নাবিয়্যুল উম্মী

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">"নাবিয়্যুল উম্মী” মানে কী<br /> নিরক্ষর নবী ? এর সঠিক ব্যাখ্যা কী?<br /><br />হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমস্ত ইলমের অধিকারী। সুন্দর হস্তাক্ষরে লিখন উনার মু’জিযা। তিনি মুয়াল্লিম হিসেবে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণকে আক্ষরিক জ্ঞান শিক্ষা দিতেন।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhpMNFcnZLtjG3jrwl6nQ-DCtoIG6qhWbg-HaVTuCFV_x88AlWhkBlUPeqKIzgPo6dA2BYCF9FLCWlwDPKyp_498WlPmBR4ftuXAczg5Ppw0x-Vs-rNVLwf23mOp1-gT88zr9seUeYFouYw/s1600/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="194" data-original-width="271" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhpMNFcnZLtjG3jrwl6nQ-DCtoIG6qhWbg-HaVTuCFV_x88AlWhkBlUPeqKIzgPo6dA2BYCF9FLCWlwDPKyp_498WlPmBR4ftuXAczg5Ppw0x-Vs-rNVLwf23mOp1-gT88zr9seUeYFouYw/s1600/islamic-calligraphy-holy-koran-written-on-gazelle-leather-articles-stock-photography_csp4276.jpg" /></a></div><br /><br />১ ৷ الذى علم بالقلم<br /><br />অর্থঃ- “যিনি (আল্লাহ্ পাক) কলম দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন।” (সূরা আলাক্ব/৪)<br /><br />অর্থাৎ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে স্বয়ং আল্লাহ পাক লিখার যাবতীয় ইলম্ দিয়েই সৃষ্টি করেছেন।<br /><br />২ ৷ خلق الانسان علمه البيان.<br /><br />অর্থঃ- তিনি (আল্লাহ্ পাক) ইনসানকে সৃষ্টি করেছেন এবং বয়ান শিক্ষা দিয়েছেন।” (সূরা আর রহমান /২,৩)<br /><br />এখানে بيان এর তাফসীরে উল্লেখ করা হয়েছে,<br />ماكان وما يكون.<br />অর্থাৎ- যা সৃষ্টি হয়েছে এবং হবে। অর্থাৎ পূর্ব ও পরবর্তী সব ঘটনার জ্ঞান। (তাফসীরে মাআলিমুত তানযীল) ৷<br /><br />অর্থাৎহুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ্ পাক সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁকে সমস্ত কিছুর জ্ঞান দান করেছেন।<br /><br />যেমন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,<br />اتيت علم الاولين والاخرين.<br />অর্থঃ- আমাকে সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত জ্ঞান দান করা হয়েছে।<br /><br />হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ হয়েছে,  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,<br />اعطيت جوامع الكلم.<br />অর্থঃ- ‘আমাকে (শুরু হতে শেষ পর্যন্ত) সমস্ত ইলিম প্রদান করা হয়েছে।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)<br /><br />অতএব, প্রমাণিত হলো যে, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সমস্ত ইলমের অধিকারী। আর লিখাও হচ্ছে ইলমের একটা অংশ। লিখা যে ইলমের অংশ তা সূরা আলাক্ব-এর ৪নং আয়াতের علم بالقلم . ‘তিনি (আল্লাহ পাক) উনাকে কলম দ্বারা শিক্ষা দিয়েছেন’,<br /><br />এ আয়াত শরীফ দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হয়। কারণ علم (আল্লামা) শব্দটির مصدر (মাছদার) বা ক্রিয়ামূল হচ্ছে تعليم (তা’লীম) বা শিক্ষা দেয়া। অতএব, স্বয়ং আল্লাহ পাক যাকে লিখার উপকরণ তথা কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন তিনি লিখতে জানতেন না বা লিখতে পারতেন না এ ধারণা পোষণ করা মিথ্যা তোহমত ও কুফরীর নামান্তর।<br /><br />মূলতঃ আল্লাহ পাক-এর হাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবশ্যই লিখতে জানতেন। এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ উল্লেখ করা হয়েছে,<br /><br />عن معاوية انه كان يكتب بين يديه عليه السلام فقال له الق الدواة وحرف القلم واقم الباء وفرق السين وتعور الميم مع انه عليه السلام لم يكتب ولم يقرأ من كباب الاولين.<br /><br />অর্থঃ- হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সামনে (ওহী) লিখতেন, অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে অক্ষর লিখার পদ্ধতি শিক্ষা দিয়ে ইরশাদ করেন, দোয়াত এভাবে রাখ, কলম এভাবে ঘুরাও, "با" (বা) কে এভাবে সোজা করে লিখ, سين (সীন) কে পৃথক কর, আর মীম ميم (মীম) কে বাঁকা করোনা, অথচ তিনি দুনিয়াবী কোন কাতিবের (লিখকের)-এর নিকট থেকে লিখা শিখেননি, আর কোন প্রাচীনকালীন কিতাব থেকেও তা পড়েননি।<br /><br />১ ৷ ফতহুল বারী লি শরহে বুখারী ৭/৫০৪,<br />২ ৷ আস শিফা বিতারীফি হুকমিল মুস্তফা ১/৩৫৮,<br />৩ ৷ কিতাবু জামিউল কুরআন ১/১৪১,<br />৪ ৷ তাফসীরে কুরতুবী ১৩/৩৫৩ ”<br /><br />উল্লেখ্য, রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর লিখার প্রয়োজন হতো না। কারণ মানুষ লিখে থাকে এজন্য যে, লিখে না রাখলে ভুলে যাবে। কিন্তু রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর লিখার প্রয়োজন নেই। কারণ তিনি কিছুই ভুলতেন না। তিনি সব কিছুই লওহে মাহফুজ থেকে দেখে নিতেন। তাঁর মুয়াল্লিম স্বয়ং আল্লাহ পাক। সুতরাং তাঁর লিখা-পড়ার কোন প্রয়োজন ছিল না। আর তিনি যদি লিখা-পড়া করতেন তাহলে বাতিলপন্থীরা সন্দেহ করতো।<br /><br />যেমন, পূর্ববর্তী আসমানী কিতাবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আবির্ভাবের পরিচয় দেয়া ছিল কয়েকটি।<br /> যেমন, তিনি হবেন ‘উম্মী’ (অর্থাৎ নবীগণের মূল হবেন) এবং সুন্দর হস্তাক্ষরে লিখবেন কিন্তু পার্থিব ওস্তাদের কাছে লিখা-পড়া করবেন না। কোন বই-পুস্তক পড়বেন না।<br /><br />যেমন, এ সম্পর্কে কুরআন শরীফে ইরশাদ হচ্ছে,<br /><br />ماكنت تتلوا من قبله من كتاب ولا تخطه بيمينك اذا الارتاب المبطلون.<br /><br />অর্থঃ- “এর পূর্বে (নুবুওওয়াত প্রকাশের পূর্বে) হে হাবীব (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আপনি না কোন কিতাব পড়তেন এবং না নিজ হাতে কোন কিছু লিখতেন, যদি তা করতেন, তবে বাতিলপন্থীরা নিশ্চয়ই সন্দেহ করতো (যে এটা আল্লাহ পাক-এর বাণী নয়, আপনার রচিত কোন কিতাব)।” (সূরা আনকাবুত/৪৮)<br /><br />এই আয়াতের ব্যাখায়া বিখ্যাত মুফাসসির হযরত ইসমাঈল হাক্কী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন,<br /><br />كان عليه السلام يعلم الخطوط ويخبر عنها<br />অর্থ: হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লিখতে জানতেন এবং অপরকেও জানাতেন।<br /> (তাফসীরে রুহুল মায়ানী ৬/৬১০)<br /><br />আর তিনি যে লিখতে জানতেন এ প্রসঙ্গে “ছহীহ বুখারী শরীফ”-এর ‘কিতাবুল ইলম্’-এর ‘বাবু কিতাবাতিল ইলমে’ অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে,<br /><br />عن ابن عباس رضى الله عنه قال لما اشتد بالنبى صلى الله عليه وسلم وجعه قال ائتونى بكتاب اكتب لكم كتابا لا تضلوا بعده.<br /><br />অর্থাৎ -“হযরত আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অসুস্থতা বৃদ্ধি পেল। তখন তিনি উপস্থিত ছাহাবীদের বললেন, তোমরা এক টুকরা কাগজ নিয়ে এস। আমি তোমাদের জন্য কতিপয় উপদেশ লিখে দিব, যাতে তোমরা পরবর্তী কালে পথভ্রষ্ট হবেনা।<br />১ ৷ বুখারী শরীফ ৮/১৩: হাদীস ৪৪৩২,<br /> ২ ৷ মুসলিম শরীফ ১৬৩৭,<br />৩ ৷ মিশকাত শরীফ ৫৯৬৬,<br /><br />উক্ত হাদীছ শরীফ থেকে প্রমাণ হলো হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম লিখতে জানতেন। আর সে কারনেই তিনি খাতা কলম নিয়ে আসার জন্য বললেন, যাতে তিনি উপদেশ লিখে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি কিন্তু এটা বলেন নাই, কাগজ কলম এনে তোমরা লেখ আমি বলি। বরং তিনি বলেছেন , তোমরা এক টুকরা কাগজ নিয়ে এস। আমি তোমাদের জন্য কতিপয় উপদেশ লিখে দিব। যার প্রমাণ বুখারী মুসলিম শরীফেই বিদ্যমান।<br /><br />হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,<br /><br />لما اعتمر النبى صلى الله عليه وسلم فى ذى القعدة فابى اهل مكة ان يدعوه يدخل مكة حتى فاضاهم على انيقيم بها ثلثة ثلثة ايام فلما كتبوا الكتاب كتبوا هذا ما قاضى عليه محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم قالوا لانقر بهذا لو نعلم انك رسول الله ما منعناك شيئا ولكن انت محمد بن عبد الله فقال انا رسول الله وانا محمد بن عبد الله ثم قال لعلى امح رسول اله قال على لا والله لاامحوك ابدا فاخذ رسول الله صلى اله عليه وسلم الكتاب وليس يحسن يكتب فكتب هذا ما قاضى محمد بن عبد الله·<br /><br />অর্থাৎ- নবীয়ে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিলক্বদ মাসে ওমরাহ্ করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু মক্কাবাসী তাঁকে মক্কা শরীফে প্রবেশ করতে দিতে রাজী ছিলনা, যতক্ষণ না তিনি তাদের সাথে এ মর্মে সন্ধিসূত্রে আবদ্ধ হন যে, তিনি সেখানে (মক্কা শরীফে) তিনদিনের অধিক অবস্থান করবেন না। অতঃপর যখন সন্ধিপত্র লিখার উপর ঐক্যমত হলো, তারা লিখলো ‘এতদ্বারা মুহম্মদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের সাথে সন্ধি করলেন।’ অতঃপর মক্কার কাফিররা বললো, আমরা এটা মানিনা, কারণ যদি আমরা আপনাকে আল্লাহর রসূল হিসেবে মেনে নিয়ে থাকি তাহলে আমরা আপনাকে তো কোন রকম বাঁধাও দিতাম না বরং আপনি হলেন, মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ্। সুতরাং এটাই লিখতে হবে।” তখন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, আমি আল্লাহ পাক-এর রসূল এবং আমিই আব্দুল্লাহর পুত্র, তারপর তিনি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে বললেন, “রসুলুল্লাহ” শব্দটা কেটে দাও।”<br />হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু আরজ করলেন, না, আল্লাহ পাক-এর কসম! আমার পক্ষে (আল্লাহ্ পাক প্রদত্ত্ব) আপনার (গুণবাচক) নাম কাটা সম্ভব নয়। অতঃপর হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উক্ত চুক্তিপত্র খানা হাতে নিলেন। তাঁর নিজ হাতে লিখার ইচ্ছা ছিলনা, তবুও সুন্দরভাবে লিখলেন,<br />هذا ما قاضى محمدبن عبد الله.<br />“এতদ্বারা চুক্তি করলেন মুহম্মদ ইবনে আব্দুল্লাহ (ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)।”<br />১ ৷ মুসনাদে আহমদ ১৮৬৫৮,<br />২ ৷ সুনানে কুবরা বায়হাকী ৭/৪২: হাদীস ১৩৬৬৮,<br />৩ ৷ দালায়েলুন নবুওওয়াত ৪/৩৩৮,<br />৪ ৷  সুনানে দারেমী ২৫০৭,<br />৫ ৷ ফতহুল বারী ৭/৫০৩,<br />৬ ৷ তাফসীরে ইবনে কাছীর ৭/৩৫৯,<br />৭ ৷ তাফসীরে বাগবী ৭/৩১৭,<br />৮ ৷ রুহুল মায়ানী ১১/৬<br /><br />কুরআন শরীফে এবং হাদীছ শরীফে বর্ণিত النبى الامى. দ্বারা মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ এরূপ ব্যাখ্যা করেছেন যে, রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেহেতু দুনিয়াবী কোন শিক্ষক কর্তৃক লিখা-পড়া শিখেননি সেহেতু তিনি “নাবিয়্যুল উম্মী” লক্ববে অভিহিত। যা তাঁর শ্রেষ্ঠ নবী এবং রসূল হওয়ার প্রমাণ। কিন্তু তার পরেও তিনি যে লিখতেন সেটা ছিল তার মু’জিযা।<br /><br />যেমন, বুখারী শরীফের প্রসিদ্ধ ব্যাখ্যাকারী আল্লামা কিরমানী রহমতুল্লাহি আলাইহি লিখেছেন, “এখানে উম্মী মানে এ লিখাটা হচ্ছে তাঁর মু’জিযা।”<br />(বুখারী শরীফ ২য় খণ্ড)<br /><br />উম্মি শব্দটি আরবি ‘উম্মুন’ ধাতুর সঙ্গে সম্পৃক্ত। উম্মুন শব্দের অর্থ হচ্ছে মা বা কোনো জিনিসের মূল বা আসল। যেমন মক্কা নগরীকে ‘উম্মুল কুরা’ অর্থাৎ দুনিয়ার সব নগরীর উৎসমূল এভাবে সূরা ফাতিহাকে ‘উম্মুল কিতাব’ বা কোরআনের মূল বলা হয়। আরবি সমৃদ্ধ একটি ভাষা। একটি শব্দের অনেক অর্থ হয়ে থাকে। তাই বাক্যের ভাবধারা অনুযায়ী শব্দের অর্থ করতে হয়। অন্যথায় অনুবাদ বা অর্থ বিকৃত হয়ে যায়। উম্মি শব্দের অর্থ যেমন মূল বা আসল, তেমনি তার অর্থ নিরক্ষর, লেখাপড়াহীন, মূর্খ ইত্যাদিও হয়। কিন্তু সূরা আরাফের ১৫৭, ১৫৮ নং আয়াতে যেখানে নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কথা উল্লেখ আছে সে সব আয়াতে নিরক্ষর লেখাপড়াহীন অর্থ নেয়াটা মূর্খতারই পরিচায়ক।<br /><br />প্রকৃতপক্ষে যারা মূর্খ তারাই নবীজীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শানে ব্যবহৃত ‘উম্মি’ শব্দটিকে নিরক্ষর, লেখাপড়াহীন এ অর্থে ব্যবহার করেন। অথচ উল্লিখিত আয়াতদ্বয়ে ‘উম্মি’ শব্দটি নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একটি বিশেষ বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। সুতরাং নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শানে ব্যবহৃত উম্মি শব্দটির অর্থ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।<br /><br />এবার জানানোর চেষ্টা করব পবিত্র কোরআনে উল্লিখিত ‘নবী ও রাসূল-ই-উম্মি’ শব্দের প্রকৃত অর্থ কী?<br />মুলতঃ النبى الامى এখানে امى অর্থ সাইয়্যিদ, মূল, অভিভাবক, প্রধান, শ্রেষ্ঠ ইত্যাদি। অর্থাৎ যিনি সমস্ত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের মূল বা যাকে ব্যতীত কোন নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণই সৃষ্টি হতেন না তিনিই النبى الامى (নাবিয়্যূল উম্মী) লক্ববে ভূষিত।<br /><br />উপরোক্ত অর্থ ছাড়াও অভিধানে امى শব্দটি ভিন্ন অর্থেও ব্যবহৃত হয় কিন্তু তা আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শানে প্রযোজ্য নয়।<br /><br />স্মরণীয় যে, নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালামগণের ক্ষেত্রে কুরআন শরীফ এবং হাদীছ শরীফের এমন তাফসীর, অনুবাদ, ব্যাখ্যা করা যাবেনা যার কারণে তাঁদের শানের খিলাফ হয়। তাদের শানে চু-চেরা, কিল-কাল করার অর্থই হচ্ছে তাঁদের বিরোধিতা করা; আর তাদের বিরোধিতা করা হচ্ছে স্বয়ং আল্লাহ পাক-এর বিরোধিতা করা। ফলে তাদের জাহান্নাম ছাড়া আর কোন পথ নেই।<br />আল্লাহ পাক যেন আমাদের সকলকে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে নাবিয়্যূল উম্মী তথা সর্বশ্রেষ্ঠ নবী ছিলেন তিনি যে লিখতে জানতেন এ সম্পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের সঠিক আক্বীদা রাখার তাওফীক দান করেন এবং এর খিলাফ সমস্ত কুফরী আক্বীদা থেকে হিফাযত করেন। (আমীন)<br /><br />Copy: Ayub Ali Rizvi</div>

নাবিয়্যুল উম্মী

"নাবিয়্যুল উম্মী” মানে কী নিরক্ষর নবী ? এর সঠিক ব্যাখ্যা কী?হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমস্ত ইলমের অধিকারী। সুন্দর হস্তাক্ষরে লিখন উনার মু’জিযা। তিনি মুয়াল্লিম হিসেবে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণকে আক্ষরিক জ্ঞান শিক্ষা দিতেন।১ ৷ الذى علم بالقلمঅর্থঃ- “যিনি (আল্লাহ্ …

Read more »

রজব মাসের ফযীলত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">সূর্য ডোবার সাথেই পবিত্র রমযানের আগমনী বার্তা নিয়ে উপস্থিত হয় মহিমান্বিত মাস রজব৷<br /><br />‘রজব’ অর্থ সম্মানিত। ইসলামপূর্ব জাহেলি যুগে আরবরা এ মাসকে খুবই সম্মানের সঙ্গে দেখত। এ মাসের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষায় তারা সব রকমের হানাহানি, মারামারি ও যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করে দিত। এ জন্যই তারা এ মাসকে "রজব" নামে অভিহিত করেছিল।<br /><br />ইসলাম এসেও এ মাসের মর্যাদার কথা ঘোষণা করেছে।<br />আল্লাহ তাআলা বলেন,<br /><br />إِنَّ عِدَّةَ الشُّهُورِ عِندَ اللَّهِ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا فِي كِتَابِ اللَّهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ۚ ذَٰلِكَ الدِّينُ الْقَيِّمُ ۚ فَلَا تَظْلِمُوا فِيهِنَّ أَنفُسَكُمْ<br />‘প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর কাছে মাসের সংখ্যা ১২টি, যা আল্লাহর কিতাব (বিধান) অনুযায়ী সেই দিন থেকেই চালু আছে, যেদিন আল্লাহ আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন। এর মধ্যে চারটি মাস মর্যাদাপূর্ণ। এটাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান৷ অতএব, তোমরা এমাসগুলোতে নিজেদের উপর জুলুম করো না৷’<br />[সুরাঃ তাওবা, আয়াত ৩৬]।<br /><div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgqiGZgeeLyiRD4-ZC2C5X7KKAiLPxlzRXhsAC8sOqH79I_8xIb5ZfJqZdV8SSIXMeDg_lSaULOtHJbluB2M5HC8w_qi3Kcop7fl0etWyh8H2YhbjPdmoYC9dPoN-OwqnHO5miynqquaVho/s1600/FB_IMG_1552833041992.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" data-original-height="220" data-original-width="461" height="152" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgqiGZgeeLyiRD4-ZC2C5X7KKAiLPxlzRXhsAC8sOqH79I_8xIb5ZfJqZdV8SSIXMeDg_lSaULOtHJbluB2M5HC8w_qi3Kcop7fl0etWyh8H2YhbjPdmoYC9dPoN-OwqnHO5miynqquaVho/s320/FB_IMG_1552833041992.jpg" width="320" /></a></div><br /><br />এ আয়াতের ব্যাখ্যায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন,<br /><br />السنة اثنا عشر شهرا ، منها أربعة حرم ، ثلاثة متواليات : ذو القعدة وذو الحجة والمحرم ورجب شهر مضر الذي بين جمادى وشعبان<br />‘১২ মাসে বছর। এর মধ্যে চারটি মাস সর্বাধিক সম্মানিত। তিনটি ধারাবাহিক—জিলকদ, জিলহজ ও মহরম আর চতুর্থটি হলো রজব, যা জুমাদাল উখরা ও শাবান মাসের মাঝখানে অবস্থিত।’<br />[সূত্রঃ বুখারি শরিফ : ২/৬৭২]।<br /><br />কাজেই বুঝা গেল, এ মাসের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষায় আমাদের সব রকমের হানাহানি, মারামারি থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।<br /><br />রজব মাস সম্পর্কিত নিম্নের হাদীসটি হাদিস শাস্ত্রের পরিভাষায় দুর্বল হলেও জাল তথা বানোয়াট অর্থাৎ মিথ্যাচার নয়।<br /><br />রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম রজব ও শাবান মাসব্যাপী এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তেন,<br /><br />عن أنس قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا دخل رجب قال اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ، وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ<br /><br />হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম রজব মাস আসলে পড়তেন- "আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শা’বানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদ্বান", অর্থ: ‘হে আল্লাহ! রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন, রমজান আমাদের নসিব করুন।’<br />[সূত্রঃ মু’জামে ইবনে আসাকীর, হা/ ৩০৯, মুসনাদুল বাজ্জার, হা/ ৬৪৯৪, শুয়াবুল ঈমান, হা/ ৩৫৩৪, মুসনাদে আহমাদ, হা/ ২৩৪৬]।<br /><br />আল্লাহর প্রিয় বান্দারা রজব মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। তাই এ মাস থেকেই তাওবা-ইস্তেগফার করে আল্লাহর দিকে আরও বেশি মনোনিবেশ করতে হবে।<br /><br />মি’রাজ শরীফের আমল (রাতে নামাজ ও দিনে রোযা)<br /><br />মি’রাজ শরীফের আমল (রাতে নামাজ ও দিনে রোযা) হাদীছ শরীফের দলিল দ্বারা প্রমাণিত।<br /><br />হাল যামানার নব্য ফিত্নাবাজ সালাফী, লা-মাজহাবী ওহাবীরা বলে থাকে শবে মিরাজের আমল হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত নয়। নাউজুবিল্লাহ!<br /><br />আসলে যে সকল জাহিলরা হাদীছ শরীফের কিতাব পড়তে জানে না বা ইলিমশূন্য তারা এমন কথা বলে থাকে।<br /><br />আসুন, শবে মেরাজে আমলের দলিল দেখে নিই।<br />হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে-<br /><br /> أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، أَخْبَرَنَا أَبُو صَالِحٍ خَلَفُ بْنُ مُحَمَّدٍ بِبُخَارَى، أَخْبَرَنَا مَكِّيُّ بْنُ خَلَفٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ أَحْمَدَ، قَالَا: حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ الْحُسَيْنِ، أَخْبَرَنَا عِيسَى وَهُوَ الْغُنْجَارُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْفَضْلِ، عَنْ أَبَانَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ: " فِي رَجَبٍ لَيْلَةٌ يُكْتَبُ لِلْعَامِلِ فِيهَا حَسَنَاتُ مِائَةِ سَنَةٍ، وَذَلِكَ لِثَلَاثٍ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ، فَمَنْ صَلَّى فِيهَا اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً يَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَسُورَةٌ مِنَ الْقُرْآنِ يَتَشَهَّدُ فِي كُلِّرَكْعَتَيْنِ، وَيُسَلِّمُ فِي آخِرِهِنَّ، ثُمَّ يَقُولُ: سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَسْتَغْفِرُ اللهَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيُصَلِّي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِائَةَ مَرَّةٍ، وَيَدْعُو لِنَفْسِهِ مَا شَاءَ مِنْ أَمْرِ دُنْيَاهُ وَآخِرَتِهِ، وَيُصْبِحُ صَائِمًا فَإِنَّ اللهَ يَسْتَجِيبُ دُعَاءَهُ كُلَّهُ إِلَّا أَنْ يَدْعُو فِي مَعْصِيَةٍ "<br /><br />অর্থঃ রজব মাসে একটি রাত আছে ওই রাতের আমলকারীর সমস্ত আমলের ছওয়াব ১০০ গুণ করে লিপিবদ্ধ করা হয় সে রাতটি হলো ২৭মে রজব। যে ব্যক্তি ওই রাতে ১২ রাকায়াত নামায আদায় করবে যাতে সূরা ফাতিহা সহ অন্য কোন আয়াত শরীফ পাঠ করবে প্রতি দু’রাকায়াতে তাশাহুদ  (দুরুদ শরীফ ও দুয়ায়ে মাছুরাসহ) পাঠ শেষে সালাম ফিরাবে। এবং নিম্নক্তো দুআ ১০০ বার পাঠ করবে-<br /><br />سُبْحَانَ اللهِ، وَالْحَمْدُ لِلَّهِ، وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ، وَاللهُ أَكْبَرُ<br /><br />অতপর ১০০ বার ইস্তিগফার পাঠ করবে অতঃপর ১০০ বার দুরুদ শরীফ পাঠ করবে। ওই ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতের সমস্ত কল্যানকর যত দু‘আই করবে এবং সকালে রোযাদার অবস্থায় অবস্থান করবে তার সকল দু‘আই কবুল করা হবে, শুধুমাত্র গুণাহের কাজের জন্য কৃত দু‘আ ব্যতীত।<br />[সূত্রঃ শুয়াবুল ঈমান- তাকছিছু শাহরী রজব বিল যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৬পৃ, হা/ ৩৫৩১,ফাদ্বায়িলুল আওকাত ১/৯৭ : হা/ ১২, তাবয়িনুল আযাব বিমা উরিদা ফি ফাদলি রজব ১/৩১, জামিউল আহাদীস ১৪/৪৯৬ : হা/ ১৪৮১২, কানযুল উম্মাল ১২/৩১২: হা/ ৩৫১৭০, জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড বাবু হারফূ ফা, আসারুল মারফুয়া  ১/৬১ , তানযিয়াতু শরীয়াতিল মারফুয়া ২/৮৯]।<br /><br />أَخْبَرَنَا أَبُو عَبْدِ اللهِ الْحَافِظُ، حَدَّثَنِي أَبُو نَصْرٍ رَشِيقُ بْنُ عَبْدِ اللهِ الرُّومِيُّ إِمْلَاءً مِنْ كِتَابِهِ بالطَّابِرانِ، أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِدْرِيسَ الْأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْهَيَّاجِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " فِي رَجَبٍ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ مَنْ صَامَ ذَلِكَ الْيَوْمَ، وَقَامَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ كَانَ كَمَنْ صَامَ مِنَ الدَّهْرِ مِائَةَ سَنَةٍ، وَقَامَ مِائَةَ سَنَةٍ وَهُوَ ثَلَاثٌ بَقَيْنَ مِنْ رَجَبٍ، وَفِيهِ بَعَثَ اللهُ مُحَمَّدًا "، " وَرُوِيَ ذَلِكَ بِإِسْنَادٍ آخَرَ أَضْعَفُ مِنْ هَذَا كَمَا "<br /><br />যেমন- হজরত সায়্যিদুনা সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত- প্রিয় নবী, হুজুর পুরনুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, "রজবে এমন একটি দিন ও একটি রাত রয়েছে, যে এদিন রোজা রাখবে, আর রাত জেগে ইবাদত করবে, তবে সে যেন ১০০ বছরের রোজা রাখল এবং ১০০ বছরের রাত জেগে ইবাদত করলো, আর তা হচ্ছে রজবের ২৭ তারিখ।"<br />[সূত্রঃ শুয়ায়বুল ঈমান- তাকছিছু শাহরী রজব বিল যিকরী, ৫ম খন্ড ৩৪৫পৃ, হাদিস-৩৫৩০, ফাদ্বায়িলুল আওকাত ১/৯৬, জামিউল আহাদীস ১৪/৪৯৬ : হাদীস ১৪৮১২, কানযুল উম্মাল ১২/৩১২: হাদীস ৩৫১৬৯,  জামেউ জাওয়ামে ১ খন্ড, নেদায়ে রাইয়ান ফি ফিক্বহিস সওমে ওয়া ফদলী রমাদ্বান ১/৪২১]।<br /><br />সূতরাং সবাই এই রাতে ইবাদত করে দিনে রোজা রেখে সহীহ হাদীসের উপর আমল করুন।</div>

রজব মাসের ফযীলত

সূর্য ডোবার সাথেই পবিত্র রমযানের আগমনী বার্তা নিয়ে উপস্থিত হয় মহিমান্বিত মাস রজব৷‘রজব’ অর্থ সম্মানিত। ইসলামপূর্ব জাহেলি যুগে আরবরা এ মাসকে খুবই সম্মানের সঙ্গে দেখত। এ মাসের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষায় তারা সব রকমের হানাহানি, মারামারি ও যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করে দিত। এ জন্যই তারা এ মাসকে "রজব" নামে অভিহিত ক…

Read more »