আল্লাহকে রাজি ও জান্নাত লাভ করার দোয়া
==================
প্রতিদিন নিম্নের দোয়া ৩ বার পাঠ করলে কিয়ামতের দিন আল্লাহতা’য়ালা রাজি হবেন এবং   ঐ ব্যক্তি জান্নাতবাসী হবেন।  (আত তারীখুল কবীর লিল বোখারী- ৭/৩৭৯ পৃ:) (হায়াতে আ’লা হজরত ৩/৩৪ পৃ:) দোয়া হলো এই,
رضيت بالله ربا وبالاسلام دينا وبسيدنا ومولنا محمد صلى الله عليه وسلم نبيا ورسولا-

উচ্চারণ: রাদিতু বিল্লাহ রাব্বাও  ওয়া বিল ইসলামী দ্বীনাও ওয়া বি সায়্যিদিনা ওয়া মাওলানা মুহাম্মাদিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা নাবিয়্যাউ ও রাসূলা।

ইবাদতের হক আদায়ের দোয়া
================
নিম্নের দোয়া একবার পাঠ করলে  রাত ও দিনের সম্পূর্ণ এবাদতের হক আদায় হয়ে থাকে। (হায়াতে আ’লা হজরত ৩/৩৬ পৃ:)

اللهم لك الحمد دائما مع دوامك ولك الحمد حمدا خالدا مع خلودك ولك الحمد حمدا لا منتهى له دون مشيتك ولك الحمد حمدا دائما لايريد

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু দায়িমান  মা’য়া দাওয়ামিকা ওয়ালাকাল হামদু হামদান খালিদান মা’য়া খুলুদিকা ওয়ালাকাল হামদু হামদান লা মুন্তাহিয়া লাহু দুনা মাশিয়্যাতুকা ওয়ালাকাল হামদু হামদান দায়িমান লা ইয়ুরিদু।

নিয়মিত অজিফা অনাদায়ে ক্ষতিপূরণের দোয়া
==================
নিম্নের দোয়া একবার পাঠ করলে, ওজরবশত ওজিফা পাঠ না করতে পারলে তার ক্ষতিপূরণ হবে। (হায়াতে আ’লা হজরত ৩/৩৪ পৃষ্ঠা)

فسبحان الله حين تمسون وحين تصبحون وله الحمد فى السموات والارض وعشيا وحين تظهرون يخرج الحى من الميت ويخرج الميت من الحى ويحى  الارض بعد موتها وكذالك تخرجون-

শয়তান জ্বিন ও সর্বপ্রকার আফাত থেকে নিরাপত্তার দোয়া
==================
নিম্নের দোয়া  পড়তে থাকলে শয়তান, জ্বিন এবং সর্বপ্রকার আফাত থেকে  আল্লাহতা’য়ালা নিরাপদ রাখবেন। (হায়াতে আ’লা হজরত ৩/৩৫ পৃষ্ঠা)

افحسبتم انما خلقنكم عبثا وانكم الينا  لاترجعون- فتعال الله الملك الحى لا اله الا هو رب العرش الكريم ومن يدع مع الله الها اخر لا لا برهان له به فانما حسابه عند ربه انه لا يفلح الكافرون وقل رب اغفر وارحم وانت خير الراحمين-

স্ত্রী সহবাসের দোয়া
===========
بسم  الله اللهم جنبنا الشيطان وجنب الشيطان ما رزقنا

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিব নাশ শাইত্বানা ওয়াজান্নিবিশ শাইত্বানা মা-রাজাকতানা।

বিছানায় যাওয়া ও ঘুম থেকে উঠার দোয়া
================
হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু  আনহা থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বিছানা মোবারকে আরাম  ফরমাতেন, তখন সূরায়ে এখলাস, সূরা  ফালাক ও সূরা নাস তিনবার পাঠ করে প্রতি  রাতে উভয় হাতের তালু মোবারক একত্র করে ফুঁক দিয়ে মাথা  ও চেহারা মোবারক মাসেহ করে  সাধ্যানুসারে সর্বশরীর মোবারককে বুলাতেন। (তাজরিদুল বুখারি দ্বিতীয় জিলদের ৩৮৮ পৃষ্ঠা)

হযরত হুজাইফা ইবনে ইয়ামন রাদিয়াল্লাহু আনহু  থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে বিছানায় আরাম ফরমাতেন তখন তিনি তাঁর ডানহাত মোবারক স্বীয় গাল মোবারকে  রেখে পাঠ করতেন,
باسمك اللهم اموت واحيا
উচ্চারণ: বিসমিকা আল্লাহুম্মা আমুতু ওয়া আহইয়া।

এবং যখন ঘুম মোবারক থেকে জাগ্রত হতেন তখন পাঠ করতেন,
الحمد لله الذى احيانا بعد ما اماتنا واليه النشور
উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আহইয়ানা বা’দা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন নুশুর। (তাজরিদুল বুখারি দ্বিতীয় জিলদের ৫১৯ পৃষ্ঠা)

মসনদে  বাজ্জার নামক কিতাবের ২৩৪ পৃষ্ঠায়  রয়েছে,
قال  قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا وضعت جنبك على الفراش وقرأت فاتحة الكتاب (قل هو الله احد) فقد امنت من كل شئ الا الموت-

অর্থাৎ নূরনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যখন আমি আমার বিছানা মোবারকে যেতাম তখনই সূরায়ে ফাতেহা ও  সূরা এখলাস পাঠ করে নিতাম। এ আমল করলে মৃত্যু ব্যতীত সকল দুর্ঘটনা থেকে আল্লাহতা’য়ালা নিরাপদ রাখবেন।

ভয়ানক স্বপ্নরোধের তদবির
================
ত্রয়োদশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ শাহ আব্দুল  আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভী আলাইহির রহমত তদীয় فتاوى عزيزى ‘ফাতাওয়ায়ে আজিজী’ নামক কিতাবের (উর্দু) ২০৮ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন, শয়নকালে সূরায়ে  ফালাক, সূরায়ে নাস ও আয়াতুল কুরছি এক এক বার তিলাওয়াত করে নিদ্রা পূর্বে বুকে ফুঁক দিয়ে ঘুমিয়ে পড়বেন। (খোদার ফজলে খারাপ স্বপ্ন দেখা থেকে নিরাপদ থাকবেন) যদি এরূপ আমলের  পরও যদি কোন উপকার  না হয় তাহলে يا شديد ‘ইয়া শাদিদু’ তিন মরতবা পাঠ করে শরিরের উপর  অংশে ফুঁক দিবেন এবং শয়নকালে নিম্নের দোয়া পাঠ করবেন,
باسمك اللهم وضعت جنبى وبك ارفعه انشاء الله تعالى احفظنى من نومى جنبى بما تحفظ به عبادك الصالحين واعوذبك من همزات الشيطين وان يحضرون-

সুন্নত মোতাবেক নেকআমল করা অনস্বীকার্য
============
নবী প্রেমিক সুন্নি মুসল্লিয়ানে কেরাম প্রত্যহ পাঁচওয়াক্ত নামায যথারীতি আদায় করবেন। এতে কোন প্রকার অলসতা করবেন না। শরয়ি ওজর ব্যতীত ইচ্ছা করে নামায তরক  করবেন না। এমনকি অতীতে যত ওয়াক্তের নামায কাযা বা অনাদায় হয়ে রয়েছে, তাও হিসেব  করে  শুধু ফরয ও ওয়াজিব নামায  তাড়াতাড়িভাবে আদায় করবেন।

এভাবে অতীতের যেসব ফরয ও ওয়াজিব  রোযা অনাদায়ী রয়েছে, তাও যথাশীঘ্র আদায় করে নিবেন। যদি হজ্জ্ব ও যাকাত ফরয হয়ে থাকে, তাহলে ফরয হজ্ব ও যাকাত অবশ্যই আদায় করে  নিবেন এবং নিম্নলিখিত আমলগুলি নিয়মিত পালন করবেন।

 
Top