দরূদে জুমুয়া

صل الله على النبى الامى  واله وصلى الله عليه وسلم صلوة وسلاما عليك يارسول الله-

ফজিলত:  এ দরূদশরীফকে অধিকাংশ উলামায়ে কেরামগণ দরূদে রেজভীয়া বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ জন্য যে আ’লা হযরত ইমাম  আহমদ রেজা খাঁন বেরলভী আলাইহির রহমত মখতছর   তিনটি দরূদশরীফকে একত্রে তারতীব দিয়েছেন। যে ব্যক্তি এ দরূদশরীফকে এক মরতবা পাঠ করবে প্রকৃতপক্ষে তিন মরতবা দরূদশরীফ পাঠ  করার সওয়াবের অধিকারী হবে। (আল অজিফাতুল কারীমা)

জুমুয়ার নামায আদায় করার পর মদিনাশরীফের দিকে মুখ  করে আল্লাহর হাবিব  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হাজির ও নাজির ঈমান রেখে নামাযের ন্যায় হাত বেধে দাঁড়িয়ে একশতবার এ দরূদশরীফ পাঠ করবেন।  কয়েকজন একত্রিত হয়ে জামায়াত সহকারে দরূদশরীফ পাঠ করলে অধিক সওয়াবের অধিকারী হবেন।

সুনানে কুবরা, বায়হাকী ৩য় জিল্দ ২৪৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে,
عن انس قال قال رسول الله صلى الله عليه  وسلم اكثروا الصلوة على يوم الجمعة وليلة الجمعة فمن صلى على صلوة صلى الله عليه عشرا-

‘হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি  ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, তোমরা জুমুয়ার দিন ও রাতে আমার প্রতি বেশি পরিমাণে দরূদশরীফ পাঠ কর। যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরূদশরীফ পাঠ   করবে, আল্লাহপাক তার    প্রতি দশটি রহমত নাজিল করবেন।’

দরূদেতাজ
======
اللهم صل على سيدنا ومولانا محمد صاحب التاج والمعراج والبراق والعلم- دافع البلاء  والوباء والقحط والمرض والالم-اسمه مكتوب مرفوع مشفوع منقوش  فى اللوح والقلم- سيد العرب والعجم- جسمه مقدس معطر مطهر منور فى البيت والحرم- شمس الضحى بدر الدجى صدر العلى نور الهدى كهف الورى مصباح الظلم- جميل الشيم- شفيع  الامم- صاحب الجود والكرم- والله عاصمه وجبريل خادمه والبراق  مركبه والمعراج سفره وسدرة المنتهى مقامه وقاب قوسين مطلوبه والمطلوب مقصوده والمقصود موجوده سيد المرسلين  خاتم النبين شفيع المذنبين انيس الغريبين رحمة للعلمين راحة العاشقين مراد المشتاقين شمس العارفين سراج السالكين مصباح المقربين محب الفقراء والغراباء والمساكين سيد الثقلين نبى الحرمين امام القبلتين وسيلتنا فى الدارين صاحب قاب قوسين محبوب رب المشرقين والمغربين جد الحسن والحسين مولانا ومولى الثقلين ابى القاسم محمد بن عبد الله نور من نور الله- يا  ايها المشتاقون بنور جماله صلوا عليه وسلموا تسليما-

দরূদে তুনাজ্জিনা
==========
اللهم صل على سيدنا محمد صلوة تنجينا بهامن جميع الاهوال والافات وتقضى لنا بها جميع الحاجات وتطهرنا بها من جميع السيئات وترفعنا بها عندك على الدرجات وتبلغنا بها اقصى الغايات من جميع الخيرات فى الحيوة وبعد الممات انك على كل شئ قدير-

ফজিলত : দালাইলুল খাইরাতের শরাহ ‘মানাহিজুল হাছানাত’ নামক  কিতাবে রয়েছে ইবনে ফাকেহানী স্বরচিত ‘ফজরে মুনির’ কিতাবে উল্লেখ করেছেন যে, শায়খ সালেহ মুসা নামী একজন দৃষ্টিহীন বুজুর্গ ব্যক্তি ছিলেন, তিনি   আমার নিকট একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন, একদিন একটি  জাহাজ ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এ জাহাজে আমি নিজেই ছিলাম। তন্দ্রাবস্থায় আমি  হঠাৎ দেখলাম, হুজুর  পুরনুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এ দরূদশরীফ শিক্ষা দিলেন এবং আমাকে নির্দেশ দিলেন, জাহাজে অবস্থানকারী ব্যক্তিগণ যেন একহাজার  মর্তবা এ দরূদশরীফ পাঠ করে নেয়। মাত্র তিনশ মরতবা এ দরূদশরীফ পাঠ করতে না করতেই জাহাজটি খোদার মর্জিতে বিপদ থেকে মুক্তি পেল। (আমালে রেজা)


দরূদে নূরী
======
اللهم صل صلاة  كاملة وسلم سلاما تاما على سيدنا ومولنا محمدن الذى تنحل به العقد وتنفرج به الكرب وتقضى به الحوائج  وتنال به الرغائب وحسن الخواتم- ويستسقى الغمام بوجهه الكريم وعلى اله وصحبه فى كل لمحة ونفس بعدد كل معلوم لك يا الله-

ফজিলতঃ  মুশকিলাত বা কঠিন সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এ দরূদশরীফের আমল  পরীক্ষিত। কোন জায়েয (বৈধ) মকসুদ  পূর্ণ হওয়ার  জন্যে একাধারে এশার   নামাযের পর ২১ দিন পর্যন্ত একশবার করে পাঠ করলে ইনশায়াল্লাহ নেক মকসুদ পূর্ণ হবে।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের পর অজিফা পাঠ, বিশেষ করে এশার নামাযের পর মদিনাশরীফের দিকে মুখ করে তা’জিমের সাথে নবীকে হাজির ও নাজির ঈমান রেখে ১০০ বার দরূদ পাঠ
=======
১. ফজরের নামাযের পর لا اله الا الله  الملك الحق المبين একশত বার
২. জুহরের নামাযের পর ৫০০ বার অথবা ২৫ বার পাঠ করবেনحسبى الله ونعم الوكيل
৩. আসরের  নামাযের পর তাসবিহে ফাতেমি পাঠ করবেন। ৩৩বার সুবহানাল্লাহ,  ৩৩বার আলহামদু লিল্লাহ, ৩৩বার আল্লাহু আকবার। একবার- لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شئ قدير
৪. মাগরিবের নামাযের পর কালেমায়ে তামজিদ পাঠ করবেন পাঁচশত বারسبحان الله والحمد لله
৫. এশার নামাযের পর যে কোন দরূদশরীফ একশত বার পাঠ করবেন।

প্রত্যেহ এশার নামাযের পরে মদিনা মুনাওয়ারার দিকে মুখ করে  আল্লাহর  হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুরত মোবারককে حاضر ও ناظر ‘হাজির ও নাজির’ ঈমান রেখে আদবের সঙ্গে  বসে অথবা দাঁড়িয়ে যে কোন  দরূদশরীফ একশতবার পাঠ করবেন। এ আমল অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং বরকতময়।

দলিল
ত্রয়োদশ শতাব্দীর দ্বাদশ মুজাদ্দিদ শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভী আলাইহির রহমত (ওফাত ১২৩৯ হিজরি) তদীয় فتاواى عزيزى ‘ফাতাওয়ায়ে আজিজিয়া’ নামক কিতাবের প্রথম জিলদের ১৭২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন,
بعداز نماز  عشاء درود بہر صیغہ کہ باشد صد بار متوجہ بسمت  مدینہ منورہ شدہ واستحضار صورت مبارک پیغمبر صلی اللہ علیہ وسلم نمودہ باید خواند-

মুদ্দাকথা হলো সদাসর্বদা সালাত ও সালাম পাঠ করার অভ্যাস করে নিতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে এ বিশ্বাসও রাখতে হবে যে, আল্লাহতা’য়ালা তাঁর হাবিবকে এ  ক্ষমতাও দান করেছেন,  হাবিবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খোদা প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উম্মতের দরূদ ও সালাম নিজ কান মোবারক দ্বারা শুনছেন এবং চক্ষু মোবারক দ্বারা দেখছেন।

এ প্রসঙ্গে মিশকাত শরীফের ৬৯/৭০ পৃষ্ঠায় হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আইশ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে, আল্লাহর  হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই এরশাদ করেন,

رأيت ربى عز وجل فى احسن صورة قال فيم تختصم الملا الاعلى قلت انت اعلم قال فوضع كفه بين كتفى فوجدت بردها بين ثديى فعلمت ما  فى السموات والارض وتلا وكذالك نرى ابراهيم ملكوت السموات والارض وليكون من الموقنين (رواه الدارمى مرسلا وللترمذى نحوه عنه الخ-)

উপরোক্ত হাদিসশরীফের ব্যাখ্যায় আল্লামা শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী আলাইহির রহমত তদীয় اشعة اللمعات ‘আশিয়াতুল লুমআত’ নামক কিতাবের ১/৩৩৩ পৃষ্ঠায় বিশদভাবে  বর্ণনা করেছেন। হাবিবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই এরশাদ করেন, ‘আমি  আল্লাহতা’য়ালাকে احسن صورة অতি উত্তম সুরতে অর্থাৎ উত্তম সিফাতে দেখেছি (কারণ আল্লাহ নিরাকার) আল্লাহতা’য়ালা আমাকে প্রশ্ন করলেন এ  কেমন আমল যে আমল সম্পর্কে ফেরেশতাগণ পরস্পর কথাবার্তা বলছেন? উত্তরে আমি বললাম قلت انت اعلم এ ব্যাপারে আপনিই ভাল জানেন।

قال فوضع كفه بين كتفى فوجدت بردها بين ثديى

হাবিবে খোদা বলেন, অতঃপর আল্লাহতা’য়ালা তাঁর সিফাতে কাইয়ুমিয়ার তজল্লী আমার দু’কাধের মধ্যবর্তী স্থানে রাখলেন।  এর দ্বারা  আমি নিজ বক্ষে এর শীতলতা অনুভব করলাম।

আল্লাহর হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের  পবিত্র কলবে এ ফয়েজের প্রভাব প্রতিফলিত হওয়া এবং কলবশরীফে শীতলতা  অনুভবের অর্থ হলো আল্লাহ তা’য়ালার পক্ষ থেকে ব্যাপক ফয়েজ, বরকত ও ইলিম অর্জনের রাস্তা উম্মুক্ত হয়ে যাওয়ার পরক্ষণেই বললেন,
فعلمت ما فى السموات والارض-
অর্থাৎ ‘অতঃপর সপ্তআকাশ ও সপ্তজমিনে যা কিছু  রয়েছে, সবকিছু আমি অবগত হয়ে গেলাম।’

আল্লামা শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী আলাইহির রহমত বলেন,
پس دانستم ہرچہ در آسمان ھا وہرچہ در زمین بود عبارت است از حصول تمامۂ علوم جزوی وکلی واحاطۂ آن-

এ এবারত দ্বারা প্রমাণিত হয়ে গেল ছোট থেকে ছোট এবং বড় থেকে বড় সবকিছুর জ্ঞান মাহবুবে মতলক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাপ্ত হয়েছেন এবং ঐ সবকিছু তাঁর আয়াত্বাধীনে রয়েছে।

আল্লাহর  হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এবং সপ্তআকাশ ও সপ্তজমিনের যাবতীয় ইলিম অর্জন করা যে তাঁর পক্ষে  সম্ভব তা প্রমাণ করার জন্য দলিলরূপে এ আয়াতে  কারীমা তেলাওয়াত করলেন,
وكذالك نرى ابراهيم ملكوت السموات والارض وليكون من الموقنين- )سورة انعام(

এমনিভাবে আমি হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামকে সপ্তআকাশ ও  সপ্তজমিনের মালাকুত বা  আশ্চর্য নিদর্শনাবলি ও সূক্ষ্মতম বস্তুসমূহকে দেখিয়েছি যেন ইব্রাহিম আলাইহিস  সালাম আল্লাহ তা’য়ালার যাত, সিফাত ও একত্ববাদ এর অজুদের প্রতি একিন বা দৃঢ় বিশ্বাসকারীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যান।

(وليكون من الموقنين- تاآنکہ گردد ابراھیم از یقین کنندگان بوجود ذات وصفات)

উপরোক্ত দলিলভিত্তিক আলোচনার দ্বারা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হলো, যেহেতু আল্লাহতা’য়ালা হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালামকে সপ্তআকাশ  ও সপ্তজমিনের নিদর্শনাবলি দেখিয়েছেন  এবং ইব্রাহিম আলাইহিস সালামও খোদাপ্রদত্ত ক্ষমতাবলে দেখলেন, দেখতে রইলেন, এ  দেখার ক্ষমতাতো আল্লাহপাকই দান করলেন। এমনিভাবে  আল্লাহপাক তাঁর হাবিবকে উম্মতের সালাত ও সালাম নিজ কান মোবারক দ্বারা শ্রবণ করার ক্ষমতা দান করেছেন। সুতরাং আল্লাহর হাবিব উম্মতের  সালাত ও সালাম শুনেন  এবং তাদেরকে দেখেন, এ হলো খোদাপ্রদত্ত ক্ষমতা।

সে প্রেক্ষাপটে শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভী আলাইহির রহমত এক চমৎকার আমল তরিকতপন্থী মুসলমানগণকে তা’লিম প্রদান করলেন,

এশার নামাযের পর আল্লাহর  হাবিবকে হাজের ও নাজের ঈমান  রেখে, মদিনা মুনাওয়ারার দিকে মুখ করে একশত বার দরূদশরীফ পাঠ করবেন সকল সুন্নি মুসলমান।

আল্লাহর হাবিব যে উম্মতের কাছে হাজির সে প্রসঙ্গে আল্লামা শেখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী আলাইহির রহমত তদীয় مدارج النبوة  ‘মাদারিজুন নবুয়ত’ কিতাবের ১/৩১০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন,
وما ارسلناك الا شاهدا اى عالم  وحاضر بحال امت وتصديق وتكذيب ونجات وهلاكت-
ভাবার্থ: আল্লাহ তা’য়ালার  কালাম- وما ارسلناك الا شاهدا হে আমার হাবিব আমি আপনাকে ‘শাহিদ’ অর্থাৎ উম্মতের সকল অবস্থার সম্মন্ধে অবগত জ্ঞানী এবং উম্মতের সর্বাবস্থায় হাজির, উম্মতের মধ্যে  কারা সত্যবাদী এবং কারা মিথ্যাবাদী,  কারা নাজাতপ্রাপ্ত এবং  কারা হালাকত বা ধ্বংসের মধ্যে আছে, এ সম্মন্ধে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আপনাকে প্রেরণ করেছি। আয়াতে কারীমার অর্থ হলো  হে আমার  হাবিব আপনাকে আমি উম্মতের জন্য হাজের ও নাজির করে প্রেরণ করেছি।

ক. আল্লামা ইমাম রাগেব ইস্পাহানি আলাইহির রহমত (ওফাত ৫০২  হিজরি) তদীয়- مفردات  راغب ‘মুফরাদাতে রাগিব’ নামক কিতাবের ২৬৭  পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন,
الشهود والشهادة الحضور مع المشاهدة  اما بالبصر اوبالبصيرة-
ভাবার্থ: شهود  ‘শুহুদ’ ও شهادت ‘শাহাদাত’ এর অর্থ হচ্ছে, ঘটনাস্থলে  প্রত্যক্ষভাবে দেখার সাথে সাথে হাজির বা উপস্থিত থাকা।

اما بالبصر আল্লাহর হাবিব খোদা প্রদত্ত ক্ষমতা বলে নিজ চোখ মোবারক দ্বারা বাহ্যিক সবকিছু দেখেন এবং بصيرة ‘বাছিরা’  দ্বারা প্রত্যেক বস্তুর হাকিকত এবং বাতিনের সবকিছু দেখেন।

البصيرة  قوة للقلب المنور بنور القدس ترى حقائق الاشياء وبواطنها- (زرقانى)
অর্থাৎ ‘বাছিরা’ হলো নূরানী কলবের একটা পাওয়ার বা ক্ষমতা যা আল্লাহতা’য়ালা তাঁর হাবিব  মোহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়াসাল্লামকে দান করেছেন। যা দ্বারা হাবিবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবকিছুর হাকিকত এবং বাতেনি বস্তুসমূহ দর্শন করে থাকেন। (জারকানী ১/১৫ পৃষ্ঠা)

খ. بحر الرائق ‘বাহরুর রায়েক’ নামক কিতাবের সপ্তম জিলদের ৫৫ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে,

ان الشهادة اسم من المشاهدة  وهى الاطلاع على الشئ عيانا فتشترط فى الاداء ما يبنى عن المشاهدة-
অর্থাৎ ‘শাহাদত’ শব্দটি ‘মুশাহাদাহ’ হতে গঠিত। আর মুশাহাদাহ হলো কোন বস্তুকে চাক্ষুস দেখে এ বিষয়ে অবগতি অর্জন করা। এজন্য  সাক্ষ্য প্রদানে স্বচক্ষে দর্শন যুক্ত করা হয়েছে।

গ.  المنجد ‘আল মনজিদ’ নামক অভিধানের ৪০৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে,
والشهيد الذى لايغيب شئ من علمه الشاهد الذى يخبربما شهده-
অর্থাৎ ‘সমূহবস্তুর জ্ঞান যার আছে তাকে شهيد ‘শাহীদ’ বলা হয়ে থাকে। আর যিনি দেখে দেখে সাক্ষ্য প্রদান করে থাকেন তাকে شاهد ‘শাহিদ’ বলা হয়ে থাকে।’

মুদ্দাকথা  হলো নূর নবী সাল্লাল্লাহু  আলাইহি  ওয়াসাল্লামকে হাজির ও নাজির ঈমান রেখে দরূদ ও সালাম প্রেরণ করলে এর পূর্ণ ফয়ুজাত নসিব হবে।

 
Top