বিবাহের ফজিলত ও গুরুত্ব এবং সমাজে জেনা বৃদ্ধির কারণ।
بسم الله الرحمن الرحيم
نحمده و نصلى على رسوله الكريم أما بعد-
قال الله تبارك وتعالى فى القران المجيد-
“فَانۡکِحُوۡا مَا طَابَ لَکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ مَثۡنٰی وَ ثُلٰثَ وَ رُبٰعَ ۚ فَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تَعۡدِلُوۡا فَوَاحِدَۃً اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَدۡنٰۤی اَلَّا تَعُوۡلُوۡا
প্রিয় মুসলিম সমাজ! মুসলিম হওয়ার অর্থ হলো, আল্লাহ তাআলা ও তাঁর প্রিয়তম রাসূল সাল্লাল্লাহু ইসলামের সমস্ত বিষয়ে আনুগত্য করা এবং তাঁদের নির্দেশাবলী জীবনে বাস্তবায়ন করা। আল্লাহ তাবারক তালা ও তার প্রিয়তম হাবিব আমাদের যে সমস্ত নির্দেশ দিয়েছেন তন্মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য করণীয় নির্দেশ হলো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও বিবাহকে পরিত্যাগ করা অথবা চিরকুমার থাকা একটি গুনাহের কাজ। তাই যে সমস্ত যুবক বিয়ের উপযুক্ত ও বিয়ের সামর্থ্য রাখে তাদের অতিসত্বর কোন উপযুক্ত ধর্মপরায়ণা নেককার নারী কে বিবাহ করে নেওয়া উচিত।
উক্ত প্রসঙ্গে কোরআন ও সুন্নাহের কিছু বাণী নিম্নে প্রদত্ত হলো-
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
“فَانۡکِحُوۡا مَا طَابَ لَکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ مَثۡنٰی وَ ثُلٰثَ وَ رُبٰعَ ۚ فَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تَعۡدِلُوۡا فَوَاحِدَۃً اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَدۡنٰۤی اَلَّا تَعُوۡلُوۡا ؕ
অনুবাদ:-তবে বিবাহ করে নাও যেসব নারী তোমাদের ভালো লাগে- দুই দুই, তিন তিন, চার চার। অতঃপর যদি তোমরা আশংকা করো যে, দু’জন স্ত্রীকে সমানভাবে রাখতে পারবে না, তবে একজনকেই করো অথবা দাসীদেরকে, যাদের তোমরা অধিকারী হও। এটা এরই অধিক নিকট যে, তোমাদের দ্বারা অত্যাচার হবে না।
{{ সূরা নিসা আয়াত নং-3 }}
আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র ইরশাদ করেন-
وَلَقَدْ أَرْسَلْنَا رُسُلًا مِنْ قَبْلِكَ وَجَعَلْنَا لَهُمْ أَزْوَاجًا وَذُرِّيَّةً
অনুবাদ:- আর আমি আপনার পূর্বেও অনেক রাসূল প্রেরণ করেছিলাম এবং তাদেরকে স্ত্রী ও সন্তান-সন্তুতি দিয়ে ছিলাম।
{{ সূরা আর-রা’দঃ ৩৮ }}
এছাড়া বিবাহ সংক্রান্ত নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বহু হাদিস বিদ্যমান তন্মধ্যে কিছু নিম্নে প্রদত্ত হলো
عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ أَرْبَعٌ مِنْ سُنَنِ الْمُرْسَلِينَ الْحَيَاءُ وَالتَّعَطُّرُ وَالسِّوَاكُ وَالنِّكَاحُ ” .وَقَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي أَيُّوبَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ
অর্থাৎ! আবূ আয়ুব আল-আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ চারটি জিনিস নাবীদের চিরাচরিত সুন্নাত। লজ্জা-শরম, সুগন্ধি ব্যবহার, মিসওয়াক করা এবং বিয়ে করা।
(ইমাম তিরমিজি হাদিস টিকে হাসান বলে আখ্যায়িত করেছেন)
{{ সুনানে তিরমিযী হাদীস নং-1101 }}
{{ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদিস নং-1802}
{{ মুসনাদে আহমদ হাদিস নং-23581 }}
{{ মু’জামি কবীর তাবরানী হাদিস নং-4085 }}
{{ শুয়াবুল ঈমান হাদিস নং-7322 }}
{{ আত-তারগীব মুনযিরী হাদিস নং-2942 }}
{{ মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক হাদিস নং-10390 }}
أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يَقُولُ جَاءَ ثَلاَثَةُ رَهْطٍ إِلَى بُيُوتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَسْأَلُونَ عَنْ عِبَادَةِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمَّا أُخْبِرُوا كَأَنَّهُمْ تَقَالُّوهَا فَقَالُوا وَأَيْنَ نَحْنُ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ. قَالَ أَحَدُهُمْ أَمَّا أَنَا فَإِنِّي أُصَلِّي اللَّيْلَ أَبَدًا.
وَقَالَ آخَرُ أَنَا أَصُومُ الدَّهْرَ وَلاَ أُفْطِرُ.
وَقَالَ آخَرُ أَنَا أَعْتَزِلُ النِّسَاءَ فَلاَ أَتَزَوَّجُ أَبَدًا. فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: ((أَنْتُمُ الَّذِينَ قُلْتُمْ كَذَا وَكَذَا أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لأَخْشَاكُمْ لِلَّهِ وَأَتْقَاكُمْ لَهُ، لَكِنِّي أَصُومُ وَأُفْطِرُ، وَأُصَلِّي وَأَرْقُدُ وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ، فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي)).
অর্থাৎ! আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিন জনের একটি দল নাবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ‘ইবাদাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীদের বাড়িতে আসল। যখন তাঁদেরকে এ সম্পর্কে জানানো হলো, তখন তারা ‘ইবাদাতের পরিমাণ কম মনে করল এবং বলল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সঙ্গে আমাদের তুলনা হতে পারে না। কারণ, তাঁর আগের ও পরের সকল (উম্মতের) গুনাহ্ ক্ষমা ক’রে দেয়া হয়েছে। এমন সময় তাদের মধ্য থেকে একজন বলল, আমি সারা জীবন রাতভর সালাত আদায় করতে থাকব। অপর একজন বলল, আমি সব সময় সওম পালন করব এবং কক্ষনো বাদ দিব না। অপরজন বলল, আমি নারী সংসর্গ ত্যাগ করব, কখনও বিয়ে করব না। এরপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের নিকট এলেন এবং বললেন, ‘‘তোমরা কি ঐ সব লোক যারা এমন এমন কথাবার্তা বলেছ? আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহ্কে তোমাদের চেয়ে বেশি ভয় করি এবং তোমাদের চেয়ে তাঁর প্রতি বেশি অনুগত; অথচ আমি রোজা পালন করি, আবার তা থেকে বিরতও থাকি। নামাজ আদায় করি এবং নিদ্রা যাই ও মেয়েদেরকে বিয়েও করি। সুতরাং যারা আমার সুন্নাতের প্রতি বিরাগ পোষণ করবে, তারা আমার দলভুক্ত নয়।
{{ সহীহ বুখারি হাদিস নং-5063 }}
{{ সুনানে নাসাঈ হাদিস নং-3230 }}
{{ সহীহ মুসলিম হাদিস নং-«3469 }}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ((يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ)).
অর্থাৎ! রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যার বিবাহ করার সামর্থ্য আছে, সে যেন বিবাহ করে। কেননা তা দৃষ্টিশক্তিকে সংযতকারী এবং লজ্জাস্থানের হেফাজতকারী। আর যার এ সামর্থ্য নেই, সে যেন রোযা রাখে। কেননা এটি তার জন্য জৈবিক উত্তেজনা প্রশমনকারী।
{{ সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নং-1918}}
{{ সহীহ বুখারী হাদিস নং-«5066»}}
{{ সুনানে তিরমিজি হাদিস নং-1103 }}
{{ সুনানে দারেমী হাদিস নং-২২০৪ }}
{{ সুনানে নাসাঈ হাদিস নং-3222 }}
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ((النِّكَاحُ مِنْ سُنَّتِي فَمَنْ لَمْ يَعْمَلْ بِسُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي وَتَزَوَّجُوا فَإِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمُ الأُمَمَ وَمَنْ كَانَ ذَا طَوْلٍ فَلْيَنْكِحْ وَمَنْ لَمْ يَجِدْ فَعَلَيْهِ بِالصِّيَامِ فَإِنَّ الصَّوْمَ لَهُ وِجَاءٌ))
অর্থাৎ! আয়িশাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিবাহ করা আমার সুন্নাত। যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত মোতাবেক কাজ করলো না সে আমার নয়। তোমরা বিবাহ করো, কেননা আমি তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে অন্যান্য উম্মাতের সামনে গর্ব করবো। অতএব যার সামর্থ্য আছে সে যেন বিবাহ করে এবং যার সামর্থ্য নেই সে যেন রোযা রাখে। কারণ রোযা তার জন্য জৈবিক উত্তেজনা প্রশমনকারী।
{{সোনান ইবনে মাজাহ হাদিস নং-1919 }}
{{ মুস্নাদুল ফিরদাউস হাদিস নং-6920 }}
{{তাফসীরে কুরতুবী খন্ড-4 পৃষ্ঠা-72 }}
{{ তালখীসুল হাবীর হাদিস নং-1435 }}
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ نَرَ لِلْمُتَحَابَّيْنِ مِثْلَ النِّكَاحِ
অর্থাৎ,! ইবনু ‘আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দু’জনের পারস্পরিক ভালোবাসা স্থাপনের জন্য বিবাহের বিকল্প নেই।
{{সোনান ইবনে মাজাহ হাদিস নং-1920 }}
{{ মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক হাদিস নং-10377 }}
{{ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদিস নং-15915 }}
{{ মুসনাদুল বাজ্জার হাদিস নং-4856 }}
{{ মু’জামে আওসাত হাদিস নং-3153 }}
{{ মুস্তাদরাক হাকিম হাদিস নং-2677 }}
عَنْ عَلْقَمَةَ قَالَ كُنْتُ مَعَ ابْنِ مَسْعُودٍ وَهُوَ عِنْدَ عُثْمَانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَالَ عُثْمَانُ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى فِتْيَةٍ قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ فَلَمْ أَفْهَمْ فِتْيَةً كَمَا أَرَدْتُ فَقَالَ مَنْ كَانَ مِنْكُمْ ذَا طَوْلٍ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَا فَالصَّوْمُ لَهُ وِجَاءٌ
অথাৎ! আলকামা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সঙ্গে উসমান রাদিয়াল্লাহু-এর নিকট ছিলাম। তখন উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন- অর্থাৎ কয়েকজন যুবকদের নিকট। আবূ আব্দুর রহমান বলেন, আমি দ্বারা কাদের বুঝানো হয়েছে, তা বুঝতে পারি নি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ধনবান হয়, সে যেন বিবাহ করে। কেননা, তা চক্ষু সংযত করে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। আর যে ব্যক্তি ধনবান না হয়, তার রোযা তার কামভাবের নিয়ন্ত্রক।
{{ সুনানে নাসাঈ হাদিস নং-3219 }}
عَنْ أَبِي نَجِيحٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَدَرَ عَلَى أَنْ يَنْكِحَ فَلَمْ يَنْكِحْ فَلَيْسَ مِنَّا
অর্থাৎ! আবী নাজীহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি বিবাহ করার সামর্থ থাকা সত্ত্বেও বিবাহ করেনা, সে আমাদের দলভূক্ত নয়।
{{ সুনানে দারেমী হাদিস নং-2210 }}
{{ মুসনাদুল হারিস হাদিস নং-482 }}
-ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻧﺠﻴﺢ ﺭﺿﻲ اﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ اﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻣﻦ ﻛﺎﻥ ﻣﻮﺳﺮا ﻻﻥ ﻳﻨﻜﺢ ﺛﻢ ﻟﻢ ﻳﻨﻜﺢ ﻓﻠﻴﺲ ﻣﻨﻲ
ﺭﻭاﻩ اﻟﻄﺒﺮاﻧﻲ ﺑﺈﺳﻨﺎﺩ ﺣﺴﻦ
অর্থাৎ! হযরত আবু নাজিহ রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি বিবাহ করার সামর্থ্য রাখে অথচ বিবাহ করে না সে আমার দলভুক্ত নয়।
(হাদীসটি ইমাম তাবরানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি আসান সত্যেরে বর্ণনা করেছেন)
{{ মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা হাদিস নং-1590}
{{ আত-তারগীব মুনযিরী হাদিস নং-2952 }}
{{ সুনানে কুবরা বাইহাকী হাদিস নং-13455 }}
{{ শুয়াবুল ঈমান হাদিস নং-5095 }}
{{ কানযুল উম্মাল হাদিস নং-44462 }}
প্রিয় মুসলিম সমাজ! উপরোক্ত কোরআন শরীফের আয়াত গুলি ও হাদিস সমূহ হতে কয়েকটি বিষয় আমাদের সম্মুখে সুস্পষ্ট হয়ে যায় যথা-
১’বিবাহ করা আল্লাহর নির্দেশ।
২, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু তারার ইসলাম সহ অন্যান্য নবীগণের সুন্নত হল এই বিবাহ।
৩, বিবাহের সামর্থ্য থাকলে অনতিবিলম্বে বিবাহ করে নেওয়া উচিত।
৪, বিবাহ দৃষ্টিশক্তি সংযতকারী ও লজ্জাস্থানের হেফাজতকারী। অর্থাৎ বিবাহ করলে মানুষ অন্যের প্রতি কুদৃষ্টিপাত ও ব্যভিচার থেকে বিরত থাকবে।
৫, দুজনের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা স্থাপনের ক্ষেত্রে বিবাহের বিকল্প নেই।
৬, বিবাহের সামর্থ থাকা সত্ত্বেও বিবাহ না করলে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু সালামের দলভুক্ত থাকেনা।
৭, নফল ইবাদতে মগ্ন থাকা অপেক্ষা বিবাহ করা অধিক উত্তম ও নেকির কাজ।
৮, যে ব্যক্তি বিবাহের সামর্থ্য রাখে না তার রোযা রাখা উচিত কারণ রোযা তার কামভাবের নিয়ন্ত্রক।
আল্লাহ তাআলা সমস্ত মুসলিম ভাই বোনদের কুরআনুল মাজীদ ও নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মহাবাণী হাদিস শরীফ মোতাবেক জীবন অতিবাহিত করার শক্তি প্রদান করুন !! আমিন বি-জাহে সাইয়েদিল মুরসালীন আলাইহিস্ব স্বালাম ও তাহলীল।
وما توفيقي الا بالله العلي العظيم