চতুর্থ অধ্যায় : নবীদের সম্পর্কে আক্বিদা

1. নবীগণ (আঃ) কে গায়েব জানানো হয়েছে,
নবীগণ সবাই পুরুষ ছিলেন, তাঁদের আগমণ হেদায়েতের জন্য, তাঁদের প্রেরণ করা আল্লাহর জন্য বাধ্যগত নয়, নবি হওয়ার জন্য ওহীর প্রয়োজন, নবুয়ত বিলুপ্ত হয় না।
2. সমস্ত নবীগণ (আঃ) নিষ্পাপ ছিলেন এবং তাদের সম্পর্কে আরও কিছু আক্বিদা
3. সমস্ত নবীগণ (আঃ) তাদের কবরে জীবিত

___________________________
নবীদের সম্পর্কে আক্বিদা।
___________________________


১. নবীগণ (আঃ) অদৃশ্যের সংবাদ দাতাঃ

‘নবী’ শব্দের অর্থই হলো, অদৃশ্যের সংবাদ দাতা। আর যদি বাতিল পন্থীদের মতে নবি অর্থ যদি শুধু সংবাদদাতা' হয় তাহলে তো টেলিভিশনের সংবাদ প্রদানকারীও নবি হবেন!

👉 ইমাম শিহাবুদ্দীন কাস্তাল্লানী (রহ) বলেন-

 النبوة ماخوذة من النباء بمعنى الخبر ان اطلعه الله على الغيب-
-----
‘‘ نبوة
শব্দটি نباء শব্দ থেকে নির্গত; যার অর্থ হচ্ছে খবর বা জ্ঞান। অর্থাৎ, আল্লাহ তাঁকে অদৃশ্য বিষয়াদি অবহিত করেছেন (সে খবর)।’’
‘নবী’ শব্দের অর্থ সম্পর্কে আরবী অভিধানের কিতাব مصباح اللغات এর ৮৪৭ নং পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে النبى : الله تعالى كے الهام سے غيب كى باتيں بتا نيوالا -
-‘‘নবী’ শব্দের অর্থ হল আল্লাহ তা‘য়ালা কর্তৃক ইলহামের মাধ্যমে গায়বের সংবাদ প্রদানকারী।’’
আরবী অভিধানের অন্যতম কিতাব المنجد (আল মুনজিদ) এর ৭৮৪ নং পৃষ্ঠায় নবুয়ত শব্দের অর্থ সম্পর্কে বলা হয়েছে-

النبوة : الاخبار عن الغيب او المستقبل بالهام من الله

-‘‘নবুয়ত হলো আল্লাহ তা‘য়ালার পক্ষ থেকে ইলহামের মাধ্যমে গায়ব বা ভবিষ্যতের সংবাদ প্রদান করা।’’

২. নবি ওই ধরনের সম্মানিত মানবকে বলা হয়, যার কাছে হেদায়েতের জন্য আল্লাহ তা'য়ালা ওহী পাঠিয়েছেন । (আল-আরবাঈন, ৩৩পৃ. শরহে আকাঈদ, ৯৪পৃ.)।

৩. নবিগণ সবাই পুরুষ ছিলেন। তাদের মধ্যে কোন মহিলা বা জ্বীন ছিল না। (সূরা জ্বীন, শরহে আকায়েদ, ২৯পৃ.) তাই ডা. জাকির নায়েকের মত কেউ এ কথাও ধারনা করা গোমরাহী হবে যে চারজন মহিলা নবি এসেছিলেন। ১০৭

ইমাম আবুল হাসান আশ‘আরী (রহ) বলেন-  أَنَّهُ لَيْسَ فِي النِّسَاءِ نَبِيَّةٌ-
‘‘কোনো মহিলা নবি ছিলেন না।’’ ”১০৮

৪. নবি প্রেরণ করাটা আল্লাহর বাধ্যগত ব্যাপার নয়। তিনি স্বীয় মেহেরবানীতে। মানুষের হেদায়েতের জন্য নবিগণকে পাঠিয়েছেন । (উসূলে বাযদভী, ১২৬পৃ.)

৫. নবি হওয়ার জন্য ওহীর প্রয়োজন, প্রত্যক্ষ হোক বা ফিরেশতার মাধ্যমে হোক। (তামহিদ, ১২৬পৃ.)।

৬. "যে ব্যক্তি নবি থেকে নবুয়ত বিলুপ্ত হতে পারে বলে মনে করে সে, কাফির।" ১০৯

৭. নবিগণের নিস্পাপ হওয়া আবশ্যক। 

নিস্পাপ হওয়াটা একমাত্র নবি ও ফিরেশতাগণের বৈশিষ্ট্য। নবি ফিরেশতা ব্যতীত কেই নিষ্পাপ নয়। শরীয়তের ইমামদের নবিদের মতো নিষ্পাপ মনে করাটা গোমরাহী ও ধর্মহীনতার পরিচায়ক । ইসমতে আম্বিয়া বা নবিগণ নিষ্পাপ হওয়া মানে আল্লাহ তাদেরকে পাপমুক্ত রাখার জন্য ওয়াদাবদ্ধ। কিন্তু ইমাম ও পীর-আওলিয়াদের জন্য এ রকম কোন ওয়াদা নেই । তাই নবিদের থেকে গুনাহ প্রকাশ পাওয়াটা অসম্ভব । (আরবাঈন, ৩২৯পৃ.)

শয়তানের জন্য নির্দিষ্ট কিছু স্পেশাল বান্দা রয়েছেন যাদের শয়তান কখনই মন্দ কাজ তো দূরের কথা তাদের অন্তরে খারাপ ধারণাও সৃষ্টি করতে শয়তান সক্ষম নয় ।

মহান আল্লাহ তা'য়ালা তাদেরকে হিফাযত করেন, আর তা ইরশাদ করেন এভাবে-
إِنَّ عِبَادِي لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطَانٌ  -
‘‘ওহে ইবলিশ, আমার বিশিষ্ট বান্দাদের উপর তোমার কোন কর্তৃত্ব নেই।’’ ১১০

''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
১০৭. জাকির নায়েকের লেকচার সমগ্র, ভলিয়ম নং,১ পৃষ্ঠা নং ৩৫৫, পিস পাবলিকেল, ঢাকা ।

১০৮. ইবনে কাসির, তাফসিরে ইবনে কাসির, ৪/৩৬২পৃ. প্রাগুক্ত, ।

১০৯. আরবাঈন, ৩২৯.

১১০. সূরা হিজর,আয়াত,৪২।
''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''

শয়তান নিজেই স্বীকার করেছিল-
وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ (৩৯) إِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُمُ الْمُخْلَصِينَ
-‘‘হে মওলা, তোমার বিশিষ্ট বান্দাগণ ব্যতীত বাকী সবাইকে বিপদগামী করবো।’’  ১১১

হযরত ইউসুফ (আঃ) নবীগণের চরিত্র সম্পর্কে বলেছেন-
وَمَا أُبَرِّئُ نَفْسِي إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ إِلَّا مَا رَحِمَ رَبِّي إِنَّ رَبِّي
-‘‘আমি নিজেকে নির্দোষ মনে করি না। মানুষের মন অবশ্যই মন্দকর্ম প্রবণ। তবে (তারা ছাড়া) যার প্রতি আল্লাহর দয়া রয়েছে।’’ ১১২
[এটা মূলত আল্লাহর প্রতি হযরত ইউসুফ (আঃ) এর বিনয়তা ও নম্রতা প্রকাশ]

আল্লামা মোল্লা জিওন (রহ) সূরা বাক্বারার ১২৪ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন-
انَّهُمْ مَعْصُومونَ عَن الكُفْر قَبْل الوحى وَ بَعَده باجماع
-‘‘নবীগণ ওহী প্রাপ্তির আগে ও পরে কুফুরী থেকে পূতঃপবিত্র থাকেন।’’  ১১৩

তিনি এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আরও বলেন-
لاخلاف لاحد فى ان نبينا عليه السلام لم يرتكب صغيرة ولاكبيرة طرفة عين قبل الوحى وبعده كما ذكره ابو حنيفة فى الفقه الاكبر. –
-‘‘এ ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই যে, আমাদের নবী (ﷺ) নবুয়াতের আগে বা পরে এক মুহূর্তের জন্যও সগীরা বা কবীরা কোন প্রকারের গুনাহে লিপ্ত হননি, যেমন ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) তাঁর ফিকহুল আকবারে উল্লেখ করেছেন।’’  ১১৪

আল্লামা ইসমাঈল হাক্কী (রহ) সুরা শূরা এর ১৫২ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন-
يدل عليه انه عليه السلام قيل له هل عبدت وثنا قط قال لاقيل هل شربت خمرا قط قال لافمازلت اعرف ان الذى هم عليه كفر-
-‘‘হুযুর (ﷺ) কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল আপনি কখনও মূর্তি পূজা করে ছিলেন? তিনি ইরশাদ ফরমান-‘না’। ‘‘আপনি কখনও শরাব পান করেছিলেন?’’ ফরমালেন-‘না, আমি তো সবসময় জানতাম যে, আরববাসীদের এ আচরণ কুফরী।’’ ১১৫

''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
১১১. সূরা হিজর, আয়াত ৩৯-৪০

১১২. সুরা ইউসুফ, আয়াত.৫৩

১১৩. মোল্লা জিওন, তাফসীরে আহমদিয়া, ২১২,

১১৪. মোল্লা জিওঁন, তাফসীরে আহমদিয়া ২১৩

১১৫. ইসমাঈল হাক্কী, তাফসীরে রুহুল বায়ান, ৮/৩৪৭পৃ., দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।
''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''

তিনি এ হাদিসটিকে হুবহু হযরত আলী (রা) হতে মারফু সূত্রে সংকলন করেছেন এভাবে-
قال على رضى الله عنه قيل للنبى عليه السلام هل عبدت وثنا قط قال لا قيل هل شربت خمرا قط قال لا وما زلت اعرف ان الذي هم اى الكفار عليه كفر
-‘‘হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত রাসূল (ﷺ)‘র কাছে একদা এক ব্যক্তি জানতে চাইলেন.....উপরের হাদিসের মত।’’  ১১৬

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে মুফতি আহমদ ইয়ার খান নঈমী (কঃ)'র ‘জা'আল হক ২য় খণ্ডের (বাংলা) ২৮৬-৩১৪পৃষ্ঠা দেখুন।

৮. নবিগণ শিরক, কুফুরী, ওই ধরনের কাজ, যার দ্বারা মানুষের কাছে ঘৃণার পাত্র হতে হয়, যেমন মিথ্যা, আত্মসাৎ, অজ্ঞতা ইত্যাদি ও মান-সম্মান বিবর্জিত আচরণ থেকে নবুয়াতের আগে ও পরে তারা ইচ্ছাকৃত সগিরা গুনাহ থেকেও পবিত্র। (উসূলে বাযদবী, ১৬৭পৃ.)

৯. আল্লাহ তা'য়ালা সমস্ত নবিদেরকে ইলমে গায়ব দান করেছেন। ১১৭

আসমান জমীনের প্রতিটি অণু পরমাণু নবিদের সামনে উদ্ভাসিত। তাদের এ ইলমে গায়ব (অদৃশ্য জ্ঞান) খোদা প্রদত্ত। প্রদত্ত জ্ঞান আল্লাহর জন্য অসম্ভব । কেননা তার কোন সিফাত বা কামালিয়াত কারো প্রদত্ত হতে পারে না, বরং তার সমস্ত গুণবলী সত্তাগত।

১০. সমস্ত নবীরা তাদের কবরে জীবিত।

১০. সমস্ত নবি ওফাতের পর তাঁদের নিজ নিজ সমাধিতে জীবিত এবং সেখানে তারা নামাজ পড়েন।

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: الْأَنْبِيَاءُ أَحْيَاءٌ فِي قُبُورِهِمْ يُصَلُّونَ-

-“হযরত আনাস বিন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন : নিশ্চয় আম্বিয়ায়ে কিরাম (আঃ) তাঁদের নিজ নিজ কবরে জীবিত এবং তারা সেখানে নামায আদায় করেন । ১১৮

ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতি (রঃ) বলেন, হাদিসটি ‘হাসান। ১১৯

আলবানী তার দুটি গ্রন্থে হাদিসটি সহীহ বলে মত প্রকাশ করেছেন । ১২০

অপরদিকে আল্লামা নুরুদ্দীন ইবনে হাজার হাইসামী (রহ) বলেন-

رَوَاهُ أَبُو يَعْلَى وَالْبَزَّارُ، وَرِجَالُ أَبِي يَعْلَى ثِقَاتٌ.

-‘‘এ হাদিসের সকল রাবি সিকাহ বা বিশ্বস্ত।’’ ১২১

''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
১১৬. ইসমাঈল হাক্কী, তাফসীরে রুহুল বায়ান, ৫/৩৫৮পৃ. ও ৮/৭৫পৃ.প্রাগুক্ত, মুত্তাকী হিন্দী, কানযুল উম্মাল, ১২/৪৮৭পৃ রহাদিস ৪ ৩৫৫৯৮

১১৭. সুরা নিসা, ২৬-২৭, সুরা আলে-ইমরান-১৭৯, সুরা তাকবীর, ২৪

১১৮. ইমাম আবু ইয়ালা : আল মুসনাদ : ৬/১৪৭ পৃ: হাদিসঃ ৩৪২৫. ইমাম বায়হাকী : হায়াতুল আম্বিয়া : ৬৯ ৭০পৃ.ইমাম হায়সামী : মাযমাউদ যাওয়াইদ : ৮/২১১, হাদিস, ১৩৮১২, ইমাম আবু নঈম ইস্পাহানী : তবকাতে ইস্পাহানী : ২/৪৪ পৃ:, ইমাম আদী : আল কামিল : ২/৭৩৯ পৃ:,ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী: আল জামেউস সগীর : ১/২৩০ পৃ: হাদিস- ৩০৮৯, ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী: শরহুস সুদূর; পৃ. ২৩৭, আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানী: সিলসিলাতুস সহীহা: হাদিস : ৬২২, আহলে হাদিস নাসিরুদ্দীন আলবানী ; সাহীহুল জামে : হাদিস নং- ২৭৯০, দায়লামী, আল-ফিরদাউস, ১/১১৯, হাদিস,৪০৩

১১৯. সূয়ুতি, আল-জামেউস সগীর : ১/২৩০ পৃ: হাদিস- ৩০৮৯ এবং শরহুস সুদূর: পৃ. ২৩৭

১২০. আলবানী, সিলসিলাতুস সহীহা: হাদিস/৬২২ এবং সহীহুল জামে : হাদিস/২৭৯০

১২১. মাযমাউয-যাওয়াইদ, ৮/২১১পৃ. হা/১৩৮১২, এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমার লিখিত "প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উনাটন" এর ১ম খন্ডের ৪০৭-৪ ১১ পৃষ্ঠা দেখুন । ইনশাআল্লাহ আপনাদের সঠিক বিষয়টি বুঝে আসবে ।
''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''

রাসূল (ﷺ) ইরশাদ করেন,

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ:وَقَدْ رَأَيْتُنِي فِي جَمَاعَةٍ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ، فَإِذَا مُوسَى قَائِمٌ يُصَلِّي، فَإِذَا رَجُلٌ ضَرْبٌ، جَعْدٌ كَأَنَّهُ مِنْ رِجَالِ شَنُوءَةَ، وَإِذَا عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَائِمٌ يُصَلِّي، أَقْرَبُ النَّاسِ بِهِ شَبَهًا عُرْوَةُ بْنُ مَسْعُودٍ الثَّقَفِيُّ، وَإِذَا إِبْرَاهِيمُ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَائِمٌ يُصَلِّي، أَشْبَهُ النَّاسِ بِهِ صَاحِبُكُمْ - يَعْنِي نَفْسَهُ - فَحَانَتِ الصَّلَاةُ فَأَمَمْتُهُمْ-
-“মি'রাজের রাত্রে আম্বিয়া (আঃ) এর এক বিরাট জামাতকে দেখেছি, মুসা (আঃ) কে তার কবরে নামায পড়তে দেখেছি। তাকে দেখতে মধ্য আকৃতির চুল কোকরানো শানূয়া দেশের লোকের মত । আমি ঈসা (আঃ) কে দন্ডায়মান অবস্থায় নামায পড়তে দেখেছি, তিনি দেখতে ওরওয়া ইবনে মাসউদ সাকাফীর মত ........... তার পরে নামাযের সময় আসলো আমি সকল নবী (আঃ) এর ইমামতি করলাম।”১২২

বুঝা গেল যে সমস্ত নবীরাই তাদের কবরে জীবিত থাকার কারণে বায়তুল মুকাদ্দাসে উপস্থিত হয়েছিলেন।

''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
১২২.
★ ইমাম মুসলিম ; সহীহ : ফাদ্বায়েলে মূসা (আঃ) : ১/১৫৭ : হাদিস : ১৭৩,
★ খতিব তিবরিজী : মিশকাতুল মাসাবীহ : ৩/২৮৭ : হাদিস : ৫৮৬৬,
★ ইমাম বায়হাকী : দালায়েলুল নবুয়ত : ২/৩৮৭ পৃ:,
★ ইমাম তুকি উদ্দিন সুবকী : শিফাউস-সিকাম : ১৩৫-১৩৮,
★ ইমাম সূয়ূতী ; আল-হাভীলিল ফাতওয়া : ২/২৬৫পৃ:,
★ ইমাম সাখাভী : কওলুল বলী: ১৬৮পৃ.,
★ ইমাম মুকরিজী : ইমতাঈল - আসমা: ৮/২:৪৯ পৃ:।


Top