল আশির, ৮ম পূঃ)।
⛔ ইমামুশ শায়েখ ইসমাঈল ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল হাদী আল-আজলুনী (রঃ) (ওফাত ১১৬২ হিজরী) তদীয় কিতাবে হাদিসটি উল্লেখ করেছেন এভাবে, ....। “ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ) তার সনদে হজরত জাবের (রাঃ) হতে হাদিস বর্ণনা করেছেন.....।" ★ (ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ১ম খন্ড, ২৩৭ পৃ:)।
⛔ প্রখ্যাত মুহাদ্দিছ আল্লামা আব্দুল হাই লাখনভী তদীয় কিতাবের বলেন, “অবশ্যই প্রথম সৃষ্টি নূরে মুহাম্মদী সৃষ্টির আব্দুর রাজ্জাক (রাঃ) এর রেওয়াতটি প্রমাণিত।” ★ (আল্লামা আব্দুল হাই লখিনভী: আছারুল মারফুয়া, ১ম খন্ড, ৪৩ পৃ)
⛔ হাদিসটি আল্লামা নুরুদ্দিন হালভী (রহঃ) (ওফাত ১০৪৪ হিজরী) তদীয় কিতাবে এভাবে উল্লেখ করেছেন, وقد قال له جابر: یا رسول الله أخبرني عن أول شيء خلقه الله تعالى قبل الأشياء؟ قال: يا جابر إن الله خلق قبل الأشياء نور نبيك من نوره -“অবশ্যই রাসূল (ﷺ) কে জাবের (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ। আমাকে বলুন সব কিছুর পূর্বে আল্লাহ কি সৃষ্টি করেছেন? প্রিয় নবীজি (ﷺ) বললেনঃ হে জাবের। সব কিছুর পূর্বে আল্লাহ তাঁর নূর থেকে তােমার নবীর নূর সৃষ্টি করেছেন।” ★ (ছিরাতে হালভিয়া, ১ম খন্ড, ২১৪ পৃঃ)
⛔ হজরত জাবের (রাঃ) এর হাদিসটির সত্যতা আরেকটি রেওয়াত দ্বারা পাওয়া যায়, ثنا الحسين بن شبيب المكب، حدثنا محمد بن زياد الحريري، عن قال ابن جرير : فرات بن أبي الفرات، عن معاوية بن كير عن أبيه قال: قال رسول الله صلى الله ژون) قال: لوح من ثور وقلم بن ثور يجري بما عليه وسلم: (ن والقلم وما هو كائن إلى يوم القيامة -“মুয়াবিয়া ইবনে কুররা (রাঃ) ↓ তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলে পাক (ﷺ) বলেছেন: নূন, কলমের শপত এবং যা দ্বারা লিখা হয় এই আয়াত সম্পর্কে রাসূল (ﷺ) বলেছেন: লাওহ নূর থেকে সৃষ্টি, কলম নূর থেকে সৃষ্টি, এভাবেই কেয়ামত পর্যন্ত চলমান থাকবে।” ★ হাফিজ ইবনে কাছির: তাফছিরে ইবনে কাছির, ৮ম বন্ড, ১৮৬ পৃঃ ★ ইমাম ছিয়তী: আল হাবী লিল ফাতওয়া, ১ম খন্ড, ৪২৯ পৃঃ ★ তাফছিরে তাবরী, ২৩তম খন্ড, ১৪৪ পৃ: সূরা কলম এর ১ম আয়াতের ব্যাখ্যায়; ★ ইমাম ছিয়তী: তাফছিরে দুরে মানছুর, ৮ম খন্ড, ২৪১ পৃঃ
⛔ এই হাদিসে লাওহ-কলম নূরের তৈরী এই কথা স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। আরেকটি রেওয়াতে পাওয়া যায় আরশ’ নূরের তৈরী। যেমন, تری علی بخر بن نصر الخولاني المصري، ثنا أسد بن موسی ننا يوف، عن أبي العتيبي ابن بنت وهب بن منبه، عن وهب بن منبه قال إ الله خلق العرش من نور -“ওহাব ইবনে মুনিয়া (রাঃ) বলেন: নিশ্চয় আল্লাহ তা'য়ালা আরশকে নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন।” ★ (তাফছিরে ইবনে আবী হাতেম, হাদিস নং ১০২১৫)।
⛔ নূন, লাওহে মাহফুজ ও কলম নূরের সৃষ্টি এই ব্যাপারে আরেকটি রেওয়াত উল্লেখ করা যায়, وأخرج الرافعي في تاريخ قزوین من طریق وبير عن الضحاك عن ابن عباس قال: قال ول الله صلى الله عليه وسلم: الكون اللوح المحفوظ والقلم من نور ساطع -“হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূলে করিম (ﷺ) বলেছেন: নুন, লাওহ, মাহফুজ ও কলম উজ্জল নুর থেকে সৃষ্টি।” ★ (তাফছিরে দুরে মনসুর ৮ম খন্ড, ২৪১ পৃ)
উল্লেখিত হাদিস সমূহ দ্বারা হজরত জাবের (রাঃ) এর নুরের আরাে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়। কারণ লওহ-কলম, নূন ও আরশ নূরের তৈরী। • যা হজরত জাবের (রাঃ) এর নূরের হাদিসে স্পষ্ট বলা হয়েছে।
▓█► ইমাম সুয়ূতী (রহঃ) কি জাবের (রাঃ) এর নূরের হাদিসকে জাল বলেছেন? ⛔ জবাবঃ
▓█► ১ : ইমাম আব্দুর রহমান জালালুদ্দিন ছিয়তী (রহঃ) তার ''আল-হাভী লিল ফাতওয়া নূরে মুহাম্মদী প্রথম সৃষ্টি হওয়ার ব্যাপারে উল্লেখিত হাদিসটি সম্পর্কে বলেছেন: "ইহার উপর নির্ভর করা যায় এমন কোন সনদ নেই।” ★ (ইমাম ছিয়তী: আল হাভী লিল ফাতওয়া, ১ম খন্ড, ৩৮৬ পৃঃ) অর্থাৎ ইমাম ছিয়তীর কাছে এর সনদটি অনির্ভরযােগ্য। ইমাম ছিয়তী বলেননি যে, ইহার কোন সনদ নেই। বরং তিনি বলেছেন নির্ভর করার মত সনদ নেই।
▓█► ২ : সম্ভবত তিনি ইমাম ছালাভী (রহঃ) এর বর্ণিত হাদিসটি সম্পর্কে এরূপ বলেছেন। কেননা ইমাম ছিয়তীর উল্লেখিত হাদিসের মতন মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক এর হাদিসের মতনের সাথে সম্পূর্ণ মিল নেই।
▓█► ৩ : সর্বোপরি ইমাম ছিয়তী (রহঃ) এর উল্লেখিত হাদিসখানা ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (রহঃ) বর্ণিত হজরত জাবের (রাঃ) এর হাদিসটি নয়। কারণ মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক এর হাদিসের মতন এবং ‘আল হাতী লিল ফাতওয়া এর মতনে অনেক ব্যবধান রয়েছে। তাছাড়া ইমাম ছিয়তী (রহঃ) তার আলােচনার মাঝে কোথাও বলেননি যে, ইহা হজরত জাবের (রাঃ) এর বর্ণিত মুছান্নাফের হাদিস। তাই ইমাম জালালুদ্দিন ছিয়তী (রহঃ) এর এই কথা মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক এর হাদিসকে জাল-জয়ীফ বলার কোন সুযােগ নেই।
▓█► ৪ : বরং ইমাম ছিয়তী (রহঃ) মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক এর হাদিসটির সত্যতা স্বীকার করেছেন তার ‘খাছায়েদুল কোবরা" কিতাবে হাদিসটি চয়ন করেছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। যেমনঃ ⛔ ওহাবীদের ইমাম ও শায়েখ আল্লামা গুমারী তার কিতাবে বলেন: “ইমাম সুয়ূতী (রহঃ) তার "খাছায়েছুল কুবরা" কিতাবে "মুছান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক" এর রেফারেন্সে হাদিস খানা বর্ণনা করেছেন। ★ ইরশাদুত তালেবীন নজীব ইলা মা ফিল মাওলিদিন নাববী মিনাল আকাজিব। ★ হাদিসের নামে জালিয়াতী পৃষ্টা নং ৩২৮ তেও তা স্বীকার করা হয়েছে। কিন্তু অতীব আফছুছের বিষয় হল, বর্তমানে সেই '‘খাছায়েদুল কুবরা" কিতাব থেকেও এই হাদিসখানা বাদ করে দিয়েছে। আল্লাহ পাক সব সত্যের পিছনে তার প্রমাণ রেখে দেন। যেমন ভড ছালাফীদের অনুচর শায়েখ আব্দুল্লাহ গুমারী' তার কিতাবে ‘খাছাইছুল কুবরায় এই হাদিস থাকার কথাটি স্বীকার করেছেন।
________________________________
The Proof of existing this Hadith in Musannaf : মুসান্নাফ কিতাবে এই হাদিস আছে এবং ছিল তার প্রমাণ :
⛔ ইমাম বায়হাকী (রহঃ) [Born : 384 AH/994 CE Died : 458 AH/1066 CE] এই জগৎবিখ্যত মুহাদ্দিস ইমাম, আল্লামা বায়হাক্বী রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার কিতাবে বর্ননা করেন– ان الله تعالي خلق قبل الاشياء نور نبيك “….. নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক সর্ব প্রথম উনার হাবিব (ﷺ) এর “নূর” মুবারক সৃষ্টি করেন।” ★ দালায়েলুন নবুওয়াত লিল বায়হাক্বী ১৩ তম খন্ড ৬৩ পৃষ্ঠা।
উক্ত হাদিস সম্পর্কে সমর্থনকারী Islamic Scholars দের বিবৃতি দ্বারা উপরোক্ত সনদ এবং হাদিসের মান নির্নয় করি :-
⛔ শাইখ আব্দুল কাদির জিলানী (রহঃ) [পিরে পিরানী,মিরে মিরানী, গাউসে সামাদানী, মাহবুবে সুবহানী, গাউসুল আযম দস্তগীর (রহঃ), ওফাত ৫৬১ হিজরি] তিনি তার বিখ্যাত [Sirr al-asrar fi ma yahtaju ilayh al-abrar (p. 12-14 of the Lahore edition)] কিতাবে বলেন, আমি (রাসুল) আল্লাহর (নুর) থেকে সৃষ্টি আর আমার (নুর) থেকে সমস্ত বিশ্বাসীগন (ও সমস্ত কিছু) সৃষ্টি। তিনি আরো বলেন, রাসুল (ﷺ) এর নুর থেকে আল্লাহর আরশ সৃষ্টি এবং এমন আরো কিছু (প্রথম) সৃষ্টি যেমন কলম, বুদ্ধিমত্তা [The Secret of Secrets]
⛔ রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন : " আমি তোমাদের আমার পূর্বের কিছু কথা জানাবো! তা হলো - → আমি হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের দোয়া। → আর হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের ওনার জাতিকে দেয়া সুসংবাদ ও → আমার আন্মাজানের (স্বপ্নে) দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বেরিয়ে শাম দেশের প্রাসাদ সমুহকে আলোকিত করেছিল....।" Reference :- Book: Miskatul Masabih page: 513 Book: Kanjul Ummal Part: 11 Page: 173 From: Ibne Hibban Book: Shahih ibne hibban Volume: 9 Page: 106 From: Ibn al-Jawzi Book: al-Wafa' Page: 91, chapter: 21 of Bidayat nabiyyina sallallahu `alayhi wa sallam From: Imam Haythami Book: Majma` al-zawa'id (8:221/409) From: Al Haakim, Book: Al mustadrak, Volume :002, Page No. 615-616/ 705/724 References of Hadith number 4233 or V:3 page: 27 Imam Hakim after narrating it said: هذا حديث صحيح الإسناد شاهد للحديث الأول Translation: This Hadith has a Sahih chain and is also a witness over the first hadith (which he mentioned in the chapter) Reference ►Mustadrak ala Sahihayn, Volume 2, Page No. 600, Hadith No. 4175 From: Imam Ahamad Book: Musnade Ahamad volume: 4 page: 127 Hadith: 16701 From : Ibn e Sa'd Book : Tabqaat Al Kubra Volume : 1 Page : 150 From : Bayhaqi Book : Dalaeel un Nubuwwah Volume : 1 Page : 83 again 1:110 & 2:8 From : Ibn e 'Asakir Book : Tareekh Madeenat Damishq Volume/page : 1:170 and 3:393 From : Qurtabi Book : Jami' Al Ahkaam Al quran Volume : 2 Page : 131 From : Tabari Book : jami' Al Bayan Volume : 1 Page : 556 From : Ibn e Katheer Book : Tafseer Al Quran Al Azeem Volume : 4 Page : 360-361 From : Samarqani Book : Tafseer Volume : 3 Page : 421 From : Tabarai Book : Tareekh Al Umam wal Mulook Volume : 1 Page : 458 From : Ibn e Ishaaq Book : Seerat An Nabwiyyah Volume : 1 Page : 28 From : Ibn e Hisham Book : Seerat An Nabwiyyah Volume : 1 Page : 302 Book: Al-Bidaya wan Nehaya Volume : 2 page: 321 Book: Musnade Afzar Hadith: 2365 Book: Tafsire Dor're Monsor volume : 1 page: 334 Book: Maoware dul zamman volume:1 pagepage:512 From : Halabi Book : Seerat Al Halabiyyah Volume : 1 Page : 77 রাসুলুল্লাহ (ﷺ) সৃষ্টি না হলে কিছুই সৃষ্টি হত না তার মানে আগে সর্বপ্রথমে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) কে সৃষ্টি করেছেন তারপর অন্যসব :
⛔ হাদিস ১ : হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, যে "আল্লাহ পাক হযরত ইসা (আঃ) কে সম্বোধণ করে বলছেন, হে ইসা (আঃ)! যদি আমি মুহাম্মদ (ﷺ) কে সৃষ্টি না করতাম তাহলে আপনাকেও সৃষ্টি করতাম না। যদি ওনাকে (ﷺ) সৃষ্টি না করতাম জান্নাত-জাহান্নাম (কিছুই) সৃষ্টি করতাম না।" Reference ►Imam Hakim in Mustadrak ala Sahihayn, Volume No. 2, Page No. 609, Hadith No. 4227 ইমাম হাকিম (রহঃ) বলেন, هذا حديث صحيح الإسناد এই হাদিসের সনদ সহিহ।
⛔ Hadith 2: এই হাদিসটি আরো বিভিন্ন সনদে বর্ণিত আছেঃ → হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ), → আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ), → আব্দুল্লাহ বিন শাকীক (রাঃ), → উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হযরত মায়সারা আল ফজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ (ﷺ)! আপনে কখন থেকে নবী ছিলেন? রাসুলাল্লাহ (ﷺ) জবাব দিলেন, যখন আদম (আঃ) দেহ এবং রূহের মধ্যবর্তী ছিলেন।" [al-Albani, in Silsilat al-ahadith al-sahihah Volume 004, Page No. 471, Hadith Number 1856, Publish: al-Marif lin-Nashr Riyadh/Saudia]
⛔ Hadith 3 : আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত সাহাবীগন জিজ্ঞেস করলেন , ” ইয়া রাসুলুল্লাহ (ﷺ) আপনে কখন নবী ছিলেন? রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বললেন আমি তখনো নবী ছিলাম যখন আদম (আ) দেহ এবং আত্মার (রুহের) মধ্যবর্তী ছিলেন।”. All References of this narration: # 1 From : Tirmidhi in Sunan Book : Al Manaqib Chapter : Fadl An NABI SAW Volume : 5 Page : 585 Hadith number : 3609 # 2 From : Ahmad bin Hambal Book : Al Musnad Volume : 4, 5 page : 66, 59 Hadith number : 23620 # 3 From : Haakim Book : Al Mustadrak Volume : 2 Page : 666-665 Hadith number : 4210-4209 # 4 From : Ibn e Abi Shaibah Book : Al Musannaf Volume : 7 Page : 369 Hadith number : 36553 # 5 From : Tabrani Book : Ma’jam Al Ausath Volume : 4 Page : 272 Hadith number : 4175 # 6 From : Tabrani Book : Ma’jam Al Kabeer Volume : 12 Page : 92 Hadith number : 12571 # 7 From : Abu Nu’ym Book : Hilyat Al Auliya Volume : 7, 9 Page : 122, 53 # 8 From : Bukhari Book : Tareekh Al Kabeer Volume : 7 Page : 374 Hadith number : 1606 # 9 From : Khalal Book : As Sunnah Volume : 1 Page : 188 Hadith number : 200 And Its Chain is sound. # 10 From : Ibn e Abi ‘Asim Book : As Sunnah Volume : 1 Page : 179 Hadith number : 411 Its Chain is sound. # 11 From : Shaibaani Book : Ahaad wal mathani Volume : 5 Page : 347 Hadith number : 2918 # 12 From : Abdullah bin Ahmad bin Hambal Book : As Sunnah Volume : 2 Page : 398 Hadith number : 864 Its chain is Sound # 13 From : Ibn e Sa’d Book : Tabqaat Al Kubra Volume : 1,7 Page : 148, 60 # 14 From : Ibn e hibban Book : Thiaqqt Volume : 1 Page : 47 # 15 From : Ibn e Qani’ Book : Ma’jam As Sahaba Volume : 2, 3 Page : 127, 129 Hadith number : 591, 1103 # 16 From : Ibn e Khiyath Book : Tabqaat Volume : 1 Page : 59 & 125 # 17 From : Muqaddasi Book : Ahadith Al Mukhtarah Volume : 9 Page : 142,143 Hadith number : 123-124 # 18 From : Abu Almahasin Book : Mu’tasar Al Mukhtasar Volume : 1 Page : 10 # 19 From : Daylami Book : Musnad Al firdoos Volume : 3 Page : 284 Hadith number : 4845 # 20 From : Ibn e ‘Asakir Book : Tareekh e Damishq Al Kabeer Volume : 26, 45 Page : 382, 488-489 # 21 From : LialKalai Book : ‘Itiqaad Ahl Us Sunnah Volume : 4 Page : 753 Hadith number : 1403 # 22 From : Khateeb baghdadi Book : Tareekh e Baghdad Volume : 3 Page : 70 Hadith number : 1032 # 23 From : ‘Asqalani Book : Tahdeeb At tahdheeb Volume : 5 Page : 147 Hadith number : 290 # 24 From : Ibn e hajr ‘Asqalani Book : Al Asabah Volume : 6 Page : 239 # 25 From : Ibn e Hajr ‘Asqalani Book : Ta’jeel Al Munfi’ah Volume : 1 Page : 542 Hadith number : 1518 # 26 From : Ibn e ‘Abdul Barr Book : Al Isti’ab Volume : 4 Page : 1488 Hadith number : 2582 # 27 From : Zahabi Book : Sayyir Al ‘Alaam An Nubala Volume : 7, 11 Page : 384, 110 And he said, This hadith have Salih chain. # 28 From : Jalal ud Din Suyuti Book : khasais Al Kubra Volume : 1 Page : 18 # 29 From : Jalal ud Din Suyuti Book : Alhawi lil fatawa Volume : 2 Page : 100 # 30 From : Ibn e Katheer Book : Al Badayah wan nahayah Volume : 2 Page : 307, 320-321 # 31 From : Jarjaani Book : Tareekh e jarjaan Volume : 1 Page : 392 Hadith number : 653 # 32 From : Qastalani Book : Mawahib Al laduniya Volume : 1 Page : 60 # 33 From : Haithami Book : Majma’ Az Zawaid Volume : 8 Page : 122 # 34 From : Abu Sa’d An Neshaburi Book : Sharaf Al Mustafa Volume : 1 Page : 286 Hadith number : 75 ________________________________
⛔ Hadith 4: তাবলিগ জামাতের নেতা আশরাফ আলী থানভী তার বিখ্যাত কিতাব “নুশর আত ত্বীব” এ বর্ননা করেছেন যে — হযরত আলি বিন আল-হোসাইন [ ইমাম জয়নুল আবেদিন (রা) ] ওনার পিতা ইমাম হোসাইন (রা) থেকে তিনি ওনার পিতা হযরত আলি (রা) থেকে বর্ননা করেছেন যে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, "আমি আমার প্রভুর সামনে আদম (আ) সৃষ্টিরও প্রায় ১৪ হাজার বছর পুর্বে একটা নুর হিসেবে বিদ্যমান ছিলাম।" এমন অনেক ধরনের বর্ননা প্রমান করে যে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর নুর সর্বপ্রথমে (earliest) সৃষ্টি হয়েছিল, কিছু কিছু বর্ননা (মানে হাদিস) বলে যে লাওহ-কলম, পৃথিবী- আকাশ এমনকি সবকিছুর পুর্বে রাসুলুল্লাহ (ﷺ) এর নুর সৃষ্টি হয়েছিল। ⛔ উনার বিখ্যাত কিতাব “Nashr ut Teeb fi Dhikr il Nabbiyal Habeeb” এ হাদিস লিখেছেন। স্ক্যান কপিসহ দেখুনঃ http://salafiaqeedah.blogspot.com/2012/05/deobandi-fabrication-in-nashr-ut-teeb.html তাছাড়া এই উত্তর দেওবন্দের আন্তর্জাতিক website এর ফতোয়া দেখুন :- Question: 3126 >Is the Prophet peace be upon him’s nur the first thing to be created? Also, was it created before Adam alayhis salam’s? Answer: 3126 Jan 29,2008 (Fatwa: 903/876=D)
⛔ Hadith no 5 : حدثنا الحسن قثنا أحمد بن المقدام العجلي قثنا الفضيل بن عياض قثنا ثور بن يزيد عن خالد بن معدان عن زاذان عن سلمان قال سمعت حبيبي رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول كنت انا وعلي نورا بين يدي الله عز وجل قبل ان يخلق آدم بأربعة عشر ألف عام فلما خلق الله آدم قسم ذلك النور جزءين فجزء أنا وجزء علي عليه السلام হযরত সালমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি শুনেছেন যে প্রিয়নবী (ﷺ) বলেছেন, আদম (আঃ) সৃষ্টির ১৪ হাজার বছর পূর্বে আমি (ﷺ) এবং আলী (রাঃ) আল্লাহর সম্মুখে (বা নিকটে) একটা নূর হিসেবে বিদ্যমান ছিলাম।" Salman (ra) narrates that he heard the beloved Prophet (صلى الله عليه وسلم) say: I & Ali was a Nur (light) in front of Allah, some 14000 years before creation of Adam (as). When Allah created Adam, he deposited this light in Adam’s loins. We remained together as one light until we were separated in Abdul Muttalib’s loin. Thereafter, I was endowed with Prophethood and Ali with Caliphate. Reference ★ Imam Ahmed bin Hanbal in Fadhail as Sahaba, Volume No. 2,Page No. 663, Hadith No 1130 ★ Al Muhibb al Tabari narrates this tradition on the authority of Salman from the Prophet (pbuh&hp) in al Riyad al Nadirah, ii, 163: ★ Ahmad ibn Hanbal in al Fada’il; ★ Sibt ibn al Jawzi in Tadhkirat AlÂkhawass, 46; ★ Abu Hatim Muhammad ibn Idris al Razi in Zayn al Fata fi tafsir Surat Hal ata, MS. উক্ত হাদিস বিভিন্ন সনদে নিম্বলিখিত রাবীগন কর্তৃক বর্ণিতঃ 1. হযরত আলী ইবনে আবী তালিব (রাঃ) 2. হযরত ইমাম হাসান ইবনে আলী (রাঃ) 3. হযরত সালমান মুহাম্মদী (রাঃ) 4. হযরত আবু যর গিফারী (রাঃ) 5. হযরত জাবির বিন আব্দুল্লাহ আনসারী (রাঃ) 6. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) 7. হযরত আনাস বিন মালিক (রাঃ) 8. হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নুর সম্পর্কিত আরো কয়েকটি হাদিস যেগুলো জাল বানানোর অপচেষ্টা হচ্ছেঃ
প্রমাণিত হাদিস জাল বানানোর অপচেষ্টা ১ :
⛔ Hadith no 1 : প্রথম সুত্র ® ইমাম আবু নুইম ইস্পাহানী (রহ) [৩৩৬-৪৩০ হি:] সংকলন করেছেন, হযরত আবু হুরায়রা (রা) সুত্রে বর্নিত, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেন নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমাকে তার নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন, আবু বকর (রা) কে আমার নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন, উমর (রা) কে আবু বকরের নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং আমার সমস্ত উম্মতকে উমরের নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর উমর হল জান্নাতবাসীদের প্রদীপস্বরুপ। Reference : ★ ইমাম আবু নুইম ইস্পাহানী : তার "আমলিয়্যাহ" কিতাবে সুত্র সম্পর্কে commandation: ★ ইমাম যাহাবী : মিযানুল ই'তিদাল : ১/১৯০ পৃ: রাবী নং ৮০৯ এ তিনি উক্ত হাদিসের একজন রাবী ""আহমদ ইবনে ইউসুফ আল-মানযীবী""সম্পর্কে বলেছেন, তার ব্যাপারে আমি পরিচিত নই"। ★ ইবনে হাজর আসকালানী : লিসানুল মিযান ১/৩৬২পৃ: তিনিও ইমাম যাহাবীর কথামত বলেন, তার ব্যাপারে আমি পরিচিত নই। Note: ১ জন রাবী অপরিচিত তাই হাদিস দুর্বল বা দ্বয়ীফ কিন্তু কেউ জাল বলেন নি।
⛔ Hadith no 2: দ্বিতীয় সুত্র : ® ইমাম ছালাভী (রহ) [ওফাত ৪২৭] তার "তফসীরে ছালাভীতে " হাদিসটির সনদসহ বর্ননা করেছেন: আমাকে অর্থাৎ ইমাম ছালাভী (রহ) কে সংবাদ দিয়েছেন | আবু উসমান (রহ) | তিনি তাবেয়ী হযরত সাবিত (রহ) হতে, | তিনি হযরত আনাস (রা) হতে বলেন, | আর তিনি রাসুলুল্লাহ (ﷺ) হতে যে, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমাকে তার নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন, আবু বকর (রা) কে আমার নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন, উমর (রা) ও আয়েশা (রা) কে আবু বকরের নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন। সমস্ত মুমিনদেরকে উমরের নুর থেকে আর সমস্ত মু'মিন নারীগনকে হযরত আয়েশা (রা) এর নুর থেকে সৃষ্টি করেছেন। Reference : ★ ইমাম ছালাভী : তফসীরে ছালাভী : ৭/১১১ পৃ: সুরা নুর : আয়াত ৩৯ ★ইমাম কুরতুবী : তফসীরে কুরতুবী : ১২/২৮৬ পৃ: সুরা নুর : ৩৯ নং আয়াত ★ ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ুতী : আল-লাআতিল মাসনু : ১/১৫০ পৃ: ও ১/৩২০ পৃ: ★ ইমাম দায়লামী : আল-মুসনাদিল ফেরদাউস : ১/১৭১ পৃ: হাদিস ৬৪০ ★ ইবনুল ইরাক : তানযীহুশ-শরীয়্যাহ : ১/৩৫১ পৃ:
⛔ Hadith no 3 : তৃতীয় সুত্র : ® ইমাম দায়লামী (রহ) [ওফাত ৫০৯ হি] তিনি অনুরুপ আরেক সনদ বর্ননা করেছেন। Reference : ★ ইমাম দায়লামী : আল-মুসনাদিল ফেরদাউস : ১/১৭১ পৃ: হাদিস ৬৪০ Note: উপরোক্ত হাদিসটির বিভিন্ন সনদ এসেছে কয়েকজন সাহাবী থেকে যার কারনে দুর্বল সনদ ছাড়াও আরো সনদ রয়েছে। তাই সামগ্রিকভাবে হাদিসটি হাসান বা গ্রহনযোগ্য।
প্রমাণিত হাদিস জাল বানানোর অপচেষ্টা ২ :
""রসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দাত মোবারক থেকে নুর নি:সৃত হত"" বিস্তারিত এখানেঃ ⛔ http://goo.gl/Cv37kT সংকলকঃ (মাসুম বিল্লাহ সানি) [উক্ত পোস্টটি মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ বাহাদুর লিখিত (প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন কিতাব থেকে নেয়া] এ সম্পর্কিত সহিহ হাদিসকে ওহাব, সালাফী- আহলে হাদিস দের দ্বারা জাল বানানোর অপচেষ্টা ও উক্ত জঘন্য বক্তব্যের জবাব :
⛔ দলীল নং-১ “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বলেন, রাসুল (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সামনের দন্ত মোবারক প্রশস্ত ছিল।যখন তিনি কথা বলতেন তখন তাঁর দন্ত সমূহ থেকে নূর(আলো) বের হত। Reference : ★ ইমাম বায়হাকীঃ দালায়েলুন নবুয়তঃ১/২১৫পৃঃ ★ ইমাম তিরমিযিঃ শামায়েলে তিরমিযিঃ১২পৃঃ,হাদিস নং-১৪ ★ ইমাম বাগভীঃ শরহে সুন্নাহঃ১৩/২২৩পৃঃ,হাদিসঃ৩৬৪৪ ★ খতিব তিবরিযিঃ মিশকাতুল মাসাবিহঃ৪/৫১৮পৃঃ,হাদিসঃ৫৭৯৭ ★ ইমাম দারেমীঃ আস সুনানঃ১/২০৩পৃঃ,হাদিসঃ৫৯ ★ ইমাম সৈয়ুতিঃ খাসায়েসুল কোবরাঃ১/১১১পৃঃ,হাদিসঃ২৮৪ ★ ইমাম আবদুর রাজ্জাকঃ আল মুসান্নাফঃ১১/২৬০পৃঃ ★ ইমাম নাবহানীঃ হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিনঃ৬৬৩পৃঃ ★ ইবনে আসাকিরঃ তারিখে দামেস্কঃ২/৫৭পৃঃ ★ ইবনে হাজর হায়তামীঃ মাযমাউদ যাওয়াইদঃ৮/২৭৯পৃঃ ★ ইমাম তাবরানিঃ মু’জামুল আওসাতঃহাদিস নং-৩৫৬৩ ★ ইবনে কাসিরঃ আল বেদায়া ওয়ান নেহায়াঃ৬/২৫পৃঃ ★ ইমাম তাবরানিঃ মু’জামুল কবীরঃ১১/৪১৬পৃঃ হাদিসঃ১২১৮১ ★ উমর ইবনে শাবাহ(ওফাত ২৬২হিঃ) :তারিখে মদীনাঃ২/৬১০পৃঃ ★ যিয়া মোকাদ্দাসীঃ আহাদিসুল মুখতারঃ১৩/৪৮পৃঃ হাদিসঃ৭০-৭১
⛔ সনদ পর্যালোচনাঃ এ হাদিসটি এ সাহাবী হতে দুইটি সূত্রে বর্ণিত আছে।তাবরানির সংকলিত সনদের একজন রাবীর ব্যাপারে হাইতামী তাঁর মাযমাউদ যাওয়াইদ গ্রন্থে বলেনঃ “হাদিসটি তাবরানী বর্ণনা করেছেন, আর সনদে ‘ আবদুল আজিজ বিন আবি সাবিত’ রাবী রয়েছেন আর তিনি দুর্বল।” ★ইবনে হাজর হাইতামীঃমাযমাউয যাওয়াইদঃ৮/২৭৯পৃঃ,হাদিসঃ১৪০৩১ ★ইমাম বায়হাকীঃদালায়েলুন নবুয়তঃ২/১৪৮পৃঃ কিন্তু সুনানে দারেমী,শামায়েলে তিরমিযি, উমর ইবনে শাবাহ তার তারিখে মদীনায়, যিয়া মোকাদ্দাসীর গ্রন্থে এ রাবী নেই।তাই সনদটি প্রথম সূত্রে দ্বঈফ হলেও দ্বিতীয় অন্য সূত্রে সহীহ।
⛔ দলীল নং-২ “হযরত আবু কিরসাপা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেন,আমি ও আমার মা এবং আমার খালা রাসুল (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর নিকট বায়াত গ্রহন করলাম।অতঃপর আমরা যখন ফিরে আসলাম তখন আমার মা ও খালা আমাকে বললেন হে প্রিয় ছেলে! আমরা রাসুল (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর মত সুশ্রী,সুভাষী ও নম্রভাষী কাউকে দেখিনি।যখন তিনি কথা বলতেন তখন আমরা তাঁর পবিত্র মুখ মোবারক থেকে নূর বের হতে দেখতাম। Reference : ★ইমাম সৈয়ুতিঃখাসায়েসুল কোবরাঃ১/১১১পৃঃ,হাদিসঃ২৮৫ ★ইবনে হাজর হাইতামীঃমাযমাউয যাওয়াইদঃ৮/২৭৯পৃঃ,হাদিসঃ১৪০৩২ ★ইমাম নাবহানীঃহুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিনঃ৬৬৩পৃঃ ★ইমাম তাবরানীঃমু’জামুল কবীরঃ৩/১৮পৃঃ,হাদিসঃ২৫১৮
⛔ দলীল নং-৩ হযরত আবু হুরায়রা(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, ” নবী করীম (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন হাসতেন,তখন পবিত্র দাঁত সমুহ থেকে নূর বের হত, যা দ্বারা দেয়াল আলোকিত হয়ে যেত। Reference : ★ইমাম সৈয়ুতিঃখাসায়েসুল কোবরাঃ১/১৩৬পৃঃ,হাদিসঃ৪০০ ★ইমাম বায়হাকীঃদালায়েলুন নবুয়তঃ২/১৪৮পৃঃ ★ইবনে হাজর হাইতামীঃমাযমাউয যাওয়াইদঃ৮/২৭৯পৃঃ ★মোল্লা আলী ক্বারীঃজামিউল ওয়াসায়েলঃ২/১৫পৃঃ ★ ইমাম হালবীঃ সিরাতে হালবিয়্যাহঃ৩/৪৬৮পৃঃ
⛔ দলীল নং-৪ হযরত আবু হুরায়রা(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলে আকরাম (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর দাঁড়ি মোবারক কাল এবং সামনের দাঁত মোবারক অত্যন্ত আলোকময় ও সুন্দর ছিল। Reference : ★দালায়েলুন নবুয়তঃ১/১২৭পৃঃ ★খাসায়েসুল কোবরাঃ১/১৩৪পৃঃ হাদিসঃ৩৮৭ ★বুখারীঃআদাবুল মুফরাদাতঃ১/৩৯৫পৃঃ,হাদিসঃ১১৫ ★সিরাতে হালবিয়্যাহঃ৩/৪৬৮পৃঃ
⛔ দলীল নং-৫ হযরত হাসান(রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন “রাসুল (সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন রাগান্বিত হতেন মুখ মোবারক ফিরিয়ে নিতেন এবং মন সংকুচিত হয়ে যেত বলে মনে হত।আনন্দিত হলে দৃষ্টি ঝুঁকিয়ে নিতেন, তাঁর বরকতময় হাসি ছিল মুচকি হাঁসি।হাঁসির সময় দাঁত থেকে শিলার মত নূর বের হত বা ঝলমল করত।” Reference : ★খাসায়েসুল কোবরাঃ১/১৩৯পৃঃহাদিসঃ৪১৪ ★মাযমাউদ যাওয়াইদঃ৮/২৭৮পৃঃ ★শামায়েলে তিরমিযিঃ১/১৩৫পৃঃ,হাদিসঃ২১৬ ★দালায়েলুন নবুয়তঃ১/২৮৮পৃঃ ★শুয়াবুল ঈমানঃ৩/২৪পৃঃ,হাদিসঃ১৩৬২ ★বাগভী,শরহুস সুন্নাহঃ১৩/২৭২পৃঃ ★আর রাহিকুল মাখতুমঃ১/৪৪৬পৃঃ