মাজার শরীফে চাদর দেওয়া নেকি না গুনাহ?
سم الله الرحمن الرحيم
نحمده تبارك و تعالى و نصلي على رسوله الكريم أما بعد-
قال الله عز و جل فى القران المجيد
“اِنَّ الۡمُبَذِّرِیۡنَ کَانُوۡۤا اِخۡوَانَ الشَّیٰطِیۡنِ ؕ وَ کَانَ الشَّیۡطٰنُ لِرَبِّہٖ کَفُوۡرًا “
সম্মানিত মুসলিম সমাজ! আমরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী, আউলিয়ায়ে কেরাম ও পীরানে এযাম দের মানি ও সম্মান করি। এবং তাদের ইন্তেকালের পর তাদের মাজার শরীফ জিয়ারত করা কে মুস্তাহাব মনে করি।
তাই বহু সুন্নি ব্যক্তিরা মাজার শরীফ জিয়ারত করতে যায়। মাজার জিয়ারতকারী ব্যক্তিরা মাজারে গিয়ে যে সমস্ত কাজ করেন, তন্মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য কাজ হল, মাজার শরীফের উপর চাদর চাপানো।
আজকে আমার আলোচনার বিষয় হল, মাজার শরীফে চাদর চাপানো নেকি না গুনাহ?
এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার পূর্বে আমাদেরকে জানতে হবে যে, মাজার শরীফে চাদর কেন চাপানো হয়?
আল্লামা শামী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি “ফাতাওয়া শামী” গ্রন্থে ও আলা-হাযরাত মুহাদ্দিসে বেরেলভী আলাইহির রহমাহ “আহকামে শরীয়ত” গ্রন্থে মাজারে চাদর চাপানোর কারণ উল্লেখ করেছেন। যার সারাংশ হল–
এক সময় মুসলমানদের কবর কে নিয়ে সাধারন ব্যক্তিদের ব্যবহার খারাপ হতে শুরু হয়। তারা কবরের কোন সম্মান রাখেনা, এমন কি কবরস্থানে গিয়ে না-জায়েজ কাজ করতে কোন অসুবিধা মনে করে না। বহু মানুষ কবরস্থানে গিয়ে জুয়া খেলা ও মদ্যপান এর মত হারাম ও নাজায়েজ কাজ পর্যন্তও করে থাকে। আমরা এমন বহু মানুষ দেখতে পাই যারা কবরের উপর পা দিতে কোন দ্বিধাবোধ করে না। কবরস্থানে গিয়ে হাসি-মাজাক, খেল-তামাশা ইত্যাদি কর্মসমূহ নির্দ্বিধায় করে যায়। এমনকি কিছু মানুষ কে কবরস্থানে পায়খানা পেশাব করতেও লক্ষ্য করা যায়। তাই বুযুর্গানে দ্বীন সাধারণ ব্যক্তিদের নজরে আউলিয়ায়ে কেরাম ও সালফে সালেহীন এর কবর সমূহের মর্যাদা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে মাজারে চাদর চাপানো কে জায়েজ বলেছেন, যাহাতে সাধারণ ব্যক্তিদের কবর ও আউলিয়ায়ে কেরাম ও সালফে সালেহীনের কবরের মধ্যে পার্থক্য হয় এবং কোন মানুষ যাতে এ সমস্ত মহান ব্যক্তিদের কবর সমূহের অসম্মান না করতে পারে।
ফাতাওয়া শামী খন্ড-৫ পৃষ্ঠা-৩১৯, আহকামে শরীয়ত পৃষ্ঠা-৮৭
উপরোক্ত আলোচনা হতে বুঝা যায় যে, মাজারে চাদর দেওয়ার প্রচলন পূর্বে ছিল না, আর না সরাসরি কোন হাদীস দ্বারা তা প্রমাণিত। তাই এটা সুন্নত, ফরয বা ওয়াজিব নয় তবে মুস্তাহ্সান বটে।
সম্মানিত মুসলিম সমাজ! ইমাম শামী ও ইমাম আহমদ রেযা রাহমাতুল্লাহি আলাইহিমার বক্তব্য থেকে আপনারা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছেন যে, আউলিয়ায়ে কেরামের মাজারে চাদর চাপানোর মূল উদ্দেশ্যই হলো, তাদের মাজারকে সাধারণ ব্যক্তিদের কবর থেকে পৃথক ও পার্থক্য করা ও সর্বসাধারণের নজরে তাদের মাজার শরীফের সম্মান ও মর্যাদা সুস্পষ্ট করা।
অতএব, মাজারে চাদর চাপানোর পূর্বে আপনাকে দেখতে হবে যে, আপনার এই চাদরের দ্বারা মূল উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে?
নাকি আপনি এই চাদর চাপিয়ে কোন ভণ্ড খাদিম, ভন্ড পীর ও মাজার ব্যবসায়ী ব্যক্তিদের বিজনেসে হেল্প করছেন?
যদি আপনার চাদর চাপানোর মাধ্যমে মূল উদ্দেশ্য পূরণ হয়, তাহলে তা অবশ্যই জায়েজ ও মুস্তাহসান হবে। তবে আপনি অবশ্যই জ্ঞাত যে, মূল উদ্দেশ্য পূরণের জন্য শুধু একটা চাদরই যথেষ্ট, এর জন্য একাধিক বা শতাধিক চাদরের কোনই প্রয়োজন নেই। সুতরাং যদি মাজারে পূর্বে থেকেই চাদর থাকে এবং তা পরিবর্তন করার কোনও প্রয়োজন না হয় তাহলে তার উপর অতিরিক্ত চাদর চাপানো মুস্তাহ্সান ও জায়েজ হবে না বরং অপব্যয় ও ফুজুল-খরচির মধ্যে গণ্য হবে।
আর ইসলাম শরীয়তে অপব্যয় ও ফুজুল-খরচি জায়েয নয় বরং এটি গুনাহ ও শয়তানের ভাই হওয়ার নামান্তর।
যেমন, আল্লাহ তাআলা কোরআন মাজিদে ইরশাদ করেন,
اِنَّ الۡمُبَذِّرِیۡنَ کَانُوۡۤا اِخۡوَانَ الشَّیٰطِیۡنِ ؕ وَ کَانَ الشَّیۡطٰنُ لِرَبِّہٖ کَفُوۡرًا ﴿۲۷﴾
অনুবাদ:- নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানদের ভাই এবং শয়তান আপন রবের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।
সূরা ইসরা 17 আয়াত নং 27
আল্লাহ তা’আলা অন্যত্র ইরশাদ করেন,
وَ لَا تُسۡرِفُوۡا ؕ اِنَّہٗ لَا یُحِبُّ الۡمُسۡرِفِیۡنَ ﴿۱۴۱﴾ۙ
অনুবাদ! এবং অযথা ব্যয় করো না । নিশ্চয়, অযথা ব্যয়কারীগণ তার পছন্দনীয় নয় ।
সূরা আনআম আয়াত নং-141,,
সূরা আরাফ আয়াত নং-31
আলা-হযরত ইমাম আহমদ রেযা মুহাদ্দিসে বেরেলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এ প্রসঙ্গে এরশাদ করেন-
جب چادر موجود ہو اور وہ ہنوز پرانی یا خراب نہ ہوئی کہ بدلنے کی حاجت ہو تو بیکار چادر چڑھانا فضول ہے
অর্থাৎ! যদি সেখানে চাদর মজুদ থাকে এবং তা এখনো পুরাতন বা খারাপ না হয় এবং পরিবর্তন করার প্রয়োজন না পড়ে তাহলে, বেকার চাদর চড়ানো ফুজুল হবে।
আহকামে শরীয়ত পৃষ্ঠা নং-৮৭
বুখারী ও মুসলিমের প্রখ্যাত ভাষ্যকার আল্লামা গোলাম রসুল সাঈদী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ইরশাদ করেন-
علامہ نابلیسی، علامہ اسماعیل حقی، علامہ شامی، علامہ رافعی نے مزارات پر چادر چڑھانے کو جائز قرار دیا ہے لیکن اس میں افراط اور بے اعتدالی کرنا صحیح نہیں ہے جس طرح اوباش لڑکے باجوں، تاشوں کے ساتھ ناچتے گاتے چادر کا جلوس لے کر مزارات کی طرف جاتے ہیں البتہ ادب اور تعظیم کے ساتھ نعت خوانی کرتے ہوئے چادر چڑھانا جائز ہے یا ضرورت سے زیادہ چادریں چڑھائی جائیں یہ دونوں صورتیں اسراف اور گناہ ہیں۔
অর্থাৎ!! আল্লামা নাবলেসি, আল্লামা ইসমাইল হাক্কী, আল্লামা শামী ও আল্লামা রা’ফেয়ী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহিম) মাজার সমূহের উপর চাদর চড়ানো কে জায়েজ বলেছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করা সঠিক নয়, যেমন বদমাশ ছেলেরা ঢোল-বাজনার সহিত নাচ গান করে জুলুস নিয়ে মাজার সমূহের দিকে যায়, তবে আদব ও সম্মানের সাথে নাত শরীফ পাঠ করতে করতে চাদর চড়ানো জায়েজ আছে। অথবা প্রয়োজনের অধিক চাদর চড়ানো হয়, এই দুই টি বিষয় অপব্যয় ও গুনাহ।
শারহে সহীহ মুসলিম খন্ড-২ পৃষ্ঠা-৮১৬-৮১৭}}
মুহাক্কিকে যামান হুজুর শাইখুল ইসলাম সাইয়েদ মাদানী মিঞা দামাত বারকাতুহু এর তরফ থেকে হুজুর মুহাদ্দিসে আজাম হিন্দ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর ২০১৬ সালের উরুসের সময় এলান করা হয়েছিল,
عرس میں صرف ایک چادر چڑھائی جائے گی، اگر کسی کو چادر چڑھانے کا شوق ہو تو وہ محدث اعظم کے نام سے کسی غریب، مسکین، یتیم کو کپڑا پہنا دے اور سمجھ لے کہ چادر چڑھا دیا، اس سے بھی زیادہ ثواب ملے گا۔
অর্থাৎ! উরুষের সময় শুধু একটা চাদর চড়ানো হবে। যদি কোন ব্যক্তির ইচ্ছা থাকে চাদর চড়ানোর, তাহলে মুহাদ্দিসে আযাম হিন্দ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি- এর নামে কোন অভাবগ্রস্ত, মিসকিন ও এতিম কে কাপড় পড়াবে (দান করবে) এবং মনে করবে যে, আমার চাদর চড়ানো হয়ে গেছে। (এর উপর আমল করলে) তার থেকেও বেশি সাওয়াব পাবে।
সোশ্যাল মিডিয়া
হুজুর সুবহানী মিঞা দামাত বারকাতুহু-এর তরফ থেকে ইমাম আহমদ রেজা মুহাদ্দিসে বেরেলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর মাজার শরীফে একটি নোটিশ বোর্ড লাগানো হয়েছে যেখানে লিপিবদ্ধ আছে,
~ Important notice ~
It is permissible to present cloth sheet over shrines, but if a cloth sheet is already placed then abstain from presenting more clothes sheet. Rather it is better to present flowers and perfumes instead of clothes sheets.
~ ضروری ہدایت ~
مزارات پر کپڑے کی چادر پیش کرنا بھی جائز ہے لیکن اگر پہلے سے چادر چڑھی ہوئی ہے تو مزید چادریں چڑھانے سے پرہیز کریں بلکہ بہتر یہ ہے کہ کپڑے کی چادروں کی جگہ گلاب کے پھول اور عطر پیش کریں۔
অর্থাৎ! মাজার সমূহের উপর কাপড়ের চাদর চড়ানোও জায়েজ রয়েছে। তবে যদি পূর্বে থেকেই চাদর চড়ানো থাকে তাহলে অতিরিক্ত চাদর চড়ানো থেকে বিরত থাকুন। সে ক্ষেত্রে ভালো হবে, কাপড়ের চাদরের পরিবর্তে গোলাপ ফুল ও আতর পেশ করা।
ইমাম আহমদ রেযা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি-এর মাজারের নোটিশ-বোর্ড
আর যদি আপনার চাদর ভন্ড খাদেম, ভন্ড পীর বা মাজার ব্যবসায়ী ব্যক্তিদের বিজনেসে বৃদ্ধি ঘটায় যা বর্তমান বেশিরভাগ মাজারে হয়ে থাকে তাহলে আপনি চাদর চাপাবেন না। কারণ এরা আপনার চাঁদর নিয়ে বিজনেস করে ও বিলাসবহুল জীবনযাপন করার জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা সেই টাকা দিয়েই ক্রয় করে। এক্ষেত্রে আপনি সেখানে চাদর না চাপিয়ে সেই চাদরের টাকা কোনো দরিদ্র, গরিব, মিসকিন ও অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিকে দিবেন অথবা মসজিদ, মাদ্রাসা ও দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী ব্যক্তিদের ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা কারি হসপিটালে দান করবেন এবং সেই দানের নেকি উদ্দিষ্ট মাজার ওয়লার জন্য ঈসালে সাওয়াব করবেন এতে বহুগুণ বেশী নেকী পাবেন।
যেমন,
আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা মুহাদ্দিসে বেরেলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এরশাদ করেন,
بلکہ جو دام اس میں صرف کریں ولی اللہ کی روح مبارک کو ایصال ثواب کے لئے محتاج کو دیں-
অর্থাৎ!! বরং যে টাকা সেখানে খরচ করা হবে তা অলিউল্লাহ এর আত্মা মোবারকের ইসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কোন অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিকে প্রদান করবে।
আহকামে শরীয়ত পৃষ্ঠা নং-৮৭
বুখারী ও মুসলিম শরিফের প্রখ্যাত ভাষ্যকার আল্লামা গোলাম রসূল সাঈদী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এরশাদ করেন-
جب تعظیم کے لئے مزارات پر چادر موجود ہو تو مزید چادروں کی بجائے وہ کپڑا غریبوں پر صدقہ کرکے اس کا ثواب صاحب مزار کو پہنچا دیں۔
অর্থাৎ!! যদি সম্মানের উদ্দেশ্যে মাজারের উপর চাদর মজুত থাকে তো অতিরিক্ত চাদর না চাপিয়ে সেই কাপড় (অথবা চাদর পরিমাণ টাকা) গরিব ও অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিদের দান করে তার সাওয়াব মাজার ওয়ালা কে প্রদান করবে।
শারহে সহীহ মুসলিম খন্ড-২ পৃষ্ঠা-৮১৭
হ্যাঁ! যদি কোন মাজার এমন পাওয়া যায়, যেখানকার চাদর প্রয়োজনের বেশি হলে তা কোন অভাবগ্রস্ত খাদেম, মিসকিন ও দরিদ্র ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া হয় অথবা চাদর গুলি বিক্রি করে সেই চাদরের পুরো টাকা কোন প্রয়োজনীয় ইসলামিক কাজে ব্যবহার করা হয় তাহলে সেই নেক-কাজের উদ্দেশ্যে অতিরিক্ত চাদর চড়ানো জায়েজ হবে।
যেমন আলা হযরত ইমাম আহমদ রেযা মুহাদ্দিসে বেরেলভী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
ہاں جہاں معمول ہو کہ چڑہائ ہوئی چادر جب حاجت سے زائد ہو خدام ، مساکین، حاجت مند لے لیتے ہیں اور اس نیت سے ڈالے تو مضائقہ نہیں کہ یہ بھی تصدیق ہو گیا
অর্থাৎ!! তবে যেখানে প্রচলন আছে যে, চড়ানো চাদর যখন প্রয়োজনের অধিক হয়ে যায় তখন তা খাদিম, মিসকিন অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিরা নিয়ে নেন। তাহলে সেই নিয়তে চাদর দিলে কোন সমস্যা নেই কারণ, এটাও একটা সাদকা হয়ে যাবে।
আহকামে শরীয়ত পৃষ্ঠা নং-৮৭
কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে বেশিরভাগ মাজারগুলো বিজনেস ও ইনকামের কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া মাজারে দেওয়া চাদর সমূহ কোন ব্যক্তির ব্যবহারের যোগ্য নয়। সেখানে চাদরের উপর চাদর না চাপিয়ে ডাইরেক্ট সেই চাদরের টাকা কোনো দরিদ্র, অভাবগ্রস্থ ও রাস্তায় পড়ে থাকা পাগল, ফকির ও মিসকিনদের হাতে তুলে দেওয়াটাই অধিক নেকি, বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী ব্যক্তির কাজ হবে। কারণ মাজার কমিটি আপনাকে ধোঁকা দিতে পারে এই বলে যে, আমরা এই টাকা দিয়ে কোন ইসলামিক কাজ করছি অথচ তারা সেই টাকা আদৌ কোন ইসলামী কাজে ব্যবহার করছে না।
সম্মানিত দ্বীনি ভাই ও বোন! আমরা অলি-আউলিয়াদের ভালোবাসি ও তাদের মাজার সমূহ কে সম্মান করি। তাই আমাদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে, যাতে আমরা মাজার শরীফে গিয়ে শয়তানের বশবর্তী হয়ে কোন নাজায়েজ, বিদআত ও অপ্রয়োজনীয় কর্ম করে আমাদের আউলিয়ায়ে কেরাম ও মাজার সমূহ কে বদনাম ও অপমান না করি।
আল্লাহ তাআলা সমস্ত সুন্নিদের সঠিকভাবে আউলিয়ায়ে কেরাম ও সালফে সালেহীনদের ভালোবাসার এবং মাজার সমূহে বর্জনীয় কর্মসমূহ হতে বিরত থাকার তৌফিক দান করুন !! আমীন!! বি-জাহি সাইয়েদিল মুরসালীন আলাইহিস সালাতু ওয়াত তাসলীম।।।।
وما توفيقي الا بالله العلي العظيم
দক্ষিণ দিনাজপুর, পশ্চিমবঙ্গ,ভারত।