ইবনে বতুতার কিতাবে পবিত্র মক্কা মদিনায় ঈদে মিলাদুন্নবী পালন

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">ঐতিহাসিক ও বিশ্বপরিব্রাজক ইবনে বতুতা (জন্ম ৭০৩ হিজরী- ৭৭৯ হিজরী) তিনি স্বীয় চোখে পবিত্র মক্কা শরীফে মহাসমারোহে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন হতে দেখেছেন। তিনি বর্ণনা করেন,<br /><br />قاضى مكة العالم الصالح العابد نجم الدين محمد الامام العالم محيى الدين الطبرى رحمة الله عليه وهو فاضل كثير الصدقات والمواساة للمجاورين حسن الأخلاق كثير الطواف والمشاهدة للكعبة الشريفة يطعم الطعام الكثير فى المواسم المعظمة وخصوصاً فى مولد رسول الله صلى الله عليه وسلـم فانه يطعم فيه شرفاء مكة وكبراءها وفقراءها وخدام الحرم الشريف وجميع المجاورين وكان سلطان مصر الملك الناصر رحمة الله عليه يعظمه كثيراً وجميع صدقاته وصدقات امرائه تجرى على يديه<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgxLqmDfHPcQnp2_htFDcMik_O5wajnxErlKA5Nj1XDD8Af468n3DDtnnYJMj5PcULWz0ffroA7t6WCr7k3NwO7DBf9uRArb5b02_Y_xeqefBzsaN9rLSOuD1dMlBazqJ0aeJEjQdn7juch/s1600/FB_IMG_1543564973521.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="960" data-original-width="1217" height="252" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgxLqmDfHPcQnp2_htFDcMik_O5wajnxErlKA5Nj1XDD8Af468n3DDtnnYJMj5PcULWz0ffroA7t6WCr7k3NwO7DBf9uRArb5b02_Y_xeqefBzsaN9rLSOuD1dMlBazqJ0aeJEjQdn7juch/s320/FB_IMG_1543564973521.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />অর্থ: পবিত্র মক্কা শরীফ উনার সম্মানিত কাজী বা বিচারক নাজমুদ্দীন মুহম্মদ ইবনে ইমামুল আলম মুহিউদ্দীন আত্ব-ত্বিবরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হলেন একজন নেককার, ইবাদতগুজার আলিম। তিনি হলেন সম্মানিত, অধিক দানশীল, প্রতিবেশীদের জন্য সমব্যাথী বা সাহায্যকারী, উত্তম চরিত্রের অধিকারী, সম্মানিত কা’বা শরীফ উনার অধিক তাওয়াফকারী ও পর্যবেক্ষণকারী। তিনি (উক্ত কাজী বা বিচারক) বিভিন্ন মওসুমে, বিশেষ করে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান বিলাদত শরীফ এর সময় তিনি (মানুষকে) প্রচুর পরিমাণে খাদ্য খাওয়াতেন। এ বরকতময় সময়ে তিনি পবিত্র মক্কা শরীফ উনার সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ, নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, ফক্বীর-ফুক্বারা, সম্মানিত হেরেম শরীফের খাদিমবর্গ এবং পবিত্র মক্কা শরীফের অধিবাসী ও অসহায় ব্যক্তিদের প্রচুর পরিমাণে খাদ্য খাওয়াতেন।<br />আর মিশরের সুলতান মালিক নাছিরুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র মক্কা শরীফের উক্ত সম্মানিত কাযীকে অধিক সম্মান করতেন এবং তিনি সমস্ত দান-সদক্বা ও অধীনস্থ আমীর-উমারাগণের সমস্ত দান-সদক্বা উনার হাতে অর্পণ করতেন। (রিহলাতু ইবনে বতুতা: ১৬৯ পৃষ্ঠা)<br /><br />যারা আজ বলে থাকে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন নতুন আমল। তারা মক্কা শরীফে পালনের এ দলীলকে কি বলবে? ঐ সময়ে পবিত্র মক্কা শরীফের অধিবাসীদের বিদয়াতী বলবে?</div>

ইবনে বতুতার কিতাবে পবিত্র মক্কা মদিনায় ঈদে মিলাদুন্নবী পালন

ঐতিহাসিক ও বিশ্বপরিব্রাজক ইবনে বতুতা (জন্ম ৭০৩ হিজরী- ৭৭৯ হিজরী) তিনি স্বীয় চোখে পবিত্র মক্কা শরীফে মহাসমারোহে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন হতে দেখেছেন। তিনি বর্ণনা করেন,قاضى مكة العالم الصالح العابد نجم الدين محمد الامام العالم محيى الدين الطبرى رحمة الله عليه و…

Read more »

সদকার ফযীলত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁<br />*সদকার ফযিলত সম্বলিত প্রিয় নবী করিম ﷺএর আটটি বাণী-----*<br />🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻<br />১, *সদকা অমঙ্গলের ৭০টি দরজা বন্ধ করে দেয়।(আল মু'জামুল কবীর,৪/২৭৪,হাদীস নং-৪৪০২)*<br />🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀<br />*২,প্রত্যেক ব্যক্তি(কিয়ামতের দিন)নিজের সদকার ছায়ায় থাকবে,এমনকি মানুষের মাঝে ফয়সালা করে দেয়া হবে।।(আল মু'জামুল কবীর,১৭/২৮০,হাদীস নং-৭৭১)*<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgqHp0bzSZpAL1P1ru0ghE27u_ogJKFSbmiwFBHOIzvt9OboF6rfhqp4KkHchQOE_8bRvb4TFFogCq17Pf4CShqlWQPXjjv4riWyL2U-1ylvbXzzjrLdJ0xRU07FGuJZCuMN6VW3ShjEC_N/s1600/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="144" data-original-width="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgqHp0bzSZpAL1P1ru0ghE27u_ogJKFSbmiwFBHOIzvt9OboF6rfhqp4KkHchQOE_8bRvb4TFFogCq17Pf4CShqlWQPXjjv4riWyL2U-1ylvbXzzjrLdJ0xRU07FGuJZCuMN6VW3ShjEC_N/s1600/3d841e08a37a2713ef5af7e52749c5c2.jpg" /></a></div><br />🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀<br />*৩, নিশ্চয় সদকা প্রদানকারীকে সদকা কবরের গরম (উষ্ণতা) থেকে  রক্ষা করবে এবং নিঃসন্দেহে মুসলমান কিয়ামতের দিন নিজ সদকার ছায়ায় থাকবে..(শুয়াবুল ঈমান,বাবুয যাকাত,৩/২১২,হাদীস নং-৩৩৪৭)*<br />🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀<br />*৪,নামাজ হলো(ঈমানের) দলিল এবং রোজা হলো গুনাহের ঢাল স্বরুপ আর সদকা গুনাহকে এইভাবে মিটিয়ে দেয় যেমনি ভাবে পানি আগুনকে।।(তিরমিযী,আবওয়াবুস সফর,বাবু  মা যিকরে ফি ফদলুস সালাত,২/১১৮,হাদীস নং -৬১৪)*<br />🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀<br />*৫,ভোরে সদকা করো,কেননা বিপদাপদ সদকার আগে কদম বাড়ায় না।।(শুয়াবুল ঈমান,বাবু ফিয যাকাত,৩/২১৪,হাদীস নং-৩৩৫৩)*<br />🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀<br />*৬,নিশ্চয় মুসলমানের সদকা বয়স বৃদ্ধি করে এবং মন্দ মৃত্যুকে প্রতিরোধ করে আর আল্লাহ তায়ালা এর বরকতে সদকা প্রদানকারী থেকে অহংকার ও গর্ব(মন্দ স্বভাব)দূর করে দেয়।(আল মু'জামুল কবীর,১৭/২২,হাদীস নং ৩১)*<br />🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀<br />*৭,যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য সদকা প্রদান করে,তবে তা(সদাকা)তার এবং আগুনের মধ্যখানে পর্দা হয়ে যায়।।(মু'জামুয যাওয়ায়িদ,কিতাবুল যাকাত,বাবু ফদলুস সদকাতি,৩/২৮৬ হাদীস নং ৪৬১৭)*<br />🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀<br />*৮,নিশ্চয় সদকা রব তায়ালার গযবকে প্রশমিত করে এবং মন্দ মৃত্যুকে প্রতিরোধ করে।।(তিরমিযী,কিতাবুল যাকাত,বাবু মা'জা ফি ফদলুস সদকাত,২/১৪৬,হাদীস নং ৬৬৪)*<br /><br /></div>

সদকার ফযীলত

🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁🍁*সদকার ফযিলত সম্বলিত প্রিয় নবী করিম ﷺএর আটটি বাণী-----*🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻🌻১, *সদকা অমঙ্গলের ৭০টি দরজা বন্ধ করে দেয়।(আল মু'জামুল কবীর,৪/২৭৪,হাদীস নং-৪৪০২)*🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀🍀*২,প্রত্যেক ব্যক্তি(কিয়ামতের দিন)নিজের সদকার ছায়ায় থাকবে,এমনকি মানুষের মাঝে ফয়সালা করে দেয়া হবে।।(আল মু'জামুল কবীর,১৭…

Read more »

কোরআন সুন্নাহের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">কুরআন-সুন্নাহের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপন<br />----------------------------<br /><br />রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার আগমনের দিন কেবল মুসলমান নয়, সৃষ্টিজগতের সকলের জন্য আনন্দ ও রহমতের দিন। আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদে ইরশাদ করেন- وما أرسلناك إلا رحمة للعالمين  “আমি আপনাকে জগতসমূহের রহমত স্বরূপ প্রেরণ করেছি।”(আল-কুরআন, সূরা: আম্বিয়া, আয়াত নং-১০৭) সারা বিশ্বের মুসলিমগণ অত্যন্তভক্তি ও মর্যাদার সাথে রবিউল আউয়াল মাসে ঈদে মিলাদুন্নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন করে থাকেন। কিন্তু এক দল আলেম এটিকে অবৈধ ও বিদয়াতে সাইয়্যিাহ (মন্দ বিদআত) বলে অপপ্রচার করছে। অথচ এটি একটি শরিয়ত সম্মত পুণ্যময় আমল, যা কুরআন, সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। অত্র প্রবন্ধে এটি শরিয়ত সম্মত হবার বিষয়ে পবিত্র কুরআন ও হাদিসের আলোকে তোলেধরার প্রয়াস পেয়েছি।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgVD6uJkb-og1CrFslAF9n1sQbCzCz_5gCIRAvjgzwwZyLlU4OPWqC7TJ2cqsGm8QczekB6qS7zS3AyWzieqFLfjMLLbl7jVURFAu07En_I-WNjoFjx7nrnQ5y2El51eTHQYsbeWeUDAJco/s1600/FB_IMG_1542039040277.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="1600" data-original-width="1036" height="320" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgVD6uJkb-og1CrFslAF9n1sQbCzCz_5gCIRAvjgzwwZyLlU4OPWqC7TJ2cqsGm8QczekB6qS7zS3AyWzieqFLfjMLLbl7jVURFAu07En_I-WNjoFjx7nrnQ5y2El51eTHQYsbeWeUDAJco/s320/FB_IMG_1542039040277.jpg" width="207" /></a></div><br />১. ঈদে মিলাদুন্নবি পরিচিতি:<br />ক.শাব্দিক পরিচয়:<br />‘ঈদে মিলাদুন্নবি’ শব্দটি যৌগিক শব্দ। যা তিনটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত । এক. ঈদ দুই. মিলাদ তিন. নবি।                                                                                                 প্রথমত: ঈদ শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ উৎসব, আনন্দ, খুশি। বিশ্ববিখ্যাত অভিধান প্রণেতা ইবনু মনযুর বলেন- العيد كل يوم فيه جمع ‘সমবেত হবার প্রত্যেকদিনকে ঈদ’ বলা হয়। (ইবনু মনযুর, লিসানুল আরাব, দারু সাদির , বৈরুত, ১ম সংস্করণ, খ. ৩য়, পৃ.৩১৫) মুফতি আমীমূল ইহসান আলাইহির রাহমাহ বলেন- العيد كل يوم فيه جمع او تذكار لذي فضل “কোন মর্যদাবান ব্যক্তিকে স্মরণের দিন বা সমবেত হওয়ার দিনকে ঈদের দিন বলা হয়।”(মুফতি আমীমূল ইহসান, কাওয়ায়িদুল ফিকহ, আশরাফি বুক ডিপু, ভারত, ১ম সংস্করণ, ১৩৮১ হিজরী, পৃ.৩৯৫)<br />দ্বিতীয়ত: মিলাদ শব্দটি আরবি। এর শাব্দিক অর্থ: জম্মকাল, জম্মদিন। এ অর্থে ‘মাওলিদ’ শব্দের ব্যবহার আরবি ভাষায় অত্যাধিক।<br />তৃতীয়ত: নবি, এখানে নবি বলতে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়াসাল্লামকে বুঝানো হয়েছে।<br />সুতরাং ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’ অর্থ নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা’র আগমন উপলক্ষে আনন্দ উদযাপন।<br />খ. ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’র  পরিচয়:<br />এ ধরাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামা’র আগমন উপলক্ষে আনন্দিত হওয়া এবং এ অদ্বিতীয় নিয়ামত পাবার কারণে সৎকাজ ও ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করাকে ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলা হয় ।<br />ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপন:<br />ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপন করা বৈধ ও উত্তম আমল, যা পবিত্র কুরআন ও হাদিস শরিফ দ্বারা প্রমাণিত। এ বিষয়ে কুরআন-হাদিসের দলিল-প্রমাণ সংক্ষিপ্তকারে তোলে ধরা হল।<br />ক. কুরআন মাজিদের আলোকে:<br />ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপন করা পবিত্র কুরআন দ্বারা প্রমাণিত। মহান আল্লাহ কুরআন মজিদে নিয়ামতের শোকরিয়া জ্ঞাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ইরশাদ করেন- فاذكروني اذكركم واشكروا لي ولاتكفرون “সুতরাং তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমি তোমাদেরকে স্মরণ করব। তোমরা আমার প্রতি কৃতজ্ঞ হও, অকৃতজ্ঞ হয়ো না।”(আলকুরআন, সূরা-বাকারা, আয়াত নং ১৫২) এ থেকে বোঝা গেল যে, আল্লাহর নিয়ামতের শোকরিয়া জ্ঞাপন করা প্রত্যেক মানুষের ওপর অপরিহার্য। শোকরিয়া জ্ঞাপনের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে যেমন আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতের বর্ণনা দেওয়া, নিয়ামতের ওপর আনন্দ উদযান করা, ঈদ উদযান করা ইত্যাদি।<br />ঈদ উদযাপন করা:<br />আল্লাহর নিয়ামত পাবার দিনকে ঈদের দিন হিসেবে গ্রহণ করার মাধ্যমেও নিয়ামতের শোকরিয়া করা যায়। যেমন হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম বলেছিলেন- ربنا أنزل علينا مائدة من السماء تكون لنا عيدا لاولنا واخرنا واية منك “হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জন্য আসমান হতে খাদ্যপূর্ণ খাঞ্চা প্রেরণ করুন; এটি আমাদের ও আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য হবে ঈদ স্বরূপ এবং আপনার নিকটি হতে নিদর্শন হবে।”(আল কুরআন, সূরা:মায়িদা, আয়াত নং:১১৪  )<br />হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম আল্লাহ তায়ালার নিকট ফরিয়াদ করেছিলেন যেন তিনি তাঁদের জন্য আসমান হতে খাদ্যপূর্ণ খাঞ্চা অবতীর্ণ করেন। হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম বলেছেন যে খাদ্যপূর্ণ খাঞ্চা অবতীর্ণ হলে তাঁরা সে দিনকে ঈদের দিন হিসেবে গ্রহণ করবেন। মহান রাব্বুল আলামীন তাঁদের ওপর সেই নিয়ামত রবিবারে অবতীর্ণ করেছিলেন বিধায় তাঁরা আজও রবিববারকে ঈদের দিন হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন। কুরআন মাজিদের এ আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, নিয়ামত পাবার দিনকে ঈদের দিন হিসেবে গ্রহণ করার ক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার স্বীকৃতি রয়েছে; কারণ তিনি হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের ঈদ উদযাপনের স্বীকৃতি দিয়ে তাঁর উক্তি পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেছেন এবং কোন প্রকার নিষেধ করেননি। এটি অবৈধ হলে তিনি অবশ্যই তা পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করতেন।<br />ঈসা আলাইহিস সালামের উম্মতদের ওপর খাদ্যপূর্ণ খাঞ্চা রবিবারে অবতীর্ণ হবার কারণে সেদিনকে যদি ঈদের দিন হিসেবে উদযাপন করা যায়, তাহলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগমনের দিনকে কেন ঈদের দিন হিসেবে মানা যাবে না? অথচ তিনিই হলেন সবচেয়ে বড় নিয়ামত । সুতরাং তুলনামুলক ছোট নিয়ামতের শোকরিয়া স্বরূপ সেই নিয়ামত পাবার দিনকে ঈদের দিন হিসেবে উদযাপন করা বৈধ হলে নিঃসন্দেহে সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত পাবার দিনকে ঈদের দিন হিসেবে মানা ও উদযাপন করা বৈধ।<br />খুশি উদযাপন করা:<br />আল্লাহ তায়ালার নিয়ামতের শোকরিয়া জ্ঞাপনের একটি উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হল নিয়ামতের ওপর খুশি উদযাপন করা। তাই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র  কুরআনে ইরশাদ করেছেন- قل بفضل الله وبرحمته فبذلك فليفرحوا هو خير مما يجمعون  “(হে রাসুল) আপনি বলুন, আল্লাহর অনুগ্রহ(ফদ্বল)   ও দয়াকে (রহমত) স্মরণ করে সেটার ওপর তারা যেন খুশি প্রকাশ করে। তা তাদের সঞ্চয়কৃত সমস্ত ধন-সম্পদ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর।”(আল কুরআন, সূরা:ইউনূস, আয়াত নং:৫৮)<br />এ আয়াতে মহান রাব্বুল আলামীন খুশি উদযাপনের দুটি উপকরণ সাব্যস্ত করেছেন। একটি হল “ফদ্বল”( فضل)  আর অপরটি হল “রহমত”(رحمة) । এতদুভয়ের মর্ম কী- এর ব্যাখ্যায় প্রখ্যাত তাফসির বিশারদ আল্লামা মাহমূদ আলুসী (আল্লামা আলূসী, রুহুল মায়ানী, দারু ইহইয়ায়িত্ তুরাসিল আরাবী, লেবানন, বৈরুত, খ. ১০ম, পৃ.১৪১), ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ূতী, (ইমাম সূয়তী, আদ্ দুররুল মনছুর। দারুল মারিফা, লেবানন, বৈরুত, খ.৪র্থ, পৃ.৩৩০) ইমাম আবু হাইয়ান আনদুলসী (ইমাম আবু হাইয়ান, আল বাহরুল মুহীত, দারুল ফিকর, বৈরুত, ১৪২০ হি., খ.৬, পৃ.৭৫) আলাইহিমুর রাহমান স্ব-স্ব তাফসীর গ্রন্থের তাফসিরকারকদের শিরোমণি হযরত ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, এখানে “ফদ্বল” দ্বারা জ্ঞান এবং “রহমত” দ্বারা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদ্দেশ্য। আল্লামা ইবনু জাওযী (রহ.)বলেন-  ان فضل الله العلم ورحمته محمد صلى الله عليه وسلم رواه الضحاك“নিশ্চয় আল্লাহর “ফদ্বল” হল জ্ঞান আর “রহমত” হল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম; যা ইমাম দাহ্হাক রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেছেন। (ইবনু জাওযী, যাদুল মাসীর, আল-মাকতাবুল ইসলামী, বৈরুত, ১৪০৪ হিজরী, খ.৪র্থ, পৃ.৪০)<br />আল্লামা তিবরিসী উল্লিখিত আয়াতের অর্থ করতে গিয়ে বলেন- فافرحوا بفضل الله عليكم ورحمته لكم بإنزال هذا القرآن  وإرسال محمد إليكم فانكم تحصلون بهما نعيما دائما مقيما هو خير لكم من هذه الدنيا الفانية  “তোমাদের প্রতি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণ করে এবং কুরআন অবতীর্ণ করে আল্লাহ তায়ালা তোমদের ওপর যে দয়া ও করুণা করেছেন, তাতে তোমরা খুশি উদযাপন কর। কেননা উভয়ের  (ফদল ও রহমত) মাধ্যমে নিশ্চয় তোমরা চিরস্থায়ী নিয়ামত অর্জন করবে, যা এ নশ্বর পৃথিবী থেকে তোমাদের জন্য অধিকতর শ্রেয়।”(আল্লামা তিবরিসী, মাজমাউল বয়ান, ইনশরাতে নাসির খসরু, তেহরান, ইরান, তারিখ বিহীন, খ. ৫ম, পৃ. ১৭৭)<br />ইমাম বাক্বির রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু প্রখ্যাত মুফাসসির হযরত ক্বাতাদাহ্, হযরত মুজাহিদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা প্রমুখ থেকে বর্ণনা করেন যে “ফদ্বলুল্লাহ”(فضل الله)  দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বুঝানো হয়েছে। (প্রাগুক্ত খ.৫ম, পৃ. ১৭৮)<br />উল্লিখিত আয়াতে “রহমত” দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বুঝানো হয়েছে। এতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ আল্লাহ তায়ালা রাসূলুল্লাহকে উদ্দেশ্য করে ইরশাদ করেছেন-وما أرسلناك إلا  رحمة للعالمين“আমি আপনাকে বিশ্বজগতের জন্য রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি।”(আল-কুরআন, সূরা: আম্বীয়া, আয়াত নং ১০৭) প্রখ্যাত মুফাসসির আল্লামা মাহমূদ আলূসী আলাইহির রাহমাহ প্রমুখের মতে “রহমত” হল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি নাম। এ ছাড়াও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হলেন বিশ্ববাসীর জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত। এতে কারো দ্বিমত নেই। তাই আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন-  ولقد من الله على المؤمنين إذ بعث فيهم رسولا من أنفسهم“আল্লাহ মুমিনদের ওপর অবশ্যই অনুগ্রহ করেছেন যে, তিনি তাঁদের নিজেদের মধ্য থেকে তাঁদের নিকটি রাসূল প্রেরণ করেছেন।”(প্রাগুক্ত, সূরা আলে ইমরান, আয়াত নং ১৬৪)<br />সুতরাং প্রতিয়মান হয় যে, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিশ্ববাসীর জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ অনুগ্রহ ও নিয়ামত। এ কারণে আল্লাহ তায়ালা এ অনুগ্রহ তথা রাসূলুল্লাহকে পাবার ওপর খুশি উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। আর রাসূলুল্লাহকে পাবার দিন হল ‘মিলাদুন্নবি’ এবং ‘মিলাদুন্নবি’ কে কেন্দ্র করে খুশি উদযাপন করাই হল ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’ যা পালন করার নির্দেশ স্বয়ং আল্লাহই দিয়েছেন। দেওবন্দীদের নির্ভরযোগ্য আলেম আশরাফ আলী থানভী বলেন যে, “উল্লিখিত আয়াতে “রহমত” ও “ফদল” দ্বারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামাকে বুঝানো হয়েছে, যাঁর জন্মের ওপর আল্লাহ তায়ালা খুশি উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ তিনি সকল নিয়ামতের মূল। তাই তাঁর আগমনে যতই খুশি উদযাপন করা হোক না কেন, তা কমই হবে।”(মাওলানা আশরাফ আলী থানভী, মিলাদুন্নবী, জীলি কুতুবখানা , লাহুর, তারিখবিহীন, পৃ. ১৫৪, ১২০, ১২১)<br />এ ছাড়াও উপরিউক্ত আয়াতের ‘রহমত’ শব্দ দ্বারা রাসূলুল্লাহকে খাস বা নির্দিষ্ট অর্থে বুঝানো না হলেও ‘আম’ বা ব্যাপক অর্থে তাঁকে বুঝাতে কারো দ্বিমত থাকতে পারে না; কারণ তিনি সৃষ্টি জগতের প্রতি আল্লাহর বড় রহমত। আল্লাহর অন্যান্য নিয়ামতের মত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামা যেহেতু একটি নিয়মত, সেহেতু তাঁর আগমনের ওপর খুশি উদযাপন করা আল্লাহর নির্দেশ পালন মাত্র। আর রাসূলুল্লাহর জন্ম উপলক্ষে খুশি উদযাপন করার নামই হল  ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’।<br />অতএব কুরআনের আয়াত থেকে প্রমাণিত হল যে রাসূলের জন্ম উপলক্ষে খুশি উদযাপন করা আল্লাহর নির্দেশের অন্তর্ভুক্ত । খুশি উদযাপনের ক্ষেত্রে সকল বৈধ পন্থা গ্রহণ করা শরিয়ত সম্মত। তাই মুসলিমগণ একত্র হয়ে মানুষের প্রতি আল্লাহর বড় কৃপার কথা তথা রাসূলের আগমনের কথা স্মরণ করে, রাসুলের জীবন-বৃত্তান্ত বর্ণনা করে, ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে খানা-পিনার আয়োজন করে এবং দান-সদকা ইত্যাদির ব্যবস্থা করে। মোট কথা খুশি উদযাপনের বহিঃপ্রকাশ শরিয়ত সম্মত পন্থায় হলে তাতে কোন অসুবিধা নেই।<br /><br />মহান আল্লাহ কর্তৃক মিলাদুন্নবি উদযাপন:<br />পূর্বেই বলা হয়েছে যে মিলাদুন্নবি উদযাপন বলতে নবির জন্মকে স্মরণ করা এবং তাঁর জীবন-বৃত্তান্ত বর্ণনা করা। মহান রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে পঁচিশজন নবি রাসূলের মধ্যে হযরত আদম, হযরত মূসা, হযরত ইহইয়া, হযরত ঈসা ও হযরত মুহাম্মদ আলাইহিমুস সালামের জন্ম-বৃত্তান্ত বর্ণনা করেছেন। যেমন হযরত ইহইয়া আলাইহিস সালাম সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন-  وسلام عليه يوم ولد“তাঁর প্রতি সালাম, যেদিন তিনি (ইহইয়া আ.) জন্মলাভ করেন ।”(আল-কুরআন, সূরা:মরিয়ম, আযাত নং:১৫) এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা হযরত ইহইয়া আলাইহিস সালামের জন্মকালের কথা উল্লেখ করেছেন। আর এটার নাম ‘মিলাদুন্নবি’ বা নবীর জন্মকাল। তিনি পবিত্র কুরআনে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিস ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে ইরশাদ করেন- لقد جاءكم رسول من أنفسكم عزيز عليه ما عنتم حريص عليكم بالمؤمنين رؤف رحيم “অবশ্যই তোমাদের (আরবগণ) মধ্য থেকেই (বংশ থেকে) তোমাদের নিকট এসেছেন এক রাসূল। তোমাদেরকে যা বিপন্ন করে তা তাঁর জন্য কষ্টদায়ক। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, পরম দয়ালু।।’(প্রাগুক্ত, সুরা:তাবাহ, আয়াত নং:১২৮)<br />এ আয়াতে মহান আল্লাহ আরবদেরকে স্মরণ করে দিলেন যে, তাঁদের নিকট তাঁদের বংশ থেকেই এক মহান রাসূল এসেছেন। এখানে আসার অর্থ হল জন্ম গ্রহণ করা। এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম তথা ‘মিলাদুন্নবি’র কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়াও তিনি অসংখ্য আয়াতে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামরে আগমনের কথা উল্লেখ করেছেন। এভাবে তিনি তাঁর প্রেরিত নবি-রাসূলের জন্ম বৃত্তান্ত বর্ণনা করেছেন। এটাই হল ‘মিলাদুন্নবি’ উদযাপন। <br />খ.হাদিছ শরিফের আলোকে:<br />ঈদে মিলাদুন্নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন করা হাদিছ শরিফ দ্বারাও প্রমাণিত হয়। রাসূলুল্লাহ নিজেও শোকরিয়া স্বরূপ এ ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপন করেছেন, ছাগল জবাই করে এবং রোযা রেখে। এ সম্পর্কে কয়েকটি হাদিছ নিম্নে উল্লেখ করা হল।<br />১.প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহ তায়ালা আনহু বলেন- قدم النبي المدينة فرأى اليهود تصوم يوم عاشوراء فقال: ما هذا؟ قالوا: هذا يوم صالح هذا يوم نجى الله بني اسرائيل من عدوهم فصيامه موسى قال فأنا أحق بموسى منكم فصيامه وأمر بصيامه “নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা শরিফ আগমন করলেন এবং সেখানে ইয়াহুদিদেরকে আশুরার দিনে রোযা রাখতে দেখে জিজ্ঞেস করলেন- এটা কিসের রোযা? তারা বলল, এটা উত্তম দিন আর এ দিনেই আল্লাহ বনি ইসরাঈলকে তাঁদের শত্র“দের থেকে মুক্তি দিয়েছেন। তাই হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এ দিনে রোযা রেখেছিলেন। রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেন, তোমাদের চেয়ে মূসা আলাইহিস সালামের আমিই অধিকতর হক্বদার। অতঃপর তিনি স্বয়ং রোযা রাখলেন এবং তাঁর উম্মতদের এ রোযা রাখার নির্দেশ দিলেন।’(ইমাম বুখারী, আল জামেউল সহীহ, দারু ইবনে কাসীর, আল-ইমামা, বৈরুত, ১৪০৭ হিজরী, হাদিস নং:১৯০০, খ. ২য় , পৃ.৭০৪, ইমাম ইবনু<br />   মাজাহ, সুনান, দারূর ফিকর, বৈরুত, হাদিছ নং:১৭৭৪, খ. ১ম, পৃ. ৫৫২, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, আল মুসনাদ, আলামূল কুতুব, বৈরুত,<br />   হাদিছ নং: ২৬৪৪, খ.১ম, পৃ.২৯১ , ইমাম আবু ইয়ালা, আল মুসনাদ, দারুল মামূন লিত্-তুরাস, দামেস্ক, ১৪০৪ হিজরী, খ. ৪র্থ, পৃ.৪৪১)<br />২.হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু অন্য হাদিছে বর্ণনা করেন- هذا اليوم الذي أظفر الله فيه موسى وبني اسرائيل على فرعون ونحن نصومه تعظيما له فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم : نحن اولى بموسى منكم ثم امر بصومه “এ দিনেই আল্লাহ তায়ালা হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এবং বনি ইসরাঈলদেরকে ফিরয়াউনের ওপর বিজয় দান করেছেন। আমরা এ দিনের সম্মানার্থে রোযা রাখছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-“আমরা তোমাদের চেয়ে মূসা আলাইহিস সালাম’র অধিকতর হক্বদার।” তারপর তিনি (মুমিনদেরকে)এ রোযা রাখার নির্দেশ দেন।”(ইমাম বুখারী, প্রাগুক্ত, হাদিছ নং:৩৭২৭, খ. ৩য়, পৃ.১৪৩৪, ইমাম মুসলিম, প্রাগুক্ত, হাদিছ নং:২৭১২, খ. ৩য় পৃ.১৪৯ , ইমাম আবু  দাউদ,  সুনান, দারুল ফিকর, বৈরুত, হাদিছ নং: ২৪৪৪, খ.১ম, পৃ.৭৪২ , ইমাম ইবনু খুযাইমাহ, সহীহ , আলমাকতাবুল ইসলামী, বৈরুত, হাদিছ  নং:২০৪৮,খ. ৩য়, পৃ. ২৮৬)<br />উপরিউক্ত হাদিছদ্বয় থেকে যা বোঝা যায় -<br />এক. আশুরার দিনে আল্লাহ তায়ালা হযরত মূসা আলাইহিস সালাম এবং বনি ইসরাঈলকে ফিরআউনের কবল থেকে মুক্তি দিয়েছেন। এ কারণে আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপনার্থে হযরত মূসা আলাইহিস সালাম রোযা রেখেছেন। সুতরাং আমরা সৃষ্টির সবচেয়ে বড় নিয়ামত রাসূলুল্লাহকে পাবার দিনকে স্মরণ করে আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করে মিলাদুন্নবি উদযাপন করি।<br />দুই. ইয়াহুদিরা নিয়ামত পাবার দিনকে স্মরণ করে প্রতি বছর একই দিনে রোযা রাখতেন। এ কথা রাসূলুল্লাহ জেনেও বলেননি যে, তোমরা তো অনেক বছর পূর্বে নিয়ামত পেয়েছ, তা এখন স্মরণ করে প্রতি বছর রোযা রাখার প্রয়োজন নেই; বরং নিয়ামত পাবার দিনকে স্মরণ করে উদযাপন করার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।<br />তিন. মূসা আলাইহিস সালাম’র মুক্তির দিনকে স্মরণ করে রাসূলুল্লাহ স্বয়ং নিজেও রোযা রেখেছেন এবং তাঁর উম্মতদেরকে এ রোযা রাখার নির্দেশ দেন। সুতরাং নিয়ামতের দিনকে সৎকাজের মাধ্যমে উদযাপন করা এবং রাসূলুল্লাহকে পাবার দিনকে স্মরণ করে ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপন করা স্বয়ং রাসুলুল্লাহর সুন্নাত।<br />বিশ্বখ্যাত ইমাম জালাল উদ্দিন সুয়ূতী আলাইহির রাহমাহ বলেন- وقد سئل شيخ الإسلام حافظ العصر ابو الفضل ابن حجر عن عمل المولد فأجاب بما نصه : قال وقد ظهر لي تخريجها على أصل ثابت وهو ثبت في الصحيحين من - ان النبي صلى الله عليه وسلم قدم المدينة فوجد اليهود يصومون يوم عاشوراء فسالهم فقالوا: هو يوم أغرق الله فيه فرعون ونجى موسى فنحن نصومه شكرا لله تعالى فيستفاد منه فعل الشكر لله تعالى على ما من به في يوم معين من اسداء نعمة أو دفع نقمة ويعاد ذلك في نظير ذلك اليوم من كل سنة والشكر لله تعالى يحصل العبادات كالسجود والصيام و الصدقة والتلاوة وأي<br />نعمة أعظم من النعمة بيروز هذا النبي صلى الله عليه وسلم الذي هو بني الرحمة في ذلك اليوم له<br />“(বিশ্ববিখ্যাত হাদিস বিশারদ) শাইখুল ইসলাম ইবনু হাজর আসকালানীকে ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপনের ভিত্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপনের মূল ভিত্তি আমার নিকট সুস্পষ্ট হয়েছে, যা সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিম শরিফে রয়েছে। সেই ভিত্তিটা হল- নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা শরিফে আগমন করলে, তিনি সেখানকার ইয়াহুদিদেরকে আশুরার দিনে রোযা রাখতে দেখে তাদেরকে এ রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। অতঃপর তারা বলল, এ দিনে আল্লাহ তায়ালা ফিরয়াউনকে ডুবিয়ে মেরেছেন আর হযরত মূসা আলাইহিস সালাম কে মুক্তি দিয়েছেন। এ কারণে আমরা আল্লাহ তায়ালার শোকরিয়া জ্ঞাপনার্থে রোযা রাখছি। এ হাদিছ শরিফ থেকে প্রমাণিত হয় যে, নির্দিষ্ট দিনে আল্লাহর রহমত পাবার কারণে বা কোন বিপদ থেকে মুক্তি লাভের পর আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করা বৈধ। প্রতি বছর সেই একই দিনে আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করা যাবে আর আল্লাহ তায়ালার শোকরিয়া জ্ঞাপন বিভিন্ন রকম ইবাদতের মাধ্যমে করা যায় যেমন নামায, রোযা, সদকা এবং কুরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি। আমাদের জন্য যেদিন নবি করিম রাহমাতুল্লিল আলামিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগমন করেন, সেদিনের চেয়ে বড় নিয়ামত আর কী হতে পারে?”(ইমাম সুয়ূতী, হুসনুল মাক্বছাদ, ফি আমলিল মাওলিদ, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, বৈরুত, ১৪০৫হি., পৃ.৬৩, ইমাম সুয়ূতী, আল হাবী লিল ফাতাওয়া, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ, বৈরুত, ১৪২১ হিজরী, খ. ১ম, পৃ.১৮১) উল্লিখিত বর্ণনা থেকে বোঝা গেল যে, প্রখ্যাত মুহাদ্দিছ ইমাম ইবনু হাজর আসকালানী আলাইহির রাহমাহ আশুরার হাদিছকে ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’ উদযাপনের গ্রহণযোগ্য ভিত্তি বলেছেন এবং তা প্রতি বছর পালনের প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। সুতরাং ঈদে মিলাদুন্নবি’ উদযাপন করা শরিয়ত সম্মত একটি সৎকাজ।<br />২. হযরত আবু ক্বাতাদাহ আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন- إن رسول الله صلى الله عليه وسلم سئل عن صوم يوم الاثنين قال: ذاك يوم ولدت فيه ويوم بعثت او أنزل على فيه“রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়াসাল্লাম কে সোমবারে রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বলেন, সেদিন আমার জন্ম হয়েছে, আমি নবি হিসেবে প্রেরিত হয়েছি এবং আমার ওপর কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে।”(ইমাম মুসলিম, প্রাগুক্ত, হাদিছ নং:১১৬২, খ. ২য়, পৃ.৮১৯, ইমাম বায়হাক্কী, আস্-সুনানুল কুবরা, মাকতাবাতু দারিল বায, মক্কা শরিফ, ১৪১৪ হিজরী, হাদিছ নং:৮১৮২, খ.৪র্থ, পৃ.২৮৬) উল্লিখিত হাদিছ শরিফ থেকে বোঝা গেল যে, তিনি জন্মদিন উপলক্ষে রোজা রাখার মাধ্যমে আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করতেন। সুতরাং আল্লাহর নিয়ামতের শোকরিয়া জ্ঞাপনার্থে ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’ উদযাপন করা রাসূলুল্লাহর সুন্নাত।<br />৩. হযরত আউস বিন আউস রাদ্বিয়অল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামইরশাদ করেন- أن من أفضل اياكم يوم الجمعة فيه خلق آدم “তোমাদের দিনসমূহের মধ্যে শুক্রবার শ্রেষ্ঠতর দিন। (কারণ) এ দিনে হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করা হয়েছে।”(ইমাম আবু দাউদ, প্রাগুক্ত, হাদিীছ নং:১০৪৭, খ. ১ম, পৃ.২৭৫, ইমাম ইবনু মাজাহ্, প্রাগুক্ত, হাদীছ নং:১০৮৫, খ.১ম, পৃ.৩৪৫) হযরত আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেন- أن يوم الجمعة يوم عيد “নিশ্চয় শুক্রবার হল ঈদের দিন।”(ইমাম আহমদ বিন হাম্বল, মুসনাদ, প্রাগুক্ত, হা. নং: ৮০১২, খ. ২য়, পৃ.৩০৩, ইমাম ইবনু খুযাইমা, প্রাগুক্ত, হা.নং:২১৬১, খ. ৩য়, পৃ.৩১৫, ইমাম হাকিম, আল-মস্তাদরাক, দারুল বায লিন-নশর ওয়াত্তাওযী, মক্কা শরিফ, সৌদিআরব, হাদীছ নং.১৫৯৫, খ. ১ম, পৃ.৬০৩)<br /> হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়অল্লাহু তায়ালা আনহুমা বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ ইরশাদ করেন- أن هذا يوم عيد جعله الله للمسلمين فمن جاء إلى الجمعة فليغسل وإن كان طيب فليمس منه وعليكم بالسواك “নিশ্চয় এ দিন ( শুক্রবার) ঈদের দিন, যাকে আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদের জন্য নির্ধারণ করেছেন। যে ব্যক্তি জুমার নামায পড়তে আসে, সে যেন গোসল করে আসে আর তার কাছে যদি সুগন্ধি থাকে, তাহলে সে যেন তা থেকে কিছু শরীরে লাগিয়ে আসে। তোমাদের ওপর মিসওয়াক করা আবশ্যক।”(ইমাম ইবনু মাজাহ্, প্রাগুক্ত, হা.নং ১০৯৮, খ. ১ম, পৃ.৩৪৯, ইমাম তাবরানী, আল-ম’জামূল আওসাত্ব, মাকতাবাতুল মারিফ, রিয়াদ, ১৪০৫হি. হা. নং ৭৩৫৫, খ. ৭ম, পৃ.২৩০)<br />উল্লিখিত হাদিছসমূহ থেকে বোঝা গেল যে, শুক্রবার হযরত আদম আলাইহিস সালামকে সৃষ্টি করার কারণে সেদিনকে উত্তম দিন এবং ঈদের দিন বলা হয়েছে। সুতরাং যেদিন সৃষ্টি জগতের মধ্যে সর্বশেষ্ঠ নবি আগমন করেছেন, সেদিনকে কেন ঈদের দিন হিসেবে মানা যাবে না?<br />৪. হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন- إن النبي صلى الله عليه وسلم عق عن نفسه بعد النبوة “নবুয়ত প্রকাশের পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই নিজের আক্বীক্বাহ করেছেন।”(ইমাম বায়হাকী, আস্-সুনানুল কুবরা, প্রাগুক্ত, হা.নং:৪৩, খ.৯ম. পৃ.৩০০, ইমাম ইবনু হাজর আসালানী, প্রাগুক্ত, খ. ৯ম, পৃ.৫৭৫) এ হাদিছের ব্যাখ্যায় বিশ্ববিখ্যাত ইমাম জালাল উদ্দিন সূয়ূতী (রাহ.) বলেন- ان جده عبد المطلب عق عنه في سابع ولادته والعقيقة لاتعاد مرة ثانية فيحمل ذلك على أن الذي  فعله النبي صلى الله عليه وسلم إظهارا للشكر على إيجاد الله تعالى رحمة للعالمين وتشريفا لامته كما كان يصلي على نفسه لذلك فيستحب لنا ايضا إظهار الشكر بمولده باجتماع الاخوان وإطعام الطعام ونحو ذلك من وجوه القربات وإظهار المسرات<br />“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র দাদা রাসুল্ল্লুাহ জন্মের সপ্তম দিনে রাসূলে করিমের আকিকা করেন। অথচ আক্বীক্বাহ দু’বার হয় না। সুতরাং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বিতীয়বার যে আকীকাহ করেছেন, তা ছিল আল্লাহ তায়ালার শোকরিয়া জ্ঞাপনার্থে। কেননা, আল্লাহ তায়ালা তাঁকে ‘রাহমাতুল্লিল আলামীন’ এবং উম্মতের কাছে সম্মনিত করে সৃষ্টি করেছেন। এভাবে রাসূলুল্লাহ আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপনার্থে নিজের ওপর দরুদ শরিফ পাঠ করতেন। অতএব রাসূলুল্লাহর জন্ম উপলক্ষে মুসলিম ভাইদের একত্র হবার মাধ্যমে, খানা খাওয়ানো, অন্যান্য ইবাদত পালন এবং ঈদ উদযাপনের মাধ্যমে আল্লাহর শোকরিয়া জ্ঞাপন করা আমাদের জন্যও মুস্তাহাব।”(ইমাম সুয়ূতী, হুসনুল মাকছাদ, প্রাগুক্ত, পৃ.৬৫, ইমাম সুয়ুতী, আল-হাবী লিল-ফাতাওয়া, প্রাগুক্ত, খ. ১ম, পৃ.১৮৮, ইমাম নাবহানী,  হুক্কাতুল্লাহি আলাল আলামীন, মাকাতাবাতু নূরিয়্যাহ রিজায়্যিা, ফয়সালাবাদ, পাকিস্তান, পৃ.২৩৭)<br />এ বর্ণনা থেকে বোঝা গেল যে, রাসূলুল্লাহর জন্ম উপলক্ষে ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’ উদযাপন করা স্বয়ং রাসুলুল্লাহর সুন্নাত আর আমরা এ সুন্নাতের উপরই আমল করি। এ ব্যাখ্যা বর্তমান সময়ের নয়; বরং শত শত বছর পূর্বের যুগ শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, ফিকাহবিদ ও ইতিহাসবিদের।<br />৫. সহীহ বুখারী শরিফে রয়েছে- فلما مات ابو لهب أريه بعض أهله شر حاله قال له : ماذا لقيت قال ابو لهب لم الق بعدكم غير أني سقيت في هذه بعتاقي ثوبية “আবু লাহাবের মৃত্যুর পর তার পরিবারের কাউকে (হযরত আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু) স্বপ্ন দেখানো হল যে, সে খারাপ অবস্থায় আছে। স্বপ্নদ্রষ্টা তাকে বলল, তোমার কী অবস্থা? আবু লাহাব বলল, আমি অত্যন্ত আযাবের মধ্যে রয়েছি; তবে (রাসূলুল্লাহর জন্মের ওপর খুশি হয়ে) ছুয়াইবাহকে মুক্তি দেয়ার কারণে (সেদিন তথা সোমবার) আমাকে পান করানো হয়।’(ইমাম বুখারী, প্রাগুক্ত, হা.নং:৪৮১৩, খ.৫ম, পৃ.১৯৬১, ইমাম বায়হাকী, প্রাগুক্ত, হা: নং:১৩৭০১, খ. ৭ম, পৃ.১৬২, ইমাম আব্দুর রাজ্জআক, আল-মুছান্নাফ, আল-মাকতাবুল ইসলামী, বৈরুত, ১৪০৩ হি., হা.নং:১৩৯৫৫, খ.৭ম, পৃ.৪৭৮। , ইমাম ইবনু কাসীর, আস্ সীরাতুন নববিয়্যাহ, দারুল মারিফাহ, বৈরুত, খ. ১ম, পৃ.২২৪)<br />ইমাম ইবনু হাজর আসকালানী আলাইহির রাহমাহ ইমাম সুহাইলী আলাইহির রাহমাহ থেকে বর্ণনা করেন- إن العباس : قال لما مات ابو لهب رأيته في منامي بعد حول في شر حال فقال ما لقيت بعدكم راحة إلا أن العذاب يخفف عني كل يوم اثنين قال ذلك أن النبي صلى الله عليه وسلم ولد يوم الاثنين وكانت ثويبة بشرت ابا لهب بمولده   فاعتقها “হযরত আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আবু লাহাবের মৃত্যুর এক বছর পর আমি তাকে স্বপ্নে দেখেছি যে, সে খুব খারাপ অবস্থায় আছে। অতঃপর সে বলল; তোমাদের ছেড়ে আসার পর আমি কোন শান্তি পাইনি; তবে প্রতি সোমবার আমার শাস্তি কিছুটা কমানো হয়। (ইমাম সুহাইলি বলেন) কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবারে জন্ম গ্রহণ করেছেন আর আবু লাহাবের দাসী ছুয়াইবা রাসূলুল্লাহর জন্ম গ্রহণের সুসংবাদ আবু লাহাবকে দিলে সে তাকে (আনন্দিত হয়ে) দাসত্ব থেকে মুক্ত করে দেয়।’(ইমাম ইবনু হাজর আসকালানী, প্রাগুক্ত, খ. ৯ম, পৃ.১৪৫)<br />এ হাদিছের ব্যাখ্যায় হাফেয ইবনুয জাযরী আলাইহির রাহমাহ বলেন- فاذا كان ابو لهب الكافر الذي نزل القرآن بذمه جوزى في النار بفرحة ليلة مولد النبي صلى الله عليه وسلم فما حال المسلم الموحد م أمة محمد صلى الله عليه  وسلم بنشره مولده وبذل ما تصل اليه قدرته في محبته صلى الله عليه وسلم لعمري إنما يكون جزاء من الله الكريم أن يدخله بفضله جنات النعيم “কাফের আবু লাহাব যার নিন্দায় কুরআনের একটি সূরা ( সুরা লাহাব) অবতীর্ন হয়েছে, সে যদি ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’ উদযাপনের কারণে কম শাস্তি  ভোগ করে, তাহলে উম্মতে মুহাম্মদীর মধ্যে সে মুসলিম ব্যক্তির কী প্রতিদান হতে পারে, যে ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’ উদযাপন করেন এবং এ উপলক্ষে রাসূলূল্লাহর প্রেমে তাঁর সামর্থ অনুযায়ী খরচ করেন। আমার জীবনের কসম করে বলছি- দয়াময় আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর প্রতিদান হল, আল্লাহ তাঁকে ‘জান্নাতুন নয়ীমে’ প্রবেশ করাবেন।”(ইমাম নাবহানী, প্রাগুক্ত, পৃ.২৩৭,২৩৮, ইমাম সুয়ূতী, আল-হাবী লিল –ফাতাওয়া, প্রাগুক্ত, খ. , ইমাম সুয়ূতী, হুসনুল মাক্বছাদ, প্রাগুক্ত, পৃ.৬৫,আল্লামা আলাভী মালেকী, হাওলুল ইহতিফাল বিযিকরিল মাওলিদিন নববী আশ-শরিফ, মাতবায়াতু দারি জাওয়ামিয়িল কিলাম, কায়রো, মিশর, ১৪১৮ হি.পৃ.১৭)<br />উপরিউক্ত হাদিছ সম্পর্কে প্রখ্যাত মুহাদ্দিছ শাইখ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী আলাইহির রাহমাহ বলেন-<br />“এ হাদিছ ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’ উদযাপনকারী এবং এর জন্য সম্পদ ব্যায়কারীদের প্রমাণ। আবু লাহাব যার নিন্দায় কুরআনের একটি সূরা (লাহাব) অবতীর্ণ হয়েছে, সে যদি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র জন্মের ওপর খুশি হয়ে তার দাসী (ছুয়াইবা) কে স্বাধীন করে দেয়ার কারণে শাস্তি কম ভোগ করে, তাহলে সে মুসলিমের কী অবস্থা হবে, যে রাসূলুল্লাহর ভালবাসা নিয়ে ‘ঈদে মিলাদুন্নবি ’ উদযাপন করে এবং ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপনে সম্পদ ব্যায় করে? তবে মন্দ বিদয়াত যেমন নাচ, গান, হারাম  বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার ইত্যাদি থেকে বিরত থাকা উচিত; কেননা এগুলোর কারণে (মিলাদুন্নবি উদযাপনের) বরকত পাওয়া যাবে না।”(শাইখ আব্দুর হক মুহাদ্দিস দেহলভী, মাদারিজুন নবুয়াহ, মাতবায়ু মুনশি নওলাকছিরি, কানপুর, ভারত, খ.২য়, পৃ.১৯)<br />আল্লামা আব্দুল হাই লাকনভী বলেন-“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র জন্মের ওপর খুশি হবার কারণে আবু লাহাবের মত কাফেরর যখন শাস্তি কমে গেল, তাহলে রাসূলূল্লাহর উম্মতের মধ্যে যে রাসূলুল্লাহর জন্মের ওপর খুশি উদযাপন করবে এবং তাঁর প্রেমে ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপনে সামর্থ অনুযায়ী খরচ করবে সে কেন সুউচ্চ মর্যাদা পাবে না?’(মাওলানা আব্দুল হাইলাকনাভী, ফাতাওয়ায়ে আবইদর হাই, এইচ, এম সয়ীদ কোম্পানী, করাচি, খ. ২য়, পৃ.২৮২) উপরে বর্ণিত হাদিছসমূহ থেকে প্রমাণিত হল যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র জন্ম উপলক্ষে ‘ঈদে মিলাদুন্নবি’ উদযাপন করা শুধু বৈধ নয়; বরং অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। এটি স্বয়ং রাসূলুল্লাহর সুন্নাত।<br /><br />উপরিউক্ত পর্যালোচনা দ্বারা প্রমাণিত হলো যে,পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন করা শুধু মাত্র বৈধই নয়; বরং মহান আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় হাবিব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি এবং দুনিয়া -আখেরাতের সার্বিক কল্যাণ হাসিলের খুবই শক্তিশালী মাধ্যম। যেমন ইবনে তাইমিয়া বলেন “মিলাদুন্নবিকে সম্মান করা এবং উৎসব হিসেবে গ্রহণ করা যেভাবে মানুষেরা করে থাকেন,এতে উদযাপনকারীর সৎ উদ্দেশ্যে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্মান করার কারণে তাঁর জন্য রয়েছে মহান প্রতিদান ।”(ইবন রজব,ইক্বতিজাউস সিরাতিল মুস্তাকিম,দারু আলামিল কুতুব,বৈরুত,৭ম সংস্করণ,১৪১৯ হি,খ.২,পৃ.১২৬) ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপন করা কুরআন-সুন্নাহ সম্মত হওয়া সত্ত্বেও একে অস্বীকার করা পথভ্রষ্টতা ছাড়া কিছুই নয়। সুতরাং মুমিনদের উচিত কোন প্রকার অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে বিশুদ্ধ নিয়্যত ও নিয়মে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদযাপন করা। তাছাড়া অনেকে বলে থাকে যে, ১২ রবিউল আওয়াল রাসূলে করিমের জন্মের কারণে খুশি উদযাপনের পাশাপাশি একই দিনে ওফাতের কারণে শোক দিবস পালন করাও উচিত। আসলে তাদের এ কথাটা ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কারণ তারা এ সৎকাজ তথা ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপন থেকে মুমিনদেরকে বিরত রাখার জন্য একটি শরিয়ত পরিপন্থী কাজ তথা শোক পালনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করছে। অথচ ওফাতের তিনদিন পর আর কোন শোক পালন করা বৈধ নয়। যা বহু হাদিস শরিফ দ্বারা প্রমাণিত।( ইমাম বুখারি, বুখারি শরিফ, দারু তুকিন নাজাহ, বৈরুত, ১ম সংস্করণ,১৪২২ হি.,খ.৭,পৃ.৬০; ইমাম মুসলিম, মুসলিম শরিফ, দারুল আফাকিল       জাদিদাহ, বৈরুত,খ.৭,পৃ.৪৮১; ইমাম আবু দাউদ, সুনানু আবি দাউদ, দারুর রিসালাতল আলামিয়্যাহ,বৈরুত,১ম সংস্করণ ,১৪৩০হি,খ.৩,পৃ.৬০৬) আর রাসূলে করিমের হায়াত ও ওফাত উভয় অবস্থা আমাদের জন্য কল্যাণকর। যেমন তিনি ইরশাদ করেছেন- “আমার হায়াত ও ওফাত উভয় তোমাদের জন্য কল্যাণকর।”(ইমাম সুয়ূতি, জামেউল আহাদীস, প্রকাশনা অনু.,খ.৩৩, পৃ.১৪১; ইমাম কাস্তালানি,ইরশাদুস সারি শরহু সহীহিল বুখারি, আল-মাকতাবাতুল কুবরাহ আমীরিয়্যাহ, মিশর, ৭ম সংস্করণ, ১৩২৩ হি.,খ.২, পৃ.৪৪০) রাসূলের ওফাত যেহেতু আমাদের জন্য কল্যাণকর বিষয়, সেহেতু ওফাত দিবসকে কেন্দ্র করে, শোক পালন করার প্রশ্নই আসেই না। অতএব শরিয়ত বিরোধী শোক দিবস পালন না করে শরিয়ত সম্মত ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপন করাই সুভাগ্যবানদের কাজ।<br /><br />[প্রবন্ধটি এ মাসের  তরজুমানের ঈদে মীলাদুন্নবী (দ:) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে]</div>

কোরআন সুন্নাহের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী

কুরআন-সুন্নাহের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবি উদযাপন----------------------------রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার আগমনের দিন কেবল মুসলমান নয়, সৃষ্টিজগতের সকলের জন্য আনন্দ ও রহমতের দিন। আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মাজীদে ইরশাদ করেন- وما أرسلناك إلا رحمة للعالمين  “আমি আপনাকে জগতসমূহের রহমত স্বরূপ প্রেরণ …

Read more »

আ'লা হযরতের লিখিত কিতাবসমুহ

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">আলা হযরত ইমাম আহমদ রযা খাঁন ফাযেলে ব্রেলভী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) এঁর লিখিত কিতাবসমূহ<br />====<br />চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দেদে আজম আলা হযরত আজিমুল বরকত ইমামে আহলে সুন্নাত ফখরে যমীন ও যমান আল্লামা মাওলানা হাফেজ ক্ আলাইহির) এটা একটা উজ্জ্বল কারামত যে, তিনি কেবল ৬৮ বৎসর হায়াত পেয়েছেন তৎমধ্য থেকে ১৪ বছর বাদ দিলে আর থাকে ৫৪ বৎসর। ১৪ বৎসর বাদ দেয়ার কারণ হল তিনি ১৪ বছর থেকে ফতোয়ার কাজ শুরু করেছেন। ৬৮ থেকে ১৪ বছর বাদ দিলে আর থাকে ৫৪ বছর। আর তিনি এ ৫৪ বৎসরের মধ্যে ৫৫ টি বিষয়ের উপর সহস্রাধিক গ্রন্থ লিখেছেন। কেউ কেউ অবশ্য এই সংখ্যাকে আরো বাড়িয়ে বর্ণনা করেছেন। তাঁদের মতে আলা হযরত কেবলা ৭০ এর অধিক বিষয়ে অন্তত ১৪০০ কিতাব লিখেছেন। এ ব্যাপারে মালিকুল ওলামা মাওলানা যাফরুদ্দিন বিহারী হায়াতে আলা হযরতের মধ্যে লিখেছেন আল্লাহ তায়ালা আলা হযরতকে এত অধিক বিষয় জানার অধিকার দিয়েছেন যে, তিনি ৫০টি বিষয়ে কিতাব লিখেছেন। সুলতানুল মোনাজেরিন শেরে বীশিয়া-ই-আহলে সুন্নাত মাওলানা হাশমত আলী লক্ষৌনভী সাহেব তরজুমানে আহলে সুন্নাতের মধ্যে লিখেছেন, আ'লা হযরতের লিখনী ১০০০ এর চেয়ে অধিক। এ কথা সর্বজন বিদীত যে, আলা হযরত কেবলার সময়কালীন বিশ্বে তাঁর মত বিশালল জ্ঞান ভান্ডারের অধিকারী দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি ছিল না। এর পরবর্তীতে আজ পর্যন্ত হয়নি ভবিষ্যতে আর হবে কিনা আল্লাহ জাল্লাশানহু ও তাঁর রাসূল ﷺ ভালো জানেন। লেখক হিসাবে আলা হযরত কেবলা দুইটি কারণে বৈচিত্রময় স্বার্থকতার অধিকারী। প্রথমতঃ আলা হযরত কেবলার মত এত অধিক সংখ্যক বিষয়ে কোন নোবেল বিজয়ী লেখকও আজ পর্যন্ত লিখতে পারেনি। একারণে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইসসেন্সেলর ড: জিয়া উদ্দিন ১৯১৪ সালে আক্ষেপের সাথে বলেছিলেন আলা হযরত ইমাম আহমদ রেজা ব্রেলভীর নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা রয়েছে। দ্বিতীয়তঃ আলা হযরত কেবলা যে বিষয়ে এবং যখনই কলম তুলেছেন ঐ বিষয়ে তথ্য নির্ভর বিশ্লেষণ পেশ করেছেনযা বিশ্ববাসীকে অবাক করে তুলেছে। তাইতো অনেক মনীষীর মতে আইম্মায়ে মোতায়াখেরিনদের মধ্যে আলা হযরতের সমকক্ষ হওয়ার যোগ্যতা ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ুতী (রহমতুল্লাহ আলাইহি) ছাড়া আর দ্বিতীয় কোন ব্যক্তি অর্জন করতে পারেনি। এ কারণে বোধহয় শায়েরদের উস্তাদ দাগে দেহলভী বলেছেন, সাহিত্য জগতের সম্রাট হে আহমদ রেজা আপনাকে মেনে নিলাম। আপনি যে বিষয়ে কলম তুলেছেন সে বিষয়ে পৃথিবীবাসীকে অবাক করে দিয়েছেন। আলা হযরত কেবলার রচিত কিতাবের সংখ্যা এক/দেড় হাজারেরও অধিক। তন্মধ্যে যেগুলো প্রকাশিত হয়েছে সেগুলোর (৩৪ টি বিষয়ের ওপর ৫৫৫টি কিতাব) তালিকা নিম্নে পেশ করাহল।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi0vd5yTok6mxrlZnqWtjmtJqAKfuE0jz_LEbhLndOvmwzHbjJJLXXJ117QRxo9-8kb6oKRTjTUWVqtwZMbD0N9AGN8G09yyaLPUK6EAsYL-tvQH4ySC6CcYu3lUSis07uuIn6emGaT0bEQ/s1600/alahazrat_dargah.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="360" data-original-width="546" height="210" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi0vd5yTok6mxrlZnqWtjmtJqAKfuE0jz_LEbhLndOvmwzHbjJJLXXJ117QRxo9-8kb6oKRTjTUWVqtwZMbD0N9AGN8G09yyaLPUK6EAsYL-tvQH4ySC6CcYu3lUSis07uuIn6emGaT0bEQ/s320/alahazrat_dargah.jpg" width="320" /></a></div><br />★★ তাফসীর- ( বিষয়ঃ১টি, কিতাবঃ ১২টি):<br />১. আযযিলালুল আনক্বা আন বাহরে সাবকাতিল আতক্বা (আরবি)<br />২. হাশিয়া-এ-তাফসীরে বয়যাবী শরীফ (আরবি)।<br />৩. হাশিয়া-এ-এনায়াতুল কাজী (আরবি)।<br />৪. হাশিয়া-এ-মোয়ালিমুত তানজিল (আরবি)।<br />৫. হাশিয়া-এ-আল ইতকান ফি উলুমিল কোরআন (আরবি)।<br />৬. হাশিয়া-এ-আদ্ দুররুল মানসুর (আরবি)।<br />৭. হাশিয়া-এ-তাফসীরে হাযেন (আরবি)।<br />৮. নায়েলুর রাহি ফি ফারক্কিররিহি ওয়ার রিয়াহি।<br />৯. আনওয়ারুল হুকুম ফি মায়ানি মিয়াদি ইস্তাজাবালাকুম।<br />১০. আসসালামসাম আল মুশাক্বক্কাক্ক ফি আয়াতি উলুমিল আরহাম।<br />১১. আননাফহাতুল ফাতিহা মিন মাসকি সুরাতিল ফাতিহা।<br />১২. কানযুল ঈমান ফি তারজুমাতিল কোরআন★★★<br />★★ হাদীস শরীফ- ( বিষয়ঃ ১টি, কিতাবঃ ৫৪ টি):<br />১. আররাওযুল বাহিজ ফি আদাবিত তাখরিখ (আরবী)<br />২. আননুযুমুস সাওয়াক্বিব ফি তাখরিজে আহাদিসিল কাওয়াকিব (আরবী)<br />৩. মাদারিজু তাবাকাতিল হাদিস (আরবী)<br />৪. ফজলুল ক্বাযা ফি রসমিল ইফতা (আরবী)<br />৫. আল বাহাসুল ফাহিম আন তুরুকি আহাদিসিল খাসায়িস।<br />৬. আসসিমাউল আরবাইন ফি শাফায়াতে সায়্যিদিল মাহবুবীন।<br />৭. জালালুল আফলাক বিজালালি হাদিসি লাওলাক।<br />৮. সাইলুল মুদ্দাইলি আহসানিদ্দোয়া।<br />৯. আম্মাউল হাযাক্ব বি মাসলাকিল নিফাক্ব।<br />১০. আযাবুল ইমদাদ ফি মুকাফিরাতি হুক্কুল ইবাদ।<br />১১. আল হাদায়াতুল মোবারাকা ফি খালাক্বিল মালাইকা।<br />১২. আল হাদ্দুল কাফ লি আহাদিসিদ দ্দোয়াফ (উর্দু)<br />১৩. আল আহাদিসিলি আরাবিয়া লিমাদহিল আমীরে মায়াভীয়া। ★★★<br />১৪. আল ইজায়াতুল রাজাভিয়া ফি মাবজালি মাজাতিল বাইয়াহ।<br />১৫. মুনিরুল আইন (উর্দু)<br />১৬. হাশিয়াতুল কাশফি আন তাজাউসি হাজিমিহিল উম্মতে আনিল আলফি (আরবী)<br />১৭. হাশিয়া বোখারী শরীফ (আরবী)<br />১৮. হাশিয়া মুসলিম শরীফ (আরবী)<br />১৯. হাশিয়া তিরিমিজি শরীফ (আরবী)<br />২০. হাশিয়া নাসায়ি শরীফ (আরবী)<br />২১. হাশিয়া ইবনে মাজাহ শরীফ (আরবী)<br />২২. হাশিয়া তায়াসিরে শরহে জামেয়িস সগীর (আরবী)<br />২৩. হাশিয়ায়ে তাক্বরীব (আরবী)<br />২৪. হাশিয়া মাসনাদে ইমামে আজম (আরবী)<br />২৫. হাশিয়া কিতাবুল হাজিজ (আরবী)<br />২৬. হাশিয়া কিতাবুল আসার (আরবী)<br />২৭. হাশিয়া মাসনাদে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল (আরবী)<br />২৮. হাশিয়া তাহাবী শরীফ (আরবী)<br />২৯. হাশিয়া সুনানে দারমী শরীফ (আরবী)<br />৩০. হাশিয়া খাসায়েসে কোবরা (আরবী)<br />৩১. হাশিয়া কানযুল উম্মাল (আরবী)<br />৩২. হাশিয়া তারগীব ওয়াতারহীব (আরবী)<br />৩৩. হাশিয়া কিতাবুল আসমা ওয়াস সিফাত (আরবী)<br />৩৪. হাশিয়া আল ক্বাওলুল বাদীয় (আরবী)<br />৩৫. হাশিয়া নিলুল আওতার (আরবী)<br />৩৬. হাশিয়া আল মাকদিসুল হুসনা (আরবী)<br />৩৭. হাশিয়া আল আলিলি মাসনয়াহ (আরবী)<br />৩৮. হাশিয়া মাওদুয়াতে কাবির (আরবী)<br />৩৯. হাশিয়া আল ইশাবা ফি মারেফাতিস সাহাবা (আরবী)<br />৪০. হাশিয়া তাযকেরাতুল হুফফাজ (আরবী)<br />৪১. হাশিয়া উমদাতুল ক্বাবী (আরবী)<br />৪২. হাশিয়া ফাতুহুল বারি (আরবী)<br />৪৩. হাশিয়া এরশাদুল সারি (আরবী)<br />৪৪. হাশিয়া নাসবুর রায়াহ (আরবী)<br />৪৫. হাশিয়া জামেউল ওসায়েল ফি শারহিশ শামায়েল (আরবী)<br />৪৬. হাশিয়া ফয়জুল কদীর শরহে জামেয়িস সগীর (আরবী)<br />৪৭. হাশিয়া মিরকাতুল মাফাতিহ (আরবী)<br />৪৮. হাশিয়া আশিয়াতুল লোময়াত (আরবী)<br />৪৯. হাশিয়া মাজমাউ বিহারিল আনওয়ার (আরবী)<br />৫০. হাশিয়া ফাতহুল মোগাস (আরবী)<br />৫১. হাশিয়া মিজানুল এতেদাল (আরবী)<br />৫২. হাশিয়া আল ইলালুল মোতানাহহিয়াহ (আরবী)<br />৫৩. হাশিয়া তাহজিবুত তাহজীব (আরবী)<br />৫৪. হাশিয়া খোলাসাতু তাহজীবিল কামাল (আরবী)<br />★★ আক্বাইদ, কালাম, ফিকহ ও তাজবীদ- ( বিষয়ঃ ৪টি, কিতাবঃ ২৬৮টি):<br />১. মাতলাউল কামারাইন ফি এহানাতি সাবকাতিল ওমারাইন (উর্দু)<br />২. কাওয়ারেউল কাহহার আলাল মুজাচ্ছামাতিল ফুজ্জার (উর্দু)<br />৩. আল আকায়েদ ওয়াল কালাম (উর্দু)<br />৪. আল জারহুল ওয়ালেজ ফি বাতনিল হাওয়ারেজ (উর্দু)<br />৫. দাউন নিহায়া ফি আলামিল হামদি ওয়াল হেদায়া।<br />৬. আস সাইয়ুল মাশকুর ফি ইবদায়িল হাক্কিল মাজহুী।<br />৭. মেইবারুদ তালিব ফি শুউনে আবি তালিব।<br />৮. ইতেক্বাদুল আহবাব ফিল যিলে ওয়ালল মোস্তফা ওয়াল আলে ওয়াল আস।<br />৯. আল বুসরাল আযিলা মিন তুহফে আজিলা।<br />১০. মাকামেউল হাদিদ আলা খাদ্দিল মানাতিকিল জাদীদ।<br />১১. তাজাল্লেউল ইয়াক্বীন বি আন্না নাবিয়্যানা সাইয়্যেদুল মোরসালিন।<br />১২. হায়াতুল মাওয়াদ ফি বায়ানে সিমায়েল আসওয়াদ।<br />১৩. আল ফাউকাবাতুশ শাহবিয়্যাহ ফি কুফরিয়াতে আবিল ওহাবিয়্যাহ।<br />১৪. আরশুল ইজাজি ওয়াল ইকরাম লি আওযালি মালাকুল ইসলাম।<br />১৫. জাবলুল আহওয়ায়িল ওয়াহিয়া ফি বাবিল আমিরে মাআওবীয়া।<br />১৬. ফাতাওয়া আল কুওয়া লি কাশফি দাফিনিল্লাদোয়া।<br />১৭. কাওয়ারিউল কাহ্হার আলাল মুজাসসামাতিল ফুজ্জার।<br />১৮. ফাতওয়া আল হারামাইন বি রাজফি নাদওয়াতিল মাইন।<br />১৯. আল মাকালুল রাহি আন্না মুনকিরুল ফিকহি কাফির।<br />২০. আল মোতামাদুল মোস্তনাদ বেনায়ে নেজাহিল আবাদ।<br />২১. আসসুওলুল ইক্বাব আলাল মাসিহিল কাজ্জাব।<br />২২. রাদ্দুর রাফদ্বা।<br />২৩. দাফয়াতুল রাসআলা জাহিদিল ফাতিহা ওয়াল ফালাকি ওয়াননাস।<br />২৪. কাহুরুদদিয়ান আলা মুরতাদি বি কাদিয়ান।★★★<br />২৫. হুসসামুল হারামাইন আলা মানহারিল কুফরি ওয়াল মাইন।★★★<br />২৬. মুবিনু আহক্বাম ওয়া তাসদিকাতু আলাম।<br />২৭. তাহমিদে ঈমান বি আয়াতে কোরআন।<br />২৮. দামানে বাগ সিজনিস সুবুহ।<br />২৯. আল মুবিন খাতামুন নাবিয়্যিন।<br />৩০. মাক্বালু উরাফা বে ইজামে শারাফা ওয়া ওলমা।<br />৩১. আল ফুয়ুজাতুল মালাকিয়্যাহ লি মুহিবিব দাওলাতিল মাক্বিয়্যাহ।<br />৩২. লামআতুশ শাকআ লেহাদায়ে শিয়াতিশ শানআ।<br />৩৩. আস সিমসামুল হায়দারী আল হুকুক্বিল আয়ারি আল মুফতারি।<br />৩৪. মুবিনুল হুদা ফিনাক্বিযি ইমকানিল মুস্তফা।<br />৩৫. আসমারিমুর রাব্বানী আল ইসরাফিল ক্বাদিয়ানী<br />৩৬. যাফরুদ্দীন আল জাইয়্যিদ মুলাক্বক্বাবাবিহি বাতশি গাইয়্যিব।<br />৩৭. আল ফারকুল ওয়াজিব বাইনানা বিয়িল আযিয ওয়াল ওয়াহাবি আর রাজিয।<br />৩৮. দাওয়ামুল আইশ ফিল আইম্মাতি মিন কুরাইশ।<br />৩৯. তামবিহুল জুহহাল বিল হাম্মিল বাসিতিল মুতাআল।<br />৪০. জাওয়ারাহে তুরকি বা তুরকী।<br />৪১. আরবায়ে হাতুল আম্বারিয়া আনিল জুমরাতিল হায়দারিয়াহ।<br />৪২. আখবারিয়্যাহ কি কাশগীরী।<br />৪৩. চাবুকে লীস বার আহলে হাদীস।★★★<br />৪৪. নাক্বাউননিরা ফি শাহরিল জাউহারি মুলাক্বক্বাব বিহি আননিরা।<br />৪৫. আহকামুল আহকাম ফিততানাউলি মিন ইয়াদে নিমমালিহি হারাম।<br />৪৬. আন নাফসুল বাক্বার ফি কোরবানিল বাক্বার।<br />৪৭. আল আমরু বি এহতেরামিল মাক্বারিব।<br />৪৮. ইক্বামাতুল ক্বিয়ামাহ আলা তুইনিল ক্বিয়ামী লিনাকীই তাহমা।<br />৪৯. হুসনুল বারাআ ফি তানফিযি হুকমিল জামায়াহ।<br />৫০. আননায়িমুল মুকীম ফি ফারহাতি মাওলিদীন্নবীয়্যিল কারীম।<br />৫১. বাযলুস সাফাহ লিআবদিল মুস্তফা।<br />৫২. মনিরুল আইন ফি হুকমি তাক্ববিলিল ইবহামাইন।<br />৫৩. আর মাক্বালাতুল মুসফারাহ আন আহকামিল বিদআতিল মুক্বাফফরাহ।<br />৫৪. আল মুজাম্মেলুল মাদাদ আন্না সাবলল মুস্তফা মুরতাদ।<br />৫৫. আযওয়াদুল ক্বোরা লিমান ইয়াতলুবুসসিহাতা ফি ইজারাতিল ক্বোরা<br />৫৬. নাসিমুস সাবাহ ফি আন্নাল আযানা ইউহাবিবলু আল ওবা।<br />৫৭. আলা আলা মিনা সুকরি লি তালাবাতি সুকার রাদ্দীসির।<br />৫৮. জামালুল আজমাল লি তাওক্বিতি হুকমিস সালাতি ফিননাআন।<br />৫৯. মানযাউল মারাম ফি তাদাওয়ী বিল হারাম।<br />৬০. মা'দালুযযাল ফি ইসবাতিল হেলাল।<br />৬১. তাওয়ালিউনুর ফি হুকমিস সিরাজী।<br />৬২. আল বারিক্বাতুল লুমআ আলা সামিদি নুতক্বি বিল কুফরিতুআ।<br />৬৩. জামালু মরজিয়্যাহ আন্নাল মাকরুহা তানযিহা লাইসা বি মা'সিয়্যাহ।<br />৬৪. আনওয়ারুল ইনতিবাহ ফি হাল্লি নাদায়ি ইয়া রাসুলাল্লাহ।<br />৬৫. আনওয়ারুল আনওয়ার মাই ইয়াম্মাসালাতিল আসরার।<br />৬৬. আল বাসাতুল মুসাজ্জাল ফি ইমতিনাইয যাউজাতি বাদাল ওয়াত্বী লিল মুয়াজ্জল।<br />৬৭. হাশিয়াতু শরহে ফিক্বহে আকবর।<br />৬৮. হাশিয়াতু খায়ালি আলা শাহরি আক্বাইদ।<br />৬৯. হাশিয়াতু শারাহ আক্বাইদ আসয়াহ।<br />৭০. হাশিয়াতু শারহে মাওয়াক্বিফ।<br />৭১. হাশিয়াতু শারহে মাক্বাসিদ।<br />৭২. হাশিয়াতু মুমামমারাহ ওয়া মুসা ইয়ারাহ।<br />৭৩. হাশিয়াতু আততাফারারাক্বাত বাইনাল ইসলাম ওয়ায যিনদাক্বাহ।<br />৭৪. হাশিয়াতু ইয়াওয়াকিদ ওয়াল জাওয়াহির।<br />৭৫. হাশিয়াতু মেফতাহুস সায়াদা।<br />৭৬. হাশিয়াতু আসমাওয়াইকুল মুহরিক্বাহ।<br />৭৭. আননাহি আল আকীদ আনিস সালাতি ওরায়ি আদিত তাক্বলিদ।<br />৭৮. সাইক্বালুর রাই আন আহকামি মাজাওয়াতিল হারামাইন।<br />৭৯. আযকাল আহলাল বি ইবতালি মা আহদামান্নাসসসু ফি আসর।<br />৮০. বাবে গোলামে মুস্তফা।<br />৮১. আত তাজীর বে বাহিত তাদবীর।<br />৮২. আহসানুল মাক্বাসিদ ফি-বা-য়ানি মা তানযাহা আনহুল মাসাজিদ।<br />৮৩. আযিয়ানু কাফিল বে হুকমিল আক্বাদাতি ফিল মাকতুবাতি ওয়ান নাওয়াফিল।<br />৮৪. সাফায়েহুল লাজাইন ফি কাউনিত তাসাফহ বি কাফিফল ইয়াদাইন।<br />৮৫. আ'লামুল আ'লাম বি আন্না হিন্দুস্তান দারুল ইসলাম।<br />৮৬. তিরয়ানুল ওয়ায়ুউ।<br />৮৭. আল হালঅওয়াহ ওয়অত্তালাওয়াহ ফি কালিমীর তাওজীবি সুজুদিত তিলওয়াহ<br />৮৮. হুকুম রুজুও মিন ওয়ালিয়্যি ফি নাফক্বাতিল ওরসি ওয়া জিহায ওয়াল হুলিয়্যি।<br />৮৯. আল মুলাখখাতুল মালিহা ফিমা নাহা আল আজযায়্যিল যাহিবা।<br />৯০. আযযাহারুল বাসিমা ফি হুরমাতিয যাকাতি আল বনী হাশিম।<br />৯১. তাজাল্লিউল মিশকাত লি আনারাতি আসআলাতিয যাকাত।<br />৯২. আততাবসিরুল মুনজিদ বে আন্না সাহনল মামজিদি মাসজিদ।<br />৯৩. হাক্কুল আইব ফি হুরমাতি তাসওয়িদুশশাইব<br />৯৪. হুক্কাতুল মারজান লি মুহিম্মি হুকমিদ দুখখান।<br />৯৫. এ'বাবুল আনওয়ার লা নিকাহা বি মুজাহিরদিল ইক্বরার।<br />৯৬. আল হুজ্জাতুল ফায়িহা লি তাবিবি তাআইয়নি ওয়াল ফাতিহা।<br />৯৭. সুরুরুল ঈদিস সায়্যিদ ফি হাল্লিদ দোয়ায়ি বাদা সালাতিল ঈদ।<br />৯৮. আস সাফিআতুল মাওয়্যিাহ লি হুকমি জুলুদিল আদহিয়্যাহ।<br />৯৯. আত্তারাফি সাতরিল আওরাহ।<br />১০০. আল হারফুল হাসান ফিল কিতাবাতি আলাল কাফান।<br />১০১. আল বাহরুল মাকাল ফি ইসতেসানি কিবলাতিল আজলাল।<br />১০২. ফাতহুল মালিক ফি হুকমিত তামলিক<br />১০৩. আওয়্যিবুল ওয়াজিয ফি ইমতিআতিল ওয়ারক্বি ওয়াল ইবরিয।<br />১০৪. রাফিউল মাদারিক ফি হুকমিসাওয়াইব ওমা তারাহাল মাসালিক।<br />১০৫. জালালুস সাউতি লিনাহিদ্দাওয়াতি আমামাল মাউতি।<br />১০৬. ইয়াসিরুযযাদ লি উম্মি দ্বাদ।<br />১০৭. আল আমনু ওয়া উলা লি নায়াতিল মুস্তফা বিদাফাইল বলায়া।<br />১০৮. বারাকাতুল ইমদাদ লি আহিলিল ইমতিমদাদ।<br />১০৯. বাযলুল জাওয়াইয আলাদ্দুয়াই বাদাল সালাতিল জানাইয।<br />১১০. রাহিকুল আহক্বাক্ব ফি কালিমাতিত্তালাক।<br />১১১. আল মান্নু ওয়াদ্দুর লিমান আমাদা মিন্নি আবদার।<br />১১২. ওয়াসাহুল জাইয়্যিদ ফি তাহলিলি মুয়ানাক্বাতিল ঈদ।<br />১১৩. ওসাফুর রাজিম কি বাসমালা তিত্তারাওয়ীহ।<br />১১৪. আল ক্বালাদুল মুরসায়া ফি লাবখিল আজুবাতিদ আরবায়া।<br />১১৫. সুবুলুল আসফিয়া ফি হুকমিয যিহবী লিল আউলিয়া।<br />১১৬. সাতরে জমিল ফি মাসায়েলেস সারাওয়ীল।<br />১১৭. আত্তাইবুত্তাহানী ফিন্নিকাহসিসানী<br />।<br />১১৮. রাদ্দুল ক্বাহাতি ওয়াল ওয়াবা বেদাওয়াতিল জিরানী ওয়া মাওয়াসাতিল ফুক্বারা<br />১১৯. সালবুসসালাব আনিল ক্বায়েলিনা বি তাহারাতিল কালব।<br />১২০. রিয়াতুল মিন্না ফি আনাত্তাহাজ্জুদ নাফলুন আও সুন্নাহ।<br />১২১. হাক্কক্কুল আহক্বাক্ব ফি হাদিসাতি মিন নাওয়াযেলিত্তালাক্ব।<br />১২২. হাজিযুল বাহরাইন আল ওয়াকি আন জামিউসসালাতাইন।<br />১২৩. লাওয়ামেউল বাহা ফিল মিসলি লিল জুমাআতি ওয়াল আরবাআ আক্বিবাহা।<br />১২৪. আল কাসদ্দেহাক্ব বি ইযা ফাতিতত্বিলাক।<br />১২৫. আল কুতুকুদ্দানিয়া আন আহমালিল জামাতি সানিয়া।<br />১২৬. আররাদ্দুল আশাদ্দুল বাহি ফি হিজরীল জামায়াতি আলা গাংগোহী<br />১২৭. নাক্বদুল বয়ান লি হুরমাতি ইবনাতি আখল্লিবান।<br />১২৮. হাদিউল আসাহিরা বিশশাইল হিন্দিয়া।<br />১২৯. লাময়াতুদ্দোহা ফি এফাইল্লোহা।<br />১৩০. আনাহিউল হাযিজ আন তাকরারি সালাতিল জানাইয।<br />১৩১. শেফাউল ওয়ালা ফি সুয়ারিল হাবিবী ওয়ামাযারিহি ওয়ানায়ালীহি।<br />১৩২. মুরাব্বে ওয়ান নাজা ইউখার রেজুন্নিয়া।<br />১৩৩. তাজওয়ীযুররাদ্দি আন তাজওয়ীযুল আবয়াদ।<br />১৩৪. হিবতুন্নেসা ফি তাহাক্বিক্বিল মাসাহিরা বিযযিনা।<br />১৩৫. আল এলাম বেহালিল বুখুরি ফিস সিয়াম।<br />১৩৬. আত তাহারিরুল জাইয়্যিদ ফি বাইয়্যি হাক্বিকুল মাসজিদ।<br />১৩৭. আল ওফাকুল মাতিন বাইনা সিমাইদ্দাফিন ওয়া জাওয়াবুল ইয়ামিন।<br />১৩৮. ইযালাতুল আরবি হাজরিল কিরামদ আন কিল্লা বিন্নার।<br />১৩৯. তাফাসিরুল আহকাম লি ফিদায়াতি সালাতি ওয়াস সিয়াম<br />১৪০. আন্নাহজুল জাদ্দি ফি হিফযিল মাসজিদ।<br />১৪১. আশ শারাতুল বাহিয়্যাহ ফি তাহদিদিল ওয়াসিয়াহ।<br />১৪২. মাহিউদ্দালালাহ ফি আন কাহাতিল হিন্দী ওয়াল বানজালা।<br />১৪৩. আল জামুস সাদ আন সুনানিদ্বোয়াদ্ব।<br />১৪৪. আবজালুল ইবদা ফিহাদ্দির রিদ্বাআ।<br />১৪৫. লাব্বুশ শুউর বি আহকামিশ শুউর।<br />১৪৬. খায়রুল আমাল ফি হুকমিল কাসবি ওয়াস সোয়াদ।<br />১৪৭. আল ফিক্বহুত তাসজিলি ফি আজিনিন্নার জিলি।<br />১৪৮. আফসাহুল বায়ান ফি হুকমি মাযারায়ে হিন্দুস্থান।<br />১৪৯. আল হিলাতুল আসমা লি হুকমি বাদিল আসমা।<br />১৫০. তারিক্ব ইসবাতুল হেলাল।<br />১৫১. তিজানুসসাওয়ার ফি ক্বিয়ামুল ইমাম ফির মিহরাব।<br />১৫২. নুরুল জাওহারাহ ফিস সামরাতিস সাওকারাহ।<br />১৫৩. আল আহকাম ওয়াল এলাল ফিল আশকালিল এহতেলাম ওয়ালা বালাল।<br />১৫৪. মেরকাতুল জামান ফি হুবুতিল আনিল মিম্বরী লি মাদহিল সুলতান।<br />১৫৫. আজলুত তাজিল ফি হুকমিস সিমাই ওয়াল মাযামির।<br />১৫৬. রাময়ে মাগয়ান মারুফ বি দাফই যেগেযাগ।<br />১৫৭. আউফি লুমআ ফি আযানিল জুমআ।<br />১৫৮. আল ফাহহুল হুমুমাহ ফি ফাসলিল খুসুমাহ।<br />১৫৯. আয়ালিল একাদাহ ফি তাযিয়াতিল হিন্দীওয়াবায়ানিশ শাহাদা।<br />১৬০. আফকাহুল মাজাহিদি আন হালফিতত্বলিবআলা তালাবিল মাওয়াসাবা।<br />১৬১. আক্বদুত তাহক্বিক্ব বি বাবিত তালিক্ব।<br />১৬২. এহলাকুল ওয়াহাবিয়্যিন আলা তাউহীনে কুবুরিল মুসলিমীন।<br />১৬৩. হেদায়াতুল জেনান বি আহকামে রামাদ্বান।<br />১৬৪. হাদিউনাস ফি আশিয়াই মিন রুসুমল এরাস।<br />১৬৫. আলআতায়াতুন ন্নাবরিয়্যাহ ফি ফাতাওয়া আররাজওয়াইয়া।<br />১৬৬. মাউইহাবেবলু আসর আন তাহদিলিল মিসর।<br />১৬৭. রাদ্দুল ক্বাদাতি ইলা হুকমিল উলাতি।<br />১৬৮. আল জুদুল হুলু ফি আরকানিল উযু।<br />১৬৯. তানওয়ীরুল ক্বিনাদিল ফি আহকামিল মিনদীল।<br />১৭০. আত্তারায়ুল মু'ল্লীম ফিমা হুয়া হাদ্দামা মিন আহওয়ালি লিদাম্মী।<br />১৭১. লামউল আহকাম আন্না লা ওযুআ মিনায যুকাম।<br />১৭২. হেদায়াতুল মুতাআল ফি হাদ্দিল ইসতেক্ববাল।<br />১৭৩. আল হাক্বুল মুজতালি ফি আহকামিল মুবতালি।<br />১৭৪. ফিফলুল ফক্বীহিল ফাহিম আহকামি কিরতাসিদ্দারাহিম।<br />১৭৫. নাবহুল কাওমী আন্নাল ওযুআ মিন আইয়্যে নাওমি।<br />১৭৬. তাসিরুল মাউন লিস সুকনি ফিততাউন।<br />১৭৭. আসসাহমুসশিহাবি আল খিদ্দায়িল ওয়াহাবী।<br />১৭৮. ফিক্বহে শাহেনশাহ ওয়া আন্নাল কুলুবিইয়াদিল মাহবুব।<br />১৭৯. মাফাদুল হিবরি ফুস সালাতি বিমাক্ববারাতি আউ জুনুবী ক্বাবরী।<br />১৮০. বদরুল আনওয়ার ফি আদাবিল আসার।<br />১৮১. আল হাদিল হাজির আন জানাযাতির গায়িব।<br />১৮২. শামামাতুল আম্বার ফি মাহাল্লিন্নাদায়ি বি আযায়িল মেম্বার।<br />১৮৩. আত্তাররাতুর রাদ্বিয়া আলান্নিরাতিল ওয়াযিয়া।<br />১৮৪. শামামাতুল আম্বার ফি মাহাল্লিন্নাদায়ি বি আসায়িল মেম্বার।<br />১৮৫. ফাসলুল ক্বাযাই ফি রাসমিল ইফতায়ি।<br />১৮৬. আল জাওহারুসসামিন ফিমা তানআক্বীছ বিহিল ইয়ামীন।<br />১৮৭. আওরাতুয মুহাযযার ফিততাযওয়জি বও গাইবি কুফহিল ওয়া মুখালিফিল মাযহার।<br />১৮৮. আবকারিউ হামান ফি ইজাবাতিল আযান।<br />১৮৯. শাওয়ারেকুন ন্নেসা ফি হাদ্দিল মিসরী ওয়াল ইসমা।<br />১৯০. লাময়াতুশশাময়া ফি ইশতেরাতিল মিসরী লিশ শামমা।<br />১৯১. আল বুদুরুল আহিল্লা ফি উমুরিল আহিল্লা।<br />১৯২. নুরুল আদিল্লা ফি উমুরিল আজিল্লাহ।<br />১৯৩. রাফউল ইল্লা আন নুরুল আদিল্লাহ।<br />১৯৪. আল লুলুউল মাকসুদলিবায়ানি হুকমি ইমরাতিল মাফকুদ।<br />১৯৫. ইযানুল আজার ফি আযানিল বাক্বার।<br />১৯৬. বিয়াতুল মুহাযযেবীন ফি দোয়াই বাদাল খুতবাতাইন।<br />১৯৭. রিসাকাতুল কালাম ফি হাওয়াশি ইযাকাতু আসাম।<br />১৯৮. আল বায়ানু শাফিয়া লি ফুতুগ্রাফিয়া।<br />১৯৯. জাদ্দুল মোনাতাকাত মিন রাদ্দিন মোখতার।<br />২০০. আত্তাজুল মুক্কাল্লাল ফি আনারাতি মাদলুল কানা ইয়াফয়াল<br />২০১. আসসুয়ুফুল মাখিফা আলা আয়েবী আবী হানিফা।<br />২০২. আসানুকাত বি জাওয়াবি সওয়ালে আরকাত মুলাক্বাব বিহওল ফাদ্দল।<br />২০৩. আতাযেবুসসায়ের ফিতাহক্বিক্বি মিলি ওয়াযযেরাই ওয়াল ফারাসেক ওয়াল গালওয়াহ<br />২০৪. আল মাকসাদুন্নাফে ফি উসুবাতিয়ে সিনফিল রাবে।<br />২০৫. তাইয়্যেবুল ইমআন ফি তাদালিল জিহাত ওয়াল আবদান।<br />২০৬. তাজাল্লিয়াতুল মুসলিম ফি মাসাইলে মিন নিসাফিল ইলম।<br />২০৭. বারাত নামা আনজুমানে ইসলামীয়া বাঁশ বেরেলী।<br />২০৮. নিয়ামুযযাদ লি রাদ্দেমিন আদ্দাস।<br />২০৯. আসাদুস সুয়ুল আলা ইজতেহাদিত তারারিল জুজহুল।<br />২১০. মুযাম্মন নাসরানি ওয়াত তাক্বসীমিল ঈমানী<br />২১১. ইজতেনাবুল উম্মাল আনফামু ওয়াল জুহহাল<br />২১২. সাইফে ওয়েলায়াতী বার ওয়াহিমে ওয়েলায়াতা।<br />২১৩. আল বারক্বল মুখাইব আলা বেক্বাই তায়্যিব।<br />২১৪. আল ইতরুল মুতায়্যব লি নিয়াতি শাফতু তাইয়্যেব।<br />২১৫. আল আমামাতুল কাসিফাহ লিল কুফরিয়াতিল মালাতিফা।<br />২১৬. আল জাইফা আলা তাহাফাতিল মালাতিফা<br />২১৭. সায়াতুল মুয়াদ্দিব আল রাহবাতিল মুসতারিব।<br />২১৮. আররাদ্দুন্নাহিয আলা সামিন্নাহি ইলহাজিব।<br />২১৯. নাফিউল আরমিন মা'য়াইবিল মাওলুভী আবদুল গাফফার।<br />২২০. ক্বাওয়ানিনুল ওলমা।<br />২২১. সাদ্দুল ফারার।<br />২২২. তীবওয়ীবুল আশবাহ ওয়ান্নযাইর।<br />২২৩. আজাল্লিয়ে নুজুমে রাজমে বার এডিটর আন্নাজম।<br />২২৪. আসসাইফুল সামদানী।<br />২২৫. আত্তুল বাদাল বাদীয়া।<br />২২৬. হাশিয়াহ ফাওয়াতিহুল রাহমাত।<br />২২৭. হামওয়ী শারাহ আল আসরা।<br />২২৮. হাশিয়াহ আসয়াফ আল আসবা ওয়ান নাযাইর।<br />২২৯. হাশিয়াহ আল আসয়াফ ফি আহকামুল আওক্বাফ।<br />২৩০. হাশিয়াহ ইফতাহুল আবসার।<br />২৩১. হাশিয়াহ কাশফুল গুম্মাহ।<br />২৩২. হাশিয়াহ শোয়াউস সেফার।<br />২৩৩. হাশিয়াহ কিতাবুল হুরাজ।<br />২৩৪. হাশিয়াহ মঈনুল হুক্কাম।<br />২৩৫. হাশিয়াহ মিনাযুল শারিয়াতিল কুবরা।<br />২৩৬. হাশিয়াহ হেদায়াতুল আখেরীন।<br />২৩৭. হাশিয়াহ হেদায়াতুল ফাতহুল ক্বাদির ইনাইয়া হালবি।<br />২৩৮. হাশিয়াহ বাদায়ে উস সানায়ে।<br />২৩৯. হাশিয়াহ জাওয়াহেরা নিরাহ।<br />২৪০. হাশিয়াহ জাওয়াহীরে আখলাতী<br />২৪১. হাশিয়াহ মারাক্বেউল ফালাহ।<br />২৪২. হাশিয়াহ মাজমাউল আনহার।<br />২৪৩. হাশিয়াহ জামেউ ফুসুলীন।<br />২৪৪. হাশিয়াহ জামেউল রুমুয।<br />২৪৫. হাশিয়াহ বাহরুর রাইক্ব।<br />২৪৬. হাশিয়াহ তাবাইয়্যেনুল হাক্বায়েক্ব।<br />২৪৭. হাশিয়াহ গুনিয়াতুল মুমতালি।<br />২৪৮. হাশিয়াহ ফাওয়াইদু কুতুবী আদীদা।<br />২৪৯. হাশিয়াহ কিতুবুল আনওয়ার।<br />২৫০. হাশিয়াহ বাসাইলু শামী।<br />২৫১. হাশিয়াহ ফাতহুল মুয়ীন।<br />২৫২. হাশিয়াহ শেফাউল আসক্বাম।<br />২৫৩. হাশিয়াহ তাহতাওয়ী আনাল রাদ্দুল রীল মুখতার।<br />২৫৪. হাশিয়াহ ফাতওয়া খানিয়া।<br />২৫৫. হাশিয়াহ ফাতওয়া সিরাজিয়া।<br />২৫৬. হাশিয়াহ খুলাসাতুল ফাতওয়া।<br />২৫৭. হাশিয়াহ ফাতাওয়া খাইরিয়া।<br />২৫৮. হাশিয়াহ উকুদুদ্দায়।<br />২৫৯. হাশিয়াহ হাদিসিয়া।<br />২৬০. হাশিয়াহ বাষাযিয়াহ।<br />২৬১. হাশিয়াহ ফাতাওয়া যারবিনিয়াহ।<br />২৬২. হাশিয়াহ ফতোয়া গিয়াসিয়াহ।<br />২৬৩. হাশিয়াহ রামাইলু ক্বাসিম।<br />২৬৪. হাশিয়াহ ইসলাহ শরহুল ফাইয়াহ।<br />২৬৫. হাশিয়াহ ফাতাওয়া আযিযিয়া।<br />২৬৬. হাশিয়াহ রাসাইলুল আরকান।<br />২৬৭. হাশিয়াতুল এলাম বিকুনিইল ইসলাম।<br />২৬৮. জাদ্দুল মুমতার কামিল (পাঁচ খন্ড) আরবী।<br />★★ তাসাউফ, আযকার, আওক্বাফ, তাবীর এবং আখলাখ- ( বিষয়ঃ ৫টি, কিতাবঃ ২০টি):<br />১. আযহারুল আনোয়ার মান সাববাহ সালাতাল আসরার (আরবী)<br />২. আল ইয়াকুতাতুল ওয়াসিতা ফিক্বালবি আক্বদির রাবিতা (উর্দু)<br />৩. কাশফে হাক্বাইক্ব ওয়া আসরার ওয়া দাক্বাইক্ব।<br />৪. বাওয়ারিক্বে তুলহ মিন হাক্বিক্বাতির রূহ।<br />৫. আততালাত্তুফ বে জাওয়াবে মাসাইলে তাসাউস।<br />৬. নুক্বাউসউস সুলাফা ফিল বাইয়াতে ওয়াল খেলাফা।<br />৭. যাহরুস সালাত মিন শাজারাতি আকারিমিল হুদাত।<br />৮. আল উরুসুল মু'তার ফি যামানে দাওয়াতিল আফতার।<br />৯. আল মান্নাতুল মুমতাযা ফি দাওয়াতিল জানাযা<br />১০. মাকাল্লা ওয়া কাফা মিন আদইয়াতিল মুস্তফা<br />১১. আল ফাউয বিল আমাল ফিল আওক্বাফ ওয়াদ্দোয়া (আরবী-উর্দু)<br />১২. শারহিল হুকুক্ব লে তাহরিল উকুক্ব।<br />১৩. মাসআলাতুল ইরশাদ ইলা হুকুক্বিল ইবাদ<br />১৪. আ'যাউল ইকতিনা ফি রাদ্দে সাদক্বাতি মানেউয যাকাত।<br />১৫. হাশিয়াতু ইয়াহইয়াউল উলুম (আরবী)<br />১৬. হাশিয়াতু হাদিক্বায়ে নাদিয়াহ (আরবী)<br />১৭. হাশিয়াতু মাদখাল ১ম-২য়-৩য় (আরবী)<br />১৮. হাশিয়াতু কিতাবুল ইবরিয (আরবী)<br />১৯. হাশিয়াতু কিতাবুয যাওয়াজির (আরবী)<br />২০. হাশিয়াতু তা'তীরিল আনাম (আরবী)<br />★★ তানক্বীদ- ( বিষয়ঃ ১টি, কিতাবঃ ৪১টি):<br />১. হাল্লু খাতাইল খাত্তি।<br />২. আন নাযিরুল হাইল লি কুল্লি জালফি জাহিল।<br />৩. আল এহলাল বি ফাইযিল আউলিয়া বাদাল ওয়াীসাল।<br />৪. আল আদীল্লাতু ত্বায়ীনা ফি আযানিল মালায়িনা।<br />৫. আন্নিরুশ শাহাবি আলা তাদলীসিল ওয়াহাবী।<br />৬. ফাইহুন্নাসেরীন বি জাওয়াবিল আস ইলাতিল ইশরিন।<br />৭. মুরাসাতে সালাতে ওয়া নাদওয়া।<br />৮. মাওয়ালাতে কাক্বাইক্বে নুমা রারদোসে নাদওয়াতিল ওলমা।<br />৯. তরজুমাতুল ফাতাওয়া ওয়াজজাহা হাদমিল বালওয়া।<br />১০. খুলাসা ফাওয়াদে ফাতাওয়া।<br />১১. রাফিউত তায়াসসুফ আনিল ইমাম আবি ইউসুফ।<br />১২. আল জাসাউল মুহাইয়া লা'নাতু কানাহিয়া।<br />১৩. ইযাহারুল হাক্বেল জবল্লি।<br />১৪. মারেকুল জুরুহ আলা তাওহীবিল মাকরূহ।<br />১৫. তানক্বীদ<br />১৬. হাশিয়াহ রাসায়েলুল আরকান।<br />১৭. বাইবেল মুসদাহ আরাদে কায়ফার কুফরানে নাসারা।<br />১৮. ইসলাইন নাযির।<br />১৯. আহকামুল বাহাস আলা আহলীল হাদীস।<br />২০. খুলাসাতু ফাওয়াদে ফতোয়া।<br />২১. আল বারেকাতুশ শারেকা আলাল মারেক্বাতুল মাশারেকা।<br />২২. ইতানুল আরওয়াহ লি দাইয়ারেহিম বাদাল আরওয়াহ।<br />২৩. মুরতাজিউল ইজাবাত লে দোয়াইল আমওয়াত।<br />২৪. সাইফুল মুস্তফা আলা আদইয়ানিল ইফতিরা।<br />২৫. ফাতহু খায়রব।<br />২৬. নিশাতুসসিক্বীন আলা হালক্বিল বাক্বরিস সামিন।<br />২৭. সামসামে হাদিদ বর কোলিয়ে বে কাইদ আদুও ওয়াতাক্বলীদ।<br />২৮. নিহায়াতুন নুসরাহ বরদালে আজুবাতিল আশারাহ।<br />২৯. ইনতেসারুল হুদা মিন শুইবিল হাওয়া।<br />৩০. হাশিয়াতু হামওয়ী শারহুল আশবাহ ওয়ান্নাযাইর।<br />৩১. গাযওয়াহ লি হাদাম সিমাকী দারুন্নাদওয়া।<br />৩২. নাদওয়াহ কাতিজা রুদাদে সোমকা নাতিজা।<br />৩৩. বরিশে বাহরি বর সাদফে বিহারী।<br />৩৪. সুয়ুফুল আনওয়া আলা যামায়েমুন্নাদওয়া।<br />৩৫. সামসামে সুন্নীয়াত বে গুলোয়ে নজদিয়্যাত।<br />৩৬. সামসামুল কাইউম আলা তাজিন্নাদওয়া আবদিল কাইয়ুম।<br />৩৭. ফারদাহ দার আমরিতসারী।<br />৩৮. আল আসলাউল ফাযেলা আলাত তওয়াইল বাবিলাহ।<br />৩৯. সাওয়ালামে ওলামা ওয়া জাওয়াবাতে নাদওয়াতুল ওলমা।<br />৪০. কায়ফারে কুফরে আরিয়া।<br />৪১. নূরে আইনী ফিল ইনতিসারিল ইমাম আইনী।<br />★★ তারিখ, সিয়ার, মানক্বিব এবং ফাযাইল- ( বিষয়ঃ ৪টি, কিতাবঃ ৫২টি):<br />১. জামেউল কোরআন ওয়া যাম্মে গাযাওয়ায়ে লে উসমান।<br />২. জামানুত তাজ ফি বায়ানিস সালাত ক্বাবলাল মিরাজ।<br />৩. নুতফুল হেলাল রারিখি ওয়ীলাদাল হাবিব ওয়াল ওয়ীসাল।<br />৪. মুসাম্মাউল মুনিয়া লি উসুলিল হাবিব ইলাহ আরশী ওয়ারুয়ীয়াহ।<br />৫. জালিবুল জিনান ফি রাসমি আহরুফিল মিনাল কোরান।<br />৬. সালাম ওয়াশের।<br />৭. আল কালাম লিল বাহি ফি তাশবিহিস সিদ্দীক্ব বিন্নবী।<br />৮. ওয়াজহিল মাশকুক্ব বি জালওয়াতি আসমাইস সিদ্দীক্ব ওয়াল ফারুক্ব।<br />৯. নফীউ আলফে আম্মা বিনুরিহী আনারা কুল্লা শাইয়্যিন।<br />১০. সালাতুল মুস্তফা ফি মুলুকীল কুল্লিল ওয়ারাহ।<br />১১. আজলালু জিবরীল বিজালিহি খাদিমান লিল মাহবুবিল জলিল।<br />১২. মাদ্দাল হায়রান ফি নফীইল ফাইয়ে আন মাসসিল আকওয়ান।<br />১৩. মুজীরে মুয়াযযাম শরহে কাছিদাহ একসিরে আযাম।<br />১৪. আল উরুসুল আসমাউল হুসনা ফিমা লি নবীয়্যানা মিনাল আসমাউল হুসনা।<br />১৫. তানযিউল মাকানাতিল হায়দারীয়াহ আন ওয়াসমাতি আহাদিল জাহেলিয়াহ।<br />১৬. আনযাউল বারী আন ওয়াস ওয়াসিল মুফতারি।<br />১৭. জামিলী সানাউল আইম্মাহ আলা ইলমি সিরাজিল উম্মাহ।<br />১৮. শুমুলুল ইসলাম লি আবায়েলের রাসুলিল কেরাম।<br />১৯. আম্মাউল মুস্তফা বি হালি সিররিন ওয়া আখফা।<br />২০. আদ্দাউলাতুল মক্কীয়াহ বিল মাদ্দাতিল গাইবিয়্যাহ।★★★<br />২১. ক্বামরুত্তামাম ফি নাফই আনফি আন সাইয়্যিল আনাম<br />২২. ফাতওয়া কারামাতে গাউছিয়া।<br />২৩. দেওয়ানুল কাসায়েদ।<br />২৪. ইকসিরে আজম।<br />২৫. সিলসিলাতুব যাহার নাফিইয়াতুল আদাব।<br />২৬. জারিয়ায়ে ক্বাদরীয়া<br />২৭. ফাযায়েলে ফারুক।<br />২৮. নসমে মুয়াততার।<br />২৯. মুশরেক্বিসতানে কুদস।<br />৩০. চেরাগে ওনস।<br />৩১. ওয়াযিফায়ে ক্বাদেরীয়াহ।<br />৩২. হুজরে জানে নূর।<br />৩৩. নাত ওয়া ইসতেযারাত।<br />৩৪. সারাপা নূর।<br />৩৫. মানাক্বেবে সিদ্দিকা।<br />৩৬. হামায়েলু ফাযলে রাসুল।<br />৩৭. নাযারগুদা দার তাহনিয়াতে শাদিয়ে উশরা।<br />৩৮. সিররে গুযাশত ওয়ামা জারায়ে নাদওয়া।<br />৩৯. ইবরাউল মাজনুন আলা ইনতিহাকে ইলমিল মাকনুন।<br />৪০. মাহিয়াতুল আইব বি ঈমানিল গাইব।<br />৪১. সাবিলূল হুদা লি বারেয়ে আইনিল কুযা।<br />৪২. আরাহাতু জাওয়ানেহুল গাইবে আন ইযাহাতিল আইব।<br />৪৩. আল জালাউল কামিল কা আইনি কুযাতিল বাতিল।<br />৪৪. হাশিয়াহ হাশিয়াতু হামযিয়া।<br />৪৫. হাশিয়াতু শরহে শিফা।<br />৪৬. হাশিয়াতু যুরক্বনী শরহে মাওয়াহীব।<br />৪৭. হাশিয়াতু বাহজাতুল আসরার।<br />৪৮. হাশিয়াতু আল ফাওয়াইদুল বাহিয়াহ।<br />৪৯. হাশিয়াতু কাশফুস যুনুন।<br />৫০. হাশিয়াতু আসরুশ শারিদ।<br />৫১. হাশিয়াতু খোলাসাতুল ওয়াফা।<br />৫২. হাশিয়াতু মুক্বাদ্দামা ইবনি খুলদুন।<br />★★ আদব, নাহু, লোগাত, উরুয- ( বিষয়ঃ ৪টি, কিতাবঃ ১৩টি ):<br />১. ইতহাফুল হালী লেবিকরে ফিকরীস সাম্বালী (উর্দু)।<br />২. তাবলীগুল কালাম ইলা মাদহিল কালাম ফি তাহক্বীক্বি ইসালাতুর মাসদারে ওয়াল আফয়াল (আরবি)।<br />৩. আযযামযামাতুল ক্বামারিয়াহ (উর্দু)।<br />৪. সানায়ে বাদিয়া।<br />৫. ফাতহুল মা'তি বি তাহক্বীক্বি মায়ানাল খাতি ওয়াল মুখতি।<br />৬. শরহে মাকালাতু মাযাকিয়াহ।<br />৭. মুশতারে ক্বীতানে আক্বাদাঁছ।<br />৮. আজাবু আদনা বার আদাদে আদনা।<br />৯. কামালুল আবরার ওয়া আলামুল আশরার।<br />১০. হাশিয়াতুল সুরাহ (আরবি)।<br />১১. হাশিয়াতু তাজুল উরুস (আরবি)।<br />১২. হাশিয়াতু মিযানুল আফকার (ফার্সী)।<br />১৩. হাদায়েক্বে বখ্শীশ। ★★★<br />★★ ইলমে যুফর ওয়া তাকসীর- ( বিষয়ঃ১টি, কিতাবঃ ১৩টি ):<br />১. আততায়েবুল একসীর ফি ইলমে তাকসীর (আরবি)।<br />২. রিসালাহ দর ইলমে তাকসীর (ফার্সী)।<br />৩. ১১৫২ মুরাববায়াত (উর্দু)।<br />৪. আসসাউকাবু রেজভীয়্যাহ আলাল কাওয়াকেবিল দ্দোররিয়া (আরবি)।<br />৫. আদদাওয়ালুল রজভীয়্যাহ লিল আমালিল জাফারিয়া (আরবি)।<br />৬. আল ওসায়েলুর রজভীয়্যাহ লিল মাসায়েলিল জাফারিয়া (আরবি)।<br />৭. মুজতালাল উরুস (উর্দু)।<br />৮. আল জাফরুল জামেয়ে (উর্দু)।<br />৯. আসহালুল কুতুব ফি জামিইল মানাযিল (আরবি)।<br />১০. রিসালাতুল ফি ইলমিল জাফার (আরবি)।<br />১১. আল জাদাওয়ালুর রেজভীয়্যাহ লিল মসায়িলিল জাফরিয়াহ।<br />১২. আল আজবাতুর রেজভীয়্যাহ লিল সামায়েলিল জাফারিয়া।<br />১৩. হাশিয়াতু দুররুল মাকনুন (আরবি)।<br />★★ জাবার ওয়া মুকাবিলা- ( বিষয়ঃ১টি, কিতাবঃ৪টি ):<br />১. হাল্লে সাফাতাহায়ে দরজায়ে মোম (ফার্সী)।<br />২. হীললুল মু'আদেলাত লি কাবিইল মুকাববায়াত (ফার্সী)।<br />৩. রিসালায়ে দর জাবরু মুক্বাবালা (ফার্সী)।<br />৪. হাশিয়াতু কাওয়াইদ আল জালিলাহ (আরবি)।<br />★★ তাওক্বীত, নুজুম, হিসাব- ( বিষয়ঃ৩টি, কিতাবঃ২৩টি ):<br />১. ইসতিনবাতুল আওক্বাত (ফার্সী)<br />২. রুইয়াতে হেলালে রমযান শরীফ (ফার্সী)<br />৩. মাসউলিয়াতিস সেহাম (ফার্সী)<br />৪. আল বোরহানুল ক্বাওয়ীম আলাল আরদে ওয়াত তাক্বওয়ীম (ফার্সী)<br />৫. আল জুমালুদ দ্দায়েরাহ ফি খুতুতি দ্দায়েরাহ (ফার্সী)<br />৬. তাসহীলুল তা'দীল (উর্দু)<br />৭. ময়লুল কাওয়াকিব ওয়াতা'দীলুল আয়্যাম (উর্দু)<br />৮. ইসতিকারাজু তাক্ববিমাতে কাওয়াকেব (ফার্সী)<br />৯. তুলু ওয়া গুরুবে নিরাইন (উর্দু)<br />১০. তাজে তাওক্বীত (উর্দু)<br />১১. তারজুমাহু ক্বাওয়াদে নাইটিকাল আল মিনক (উর্দু)<br />১২. জাদওয়ালে আওক্বাত (উর্দু)<br />১৩. হাশিয়াহ যুবদাতুল মুন্তাখাব (আরবী)<br />১৪. হাশিয়াহ জামেউল আফকার (আরবী)<br />১৫. হাশিয়াহ হাদয়েক্বন নুজুম (আরবী)<br />১৬. হাশিয়াহ খাজানাতুল ইলমি<br />১৭. যিজুল আওক্বাদ লিস সাওমে ওয়াসসালাম।<br />১৮. আল আনজাবুল আনীক্ব ফিতুরুকীত তালিক্ব<br />১৯. কালামুল ফাহিম ফি সালাসিলিল জামই ওয়াতত্বাকসীম<br />২০. কাশফুল ইল্লাহ আন সিমতিল ক্বিবলাহ<br />২১. আজকয়ল বাহা ফি কুয়াতিল কাওয়াক্বীব ওয়া যোহিফা<br />২২. দারউল কুবহী আল দারক্বী ওয়াক্বতিস সুবহী<br />২৩. সিররুল আওক্বাত<br />★★ ইলমে মুসল্লোস, ইরসিমাতিক্বী, লোগারসাম-( বিষয়ঃ৩টি, কিতাবঃ৮টি ):<br />১. রিসালা দার ইলমে মুসাল্লাস (ফার্সী)।<br />২. তালখীসে ইলমে মুসল্লোস কুরদী (ফার্সী)।<br />৩. উজুযহায়া মুসাল্লাম কুরদী (ফার্সী)।<br />৪. আল মাওহিবাত ফিল মুরাববাত (আরবি)।<br />৫. কিতাবুল ইরসিমাতিক্বী।<br />৬. রিসালা দার ইলমে লাওগারেসাম।<br />৭. আল বুদুর ফি আউজিল মাজযুর।<br />৮. হাশিয়াহ রিসালায়ে ইলমে মুসাল্লাম (ফার্সী)।<br />★★ হাইয়াত, হিনদাসা, রিয়াযি- ( বিষয়ঃ৩টি, কিতাবঃ৩৪টি ):<br />১. মাক্বালাহ মুফরাদাহ (উর্দু)<br />২. মায়ছানে উলুমু দারসুনানে হিজরী ঈসায়ী ওয়ারুমী (উর্দু)<br />৩. তুলু ওয়াগুরুব কায়াকিব ওয়া ক্বামার (উর্দু)<br />৪. কানুনে রুয়াতে আহীল্লাহ (উর্দু)<br />৫. কাসওয়ায়ে আশারিয়াহ (উর্দু)<br />৬. আল মায়ানাল মুজাল্লী লিল মুগনী ওয়াযিল্লী (ফার্সী)<br />৭. যাওবীয়া ইখতেলাফীল মানযার (ফার্সী)<br />৮. আছমারাহুল মাওজীব ফি তাদিলিল মারকায (ফার্সী)<br />৯. আল বদুর ফি আউযিল মাজযুর (ফার্সী)<br />১০. আযমুল বাযী ফি জাওয়ারীর রিয়াযি (ফার্সী)<br />১১. মাবহাসুল মায়াদালাহ জাতিদ দ্দারজাতিল সানিয়্যাহ (আরবী)<br />১২. কাশফুল ইল্লাহে আন সিমতিল ক্বিবলাহ (উর্দু)<br />১৩. রুইয়াতুল হেলাল (উর্দু)<br />১৪. ইকসিরুল ইশরী (আরবী)<br />১৫. ইসতেখারাজে উসুলে ক্বামার বার আস (ফার্সী)<br />১৬. আল আনজাবুল আনীক লিতুরুকিত তালীক (আরবী)<br />১৭. রিসালাতু আল ক্বামার (আরবী)<br />১৮. হাশিয়াতু শারহা চাগমিনি (আরবী)<br />১৯. হাশিয়াতু তাশরীহ (আরবী)<br />২০. হাশিয়াতু ইলমুল হাইয়াত (আরবী)<br />২১. হাশিয়াতু কিতাবুস সুয়ার (আরবী)<br />২২. হাশিয়াতু উসুলুল হিনদাসাহ (আরবী)<br />২৩. হাশিয়াতু তাহরীরে ইক্বলিদস (আরবী)<br />২৪. হাশিয়াতু রাফউল খিলাফ (আরবী)<br />২৫. হাশিয়াতু শারহে বাকুরা (আরবী)<br />২৬. হাশিয়াতু তিববুন্নফস (আরবী)<br />২৭. হাশিয়াতু শরহে তাযকিরাহ (আরবী)<br />২৮. জাদওয়াল বারায়ে জানতারী শাস্তশালা (ফার্সী)<br />২৯. আল আশকালুল ইক্বদিলিস লি নাকছে আশকালিল ইক্বদিস।<br />৩০. আক্বমারুল ইনশিরাহ লি হাক্বিক্বাতিল আসবাহ।<br />৩১. আ'আলীল আতায়া ফিল আদ্বলায়ে ওয়াযায়াওয়্যা<br />৩২. আল জুমাদ্দায়্যেরা ফি খুতুতিদ্দায়েরা<br />৩৩. সিত্তিন ওয়া লাওগামাম<br />৩৪. জাদাতুত তুলু ওয়াল মুররী লিসসাইয়া রাহ ওয়াননুজুম ওয়াল ক্বামার<br />★★ ফালসাফা, মানতিক- ( বিষয়ঃ২টি, কিতাবঃ৬টি ):<br />১. ফাওযে মুবিন দার রাদ্দে হারকাতে যমীন (উর্দু)।<br />২. আল কালিমাতুল মুলহিমা ফিল হিকমাতিল মাহকামাহ (উর্দু)।<br />৩. মুয়ীনে মুবিন বাহরে দাউরে শামস ওয়া সুকুনে যামীন (উর্দু)।<br />৪. হাশিয়াতু মুল্লা জালাল মীর যাহীদ (আরবি)।<br />৫. হাশিয়া শামশু বাযেগাহ (আরবি)।<br />৬. হাশিয়া উসুলে তাবয়ী (উর্দু)।<br />★★ ইলমে যিজাত- ( বিষয়ঃ১টি, কিতাবঃ৭টি ):<br />১. যুজয়ে মুসফিরুল মুতালেয়ে লিত তাক্বওয়ীম ওয়াত তালে (উর্দু)।<br />২. হাশিয়া বার জুন্দী (আরবি)।<br />৩. হাশিয়া জালালাতুল বার জুন্দী (আরবি)।<br />৪. হাশিয়া যেজ বাহাদুর খানী (ফার্সী)।<br />৫. হাশিয়া ফাওয়াইদে বাহাদুর খানী (ফার্সী)।<br />৬. হাশিয়া যাইজুন বুখানী (আরবি)।<br />৭. হাশিয়া জামেয়ে বাহাদুর খানী (ফার্সী)।<br />(Collected)</div>

আ'লা হযরতের লিখিত কিতাবসমুহ

আলা হযরত ইমাম আহমদ রযা খাঁন ফাযেলে ব্রেলভী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) এঁর লিখিত কিতাবসমূহ====চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দেদে আজম আলা হযরত আজিমুল বরকত ইমামে আহলে সুন্নাত ফখরে যমীন ও যমান আল্লামা মাওলানা হাফেজ ক্ আলাইহির) এটা একটা উজ্জ্বল কারামত যে, তিনি কেবল ৬৮ বৎসর হায়াত পেয়েছেন তৎমধ্য থেকে ১৪ বছর বাদ দিলে …

Read more »

২য় অধ্যায় : আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতই একমাত্র নাযাত প্রাপ্ত দল [কিতাবঃ আকাইদে আহলুস সুন্নাহ]

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"><div dir="ltr"><span style="color: red;">দ্বিতীয় অধ্যায় : আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতই একমাত্র নাযাত প্রাপ্ত দল</span></div><div dir="ltr"><span style="color: red;"><br /></span></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">1.পবিত্র কুরআনে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত</span></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">2.হাদিসের আলোকে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের প্রমাণ</span></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">3.প্রথম এ হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসদের অভিমত</span></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">4.দ্বিতীয় হাদিসের বিষয়ে বিজ্ঞ উলামাদের ব্যাখ্যা</span></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">5.পঞ্চম হাদিসের ব্যাখ্যায় বিজ্ঞ উলামাদের ব্যাখ্যা</span></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">6.আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের আদর্শ </span></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">7.আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকায়েদের ইমাম কে?</span></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">8.মাযহাব অস্বীকারকারীরা কি আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের অনুসারী? </span></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">______________________________________</span></div><div dir="ltr"><span style="color: red;"><br /></span></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতই একমাত্র নাজাত প্রাপ্ত দল</span></div><div dir="ltr"><span style="color: red;"><br /></span></div><div dir="ltr">প্রায় দেড় হাজার বছর গত হয়ে গেল ইসলাম ধর্ম এ পৃথিবীতে এসেছে। এর মধ্যে অনেক বিপদাপদের মোকাবেলা করতে হয়েছে এ পবিত্র ধর্মকে। হুযুর (ﷺ)'র সুশোভিত এ উদ্যানের উপর দিয়ে অনেক প্রলয়ঙ্করী ঝড়-তুফান বয়ে গেছে। কিন্তু খোদার লাখো শুকরিয়া যে, এ বাগান পূর্ববৎ সজীব ও প্রাণবন্ত রয়েছে। এ ধর্ম কখনো কুখ্যাত ইয়াযিদের শাসনামলে মেঘাচ্ছন্ন হয়েছে, কখনও হাজ্জাজের আমলের নির্যাতনে ধূলিধূসরিত হয়েছে, কখনো খলিফা মামুনের আমলে বাতিল পন্থীদের আক্রমণের শিকার হয়েছে, আবার কখনও তাতারীরা বীর-বিক্রমে এর উপর প্রচণ্ড আঘাত হেনেছে, আবার কখনও খারেজিদের সাথেও মোকাবেলা করতে হয়েছে। রাফেজিরাও একে সমূলে ধ্বংসের নীল নকশা তৈরী করেছিল। বর্তমান শতাব্দীতে আহলে হাদিস ও দেওবন্দী ফিতনাও ইসলামকে বিনাশ সাধনের জন্য ইসলামকে কেচি দ্বারা থ্রি কোয়ার্টার প্যান্টের মত ছোট করতে শুরু করেছে । কিন্তু ইসলাম এমন এক স্থির পাহাড়, যার সম্মুখে কোন শক্তিই টিকে থাকতে পারেনি। এটা যেমন ছিল তেমনই মজবুত রয়েছে। আর যতগুলো বাতিল দলই উদ্ভাবিত হোক না কেন সকল বাতিল মতবাদের মুখোশ উন্মোচনে তার থেকে একটি হকপন্থি সত্যান্বেষী দল কিয়ামত পর্যন্ত থাকবে, যারা রাসূল (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবিগণ এবং সলফে সালেহিনের আক্বিদা, আমল, মত এবং পথের উপর প্রতিষ্ঠিত । সে দলের নাম হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">👉 পবিত্র কুরআনে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত :</span></div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">আল্লাহ তা'য়ালা পবিত্র কোরআনের সূরা আলে-ইমরানের ১০৬ নং আয়াতে। বলেছেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ فَأَمَّا الَّذِينَ اسْوَدَّتْ وُجُوهُهُمْ أَكَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ فَذُوقُوا الْعَذَابَ بِمَا كُنْتُمْ تَكْفُرُونَ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“সেদিন (কিয়ামতের দিন) কোন কোন মুখ উজ্জ্বল হবে, আর কোন কোন মুখ হবে কালো। বস্তুত যাদের মুখ কালো হবে, তাদরেকে বলা হবে তোমরা কি ঈমান আনার পর কাফির হয়ে গিয়েছিলে? এবার সে কুফুরির বিনিময়ে আযাবের স্বাদ আস্বাদন করো।” </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">এখন আমরা দেখবো হাশরের ময়দানে কাদের মুখ উজ্জ্বল হবে আর কার মুখ কাল হবে। </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১. সুন্নী, দেওবন্দী ও আহলে হাদিসদের মান্যবড় আল্লামা ইবনে কাসির (রঃ) পবিত্র কোরআনের এ আয়াতের ব্যাখ্যায় সাহাবি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ)'র উক্তি বর্ণনা করেছেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">وَتَبْيَضُّ وُجُوهُ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“কিয়ামতের দিন যাদের মুখ উজ্জল হবে তারা হল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারী ।” ৩</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">বুঝা গেল সাহাবিদের যুগ থেকেই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আলোচনা ধারাবাহিকভাবে চলে আসছে এবং যে দলের সফলতার ইঙ্গিত বহন করে মহান আল্লাহর বাণী পবিত্র কোরআন। </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">২. ইমাম ইবনে আবি হাতেম (রহ) (ওফাত,৩২৭হি.) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় সনদ সহ একটি হাদিস সংকলন করেন এভাবে,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ: يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ قَالَ: تَبْيَضُّ وُجُوهُ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ.</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“হযরত সাঈদ ইবনে যুবাইর (রঃ) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন,</div><div dir="ltr">কিয়ামতের দিন যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে তারাই হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। ৪</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৩. এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতী (রঃ); (ওফাত.৯১১হি.) বলেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">وَأخرج ابْن أبي حَاتِم وَأَبُو نصر فِي الْإِبَانَة والخطيب فِي تَارِيخه واللالكائي فِي السّنة عَن ابْن عَبَّاس فِي هَذِه الْآيَة قَالَ {تبيض وُجُوه وَتسود وُجُوه} قَالَ تبيض وُجُوه أهل السّنة وَالْجَمَاعَة وَتسود وُجُوه أهل الْبدع والضلالة</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“ইমাম আবু হাতেম এজন্য তার তাফসীরে, আবু নছর এক তার ইবানাত গ্রন্থে, খতিবে বাগদাদী (রহঃ) তাঁর তারিখে বাগদাদে, ইমাম লালকায়ী গ্রাঙ্গণ তাঁর সুন্নাহ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, কিয়ামতের দিন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মুখ উজ্জ্বল হবে এবং আহলে বিদআতি বা দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মুখ কালো হবে।” ৫</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪. এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রঃ) (ওফাত.৯১১হি.) আরও বর্ণনা করেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">وَأخرج الْخَطِيب فِي رُوَاة مَالك والديلمي عَن ابْن عمر عَن النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فِي قَوْله تَعَالَى {يَوْم تبيض وُجُوه وَتسود وُجُوه} قَالَ: تبيض وُجُوه أهل السّنة وَتسود وُجُوه أهل الْبدع</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“ইমাম খতিবে বাগদাদি (রহঃ) তাঁর তারিখে বাগদাদে, ইমাম মালেক (রহঃ), ইমাম দায়লামী (রহঃ) তারা হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) হতে, এ আয়াতের ব্যাখ্যা স্বরূপ বর্ণনা করেন যে, কিয়ামতের দিন যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে তারাই হলো আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত। আর আহলে বিদআতী বা দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মুখ কালো হবে।” ৬</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr">৩. ইবনে কাসির, তাফসীরে ইবনে কাসীর, ২/৭৯পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ, ১৪১৯হি, </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪. ইমাম আবি হাতেম, আত-তাফসীর, ৩/৭২৯, হাদিস, ৩৯৫০, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী, তাফসীরে আদ্দুররুল মানসূর, ২/২৯১পৃ. দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন । </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৫. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, তাফসীরে আদ্দুররুল মানসূর, ২/২৯১পৃ. দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন ।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৬. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, তাফসীরে দুররুল মানসূর, ২/২৯১পৃ. দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, তাহের পাটনী, তাযকিরাতুল মাওদুআত, ১/৮৪পৃ, </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৫. এ আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম জালালুদ্দিন সুয়ূতি (রঃ); (ওফাত.৯১১হি.) আরও বর্ণনা করেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">وَأخرج أَبُو نصر السجْزِي فِي الْإِبَانَة عَن أبي سعيد الْخُدْرِيّ أَن رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم قَرَأَ {يَوْم تبيض وُجُوه وَتسود وُجُوه} قَالَ: تبيض وُجُوه أهل الْجَمَاعَات وَالسّنة وَتسود وُجُوه أهل الْبدع والأهواء</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">ইমাম আবু নছর আল-সাযি (রহ) একদা তার আল-ইবানাত গ্রন্থে, </div><div dir="ltr">হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে,</div><div dir="ltr">এ আয়াতের ব্যাখ্যাস্বরূপ বর্ণনা করেন যে, কিয়ামতের দিন যাদের মুখ উজ্জল হবে তারাই হলো আহলে জামাত অর্থাৎ আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত, আর আহলে বিদআতী বা ও দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এবং যাদের মধ্যে প্রবৃত্তিপূজা থাকবে তাদের মুখ কালো হবে।" ৭</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৬. আহলে হাদিসদের ইমাম শাওকানী এ আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">وَأَخْرَجَ ابْنُ أَبِي حَاتِمٍ، وَالْخَطِيبُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ فِي قَوْلِهِ: يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ قَالَ: تَبْيَضُّ وُجُوهُ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ، وَتَسْوَدُّ وُجُوهُ أَهْلِ الْبِدَعِ وَالضَّلَالَةِ.</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-" কিয়ামতের দিন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মুখ উজ্জ্বল হবে এবং বিদআতী ও দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মুখ কালো হবে (যাদেরকে আহলুল বিদআত ওয়াল ফুরকা বলা হয়)। ৮</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৭. ইমাম দায়লামী (রঃ) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বর্ণনা করেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">{يَوْم تبيض وُجُوه وَتسود وُجُوه} تبيض وُجُوه أهل السّنة وَتسود وُجُوه أهل الْبدع</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“এ আয়াতের ব্যাখ্যাস্বরূপ বর্ণনা করেন যে, কিয়ামতের দিন যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে তারাই হলো আহলে সুন্নাহ (জামাত)। আর আহলে বিদআতি বা দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মুখ কালো হবে।”৯</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr">৭. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, তাফসীরে দুররুল মানসূর, ২/২৯১পৃ. দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, ইমাম অাবি হতাম, আত-তাসীর, ৩/৭২৯, </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৮. শাওকানী, ফতহুল ক্বদীর, ১/৪২৫, দারু ইবনে কাসির, দামেস্ক, বয়রুত, প্রকাশ ১৪ ১৪হি, </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৯.ইমাম দায়লামী, আল-ফিরদাউস, ৫/৫২৯পৃ. হাদিস, ৮৯৮৬</div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৮. আহলে হাদিসদের ইমাম ইবনে তাইমিয়া এ আয়াতের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">قال ابن عباس رضي الله عنهما: تبيض وجوه أهل السنة والجماعة وتسود وجوه أهل البدعة والفرقة.</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, কিয়ামতের দিন যাদের মুখ উজ্জ্বল হবে তারাই হল আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এবং বিদআতী ও দ্বীন থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মুখ কালো হবে (তাদেরকে আহলুল বিদআত ওয়াল ফুরকা বলা হয়)। ১০</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">👉 হাদিসের আলোকে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের প্রমাণ :</span></div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">প্রথম হাদিসঃ</span> হযরত ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন-“আমার উম্মতের মধ্যে সে সমস্ত জিনিসের আবির্ভাব ঘটবে, যা বনী ইসরালের মধ্যে ছিল। দু'টি জুতার একটি অপরটির সাথে যেমন মিল থাকে । এমনকি বনী ইসরাঈলের কেউ যদি প্রকাশ্যে মায়ের সাথে যিনা করে, তবে আমার উম্মতের মধ্যেও এমন লোকের আবির্ভাব হবে, যে তা করবে। নিশ্চয় বনী ইসরাঈল বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছে এবং আমার উম্মত তিয়াত্তার দলে বিভক্ত হবে। তাদের সকলেই জাহান্নামে যাবে তবে একটি দল ব্যতীত । তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, তারা কারা? রাসূল (ﷺ) উত্তর দিলেন, “আমি এবং আমার সাহাবার আদর্শের ওপর যারা প্রতিষ্ঠিত থাকবে।” ১১</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">প্রথম এ হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসদের অভিমত ও আমরা এখন দেখবো যে উপরের হাদিসের ব্যাখ্যায় বিজ্ঞ মুহাদ্দিস, মুফাসসির, ফকিহগণ কোন দলের কথা বলেছেন। </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১.এ হাদিসের ব্যাখ্যায় আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী (রঃ) বলেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">فَلَا شَكَّ وَلَا رَيْبَ أَنَّهُمْ هُمْ أَهْلُ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“এতে কোন সন্দেহ নেই যে, নাজাতপ্রাপ্ত দলটিই হলো আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত।” ১২</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">২. আল্লামা ইমাম ইরাকী (দঃ) বলেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">أهل السّنة وَالْجَمَاعَة</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">"এটাই হলো আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জা'আমাত।” ১৩ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৩. বিখ্যাত তাফসিরকারক আল্লামা ইসমাঈল হাক্কি (রঃ) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন-</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">وفرقة ناجية وهم اهل السنة والجماعة </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">“নাজাতপ্রাপ্ত দলই হলো আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত।" ১৪</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr">১০.ইবনে তাইমিয়া, মুস্তাদরাক আ'লা মাজমাউল ফাত্ওয়া, ২/২৫২পৃ. (শামিলা)</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১১. খতিব তিবরিযী, মিশকাতুল মাসাবিহ, ১/৬১পৃ., কিতাবুল ই'তিসাম বিস্-সুন্নাহ, হাদিস নং.১৬১, তিরমিযি, আস-সুনান, ৫/২৬, হাদিস, ২৬৪১, আহলে হাদিস আলবানী সুনানে তিরমিযির তাহক্বীকে হাদিসটি হাসান বলেছেন, তাবরানী : মুজামুল কাবীর, ১৩/৩০পৃ, হাদিস, ৬২, ১৪/৫২, হাদিস, ১৪৬৪৬, মাকতু ইবনে তাইমিয়া, কাহেরা, মিশর, প্রকাশ, ১৪ ১৫হি, বায়হাকি, ই'তিত্বাদ, ১/২৩৩পৃ. বাগভী, শরহে সুন্নাহ, ১/২১৩, হাদিস, ১০৪ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১২. মােল্লা আলী কৃারী, মেরকাত, ১/ ২৫৯, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়ত, লেবানন, প্রথম প্রকাশ, ১৪২২হি,। </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১৩. ইমাম ইরাকী, তাখরীজে ইহইয়াউল উলুম, ১/১১৩৩পৃ. দারুল ইবনে হাযম, বয়রুত, লেবানন, প্রথম প্রকাশ, ১৪২২হি,।</div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪. আহলে হাদিসদের মুহাদ্দিস মোবারকপুরী এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন -</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">ولا شك أنهم أهل السنة والجماعة. </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">“এতে কোন সন্দেহ নেই নাজাত প্রাপ্ত দলটিই হলো আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত ।” ১৫ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">দ্বিতীয় হাদিস: </span>এ বিষয়ে উপরের হাদিসের ন্যায় সাহাবি হযরত মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান (রাঃ) হতে আরেকটি সূত্র এভাবে বর্ণিত আছে যে, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন,</div><div dir="ltr">“তোমাদের পূর্বে আহলে কিতাব (ইহুদি ও খ্রিষ্টান) বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছে । আর আমার উম্মত তিয়াত্তর দলে বিভক্ত হবে।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">كُلُّهَا فِي النَّارِ إِلَّا وَاحِدَةً، وَهِيَ الْجَمَاعَةُ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">‘বাহাত্তর দল জাহান্নামে যাবে এবং একটি দল জান্নাতে যাবে। আর তারা হল জামাত অর্থাৎ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। আর আমার উম্মতের মাঝে এমন একদল লোকের আবির্ভাব হবে, যাদের মধ্যে প্রবৃত্তিপূজা এমনভাবে প্রবেশ করবে, যেমন জলাতঙ্ক রোগ, এ রোগ আক্রান্ত ব্যক্তির প্রতিটি শিরা-উপশিরায় প্রবেশ করে।”১৬ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">এই দ্বিতীয় হাদিসের বিষয়ে বিজ্ঞ উলামাদের ব্যাখ্যা ,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১.আল্লামা শায়খ মাতুলী শা'রাভী একা { ওফাত.১৪১৮হি. } এ হাদিসের ব্যাখ্যায় লিখেন,</div><div dir="ltr">والجماعة: هم أهل السنة والجماعة</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“এখানে জামাত বলতে রাসূল (ﷺ) আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতকে বুঝিয়েছেন।"১৭ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">২. এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম আব্দুর রউফ মানাভী (রঃ) বলেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">والجماعة أي أهل السنة والجماعة</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“এখানে জামাত বলতে রাসূল (ﷺ) আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতকে বুঝিয়েছেন।”১৮ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৩. এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম আব্দুর রউফ মানাভী (রঃ) আরও বলেন, </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">الفرقة الناجية هي أهل السنة والجماعة </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“নাজাত প্রাপ্ত দলই হলো আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত।”১৯ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪. আহলে হাদিস সম্প্রদায়ের আলেম আযিমাবাদী (ওফাত.১৩২৯হি.) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন-</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">هُمْ أهل السنة والجماعة وهي الفرقة الناجية </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">“এটা দ্বারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতকে বুঝানো হয়েছে, যা একমাত্র নাজাত প্রাপ্ত দল।"২০</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr">১৪. ইসমাঈল হাক্কী, তাফসীরে রূহুল বায়ান, ১/১৩পৃ. সুরা ফাতেহার ব্যাখ্যা, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়া, লেবানন । </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১৫. মােবারকপুরী, মের'আতুল মাফাতিহ, ১/ ২৭৫পৃ. </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১৬. খতিব তিবরিযি, মিশকাতুল মাসাবিহ, ১/৬১পূ, কিতাবুল ই'তিসাম বিস্-সুন্নাহ, হাদিস নং. ১৬২, মুসনাদে আহমদ,আবু দাউদ, আস-সুনান, ৪/১৯৮পৃ. কিতাবুস-সুন্নাহ, হাদিস, ৪৫৯৭, আহলে হাদিস আলবানী সুনানে আবি দাউদের তাহকীকে হাদিসটি হাসান বলেছে কিন্তু পাগলের মত আবার মিশকাতে সহিহ বলেছে। </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১৭. শায়খ শারাভী, তাফসীরে শারাভী, ৭/৪ ০০২পৃ.। </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১৮. মানজ, ফয়যুল কাদীর, ২/২০পৃ, হাদিস ও ১২২৩, মাকতুবাতুল আযারিয়াতুল কোবরা, মিশর, প্রকাশ, ১৩৫৬হি । </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১৯. মানাভী, ফয়যুল কাদীর, ২/২৩, হাদিস : ১২২৩, মাকতুবাতুল যারিয়াতুল কোবরা, মিশর, প্রকাশ, ১৩৫৬হি,।।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">২০. আযিমাবাদী, শরহে সুনানে আবি দাউদ, ১২/২২৩পৃ.দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ, ১৪১৫ হি,।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr">৫. আহলে হাদিস মোবারকপুরী (ওফাত,১৩৫৩হি.) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন  -</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">هُمْ أَهْلُ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ وَهِيَ الْفِرْقَةُ النَّاجِيَةُ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">“এটা দ্বারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতকে বুঝানো হয়েছে, যা একমাত্র নাজাত প্রাপ্ত দল। ২১</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">তৃতীয় হাদিস:  এ ছাড়া এ বিষয়ে উপরের হাদিসের অনুরূপ সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে আরেকটি সূত্র পাওয়া যায়। ২২</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">চতুর্থ হাদিস : ইমাম আবু লাইস সমরকন্দী (রহ) {ওফাত ৩৭৩হি.} এ হাদিসটি কিছুটা মতন পরিবর্তন করে সংকলন করেন এভাবে,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">قالوا: يا رسول الله ما هذه الواحدة؟ قال: أهْلَ السُّنَّةِ وَالجَمَاعَةِ الَّذِي أنا عَلَيْهِ، وأصْحَابِي</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“সাহাবায়ে কেরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (ﷺ)! নাজাতপ্রাপ্ত একমাত্র দল কোনটি? তিনি বললেন, তারা হলো আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত যারা আমার এবং সাহাবিদের আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত।"২৩</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">উপরের হাদিসে প্রমাণিত হলো যে রাসূল (ﷺ)'র মুখেই আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের নাম উচ্চারিত হয়েছে বা প্রচলন ছিল । তার আরেকটি প্রমাণ পাওয়া যায় সাহাবিদের যুগেই এ সঠিক দলের নামের প্রচলন ছিল। যেমন :</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (রহ) বর্ণনা করেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">سُئِلَ أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ تَعَالَى عَنْهُ عَنْ عَلَامَاتِ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ؟ فَقَالَ: أَنْ تُحِبَّ الشَّيْخَيْنِ، وَلَا تَطْعَنَ الْخَتَنَيْنِ، وَتَمْسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ.</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“হযরত আনাস বিন মালেক (রাঃ) কে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আলামত সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেছেন- শায়খাইন অর্থাৎ হযরত আবু বকর ও উমর (রাঃ) কে মুহাব্বত করা । এবং হযরত আলী  ও হযরত উসমান (রাঃ)'র সমালোচনা না করা এবং চামড়ার মৌজাদ্বয়ের উপরে মাসেহ করা । (মোল্লা আলী কারী, মিরকাত, ২/৪৭২পৃ.) </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">এ রকম বর্ণনা হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর পাওয়া যায় (তথ্য সূত্র: মোল্লা জিওন, তাফসীরে আহমদিয়্যাহ তে সুরা আনআমের ১৫৩ নং আয়াতের ব্যাখ্যায়।) </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">এ ছাড়া আমরা সুরা আলে ইমরানের ১০৬ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় আমরা বিস্তারিত আলোকপাত করেছি। এ সমস্ত হাদিসে সত্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত দলের পরিচয় দেওয়া হয়েছে, যারা রাসূল (ﷺ) এবং সাহাবায়ে কেরামের আদর্শের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। আর রাসূল (ﷺ) বলেন. - এবং সাহাবিদের আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত একমাত্র দল হলো আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত। </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr">২১. মোবারকপুরী, তুহফাতুল আহওয়াযি, ৭/৩৩২পৃ. ও মের'আতুল মাফাতিহ, ১/২৭১পৃ. ও ১.২৭৮পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন । </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">২২. ইমাম আবু নুয়াইম ইস্পাহানী, হুলিয়াতুল আউলিয়া, ৯/১৩৮পৃ. দারু ইহইয়াউত্-তুরাসুল আরাবী, বয়রুত, লেবানন । </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">২৩. ইমাম আবু লাইস সমরকন্দী, তাফসীরে বাহারুল উলুম, ১/৪৫৬পৃ. দারু ইহইয়াউত্-তুরাসুল আরাবী, বয়কত, লেবান। </div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">এ বিষয়ে আরও অনেক হাদিসে পাক জানতে আপনারা আমার লিখিত প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’ দ্বিতীয় খণ্ড দেখুন। এ ছাড়া যত সম্প্রদায় তথা রাফেযী, খারেজী, মুরজিয়া, কাদারীয়া, জাহমিয়া, হারুরিয়া, শিয়া, আহলে হাদিস, কওমী-দেওবন্দী সকলেই ভ্রান্ত এবং পথভ্রষ্ট। </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">পঞ্চম হাদিস : হযরত মুয়াবিয়া বিন কুররাতা (রঃ) তিনি তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন ,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">لَا تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي مَنْصُورِينَ، لَا يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“আমার উম্মতের মাঝে একদল কিয়ামত পর্যন্ত (শত্রু পক্ষের উপর) সর্বদা সাহায্যপ্রাপ্ত থাকবে। যে তাদেরকে লাঞ্ছিত করতে চায়, সে তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না।” ২৪</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">পঞ্চম হাদিসের ব্যাখ্যায় বিজ্ঞ উলামাদের ব্যাখ্যাঃ</span></div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১.এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম কাযি আয়াজ মালেকী (রঃ) এবং ইমাম নববী (রঃ) বলেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">قَالَ الْقَاضِي عِيَاضٌ إِنَّمَا أَرَادَ أَحْمَدُ أَهْلَ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ وَمَنْ يَعْتَقِدُ مَذْهَبَ أَهْلِ الْحَدِيثِ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“ইমাম কাযি আয়ায (রঃ) বলেন, নিশ্চয় ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রঃ) এ হাদিস থেকে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতকে উদ্দেশ্য বা ইচ্ছা পোষণ করেছেন যারা হাদিস বিশারদগণের আক্বিদার উপর রয়েছেন। ২৫ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">২. আল্লামা ইমাম বদরুদ্দীন আইনী (র) এর ব্যাখ্যায় লিখেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">وَقَالَ الإِمَام أَحْمد: إِن لم يَكُونُوا أهل الحَدِيث فَلَا أَدْرِي من هم. وَقَالَ القَاضِي عِيَاض: إِنَّمَا أَرَادَ الإِمَام أَحْمد أهل السّنة وَالْجَمَاعَة.</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“ইমাম আহমদ (রহ) বলেন, যদি (সে দলের লোকেরা ) তারা হাদিস বিশারদগণ না হয় তাহলে তাদের সম্পর্কে আমি জানি না । ইমাম কাযি আয়ায (রহঃ) বলেন, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রঃ) (এ হাদিসে পাকের ব্যাখ্যায়) (এখানে তায়েফা বা একটি দল বলতে) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতকেই উদ্দেশ্য বা ইচ্ছা পোষণ করেছেন।" ২৬ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr">২৪. ইমাম ইবনে মাযাহ, আস-সুনান, ১/৪ পূ, হাদিস ৪৬, আৰু নুয়াইম ইস্পাহানী, হুলিয়াতুল আউলিয়া, ৯/৩০৭পৃ, সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস : ৬৮৩৫, মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৮২৭৪ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">২৫. ইমাম নওয়াবী, শরহে মুসলিম, ১৩/৬৭পৃ, দারু ইহইয়াউত-তুরাসুল আরাবী, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ, ১৩৯২হি</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">২৬. ইমাম বদরুদ্দীন আইনী, শরহে বুখারী, ২/৫২পৃ. এবং ১৬/১৬৪পৃ.দারু ইহইয়াউত-তুরাসুল আরাবী, বয়রুত, লেবানন ।</div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৩. এ হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রঃ) (ওফাত.৯১১হি.) বলেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">قَالَ أَحْمد بن حَنْبَل فِي هَذِه الطَّائِفَة إِن لم يَكُونُوا هم أهل الحَدِيث فَلَا أَدْرِي من هم أخرجه الْحَاكِم فِي عُلُوم الحَدِيث قَالَ القَاضِي عِيَاض وَإِنَّمَا أَرَادَ أهل السّنة وَالْجَمَاعَة وَمن يعْتَقد مَذْهَب أهل الحَدِيث </div><div dir="ltr">-“ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রঃ) ঐ দল সম্পর্কে বলেন যদি তারা হাদিস বিশারদগণ না হন তাহলে আমি তাদেরকে চিনি না। ইমাম হাকেম নিশাপুরী (রঃ) তাঁর “উলুমুল হাদিস গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ইমাম কাযি আয়ায (রঃ) বলেছেন, (ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল) যারা হাদিস বিশারদগণের আক্বিদার উপরে তিনি তাদেরকেই আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত বলে বুঝিয়েছেন। ২৭</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪. আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (রঃ) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন- </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">فَالْمُرَادُ بِهِمْ أَهْلُ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ.</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">“এখানে তায়েফা বা একদল দ্বারা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতকে উদ্দেশ্য করা হয়েছে।”২৮ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৫. আহলে হাদিস আযিমাবাদী (ওফাত.১৩২৯হি.) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন-</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">وقال أحمد بن حنبل إن لم يكونوا أهل الحديث فلا أدري من هم -قال القاضي عياض إنما أراد أحمد أهل السنة والجماعة ومن يعتقد مذهب أهل الحديث</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“ ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রঃ) ঐ দল সম্পর্কে বলেন যদি তারা হাদিস বিশারদগণ না হন তাহলে আমি তাদেরকে চিনি না। ইমাম কাযি আয়ায (রঃ) বলেছেন, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রঃ) এখানে যারা হাদিস বিশারদগণের আক্বিদার উপরে রয়েছেন তথা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতকেই ইচ্ছা পোষণ বা উদ্দেশ্য করেছেন।”২৯ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr">২৭. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী, শরহে সুনানে ইবনে মাযাহ, ১/২পৃ. (শামিলা) </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">২৮. ইমাম মােল্লা আলী ক্বারী, মেরকাত, ৯/৪০৫২, হাদিস নং-৬২৯২, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ, ১৪০৫ হি, </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">২৯. আযিমাবাদী, শরহে সুনানে আবি দাউদ, ৭/১১৭পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ, ১৪ ১৫ হি,</div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৬. আহলে হাদিস মোবারকপুরী (ওফাত.১৩৫৩হি.) এ হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">وَقَالَ الْحَافِظُ فِي الْفَتْحِ وأخرج الحاكم فِي عُلُومِ الْحَدِيثِ بِسَنَدٍ صَحِيحٍ عَنْ أَحْمَدَ إِنْ لَمْ يَكُونُوا أَهْلَ الْحَدِيثِ فَلَا أَدْرِي مَنْ هُمْ وَمِنْ طَرِيقِ يَزِيدَ بْنِ هَارُونَ مِثْلُهُ انْتَهَى قَالَ الْقَاضِي عِيَاضٌ إِنَّمَا أَرَادَ أَحْمَدُ أَهْلَ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ وَمَنْ يَعْتَقِدُ مَذْهَبَ أَهْلِ الْحَدِيثِ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী (রঃ) তাঁর ফতহুল বারী' গ্রন্থে এবং ইমাম হাকেম নিশাপুরী (রঃ) তার উলুমুল হাদিস গ্রন্থে সহিহ সনদে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রঃ) থেকে বর্ণনা করেন ঐ দল সম্পর্কে বলেন যদি তারা হাদিস বিশারদগণ না হন তাহলে আমি তাদেরকে চিনি না। বিশিষ্ট মুহাদ্দিস ইয়াযিদ ইবনে হারুন (রঃ) ও অনুরূপ বর্ণনা করেছেন । ইমাম কাযি আয়ায (রঃ) বলেছেন, (ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল) যারা হাদিস বিশারদগণের আকিদার উপরে রয়েছেন তিনি তাদেরকেই তথা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত বলে উদ্ধেশ্য বা ইচ্ছা পোষণ করেছেন।”৩০</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">আল্লামা ইবনে কাসির দামেস্কী (রঃ) মত পেশ করেছেন যে, তায়েফা বা সে দলটি হলো আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত।” ৩১</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr"><span style="color: red;">আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতাদর্শ :</span></div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামাতের পরিচয় সম্পর্কে আল্লামা মায়দানী (রঃ) লিখেছেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">أَهْلِ السُّنَّةِ السيرة والطريقة المحمدية و أَهْلِ الْجَمَاعَةِ من الصحابة والتابعين ومن بعدهم من المتبعين للنبي صلى الله عليه وسلم</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“আহলুস সুন্নাহ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, রাসূল (ﷺ)র সীরাত এবং তাঁর তরিকার ওপর যারা প্রতিষ্ঠিত এবং আহলুল জামা'আত দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, যারা রাসূল (ﷺ)'র অনুসারী সাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈন এবং তাবে-তাবেয়ীগণের আদর্শের ওপর প্রতিষ্ঠিত।”</div><div dir="ltr">(শরহে আকিদাতুত তাহাবী, পৃ.৪৪)। </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">সদরুশ শরিয়া আল্লামা উবায়দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রঃ) লিখেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">أَهْلُ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ هُمُ الذين والطريقهم طريقة الرسول وَأَصْحَابِهِ دون أَهْلِ الْبِدَعِ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“যাদের তরিকা হলো, রাসূল (ﷺ) এবং সাহাবাবিদের তরিকা, তারাই হলো আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত এবং তারা কোন বিদআতী সম্প্রদায় নয়। ৩২</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের পরিচয় সম্পর্কে আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (রঃ) বলেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">أَهْلُ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ، وَهُمُ الَّذِينَ طَرِيقَتُهُمْ كَطَرِيقَةِ رَسُولِ اللَّهِ  صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ–وَأَصْحَابِهِ – رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمْ -، دُونَ أَهْلِ الْبِدَعِ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">- যাদের তরিকা হলো, রাসূল (ﷺ) এবং সাহাবাবিগণের তরিকা, তারাই হলো আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আত এবং তারা কোন বিদআতী সম্প্রদায় নয়।” ৩৩</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">আহলে হাদিসদের ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">والبدعة مقرونة بالْجَمَاعَةِ فيقال: أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ كما يقال اهل البدعة والفرقة</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“বিদআত শব্দটি ফিরকা’ (বিচ্ছিন্নতাবাদ)'র সাথে সম্পর্কিত এবং সুন্নাত শব্দটি জামাত (বৃহত্তম) দলের সাথে সম্পর্কিত। যেমন বলা হয়ে থাকে, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাত এবং বলা হয়, আহলুল বিদআত ওয়াল ফিরকা।” (আল-ইস্তিমাতু, ১/৪২পৃ.) </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr">৩০. মোবারকপুরী, তুহফাতুল আহওয়ামি, ৬/৩৬০পৃ.দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন । </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৩১. ইবনে কাসির, বেদায়া ওয়ান নেহায়ী, ৬৭৩পৃ.দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ, ১৪০৭হি। </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৩২. আল্লামা উবায়দুল্লাহ ইবনে মাসউল, আত-তাওযীহ, ৩/৩৮পৃ.. </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৩৩. ইমাম মোল্লা আলী কারী, মেরকাত, ৯/৪০৪৪, দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রথম প্রকাশ, ১৪২২হি।</div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">ইমাম তিরমিযি (রহ) এ মতটিকে উল্লেখ করতে গিয়ে লিখেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">وَهَكَذَا قَوْلُ أَهْلِ العِلْمِ مِنْ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالجَمَاعَةِ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“আর এটিই আহলে ইলম তথা আহলু সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আক্বিদা।”৩৪ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">ইমাম জুরকানী (রঃ) একটি বিষয়কে হক প্রমাণে এবং বাতিলদের খণ্ডনে বলতে গিয়ে লিখেন- </div><div dir="ltr">قَالَ أَهْلُ الْعِلْمِ مِنْ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">“আর এটিই আহলে ইলম (যারা ইলমে হাদিস ও ফিকহের অধিকারী) তথা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতের আক্বিদা। ৩৫ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">আহলে হাদিসদের ইমাম শাওকানী এক পর্যায়ে আহলু সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতকে হক এভাবে লিখেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">لِأَنَّ الْمَسْحَ ثَبَتَ بِالتَّوَاتُرِ وَاتَّفَقَ عَلَيْهِ أَهْلُ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“নিশ্চয় (জুতার উপর মোজা) মাসেহ করা মুতাওয়াতির পর্যায়ের হাদিস দ্বারা প্রমাণিত এবং আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। ৩৬</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">আহলে হাদিস মোবারকপুরী (ওফাত,১৩৫৩হি.) আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত সম্পর্কে তার কিতাবের এক স্থানে লিখেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">الشيخ الجيلاني في الغنية: وأما الفرقة الناجية فهي أهل السنة والجماعة.</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“বড় পীর হযরত শায়খ আব্দুল কাদের জিলানী (রাঃ) তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ“গুনিয়াতুত-তালেবীন' এ লিখেন, আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতই হলো একমাত্র নাজাতপ্রাপ্ত দল। ৩৭</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">ইমাম খতিবে বাগদাদী (রহঃ) একজন রাবীর গ্রহণযোগ্যতা ও সে সঠিক আক্বিদায় বিশ্বাসী ছিল বলতে গিয়ে লিখেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">وكان شيخا صالحا صدوقا من أهل السنة، معروفا بالخير،</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“তিনি হাদিসের শায়খ ছিলেন, সৎ, সত্যবাদী, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের আকিদায় বিশ্বাসী ছিলেন, পরিচিত ভালো ব্যক্তি ছিলেন।” ৩৮</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr"><b><span style="color: red;">আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকায়েদের ইমাম কে? </span></b></div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">ইজতিহাদী ফিকহী শরিয়তের মাসআলার ক্ষেত্রে চার মাযহাবের যে কোনো ইমামের মতামতকে অনুসরণ করা অপরিহার্য। কিন্তু আকিদাগত ক্ষেত্রে সেটা ভিন্নতর ।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr">৩৪. তিরমিযি, আস্-সুনান, ৩/৪১পৃ.হাদিস : ৬৬২. </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৩৫. জুরকানী, শরহে মুয়াত্তা, ৪/৬৬৩পৃ. আযিমাবাদী, শরহে সুনানে আবি দাউদ, ১৩/১৩পৃ.দারুল কুতুব ইমিয়্যাহ, বয়কত, লেবানন, প্রকাশ, ১৪ ১৫ হি.।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৩৬. শাওকানী, নায়লুল আউতার, ১/২৩১, দারুল হাদিস, মিশর, প্রকাশ,১৪১৩হি, </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৩৭. মোবারকপুরী, তুহফাতুল আহওয়ার্যি, ৭৩৩২৭পৃ, ও মেরআতুল মাফাতিহ, ১/২৭১,দারুল কুতুব ইমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন ।</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৩৮. খতিবে বাগদাদ, তারীখে বাগদাদ, ৪/২২পৃ. ক্রমিক.১২৩৩, দারুল গুরুবুল ইসলাম, বয়রুত, লেবানন ।</div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">১.ফাতওয়ায়ে শামীর মুকাদ্দামায় উল্লেখ আছে,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">(عَنْ مُعْتَقَدِنَا) اَىْ عَمَّا نَعْتَقِدْهُ مِنْ غَيْرِ الْمَسَائِلِ الْفَرْعِيَّةِ مِمَّا يَجِبُ اِعْتَقَادْهُ عَلَه كُلِّ مُكَلَّفٍ بِلَا تَقْلِيْدٍ لِاَحْدٍ وَّهُوَ مَا عَلَيْهِ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ وَهُمْ اْلاَشَاعِرَةُ وَالمَاتُرِيْدَّيَّةُ.</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“শারয়ী আনুষঙ্গিক মাসাইল ব্যতীত যে সব বিষয়ে আমরা বিশ্বাস রাখি এবং কারো অনুসরণ ছাড়াই যে সমস্ত বিষয়ে বিশ্বাস রাখাটা প্রত্যেক মুকাল্লাফ (বালিগ ও বিবেক সম্পন্ন ব্যক্তি) এর জন্য ওয়াজিব, সেগুলো হলো, আকায়িদের সহিত সম্পৃক্ত বিষয়, যার ধারক ও বাহক হচ্ছে- আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত । তারা হলেন ইমাম আবুল হাসান আশ'আরী (রঃ) এবং ইমাম মাতুরীদি (রঃ)।”৩৯ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">২. এ বিষয়ে আরও কিছু ইমামদের মতামত নিম্নে দেয়া হলো- আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (রঃ) বলেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">كَمَا حَكَاهُ أَبُو الْحسن الْأَشْعَرِيّ وَغَيره من أهل السّنة وَالْجَمَاعَة</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“যেমন আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের ইমাম আবুল হাসান আশ'আরী (রঃ) বলেন এবং তার সাথে অন্যান্যগণ।” ৪০</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৩. ইমাম তকী উদ্দিন সুবকী (রঃ) { ওফাত.৭৭১হি.} বলেন </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">إِمَام أهل السّنة وَالْجَمَاعَة أبي الْحسن الْأَشْعَرِيّ - رَضِي الله عَنهُ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জা'আমাতের আকায়েদের ইমাম হলো ইমাম আবুল হাসান আশআরী (রঃ)।”৪১ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪. ইমাম তাহতাবী (রহ) বলেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">والمراد بالعلماء هم أهل السنة والجماعة وهم أتباع أبي الحسن الأشعري وأبي منصور الماتريدي رضي الله عنهما</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“ইমাম আবুল হাসান আশ'আরী (রঃ) এবং তাঁর সহযোগী হযরত আবুল মনসুর (রঃ) এর আক্বিদার উপর যারা রয়েছেন।” ৪২</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৫. খাতেমাতুল মুহাক্কিকীন , ইমাম ইবনে আবেদীন শামী (রঃ) বলেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">أَهْلُ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ وَهُمْ الْأَشَاعِرَةُ وَالْمَاتُرِيدِيَّةِ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত বলতে আশ'আরী এবং মাতুরীদী (মতবাদের অনুসরণ) কে বুঝায়।” ৪৩</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৬. এ ব্যাপারে আল্লামা যুবাইদি (রঃ) বলেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">اذا اطلق السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ فالمراد به الأشاعرة والماتريديه</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“যখন সাধারণভাবে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত বলা হয়, তখন আশআরী এবং মাতুরীদেরকে উদ্দেশ্য করা হয়।” ৪৪</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr">৩৯. ইবনে আবেদীন শামী ও রুদুল মুখতার ও বহসে তাকলীদ : ১/৩৬ পৃ. </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪০. মােবারকপুরী, মের'আতুল মাফাতিহ, ১/২৭৫পৃ. </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪১. তকি উদ্দিন সুবকি, রফেউল হিজাব, ১/২৬৮, দারুল আলমুল কিতাব, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ, ১৯৯৯, </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪২. তাহতাবী, মারাকিল ফালাহ ১/৯, দারল আলামুল কিতাব, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ, ১৪১৮হি, </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪৩. ইবনে আবেদীন শামী, রুদুল মুখতার, ১/৪৯পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন । </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪৪. আল্লামা যুবাইদি, ইত্তিহাফুস সাদাতিল মুত্তাকীন, ২/৬পৃ.</div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৭. ইমাম ইবনে হাজার মক্কী হাইতমী (রঃ) বলেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">إِمَام أهل السّنة وَالْجَمَاعَة الشَّيْخ أَبُو الْحسن الْأَشْعَرِيّ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“হযরত আবুল হাসান আশ'আরী (রাঃ) হলেন আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের ইমাম।”৪৫</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৮. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রঃ) বলেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">إِمَامُ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ الشَّيْخُ أَبُو الْحَسَنِ الْأَشْعَرِيُّ</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“হযরত আবুল হাসান আশ'আরী (রঃ) হলেন আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামআতের ইমাম। ৪৬ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৯. তাফসিরে মাতুরীদির ভূমিকায় রয়েছে</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">الأشاعرة هم أهل السنة والجماعة </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“ইমাম আশআরী (র)-এর আক্বিদা বা মতবাদে বিশ্বাসীরাই আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অনুসারী।” ৪৭</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">মাযহাব অস্বীকারকারীরা কি আহলে সুন্নাহ</div><div dir="ltr">ওয়াল জামা'আতের অনুসারী? </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">বর্তমানে নয় যুগযুগ ধরে অনেক বাতিল পন্থীরাও নিজেদেরকে আহলে সুন্নাহ বা হক পন্থী বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু দেখতে হবে যে আহলে সুন্নাহের মূল নীতি অনুসারে সে আছে কিনা। এ কয়েক শতাব্দী ধরে একটি ফিতনা খুব প্রবল বেগে গজিয়ে উঠছে তাদের নাম আহলে হাদিস । তারাও সুযোগ বুঝে নিজেদেরকে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অনুসারী বলে দাবি করে। কিন্তু আক্বিদা ও মূল নীতির ক্ষেত্রে তারা আহলে সুন্নাহ এর ধারে কাছেও নেই । তারা চার মাযহাব মানাকে অস্বীকার করে, অথচ অতীতের অসংখ্য উলামায়ে কেরামগণ একমত পোষণ করেছেন যে, চার মাযহাবকে অস্বীকারকারী আহলে সুন্নাহ থেকে খারিজ বা বাতিল পথভ্রষ্ট। </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী (রঃ) বলেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">هُوَ مَذْهَب الْأَئِمَّة الْأَرْبَعَة وَغَيرهم من أهل السّنة وَالْجَمَاعَة</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“চার মাযহাবের মুজতাহিদ ইমামগণ এবং অন্য মুজতাহিদ ফকিহ ইমামদের মাযহাব হলো আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত।”৪৮ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">এ প্রসঙ্গে আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী (রহঃ) বলেন-</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">وَمَذْهَبِ الْحَنَفِيَّةِ مِنْ جُمْلَةِ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ،  </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">“হানাফী মাযহাব হলো আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অন্তর্ভুক্ত। তাই বুঝা গেল যারা মাযহাব অস্বীকার করে তারা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের অনুসারী নয়; বরং সে পথভ্রষ্ট। ৪৯</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr">৪৫. ইবনে হাজার মক্কী, ফাতওয়ায়ে হাদিসিয়্যাহ, ১/৫২পৃ. </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪৬. ইমাম সুয়ূতী, আল-হাভীলিল ফাতওয়া, ২/২৪১পৃ. </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪৭. তাফসীরে মাতুরিদী, (ভূমিকা) ১/১৫৭প, দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রথম প্রকাশ, ১৪২৬ হি.। </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪৮. আইনী, উমদাতুল কারী, ২/২৩৮পৃ. </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৪৯. মােল্লা আলী কারী, মেরকাতুল মাফাতিহ, ৮/৩৩৭৪৮পৃ. হা/৫৩৭৬ এর আলোচনা।</div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">এ প্রসঙ্গে ইমাম সাভী একদা সূরা কাহাফ আয়াত ২৪ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">وَلَا يَجُوْزُ تَقْلِيْدُ مَا عَدَا الْمَذَهِبِ الْاَرْبَعَةِ وَلَوْ وَافَقَ قَوْلَ الصَحَّابَةِ وَالْحَدِيْثِ الصَّحِيْحِ وَالْاَيَةِ فَالْخَارِجُ عَنِ الْمَذَاهِبِ الْاَرْبَعَةِ ضَالٌّ مُضِلٌّ وَرُبَمَا اَدَّاهُ ذَالِكَ اِلَي الْكُفْرِ لِاَنَّ الْاَخْذَ بِظَوَاهِرِ الْكِتَابِ وَالسُّنَّةِ مِنْ اُصُوْلِ الْكُفْرِ </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">“চার মাযহাব ছাড়া অন্য কোন মাযহাবের তাকলীদ বা অনুসরন জায়েয নয়। যদিও সে মাযহাব সাহাবিদের উক্তি, সহীহ হাদীস ও কুরআনের আয়াতের সহিত সাঙ্গতি পূর্ণ হয় । যে এ চার মাযহাবের কোন একটির অনুসারী নয়, সে পথভ্রষ্ট এবং পথ ভ্ৰষ্টকারী। কেননা হাদিস ও কুরআনের কেবল বাহ্যিক অর্থ গ্রহণই হলো কুফরীর মূল।” ৫০</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">তাই মাযহাবের প্রত্যেক ইমামকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতে হবে এটাই আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের আক্বিদা। আজ পর্যন্ত কোন মুজতাহিদই বলেননি যে তারা ভুল করেছেন। তবে ডা. জাকির নায়েক বলে, আমি জানি সব মানুষই ভুল করতে পারেন। ইমাম আবু হানিফা ভুল করেছেন, ইমাম শাফেয়ী (র) ভুল করেছেন, ইমাম মালেক ও ইমাম হাম্বলী (র)-ও ভুল করেছেন।” ৫১</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">ইমাম তাহাবী (রহঃ) {৩২১হি.} আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আক্বিদা বর্ণনা করেন,</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">وَعُلَمَاءُ السَّلَفِ مِنَ السَّابِقِينَ وَمَنْ بَعْدَهُمْ مِنَ التَّابِعِينَ أَهْلِ الْخَيْرِ وَالْأَثَرِ وَأَهْلِ الْفِقْهِ وَالنَّظَرِ لَا يُذْكَرُونَ إِلَّا بِالْجَمِيلِ وَمَنْ ذَكَرَهُمْ بِسُوءٍ فهو على غير السبيل</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">-“পূর্ববর্তী যুগের ‘সালাফে সালিহীন' (নেককার পূর্ববর্তীগণ) ও তাঁদের অনুসারী পরবর্তী কালের কল্যাণময় আলেমগণ, মুহাদ্দিস ও হাদিস অনুসারীগণ এবং ফকীহমুজতাহিদ ও ফিকহ-অনুসারীগণ, তাদের সকলকেই যথাযোগ্য সম্মান ও প্রশংসার সাথে স্মরণ ও উল্লেখ করতে হবে । আর যে ব্যক্তি তাঁদের সম্পর্কে কটুক্তি বা বিরূপ মন্তব্য করে সে ভ্রান্ত পথের অনুসারী। তাই ডা. জাকির নায়েকও সেই ভ্রান্ত পথের অনুসারী হয়েছেন চার মাযহাবের ইমামসহ অন্যান্য বুযর্গদের সমালোচনা করে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ৫২</div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr">৫০ ইমাম সাভী : তাফসীরে সাভী : ৪/১৫পৃ. </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৫১. জাকির নায়েক লেকচার সমগ্র, ৫/৯২পৃ. পিস পাবলিকেন্স, কম্পিউটার মার্কেট, বাংলাবাজার, ঢাকা । </div><div dir="ltr"><br /></div><div dir="ltr">৫২ ইমাম তাহাবী, আকিদাতুত তাহাবী, (শুধু মতন), ১/৮২পৃ. ক্রমিক ৯৭</div><div dir="ltr">'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''</div><div dir="ltr"><br /></div></div>

২য় অধ্যায় : আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতই একমাত্র নাযাত প্রাপ্ত দল [কিতাবঃ আকাইদে আহলুস সুন্নাহ]

দ্বিতীয় অধ্যায় : আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআতই একমাত্র নাযাত প্রাপ্ত দল1.পবিত্র কুরআনে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাত2.হাদিসের আলোকে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের প্রমাণ3.প্রথম এ হাদিসের ব্যাখ্যায় মুহাদ্দিসদের অভিমত4.দ্বিতীয় হাদিসের বিষয়ে বিজ্ঞ উলামাদের ব্যাখ্যা5.পঞ্চম হাদিসের ব্যাখ্যায় বিজ্ঞ উলামাদের ব্…

Read more »