نحمده و نصلى على رسوله الكريم أما بعد
আমাদের সমাজে বহু জায়গায় মানুষ মনে করে থাকেন যে, পশু জবাই করা শুধু পুরুষের জন্যই জায়েজ, মহিলারা পশু জবাই করতে পারবে না। কোন ক্ষেত্রে যদি কোন মহিলা পশু জবাই করে তাহলে সেই মাংস টি খাওয়া আমাদের সমাজে অপছন্দনীয় মনে করা হয়। কিন্তু শরীয়তের দৃষ্টিতে পশু জবাই করা যেভাবে পুরুষের জন্য জায়েজ ও বৈধ তেমনি মহিলাদের জন্যও জায়েজ ও বৈধ এবং মহিলাদের জবাইকৃত পশুর মাংস পুরোপুরি হালাল। যা নিম্নের হাদিস দ্বারা স্পষ্টভাবেই প্রতীয়মান হয়,
ﻋﻦ اﺑﻦ ﻛﻌﺐ ﺑﻦ ﻣﺎﻟﻚ، ﻋﻦ ﺃﺑﻴﻪ: ﺃﻥ اﻣﺮﺃﺓ ﺫﺑﺤﺖ ﺷﺎﺓ ﺑﺤﺠﺮ، «ﻓﺴﺌﻞ اﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺫﻟﻚ ﻓﺄﻣﺮ ﺑﺄﻛﻠﻬﺎ
হযরত কা’ব ইবনু মালিক রাদীয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, এক নারী পাথরের সাহায্যে একটি বক্রী যবহ্ করেছিল। এ ব্যাপারে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি সেটি খাওয়ার নির্দেশ দেন।
{{ সহীহ বুখারী হাদিস নং ৫৫০৪,,
মুসনাদ আহমাদ হাদিস নং-27168,,
সুনান ইবনে মাজাহ হাদিস নং-«3303 }}
عَنْ مُعَاذِ بْنِ سَعْدٍ- أَوْ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ- أَخْبَرَهُ أَنَّ جَارِيَةً لِكَعْبِ بْنِ مَالِكٍ كَانَتْ تَرْعَى غَنَمًا بِسَلْعٍ، فَأُصِيبَتْ شَاةٌ مِنْهَا، فَأَدْرَكَتْهَا فَذَبَحَتْهَا بِحَجَرٍ، فَسُئِلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: ((كُلُوهَا)).
হযরত মু‘আয ইবনু সা‘দ কিংবা সা‘দা ইবনু মু‘আয রাদীয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, কা‘ব ইবনু মালিক -এর একটি দাসী ‘সালা’ পর্বতে বক্রী চরাত। বক্রীগুলোর মধ্যে একটিকে মরার উপক্রম দেখে সে একটি পাথর দ্বারা সেটিকে যবহ্ করল। এ ব্যাপারে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞেস করা হল। তিনি বললেনঃ সেটি খাও।
{{ সহীহ বুখারী হাদিস নং-৫৫০৫ }}
বুখারী শরীফের প্রখ্যাত ভাষ্যকার আল্লামা বাদরুদ্দীন আইনী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি “বুখারী শরীফ”এর এক হাদিসের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এরশাদ করেন,
ﻭﻓﻴﻪ: ﺩﻟﻴﻞ ﻋﻠﻰ ﺇﺟﺎﺯﺓ ﺫﺑﻴﺤﺔ اﻟﻤﺮﺃﺓ ﺑﻐﻴﺮ ﺿﺮﻭﺭﺓ ﺇﺫا ﺃﺣﺴﻨﺖ اﻟﺬﺑﺢ، ﻭﻛﺬا اﻟﺼﺒﻲ ﺇﺫا ﻃﺎﻗﻪ، ﻗﺎﻟﻪ اﺑﻦ ﻋﺒﺪ اﻟﺒﺮ، ﻭﻫﻮ ﻗﻮﻝ ﺃﺑﻲ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﻭﻣﺎﻟﻚ ﻭاﻟﺸﺎﻓﻌﻲ ﻭاﻟﺜﻮﺭﻱ ﻭاﻟﻠﻴﺚ ﻭﺃﺣﻤﺪ ﻭﺇﺳﺤﺎﻕ ﻭﺃﺑﻲ ﺛﻮﺭ ﻭاﻟﺤﺴﻦ اﺑﻦ ﺣﻲ،
অর্থাৎ এই হাদিসের মধ্যে দলিল বিদ্যমান যে, বিনা প্রয়োজনেও মহিলাদের যবহ্ জায়েজ যদি সে সঠিকভাবে জবাই করতে পারে। তেমনি বাচ্চাদেরও জবাইকৃত পশু হালাল যদি সে তার শক্তি রাখে। এই মন্তব্যটি করেছেন ইমাম ইবনু আব্দুল বার। তাছাড়া এটাই মত পোষণ করেছেন ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম সুফিয়ান সাওরী, ইমাম লাইস, ইমাম আহমদ বিন হাম্বাল, ইমাম ইসহাক, ইমাম আবু সাউর, ইমাম হাসান বিন হাই রাদিয়াল্লাহু আনহুম।
{{ উমদাতুল কারী খন্ড-12 পৃষ্ঠা-133 }}
وما توفيقي الا بالله عز و جل