▪ কিতাবঃ নূরে মুজাচ্ছাম (ﷺ)
▪ লেখক, সংকলকঃ মুফতি মােহাম্মদ আলাউদ্দিন জেহাদী
▪ Text Ready : Masum Billah Sunny


এর সহযােগী হিসেবে আরেকটি হাদিস উল্লেখ করা যায়,
قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أنا من نور الله والمؤيون فیض نوری
-“আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন: আমি আল্লাহর নূরে সৃষ্ট আর মুমীনগণ আমার নূরের ফয়েজ থেকে সৃষ্টি।"
★ ইসমাঈল হাক্কী: তাফছিরে রুহুল বয়ান, ৯ম খন্ড, ৬৩ পৃঃ
★ গাউসে পাক হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রহঃ)

♣ এর  অনুরূপ আরেকটি রেওয়াত উল্লেখ করা যায়,
عن عبد الله بن جراد قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم خلقت انا من نورالله وخلق من نوری

-“হজরত রাসূলে করিম (ﷺ) বলেছেন: আমি আল্লাহর নূর থেকে এবং সৃষ্টিজগৎ আমার দূর থেকে সৃষ্টি।"
★ মাতায়েলুল মসাররাত শরহে দালায়েলুল খয়রাত;
★ তাফছিরে রুহুল বয়ান, ২য় খন্ড, ৩৭১, ৪২৯ পৃঃ; ৪র্থ খন্ড
★ বড়পীর হযরত আব্দুল কাদীর জিলানজ (রহঃ) : সিররুল আছরার, ৪৯ পৃঃ;
★ মওজুয়াতুল কবীর, ৪০ পৃঃ;
★ ইমাম মোল্লা আলী কারীঃ মওজুয়াতুল কোবরা, ৭২ পৃঃ
★ ইমাম আজলুনী: কাশফুল খফা, ১ম খন্ড, ১৯৯''
★ ইমাম হাখাবী: মাকাছিদুল হাছানা, ৯৮ পৃ:

♣ হাদিসটি উল্লেখ করে ইমাম ছাখাবী (রহঃ), আল্লামা আজলুনী (রহঃ) আল্লামা মােল্লা আলী ক্বারী (রহঃ) লিখেন:
وقال الشاوي وعند الديلي بلا إسناد عن عبد بن جراد مزوا أنا من الله والزيتون مئي
-“ইমাম ছাখাবী (রহঃ) বলেন: এই হাদিস ইমাম দায়লামী (রহঃ) তদীয় কিতাবে সনদবিহীন এভাবে উল্লেখ করেছেন: “আমি আল্লাহর (নূর) হতে আর সকল কিছু আমার (নূর) হতে।"

★ ইমাম আজলুনী: কাশফুল খাফা, ১ম খন্ড, ১৮৬ পৃঃ
★ ইমাম মােল্লা আলী: মওজুয়াতুল কোবরা, ৭২ পৃঃ
★ ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছান, ৯৮ পৃঃ

তাই ইমাম দায়লামী (রহ) প্রতি আস্থা রেখে ও অন্যান্য হাদিসের সমার্থক হিসেবে হাদিসটি গ্রহণ করা যায়, কেননা বুখারী শরীফেও এরূপ অনেক সনদবিহীন “তালিক হাদিস" রয়েছে যে গুলােকে মুছান্নিফের উপর নির্ভর করে গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও

♣ ইমাম ছাখাবী এই হাদিস সম্পর্কে বলেন:

“কিন্তু কোরআন ও সুন্নাহ দ্বারা এই হাদিস প্রমাণিত আছে।"
★ (ইমাম ছাখাবী: মাকাছিদুল হাছানা, ৯৮ পৃঃ)

♣ অনুরূপ ইমাম আলুনী (রহঃ) বলেছেন,
وقال بعض الحفاظ: لا يعرف هذا اللفظ مرفوعا, بل الذي لبت في الكتاب والسنة
“কোন কোন হাফিজ বলেছেন: মারফুভাবে এই হাদিস জানিনা। বরং ইহা পবিত্র কোরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত।"
★ (ইমাম আজলুনীঃ কাসফুল খাফা, ১ম খন্ড, ১৮৬)

আদম সৃষ্টির ১৪ হাজার বছর পূর্বেই তিনি নূর ছিলেন

বিভিন্ন রেওয়াত দ্বারা জানা যায়, আল্লাহর হাবীব রাসূলে পাক (ﷺ)
আল্লাহর দরবারে হযরত আদম (আঃ) সৃষ্টি হওয়ার ১৪ হাজার কিংবা ১ হাজার বছর পূর্বেই নূর হিসেবে ছিলেন। আর একথা সকলেই অবগত আছেন যে, পৃথিবীর ৫০ হাজার বছর অথবা ১ হাজার বছর সমান আখেরাতের মাত্র একদিন। চিন্তা করুন! রাসূল (ﷺ) আদম (আঃ) সৃষ্টি হওয়ার কত পূর্ব থেকেই নূর ছিলেন। ছহীহ সনদে এভাবে ইমাম বুখারী (রহঃ) এর উস্তাদ ইমাম আহমদ (রহঃ) উল্লেখ করেছেন,
حنا الحن قثنا أحمد بن المقدام المخلئ قثنا الفضيل بن عياض تنائوز بن يزيد، عن خالد بن معدان، عن زاذان، عن سلمان قال: سيف حبيبي رسول الله صلى الله عليه وسلم يول: مما أنا علي تورا بين يدي الله ع وجل، قبل أن يخلق آدم بأربعة عشر ألف عام، فلا خلق الله آدم تم ذلك الثور جزئين، جزء أنا،

“হজরত সালমান ফারছী (রাঃ) বলেন, আমার হাবীব রাসূল (ﷺ) কে বলতে শুনেছি: আমি ও আলী হজরত আদম (আঃ) সৃষ্টির ১ হাজার বছর পূর্বে আল্লাহর কাছে নূর হিসেবে ছিলাম। যখন আল্লাহ পাক আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করলেন তখন ঐ নূরকে দুইটি ভাগে ভাগ করলেন। একটি হলাে আমি এবং আরেকটি অংশ হল হজরত আলী (রাঃ)।”
★ ইমাম আহমদ: ফাবাইলে সাহাবা, ২য় খন্ড, হাদিস নং ১১৩০

এই হাদিসের রাবী
→ 'জাযান আবু আব্দুল্লাহ (রহঃ)' একজন বিশিষ্ট তাবেঈ।
→ তার থেকে ইমাম মুসলীম (রহঃ) তার ছহীহ গ্রন্থে হাদিস বর্ণনা করেছেন
এবং তাকেঃ
→ ইমাম ইবনে মাঈন (রহঃ)
→ ইমাম ইবনে সাদ (রহঃ)
→ ইমাম আজলী (রহঃ)
→ ইমাম ইবনে হিব্বান (রহঃ)
→ খতিবে বাগদাদী (রহঃ) বিশ্বস্ত বলেছেন।
তাছাড়াও -
♣ "আমি তার ব্যাপারে কোন অসুবিধা দেখিনা" ★ (ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৫৬৫)

♣ বর্ণনাকারী ‘খালিদ ইবনে মাদান' বুখারী-মুসলীমের রাবী।

♣ ছাওর ইবনু ইয়াজিদ' ছহীহ বুখারীর রাবী ও ইমামদের সকলেই তাকে বিশ্বস্ত সত্যবাদী বলেছেন।

♣ ফুঘাইল ইবনে আয়্যাদ বুখারী-মুসলীমের রাবী।

♣ বর্ণনাকারী ‘আহমদ ইবনে মিকদাম আল ইজলী' ছহীহ্ বুখারীর রাবী এবং ইমাম সকলেই তার উপর নির্ভর করেছেন ও বিশ্বস্ত বলেছেন।

♣ এই হাদিসের আরেকজন রাবী হলাে হাছান ইবনে আলী ইবনে রাশিদ ওয়াছেতী'।
তার ব্যাপারে হাফিজ ইবনু হাজার আসকালানী (রহঃ) উল্লেখ করেন:-
: قال اسلم بن سهل الواسطي بحشل: ثقة. وقال بن حبان مستقيم الحديث قال بن
عدي لم ار باحاديثه باسا وقال عبد الله بن المديني عن أيه ثقة
→ “আসলাম ইবনে সাহল ওয়াছেতী বাহুশলি বলেন: সে বিশ্বস্ত।
→ ইমাম ইবনে হিব্বান বলেন: সে হাদিস বর্ণনায় প্রতিষ্ঠিত।
→ ইমাম ইবনে আদী বলেন: তার বর্ণিত হাদিসে কোন অসুবিধা দেখিনা।
→ আব্দুল্লাহ ইবনে মাদানী তার পিতা হতে বর্ণনা করেন সে বিশ্বস্ত।"
★ (ইমাম আসকালানী: তাহজিবুত তাহজিব, রাবী নং ৫২৬)

♣ ইমাম যাহাবী (রহঃ) বলেন:
“শায়েখ ও বিশ্বস্ত।”
★ (ইমাম যাহাবী: আল মুগনী ফিদ দোয়াফা, রাবী নং ১৪৩৩)

♣ ইমাম যাহাবী অন্যত্র আরাে বলেন:
“সত্যবাদী এবং ইমাম বাহশাল (রহঃ) তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন।”
★ (ইমাম যাহাবী: আল কাশেফ, রাবী নং ১০৪৫)
♣ কাজী শাওকানী তার বর্ণিত একটি হাদিস সম্পর্কে বলেন,
- ورجاله رجال الصحيح إلا الحسن بن على بن راشد رقذ رفق.

বর্ণনাকারী সকলেই বিশুদ্ধ শুধু হাছান ইবনে আলী ইবনে রাশিদ ব্যতীত আর সে অবশ্যই বিশ্বস্ত।”
★(কাজী শাওকানী: নাইলুল আওতার, ৭ম খন্ড, ৪২ পৃ: ৩০৩১ নং হাদিসের ব্যাখ্যার)

♣ তার বর্ণিত হাদিস সম্পর্কে আল্লামা হাছান ইবনে আহমদ ছানআনী (রহঃ) বলেন:

- رواه أبو دارد ورجاله رجال الصحيح إلا الحسن بن علي بن راشد وقد وثق.
“ইমাম আবু দাউদ ইহা বর্ণনা করেছেন, এর বর্ণনাকারী সকলেই বিশুদ্ধ শুধু হাছান ইবনে আলী ইবনে রাশিদ ব্যতীত আর সে অবশ্যই বিশ্বস্ত।
★ (ফাতহুল গাফ্ফার, ৩য় খন্ড, ১৬০৮ পৃ: ৪৭৭৩ নং হাদিসের ব্যাখ্যায়)

♣ হাদিস শরীফে আছে,
قان قال: حدثنا يحيى بن آدم قال: حدثنا إسرائيل، عن ابي إسحاق
اخبرنا أحمد بن قال: كن حبي بن جنادة الشتوي قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: عي وئي، وأنا منه
-“হাবাসী ইবনে জুনাদা ছালুলী (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেছেন: আলী আমার থেকে আমি তার থেকে।”
★ ইমাম নাসাঈ: সুনানে কুবরা, হাদিস নং ৮০৯১;
★ মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১৭৫১১;
★ সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১১৯;
★ ইমাম তাবারানী: মুজামুল কবীর, হাদিস নং ৫১১;
★ মুসনাদে ইবনে আবী শায়বাহ, হাদিস নং ৮৪৪

অর্থাৎ আহলে বাইতের সবাই নবীর অংশ। যেমন এ বিষয়ে হাদিস শরীফে আছে। ইমাম আলী ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল মালেক হিমইয়ারী আল মারুফ আবুল হাছান ইবনে কাত্তান () ওফাত ৬২৮ হিজরী তদীয় কিতাবুল আহকাম' গ্রন্থে উল্লেখ করেন,
عن علي بن الحسين عن أبيه عن جده أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: كنت
،
نورا بين يدي ري قبل خلق آدم بأربعة عشر ألف عام
-“হজরত আলী ইবনে হুছাইন ইবনে আলী (রাঃ) তার পিতা ও দাদা সূত্র বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেন: আমি হজরত আদম (আঃ) সৃষ্টির ১৪ হাজার বছর পূর্বেই আল্লাহর কাছে নূর হিসেবে বিদ্যমান ছিলাম।”

★ ইমাম ইবনে কাতানঃ কিতাবুল আহকাম, ১ম খন্ড, ১৪২ ;
★ শরফুল মােস্তফা, ১ম খন্ড, ৩০৮
★ ইমাম কাস্তালানী: মায়াহেরুল্লাদুন্নিয়া, ১ম খন্ড, ৭২ পৃ:
★ ইমাম যুরকানী: শর মাওয়াহেব, ১ম খন্ড, ১৯৫ পৃঃ;
★ আনওয়ারে মুহাম্মদিয়া; কাশফুল খফা, ১ম খন্ড
★ সিরাতে হলবিয়া, ১ম খন্ড, ৪৭ পৃঃ;
★ তাফছিরে রুহুল বয়ান, ২য় খন্ড, ৪২৯
★ আশরাফ আলী থানভীঃ নশরুত্বিব, ২৬ পূঃ
★ আল্লামা শফী উকাড়বী (রহঃ) : জিকরে হাসীন, ৩০ পৃঃ

♣ ইমাম আলুনী,
♣ ইমাম ইবনে ছালেহী,
♣ ইমাম কাস্তালানী ও
♣ ইমাম মােহন আলী ক্বারী (রহঃ) সকলেই এভাবে হাদিসটি উল্লেখ করেছেন।
وفي أحكام ابن القطان فيما ذكره ابن مرزوق عن علي بن الحسين عن أبيه عن
"ইবনে কাত্তান তার আহকাম গ্রন্থে উল্লেখ করেন, যা ইবনে মারজুক (রহঃ) হজরত আলী ইবনে হুছাইন (রাঃ) এর পিতা ও দাদার সূত্রে উল্লেখ করেছেন।”
★ ইমাম আলুনী: কাশফুল খাফা
★ ইমাম কান্তালানী: মাওয়াহেবুলাদুন্নিয়া, ১ম খন্ড, ৯৪ পৃঃ;
★ ইমাম ইবনে ছালেহী: সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১ম খন্ড, ৬৯ পৃ:
★ ইমাম মােল্লা আলী: আল মাওরিদুর রাবী

♣ হাদিসটি মূলত ইমাম ইবনে মারজুক (রহঃ) এর কিতাবে সনদসহ রয়েছে। ইবনে মারজুক (রহঃ) এর সম্পূর্ণ নাম হল:
“আহমদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে কাশেম আল মিছরী র:”। তিনি ইবনে মারজুক (রহঃ) নামে প্রসিদ্ধ। তার ইন্তেকাল ৪১৮ হিজরী।"
★ ইমাম যাহাবী: সিয়ারে আলামিন নুবালা, রাবী নং ২৫৬

♣ আল্লামা হুছাইন ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাছান দিয়ারবকরী (রহঃ) (ওফাত ৯৬৬ হিজরী) তদীয় কিতাবে উল্লেখ করেন,
عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال كنت تورا بين يدي الله
عن ابن عباس تائی، قبل أن يخلق آدم بألني عام
-“হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) নবী করিম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, প্রিয় নবীজি (ﷺ) বলেছেন: আমি আদম (আঃ) সৃষ্টির ১ হাজার বছর পূর্বেও আল্লাহর কাছে নূর হিসেবে ছিলাম।”
★ (তারিখুল খামিছ, ১ম খন্ড, ২১ প)।

♣ হাদিসটি অন্যান্য কিতাবে এভাবেও রয়েছে,

ژوئه ورا بين يدي الله
وعن ابن عباس: أين التي صلى الله عليه وسلم، گائ تقالي، قبل أن يخلق آدم بألفي عام،
-“হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন: আল্লাহর রাসূল (ﷺ) এর রুহ মােবারক আল্লাহর কাছে আদম (আঃ) সৃষ্টির ১ হাজার বছর পূর্বে নূর হিসেবে ছিলেন।"

★ কাজী আয়াজ : শিফা শরীফ, ১ম জি: ১৮২ পৃ:
★ সিরাতে হালভিয়া, ১ম খন্ড, ৪৬ পৃঃ;
★ ইমাম ইবনে ছালেহী: সুবুলুল হুদা ওয়ার রাশাদ, ১ম খন্ড, ৬৯ পূ;
★ ইমাম ছিয়তী: খাছায়েদুল কুবরা, ১ম খন্ড, ৬৬ পৃঃ;
★ শরফুল মুস্তফা, ১ম খন্ড, ৩০৪ পৃঃ

♣ শারিহে বুখারী আল্লামা ইমাম কাস্তালানী (রহঃ) আরেকটি হাদিস উল্লেখ করেন,
আলমে আরওয়াহ এর জগতে হজরত আদম (আঃ) এর সামনে সকলের রুহ উপস্থিত করার পরে একজন নৃরে খুব চমকাচ্ছিল। তখন বাবা আদম (আ&) জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহ ঐ লােকটি কে? এর জবাবে আল্লাহ তা'লা বলেন:
هذا نور نی من ذريتك اسمه في السماء أحمد، وفي الأرض محمد، لولاه ما خلقتك ولا خلقت سماء ولا أرضا
-“তিনি নূরের নবী তােমার বংশধরের একজন, আসমান জগতে তার নাম আহমদ এবং জমীনে তার নাম মুহাম্মদ। আমি যদি তাঁকে সৃষ্টি না করতাম তাহলে তােমাকেও বানাইতাম না, এমনকি আসমান-জমীনও বানাইতাম না।"

★ ইমাম কাস্তালানী: মাওয়াহেবুলাদুন্নিয়া, ১ম খন্ড, ৭০ পূঃ
★ শরহে যুরকানী, ১ম খন্ড, ৮৬ পৃঃ

♣ এ বিষয়ে আরেকটি ছহীহ্ রেওয়াত উল্লেখ করছি,
حدثني محمد بن صالح بن ماني، ثنا أبو سهل بشر بن سهل الباد، ثنا عبد الله بن صالح المصري، حدثني معاوية بن صالح، عن سعيد بن شوي، عن عبيد الأغلى بن هلال، عن عرباض بن سارية، صاحب رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم
شول الله، صلى الله عليه وآله وسلم، يثول: إلي عبد الله واثم
قال: يغ التبيين- وإن أم رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم رأت حين وضعته تورا أضاءت له صور الام
-“হজরত ইরবাজ ইবনে ছারিয়া (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলে পাক (ﷺ) কে বলতে শুনেছি, আমি আল্লাহর বান্দা এবং শেষ নবী। নিশ্চয় রাসূল (ﷺ) এর আম্মাজান যখন তাঁকে ভূমিষ্ঠ করেন তখন দেখেছেন এমন নূর বের হচ্ছেন, যার ফলে শাম দেশের বড় অট্টালিকা গুলো আলােকিত হয়ে গেছে।”
★ মুস্তাদরাকে হাকেম, ৪র্থ খন্ড, ১৪৭৫ পৃ: হাদিস নং ৩৫৬৬;
★ তিরমিজি শরীফ, ২য় জি: ২০৩ প
★ মাদারেজুন্নবুয়্যাত, ১ম খন্ড ৭ ;
★ মেসকাত শরীফ, ৫১৩ পৃঃ
★ ইমাম বায়হাকীঃ শুয়াইবুল ঈমান, হাদিস নং ১৩২২;
★ ইমাম তাবারানী: মুসনাদে শামেঈন, হাদিস নং ১৯৩৯;
★ ইমাম মােল্লা আলী: মেরকাত শরহে মেসকাত, ১০ম খন্ড, ৪৩৯ পূ;
★ ইমাম বায়হাকী দালায়েলুন্নবুয়াত, ২য় খন্ড, ৯০ পৃঃ;
★ ইমাম কাস্তালানী: মাওমাহেবুল্লাদুনিয়া, ১ম খন্ড, ৭২ পৃঃ;
★ ইমাম সুয়ূতী: খাছায়েসুল কোবরা;
★ মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং ১৭১৫১;
★ ইমাম তাবারানী: মুজামুল কবীরে ও মুজামুল আওছাতে, ৩য় খন্ড, ১৫৮
★ ইমাম বগভী: শরহে সুন্নাহ, ১ম খন্ড, ২০৭

♣ এই হাদিস সম্পর্কে ইমাম হাকেম (রহঃ) ও ইমাম যাহাবী (রহঃ) বলেছেন,
“এই হাদিসের সনদ ছহীহ।”
★ (মুস্তাদরাকে হাকেম, ৪র্থ খন্ড, ১৪৭৫ পৃ: হাদিস নং ৩৫৬৬)

♣ এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা হাফিজ ইবনে হাজার আসকালানী বলেন,

. أخرجه أحمد وصححه بن حبان والحاكم وفي حديث أبي أمامة عند أحمد نحوه
→“ইমাম আহমদ (রহঃ) ইহা বর্ণনা করেছেন, ইবনে হিব্বান (রহঃ) ও ইমাম হাকেম (রহঃ) হাদিসটিকে ছহীহ বলেছেন।
→ হজরত আবু উমামা (রাঃ) থেকেও অনুরূপ হাদিস বর্ণিত রয়েছে।"
★ (ইমাম আসকালানী: ফাতহল বারী শরহে বুখারী, ৬ষ্ঠ খন্ড, ৫৮৩ পৃ: ‘আলামাতে নবুয়াত ফিল ইসলাম' বাবে)।

♣ এই হাদিস সম্পর্কে দালায়েলুন্নবুয়াত কিতাবের হাশিয়ায় আছে,
“এই হাদিসের সনদ ছহীহ।"

♣ এমনকি নাছিরুদ্দিন আলবানীও হাদিসটিকে ছহীহ বলেছেন। (তালিকাত হাহান ছহীহ ইবনে হিব্বান)

♣ এই হাদিস সম্পর্কে আল্লামা ইমাম হায়ছামী (রহঃ) বলেন,
أكد انيي أحمد رجاله رجال الصحيح، غير سعيد بن شويد وقد وثقه ابن
چبان
→“ইমাম আহমদ (রহঃ) এর একটি সনদের সকল রাবীগণ বিশুদ্ধ, তবে সাঈদ ইবনে সুয়াইদ ব্যতীত। অবশ্যই ইবনে হিব্বান (রহঃ) তাকে বিশ্বস্ত বলেছেন।”
★(ইমাম হায়হামী: মজমুয়ায়ে জাওয়াইদ, হাদিস নং ১৩৮৪৭)

→ এখানে 'সাঈদ ইবনে সুয়াইদ’ হচ্ছে "সাঈদ ইবনে সুমাইদ কালবী"।

♣ ইমাম ইবনে হিব্বান (রহঃ) তাকে বিশ্বস্তদের অন্তর্ভূক্ত করেছেন।
★ (ইমাম ইবনে হিব্বান: কিতাবুছ মিকাত: রাবী নং ৮১০৭)।

♣ ইমাম বুখারী (রহঃ) তার সম্পর্কে ‘তারিখুল কবীরে (রাবী নং ১৫৯৩) কোন সমালােচনা করেননি। বরং তার পরবর্তী নামে আরেকজন রাবী রয়েছে (রাবী নং ১৫৯৪) তার সম্পর্কে তিনি বলেছেন:-
“তার অনুস্বরণ করা যাবেনা।"
দুঃখের বিষয় হল, অনেকে ভুল বশত সাঈদ ইবনে সুয়াইদ' এর অভিযােগ সাঈদ ইবনে সুয়াইদ কালবী’ এর উপর বর্তাচ্ছেন।

 
Top