জিজ্ঞাসা–৮৯২: প্রেমিকার দেয়া কাপড় পড়ে কি নামাজ হবে?–সারোয়ার।
জবাব: ফেতনার আশঙ্কা না থাকলে বেগানা নারীর কাছ থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা নিষেধ নয়। তবে ইসলামি-শরিয়তের দৃষ্টিতে বিবাহ-বহির্ভূত প্রেম এক প্রকার যিনা বা ব্যভিচার। এজন্য প্রেমিকার দেয়া হাদিয়া গ্রহণ করা নাজায়েয। কেননা, এজাতীয় হাদিয়া লেনদেন করতে গেলে ফেতনায় জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রায় নিশ্চিত। সুতরাং প্রেমিকার দেয়া কাপড়ের হুকুম অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অন্যান্য সম্পদের মত। এই কাপড় সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিতে হবে। আর এ ধরণের পোশাকে নামায হয়ে যাবে কিন্তু পরিহার করতে পারলে সবচেয়ে উত্তম হবে। কেননা রাসুলুল্লাহ ﷺবলেছেন,
হে মানব সকল! আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র বস্তু ছাড়া কোনো কিছু গ্রহণ করেন না। তিনি এ ব্যাপারে মুমিনদের সে নির্দেশই দিয়েছেন যে নির্দেশ তিনি দিয়েছিলেন রাসূলদেরকে। তিনি বলেছেন, হে রাসূলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু হতে আহার কর ও সৎকর্ম কর; তোমরা যা কর সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত। এবং তিনি (মুমিনদের উদ্দেশে) বলেন, হে মুমিনগণ! তোমাদের আমি যেসব পবিত্র বস্তু দিয়েছি তা হতে আহার কর। এ কথা বলার পর রাসূলুল্লাহ ﷺ এমন এক ব্যক্তির কথা বললেন, যে দীর্ঘ সফর করে মাথার চুলগুলোকে এলোমেলো করেছে এবং পদযুগল ধুলায় ধুসরিত করেছে অতঃপর আকাশের দিকে হাত তুলে দোয়া করে, হে প্রভু! হে প্রভু! কিন্তু তার খাদ্য হারাম, তার পোশাক হারাম, তার শরীর গঠিত হয়েছে হারাম দিয়ে, কিভাবে তার দোয়া কবুল করা হবে? (মুসলিম ২৭৬০)
মাওলানা উমায়ের কোব্বাদী