বিয়ের আগে কন্যা দেখা বৈধ কিনা? এবং কে কে দেখতে পারবেন?

          ☀️بسم الله الرحمن الرحيم☀️ 
💥 نحمده و نصلى على رسوله الكريم أما بعد-💥
☀️প্রিয় মুসলিম সমাজ!! আমাদের দেশে প্রায় সমস্ত বিয়ের সময় কন্যা দেখা সাধারণভাবে প্রচলিত আছে। সমস্ত মানুষেই বিয়ের আগে হবু স্ত্রীকে দেখতে পছন্দ করে। আর শুধু তিনি একাই নয় বরং পাড়া-প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধব কে নিয়ে কন্যা দেখতে যাওয়া আমাদের দেশের একটি খুবই জনপ্রিয় ও প্রচলিত প্রথা। তবে বিয়ের আগে কন্যা দেখার এই রীতিনীতি ও প্রচলিত প্রথা কি আদৌ শরীয়ত সম্মত? তা হয়তো আমাদের ভাবার সময় নেই । তাই আজকে আমি সেই প্রথা ও রীতিনীতিকে শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে পর্যালোচনা করার চেষ্টা করব।
قال الله تبارك و تعالى فى القران المجيد
“فَانۡکِحُوۡا مَا طَابَ لَکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ”
তবে বিবাহ     করে  নাও  যেসব  নারী   তোমাদের  ভালো  লাগে।
{{ সূরা নিসা আয়াত নং-3 }}
উক্ত আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, আল্লাহ তাআলা সেই সব নারীকে বিয়ে করতে বলেছেন যারা ভালো লাগবে অথবা পছন্দনীয় হবে। আর এ বিষয়ে সবাই অবগত যে, ভালোলাগা অথবা পছন্দ হওয়া বিনা দেখায় খুব কম হয়। তাই এই আয়াত থেকেই পরোক্ষভাবে বিয়ের আগে কন্যা দেখার অনুমতি পাওয়া যায়।
তাছাড়া হাদিসের মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ امْرَأَةً جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ جِئْتُ لأَهَبَ لَكَ نَفْسِي. فَنَظَرَ إِلَيْهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَصَعَّدَ النَّظَرَ إِلَيْهَا وَصَوَّبَهُ، ثُمَّ طَأْطَأَ رَأْسَهُ، فَلَمَّا رَأَتِ الْمَرْأَةُ أَنَّهُ لَمْ يَقْضِ فِيهَا شَيْئًا جَلَسَتْ،
৫১২৬. সাহল ইব্নু সা‘দ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একজন মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি নিজেকে আপনার কাছে সমর্পণ করতে এসেছি। এরপর রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার দিকে দেখলেন এবং অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দৃষ্টি দিলেন। আপাদমস্তক দেখা শেষ করে তিনি মাথা নিচু করলেন। যখন মহিলা দেখতে পেল, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সম্পর্কে কোন ফয়সালা দিচ্ছেন না, তখন সে বসে পড়ল।
{{ সহীহ বুখারী হাদিস নং-5126»
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ كُنْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَأَخْبَرَهُ أَنَّهُ تَزَوَّجَ امْرَأَةً مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ أَنَظَرْتَ إِلَيْهَا ‏”‏ ‏.‏ قَالَ لاَ ‏.‏ قَالَ ‏”‏ فَاذْهَبْ فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّ فِي أَعْيُنِ الأَنْصَارِ شَيْئًا ‏”‏ ‏.‏
অর্থাৎ! আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি তার নিকট এসে তাকে বলল যে, সে আনসার সম্প্রদায়ের এক মেয়েকে বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তুমি কি তাকে একবার দেখেছ? সে বলল, না। তিনি বললেনঃ যাও! তুমি তাকে এক নযর দেখে নাও। কারণ আনসারদের চোখে কিছুটা ক্রটি আছে।
{{ সহীহ মুসলিম হাদীস নং-3550,,
মুসনদ- আবী ই-আলা হাদিস নং-6186,,
সুনানে দারে কুতনী হাদিস নং- 3624,,
সুনানে কোবরা বাইহাকী হাদিস নং-13486,,
মাজমাউয যাওয়াইদ হাদিস নং-7486,,
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ أَرَادَ أَنْ يَتَزَوَّجَ امْرَأَةً فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ((اذْهَبْ فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّهُ أَحْرَى أَنْ يُؤْدَمَ بَيْنَكُمَا)). فَفَعَلَ فَتَزَوَّجَهَا فَذَكَرَ مِنْ مُوَافَقَتِهَا.
অর্থাৎ!! আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু এক মহিলাকে বিবাহ করার ইচ্ছা করলে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ তুমি গিয়ে তাকে দেখে নাও। কেননা তা তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টিতে সাহায়ক হবে। অতঃপর তিনি তাই করলেন এবং তাকে বিবাহ করলেন। পরে তাঁর নিকট তাদের দাম্পত্য সমপ্রীতির কথা উল্লেখ করা হয়।
{{ সুনানে ইবনে মাজাহ হাদীস নং-1938,,
সুনানে দারে কুতনী হাদিস নং-3622,,
সুনানে কুবরা বাইহাকী হাদিস নং-13488,,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ خَطَبَ رَجُلٌ امْرَأَةً مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ((هَلْ نَظَرْتَ إِلَيْهَا)). قَالَ لاَ. فَأَمَرَهُ أَنْ يَنْظُرَ إِلَيْهَا.
অর্থাৎ!! আবু হুৱায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি এক আনসারী মহিলাকে বিবাহের পয়গাম দিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি কি তাকে দেখেছো? সে ব্যক্তি বললোঃ না। এরপর তিনি তাকে দেখার আদেশ করলেন।
{{ সুনানে নাসায়ী হাদিস নং-3247 }}
عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ خَطَبْتُ امْرَأَةً عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ((أَنَظَرْتَ إِلَيْهَا)). قُلْتُ لاَ. قَالَ: ((فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّهُ أَجْدَرُ أَنْ يُؤْدَمَ بَيْنَكُمَا)).
অর্থাৎ!! হযরত মুগীরা ইবন শু’বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় আমি এক মহিলাকে বিবাহ করার পয়গাম দিলাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তাকে দেখে নাও। কেননা, এতে তোমাদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক গভীর হবে।
{{ সুনানে নাসায়ী হাদিস নং-3248,,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদিস নং-17388,,
মুসনাদ আহমাদ হাদিস নং-18154,,
সুনানে দারে কুতনী হাদিস নং-3621,,
সুনানে কুবরা বাইহাকী হাদিস -13489,,
মিশকাতুল মাসাবিহ হাদিস নং-3107 }}
عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، أَنَّهُ خَطَبَ امْرَأَةً فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏”‏ انْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّهُ أَحْرَى أَنْ يُؤْدَمَ بَيْنَكُمَا ‏”‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ وَجَابِرٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي حُمَيْدٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
মুগীরা ইবনু শুবা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি এক মহিলার নিকট বিয়ের প্রস্তাব প্রেরণ করেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে দেখে নাও, তোমাদের মধ্যে এটা ভালবাসার সৃষ্টি করবে।
মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামা, জাবির, আবু হুমাইদ, আনাস ও আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুম হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান বলেছেন।
{{ সুনানে তিরমিযী হাদিস নং-
{{ সুনানে দারেমী হাদিস নং-২২১১. }}
عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ مَسْلَمَةَ قَالَ خَطَبْتُ امْرَأَةً فَجَعَلْتُ أَتَخَبَّأُ لَهَا حَتَّى نَظَرْتُ إِلَيْهَا فِي نَخْلٍ لَهَا فَقِيلَ لَهُ أَتَفْعَلُ هَذَا وَأَنْتَ صَاحِبُ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِذَا أَلْقَى اللهُ فِي قَلْبِ امْرِئٍ خِطْبَةَ امْرَأَةٍ فَلَا بَأْسَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَيْهَا
অর্থাৎ!! মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক মহিলাকে বিবাহের পয়গাম পাঠালাম। আমি তাকে দেখার জন্য চুপিসারে তার বাগানে যাতায়াত করতাম এবং সেখানে তাকে দেখে ফেললাম। তাকে বলা হলো, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সহাবী হয়ে তুমি এই কাজ করলে? তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ যখন আল্লাহ্ কারো অন্তরে কোন মহিলাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দানের আগ্রহ পয়দা করেন, তখন তাকে দেখে নেয়াতে দোষের কিছু নেই। 
{{ সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নং-1937,,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদিস নং-17390,,
সুনানে কুবরা বাইহাকী হাদিস নং- 13491,,
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمُ الْمَرْأَةَ فَإِنِ اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى مَا يَدْعُوهُ إِلَى نِكَاحِهَا فَلْيَفْعَلْ
অর্থাৎ!! জাবির  ইবন  আবদুল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু  হতে বর্ণিত।  তিনি বলেন, রাসূল  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  ইরশাদ  করেছেন,  তোমাদের  কেউ  যখন  কোন  স্ত্রীলোককে  বিবাহের  উদ্দেশ্যে  পয়গাম  পাঠাবে,  তখন  যদি  তার  পক্ষে  সম্ভব  হয়,  তবে  সে  যেন তার  বংশ,  মাল  ও  সৌন্দর্য  ইত্যাদি  দর্শন  করে,  যা  তাকে  বিবাহে  উৎসাহ  দেয়।
{{ সুনান আবু দাউদ হাদিস নং 2084,,
মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদিস নং-17389,,
সুনান কুবরা বায়হাকী হাদিস নং-13487,,
সম্মানিত পাঠকবৃন্দ! উপরোল্লেখিত হাদিস সমূহ হতে আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারলাম যে, বিবাহের আগে বিবাহের প্রস্তাবকারী পুরুষের জন্য কন্যা দেখা শরীয়তে জায়েজ রয়েছে। তেমনি ভাবে মহিলাদের জন্যও বিবাহের আগে হবু স্বামীকে দেখার অনুমতি আছে। যেমন,
আল্লামা সাদরুশ শারিয়াহ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ইরশাদ করেন,
اسی طرح عورت اس مرد کو جس نے اس کے پاس پیغام بھیجا ہے دیکھ سکتی ہے
অর্থাৎ! তেমনি মহিলার জন্য সেই পুরুষ কে দেখার অনুমতি রয়েছে যে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছে।
{{ বাহারে শরীয়ত খন্ড-3 পৃষ্ঠা-447 }}
কন্যা দেখার সময় তার কতটুকু অঙ্গ দেখা জায়েজ আছে, এ প্রসঙ্গে বুখারী শরীফের প্রখ্যাত ভাষ্যকার ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এরশাদ করেন,
ﻗﺎﻝ اﻟﺠﻤﻬﻮﺭ ﻻ ﺑﺄﺱ ﺃﻥ ﻳﻨﻈﺮ اﻟﺨﺎﻃﺐ ﺇﻟﻰ اﻟﻤﺨﻄﻮﺑﺔ ﻗﺎﻟﻮا ﻭﻻ ﻳﻨﻈﺮ ﺇﻟﻰ ﻏﻴﺮ ﻭﺟﻬﻬﺎ ﻭﻛﻔﻴﻬﺎ
অর্থাৎ! সংখ্যাগরিষ্ঠ মুহাদ্দেসীন ও ইমামগণের মতে বিবাহের প্রস্তাব দাতা পুরুষের জন্য কন্যা দেখা জায়েজ রয়েছে। তবে সে কন্যার মুখমন্ডলী ও হাতের তালু ব্যতীত অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দেখতে পারে না।
{{ ফাতহুল বারী খন্ড-৯ পৃষ্ঠা-১৮২ }}
তাছাড়া ইমাম মুসলিম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি সহীহ মুসলিম গ্রন্থে একটি অনুচ্ছেদ ভেবেছেন এভাবে-
باب نَدْبِ النَّظَرِ إِلَى وَجْهِ الْمَرْأَةِ وَكَفَّيْهَا لِمَنْ يُرِيدُ تَزَوُّجَهَا ‏
কোন মহিলাকে বিবাহ করতে চাইলে বিবাহের পূর্বে তার মুখমণ্ডল ও হস্তদ্বয় এক নজর দেখে নেয়া উত্তম
{{ সহীহ মুসলিম }}
সম্মানিত মুসলিম সমাজ! উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বুঝা যায়, আমাদের সমাজে যেভাবে কন্যা দেখার প্রচলন ও প্রথা আছে তা পুরোপুরি শরীয়ত সম্মত নয়। কারণ শরীয়তে শুধু বিবাহের আকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তির জন্য কন্যা দেখার অনুমতি রয়েছে তার বন্ধু-বান্ধব ও পাড়া-প্রতিবেশী অর্থাৎ গায়ের-মাহরাম পুরুষদের জন্য কন্যা দেখতে যাওয়ার অনুমতি নেই।
তাই যে পুরুষ বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছে শুধু সে দেখতে পারে। এবং যদি সে সঙ্গে কাউকে নিয়ে যেতে চায় তাহলে তার মা, বন, পিসি ও মাসি ইত্যাদি মাহরাম নারীদের নিয়ে যেতে পারে।
আমাদের সমাজে কন্যা দেখা সংক্রান্ত যে সমস্ত নাজায়েজ ও শরীয়ত বহির্ভূত কর্মসমূহ প্রচলিত আছে তন্মধ্যে কিছু নিম্নে তুলে ধরা হলো,
১,, বন্ধুবান্ধব ও পাড়া-প্রতিবেশী গায়ের-মাহরাম পুরুষদের কন্যা দেখতে নিয়ে যাওয়া।
২,, কন্যাকে শরীয়ত বহির্ভূত প্রশ্ন করে লাঞ্ছিত করা।
৩,, শরীয়ত বহির্ভূত পোশাক পরিধান করে কন্যাকে সর্বসাধারণের সামনে বসিয়ে দেওয়া।
৪,, কন্যার মুখমন্ডলি ও হাতের তালু ব্যতীত অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখা।
৫,, কন্যাকে বিউটি-পার্লার থেকে নানান ভাবে সজ্জিত করে নিয়ে আসা।
৬,, ছেলে ও মেয়ে কে আলাদাভাবে একাকী সাক্ষাৎ-এর ব্যবস্থা করে দেওয়া। ইত্যাদি
আল্লাহ তা’আলা সমস্ত মুসলিম ভাই বোনদের কে শরীয়ত বহির্ভূত কর্মসমূহ বর্জন করার এবং কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিবাহ সংক্রান্ত কর্মসমূহ সম্পন্ন করার শক্তি প্রদান করুন! আমীন!! বি-জাহি সাইয়েদিল মুরসালীন আলাইহিস্ব স্বালাতু ওয়াত তাসলীম!~
وما توفيقي الا بالله العلي العظيم
 
Top