আসসলামু আলাইকুম ওয়া রাহমতুল্লাহি ওবারাকাতুহ
শরু করছি পরম করুণাময় সেই প্রেমময় জাল্লে জালালু আহাদময় অসীমদয়ালু আল্লাহ সুবাহানু তাআলা তার পেয়ারে নূরময় হাবীবশাফেয়ীন মুজনেবিন রাহমাতালাল্লিল আলামিন আহমদ মোস্তফা মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) উনার উপর দুরুদ পেশ করে এবং আমার দাদাহুজুর আক্তার উদ্দিন শাহ আমারমূর্শীদ কেবলা দয়ালমোখলেছ সাই এর সরণে...

সম্মানীত প্রিয় পাঠকগণ
আজকাল অনেক পীরের দরবারের অনুসারীরা দিন দিন শিয়া আকীদায় পরিণতহচ্ছে তারা এতটাইবেয়াদব হয়ে উঠেছেযে আবু বক্কর(রা:)থেকে শুরুকরে ওমর ফারুক(রা:) উসমান(রা:)খেলাফতকে অস্বীকার করে তাদের শানে বেয়াদবী করে গালা গাল পর্যন্ত করে থাকেনএমনকি তারা আমীরেমুয়াবিয়া (রা:)কে অসভাবিক ভাষায় গালাগাল দিয়ে থাকেতারা শুধু মাওলাআলী (রা:)প্রতিএতটাই প্রেম ভক্তিদেখায় যে দুনিয়াতে আর কেউ দেখাননা তাদের এই অতি রঞ্জিত ভালবাসা সম্পর্কে রাসূল (:)ভবিষ্যত বাণী করে গিয়েছেন হাদীসটি নিম্নরুপ
মুসনাদে ইমাম আহমেদ থেকেবর্ণনা,হযরত মাওলাআলী শেরে খোদা(রদি:) বলেন,আমাকে রাসূল (:) বলেছেন,হে আলী!তোমারঅবস্থা হবে নবী ঈসা () এর মতইহুদীরা তার সাথেশএুতা পোষণ করতশেষ পর্যন্ত তার মাতারনামে কলঙ্ক লেপনকরেছেআর নাসারারা তাকে ভালবাসতশেষ পর্যন্ত তারানবী ঈসা () কে এমন মর্যাদা দিতে শুরু করল,তিনি যে মর্যাদার অধিকারী ছিলেন না....
অথ্যা,নবী ঈসা() এর শএুতা মিএতায় যেমন টি ফেরকাসৃষ্টি হয়ে গেল,ঠিক তেমনি তোমারশএুতা মিএতার ক্ষেএে পৃথক টি দল সৃষ্টি হবেএকপক্ষ তোমাকে মন্দবলবে এবং আরেকপক্ষ তোমাকে এত উপড়ে তুলবে যে,তুমি তার উপযোগী নওঅবশেষে এরুপই হলখারেজী নাছেবীয় ফেরকাহযরত আলীর প্রচন্ড বিরোধীতা করল এবং তাকে কাফের ঘোষণাদিলপক্ষান্তরে রাওয়াফেজ শিয়া ফেরকা ওনাকেএতটাই উপড়ে তুললেন বিশেষ করে কালেমায় নবীর নামের পাশাপাশি ওনাকে পরবর্তী খলিফাদাবী করে নাম লাগিয়ে দিল...একপক্ষ শএুতায় ধ্বংস হল অপরপক্ষ মিএতায় সীমালঙ্গন করে বিনাশহল...
মুল কথায় আসি,আমাদের দেশের কিছু নামধারী সুন্নী দরবারের তথাকথিত কিছু ভন্ড পীর শিয়াদের কাছে বিক্রী হয়ে তাদের মুরীদদের কাছে শিয়াআকিদা প্রচার করছে...লাথি মারি ওই সব ভন্ড পীরদের যারা তাদের মুরীদদেরকে সিদ্দিকে আকবর (রদি:),ফারুকে আজম (রদি:),উসমান যিন্নুরাইন (রদি:) এবং আমীরে মূয়াবিয়া (রা:)মত সাহাবীদের সমালোচনা করতেশিখায়তাদেরকে আমি আমারপায়ের জুতা মনে করি নাআমীরেমূযাবিয়া (রা:)যে জান্নাতী তা আজকেপ্রমান করব খাজানিজাম উদ্দীন আওলিয়া নিজ রচচিত কিতাবরাহাতিল কুলুব এর ভিত্তিতে...সেখানে যেই হাদীসটি বর্ণনা করা আছে আমি সেটি বর্ণনা করছি....যা বাবা শেখ ফরিদের ভাষনওবটে, এতে বলা হয়, " একদিন রাসুলে মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাগনের সাথে বসা ছিলেন, এমন সময়েমুয়াবিয়া তার পুত্রএজিদকে কাঁধে নিয়েসেখান দিয়ে যাচ্ছিলো তাঁকে দেখে, হুজুরপাক সল্ল্াল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ' দেখ, দেখ, বেহেস্তীর কাঁধে দোজখি যাচ্ছে, "! একথা শোনার পর উপস্হিত মাওলা আলী(রা) জিজ্ঞেস করলেন, কী করে এজিদজাহান্নামি হবে? উত্তরে এরশাদ হলো, _এই বদবখতির কারনে ইমামহাসান, হোসাইন (রা), এবং তাঁদের বংশীয়রা শহীদি হবেন" এই সময়ে হযরত মাওলাআলী (রা) তলোয়ার হাতে দাঁড়িয়ে যান, এবং অনুমতি চান এই দুশমনকে শেষ করে দিতে, কিন্তু না, তাঁকে বরং থামিয়ে দিয়ে আল্লাহর হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, --এটা আল্লাহরই বিধান, এবং বলেন, কারো ভাগ্যের উপর হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়," ৬৫৬হিজরি মুহর্রম হযরত খাজা শেখ ফরিদুদ্দিন গন্জেশকর () তাঁর মুরীদ খলিফাদের উদ্দেশ্যে আশুরা প্রসঙ্গে উক্ত বক্তব্যগুলো রাখেন যা সেখানে উপস্হিত শ্রোতাদের পক্ষে কলমবন্দি করেন তাঁরই প্রধান খলিফা হজরত নেজামুদ্দিন আউলিয়া বুঝা যায় যে, আমাদের পথ প্রদর্শক আউলিয়ায়ে কেরামগনের আক্বিদা এটি, যা সুন্নি সমাজেও প্রচলিতকিন্তু বর্তমান কিছু দরবার গুলিতে সুফিবাদ নামে বিভিন্ন কূকর্ম করে থাকেযা ভাষায় বলে প্রকাশ করার মত নয়..তাই আমি সকল সূন্নীদের ভাইদের প্রতি দৃষ্টি আর্কষণ করছি এসব দরবারথেকে নিজেকে দুরেরাখুন এবং অন্যকে রাখতে সহায়তা করুন....আমিন....প্রচারে....মোখলেছিয়া সূন্নী খানকাশরীফ

 
Top