ইস্তেগফার পাঠ করার ফজিলত
================
প্রত্যহ কমপক্ষে  একশবার ইছতেগফার  পাঠ করবেন,
استغفر الله الذى لا اله الا هو الحى القيوم واتوب اليه

উচ্চারণ: আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি  লা ইলাহা ইল্লা হু ওয়াল হাইয়ুল কাইয়ুমু ওয়াতুবু ইলাইহি।

অথবা সায়্যিদুল ইছতেগফার পড়বেন।

একশতবার لا حول ولا قوة الا بالله “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” ভাবার্থের দিকে খেয়াল করে পাঠ করতে থাকবেন।

ভাবার্থ ‘আল্লাহ তা’য়ালার  হেফাজত ছাড়া গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার কোন  উপায় নেই। অপরদিকে আল্লাহতা’য়ালা তওফিক না দিলে নেককাজ করারও কোন উপায় নেই।’

আল্লাহর হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই এরশাদ করেন, لا حول ولا قوة الا بالله জান্নাতে প্রবেশ করার মূল্যবান সম্পদ। (আত তারীখে  কবীর লিল বুখারি ১/১০৩ পৃ: দ্র:)

‘আল্লাহর হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো এরশাদ করেন, এমন এক কালিমা বা বাক্য রয়েছে, যা জান্নাতে প্রবেশ করার মূল্যবান  সম্পদ। সেই কালিমাকে অধিক পরিমাণে  পাঠ করতে থাক। তা হচ্ছে لا حول ولا  قوة الا بالله এ আমল যারা করবে মদিনাবাসীর মধ্যে তাকে প্রত্যাবর্তন করা হবে।’ (আত তারিখুল কবীর লিল বুখারি ৮/২৮২ পৃষ্ঠা)

সত্তরহাজার ফেরেস্তার ইস্তেগফার লাভ করার আমল
===========
নিম্নের দোয়া প্রত্যহ  সকাল-বিকাল ৩ বার  পাঠ করবেন।

আল্লামা জালালউদ্দিন সুয়ুতী রাদিয়াল্লাহু আনহু আল হাবী লিল  ফাতাওয়া নামক  কিতাবে ‘আম্বাউল আযকিয়া  ফি হায়াতিল আম্বিয়া’ অধ্যায়ে একখানা হাদিসশরীফ উল্লেখ  করেছেন, যে ব্যক্তি সকালে সূরায়ে হাশরের শেষের তিনখানা আয়াত একবার পাঠ করবে তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিয়োগ করা হবে। যারা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার গোনাহ মাফ চাইতে থাকবে। আর ঐ দিন সে যদি মারা যায় তবে শহীদের দরজা লাভ করবে। সন্ধ্যা বেলা পাঠ করলেও তদ্রƒপ ফল পাবে।

اعوذ بالله السميع العليم من الشيطان الرجيم

তিনবার পাঠ করে নিম্নের দোয়া ৩ বার পড়বেন,

هو الله الذى لا اله الا هو ج عالم الغيب والشهادة ج هو الرحمن الرحيم ০ هو  الله الذى لا اله الا هوج الملك القدوس السلام المؤمن المهيمن العزيز الجبار المتكبرط سبحان الله عما يشركون ০ هو الله الخالق البارئ المصور له الاسماء الحسنى ط يسبح له ما فى السموات والارض ج وهو العزيز الحكيم ০

সকালে পাঠ করলে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০০০০ সত্তরহাজার ফেরেশতা তার জন্য ইছতেগফার করতে থাকেন এবং সন্ধ্যায় পাঠ করলেও তদ্রুপ। (হায়াতে আ’লা হজরত ৩/৩৫ পৃ:)

অল্প সময়ে ৪০ লক্ষ নেকি অর্জন
===========
তিরমিজিশরীফের দ্বিতীয় জিলদের ১৮৫ পৃষ্ঠায় হযরত তামিমেদারি রাদিয়াল্লাহু  আনহু  থেকে বর্ণিত, রাসূলেপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি   ওয়াসাল্লামের আলিশান ফরমান হচ্ছে, যে ব্যক্তি নিম্নের কালিমা  তাইয়িবা দশবার পাঠ  করবে, তার আমলনামায় আল্লাহপাক ৪০ লক্ষ নেকি দান করবেন। (হাদীসখানা মুনকার হলেও আমলের জন্য প্রযোজ্য হবে)

اشهد ان لا اله الا الله وحده لاشريك له الها واحدا احدا صمدا لم يتخذ صاحبة ولا ولدا ولم يكن له كفوا احدا

উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু ইলাহান ওয়াহিদান আহাদান সামাদান লাম ইত্তাখিয সা-হিবাতাউ ওয়ালা ওয়ালাদান ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদান।

বালা মসিবত দূর ও মকসুদ পূর্ণ হওয়ার আমল
===========
নিম্নের দোয়া ১০ মর্তবা পাঠ করলে আল্লাহতা’য়ালা বালা মুসিবত থেকে মাহফুজ রেখে নেকমকসুদ পূরণ করবেন, হাদিসশরীফে ৯ বার, গাউসেপাক ১০ বার পড়তে উল্লেখ করেছেন।  (হায়াতে আ’লা হজরত ৩/৩৪)

حسبى الله لا اله الا هو عليه  توكلت وهو رب العرش العظيم-

উচ্চারণ: হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আলাইহি তাওয়াক্বালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।

সর্বদায় পরিপূর্ণ হেফাজতের দোয়া
===========
প্রতিদিন নিম্নের দোয়া ৩বার পাঠ করতে থাকলে  দ্বীন-ইসলাম ও  ঈমান,  জান-মাল, ছেলে-মেয়ে, পরিবার পরিজন সকলকে আল্লাহতা’য়ালা হেফাজতে রাখবেন। (হায়াতে আলা হজরত ৩/৩৫)

بسم الله على دينى بسم الله  على نفسى وولدى واهلى ومالى

উচ্চারণ:  বিসমিল্লাহি আ’লা দ্বীনি বিসমিল্লাহি আ’লা নাফসি ওয়া ওয়ালাদি ওয়া আহলী ওয়া মালী।

রোগি দেখার দোয়া
===========
যে কোন রোগাক্রান্ত ও বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেখামাত্র নিম্নের দোয়া পাঠ করবেন। খোদার ফজল ও করমে পাঠকারী  ব্যক্তি চিরদিনের জন্য ঐ বিপদ থেকে নাজাতপ্রাপ্ত হবে। দোয়া এই

الحمد لله الذى عافانى مما ابتلاك به وفضلنى على كثير ممن خلق تفضيلا-

উচ্চারণ: আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আ-ফানী মিমমাব তালাকা বিহী ওয়া ফাদ্বালানি আ’লা কাছিরিম মিম্মান খালাকা তাফদ্বিলা।

প্রত্যেক সকাল-সন্ধ্যায় নিম্নের দোয়া তিন তিন বার করে পাঠ করতে থাকলে আল্লাহর ফজল ও  করমে প্রত্যেক বলা-মুছিবত এবং শক্ত রোগ থেকে নাজাত পাবে। এ দোয়া মহিলাগণ অপবিত্র অবস্থায়ও  পাঠ করতে পারবেন। (হায়াতে আ’লা  হজরত ৩/১০০ পৃ:)

অন্যত্র রয়েছে খাওয়ার পূর্বে এই দোয়া তিনবার পাঠ করলে, খাবারে যদি জহর মিশানো থাকে সেই জহরের বিষক্রিয়া নষ্ট হয়ে যায়। দোয়া হলো এই

بسم الله الذى لا يضر مع اسمه شئ فى الارض ولا فى  السماء وهو السميع العليم-

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহ হিল্লাজী লা   ইয়াদুররু মা’য়া ইসমিহি  শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামায়ি ওহুয়াস সামিউল আলীম।

 
Top