সপ্তম অধ্যায় : অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আক্বিদার বিবরণ
1. কবিরাহ গুনাহ এর দরুন কেই কাফের হবে না
2. আউলিয়ায়ে কেরামের প্রতি বিশ্বাস
3. সমস্ত বেলায়াত প্রাপ্ত ওলীরা তাদের স্বীয় কবরে জীবিত রয়েছেন
4. চার মাযহাবের ইমামদের প্রতি আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আক্বিদা
5. ইয়াযিদ সম্পর্কে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অভিমত
___________________________
কবিরাহ গুনাহ এর দরুন কেউ কাফের হবে নাঃ
সালাফি তথা আহলে হাদিসরা এ বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, বিশেঃষত নামায নিয়ে।
অথচ ইমাম যাহাবি (রহ) বলেন-
هذا قول أهل السُّنّة والجماعة-‘
‘এটাই আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আক্বিদা যে কবিরা গুনাহের দরুন (ফাসেক হবে) কেউ কাফির হবে না।’’ ২১৯
ইমাম সুয়ূতী (রহ) বলেন-
لِأَنَّ مَذْهَبَ أَهْلِ السُّنَّةِ أَنْ لَا يَكْفُرَ أَحَدٌ بِذَنَبٍ
-‘‘আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের মাযহাব হলো কেউ গুনাহের কারণে কাফের হয়না।’’ ২২০
আহলে হাদিসদের মুহাদ্দিস মোবারকপুরী বলেন-
وَقَالَ الْقَاضِي عِيَاضٌ وَهُوَ مَذْهَبُ أَهْلِ السُّنَّةِ وَالْجَمَاعَةِ وَأَمَّا الْكَبَائِرُ فَلَا يُكَفِّرُهَا إِلَّا التَّوْبَةُ
-‘‘ইমাম কাজী আয়ায (রহ) এর এবং আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের মাযহাব হল কবিরাহ গুনাহের জন্য কেউ কাফির হবে না; যদিও তা তাওবা ছাড়া মাফ হয় না।’’২২১
তাই নামাযসহ বিভিন্ন ইবাদত কেহ না করলে তাকে কাফির বলা যাবে না; যতক্ষণ না সে এগুলো অস্বীকার না করবে।
আউলিয়ায়ে কেরামের প্রতি বিশ্বাসঃ
নবুওয়াত সমাপ্ত হয়েছে। এরপর কোন নবির সম্ভবনা নেই। কিন্তু বেলায়াত কিয়ামত পর্যন্ত থাকার ফলে হাজার হাজার ওলী হবেন।
১. ওলীদের কারামাত সত্য।
আল্লামা ইবনে হাজার মক্কী (রহ) বলেন-
كرامات الْأَوْلِيَاء حق عِنْد أهل السّنة وَالْجَمَاعَة خلافًا للمخاذيل الْمُعْتَزلَة والزيدية،
-‘‘ওলীদের কারামাত সত্য, এটাই আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আক্বিদা। আর এর
বিরোধীগণ বাতিল তথা মুতাযিলা, জায়েদিয়া, মুখাজেল ফিতনার অর্ন্তভুক্ত...।’’২২২
২. বেলায়াতের মূল হলেন নবী।
কেননা একজন ব্যক্তি কোন নবির অনুসরণ ব্যতীত ওলী হতে পারেন না। ফলে যাঁর অনুসরণ করা হয়, তিনি অধিক মর্যাবান হবেন এটাই স্বাভাবিক।
ইমাম ত্বাহাবী (রহ) বলেন-
وَلَا نُفَضِّلُ أَحَدًا مِنَ الْأَوْلِيَاءِ عَلَى أَحَدٍ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ عَلَيْهِمُ السَّلَامُ وَنَقُولُ: نَبِيٌّ وَاحِدٌ أفضل من جميع الأولياء
-‘‘আমরা (আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের অনুসারীরা) কোন ওলীকে নবির উপর ফযিলত তথা মর্যাদা দেইনা। আর আমরা বলি একজন নবি সকল ওলী হতেও অধিক মর্যাদাবান।’’ ২২৩
'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
২১৯ .যাহাবি, তারীখুল ইসলামী, ২৯/১৭২পৃ. মাকতুবাতুল তাওফিকহিয়্যাহ, কাহেরা, মিশর।
২২০ .সুয়ূতি, ফাতওয়ায়ে হাদিসয়্যিাহ, ১/৩০২পৃ. দারুল ফিকর ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।
২২১ .মোবারকপুরী, তুহফাতুল আহওয়াজি, ৩/৩৭৭পৃ.
২২২ .ইবনে হাজার মক্কী, ফাতওয়ায়ে হাদিসিয়্যাহ, ১/৭৮পৃ. মাকতুবাতুল তাওফিকহিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন।
২২৩ .ইমাম তাহাবী, আকিদাতুত তাহাবী, ১/৮৩পৃ.
'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
সমস্ত বেলায়াত প্রাপ্ত ওলীরা তাদের স্বীয় কবরে জীবিত রয়েছেনঃ
এ বিষয়ে ইমাম সুয়ূতী (রহ) তাঁর লিখিত ‘শরহুস সুদূর’ গ্রন্থে বিস্তারিত আলোকপাত করেছেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন-
عَن عِكْرِمَة قَالَ قَالَ إِبْنِ عَبَّاس الْمُؤمن يعْطى مُصحفا فِي قَبره يقْرَأ فِيهِ
-‘‘মু‘মিনকে (ওলীদেরকে) তার কবরে কুরআন শরীফ দেয়া হয়। তথায় সে পাঠ করে।’’২২৪
তাই বলতে চাই, একজন মু‘মিনের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ওলীদের অবস্থা কিরূপ হবে?
ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি (রহ) সংকলন করেন-
وَأخرج التِّرْمِذِيّ وَحسنه وَالْحَاكِم وَالْبَيْهَقِيّ عَن إِبْنِ عَبَّاس رَضِي الله عَنْهُمَا قَالَ ضرب بعض أَصْحَاب النَّبِي صلى الله عَلَيْهِ وَسلم خباء على قبر وَهُوَ لَا يحْسب أَنه قبر وَإِذا فِيهِ إِنْسَان يقْرَأ سُورَة الْملك حَتَّى خَتمهَا فَأتى نَبِي الله فَأخْبرهُ فَقَالَ رَسُول الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم هِيَ المنجية هِيَ الْمَانِعَة تنجيه من عَذَاب الْقَبْر
-‘‘ইমাম তিরিমিযি (রহ) ‘হাসান’ সনদে, ইমাম হাকেম (রহ), ইমাম বায়হাকী (রহ) সংকলন করেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বর্ণনা করেনঃ
জনৈক সাহাবী এক কবরের উপর তাবু স্থাপন করেন। তিনি জানতেন না এখানে কবর রয়েছে। তিনি শুনতে পেলেন কবর থেকে কোন মানুষ সূরা মুলক তিলাওয়াত করছেন এবং তিনি পূর্ণ সূরাই তিলাওয়াত করলেন। সাহাবী হুযুর (ﷺ) কে এ ঘটনা অবগত করলে তিনি ইরশাদ করেন, এ সূরাটি আযাব প্রতিরোধক ও মুক্তিদাতা (মুক্তির উসীলা)।’’২২৫
যেহেতু আহলে হাদীসের গুরু আলবানী হাদিসটি সহীহ বলেছেন সেহেতু আহলে হাদিসদের শিক্ষা নেয়া উচিত যারা বলে থাকেন ওলীরা তো দূরের কথা কোন নবীরাও নাকি জীবীত নন। এ বিষয়ে আরও অনেক হাদিসে পাক রয়েছে।" ২২৬
___________________________
২২৪. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতি : শরহুস সুদুর : ২৪০পৃ, তিনি ইমাম খাল্লালের “কিতাবুস সুন্নাহ” এর সূত্রে বর্ণনা করেন। এ বিষয়ে তিনি আরও অনেক হাদিস এনেছেন।
২২৫.
(১) ইমাম তিরমিযী : আস-সুনান : ফাযায়েলে তিলাওয়াতে কুরআন : ৫/১৪পৃ, হাদিস : ২৮৯০, তিনি বলেন, হাদিসটি হাসান, গরীব। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে হযরত আবু হুরায়রা (রা) এর সূত্রেও হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
(২) ইমাম হাকেম নিশাপুরী : আল-মুস্তাদরাক, ২/৪৯৮পৃ,
(৩) ইমাম বায়হাকী : শুয়াবুল ঈমান : ৪/১২৫ পৃ. হাদিস : ২২৮০
(৪) সুয়ূতি : আল-খাসায়েসুল কোবরা : ১/৩৮৯ পৃ, হাদিস : ১২১৯, ইমাম সুয়ূতি বলেন, ইমাম হাকেম সহিহ সনদে হাদিসটি বর্ণনা করেছেন।
(৫) ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী : শরহে সুদুর :
২৩৯পৃঃ
(৬) আলবানী : সিলসিলাতুল সহীহাহ : হাদিস/১১৪০, তিনি বলেন, হাদিসটি সহীহ, হায়সামী : মাযমাউদ যাওয়ায়েদ : ৩/৮৫পৃ. হাদিস : ৬৭৫৬, বায়হাকী : এছবাতে আযাবিল কুবুর : ১/৯৯পৃ. হাদিস/১৫০, খতিব তিবরিযী : মিশকাত, ১/৬৬৩পৃ. হাদিস :২১৫৪
২২৬. এ বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রহ)‘র হাদিস শাস্ত্রের উপর গবেষনামূলক গ্রন্থ শরহে সুদুর এবং আমার লিখা ‘‘প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’’ ১ম খণ্ডের ৫৪৪-৫৫০পৃষ্ঠা দেখুন।
'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
চার মাযহাবের ইমামদের প্রতি আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আক্বিদাঃ
এ বিষয়ে আহলে সুন্নাহ এর আক্বিদা হলো চার মাযহাব হক্ব, সকলেই তাদের ইজতিহাদ অনুযায়ী ফাতওয়া প্রদান করেছেন। তাই তাদের দেয়া ইজতিহাদি বিভিন্ন মাসআলা মাসায়েলের সমাধান বা তাদের তাক্বলীদ অনুসরণ করা আমাদের জন্য ওয়াজিব।
কিন্তু আকায়েদের ক্ষেত্রে সকল মাযহাব অভিন্ন। এ বিষয়ে আমি কিছুটা কিতাবের শুরুতে ফাতওয়ায়ে শামীর উদ্ধিৃতি দিয়ে আলোকপাত করেছি। চার মাযহাবের উপর ইজমা সংঘটিত হয়েছে।
ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী (রহ) বলেন-
لاَ يَكَادُ يُوجَدُ الحَقُّ فِيْمَا اتَّفَقَ أَئِمَّةُ الاجْتِهَادِ الأَرْبَعَةُ عَلَى خِلاَفِه
-‘‘চার ইমাম যে বিষয়ে একমত হয়েছেন, সে বিষয়ের বিপরীত কোনো সত্য খুঁজে পাওয়া যাবে না।’’ ২২৭
আহলে হাদিসদের ইমাম ইবনে তাইমিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন-
وإن أراد: أني لا أتقيد بها كلها بل أخالفها فهو مخطئ في الغالب قطعا؛ إذ الحق لا يخرج عن هذه الأربعة في عامة الشريعة؛
-‘‘কেউ যদি মনে করে যে, আমি চার মাযহাবের কোনোটিকেই অনুসরণ করব না, সে সুনিশ্চিতভাবে ভ্রান্তিতে নিপতিত রয়েছে। কেননা শরীয়তের অধিকাংশ বিশুদ্ধ মাসআলা ও হক্বের বিষয়ে ফয়সালা চার মাযহাবে রয়েছে।’’ ২২৮
আল্লামা যারকাশী (রহ) বলেন-
الدَّلِيلُ يَقْتَضِي الْتِزَامَ مَذْهَبٍ مُعَيَّنٍ بَعْدَ الْأَئِمَّةِ الْأَرْبَعَةِ -
দলিলের দাবী হল চার মাযহাবের পরে তাদের কোনো একটি নির্দিষ্ট মাযহাব অনুসারে চলা জরুরি।’’ ২২৯
ইয়াযিদ সম্পর্কে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অভিমতঃ
ইয়াযিদ কাফির হওয়া সর্ম্পকে বিভিন্ন চার মাযহাবের ইমামসহ ও অনেক আকায়েদের ইমামগণের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান।
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) সহ এক জামাত ইমাম তাকে কাফির বলেছেন। ২৩০
এবং লা‘নত দেয়ার উপযোগী বলেছেন। ইমাম গাযযালী (রহ) ও তার সাথে কিছু ইমাম তাকে ফাসিক, যালিম বলেছেন।
বর্তমান ডা. জাকির নায়েক এবং আহলে হাদিসরা তাকে ঈমানদার হওয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন। ডা. জাকির নায়েক তার অনেক লেকচারে তাকে ‘রহমাতুল্লাহি আলাইহি’ বলেছেন। আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের অধিকাংশ ইমাম তাকে কাফির ও লা‘নত দেয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন; আর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমার লিখিত ডা. জাকির নায়েকের স্বরূপ উন্মোচন’ এবং প্রমাণিত হাদিসকে জাল বানানোর স্বরূপ উন্মোচন’ ২য় খণ্ড দেখুন; সেখানে সবিস্তারিতভাবে আলোকপাত করা হয়েছে।
'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
২২৭ . যাহাবী, সিয়ারু আলামিন আন্-নুবালা, ৭/১১৭পৃ. মুয়াস্সাতুর রিসালা, বয়রুত, লেবানন।
২২৮ . ইবনে তাইমিয়া, আল-মুস্তাদরাক আ‘লা মাজমাউল ফাতওয়া, ২/২৫০পৃ. (শামিলা), ইবনে তাইমিয়া, ফাতওয়ায়ে মিসরিয়্যাহ লি ইবনে তাইমিয়া, ৮১পৃ.
২২৯ . যারকুশী, বাহারুল মুহিত ফি উসূলুল ফিকহে, ৮/৩৭৪পৃ.
২৩০. ইমাম আলূসী, তাফসীরে রুহুল মা‘য়ানী, সুরা মুহাম্মদ, ১৩/২২৯পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রথম প্রকাশ. ১৪১৫হি.
'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
ইমাম মাহমুদ আলূসী বাগদাদী (রহ) {১২৭০হি.} বলেন-
وأنا أذهب إلى جواز لعن مثله على التعيين ولو لم يتصور أن يكون له مثل من الفاسقين، والظاهر أنه لم يتب، واحتمال توبته أضعف من إيمانه، ويلحق به ابن زياد وابن سعد وجماعة فلعنة الله عز وجل عليهم أجمعين، وعلى أنصارهم وأعوانهم وشيعتهم ومن مال إليهم إلى يوم الدين ما دمعت عين على أبي عبد الله الحسين
-‘‘আমার মতে ইয়াযিদের মত লোককে লা‘নত দেয়া সঠিক, যদিও তার মতো এতো বড় ফাসিকের কথা কল্পনা করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়; আর এটাও স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে সে কখনোই তওবা করেনি; (উপরন্তু) তার তওবা করার সম্ভাবনা তার ঈমান
পোষণ করার সম্ভবনার চেয়ে ক্ষীণতর। ইয়াযিদের পাশাপাশি ইবনে যিয়াদ, ইবনে সা‘আদ ও তার দল-বল এতে জড়িত। অবশ্যই (যেন) কেয়ামত দিবস অবধি এবং ইমাম হোসাইন (রা)-এর জন্যে (মু‘মিনদের) চোখের পানি যতদিন ঝরবে ততোদিন পর্যন্ত আল্লাহর লা‘নত তাদের সবার উপর পতিত হোক; তাদের বন্ধু-বান্ধব, সমর্থক, দলবল এবং ভক্তদের উপরও পতিত হউক!’’ ২৩১
হাফেজুল হাদিস ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রহ) (ওফাত.৯১১হি.) বলেন-
فأبوا إلا قتله، فقتل وجيء برأسه في طست حتى وضع بين يدي ابن زياد، لعن الله قاتله وابن زياد معه ويزيد أيضًا.
-‘‘তারা (ইয়াযিদ বাহিনী) ইমাম হোসাইন (রা) কে শাহাদাত বরণ বা হত্যা ছাড়া অন্যকিছু মানলো না। তাকে শহীদ করে তাঁর শির মোবারক ইবনে যিয়াদের সামনে একটি থালায় করে আনা হয়।
এবং বর্ণনা করেন,
আপনার কর্তিত শির ইবনে যিয়াদের সামনে একটি থালায় করে আনা হয়। আপনাকে যে ব্যক্তি হত্যা করেছে তার উপর আল্লাহর লা‘নত (অভিসম্পাত); আরও লা‘নত হউক ইবনে যিয়াদ ও ইয়াযিদের উপর।’’ ২৩২
অনুরূপ ইমাম আসকালানী, যাহাবী, ইবনে আসির, ইবনে কাসির, আব্দুল হক মুহাদ্দিস, মোল্লা আলী ক্বারী প্রমুখ তাকে কাফির ও লা‘নত দেয়ার উপযোগী বলেছেন। ২৩৩
ইয়াযিদের আলোচনা এখানে সংক্ষিপ্ত করা হলো; বিস্তারিত আমার লিখিত উপরে উল্লেখিত কিতাবে পাবেন।
'''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
২৩১ .ইমাম আলূসী, তাফসীরে রুহুল মা‘য়ানী, সুরা মুহাম্মদ, ১৩/২২৯পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রথম প্রকাশ. ১৪১৫হি.
২৩২ .ইমাম সুয়ূতী, তারীখুল খোলাফা, সুরা মুহাম্মদ, ১৬৭পৃ. দারু ইবনে হাযম, বয়রুত, লেবানন, প্রথম প্রকাশ. ১৪১৫হি.
২৩৩ .
★যাহাবী, তারিখুল ইসলামী, ৫/৩০পৃ. ও সিয়ারু আলামিন আন-নুবালা, ৪/৩৭-৩৮পৃ.
★ইবনে কাসির, বেদায়া ওয়ান নেহায়া, ৮/২৮৩পৃ.
★আসকালানী, আল-ইমতা বিল আরবাঈন, ৯৬পৃ. দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, বয়রুত, লেবানন, প্রকাশ. ১৯৯৭ইং. ও তাহযীবুত-তাহযীব, ৬/৩১৩পৃ.
★তাফসীরে মাযহারী ৫/২১১-২১২পৃ.,
★ইবনে আসির, তারীখে আল-কামিল, ৩/৪৫০পৃ.
★তারীখে তবারী, ৫/২১২পৃ.
(১ম খণ্ড) সমাপ্ত
[বি. দ্র. এ প্রথম খণ্ডে মাত্র আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের সংক্ষিপ্ত আকায়েদের পরিচিতি উল্লেখ করা হল। দ্বিতীয় খণ্ডে বাকী বিস্তারিত আকীদার আলোকপাত পাবেন ইনশাআল্লাহ।]