আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা ও তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ ও আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে...
(প্রসঙ্গ যে বিষয়গুলো নিযে আলোচনা বা সমালোচনা করলে গীবত হয় না)
সম্মানিত পাঠকগণ রাসূল (সা:) বলেছেন আমার উম্মতের মধ্যে ৭৩ টি দল হবে তার মধ্যে ১টি দল হবে হক পন্থীআর বাকী ৭২টিইবাতিল যে দলটিহক পন্থী সমস্তউলামায়ে কেরামগণ যে দলটি হক পন্থী বলেছেন সেটিরনাম হলো আহলেসূণ্নাত ওয়াল জামাতএই আহলে সূণ্নাত ওয়াল জামাতের অনেকগুলো আকিদা আছে যা বাকী ৭২টি দলেরসাথে কোন না কোন ভাবে মিলেরপরিপন্থী যা হোকইসলাম বর্তমানে ৭৩ টি দলে ভাগ হয়ে যার যার কর্ম দ্বারাকে টিকিয়ে রাখান জন্য সবাইমড়িয়া হয়ে উঠেছেআমরা সবাই কারোনা কারো দল নিয়ে সমালোচনা করছি প্রতিদিন ফেইসবুকে টেলিভিশনে মসজিদমাদ্রাসায় ওযাজ মাহফিলে ইত্যাদি ইত্যাদি এখন কথা হলো এগুলো সব কি গীবতের মধ্যে পড়ে হাদীসে গীবত করা মানেমৃত ভাইয়ের গোশতখাওয়ার সমান আবারসুন্নীরা যখন কোননা কোন দলেরসঠিক সমালোচনা করে তখন সেই দল গুলি সূন্নীদের ফতোয়া দেয় গীবত করা ভাল না গীবতকরলে মৃত ভাইয়ের গোশত খাবে তাহলেআমরা সবাই কি মৃত ভাইয়ের গোশতখাচ্ছি..? আসূণ দেখি যিনি ইসলাম কে বহু বছর শাসনকরেছেন যিনি সুফীসম্রাট হুজ্জাতুল ইসলাম হযরত ইমাম গাজ্জালী (র:)কি বলেছেন ওনার শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কিতাবে পবিত্র কুরআনসুন্নাহ শরীফ মুতাবিক বর্ননা করেছেন – কয়েকপ্রকার ব্যক্তির দোষত্রুটি বর্ণনা করলে সেটা গীবতহয় না।
নিচে এই এগুলির সংক্ষিপ্ত আলোচনা বর্ণনা করা হলওঃ-
এক নম্বরে বলা হয়েছে, কোনো লোক যদি কোনো কাজী সাহেবের কাছে যায় বিচারের জন্য, বিচারপ্রার্থী হয়ে ও বিচারের জন্য যদি সে সত্য কথা বলতে গিয়ে বিপরীতপক্ষের দোষত্রুটি বর্ণনা করে, তাহলেসেটা গীবত হবে না।
দুই নম্বরে বলা হয়েছে, সে যদি কোনোমুফতী সাহেবের কাছেযায় ফতোয়ার জন্য, তখন সে ফতোয়ার জন্য যেটা সত্যসেটাই বলবে, এতে তার গীবত হবে না।
তিন নম্বরে বলা হয়েছে, যারা রাজা-বাদশাহ, আমীর-ওমরাহ শাসকগোস্ঠি তাদের ইছলাহবা সংশোধন করারজন্য দোষত্রুটিগুলি যদি ধরিয়েদেয়া হয়, তাহলেসেটা গীবত হবে না।
চার নম্বরে বলা হয়েছে, অহরহ পাপে লিপ্তফাসিকদের দোষত্রুটি বর্ণনা করলে, সেটা গীবতহয় না। ফাসিকবলা হয় যে ফরয, ওয়াজিব, সুন্নতে মুয়াক্কাদা হামেশা তরক করে তাদেরকে ।
পাঁচ নম্বরে বলা হয়েছে, যারা লুলা-ল্যাংড়া, বোবা-তোতলা নামেমশহূর তাদেরকে লুলা-ল্যাংড়া, বোবা-তোতলাবলে ডাকা হলে, সেটা গীবত হবে না।
ছয় নম্বরে বলা হয়েছে, যদি কোনো পিতাতার ছেলেকে বিয়েকরাতে চায় বা মেয়েকে বিয়ে দিতেচায়, বিপরীত পক্ষের কাছে গিয়ে সেই ছেলে বা মেয়েরপ্রতিবেশীর কাছে যদি, ঐ ছেলে বা মেয়ে সম্বন্ধে সংবাদ নেয় আর প্রতিবেশীর লোকেরা যদি সত্যকথা বলে অর্থাৎ সেই ছেলে বা মেয়ের দোষত্রুটিগুলি বলে দেয়, তাহলে সেটা গীবতহবে না। কারণএখানে একজনের জীবননিয়ে প্রশ্ন।
আর সপ্তম যেটা বলা হয়েছে, যারা উলামায়ে ‘সূ’ বা দুনিয়াদার ধর্মব্যবসায়ী নামধারী আলিমপীর স্কলার যারাদ্বীনকে বিক্রি করে দুনিয়া অর্জন করে, তাদের দোষত্রুটি বর্ণনা করলে সেটা গীবতহবে না।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে সঠিক বিষয়টি বুঝার তৌফিক দান করুন-আমীন! এখন আপনি যদি ইমামগাজ্জালি থেকে নিজেকে বড় আলেম বড় জ্ঞানি মনে করেনতাহলে আমার কিছুবলার নাই বিছারে মা-হাসরে দেখাযাবে কার ভাগ্যে কি আছে।
আল্রাহ সুবাহানু তাআলা আমাদের সবাইকে বুজার তৌফিকদান করুক আমিন-প্রচারে-মোখলেছিয়া সূন্নী খানকা শরীফ
