💗بسم الله الرحمن الرحيم 💗
نحمده تبارك و تعالي و نصلي ونسلم على رسوله الاعلى أما بعد- قال الله تبارك وتعالى فى القران المجيد فانكحوا ما طاب لكم—-
💎 প্রিয় মুসলিম সমাজ! বিয়ে করা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর সুন্নত। আমরা এই সুন্নতকে পালন করতে ভালোবাসি। তাই প্রত্যেক যুবক ছেলের আশা থাকে বিয়ে করার। তবে কি ধরনের মহিলা কে আপনি নিজের স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করবেন এবং কি কি গুন দেখে আপনি স্ত্রী নির্বাচন করবেন তা বিবাহের আগে আপনার জেনে নেওয়া উচিত, যাহাতে দাম্পত্য জীবন সুখময় হয় এবং একটি সুন্দর জীবন যাপন করার আপনি সুযোগ পান। হাদিস শরীফের মধ্যে এ প্রসঙ্গে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কয়েকটি মন্তব্য বর্ণিত হয়েছে যা নিম্নে তুলে ধরা হলো,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ تُنْكَحُ النِّسَاءُ لِأَرْبَعٍ لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ
অর্থাৎ! আবূ হুরাইরাহ রাদীয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ চারটি বিষয় বিবেচনায় রেখে মহিলাদের বিবাহ করা হয়। তার সম্পদ, তার বংশ মর্যাদা, তার রূপ-সৌন্দর্য এবং তার ধর্মপরায়ণতা। অতএব তুমি ধর্মপরায়ণা নারী কে প্রাধান্য দাও।
অন্যথায় তুমি লাঞ্ছিত হবে।
{{ সুনান ইবনে মাজাহ হাদিস নং-1931 }}
{{ সুনানে আবু দাউদ হাদিস নং-2049 }}
{{ সুনানে দারেমী হাদিস নং-2209. }}
{{আত তারগীব মুনযিরী হাদিস নং-2955}}
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ خَيْرُ نِسَاءٍ رَكِبْنَ الإِبِلَ صَالِحُ نِسَاءِ قُرَيْشٍ أَحْنَاه“ عَلٰى وَلَدٍ فِي صِغَرِه„ وَأَرْعَاه“ عَلٰى زَوْجٍ فِي ذَاتِ يَدِه„
অর্থাৎ! আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, উষ্ট্রারোহী মহিলাদের মধ্যে কুরাইশ বংশীয়া মহিলারা সর্বোত্তম। তারা শিশু সন্তানদের প্রতি স্নেহশীল এবং স্বামীর মর্যাদার উত্তম রক্ষাকারিণী।
{{ সহীহ বুখারী হাদিস নং-«5365 }}
عَنْ جَابِرٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ إِنَّ الْمَرْأَةَ تُنْكَحُ عَلَى دِينِهَا وَمَالِهَا وَجَمَالِهَا فَعَلَيْكَ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ وَعَائِشَةَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَأَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏
অর্থাৎ! জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ মহিলাদেরকে বিয়ে করা হয় তাদের দীনদারী, ধন-সম্পদ ও সৌন্দর্য দেখে। অবশ্যই তুমি দীনদার পাত্রীকে বেশি অগ্রাধিকার দিবে; কল্যাণে তোমার হাত পরিপূর্ণ হবে।
(উক্ত হাদীসটি হাসান ও সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে।)
{{ সুনানে তিরমিযী হাদিস নং-1109 }}
{{ সুনানে নাসাঈ হাদিস নং- 3239 }}
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ النِّسَاءِ خَيْرٌ قَالَ الَّتِي تَسُرُّهُ إِذَا نَظَرَ وَتُطِيعُهُ إِذَا أَمَرَ وَلَا تُخَالِفُهُ فِي نَفْسِهَا وَمَالِهَا بِمَا يَكْرَهُ
অর্থাৎ! আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করা হলো, কোন মহিলা উত্তম? তিনি বললেনঃ যে মহিলার প্রতি দৃষ্টিপাত স্বামীকে সন্তুষ্ট করে। সে আদেশ করলে তা সম্পন্ন করে, এবং তার বাড়ীর ও তার মালের ব্যাপারে যা অপছন্দ করে, সে তার বিরোধিতা করে না।
{{ সুনানে নাসাঈ হাদিস নং-3244 }}
{{ মুসনাদে আহমদ হাদিস নং-7421 }}
{{ সুনানে কুবরা বাইহাকীক হাদিস নং-13477}}
{{ শুয়াবুল ঈমান হাদিস নং-8363 }}
{{ তারগীব কিওয়াম হাদিস নং-1524}}
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَا تَزَوَّجُوا النِّسَاءَ لِحُسْنِهِنَّ فَعَسَى حُسْنُهُنَّ أَنْ يُرْدِيَهُنَّ وَلَا تَزَوَّجُوهُنَّ لِأَمْوَالِهِنَّ فَعَسَى أَمْوَالُهُنَّ أَنْ تُطْغِيَهُنَّ وَلَكِنْ تَزَوَّجُوهُنَّ عَلَى الدِّينِ وَلَأَمَةٌ خَرْمَاءُ سَوْدَاءُ ذَاتُ دِينٍ أَفْضَلُ
অর্থাৎ! ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু ‘আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা শুধু রূপ-সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে মহিলাদের বিবাহ করো না। এ রূপ-সৌন্দর্য হয়তো তাদের ধ্বংসের কারণও হতে পারে। তোমরা তাদের সম্পদ দেখে বিবাহ করো না। হয়তো এ সম্পদই তাদের অপকর্মে লিপ্ত হওয়ার কারণ হতে পারে। অতএব ধর্মপরায়ণতা বিবেচনায় তোমরা তাদের বিবাহ করো। চেপ্টা নাকবিশিষ্ট কুৎসিৎ দাসীও অধিক উত্তম যদি সে হয় ধর্মপরায়ণা।
{{ সুনান ইবনে মাজাহ হাদিস নং-1932 }}
{{আত তারগীব মুনযিরী হাদিস নং-2957}}
{{ কানযুল উম্মাল হাদিস নং-44537 }}
ﻋﻦ ﻳﺤﻴﻰ ﺑﻦ ﺟﻌﺪﺓ، ﻋﻦ اﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ: «ﺧﻴﺮ ﻓﺎﺋﺪﺓ اﺳﺘﻔﺎﺩﻫﺎ اﻟﻤﺴﻠﻢ ﺑﻌﺪ اﻹﺳﻼﻡ اﻣﺮﺃﺓ ﺟﻤﻴﻠﺔ، ﺗﺴﺮﻩ ﺇﺫا ﻧﻈﺮ ﺇﻟﻴﻬﺎ ﻭﺗﻄﻴﻌﻪ ﺇﺫا ﺃﻣﺮﻫﺎ، ﻭﺗﺤﻔﻈﻪ ﺇﺫا ﻏﺎﺏ ﻋﻨﻬﺎ ﻓﻲ ﻣﺎﻟﻪ ﻭﻧﻔﺴﻬﺎ»
অর্থাৎ হাজরত ইয়াহিয়া ইবনে জাদা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু হতে বর্ণিত নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন মুসলিম ব্যক্তি ইসলাম কবল করার পর উত্তম যা লাভ করে তা হলো পুণ্যময়ী সুন্দর স্ত্রী। স্বামী তার দিকে তাকালে (তার হাস্যাজ্জ্বল চেহারা ও প্রফুল্লতা) তাকে আনন্দিত করে, তাকে কোন নির্দেশ দিলে সে তা পালন করে। আর স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে তার সম্ভ্রম ও সম্পদের হেফাযত করে।
{{ মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদিস নং-17141}
✴️উপরোক্ত হাদিসের সূক্ষ্মভাবে অধ্যয়নের মাধ্যমে স্পষ্টতই প্রমাণিত হয় যে বিবাহের আগে যে সমস্ত গুণ ও বৈশিষ্ট্য গুলি দেখে বিবাহ করা উচিত তা নিম্নরূপ।
১- ধর্মপরায়ণা নারী।
২-শিশু সন্তানদের প্রতি স্নেহশীল।
৩-স্বামীর মর্যাদার উত্তম রক্ষাকারিণী।
৪-যে মহিলার প্রতি দৃষ্টিপাত স্বামীকে সন্তুষ্ট করে।
৫- স্বামী আদেশ করলে তা সম্পন্ন করে
৬-স্বামীর বাড়ীর ও তার মালের ব্যাপারে যা অপছন্দ করে, সে তার বিরোধিতা করে না।
৭-স্বামীর অনুপস্থিতিতে সে তার সম্ভ্রম ও সম্পদের হেফাযত করে।
৮-আখেরাতের কাজে যে স্বামীর সহায়তাকারী হবে।
৯, ধর্মপরায়ণার সঙ্গে সৌন্দর্য থাকাটা আরও উত্তম।
🤲আল্লাহ তাআলা বিবাহের ক্ষেত্রে সমস্ত যুবক ভাইদের কে ধর্মপরায়ণা, নেককার, সুশীল ও স্বামীর আখিরাতের কাজে সহায়তাকারী নারী নির্বাচন করার তৌফিক দান করুন!!
আমীন!!
Top