যে পীর গায়ের-মাহরাম নারীদের পর্দা কে আবশ্যিক মনে করে না তার হাতে বাইয়াত গ্রহণ করা গুনাহ।
بسم الله الرحمن الرحيم
نحمده و نصلي على رسوله الكريم
গায়ের-মাহরাম মহিলাদের ক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যাক্তিদের থেকে যেভাবে পর্দা করা আবশ্যিক ও অনিবার্য বিষয় তেমনি পীর ও দরবেশ গণের থেকেও পর্দা করা জরুরি ও আবশ্যিক বিষয়।
অতএব যদি কোন পীর সাহেব গায়ের-মাহরাম মহিলাদের জন্য পর্দাকে জরুরী না মনে করে তাহলে সে গুনাহগার ও শরীয়ত পরিপন্থী পীর বলে গণ্য হবে। এবং শরীয়ত পরিপন্থী কোন পীরের কাছে মুরিদ হওয়া জায়েয নয়।
যেমন আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা মুহাদ্দিসে বেরেলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
پیر سے پردہ واجب ہے جبکہ محرم نہ ہو
পীর থেকে পর্দা করা ওয়াজিব যদি সেই মহিলা মাহরাম না হয়।
{{ আহকামে শরীয়ত খন্ড 2 পৃষ্ঠা 201 }}
আর পীরের পর্দা বিহীন মহিলাদের কে বসিয়ে হালকা ও চিল্লা করানো প্রসঙ্গে তিনি এরশাদ করেন,
یہ صورت محض خلاف شرع وخلاف حیا ہے ایسے پیر سے بیعت نہ چاہیئے
এটা শরীয়ত পরিপন্থী ও লজ্জা পরিপন্থী কর্ম।এমন পীরের কাছে বাইয়াত গ্রহণ করা উচিত নয়।
{{ আহকামে শরীয়ত খন্ড 2 পৃষ্ঠা 201 }}
এবং ফাকীহে মিল্লাত আল্লামা জালালুদ্দিন আমজাদি আলাইহির রহমান এরশাদ করেন-
ایساپیر جاہل نہیں توگمراہ ہے اور گمراہ نہیں توجاہل ہے اس کے پیچھے نماز پڑھنا اور اس سے مرید ہونا جائز نہیں
অর্থাৎ! এমন পীর হয়তো জাহিল নচেৎ গুমরাহ। হয়তো গুমরাহ নচেৎ মূর্খ। তার পিছনে নামাজ আদায় করা এবং তার কাছে মুরিদ হওয়া জায়েয নয়।
{{ ফাতওয়া ফাইজুর রাসূল খন্ড-2 পৃষ্ঠা-529 }}
এসমস্ত ভন্ড ও মূর্খ পীর থেকে মহিলাদের দূরে থাকা জরুরী।
হ্যাঁ যদি কোন শরীয়ত সম্মত পীর থাকেন তাহলে, প্রয়োজনে তার কাছে পর্দার সহিত যেতে পারে।