Sunday, April 18, 2021

জানাযার নামাজের পর দোয়া করা সুন্নাত


নামাজের পর দোয়া করতে আল্লাহর নির্দেশঃ


আল্লাহপাক বলেন-

فإذا فرغت فانصب ،(القرأن)

অর্থঃ যখন অবসর গ্রহণ করবেন তখন মশগুল হবেন 

(সূরা-ইনশিরাহ, আয়াত নং-৭)


নবীজির আপন চাচাতো ভাই, রঈসুল মুফাসসিরীন, হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (رضي الله عنه) উক্ত আয়াতের তাফসীরে বলেন-


اي اذا فرغت من الصلاة  المكتوبة فانصب في الدعاء ،


অর্থাৎ যখন ফরজ নামাজ হতে ফারেগ তথা অবসর পাবে তখন দোয়াতে মশগুল হবে৷


তথ্যসূত্রঃ 

১• তাফসীরে ইবনে আব্বাস, পৃষ্টা-৫১৪,

২• তাফসীরে ইবনে আবি হাতিম, হাদিস নং- ১৯৩৯৭,

৩• তাফসীরে তাবারী, হাদিস নং- ২৯০৭৬,

৪• তাফসীরে বাগভী,

৫• তাফসীরে খাজিন,

৬• তাফসীরে দূররে মানছূর,

৭• তাফসীরে ইবনে কাছীর,

৮• তাফসীরে কবীর,

৯• তাফসীরে কুরতুবী,

১০• তাফসীরে জালালাইন, (এটা  আলীয়া মাদ্রাসা ও খারেজী মাদ্রাসার পাঠ্য তালিকায় রয়েছে)

১১• তাফসীরে মাজহারী,


জানাযার নামাযের পর দোয়া করতে নবীজি আদেশ করেছেনঃ


عن ابي هريرة رضي الله عنه قال: سمعت رسول الله صلي الله عليه وسلم يقول: اذا صليتم علي الميت فاخلصوا له الدعاء،


অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি রাসুল (ﷺ)কে বলতে শুনেছি: যখন তোমরা জানাযার নামায পড়বে তখন খাস করে তার জন্য দোয়া করবে৷


তথ্যসূত্রঃ

১• ইবনে মাজাহ শরীফ, হাদিস নং-১৪৯৭,

২• আবু দাউদ শরীফ, হাদিস নং- ৩১৯৯,

৩• সহীহ ইবনে হিব্বান, ৭/৩৪৬, হাদিস নং-৩০৭৭,

৪• সুনানুল কুবরা, ইমাম বাইহাকী, খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-৪০,

৫• কিতাবুদ দোয়া, ইমাম তাবরানী, পৃষ্ঠা-৩৬২, হাদিস নং-১২০৫,

৬• আল ফিরদাউস, ইমাম দায়লামী, ৩/৩১৯, হাদিস নং-২২৭৫,

৭• গায়াতুল আহকাম, ইমাম তাবারী, ৩/৫৫৭, হাদিস নং-৬৮১৬,

৮• জামেউল উসূল, ইমাম ইবনুল আছির, ৬/২১৯, হাদিস নং-৪৩১১,

৯• মিশকাত শরীফ, খতীব তিবরিযী, হাদিস নং-১৬৭৪,

১০• রিয়াদুস সালেহীন, ইমাম নবভী, পৃষ্ঠা-৩১০, হাদিস নং-৯৩৭,


জানাযার নামাজের পর নবীজি দোয়া করেছেনঃ


عن عبد الله بن ابي اوفي رضي الله عنه قال: توفيت بنت له فتبعها علي بغلة يمشي خلف الجنازة، ونساء يرثنها، فقال: يرثين او لا يرثين فان رسول الله صلي الله عليه وسلم نهي عن المراثي، ولتفض احداكن من عبرتها ما شائت ثم صلي عليها فكبر عليها اربعا، ثم قام بعد الرابعة قدر ما بين التكبيرتين يستغفر لها ويدعو، وقال: كان رسول الله صلي الله عليه وسلم يصنع هكذا،


অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আউফা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- তার কণ্যার ওফাত হলে তিনি তার মেয়ের কফিনের পিছনে পিছনে একটি খচ্চরের উপর সাওয়ার হয়ে যাচ্ছেন৷ মহিলারা মর্সিয়া করছিল, তিনি বললেন: তারা মর্সিয়া করুক অথবা না করুক৷ নিশ্চয়ই রাসুল (ﷺ) মর্সিয়া করা থেকে নিষেধ করেছেন৷ তবে তোমাদের মধ্য থেকে যে চায় অশ্রু ঝড়াতে পারবে৷ অতঃপর চার তাকবীরে জানাযার নামায আদায় করলেন৷ তারপর চতুর্থ তাকবীরের পর "দুই তাকবীরের মধ্যবর্তী সময় পরিমাণ" তার জন্য ইস্তেগফার পড়লেন এবং দোয়া করলেন৷ আর তিনি (আব্দুল্লাহ ইবনে আউফ (رضي الله عنه)) বললেন: রাসুল (ﷺ) অনুরূপ করতেন৷


তথ্যসূত্রঃ

১• মুসনাদে ইমাম আহমদ, খন্ড-৫, পৃষ্ঠা-৪৭৪-৪৭৫, হাদিস নং-১৮৩৫১,

২• মুস্তাদরাকে ইমাম হাকেম, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৫১২, হাদিস নং-১৩৩০, ১২৭৭,

৩• মুসনাদে ইমাম বাজ্জার, খন্ড-৮, পৃষ্ঠা-২৮৭, হাদিস নং-৩৩৫৫,

৪• আল মুহায্যাব, ইমাম যাহাবী, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-১৩৮৬, হাদিস নং-৬২০৪,

৫• জামিউল জাওয়ামে, ইমাম সুয়ূতী, খন্ড-১৪, পৃষ্ঠা-৪৯৩, হাদিস নং-১১৫৫৪,

৬• জামিউস সগীর, ইমাম সুয়ূতী, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৫৬০, হাদিস নং-৯৩৮৫,

৭• কানজুল উম্মাল, ইমাম মুত্তাকী হিন্দী, খন্ড-১৫, পৃষ্ঠা-৬৫০, হাদিস নং-৪২৪৪৬,

৮• জামিউল আহাদীস, খন্ড-১৭, পৃষ্ঠা-১৪৫-১৪৬, হাদিস নং-৯৫০৯,

৯• ফতহুল কবীর, আল্লামা ইউসুফ নুবহানী, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-২৬৬, হাদিস নং-১২৮৬৫,

১০• সিলসিলাতুল আহাদীস, নাসিরুদ্দীন আলবানী, হাদিস নং-৪৭২৪,


عن ابي هريرة رضي الله عنه : ان النبي صلي الله عليه وسلم صلى على المنفوس، ثم قال: اللهم أعذه من عذاب القبر،


অর্থঃ হযরত আবু হুরায়রা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, নিশ্চয়ই রাসুল (ﷺ) এক লোকের জানাযার নামাজ পড়লেন ৷ অতঃপর বললেন- "হে আল্লাহ পাক! তুমি তাকে কবরের শাস্তি হতে রক্ষা কর৷"


তথ্যসূত্রঃ

১• আল ইলালুল ওয়ারিদা ফি আহাদীসিন নবভীয়্যাহ, ইমাম হাফিজ আবুল হাসান আলী ইবনে উমর, (৩০৬-৩৮৫ হিজরী), খন্ড-৯, পৃষ্ঠা-২০৫, হাদিস নং-১৭২৪,

২• তারীখে মদীনাতুস সালাম (তারীখে বাগদাদ), খতীবে বাগদাদী, (৩৯২-৪৬৩ হিজরী), খন্ড-১৩, পৃষ্ঠা-৩০০, হাদিস নং-৬১৮৩,

৩• সুনানুল কুবরা, ইমাম বায়হাকী, (ওফাত-৪৫৮ হিজরী), খন্ড-৪, পৃষ্ঠা-১৫, হাদিস নং-৬৭৯৩,

৪• মাশীখাতু ইবনে শাজান, (জন্ম-২২৯ হিজরী), খন্ড-১, পৃষ্ঠা-২০, হাদিস নং-১২,

৫• কানযুল উম্মাল, ইমাম মুত্তাকী দিমিয়াতী, খন্ড-৮, পৃষ্ঠা-৩০৩, হাদিস নং-৪২৮৪৮ ও ৪২৮৫১,

৬• মা'রিফাতিস সুনান, ইমাম বায়হাকী, হাদিস নং-৭৪১০,

৭• যাওয়াইদু তারীখে বাগদাদ, আল্লামা খালদুন আহদাব, খন্ড-৮, পৃষ্ঠা-১৮৯, হাদিস নং- ১৭৪০,

৮• আল মুহায্যাব ইখতিসারী সুনানিল কাবীর, ইমাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে আহমদ, (ওফাত-৭৪৮ হিজরী), খন্ড-৯, হাদিস নং- ৬০৩৬,

৯• ইছবাতু আযাবুল কুবুর, ইমাম বায়হাকী, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-১০৫, হাদিস নং-১৬০,


عن عوف بن مالك رضى الله عنه يقول صلى رسول الله صلى الله عليه وسلم على جنازة فحفظت من دعائه وهو يقول اللهم اغفرله وارحمه وعافه واعف عنه واكرم نزله ووسع مد خله واغسله بالماء والثلج والبرد ونقه من الخطايا كما نقيت الثوب الابيض من الدنس وابدله دارا خيرا من داره واهلا خيرا من اهله وزوجا خيرا من زوجه وادخله الجنة واعذه من عذاب القبر ومن عذاب النار قال حتى تمنيت ان اكون انا ذلك الميت. 


অর্থ : “হযরত আউফ ইবনে মালিক আশজায়ী (رضي الله عنه) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রসূলুল্লাহু (ﷺ) এক জানাযা নামায পড়লেন। আমি তাঁর দুয়ার কিছু অংশ মুখস্ত রেখেছি। তিনি দুয়াতে বলেছেনঃ “আয় আল্লাহ্ পাক! আপনি তাকে মাফ করুন, তার প্রতি রহম (দয়া) করুন, তাকে শান্তিতে রাখুন, তার অবস্থানকে মর্যাদাময় করুন, তার কবর-অবস্থান স্থলকে প্রশস্ত করুন, তাকে পাক-পবিত্র করে দিন, পানি, বরফ ও বৃষ্টির পানি দ্বারা। তাকে গুণাহ থেকে এভাবে পবিত্র করে দিন, যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। তাকে তার বাড়ী থেকে উত্তম বাড়ী দান করুন, তার পরিবার থেকে উত্তম পরিবার, তার স্ত্রী থেকে উত্তম স্ত্রী দান করুন। তাকে কবরের ও দোযখের আযাব থেকে রক্ষা করুন।” হযরত আউফ (رضي الله عنه) বলেন, আমি আকাংখা করতে লাগলাম যে, হায়! আমি যদি এই মৃত ব্যক্তিই হতাম! 


তথ্যসূত্রঃ

১• সহীহ মুসলিম শরীফ খন্ড-১,পৃষ্টা-৩১১,

২• মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, খন্ড-৩, পৃষ্টা-২৯১,

৩• আল মুসনাদ, ইমাম বাজ্জার, খন্ড-৭, পৃষ্ঠা-১৭২, হাদিস নং-২৭৩৯,

৪• সুবুলুস সালাম, ইমাম ইমাম সানআনী, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৪৪৮, হাদিস নং-৫৩০,

৫• মিশকাত শরীফ, খতিব তিবরিযী,  পৃষ্ঠা-১৪৫,


عن واثلة بن اسقع رضي الله عنه قال: ﺻﻠﻲ ﺑﻨﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻠﻲ ﺭﺟﻞ ﻣﻦ ﺍﻟﻤﺴﻠﻤﻴﻦ ﻓﺴﻤﻌﺘﻪ ﻳﻘﻮﻝ:  ﺍﻟﻠﻬﻢ ﺍﻥ ﻓﻼﻥ ﺍﺑﻦ ﻓﻼﻥ ﻓﻲ ﺫﻣﺘﻚ وحبل جوارك فقه من فتنة القبر وعذاب النار وانت اهل الوفاء والحق اللهم اغفرله وارحمه انك انت الغفور الرحيم . 

ابو داود ، ابن ماجه،  طبراني،  بيهقي، ﻣﺸﻜﻮﺓ . ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺠﻨﺎﺋﺰ .


অর্থাৎঃ হযরত ওয়াছিলা ইবনে আছকা (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুল (ﷺ) আমাদেরকে নিয়ে মুসলমানদের কোন এক ব্যক্তির জানাজার নামাজ পড়েছেন,

অতঃপর  আমি নবীজিকে বলতে শুনেছি "হে আল্লাহ! অমুকের পুত্র অমুক তোমার যিম্মায় ও তোমার আশ্রয়ে , তাকে তুমি কবরের পরিক্ষা হতে রক্ষা কর এবং দোযখের আযাব হতে বাচাঁও৷ তুমি ওয়াদা ও হক্ব পূরনকারী৷ হে আল্লাহ! তুমি তাকে মাফ কর ও রহম কর, নিশ্চয় তুমি ক্ষমাশীল ও দয়ালু৷


তথ্যসূত্রঃ

১• আবু দাউদ শরীফ, হাদিস নং-৩২০২,

২• ইবনে মাজাহ শরীফ, হাদিস নং-১৪৯৯,

৩• কিতাবুদ দোয়া, ইমাম ত্ববরানী, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৩৫৯, হাদিস নং-১১৮৯,

৪•দা'ওয়াতুল কবীর, ইমাম বায়হাক্বী,খন্ড-২, পৃষ্ঠা-২২৮, হাদিস নং-৬৩১, 

৫• মুসনাদে শামেয়্যীন, খন্ড-৩, পৃষ্ঠা-২৫২, হাদিস নং- ২১৯৪,

৬•  মিশকাত শরীফ, খতীব তিবরিযী, জানাযা অধ্যায়, পৃষ্টা-১৩৯,

৭• আউনুল মা'বুদ, খন্ড-৮, পৃষ্ঠা-৩৮৫, হাদিস নং-৩২০২,

৮• হাদিয়াতুল মুছাল্লীন, মুফতি আমীমুল ইহসান মুজাদ্দেদী বরকতী, পৃষ্ঠা- ১১২- ১১৩,


ফকীহদের দৃষ্টিতে জানাযার পর দোয়াঃ


عن ابن عباس رضي الله عنهما و ابن عمر رضي الله عنه انهما فاتتهما الصلاة علي جنازة، فلما حضرا ما زادا علي الاستغفار له، 

وعبد الله بن سلام رضي الله عنه فاتته الصلاة علي جنازة عمر فلما حضر قال: ان سبقتموني بالصلاة عليه فلا تسبقوني بالدعاء له،


অর্থঃ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (رضي الله عنه) এবং হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, উনারা দুজনেই এক জানাযার নামায পেলেননা৷ সুতরাং যখন উনারা জানাযার নামাজের পর উপস্থিত হলেন তখন তারা উভয়েই মৃত ব্যক্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেন৷

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (رضي الله عنه) হতে বর্ণিত, তিনি হযরত উমর (رضي الله عنه) এর জানাযার নামাজ পেলেননা৷ সুতরাং যখন তিনি জানাযার নামাজের পর উপস্থিত হলেন তখন তিনি বললেন: যদিও তোমরা জানাযার নামাযের ক্ষেত্রে আমাকে পিছনে ফেলে দিয়েছ, তবে তার জন্য দোয়ার ক্ষেত্রে আমাকে পিছনে ফিলে দিওনা৷ অর্থাৎ আমাকে সাথে নিয়েই জানাযার নামাজের পর দোয়া কর৷


তথ্যসূত্রঃ

১• আল মাবসুত, শামছুল আইম্মা ইমাম সারাখসী, ওফাত-৪৮৩ হিজরী, খন্ড-২, পৃষ্ঠা-৬৭,

২• বাদায়েউস সানাঈ, ইমাম আবু বকর কাসানী হানাফী, ওফাত-৫৮৭ হিজরী, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-৩১১,

(উভয়টিই হানাফী ফিকহের প্রসিদ্ধ কিতাব)


قال الشافع: ويقول بعد صلاة الجنازة اللهم لا تحرمنا اجره ولا تفتنا بعده واغفرلنا وله،


অর্থঃ ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) বলেন- জানাযার নামাজের পর বলবে: হে আল্লাহপাক! আমাদেরকে তার সওয়াব হতে বঞ্চিত করবেননা এবং তার ইন্তিকালের পর আমাদেরকে ফেতনা-ফাসাদে ফেলবেননা৷ আর আমাদের এবং তার গুনাহ সমূহ ক্ষমা করুন৷


তথ্যসূত্রঃ

১• বাহরুল মাজহাব, ইমাম আবুল মাহাসিন আব্দুল ওয়াহিদ ইবনে ইসমাইল, ওফাত-৫০২ হিজরী, ৩/৩৬৫,

২• শরহে জুরকানী, ইমাম কুস্তুলানী, ৯/২২১,

৩• আল বুজায়রামী আলাল খতীব, ২/৫৫৬,

৪• কিফায়াতুল মাসইয়ার, ইমাম তকীউদ্দীন দামেশকী শাফেয়ী, ১/২৪২,

৫• রিহাবুত তাফসীর, খন্ড-১৮, পৃষ্ঠা-২৭৮৯,

৬• নাহরুল ফাইক শরহে কানযুদ দাক্বাইক,

৭• কাশফুল হাকাইক্ব শরহে কানযুদ দাক্বাইক, ১/৩৩৯,


لا يدعو بعد التسليم كما في الخلاصة وعن فضل لا بأس به،


অর্থঃ সালামের পর দোয়া করবেনা যেমনটি খোলাসা কিতাবে উল্লেখ রয়েছে৷ আর ফযলী (رحمة الله) থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, জানাযার নামাযের পর দোয়া করতে কোন প্রকার অসুবিধা নেই৷


তথ্যসূত্রঃ

১• বাহরুর রাইক শরহে কানযুদ দাকাইক্ব, ২/৩২২,

২• ফতোয়ায়ে রজভীয়্যাহ, ইমাম আহমদ রেজা (رحمة الله),


قول ابيزحنيفة: ان التعزية سنة قبل الدفن لا بعد وبه قال الثوري مع قول الشافع و احمد انها تسن قبله و بعد الي ثلاثة ايام، ان شدة الحزن انما تكون قبل الدفن فيعزي ويدعى له،


অর্থঃ ইমাম আযম আবু হানীফা (رحمة الله) এর বক্তব্য হলো- দাফনের পূর্বে শোক প্রকাশ করা সুন্নাত, পরে নয়৷ ইমাম শাফেয়ী (رحمة الله) এবং ইমাম আহমদ (رحمة الله) এর সাথে ইমাম সুফিয়ান সাওরী (رحمة الله) বলেন- নিশ্চয়ই দাফনের পূর্বে দাফনের পরে তিন দিন শোক প্রকাশ করা সুন্নাত৷ অবশ্যই দাফনের পূর্বে পেরেশানী বেশী থাকে, সুতরাং সে সময় মৃত ব্যক্তির জন্য শোক প্রকাশ করবে এবং তার জন্য দোয়া করবে৷


তথ্যসূত্রঃ

মি'যানুল কুবরা, ইমাম শা'রানী, ওফাত-৯৭৩ হিজরী, খন্ড-১, পৃষ্ঠা-২৭১,


ফা (فاء) এবং ছুম্মা (ثم)  অক্ষরের বিশ্লেষণঃ


"হেদায়াতুন নাহু" প্রণেতা ﻓﺎﺀ হরফের অর্থ লিখেন-

ﺍﻟﻔﺎﺀ ﻟﻠﺘﺮﺗﻴﺐ ﺑﻼ ﻣﻬﻠﺔ ﻧﺤﻮ ﻗﺎﻡ ﻃﻔﻴﻞ ﻓﺒﺮﻫﺎﻥ ﻭ ﺍﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻄﻔﻴﻞ ﻣﺘﻘﺪﻡ ﻭﺑﺮﻫﺎﻥ ﻣﺘﺎﺧﺮﺍ ﺑﻼ ﻣﻬﻠﺔ 

অর্থাৎ ﻓﺎﺀ হরফটি বিলম্বহীন পর্যায়ক্রমিক অর্থে ব্যবহার হয়। যেমন ﻗﺎﻡ ﻃﻔﻴﻞ فبرﻫﺎﻥ অর্থ তুফাইল দাঁড়ালো অতঃপর বুরহান দাঁড়ালো। এ উদাহরনটিতে তুফাইলের দাঁড়ানো বুরহানের পূর্বে হবে এবং বুরহানের দাঁড়ানো বিলম্বহীন ভাবে তুফাইলের পরে হবে। 


"দুরুসুল বালাগাত" প্রণেতা ثم হরফের অর্থ লিখেন-

كالترتيب مع التعقيب في "الفاء" و مع التراخي في "ثم"،

অর্থঃ فاء অক্ষর দ্বারা অবিলম্বে ধারাবাহিকতা বুঝায় এবং ثم অক্ষর দ্বারা বিলম্বসহ ধারাবাহিকতা বুঝায়৷

Disqus Comments